ফ্যাক্টচেক ডেস্ক
গাজায় হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধকে কেন্দ্র করে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পশ্চিমা পণ্য বর্জনের ক্যাম্পেইন চলছে বিগত কয়েক মাস ধরে। এসব পণ্যের মধ্যে অন্যতম কোমল পানীয় ব্র্যান্ড কোকাকোলা। সম্প্রতি ব্র্যান্ডটির ‘কোকাকোলা ক্লিয়ার’ নামে একটি সংস্করণের ছবি প্রচার করে দাবি করা হচ্ছে, বিশ্বজুড়ে বয়কটের মুখে ব্র্যান্ডটি বর্ণহীন পানীয় এনে নতুন রূপে আত্মপ্রকাশ করেছেন। গত ২২ মার্চ ‘বয়কট ইন্ডিয়ান প্রোডাক্টস’ নামের প্রায় ৭৭ হাজার সদস্যের একটি ফেসবুক গ্রুপে এমন দাবিতে করা একটি পোস্ট সবচেয়ে ভাইরাল হয়েছে।‘কোকাকোলা ক্লিয়ার’-এর ভাইরাল সংস্করণের ছবিটি প্রসঙ্গে কি-ওয়ার্ড অনুসন্ধানে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ম্যাগাজিন এস্কয়ারে ২০১৮ সালের ৬ জুন প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। ওই প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ওই বছরের ১১ জুন কোকাকোলা জাপানে কোকাকোলা ক্লিয়ার নামে নতুন একটি পানীয় আনার ঘোষণা দেয়। পানীয়টি হবে কোকাকোলার প্রচলিত ক্যারামেল উপাদানের বাইরে লেবুর স্বাদ যুক্ত জিরো ক্যালোরিবিশিষ্ট।
প্রতিবেদনটি থেকে আরও জানা যায়, এটি কেবল জাপানেই আনার পরিকল্পনা ছিল কোম্পানিটির।পরে আরও খুঁজে জাপানি সংবাদ মাধ্যম জাপান টুডেতে একই বছরের ১০ জুন প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে কোকাকোলা ক্লিয়ার সম্পর্কে বলা হয়, ওই সময়েই কোকাকোলা জাপানের বাজারে কোমল পানীয়ের এই সংস্করণ আনে। এটি কোকাকোলার প্রচলিত রং ও স্বাদ থেকে ভিন্ন ধরনের। জাপানের বাইরে এই সংস্করণ পাওয়া যাবে কি না তা নিয়ে কোকাকোলা কোনো সিদ্ধান্ত জানায়নি।
হংকংভিত্তিক ইংরেজি ভাষার সংবাদপত্র সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টে ২০১৮ সালের ৬ জুন প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকেও একই তথ্য পাওয়া যায়।
অর্থাৎ কোকাকোলা ক্লিয়ার সংস্করণটি বিশ্বজুড়ে বয়কট আন্দোলনের মুখে নতুন করে বাজারে আনা হয়নি। পণ্যটি ২০১৮ সাল থেকেই জাপানের বাজারে বিদ্যমান।
‘কোকাকোলা ক্লিয়ার’ এই সংস্করণ কী বাংলাদেশে পাওয়া যায়?
কোকাকোলা বাংলাদেশের ওয়েবসাইট সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশে কোকাকোলার তিনটি সংস্করণ পাওয়া যায়। এগুলো হলো সাধারণ কোকাকোলা, কোকাকোলা জিরো সুগার এবং ডায়েট কোক। অর্থাৎ কোকাকোলা ক্লিয়ারের সংস্করণটি বাংলাদেশে পাওয়া যায় না।
প্রসঙ্গত, ইতিপূর্বে কোকাকোলা বয়কটকে কেন্দ্র করে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারিত একই ভুল তথ্য ছড়িয়ে পড়তে দেখেছে আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগ। যা পরে অনুসন্ধানে মিথ্যা হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।
এমন কিছু প্রতিবেদন পড়ুন:
গাজায় হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধকে কেন্দ্র করে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পশ্চিমা পণ্য বর্জনের ক্যাম্পেইন চলছে বিগত কয়েক মাস ধরে। এসব পণ্যের মধ্যে অন্যতম কোমল পানীয় ব্র্যান্ড কোকাকোলা। সম্প্রতি ব্র্যান্ডটির ‘কোকাকোলা ক্লিয়ার’ নামে একটি সংস্করণের ছবি প্রচার করে দাবি করা হচ্ছে, বিশ্বজুড়ে বয়কটের মুখে ব্র্যান্ডটি বর্ণহীন পানীয় এনে নতুন রূপে আত্মপ্রকাশ করেছেন। গত ২২ মার্চ ‘বয়কট ইন্ডিয়ান প্রোডাক্টস’ নামের প্রায় ৭৭ হাজার সদস্যের একটি ফেসবুক গ্রুপে এমন দাবিতে করা একটি পোস্ট সবচেয়ে ভাইরাল হয়েছে।‘কোকাকোলা ক্লিয়ার’-এর ভাইরাল সংস্করণের ছবিটি প্রসঙ্গে কি-ওয়ার্ড অনুসন্ধানে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ম্যাগাজিন এস্কয়ারে ২০১৮ সালের ৬ জুন প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। ওই প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ওই বছরের ১১ জুন কোকাকোলা জাপানে কোকাকোলা ক্লিয়ার নামে নতুন একটি পানীয় আনার ঘোষণা দেয়। পানীয়টি হবে কোকাকোলার প্রচলিত ক্যারামেল উপাদানের বাইরে লেবুর স্বাদ যুক্ত জিরো ক্যালোরিবিশিষ্ট।
প্রতিবেদনটি থেকে আরও জানা যায়, এটি কেবল জাপানেই আনার পরিকল্পনা ছিল কোম্পানিটির।পরে আরও খুঁজে জাপানি সংবাদ মাধ্যম জাপান টুডেতে একই বছরের ১০ জুন প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে কোকাকোলা ক্লিয়ার সম্পর্কে বলা হয়, ওই সময়েই কোকাকোলা জাপানের বাজারে কোমল পানীয়ের এই সংস্করণ আনে। এটি কোকাকোলার প্রচলিত রং ও স্বাদ থেকে ভিন্ন ধরনের। জাপানের বাইরে এই সংস্করণ পাওয়া যাবে কি না তা নিয়ে কোকাকোলা কোনো সিদ্ধান্ত জানায়নি।
হংকংভিত্তিক ইংরেজি ভাষার সংবাদপত্র সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টে ২০১৮ সালের ৬ জুন প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকেও একই তথ্য পাওয়া যায়।
অর্থাৎ কোকাকোলা ক্লিয়ার সংস্করণটি বিশ্বজুড়ে বয়কট আন্দোলনের মুখে নতুন করে বাজারে আনা হয়নি। পণ্যটি ২০১৮ সাল থেকেই জাপানের বাজারে বিদ্যমান।
‘কোকাকোলা ক্লিয়ার’ এই সংস্করণ কী বাংলাদেশে পাওয়া যায়?
কোকাকোলা বাংলাদেশের ওয়েবসাইট সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশে কোকাকোলার তিনটি সংস্করণ পাওয়া যায়। এগুলো হলো সাধারণ কোকাকোলা, কোকাকোলা জিরো সুগার এবং ডায়েট কোক। অর্থাৎ কোকাকোলা ক্লিয়ারের সংস্করণটি বাংলাদেশে পাওয়া যায় না।
প্রসঙ্গত, ইতিপূর্বে কোকাকোলা বয়কটকে কেন্দ্র করে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারিত একই ভুল তথ্য ছড়িয়ে পড়তে দেখেছে আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগ। যা পরে অনুসন্ধানে মিথ্যা হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।
এমন কিছু প্রতিবেদন পড়ুন:
পরীক্ষার আগে অভিভাবকেরা সাধারণত ডিম খেতে নিষেধ করেন। এটি বহু দিন ধরে প্রচলিত একটি ধারণা। ধারণা করা হয়, পরীক্ষার আগে ডিম খেলে মাথা গুলিয়ে যাবে, কেউ কেউ আবার ডিমের আকারের সঙ্গে পরীক্ষার নম্বরের সম্পর্ক আছে মনে করেন! এ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতেও বিভিন্ন সময় পোস্ট হতে দেখা গেছে।
৩ ঘণ্টা আগেশেখ হাসিনার পক্ষে শিক্ষার্থীরা স্লোগান দিচ্ছে—এমন দাবিতে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওটির ক্যাপশনে লেখা, ‘ইউনুস তুই তওবা কর, শেখ হাসিনার পায়ে ধর. . শেখ হাসিনা বীরের বেশে আসবে ফিরে বাংলাদেশে জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু’।
১১ ঘণ্টা আগেসম্প্রতি শেখ হাসিনার ফাঁস হওয়া একটি অডিও কল নিয়ে একাধিক গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে, যেখানে আজ শনিবার আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে হরতাল পালন করতে বলা হয়েছে। সেসঙ্গে প্রত্যেক এলাকায় মিছিল-মিটিংয়ের আয়োজনের কথা বলতে শোনা যায়। তবে শেখ হাসিনার পরিবার কিংবা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে হরতালের বিষয়ে এখনও কিছু
১৭ ঘণ্টা আগেএকটি কার্ডে ‘সেইফ এক্সিট চেয়ে দেশ ছাড়তে চান ড. ইউনুস, পাইলস জনিত রোগ তীব্র আকার ধারন’ এবং আরেকটিতে ‘পাইলস জনিত রোগে উন্নত চিকিৎসায় আগামী সপ্তাহে ফ্রান্সে যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা’—এমন লেখা রয়েছে। পরের কার্ডে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলমের বরাত দেওয়া হয়েছে।
৩ দিন আগে