ইতি খন্দকার
মিষ্টিকুমড়া একটি অতি উপকারী পুষ্টি গুণাগুণ এবং ঔষধি গুণাগুণসম্পন্ন সবজি। এই সবজি আমাদের দেশে সারা বছর পাওয়া যায়। মিষ্টিকুমড়ার পাতা, খোসা থেকে শুরু করে বীজ পর্যন্ত সব উপাদানই শরীরের জন্য উপকারী।
মিষ্টিকুমড়ার পুষ্টিগুণ
মিষ্টিকুমড়ায় আছে ভিটামিন এ বা বিটা ক্যারোটিন, ভিটামিন বি কমপ্লেক্স, ভিটামিন সি, ভিটামিন ই, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, আয়রন, জিংক, কপার, ফসফরাস, ক্যারোটিনয়েড এবং অন্যান্য অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। এসব উপাদান আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বাড়িয়ে তোলে এবং পুষ্টির ঘাটতি পূরণ করে। প্রতি ১০০ গ্রাম মিষ্টিকুমড়ায় আছে খাদ্যশক্তি ২৬ ক্যালরি, শর্করা ৫ গ্রাম, আমিষ ১ গ্রাম, আঁশ ০.৫ গ্রাম, চর্বি ০.১ গ্রাম, ভিটামিন সি ৯ মিলিগ্রাম, ভিটামিন এ ৭ হাজার ২০০ মাইক্রোগ্রাম, পটাশিয়াম ৩৪০ মিলিগ্রাম, সোডিয়াম ১ মিলিগ্রাম, ক্যালসিয়াম ২৪ মিলিগ্রাম, ফসফরাস ৪৪ মিলিগ্রাম, লৌহ ০.৮, জিংক ০.৩ মিলিগ্রাম।
মিষ্টিকুমড়ার উপকারিতা
মিষ্টিকুমড়ায় থাকা ভিটামিন সি দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ভিটামিন ই মানবদেহে ক্যানসার ও আলঝেইমার রোগের ঝুঁকি কমিয়ে দেয়। এ ছাড়া দাঁত ও হাড়ের গঠন, হজমে সহায়তা, হাই প্রেশার কমাতে, চোখ ভালো রাখতে, হাঁপানি প্রতিরোধ করতে, হার্ট, আলসার ইত্যাদি অসুখ সারাতে ভূমিকা পালন করে থাকে। কুমড়ার বিচিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে জিংক, যা প্রোস্টেটের সমস্যা প্রতিরোধ করে। এতে ট্রিপটোফেন নামে অ্যামিনো অ্যাসিড রয়েছে, যা খেলে রাতে অনেক ভালো ঘুম হবে। তাই একে প্রকৃতিপ্রদত্ত স্লিপিং পিল বলা হয়ে থাকে। মিষ্টিকুমড়ায় থাকা আঁশ দেহের কোলেস্টেরলের মাত্রা ঠিক রেখে স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়। মিষ্টিকুমড়া ও এর বীজ গর্ভবতী মায়েদের রক্তস্বল্পতা রোধ করে অকালপ্রসবের আশঙ্কা কমিয়ে দেয়।
যারা খেতে পারবে
নির্দিষ্ট পরিমাণে মিষ্টিকুমড়া কমবেশি দৈনিক সবাই খেতে পারবে। মিষ্টিকুমড়া স্বাদে মিষ্টি বলে অনেক ডায়াবেটিস রোগী এটি খান না। কিন্তু তাঁদের এ ধারণাটি ভুল। মিষ্টিকুমড়া ডায়াবেটিস প্রতিরোধের জন্য দারুণ কাজ করে থাকে। এটি নিম্ন ৩ জিআইয়ের বলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। তবে ডায়াবেটিস রোগীদের দৈনিক সর্বোচ্চ ৯০ গ্রামের বেশি মিষ্টিকুমড়া খাওয়া যাবে না।
যাঁদের অ্যালার্জির সমস্যা রয়েছে, তাঁরা মিষ্টিকুমড়া এড়িয়ে চলতে পারেন।
লেখক: পুষ্টিবিদ, লেজার ট্রিট
মিষ্টিকুমড়া একটি অতি উপকারী পুষ্টি গুণাগুণ এবং ঔষধি গুণাগুণসম্পন্ন সবজি। এই সবজি আমাদের দেশে সারা বছর পাওয়া যায়। মিষ্টিকুমড়ার পাতা, খোসা থেকে শুরু করে বীজ পর্যন্ত সব উপাদানই শরীরের জন্য উপকারী।
মিষ্টিকুমড়ার পুষ্টিগুণ
মিষ্টিকুমড়ায় আছে ভিটামিন এ বা বিটা ক্যারোটিন, ভিটামিন বি কমপ্লেক্স, ভিটামিন সি, ভিটামিন ই, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, আয়রন, জিংক, কপার, ফসফরাস, ক্যারোটিনয়েড এবং অন্যান্য অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। এসব উপাদান আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বাড়িয়ে তোলে এবং পুষ্টির ঘাটতি পূরণ করে। প্রতি ১০০ গ্রাম মিষ্টিকুমড়ায় আছে খাদ্যশক্তি ২৬ ক্যালরি, শর্করা ৫ গ্রাম, আমিষ ১ গ্রাম, আঁশ ০.৫ গ্রাম, চর্বি ০.১ গ্রাম, ভিটামিন সি ৯ মিলিগ্রাম, ভিটামিন এ ৭ হাজার ২০০ মাইক্রোগ্রাম, পটাশিয়াম ৩৪০ মিলিগ্রাম, সোডিয়াম ১ মিলিগ্রাম, ক্যালসিয়াম ২৪ মিলিগ্রাম, ফসফরাস ৪৪ মিলিগ্রাম, লৌহ ০.৮, জিংক ০.৩ মিলিগ্রাম।
মিষ্টিকুমড়ার উপকারিতা
মিষ্টিকুমড়ায় থাকা ভিটামিন সি দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ভিটামিন ই মানবদেহে ক্যানসার ও আলঝেইমার রোগের ঝুঁকি কমিয়ে দেয়। এ ছাড়া দাঁত ও হাড়ের গঠন, হজমে সহায়তা, হাই প্রেশার কমাতে, চোখ ভালো রাখতে, হাঁপানি প্রতিরোধ করতে, হার্ট, আলসার ইত্যাদি অসুখ সারাতে ভূমিকা পালন করে থাকে। কুমড়ার বিচিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে জিংক, যা প্রোস্টেটের সমস্যা প্রতিরোধ করে। এতে ট্রিপটোফেন নামে অ্যামিনো অ্যাসিড রয়েছে, যা খেলে রাতে অনেক ভালো ঘুম হবে। তাই একে প্রকৃতিপ্রদত্ত স্লিপিং পিল বলা হয়ে থাকে। মিষ্টিকুমড়ায় থাকা আঁশ দেহের কোলেস্টেরলের মাত্রা ঠিক রেখে স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়। মিষ্টিকুমড়া ও এর বীজ গর্ভবতী মায়েদের রক্তস্বল্পতা রোধ করে অকালপ্রসবের আশঙ্কা কমিয়ে দেয়।
যারা খেতে পারবে
নির্দিষ্ট পরিমাণে মিষ্টিকুমড়া কমবেশি দৈনিক সবাই খেতে পারবে। মিষ্টিকুমড়া স্বাদে মিষ্টি বলে অনেক ডায়াবেটিস রোগী এটি খান না। কিন্তু তাঁদের এ ধারণাটি ভুল। মিষ্টিকুমড়া ডায়াবেটিস প্রতিরোধের জন্য দারুণ কাজ করে থাকে। এটি নিম্ন ৩ জিআইয়ের বলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। তবে ডায়াবেটিস রোগীদের দৈনিক সর্বোচ্চ ৯০ গ্রামের বেশি মিষ্টিকুমড়া খাওয়া যাবে না।
যাঁদের অ্যালার্জির সমস্যা রয়েছে, তাঁরা মিষ্টিকুমড়া এড়িয়ে চলতে পারেন।
লেখক: পুষ্টিবিদ, লেজার ট্রিট
ব্যথা উপশম এবং প্রদাহ কমানোর জন্য প্রাকৃতিক প্রতিকারের কথা বলতে গেলে অ্যাসপিরিনের মতো ওভার-দ্য-কাউন্টার ওষুধের তুলনায় লবঙ্গ কম নয়। এটি কার্যকর বিকল্প হতে পারে বলে অনেকে মত দিচ্ছেন এখন। লবঙ্গ একটি ছোট্ট, কিন্তু শক্তিশালী মসলা। এটি শত শত বছর ধরে বিশ্বব্যাপী রান্নার কাজে...
১৬ ঘণ্টা আগে৩-৪ মাস আগে থেকে আমার মাসিক চলাকালীন স্তনের পাশে প্রচণ্ড ব্যথা হয়। আমার বয়স ৩৩ বছর। এর আগে কখনো এমন সমস্যা হয়নি। আমার একটি সন্তান আছে। তার বয়স ৭ বছর। অর্থাৎ আমার ক্ষেত্রে ব্রেস্ট ফিডিংয়ের বিষয় নেই এখন। হঠাৎ করে ব্যথা হওয়ায় কী করব বুঝতে পারছি না...
১৬ ঘণ্টা আগেকাঁধে ব্যথার অনেক কারণের মধ্যে অন্যতম রোটেটর কাফ সিনড্রোম। এর একটি অংশ হলো ফ্রোজেন শোল্ডার...
১৬ ঘণ্টা আগেঅনেকের ধারণা, শুধু গরমকালে পানিশূন্যতা হয়। কিন্তু বাস্তবতা হলো, শীতকালেও ডিহাইড্রেশন বা শরীরে পানির অভাব হতে পারে। শীতের শুরুতে আমরা নানা শারীরিক সমস্যার মুখোমুখি হই, যেমন ত্বক বা চুলের সমস্যা এবং বিভিন্ন স্বাস্থ্যজনিত জটিলতা। এর মধ্যে অন্যতম পানিশূন্যতা, যা শীতকালে কম গুরুত্ব দেওয়া হয়।
১৬ ঘণ্টা আগে