ফ্যাক্টচেক ডেস্ক
বাংলাদেশিদের বহুল প্রত্যাশিত গন্তব্য ইতালি। প্রতিবছর অনেক বাংলাদেশি বৈধ ও অবৈধভাবে দেশটিতে প্রবেশের চেষ্টা করেন। এর মধ্যে কেউ কেউ কয়েক লাখ টাকা খরচ করেও সফল হন না; বিশেষ করে ভূমধ্যসাগর দিয়ে নৌকায় করে ইতালির উপকূলে পৌঁছাতে গিয়ে অনেকে প্রাণ হারান। ইতালি লটারির মাধ্যমে বিনা খরচে বাংলাদেশ থেকে ৪৫ হাজার লোক নেবে বলে সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি তথ্য ছড়িয়ে পড়েছে।
গত রোববার (৫ মে) ‘Bangladesh Education & Job News’ নামের ফেসবুক পেজ থেকে এমন একটি তথ্য পোস্ট করা হয়। আবেদনের জন্য একটি ওয়েবসাইটের লিংকও দেওয়া হয়েছে। পেজটি থেকে পোস্টটি ১ হাজার ৭০০-এর বেশি শেয়ার হয়েছে। পোস্টটিতে রিয়েকশন পড়েছে ১৪ হাজারের বেশি। কমেন্ট পড়েছে ২ হাজার ৩০০-এর বেশি। এসব কমেন্টে অনেক ফেসবুক ব্যবহারকারী আবেদনের সুযোগ সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন।
তথ্যটির সত্যতা যাচাইয়ে ফেসবুক পোস্টে সূত্র হিসেবে সংযুক্ত ওয়েবসাইট লিংকটিতে ঢুকে প্রাসঙ্গিক কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। পরে কি-ওয়ার্ড অনুসন্ধানে অনলাইন নিউজ পোর্টাল বিডি নিউজ ২৪ এ গত বছরের ৭ জুলাই ‘তিন বছরে সাড়ে ৪ লাখ শ্রমিক নেবে ইতালি’ শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন পাওয়া যায়। প্রতিবেদনটি থেকে জানা যায়, করোনা মহামারির ধকল কাটিয়ে উঠতে বিভিন্ন দেশ থেকে তিন বছরে সাড়ে চার লাখ শ্রমিক নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ইতালি সরকার। দেশটির মন্ত্রিপরিষদ থেকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এই তথ্যের সূত্রে পরবর্তী অনুসন্ধানে ইতালির সরকার অনুমোদিত প্রতিষ্ঠান ‘Arletti & Partners’ এর ওয়েবসাইটে এ-সম্পর্কিত ঘোষণাটি পাওয়া যায়। ঘোষণা অনুসারে, ২০২৩ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত তিন বছরে দেশটি ৪ লাখ ৫২ হাজার বিদেশি (নন-ইউরোপিয়ান) কর্মী প্রবেশের সুযোগ দেবে। বিদেশি কর্মী নেওয়ার এ সিদ্ধান্ত ২০২৩ সালের ৬ জুলাই দেশটির সরকার অনুমোদন দেয়। এ সিদ্ধান্ত অনুসারে, ২০২৩ সালে দেশটি ১ লাখ ৩৬ হাজার, ২০২৪ সালে ১ লাখ ৫১ হাজার এবং ২০২৫ সালে ১ লাখ ৬৫ হাজার কর্মী নেবে।
ইতালিতে বিদেশি কর্মী হিসেবে যাওয়ার আবেদন গ্রহণের দিনগুলোকে ‘ক্লিক ডে’ বলা হয়। ২০২৩ সালের ক্লিক ডে ছিল ২, ৪ এবং ১২ ডিসেম্বর। ২০২৪ সালের ক্লিক ডে ছিল ১৮, ২১ এবং ২৫ মার্চ।
অর্থাৎ ২০২৪ সালের জন্য ইতিমধ্যে দেশটিতে বিদেশি (নন-ইউরোপিয়ান) কর্মী হিসেবে প্রবেশের আবেদন করার সময় শেষ। যদিও এসব আবেদনে দেশটিতে যেতে ইচ্ছুক কোনো কর্মীর সরাসরি আবেদনের সুযোগ ছিল না। তাঁর পক্ষে কোনো নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠানকে অনলাইনে নির্দিষ্ট ফরম পূরণ করে আবেদন করতে হয়।
এ ক্ষেত্রে আবেদনকারী প্রতিষ্ঠানের নিয়মিত ট্যাক্স প্রদানের এবং গৃহমালিকদের নির্দিষ্ট অঙ্কের বার্ষিক আয় ও নিজের বাড়ি থাকতে হবে বা ভাড়া বাড়ির ক্ষেত্রে চুক্তি থাকতে হবে। এ ছাড়া ইতালীয় ডকুমেন্টধারী অভিবাসীরাও শ্রমিক আমদানি করতে পারবেন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বা গৃহকাজের জন্য।
এসব তথ্যের বাইরে দেশটিতে বাংলাদেশ থেকে লটারির মাধ্যমে বিনা মূল্যে ৪৫ হাজার লোক নেওয়ার ব্যাপারে নির্ভরযোগ্য সূত্রে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। পরে তথ্যটি সম্পর্কে অধিকতর নিশ্চিত হতে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের তথ্য প্রদানকারী কর্মকর্তা (উপসচিব) মো. আনোয়ার সাদাতের সঙ্গে যোগাযোগ করে আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগ।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ইতালিতে বিনা মূল্যে লটারিতে ৪৫ হাজার বাংলাদেশি লোক নিয়োগের ভাইরাল দাবিটি তাঁর দৃষ্টিগোচর করা হলে তিনি জানান, এ ব্যাপারে তাঁর কিছুই জানা নেই।
বাংলাদেশিদের বহুল প্রত্যাশিত গন্তব্য ইতালি। প্রতিবছর অনেক বাংলাদেশি বৈধ ও অবৈধভাবে দেশটিতে প্রবেশের চেষ্টা করেন। এর মধ্যে কেউ কেউ কয়েক লাখ টাকা খরচ করেও সফল হন না; বিশেষ করে ভূমধ্যসাগর দিয়ে নৌকায় করে ইতালির উপকূলে পৌঁছাতে গিয়ে অনেকে প্রাণ হারান। ইতালি লটারির মাধ্যমে বিনা খরচে বাংলাদেশ থেকে ৪৫ হাজার লোক নেবে বলে সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি তথ্য ছড়িয়ে পড়েছে।
গত রোববার (৫ মে) ‘Bangladesh Education & Job News’ নামের ফেসবুক পেজ থেকে এমন একটি তথ্য পোস্ট করা হয়। আবেদনের জন্য একটি ওয়েবসাইটের লিংকও দেওয়া হয়েছে। পেজটি থেকে পোস্টটি ১ হাজার ৭০০-এর বেশি শেয়ার হয়েছে। পোস্টটিতে রিয়েকশন পড়েছে ১৪ হাজারের বেশি। কমেন্ট পড়েছে ২ হাজার ৩০০-এর বেশি। এসব কমেন্টে অনেক ফেসবুক ব্যবহারকারী আবেদনের সুযোগ সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন।
তথ্যটির সত্যতা যাচাইয়ে ফেসবুক পোস্টে সূত্র হিসেবে সংযুক্ত ওয়েবসাইট লিংকটিতে ঢুকে প্রাসঙ্গিক কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। পরে কি-ওয়ার্ড অনুসন্ধানে অনলাইন নিউজ পোর্টাল বিডি নিউজ ২৪ এ গত বছরের ৭ জুলাই ‘তিন বছরে সাড়ে ৪ লাখ শ্রমিক নেবে ইতালি’ শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন পাওয়া যায়। প্রতিবেদনটি থেকে জানা যায়, করোনা মহামারির ধকল কাটিয়ে উঠতে বিভিন্ন দেশ থেকে তিন বছরে সাড়ে চার লাখ শ্রমিক নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ইতালি সরকার। দেশটির মন্ত্রিপরিষদ থেকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এই তথ্যের সূত্রে পরবর্তী অনুসন্ধানে ইতালির সরকার অনুমোদিত প্রতিষ্ঠান ‘Arletti & Partners’ এর ওয়েবসাইটে এ-সম্পর্কিত ঘোষণাটি পাওয়া যায়। ঘোষণা অনুসারে, ২০২৩ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত তিন বছরে দেশটি ৪ লাখ ৫২ হাজার বিদেশি (নন-ইউরোপিয়ান) কর্মী প্রবেশের সুযোগ দেবে। বিদেশি কর্মী নেওয়ার এ সিদ্ধান্ত ২০২৩ সালের ৬ জুলাই দেশটির সরকার অনুমোদন দেয়। এ সিদ্ধান্ত অনুসারে, ২০২৩ সালে দেশটি ১ লাখ ৩৬ হাজার, ২০২৪ সালে ১ লাখ ৫১ হাজার এবং ২০২৫ সালে ১ লাখ ৬৫ হাজার কর্মী নেবে।
ইতালিতে বিদেশি কর্মী হিসেবে যাওয়ার আবেদন গ্রহণের দিনগুলোকে ‘ক্লিক ডে’ বলা হয়। ২০২৩ সালের ক্লিক ডে ছিল ২, ৪ এবং ১২ ডিসেম্বর। ২০২৪ সালের ক্লিক ডে ছিল ১৮, ২১ এবং ২৫ মার্চ।
অর্থাৎ ২০২৪ সালের জন্য ইতিমধ্যে দেশটিতে বিদেশি (নন-ইউরোপিয়ান) কর্মী হিসেবে প্রবেশের আবেদন করার সময় শেষ। যদিও এসব আবেদনে দেশটিতে যেতে ইচ্ছুক কোনো কর্মীর সরাসরি আবেদনের সুযোগ ছিল না। তাঁর পক্ষে কোনো নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠানকে অনলাইনে নির্দিষ্ট ফরম পূরণ করে আবেদন করতে হয়।
এ ক্ষেত্রে আবেদনকারী প্রতিষ্ঠানের নিয়মিত ট্যাক্স প্রদানের এবং গৃহমালিকদের নির্দিষ্ট অঙ্কের বার্ষিক আয় ও নিজের বাড়ি থাকতে হবে বা ভাড়া বাড়ির ক্ষেত্রে চুক্তি থাকতে হবে। এ ছাড়া ইতালীয় ডকুমেন্টধারী অভিবাসীরাও শ্রমিক আমদানি করতে পারবেন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বা গৃহকাজের জন্য।
এসব তথ্যের বাইরে দেশটিতে বাংলাদেশ থেকে লটারির মাধ্যমে বিনা মূল্যে ৪৫ হাজার লোক নেওয়ার ব্যাপারে নির্ভরযোগ্য সূত্রে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। পরে তথ্যটি সম্পর্কে অধিকতর নিশ্চিত হতে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের তথ্য প্রদানকারী কর্মকর্তা (উপসচিব) মো. আনোয়ার সাদাতের সঙ্গে যোগাযোগ করে আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগ।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ইতালিতে বিনা মূল্যে লটারিতে ৪৫ হাজার বাংলাদেশি লোক নিয়োগের ভাইরাল দাবিটি তাঁর দৃষ্টিগোচর করা হলে তিনি জানান, এ ব্যাপারে তাঁর কিছুই জানা নেই।
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারকে ঘিরে গড়ে ওঠা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম নাম বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) শিক্ষার্থী মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধ। আন্দোলনের সময় গত ১৮ জুলাই রাজধানীর উত্তরার আজমপুরে সংঘর্ষ চলাকালে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান তিনি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল...
৪ ঘণ্টা আগেছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে। অভ্যুত্থানের মুখে দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেন ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর তিনদিন পর শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার শপথ নেয় ৮ আগস্ট। এরপর ১০০ দিন পার করেছে এই সরকার...
৯ ঘণ্টা আগেবর্তমানে দিল্লিতেই অবস্থান করছেন হাসিনা। ৫ আগস্ট ক্ষমতাচ্যুতির পর তিনি আর প্রকাশ্যে আসেননি। সম্প্রতি ফেসবুকে তাঁর ১৩ সেকেন্ডের একটি ভিডিও শেয়ার করে দাবি করা হচ্ছে, ভারতে তাঁর সাক্ষাৎকার নেওয়া হচ্ছে।
২ দিন আগেসম্প্রতি ভাইরাল হওয়া এমন একটি কল রেকর্ডে শেখ হাসিনার কণ্ঠে দাবি করা হয়, ‘চাকরির বয়স নিয়ে আন্দোলন করতে যমুনার সামনে গেল, সাথে সাথে গুলি করল। সেখানে একজন মারা গেল এবং পিটিয়ে উঠিয়ে দিল।’
২ দিন আগে