ফ্যাক্টচেক ডেস্ক
ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে গত আগস্টে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে। অভ্যুত্থানের মুখে দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেন ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা। দেশটির সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, বর্তমানে দিল্লিতেই অবস্থান করছেন হাসিনা। ৫ আগস্ট ক্ষমতাচ্যুতির পর তিনি আর প্রকাশ্যে আসেননি।
তবে ইতিমধ্যে লিখিত আকারে তাঁর কিছু বক্তব্য আওয়ামী লীগের ভেরিফায়েড সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টগুলোতে প্রচার হয়েছে। যদিও কদিন পর পরই সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোচনায় আসছে শেখ হাসিনার কণ্ঠ সদৃশ কিছু অডিও কল রেকর্ড। ‘কথিত’ এসব কল রেকর্ডে শেখ হাসিনাকে দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে দেশের নানা বিষয় নিয়ে কথা বলতে শোনা যায়।
সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া এমন একটি কল রেকর্ডে শেখ হাসিনার কণ্ঠে দাবি করা হয়, ‘চাকরির বয়স নিয়ে আন্দোলন করতে যমুনার সামনে গেল, সাথে সাথে গুলি করল। সেখানে একজন মারা গেল এবং পিটিয়ে উঠিয়ে দিল।’
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, গত রোববার (১৮ নভেম্বর) এমন দাবি সম্পর্কিত শেখ হাসিনার হুবহু কণ্ঠে ‘কথিত’ নতুন একটি ফোনালাপ ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। এই ফোনালাপে শেখ হাসিনার কণ্ঠের মতো একজন দলীয় নেতা–কর্মীদের বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ দেন। ফোনালাপটি ডেনমার্ক আওয়ামী লীগের একটি প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে ধারণ করা বলে দাবি করা হচ্ছে।
আন্দোলনকারীদের কেউ কি গুলিতে মারা গেছেন?
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, সরকারি চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ বছর করার দাবিতে গত ৩০ সেপ্টেম্বর একদল আন্দোলনকারী অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে অবস্থান নেন। এ সময় তাঁদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি, লাঠিচার্জ ও টিয়ারশেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে দেখা যায়, চাকরির বয়সসীমা বৃদ্ধির দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে অবস্থান নেওয়া আন্দোলনকারীদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জ ও টিয়ারশেল নিক্ষেপের ঘটনায় কোনো প্রাণহানি ঘটেনি। তবে বেশ কয়েকজন আন্দোলনকারী আহত হয়েছেন।
এ ঘটনায় গত ১ অক্টোবর ‘শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভে লাঠিচার্জ টিয়ারশেল বহু আহত তীব্র যানজট’ শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে দৈনিক যুগান্তর লিখেছে, চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ বছর করার দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি, লাঠিচার্জ ও টিয়ারশেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। দুপুরে মিছিল নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় ও বাসভবন যমুনার সামনে অবস্থান নিতে গেলে এ ঘটনা ঘটে। ওইদিন দুপুর সোয়া ১টার দিকে তাঁরা মিছিল নিয়ে যমুনার সামনে অবস্থান নিতে যান। আন্দোলনকারীরা ব্যারিকেড সরিয়ে সামনে যেতে চাইলে পুলিশ লাঠিচার্জ শুরু করে এবং টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। এতে নারীসহ বেশ কয়েকজন আন্দোলনকারী আহত হন।
এক আন্দোলনকারীর বরাত দিয়ে যুগান্তর লিখেছে, ‘চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা বৃদ্ধির দাবি নতুন নয়। আমরা এখানে ৩৫–এর দাবি নিয়ে এসেছি। শাহবাগ থেকে এখানে আসার পথে পুলিশ বিভিন্ন স্থানে আমাদের বাধা দিয়েছে। একপর্যায়ে তারা আমাদের লাঠিচার্জ ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে অনেককে আহত করেছে।’
দৈনিক প্রথম আলো ৩০ সেপ্টেম্বরে প্রকাশিত প্রতিবেদনে লিখেছে, চাকরির বয়সসীমা নিয়ে আন্দোলনকারীরা প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে এলে পুলিশ সড়কে প্রতিবন্ধক (ব্যারিকেড) তৈরি করে তাঁদের আটকে দেয়। তখন আন্দোলনকারীরা বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। একপর্যায়ে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ কয়েকটি কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে। এরপরও আন্দোলনকারীরা সেখানেই অবস্থান নিয়ে থাকেন। তাঁরা রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত সেখানে অবস্থান নিয়ে ছিলেন।
দৈনিক সমকাল একইদিনে প্রকাশিত প্রতিবেদনে লিখেছে, সরকারি চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ বছর করার দাবিতে আন্দোলনকারী চাকরিপ্রত্যাশীরা প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে অবস্থান নিলে পুলিশ তাঁদের ওপর টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। এ সময় পুলিশকে কয়েক দফা টিয়ারশেল নিক্ষেপ করতে দেখা গেছে বলে সমকাল জানিয়েছে।
যুগান্তর, প্রথম আলো ও সমকালের এসব প্রতিবেদনে কারও নিহত হওয়ার তথ্য পাওয়া যায়নি।
ওই দিন যমুনায় অবস্থান নেওয়া দেলোয়ার হোসেন সম্রাট নামের এক আন্দোলনকারী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শাহবাগ থেকে মিছিল নিয়ে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে যমুনার সামনে আসি। আসার পরপরই পুলিশ কয়েকটি টিয়ারশেল মারে। এতে আমাদের কয়েকজন আহতও হয়েছে। তারপর থেকে আমরা শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান করে আন্দোলন করছি।’
বেসরকারি সম্প্রচার মাধ্যম এনটিভির একটি ভিডিও প্রতিবেদনে এক আন্দোলনকারী যমুনার সামনে তাঁদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জ ও টিয়ারশেল নিক্ষেপের বিষয়টি জানান। কিন্তু তাঁর বক্তব্যেও কোনো প্রাণহানির কথা নেই।
দাবিটি সম্পর্কে আরও অনুসন্ধানে দেখা যায়, এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে তখনই ফেসবুকে বিভিন্ন সংখ্যক আন্দোলনকারী নিহতের দাবি ছড়িয়ে পড়েছিল।
ফ্যাক্টচেকিং প্রতিষ্ঠান রিউমর স্ক্যানার গত ২ অক্টোবর নিহতের এসব দাবি নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। প্রকাশিত প্রতিবেদনটি থেকে জানা যায়, যমুনার সামনে আন্দোলনকারীদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জ ও টিয়ারশেল নিক্ষেপের ঘটনায় বিভিন্ন সংখ্যক নিহতের দাবি ফেসবুকে ছড়িয়েছিল। এ দাবির মধ্যে আছে ১ জন, ৪ জন, ৮ জন, ৯ জন, ১০ জন, ১৫ জন এমন কি ১৭৩ জন—এমন সংখ্যাও। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন আন্দোলনকারী আহত হলেও কেউ নিহত হননি বরং কোনো তথ্য প্রমাণ ছাড়াই আলোচিত দাবিটি ওই সময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছিল।
সুতরাং, শেখ হাসিনার হুবহু কণ্ঠে ‘কথিত’ ফোনালাপে চাকরির বয়স নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে আন্দোলনে গুলিতে একজন নিহতের দাবিটি সঠিক নয়।
প্রসঙ্গত, একই কল রেকর্ডে এক পুরুষ কণ্ঠে দাবি করা হয়, সম্প্রতি পাকিস্তান থেকে আসা জাহাজের কনটেইনার তল্লাশি করতে চাওয়ায় দুই কাস্টমস কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।
আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগের অনুসন্ধানে দাবিটির কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি।
ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে গত আগস্টে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে। অভ্যুত্থানের মুখে দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেন ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা। দেশটির সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, বর্তমানে দিল্লিতেই অবস্থান করছেন হাসিনা। ৫ আগস্ট ক্ষমতাচ্যুতির পর তিনি আর প্রকাশ্যে আসেননি।
তবে ইতিমধ্যে লিখিত আকারে তাঁর কিছু বক্তব্য আওয়ামী লীগের ভেরিফায়েড সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টগুলোতে প্রচার হয়েছে। যদিও কদিন পর পরই সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোচনায় আসছে শেখ হাসিনার কণ্ঠ সদৃশ কিছু অডিও কল রেকর্ড। ‘কথিত’ এসব কল রেকর্ডে শেখ হাসিনাকে দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে দেশের নানা বিষয় নিয়ে কথা বলতে শোনা যায়।
সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া এমন একটি কল রেকর্ডে শেখ হাসিনার কণ্ঠে দাবি করা হয়, ‘চাকরির বয়স নিয়ে আন্দোলন করতে যমুনার সামনে গেল, সাথে সাথে গুলি করল। সেখানে একজন মারা গেল এবং পিটিয়ে উঠিয়ে দিল।’
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, গত রোববার (১৮ নভেম্বর) এমন দাবি সম্পর্কিত শেখ হাসিনার হুবহু কণ্ঠে ‘কথিত’ নতুন একটি ফোনালাপ ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। এই ফোনালাপে শেখ হাসিনার কণ্ঠের মতো একজন দলীয় নেতা–কর্মীদের বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ দেন। ফোনালাপটি ডেনমার্ক আওয়ামী লীগের একটি প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে ধারণ করা বলে দাবি করা হচ্ছে।
আন্দোলনকারীদের কেউ কি গুলিতে মারা গেছেন?
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, সরকারি চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ বছর করার দাবিতে গত ৩০ সেপ্টেম্বর একদল আন্দোলনকারী অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে অবস্থান নেন। এ সময় তাঁদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি, লাঠিচার্জ ও টিয়ারশেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে দেখা যায়, চাকরির বয়সসীমা বৃদ্ধির দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে অবস্থান নেওয়া আন্দোলনকারীদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জ ও টিয়ারশেল নিক্ষেপের ঘটনায় কোনো প্রাণহানি ঘটেনি। তবে বেশ কয়েকজন আন্দোলনকারী আহত হয়েছেন।
এ ঘটনায় গত ১ অক্টোবর ‘শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভে লাঠিচার্জ টিয়ারশেল বহু আহত তীব্র যানজট’ শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে দৈনিক যুগান্তর লিখেছে, চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ বছর করার দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি, লাঠিচার্জ ও টিয়ারশেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। দুপুরে মিছিল নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় ও বাসভবন যমুনার সামনে অবস্থান নিতে গেলে এ ঘটনা ঘটে। ওইদিন দুপুর সোয়া ১টার দিকে তাঁরা মিছিল নিয়ে যমুনার সামনে অবস্থান নিতে যান। আন্দোলনকারীরা ব্যারিকেড সরিয়ে সামনে যেতে চাইলে পুলিশ লাঠিচার্জ শুরু করে এবং টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। এতে নারীসহ বেশ কয়েকজন আন্দোলনকারী আহত হন।
এক আন্দোলনকারীর বরাত দিয়ে যুগান্তর লিখেছে, ‘চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা বৃদ্ধির দাবি নতুন নয়। আমরা এখানে ৩৫–এর দাবি নিয়ে এসেছি। শাহবাগ থেকে এখানে আসার পথে পুলিশ বিভিন্ন স্থানে আমাদের বাধা দিয়েছে। একপর্যায়ে তারা আমাদের লাঠিচার্জ ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে অনেককে আহত করেছে।’
দৈনিক প্রথম আলো ৩০ সেপ্টেম্বরে প্রকাশিত প্রতিবেদনে লিখেছে, চাকরির বয়সসীমা নিয়ে আন্দোলনকারীরা প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে এলে পুলিশ সড়কে প্রতিবন্ধক (ব্যারিকেড) তৈরি করে তাঁদের আটকে দেয়। তখন আন্দোলনকারীরা বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। একপর্যায়ে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ কয়েকটি কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে। এরপরও আন্দোলনকারীরা সেখানেই অবস্থান নিয়ে থাকেন। তাঁরা রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত সেখানে অবস্থান নিয়ে ছিলেন।
দৈনিক সমকাল একইদিনে প্রকাশিত প্রতিবেদনে লিখেছে, সরকারি চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ বছর করার দাবিতে আন্দোলনকারী চাকরিপ্রত্যাশীরা প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে অবস্থান নিলে পুলিশ তাঁদের ওপর টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। এ সময় পুলিশকে কয়েক দফা টিয়ারশেল নিক্ষেপ করতে দেখা গেছে বলে সমকাল জানিয়েছে।
যুগান্তর, প্রথম আলো ও সমকালের এসব প্রতিবেদনে কারও নিহত হওয়ার তথ্য পাওয়া যায়নি।
ওই দিন যমুনায় অবস্থান নেওয়া দেলোয়ার হোসেন সম্রাট নামের এক আন্দোলনকারী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শাহবাগ থেকে মিছিল নিয়ে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে যমুনার সামনে আসি। আসার পরপরই পুলিশ কয়েকটি টিয়ারশেল মারে। এতে আমাদের কয়েকজন আহতও হয়েছে। তারপর থেকে আমরা শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান করে আন্দোলন করছি।’
বেসরকারি সম্প্রচার মাধ্যম এনটিভির একটি ভিডিও প্রতিবেদনে এক আন্দোলনকারী যমুনার সামনে তাঁদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জ ও টিয়ারশেল নিক্ষেপের বিষয়টি জানান। কিন্তু তাঁর বক্তব্যেও কোনো প্রাণহানির কথা নেই।
দাবিটি সম্পর্কে আরও অনুসন্ধানে দেখা যায়, এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে তখনই ফেসবুকে বিভিন্ন সংখ্যক আন্দোলনকারী নিহতের দাবি ছড়িয়ে পড়েছিল।
ফ্যাক্টচেকিং প্রতিষ্ঠান রিউমর স্ক্যানার গত ২ অক্টোবর নিহতের এসব দাবি নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। প্রকাশিত প্রতিবেদনটি থেকে জানা যায়, যমুনার সামনে আন্দোলনকারীদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জ ও টিয়ারশেল নিক্ষেপের ঘটনায় বিভিন্ন সংখ্যক নিহতের দাবি ফেসবুকে ছড়িয়েছিল। এ দাবির মধ্যে আছে ১ জন, ৪ জন, ৮ জন, ৯ জন, ১০ জন, ১৫ জন এমন কি ১৭৩ জন—এমন সংখ্যাও। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন আন্দোলনকারী আহত হলেও কেউ নিহত হননি বরং কোনো তথ্য প্রমাণ ছাড়াই আলোচিত দাবিটি ওই সময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছিল।
সুতরাং, শেখ হাসিনার হুবহু কণ্ঠে ‘কথিত’ ফোনালাপে চাকরির বয়স নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে আন্দোলনে গুলিতে একজন নিহতের দাবিটি সঠিক নয়।
প্রসঙ্গত, একই কল রেকর্ডে এক পুরুষ কণ্ঠে দাবি করা হয়, সম্প্রতি পাকিস্তান থেকে আসা জাহাজের কনটেইনার তল্লাশি করতে চাওয়ায় দুই কাস্টমস কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।
আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগের অনুসন্ধানে দাবিটির কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি।
সম্প্রতি শেখ হাসিনার ফাঁস হওয়া একটি অডিও কল নিয়ে একাধিক গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে, যেখানে আজ শনিবার আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে হরতাল পালন করতে বলা হয়েছে। সেসঙ্গে প্রত্যেক এলাকায় মিছিল-মিটিংয়ের আয়োজনের কথা বলতে শোনা যায়। তবে শেখ হাসিনার পরিবার কিংবা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে হরতালের বিষয়ে এখনও কিছু
২০ মিনিট আগেএকটি কার্ডে ‘সেইফ এক্সিট চেয়ে দেশ ছাড়তে চান ড. ইউনুস, পাইলস জনিত রোগ তীব্র আকার ধারন’ এবং আরেকটিতে ‘পাইলস জনিত রোগে উন্নত চিকিৎসায় আগামী সপ্তাহে ফ্রান্সে যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা’—এমন লেখা রয়েছে। পরের কার্ডে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলমের বরাত দেওয়া হয়েছে।
২ দিন আগেশেখ হাসিনা ভারতে প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে এসেছেন, এমন দাবিতে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওটির ক্যাপশনে লেখা আছে, ‘ভারতে প্রথমবার প্রকাশ্যে বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা।’
৩ দিন আগেড. মুহাম্মদ ইউনূসের কিছু লোক মানুষকে নির্যাতন করছে— এই দাবিতে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। পোস্টের ক্যাপশনে লেখা, ‘ডঃ ইউনূস ক্ষমতা দখলের পর বাংলাদেশ একটি ভয়ঙ্কর রাষ্ট্রে পরিণত হয়। সে ও তার গুন্ডা দল জনগণকে নির্যাতন করছে। (বাংলায় অনুদিত) ’ ভিডিওতে একজন ব্যক্তিকে কয়েকজন মিলে মারধর করতে দেখ
৪ দিন আগে