ফ্যাক্টচেক ডেস্ক
বাংলা নতুন বছর সবে শুরু। এরপরই আসবে ফলের মাস জৈষ্ঠ্য। এই সময়ে পাকা আম–কাঁঠালের ঘ্রাণে ম ম করে চারদিক। তবে গত বছর এই সময়টাতে কাঁঠাল খাওয়া নিয়ে একটি তথ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার হয়ে আসছে। যেখানে দাবি করা হচ্ছে, ‘কাঁঠাল খাওয়ার পর আপনি যদি কোকাকোলা পান করেন তাহলে আপনার নিশ্চিত মৃত্যু হতে পারে। কাঁঠাল খাওয়ার পর কোকাকোলা খেলে একসঙ্গে তিনটি সাপের কামড়ের সমান বিষক্রিয়া হয়।’
সম্প্রতিও একই তথ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।
তবে প্রাসঙ্গিক বিভিন্ন কি–ওয়ার্ড অনুসন্ধানে দাবিটির সত্যতার পক্ষে কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি। তাহলে দাবিটির ভিত্তি কী? এ নিয়ে অনুসন্ধানে যুক্তরাষ্ট্রের ব্লকচেইন–ভিত্তিক ব্লগিং ও সোশ্যাল মিডিয়া ওয়েবসাইট স্টিমইট–এ অন্তত সাত বছরের পুরোনো এই সম্পর্কিত একটি পোস্ট পাওয়া যায়।
পোস্টটিতে কাঁঠাল সদৃশ একটি ফল ও কোকাকোলার ছবি শেয়ার করে দাবি করা হয়, কাঁঠাল খেয়ে কোক পান করলে সেটির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া পাঁচটি বিষধর গোখরার ছোবলের সমান। পৃথিবীতে প্রতি বছর এভাবে অনেক মানুষ মারা যাচ্ছে। তারা কখনই জানতে পারে না যে, তাদের কী হয়েছিল। কাঁঠাল খেয়ে কোক পান করলে এই ব্যাপারগুলো আপনার শরীরেও ঘটবে। ক্যাফেইন নেশার কারণে রক্তচাপ বেড়ে যায়। ফলে আকস্মিকভাবে হৃদ্যন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায়।
পোস্টের সঙ্গে যুক্ত ফলটি সম্পর্কে খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, এটি কাঁঠাল নয়, বরং দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে এই ফল পাওয়া যায়। গ্রীষ্মমণ্ডলীয় অঞ্চলের এই ফলের নাম ডুরিয়ান। এটি দেখতে অনেকটা কাঁঠালের মতো। এই ফল পাকলে কাঁঠালের মতোই তীব্র ঘ্রাণযুক্ত হয়।
একই বিষয়ে আরেকটি পোস্ট পাওয়া যায় ২০১৫ সালে ‘Video Sansar’ নামের একটি ফেসবুক পেজে। ওই বছরের ২৫ জুন করা পোস্টটিতে দাবি করা হয়, চীনে ওই সময় এক লোক কাঁঠাল খেয়ে কোকাকোলা পান করেছিলেন। ১৫ মিনিট পরেই ওই ব্যক্তির শ্বাসকষ্ট, বমি শুরু হয় এবং ঘটনাস্থলেই মারা যান। পরে হাসপাতালে নেওয়া হলে ঘণ্টাখানেক পর চিকিৎসকেরা জানান, তাঁর শরীরে কোকাকোলা এবং কাঁঠাল বিষে পরিণত হয়েছিল, যা পাঁচটি গোখরার বিষের সমান।
পোস্টটিতে এসব দাবির পক্ষে কোনো সূত্র উল্লেখ করা হয়নি।
পরে এই দুই পোস্টের সূত্রে কি–ওয়ার্ড অনুসন্ধানে বার্তা সংস্থা এএফপির ফ্যাক্টচেক বিভাগের এ সম্পর্কিত একটি প্রতিবেদন পাওয়া যায়। প্রতিবেদনটি ২০২০ সালের ১৩ জুলাই প্রকাশিত। এই প্রতিবেদনে ডুরিয়ান এবং কোকাকোলা একসঙ্গে খেলে মৃত্যু হতে পারে—এমন দাবিকে ভুল বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে থাইল্যান্ডের চুলালংকর্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন অনুষদের সহকারী অধ্যাপক ডাক্তার পিয়াপন প্রুয়েক্সাপানিচ এএফপি ফ্যাক্টচেককে বলেন, ‘ডুরিয়ান এবং কোকাকোলা একসঙ্গে খাওয়া বিপজ্জনক নয় এবং এই দুটো একসঙ্গে খেলে তা মানবদেহে তীব্র বিষক্রিয়া তৈরি করতে পারে না। তবে, স্থূলতার ঝুঁকি এড়াতে অন্যান্য উচ্চ শর্করাযুক্ত খাবারের মতো ডুরিয়ান এবং কোকাকোলা একসঙ্গে বেশি খাওয়া উচিত নয়। তবে ডুরিয়ান এবং কোকাকোলা একসঙ্গে খাওয়া নিরাপদ।
কাঁঠালের সঙ্গে কোকাকোলা পান প্রসঙ্গে ভারতের স্বাস্থ্যসেবা বিষয়ক ওয়েবসাইট লিব্রেট–এ একটি আলোচনা পাওয়া যায়। সেখানে জানতে চাওয়া হয়েছিল, কাঁঠাল খাওয়ার আগে বা পরে কোক পান করলে কী তাৎক্ষণিক মৃত্যু ঘটে? এই প্রশ্নের উত্তরে ডা. রাজীব গুপ্ত নামে ৪২ বছরের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন একজন জেনারেল ফিজিশিয়ান বলেন, খাবারের এমন সম্মিলনে মৃত্যুর কোনো ঝুঁকি নেই। তবে এটি ভালো খাদ্যাভ্যাস নয়।
একই প্রশ্নে রিয়াজ খান নামে আরেকজন পুষ্টিবিদ বলেন, ‘না। খাদ্যদ্রব্যের এমন সংমিশ্রণে মৃত্যু হওয়াটা অস্বাভাবিক।’ নরেন্দ্র বাবু নামে আরেকজন পুষ্টিবিদ বলেন, ‘খাদ্যের এমন সংমিশ্রণ মৃত্যু ঘটাতে পারে না। কিন্তু এটি আপনার শরীরকে প্রভাবিত করতে পারে এবং আপনার স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। তাই এমন কোনো অভ্যাস অনুসরণ না করাই ভালো।’
একই প্রশ্নের উত্তরে গীতাঞ্জলি আহুজা মেঙ্গি নামে আরেক পুষ্টিবিদ বলেন, ‘এই দাবিকে সমর্থন করে— এমন কোনো বৈজ্ঞানিক তথ্য বা গবেষণা নেই। কোনো খাদ্যই সাধারণত মৃত্যু ঘটাতে পারে না। যদি না তাতে বিষ থাকে বা কোনোভাবে বিষাক্ত হয়।’
নেটিজেনদের একই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে দেখা যায় প্রশ্নোত্তর বিষয়ক ওয়েবসাইট কৌরাতেও। এমন এক প্রশ্নের উত্তরে মিশকাত আনাম নামে এক ব্যক্তি জানান, তিনি একই সঙ্গে ২৫০–৫০০ মিলিমিটার কোকাকোলা এবং ৩–৪ কোষ কাঁঠাল খেয়েছেন। কিন্তু তাঁর শরীরে কোনো প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। তবে কিছুটা উদ্বেগ এবং বমিভাব অনুভব করেছেন। এর কারণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেছেন, এই সম্পর্কিত গুজব শোনার কারণে তাঁর এমনটা হয়ে থাকতে পারে।
এসব তথ্যের বাইরে দাবিটির সমর্থনে কোনো নির্ভরযোগ্য তথ্য–প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
বরং দেখা যায়, কেবল কাঁঠাল নয়, প্রায় একইরকম দাবি ইন্টারনেটে আরেকটি গ্রীষ্মকালীন ফল আমের ক্ষেত্রেও প্রচার করা হয়েছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ব্যাঙ্গালোর মিররে ২০১৭ সালে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ওই সময় সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি দাবি ছড়িয়ে পড়েছিল। যেখানে দাবি করা হয়, একজন ভারতীয় চীনে ঘুরতে গিয়ে আমের সঙ্গে কোকাকোলা পান করেছিলেন। ওই ব্যক্তি খুব অল্প সময়ের মধ্যেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। চিকিৎসকেরা তাঁর মৃত্যুর কারণ হিসেবে আমের সঙ্গে কোক পান করাকে দায়ী করেছেন। কারণ, আম ও কোক মিলে তীব্র বিষক্রিয়া তৈরি করতে পারে।
এই গল্পটি ২০১৫ সালে চীনে কাঁঠাল খেয়ে কোকাকোলা পানের পর মৃত্যুর ঘটনার গল্পটির সঙ্গে মিলে যায়।
ফল সম্পর্কে প্রচলিত ভুল নিয়ে আরও পড়ুন:
তবে ব্যাঙ্গালোর মিরর জানায়, আম খেয়ে কোকাকোলা পানের ফলে মৃত্যুর ঘটনার দাবির পক্ষে কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি এবং আম ও কোকাকোলার সম্মিলনে কোনো বিষক্রিয়া তৈরি হয় না।
দেখা যাচ্ছে, বিভিন্ন সময়েই কোকাকোলার সঙ্গে ভিন্ন ভিন্ন ফল জুড়ে দিয়ে ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়েছে যে, এসব ফলের সঙ্গে কোকাকোলা পান করলে বিষক্রিয়া হয়ে তাৎক্ষণিক মৃত্যু হতে পারে।
নির্ভরযোগ্য প্রমাণ না থাকা এবং এবং বিশেষজ্ঞদের মতামতের ভিত্তিতে ‘কাঁঠালের সঙ্গে কোকাকোলা পানে তিনটি সাপের কামড়ের সমান বিষক্রিয়া হতে পারে’—এমন দাবিকে আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগ ‘মিথ্যা তথ্য’ হিসেবে সাব্যস্ত করেছে।
বাংলা নতুন বছর সবে শুরু। এরপরই আসবে ফলের মাস জৈষ্ঠ্য। এই সময়ে পাকা আম–কাঁঠালের ঘ্রাণে ম ম করে চারদিক। তবে গত বছর এই সময়টাতে কাঁঠাল খাওয়া নিয়ে একটি তথ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার হয়ে আসছে। যেখানে দাবি করা হচ্ছে, ‘কাঁঠাল খাওয়ার পর আপনি যদি কোকাকোলা পান করেন তাহলে আপনার নিশ্চিত মৃত্যু হতে পারে। কাঁঠাল খাওয়ার পর কোকাকোলা খেলে একসঙ্গে তিনটি সাপের কামড়ের সমান বিষক্রিয়া হয়।’
সম্প্রতিও একই তথ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।
তবে প্রাসঙ্গিক বিভিন্ন কি–ওয়ার্ড অনুসন্ধানে দাবিটির সত্যতার পক্ষে কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি। তাহলে দাবিটির ভিত্তি কী? এ নিয়ে অনুসন্ধানে যুক্তরাষ্ট্রের ব্লকচেইন–ভিত্তিক ব্লগিং ও সোশ্যাল মিডিয়া ওয়েবসাইট স্টিমইট–এ অন্তত সাত বছরের পুরোনো এই সম্পর্কিত একটি পোস্ট পাওয়া যায়।
পোস্টটিতে কাঁঠাল সদৃশ একটি ফল ও কোকাকোলার ছবি শেয়ার করে দাবি করা হয়, কাঁঠাল খেয়ে কোক পান করলে সেটির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া পাঁচটি বিষধর গোখরার ছোবলের সমান। পৃথিবীতে প্রতি বছর এভাবে অনেক মানুষ মারা যাচ্ছে। তারা কখনই জানতে পারে না যে, তাদের কী হয়েছিল। কাঁঠাল খেয়ে কোক পান করলে এই ব্যাপারগুলো আপনার শরীরেও ঘটবে। ক্যাফেইন নেশার কারণে রক্তচাপ বেড়ে যায়। ফলে আকস্মিকভাবে হৃদ্যন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায়।
পোস্টের সঙ্গে যুক্ত ফলটি সম্পর্কে খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, এটি কাঁঠাল নয়, বরং দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে এই ফল পাওয়া যায়। গ্রীষ্মমণ্ডলীয় অঞ্চলের এই ফলের নাম ডুরিয়ান। এটি দেখতে অনেকটা কাঁঠালের মতো। এই ফল পাকলে কাঁঠালের মতোই তীব্র ঘ্রাণযুক্ত হয়।
একই বিষয়ে আরেকটি পোস্ট পাওয়া যায় ২০১৫ সালে ‘Video Sansar’ নামের একটি ফেসবুক পেজে। ওই বছরের ২৫ জুন করা পোস্টটিতে দাবি করা হয়, চীনে ওই সময় এক লোক কাঁঠাল খেয়ে কোকাকোলা পান করেছিলেন। ১৫ মিনিট পরেই ওই ব্যক্তির শ্বাসকষ্ট, বমি শুরু হয় এবং ঘটনাস্থলেই মারা যান। পরে হাসপাতালে নেওয়া হলে ঘণ্টাখানেক পর চিকিৎসকেরা জানান, তাঁর শরীরে কোকাকোলা এবং কাঁঠাল বিষে পরিণত হয়েছিল, যা পাঁচটি গোখরার বিষের সমান।
পোস্টটিতে এসব দাবির পক্ষে কোনো সূত্র উল্লেখ করা হয়নি।
পরে এই দুই পোস্টের সূত্রে কি–ওয়ার্ড অনুসন্ধানে বার্তা সংস্থা এএফপির ফ্যাক্টচেক বিভাগের এ সম্পর্কিত একটি প্রতিবেদন পাওয়া যায়। প্রতিবেদনটি ২০২০ সালের ১৩ জুলাই প্রকাশিত। এই প্রতিবেদনে ডুরিয়ান এবং কোকাকোলা একসঙ্গে খেলে মৃত্যু হতে পারে—এমন দাবিকে ভুল বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে থাইল্যান্ডের চুলালংকর্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন অনুষদের সহকারী অধ্যাপক ডাক্তার পিয়াপন প্রুয়েক্সাপানিচ এএফপি ফ্যাক্টচেককে বলেন, ‘ডুরিয়ান এবং কোকাকোলা একসঙ্গে খাওয়া বিপজ্জনক নয় এবং এই দুটো একসঙ্গে খেলে তা মানবদেহে তীব্র বিষক্রিয়া তৈরি করতে পারে না। তবে, স্থূলতার ঝুঁকি এড়াতে অন্যান্য উচ্চ শর্করাযুক্ত খাবারের মতো ডুরিয়ান এবং কোকাকোলা একসঙ্গে বেশি খাওয়া উচিত নয়। তবে ডুরিয়ান এবং কোকাকোলা একসঙ্গে খাওয়া নিরাপদ।
কাঁঠালের সঙ্গে কোকাকোলা পান প্রসঙ্গে ভারতের স্বাস্থ্যসেবা বিষয়ক ওয়েবসাইট লিব্রেট–এ একটি আলোচনা পাওয়া যায়। সেখানে জানতে চাওয়া হয়েছিল, কাঁঠাল খাওয়ার আগে বা পরে কোক পান করলে কী তাৎক্ষণিক মৃত্যু ঘটে? এই প্রশ্নের উত্তরে ডা. রাজীব গুপ্ত নামে ৪২ বছরের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন একজন জেনারেল ফিজিশিয়ান বলেন, খাবারের এমন সম্মিলনে মৃত্যুর কোনো ঝুঁকি নেই। তবে এটি ভালো খাদ্যাভ্যাস নয়।
একই প্রশ্নে রিয়াজ খান নামে আরেকজন পুষ্টিবিদ বলেন, ‘না। খাদ্যদ্রব্যের এমন সংমিশ্রণে মৃত্যু হওয়াটা অস্বাভাবিক।’ নরেন্দ্র বাবু নামে আরেকজন পুষ্টিবিদ বলেন, ‘খাদ্যের এমন সংমিশ্রণ মৃত্যু ঘটাতে পারে না। কিন্তু এটি আপনার শরীরকে প্রভাবিত করতে পারে এবং আপনার স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। তাই এমন কোনো অভ্যাস অনুসরণ না করাই ভালো।’
একই প্রশ্নের উত্তরে গীতাঞ্জলি আহুজা মেঙ্গি নামে আরেক পুষ্টিবিদ বলেন, ‘এই দাবিকে সমর্থন করে— এমন কোনো বৈজ্ঞানিক তথ্য বা গবেষণা নেই। কোনো খাদ্যই সাধারণত মৃত্যু ঘটাতে পারে না। যদি না তাতে বিষ থাকে বা কোনোভাবে বিষাক্ত হয়।’
নেটিজেনদের একই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে দেখা যায় প্রশ্নোত্তর বিষয়ক ওয়েবসাইট কৌরাতেও। এমন এক প্রশ্নের উত্তরে মিশকাত আনাম নামে এক ব্যক্তি জানান, তিনি একই সঙ্গে ২৫০–৫০০ মিলিমিটার কোকাকোলা এবং ৩–৪ কোষ কাঁঠাল খেয়েছেন। কিন্তু তাঁর শরীরে কোনো প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। তবে কিছুটা উদ্বেগ এবং বমিভাব অনুভব করেছেন। এর কারণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেছেন, এই সম্পর্কিত গুজব শোনার কারণে তাঁর এমনটা হয়ে থাকতে পারে।
এসব তথ্যের বাইরে দাবিটির সমর্থনে কোনো নির্ভরযোগ্য তথ্য–প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
বরং দেখা যায়, কেবল কাঁঠাল নয়, প্রায় একইরকম দাবি ইন্টারনেটে আরেকটি গ্রীষ্মকালীন ফল আমের ক্ষেত্রেও প্রচার করা হয়েছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ব্যাঙ্গালোর মিররে ২০১৭ সালে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ওই সময় সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি দাবি ছড়িয়ে পড়েছিল। যেখানে দাবি করা হয়, একজন ভারতীয় চীনে ঘুরতে গিয়ে আমের সঙ্গে কোকাকোলা পান করেছিলেন। ওই ব্যক্তি খুব অল্প সময়ের মধ্যেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। চিকিৎসকেরা তাঁর মৃত্যুর কারণ হিসেবে আমের সঙ্গে কোক পান করাকে দায়ী করেছেন। কারণ, আম ও কোক মিলে তীব্র বিষক্রিয়া তৈরি করতে পারে।
এই গল্পটি ২০১৫ সালে চীনে কাঁঠাল খেয়ে কোকাকোলা পানের পর মৃত্যুর ঘটনার গল্পটির সঙ্গে মিলে যায়।
ফল সম্পর্কে প্রচলিত ভুল নিয়ে আরও পড়ুন:
তবে ব্যাঙ্গালোর মিরর জানায়, আম খেয়ে কোকাকোলা পানের ফলে মৃত্যুর ঘটনার দাবির পক্ষে কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি এবং আম ও কোকাকোলার সম্মিলনে কোনো বিষক্রিয়া তৈরি হয় না।
দেখা যাচ্ছে, বিভিন্ন সময়েই কোকাকোলার সঙ্গে ভিন্ন ভিন্ন ফল জুড়ে দিয়ে ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়েছে যে, এসব ফলের সঙ্গে কোকাকোলা পান করলে বিষক্রিয়া হয়ে তাৎক্ষণিক মৃত্যু হতে পারে।
নির্ভরযোগ্য প্রমাণ না থাকা এবং এবং বিশেষজ্ঞদের মতামতের ভিত্তিতে ‘কাঁঠালের সঙ্গে কোকাকোলা পানে তিনটি সাপের কামড়ের সমান বিষক্রিয়া হতে পারে’—এমন দাবিকে আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগ ‘মিথ্যা তথ্য’ হিসেবে সাব্যস্ত করেছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম। তিনি জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদকও। সম্প্রতি সারজিস শিশু মডেল অভিনেত্রী সিমরিন লুবাবাকে ফেসবুকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছেন দাবিতে একটি ফটোকার্ড সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেপ্রযুক্তি জগতে নানা উদ্ভাবন দিয়ে সব সময়ই আলোচনায় থাকেন স্পেসএক্স, টেসলাসহ মাইক্রোব্লগিং সাইট এক্সের (সাবেক টুইটার) মালিক ইলন মাস্ক। সম্প্রতি তিনি আলোচনায় এসেছেন এক্সে ডিজনির এলজিবিটিকিউ সম্পর্কিত কনটেন্ট ব্লক করে দিয়েছেন এমন দাবিতে। গত মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) দিবাগত রাতে ফেসবুকে ‘মহিদুল আলম...
১ দিন আগেরাজধানীর সায়েন্স ল্যাব এলাকায় গত বুধবার দুপুরে সংঘর্ষে জড়ায় ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজের শিক্ষার্থীরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান পুলিশ ও সেনাসদস্যরা, দুই কলেজের শিক্ষার্থীদের সরিয়ে দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন তাঁরা। এ সময় পুলিশ কয়েক রাউন্ড টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেডও ছোড়ে।
১ দিন আগেসরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারকে ঘিরে গড়ে ওঠা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম নাম বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) শিক্ষার্থী মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধ। আন্দোলনের সময় গত ১৮ জুলাই রাজধানীর উত্তরার আজমপুরে সংঘর্ষ চলাকালে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান তিনি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল...
২ দিন আগে