সাহস মোস্তাফিজ
এমএসটি ফাতেমা আক্তার নামের ফেসবুক পেজটি আজকের দিন শুরু করেছে ‘শুভ সকাল’ পোস্ট দিয়ে। পেজটির কথা মনে আছে তো আপনাদের? মনে না থাকলে একটু সময় নিয়ে পড়ে আসুন গত ১৪ আগস্ট আজকের পত্রিকা ফ্যাক্টচেক বিভাগে প্রকাশিত ‘পুরোনো ভিডিও লাইভ করে পরীমণি ও অপুকে নিয়ে বিভ্রান্তিকর প্রচার’ শিরোনামের প্রতিবেদনটি।
ফেসবুকে আজকাল পেজ বা গ্রুপ খুলে নানা বিষয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর প্রবণতা দেখা যায়। বিভিন্ন ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান, সংগঠন ও এর সমর্থক নাম নিয়ে খোলা এসব পেজ বা গ্রুপে দেখা যায় বিকৃত তথ্য, ভুয়া ভিডিও, ভুয়া ছবি।
বিভ্রান্তি ছড়ানোর কৌশল হিসেবে সম্প্রতি পুরোনো ভিডিও লাইভ মোডে প্রচারের হার বেড়েছে। সাম্প্রতিক কোনো আলোচিত ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুরোনো ভিডিওগুলো সফটওয়্যার বা অ্যাপ ব্যবহার করে লাইভ প্রচার করা হয়।
ক্যাপশনে ‘লাইভ’ শব্দটি দেখলে বা লাইভের নোটিফিকেশন পেলে সাধারণ দর্শক ধরে নেন সেটি সরাসরিই প্রচার করা হচ্ছে। কিন্তু সাধারণ স্ট্রিমিং সফটওয়্যার দিয়েই ঘরে বসে পুরোনো ভিডিও ফেসবুক বা ইউটিউবে লাইভ দেখানো সম্ভব।
শুরুতেই যে পেজের কথা বলছিলাম, সেটি ছিল এমনই একটি পেজ। গত ৩ আগস্ট পেজটি খোলা হয়। ১৪ আগস্ট আজকের পত্রিকা ফ্যাক্টচেক বিভাগ ওই পেজের বিতর্কিত কর্মকাণ্ড নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে। প্রতিদিন একাধিক পুরোনো ভিডিও লাইভ মোডে প্রচার করে পেজটি থেকে বিভ্রান্তি ছড়ানো হতো। মাত্র ১১ দিনে পেজটির ফলোয়ার সংখ্যা সাড়ে ৩ লাখে পৌঁছে যায়।
‘জুমার নামাজ শেষে পরি মনির সব গোমর ফাঁস করলেন মিশা সওদাগর ও মৌসুমি’, ‘এফডিসিতে পরি মনি ও মৌসুমিকে হয়রানির প্রতিবাদে মিশাকে যা বললেন ওমর সানি লাইভ ভিডিও দেখুন’, ‘জন্মদিনে বন্ধুদের মুখে কেক মাখালেন পরীমনি দুষ্টুমি করে দেখুন ভিডিও’, ‘আবারও বোরকা পড়ে ছেলে কে নিয়ে শাকিব খানের হসপিটালে অপু বিশ্বাস!’ ‘পরি মনি কে নিয়ে এইবার মুখ খুললেন নায়িকা মৌসুমী!’—এ রকম শিরোনাম দিয়ে ভিন্ন প্রসঙ্গের পুরোনো ভিডিও লাইভ মোডে প্রচার করতে দেখা যেত পেজটিতে। একেকটি ভিডিওতে কয়েক লাখ রিঅ্যাকশন পড়তে দেখা যেত। কোনো কোনো ভিডিওতে মন্তব্য পড়ত ১০ হাজারের বেশি।
পেজটিতে আজ সকালে ঢুকে দেখা গেল ভিন্ন চিত্র। মুছে ফেলা হয়েছে বিতর্কিত সব ভিডিও। অ্যাবাউট সেকশনে আগে লেখা ছিল—‘ভাইরাল ভিডিও দেখতে এই পেজে চোখ রাখুন।’ এখন সেখানে লেখা ‘আসসালামু আলাইকুম, স্বাগতম।’
পেজটি ঘুরে দেখা গেল, ১১ আগস্টের আগে করা সব পোস্ট মুছে ফেলা হয়েছে। অনলাইনে মেক-আপ সামগ্রী ও পোশাক বিক্রি-সংক্রান্ত কিছু পোস্ট চোখে পড়ছে। মন্তব্যের ঘরে দরদাম নিয়েও হাঁকডাক চোখে পড়ল। অবশ্য নির্দিষ্ট কোনো পণ্য বা ব্র্যান্ডের কেনাবেচা হচ্ছে না এতে।
পেজে ইনবক্স করে জানতে চাইলাম, এই পেজ থেকে মেক-আপ সামগ্রীর অর্ডার নেওয়া হয় কি না। উত্তরও এল দ্রুতই।
এ ধরনের পেজ কে বা কারা চালায়, সেটি ফ্যাক্টচেকের কোনো টুল ব্যবহার করে বের করা সম্ভব হয়নি। তবে সাইবার অপরাধ তদন্ত বিভাগ নিশ্চয়ই বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করছে। যেখানে অপরাধ আছে, সেখানে নিয়ন্ত্রণটাই জরুরি। পাশাপাশি নতুন করে যেন অপরাধী না বাড়ে, সেই উদ্যোগ নেওয়াটাও জরুরি।
ফেসবুকে সাড়ে ৪ লাখ মানুষ যে পেজ ফলো করেন, সেই পেজে যদি কোনো ভুয়া তথ্য ছড়ায়, তাহলে তার মাত্রা কত ব্যাপক হয়, তা পেজটি মাত্র ১১ দিনেই দেখিয়েছে। ফেসবুকে এমন কয়েক হাজার পেজ বা গ্রুপ আছে, যেখানে প্রতিটিতে লাখ লাখ আইডি যুক্ত। এই প্রতিটি আইডির বন্ধু তালিকাকে বিবেচনায় নিলে এর বিস্তার সহজেই অনুমেয়।
আজকের পত্রিকা ফ্যাক্টচেকের প্রতিবেদনে পেজটির অসাধু কর্মকাণ্ড তুলে ধরার পর পেজের কনটেন্টের এই পরিবর্তন আমাদের আশাবাদী করে। পরিবর্তনের অবশ্য অন্য কারণও থাকতে পারে। হতে পারে পেজের অ্যাডমিনরা ঘাপটি মারার কৌশল নিয়েছে। সুযোগ পেলেই হয়তো আবার ফিরবে পুরোনো রূপে। আর যদি সত্যিই শুভ বুদ্ধির উদয় হয়, তবে তো সকলের জন্যই মঙ্গল।
এমএসটি ফাতেমা আক্তার নামের ফেসবুক পেজটি আজকের দিন শুরু করেছে ‘শুভ সকাল’ পোস্ট দিয়ে। পেজটির কথা মনে আছে তো আপনাদের? মনে না থাকলে একটু সময় নিয়ে পড়ে আসুন গত ১৪ আগস্ট আজকের পত্রিকা ফ্যাক্টচেক বিভাগে প্রকাশিত ‘পুরোনো ভিডিও লাইভ করে পরীমণি ও অপুকে নিয়ে বিভ্রান্তিকর প্রচার’ শিরোনামের প্রতিবেদনটি।
ফেসবুকে আজকাল পেজ বা গ্রুপ খুলে নানা বিষয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর প্রবণতা দেখা যায়। বিভিন্ন ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান, সংগঠন ও এর সমর্থক নাম নিয়ে খোলা এসব পেজ বা গ্রুপে দেখা যায় বিকৃত তথ্য, ভুয়া ভিডিও, ভুয়া ছবি।
বিভ্রান্তি ছড়ানোর কৌশল হিসেবে সম্প্রতি পুরোনো ভিডিও লাইভ মোডে প্রচারের হার বেড়েছে। সাম্প্রতিক কোনো আলোচিত ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুরোনো ভিডিওগুলো সফটওয়্যার বা অ্যাপ ব্যবহার করে লাইভ প্রচার করা হয়।
ক্যাপশনে ‘লাইভ’ শব্দটি দেখলে বা লাইভের নোটিফিকেশন পেলে সাধারণ দর্শক ধরে নেন সেটি সরাসরিই প্রচার করা হচ্ছে। কিন্তু সাধারণ স্ট্রিমিং সফটওয়্যার দিয়েই ঘরে বসে পুরোনো ভিডিও ফেসবুক বা ইউটিউবে লাইভ দেখানো সম্ভব।
শুরুতেই যে পেজের কথা বলছিলাম, সেটি ছিল এমনই একটি পেজ। গত ৩ আগস্ট পেজটি খোলা হয়। ১৪ আগস্ট আজকের পত্রিকা ফ্যাক্টচেক বিভাগ ওই পেজের বিতর্কিত কর্মকাণ্ড নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে। প্রতিদিন একাধিক পুরোনো ভিডিও লাইভ মোডে প্রচার করে পেজটি থেকে বিভ্রান্তি ছড়ানো হতো। মাত্র ১১ দিনে পেজটির ফলোয়ার সংখ্যা সাড়ে ৩ লাখে পৌঁছে যায়।
‘জুমার নামাজ শেষে পরি মনির সব গোমর ফাঁস করলেন মিশা সওদাগর ও মৌসুমি’, ‘এফডিসিতে পরি মনি ও মৌসুমিকে হয়রানির প্রতিবাদে মিশাকে যা বললেন ওমর সানি লাইভ ভিডিও দেখুন’, ‘জন্মদিনে বন্ধুদের মুখে কেক মাখালেন পরীমনি দুষ্টুমি করে দেখুন ভিডিও’, ‘আবারও বোরকা পড়ে ছেলে কে নিয়ে শাকিব খানের হসপিটালে অপু বিশ্বাস!’ ‘পরি মনি কে নিয়ে এইবার মুখ খুললেন নায়িকা মৌসুমী!’—এ রকম শিরোনাম দিয়ে ভিন্ন প্রসঙ্গের পুরোনো ভিডিও লাইভ মোডে প্রচার করতে দেখা যেত পেজটিতে। একেকটি ভিডিওতে কয়েক লাখ রিঅ্যাকশন পড়তে দেখা যেত। কোনো কোনো ভিডিওতে মন্তব্য পড়ত ১০ হাজারের বেশি।
পেজটিতে আজ সকালে ঢুকে দেখা গেল ভিন্ন চিত্র। মুছে ফেলা হয়েছে বিতর্কিত সব ভিডিও। অ্যাবাউট সেকশনে আগে লেখা ছিল—‘ভাইরাল ভিডিও দেখতে এই পেজে চোখ রাখুন।’ এখন সেখানে লেখা ‘আসসালামু আলাইকুম, স্বাগতম।’
পেজটি ঘুরে দেখা গেল, ১১ আগস্টের আগে করা সব পোস্ট মুছে ফেলা হয়েছে। অনলাইনে মেক-আপ সামগ্রী ও পোশাক বিক্রি-সংক্রান্ত কিছু পোস্ট চোখে পড়ছে। মন্তব্যের ঘরে দরদাম নিয়েও হাঁকডাক চোখে পড়ল। অবশ্য নির্দিষ্ট কোনো পণ্য বা ব্র্যান্ডের কেনাবেচা হচ্ছে না এতে।
পেজে ইনবক্স করে জানতে চাইলাম, এই পেজ থেকে মেক-আপ সামগ্রীর অর্ডার নেওয়া হয় কি না। উত্তরও এল দ্রুতই।
এ ধরনের পেজ কে বা কারা চালায়, সেটি ফ্যাক্টচেকের কোনো টুল ব্যবহার করে বের করা সম্ভব হয়নি। তবে সাইবার অপরাধ তদন্ত বিভাগ নিশ্চয়ই বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করছে। যেখানে অপরাধ আছে, সেখানে নিয়ন্ত্রণটাই জরুরি। পাশাপাশি নতুন করে যেন অপরাধী না বাড়ে, সেই উদ্যোগ নেওয়াটাও জরুরি।
ফেসবুকে সাড়ে ৪ লাখ মানুষ যে পেজ ফলো করেন, সেই পেজে যদি কোনো ভুয়া তথ্য ছড়ায়, তাহলে তার মাত্রা কত ব্যাপক হয়, তা পেজটি মাত্র ১১ দিনেই দেখিয়েছে। ফেসবুকে এমন কয়েক হাজার পেজ বা গ্রুপ আছে, যেখানে প্রতিটিতে লাখ লাখ আইডি যুক্ত। এই প্রতিটি আইডির বন্ধু তালিকাকে বিবেচনায় নিলে এর বিস্তার সহজেই অনুমেয়।
আজকের পত্রিকা ফ্যাক্টচেকের প্রতিবেদনে পেজটির অসাধু কর্মকাণ্ড তুলে ধরার পর পেজের কনটেন্টের এই পরিবর্তন আমাদের আশাবাদী করে। পরিবর্তনের অবশ্য অন্য কারণও থাকতে পারে। হতে পারে পেজের অ্যাডমিনরা ঘাপটি মারার কৌশল নিয়েছে। সুযোগ পেলেই হয়তো আবার ফিরবে পুরোনো রূপে। আর যদি সত্যিই শুভ বুদ্ধির উদয় হয়, তবে তো সকলের জন্যই মঙ্গল।
শেখ হাসিনার পক্ষে শিক্ষার্থীরা স্লোগান দিচ্ছে—এমন দাবিতে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওটির ক্যাপশনে লেখা, ‘ইউনুস তুই তওবা কর, শেখ হাসিনার পায়ে ধর. . শেখ হাসিনা বীরের বেশে আসবে ফিরে বাংলাদেশে জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু’।
৬ ঘণ্টা আগেসম্প্রতি শেখ হাসিনার ফাঁস হওয়া একটি অডিও কল নিয়ে একাধিক গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে, যেখানে আজ শনিবার আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে হরতাল পালন করতে বলা হয়েছে। সেসঙ্গে প্রত্যেক এলাকায় মিছিল-মিটিংয়ের আয়োজনের কথা বলতে শোনা যায়। তবে শেখ হাসিনার পরিবার কিংবা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে হরতালের বিষয়ে এখনও কিছু
১২ ঘণ্টা আগেএকটি কার্ডে ‘সেইফ এক্সিট চেয়ে দেশ ছাড়তে চান ড. ইউনুস, পাইলস জনিত রোগ তীব্র আকার ধারন’ এবং আরেকটিতে ‘পাইলস জনিত রোগে উন্নত চিকিৎসায় আগামী সপ্তাহে ফ্রান্সে যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা’—এমন লেখা রয়েছে। পরের কার্ডে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলমের বরাত দেওয়া হয়েছে।
২ দিন আগেশেখ হাসিনা ভারতে প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে এসেছেন, এমন দাবিতে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওটির ক্যাপশনে লেখা আছে, ‘ভারতে প্রথমবার প্রকাশ্যে বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা।’
৩ দিন আগে