ফ্যাক্টচেক ডেস্ক
দেশে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলোতে বেশ কয়েক দিন ধরেই চলছে ভারতীয় পণ্য বয়কটের প্রচারণা। এসব প্রচারণার মধ্যেই আলোচনায় এসেছে গরুর মাংস খাওয়া। এই আলোচনাকে ঘিরেই ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উদ্ধৃত করে একটি মন্তব্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে।
৮ মার্চ শামীম হোসাইন নামের একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উদ্ধৃত করে পোস্ট দিয়ে দাবি করা হয়, মমতা বলেছেন, ‘আমি হিন্দু, গরুর গোশত খেয়েছি, আরও খাব। হিন্দুধর্মের কোথাও লেখা নেই যে গরুর গোশত খাওয়া যাবে না। গরুর প্রতি যদি আপনাদের এত মোহাব্বত থাকে তাহলে গরুর চামড়া দিয়ে জুতা তৈরি করেন কেন? দয়া করে ধর্মের দোহাই দিয়ে সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস সৃষ্টি করবেন না।’
বক্তব্যটি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বলে দাবি করে ১৩ সেকেন্ডের একটি ভিডিও টিকটকে হাফিজ ভাই ৭৯৬ (hafiz_vai 796) নামের একটি অ্যাকাউন্ট থেকে সম্প্রতি পোস্ট করা হয়েছে। ভিডিওটি আজ শনিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত ১ লাখ ৫৫ হাজার বার দেখা হয়েছে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গরুর মাংস খেয়েছেন?
ভাইরাল মন্তব্যটির সত্যতা যাচাইয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ, এক্স হ্যান্ডল (সাবেক টুইটার) ঘুরে তাঁর এমন কোনো মন্তব্য খুঁজে পাওয়া যায়নি। প্রাসঙ্গিক বিভিন্ন কি-ওয়ার্ড অনুসন্ধান করেও ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে গরুর মাংস খাওয়া নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইরাল মন্তব্যটির বিষয়ে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
আরও খুঁজে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডেতে ২০১৭ সালের ২৪ এপ্রিল গরুর মাংস খাওয়া প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য নিয়ে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। এ থেকে জানা যায়, ওই সময় কলকাতায় অনুষ্ঠিত তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় নির্বাচন উপলক্ষে আয়োজিত এক সভায় মমতা বিজেপির প্রতি অভিযোগ তুলে বলেন, ‘এরা আমার বিরুদ্ধে গুজব ছড়াচ্ছে যে, আমি গরুর মাংস খাই। এরা মিথ্যুক, সোশ্যাল মিডিয়ায় মিথ্যা তথ্য ছড়াচ্ছে।’
তাহলে ভাইরাল মন্তব্যটি কার?
প্রাসঙ্গিক বিভিন্ন কি-ওয়ার্ড অনুসন্ধানে ভারতের সংবাদমাধ্যম এবিপি নিউজের হিন্দি সংস্করণের ভেরিফায়েড এক্স অ্যাকাউন্টে ২০১৫ সালের ২২ মে একটি টুইট খুঁজে পাওয়া যায়। টুইটটি থেকে জানা যায়, ওই সময় ভারতের সুপ্রিম কোর্টের সাবেক বিচারপতি মার্কয়েন্ড কাটজু বলেন, ‘আমি হিন্দু, আমি গরুর মাংস খাই এবং আবারও খাব।’
টুইটটিতে সংযুক্ত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, তৎকালীন সংসদবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মুক্তার আব্বাস নকভির সমালোচনা করে মার্কয়েন্ড কাটজু ওই সময় তাঁর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি পোস্ট দেন। পোস্টটিতে তিনি লেখেন, ‘আমি হিন্দু, আমি গরুর মাংস খাই এবং আবারও খাব। গরুর মাংস খাওয়াতে কোনো দোষ নেই। পৃথিবীর ৯০ শতাংশ মানুষ গরু খায়। তারা কি সবাই পাপী? এবং আমি বিশ্বাস করি না, গরু পবিত্র বা আমাদের মা। কীভাবে একটি প্রাণী একটি মানুষের মা হতে পারে? তাই আমি বলি ৯০ শতাংশ ভারতীয় বোকা এবং মুক্তার আব্বাস নকভিও এর অন্তর্ভুক্ত।’ প্রতিবেদনটিতে মার্কয়েন্ড কাটজুর ফেসবুক পোস্টটির স্ক্রিনশটও জুড়ে দেওয়া হয়েছে। পোস্টটির লিংক পাওয়া গেলেও তাঁর ফেসবুক পেজে বর্তমানে পোস্টটি নেই।
নিউজ ন্যাশন টিভি নামের আরেকটি ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে একই দিনে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকেও অনুরূপ তথ্য পাওয়া যায়।
এ ছাড়া আন্তর্জাতিক ফ্যাক্টচেকিং নেটওয়ার্ক (আইএফসিএন) স্বীকৃত একটি ভারতীয় ফ্যাক্টচেকিং প্রতিষ্ঠান নিউজচেকার। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে তাদের ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদনেও বলা হয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উদ্ধৃত করে প্রচারিত মন্তব্যটি তাঁর নয়।
দেশে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলোতে বেশ কয়েক দিন ধরেই চলছে ভারতীয় পণ্য বয়কটের প্রচারণা। এসব প্রচারণার মধ্যেই আলোচনায় এসেছে গরুর মাংস খাওয়া। এই আলোচনাকে ঘিরেই ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উদ্ধৃত করে একটি মন্তব্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে।
৮ মার্চ শামীম হোসাইন নামের একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উদ্ধৃত করে পোস্ট দিয়ে দাবি করা হয়, মমতা বলেছেন, ‘আমি হিন্দু, গরুর গোশত খেয়েছি, আরও খাব। হিন্দুধর্মের কোথাও লেখা নেই যে গরুর গোশত খাওয়া যাবে না। গরুর প্রতি যদি আপনাদের এত মোহাব্বত থাকে তাহলে গরুর চামড়া দিয়ে জুতা তৈরি করেন কেন? দয়া করে ধর্মের দোহাই দিয়ে সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস সৃষ্টি করবেন না।’
বক্তব্যটি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বলে দাবি করে ১৩ সেকেন্ডের একটি ভিডিও টিকটকে হাফিজ ভাই ৭৯৬ (hafiz_vai 796) নামের একটি অ্যাকাউন্ট থেকে সম্প্রতি পোস্ট করা হয়েছে। ভিডিওটি আজ শনিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত ১ লাখ ৫৫ হাজার বার দেখা হয়েছে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গরুর মাংস খেয়েছেন?
ভাইরাল মন্তব্যটির সত্যতা যাচাইয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ, এক্স হ্যান্ডল (সাবেক টুইটার) ঘুরে তাঁর এমন কোনো মন্তব্য খুঁজে পাওয়া যায়নি। প্রাসঙ্গিক বিভিন্ন কি-ওয়ার্ড অনুসন্ধান করেও ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে গরুর মাংস খাওয়া নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইরাল মন্তব্যটির বিষয়ে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
আরও খুঁজে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডেতে ২০১৭ সালের ২৪ এপ্রিল গরুর মাংস খাওয়া প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য নিয়ে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। এ থেকে জানা যায়, ওই সময় কলকাতায় অনুষ্ঠিত তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় নির্বাচন উপলক্ষে আয়োজিত এক সভায় মমতা বিজেপির প্রতি অভিযোগ তুলে বলেন, ‘এরা আমার বিরুদ্ধে গুজব ছড়াচ্ছে যে, আমি গরুর মাংস খাই। এরা মিথ্যুক, সোশ্যাল মিডিয়ায় মিথ্যা তথ্য ছড়াচ্ছে।’
তাহলে ভাইরাল মন্তব্যটি কার?
প্রাসঙ্গিক বিভিন্ন কি-ওয়ার্ড অনুসন্ধানে ভারতের সংবাদমাধ্যম এবিপি নিউজের হিন্দি সংস্করণের ভেরিফায়েড এক্স অ্যাকাউন্টে ২০১৫ সালের ২২ মে একটি টুইট খুঁজে পাওয়া যায়। টুইটটি থেকে জানা যায়, ওই সময় ভারতের সুপ্রিম কোর্টের সাবেক বিচারপতি মার্কয়েন্ড কাটজু বলেন, ‘আমি হিন্দু, আমি গরুর মাংস খাই এবং আবারও খাব।’
টুইটটিতে সংযুক্ত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, তৎকালীন সংসদবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মুক্তার আব্বাস নকভির সমালোচনা করে মার্কয়েন্ড কাটজু ওই সময় তাঁর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি পোস্ট দেন। পোস্টটিতে তিনি লেখেন, ‘আমি হিন্দু, আমি গরুর মাংস খাই এবং আবারও খাব। গরুর মাংস খাওয়াতে কোনো দোষ নেই। পৃথিবীর ৯০ শতাংশ মানুষ গরু খায়। তারা কি সবাই পাপী? এবং আমি বিশ্বাস করি না, গরু পবিত্র বা আমাদের মা। কীভাবে একটি প্রাণী একটি মানুষের মা হতে পারে? তাই আমি বলি ৯০ শতাংশ ভারতীয় বোকা এবং মুক্তার আব্বাস নকভিও এর অন্তর্ভুক্ত।’ প্রতিবেদনটিতে মার্কয়েন্ড কাটজুর ফেসবুক পোস্টটির স্ক্রিনশটও জুড়ে দেওয়া হয়েছে। পোস্টটির লিংক পাওয়া গেলেও তাঁর ফেসবুক পেজে বর্তমানে পোস্টটি নেই।
নিউজ ন্যাশন টিভি নামের আরেকটি ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে একই দিনে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকেও অনুরূপ তথ্য পাওয়া যায়।
এ ছাড়া আন্তর্জাতিক ফ্যাক্টচেকিং নেটওয়ার্ক (আইএফসিএন) স্বীকৃত একটি ভারতীয় ফ্যাক্টচেকিং প্রতিষ্ঠান নিউজচেকার। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে তাদের ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদনেও বলা হয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উদ্ধৃত করে প্রচারিত মন্তব্যটি তাঁর নয়।
প্রযুক্তি জগতে নানা উদ্ভাবন দিয়ে সব সময়ই আলোচনায় থাকেন স্পেসএক্স, টেসলাসহ মাইক্রোব্লগিং সাইট এক্সের (সাবেক টুইটার) মালিক ইলন মাস্ক। সম্প্রতি তিনি আলোচনায় এসেছেন এক্সে ডিজনির এলজিবিটিকিউ সম্পর্কিত কনটেন্ট ব্লক করে দিয়েছেন এমন দাবিতে। গত মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) দিবাগত রাতে ফেসবুকে ‘মহিদুল আলম...
৯ মিনিট আগেরাজধানীর সায়েন্স ল্যাব এলাকায় গত বুধবার দুপুরে সংঘর্ষে জড়ায় ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজের শিক্ষার্থীরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান পুলিশ ও সেনাসদস্যরা, দুই কলেজের শিক্ষার্থীদের সরিয়ে দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন তাঁরা। এ সময় পুলিশ কয়েক রাউন্ড টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেডও ছোড়ে।
৪ ঘণ্টা আগেসরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারকে ঘিরে গড়ে ওঠা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম নাম বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) শিক্ষার্থী মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধ। আন্দোলনের সময় গত ১৮ জুলাই রাজধানীর উত্তরার আজমপুরে সংঘর্ষ চলাকালে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান তিনি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল...
১ দিন আগেছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে। অভ্যুত্থানের মুখে দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেন ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর তিনদিন পর শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার শপথ নেয় ৮ আগস্ট। এরপর ১০০ দিন পার করেছে এই সরকার...
১ দিন আগে