ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নিল
লিভারের রোগগুলো সাধারণত প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা পড়ে না। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে রোগ বেড়ে গেলে তার লক্ষণ বা উপসর্গ প্রকাশ পায়। লিভারে প্রদাহ হলে লিভার ক্ষতিগ্রস্ত হতে শুরু করে। লিভার আমাদের শরীরের পাওয়ার হাউস। তাই এটি ক্ষতিগ্রস্ত হলে শরীরের শক্তি কমে যায়, মানুষ অল্পতেই দুর্বল ও হাঁপিয়ে ওঠে, আগের মতো সাধারণ কাজ করতে পারে না, ক্ষুধামান্দ্য শুরু হয় ও ওজন কমে যায়। পরের ধাপে লিভার আরও বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতে থাকবে এবং শরীরে জন্ডিস দেখা দেবে। একপর্যায়ে বেশি মাত্রায় ক্ষতিগ্রস্ত হলে শরীর হলুদ হয়ে যাবে এবং হাত-পায়ে পানি আসবে। রক্ত বমি হলে মনে করা হয় সেটি লিভার সিরোসিসের লক্ষণ। এরপর সতর্ক না হলে এবং চিকিৎসা না করালে লিভার ক্যানসার হতে পারে। তাই লিভারের রোগের লক্ষণ জানা থাকা খুবই জরুরি।
নিশ্বাসে দুর্গন্ধ
অনেক সময় মুখের স্বাস্থ্য ভালো থাকার পরও যদি আপনার নিশ্বাসের সঙ্গে দুর্গন্ধ বের হয় তাহলে মনে করতে হবে আপনার লিভারের কোনো সমস্যা আছে।
অ্যালার্জিজনিত উপসর্গ
লিভার ভালো থাকলে যেসব অ্যান্টিবডি তৈরি হয়, সেগুলো অ্যালার্জি সৃষ্টিকারী উপাদানগুলোকে ধ্বংস করে। কিন্তু লিভারের কার্যক্ষমতা কমে গেলে দেহ অ্যালার্জি সৃষ্টিকারী উপাদানগুলোকে জমা করতে থাকে। এর প্রতিক্রিয়ায় আবার দেহ হিস্টামিন উৎপাদন করতে থাকে। অতিরিক্ত হিস্টামিন উৎপাদন হলে আবার চুলকানি, ঝিমুনি এবং মাথাব্যথা হতে পারে।
অবসাদ বা ক্লান্তি লেগে থাকা
দেহে টক্সিন জমা হলে মাংসপেশির টিস্যুর বিপাকীয় প্রক্রিয়ায় বাধা সৃষ্টি হয়। এ থেকে ব্যথা, শারীরিক অবসাদ ও মেজাজ খিটখিটে হওয়ার মতো সমস্যা তৈরি হতে পারে।
অতিরিক্ত ঘাম বের হওয়া
বেশি বেশি কাজ করার কারণে লিভারের কার্যক্ষমতা কমে যায় এবং সেটি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। তখন লিভার দেহের অন্যান্য অঙ্গেও তাপ ছড়িয়ে দেয় এবং অতিরিক্ত ঘাম বের করার মাধ্যমে লিভার নিজেকে ঠান্ডা করে।
ব্রণ বা র্যাশ দেখা দেওয়া
লিভারে জমা হওয়া টক্সিন দেহে হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট করতে শুরু করে। এ থেকে ত্বকে ব্রণ সৃষ্টি হতে পারে।
এর বাইরে লিভারে চর্বি বেশি জমা হলে ধীরে ধীরে লক্ষণগুলো প্রকাশ পায়। প্রথম দিকে পেটের ডান দিকে ওপরে যে ফ্যাটি লিভার থাকে, সে অংশে একটু একটু ব্যথা হয় ও পেটটা একটু ভারী ভারী লাগে। ফ্যাটি লিভারের ক্ষেত্রে দেখা যায়, প্রথমে শুধু লিভারে চর্বি জমা থাকে। পরে বেশি চর্বি জমার ফলে লিভারে প্রদাহ দেখা দেয়।
লেখক: অধ্যাপক ও ডিভিশন প্রধান, ইন্টারভেনশনাল হেপাটোলজি ডিভিশন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় এবং আঞ্চলিক পরামর্শক, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
স্বাস্থ্য সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
লিভারের রোগগুলো সাধারণত প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা পড়ে না। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে রোগ বেড়ে গেলে তার লক্ষণ বা উপসর্গ প্রকাশ পায়। লিভারে প্রদাহ হলে লিভার ক্ষতিগ্রস্ত হতে শুরু করে। লিভার আমাদের শরীরের পাওয়ার হাউস। তাই এটি ক্ষতিগ্রস্ত হলে শরীরের শক্তি কমে যায়, মানুষ অল্পতেই দুর্বল ও হাঁপিয়ে ওঠে, আগের মতো সাধারণ কাজ করতে পারে না, ক্ষুধামান্দ্য শুরু হয় ও ওজন কমে যায়। পরের ধাপে লিভার আরও বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতে থাকবে এবং শরীরে জন্ডিস দেখা দেবে। একপর্যায়ে বেশি মাত্রায় ক্ষতিগ্রস্ত হলে শরীর হলুদ হয়ে যাবে এবং হাত-পায়ে পানি আসবে। রক্ত বমি হলে মনে করা হয় সেটি লিভার সিরোসিসের লক্ষণ। এরপর সতর্ক না হলে এবং চিকিৎসা না করালে লিভার ক্যানসার হতে পারে। তাই লিভারের রোগের লক্ষণ জানা থাকা খুবই জরুরি।
নিশ্বাসে দুর্গন্ধ
অনেক সময় মুখের স্বাস্থ্য ভালো থাকার পরও যদি আপনার নিশ্বাসের সঙ্গে দুর্গন্ধ বের হয় তাহলে মনে করতে হবে আপনার লিভারের কোনো সমস্যা আছে।
অ্যালার্জিজনিত উপসর্গ
লিভার ভালো থাকলে যেসব অ্যান্টিবডি তৈরি হয়, সেগুলো অ্যালার্জি সৃষ্টিকারী উপাদানগুলোকে ধ্বংস করে। কিন্তু লিভারের কার্যক্ষমতা কমে গেলে দেহ অ্যালার্জি সৃষ্টিকারী উপাদানগুলোকে জমা করতে থাকে। এর প্রতিক্রিয়ায় আবার দেহ হিস্টামিন উৎপাদন করতে থাকে। অতিরিক্ত হিস্টামিন উৎপাদন হলে আবার চুলকানি, ঝিমুনি এবং মাথাব্যথা হতে পারে।
অবসাদ বা ক্লান্তি লেগে থাকা
দেহে টক্সিন জমা হলে মাংসপেশির টিস্যুর বিপাকীয় প্রক্রিয়ায় বাধা সৃষ্টি হয়। এ থেকে ব্যথা, শারীরিক অবসাদ ও মেজাজ খিটখিটে হওয়ার মতো সমস্যা তৈরি হতে পারে।
অতিরিক্ত ঘাম বের হওয়া
বেশি বেশি কাজ করার কারণে লিভারের কার্যক্ষমতা কমে যায় এবং সেটি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। তখন লিভার দেহের অন্যান্য অঙ্গেও তাপ ছড়িয়ে দেয় এবং অতিরিক্ত ঘাম বের করার মাধ্যমে লিভার নিজেকে ঠান্ডা করে।
ব্রণ বা র্যাশ দেখা দেওয়া
লিভারে জমা হওয়া টক্সিন দেহে হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট করতে শুরু করে। এ থেকে ত্বকে ব্রণ সৃষ্টি হতে পারে।
এর বাইরে লিভারে চর্বি বেশি জমা হলে ধীরে ধীরে লক্ষণগুলো প্রকাশ পায়। প্রথম দিকে পেটের ডান দিকে ওপরে যে ফ্যাটি লিভার থাকে, সে অংশে একটু একটু ব্যথা হয় ও পেটটা একটু ভারী ভারী লাগে। ফ্যাটি লিভারের ক্ষেত্রে দেখা যায়, প্রথমে শুধু লিভারে চর্বি জমা থাকে। পরে বেশি চর্বি জমার ফলে লিভারে প্রদাহ দেখা দেয়।
লেখক: অধ্যাপক ও ডিভিশন প্রধান, ইন্টারভেনশনাল হেপাটোলজি ডিভিশন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় এবং আঞ্চলিক পরামর্শক, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
স্বাস্থ্য সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
রোগে-শোকে মানুষকে প্রতিনিয়ত কিছু না কিছু ওষুধ খেতে হয়। নিত্যপণ্যের এই ঊর্ধ্বগতির বাজারে যেখানে সাধারণ মানুষের তিনবেলা আহারের জোগান দেওয়াই কষ্টকর, সেখানে জীবন রক্ষার জন্য দ্বিগুণ-তিনগুণ দামে ওধুষ কিনতে গিয়ে জীবন আরও ওষ্ঠাগত। দেশে এখন নিম্নআয়ের ৪০ শতাংশ মানুষের মোট আয়ের ২০ শতাংশ খরচ হচ্ছে ওষুধ কিনতেই।
২ দিন আগেদেশে মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা না থাকায় ও ডাক্তারের ওপর আস্থা না থাকায় বিদেশে চিকিৎসা নিতে প্রতিবছর দেশের মানুষ ৪ বিলিয়ন ডলার খরচ করছে। স্বাস্থ্যেসেবার উন্নয়ন না হলে এর পরিমাণ দিন দিন আরও বাড়বে।
২ দিন আগেআমাদের দেশে শীত উপভোগ্য মৌসুম। কিন্তু অনেকের ঠান্ডা, কাশি, জ্বর, গলাব্যথা, অ্যালার্জির মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। আবার শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা যাদের আছে, তাদের এই মৌসুমে কষ্ট বেড়ে যায়।
২ দিন আগেত্বক অভ্যন্তরীণ অঙ্গের সংক্রমণ এবং যেকোনো ক্ষতি থেকে সুরক্ষা দেয়। তাই এর যত্নে বিশেষ মনোযোগী হওয়া প্রয়োজন। শীতকালে ত্বক শুষ্ক ও টানটান হলে দুশ্চিন্তা করবেন না। চুলকানি হলেও চিন্তার কোনো কারণ নেই। শীতের শুষ্ক আবহাওয়া ত্বকের প্রতিরক্ষামূলক তেল কমিয়ে দেয়।
২ দিন আগে