মেয়েদের অন্তর্বাস পরে নৃত্যরত ব্যক্তিটি নীলফামারীর জামায়াত নেতা নন

ফ্যাক্টচেক ডেস্ক
আপডেট : ০২ অক্টোবর ২০২৪, ০৮: ৫৯
Thumbnail image

সাবেক আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে গত ১ আগস্ট জামায়াত–শিবিরকে নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল তৎকালীন সরকার। ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকেই রাজনীতির মাঠে সরব জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবির। গত ২৮ আগস্ট দলটির এ নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। ছাত্র–জনতার এই অভ্যুত্থানকে অনেকেই বাংলাদেশের ‘দ্বিতীয় স্বাধীনতা’ হিসেবে উল্লেখ করছেন। সম্প্রতি জামায়াতে ইসলামীর নীলফামারী সদর উপজেলার এক নেতা নারীদের অন্তর্বাস পরে নেচে এই স্বাধীনতা উদ্‌যাপন করছেন দাবিতে ফেসবুকে একটি ভাইরাল হয়েছে। 

২৬ সেকেন্ডের ভাইরাল ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে, দাড়ি বিশিষ্ট এক ব্যক্তি পানামার র‍্যাপার লর্নার গাওয়া ‘পাপি চলো’ গানের তালে নাচছেন। তাঁর গায়ে সাদা হাফ হাতা গেঞ্জি এবং নারীদের অন্তর্বাস (ব্রা) পরা। 

গত বুধবার (২৩ সেপ্টেম্বর) নাইমুর রহমান নামে একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে ভিডিওটি পোস্ট করা হয়। পোস্টটি আজ মঙ্গলবার রাত ৮টা পর্যন্ত প্রায় ৪০০ শেয়ার হয়েছে, রিয়েকশন পড়েছে ছয় শতাধিক। ভিডিওটি দেখা হয়েছে ৯৩ হাজার বার। মাহাথির চৌধুরী নামে আরেকটি অ্যাকাউন্ট থেকে একই দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটি দেখা হয়েছে ৭৫ হাজার বার। 

ভিডিওটির কিছু কি–ফ্রেম নিয়ে রিভার্স ইমেজ সার্চে ইউটিউবে ‘ওয়াকাস সনু (Waqas Sonu)’ নামের একটি চ্যানেলে হুবহু ফুটেজ পাওয়া যায়। চ্যানেলে ভিডিওটি ২০২০ সালের ২৯ এপ্রিল পোস্ট করা হয়েছে। ভিডিওটিতে একই ব্যক্তিকে ‘পাপি চলো’ গানের তালে নাচতে দেখা যায়। সুতরাং ভিডিওটি বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ছাত্র–জনতার গণ–অভ্যুত্থানের প্রায় ৪ বছর আগে থেকেই ইন্টারনেটে বিদ্যমান। 

গেঞ্জির ওপর অন্তর্বাস পরে নাচছেন নীলফামারীর জামায়াত নেতা, ভিডিওটি বাংলাদেশের নয়। ছবি: ইউটিউব ভিডিওটির বিস্তারিত বিবরণে পাকিস্তানের লাহোরের কথা উল্লেখ করা হয়েছে এবং নৃত্যরত ব্যক্তিটির নাম বলা হয়েছে মৌলভি শেহবাজ। তিনি মজা করে ‘পাপি চলো’ গানের সঙ্গে নাচেন। চ্যানেলটিতে একই ব্যক্তির আরও বেশ কিছু ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। 

এসব ভিডিওতে ওই ব্যক্তিকে গ্যাংনাম স্টাইল, লুঙ্গি ড্যান্সসহ জনপ্রিয় বেশ কিছু গানের তালে নাচতে দেখা যায়। প্রতিটিতে ভিডিওটিতেই তাঁকে মৌলভি শেহবাজ নামে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়েছে। এসব ভিডিওর সঙ্গে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কোনো সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি। 

সুতরাং, নীলফামারী সদর উপজেলার জামায়াতে ইসলামীর এক নেতার নাচের দাবিতে ভাইরাল ভিডিওটি বাংলাদেশের কোনো ব্যক্তির নয়।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, সংবাদমাধ্যম বা যেকোনো মাধ্যমে প্রচারিত কোনো ছবি, ভিডিও বা তথ্য বিভ্রান্তিকর মনে হলে তার স্ক্রিনশট বা লিংক কিংবা সে সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য আমাদের ই-মেইল করুন। আমাদের ই-মেইল ঠিকানা [email protected]
Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত