ডা. গোলাম মোর্শেদ
চলছে রোজা। এখন স্বাভাবিক সময়ের মতো ওষুধ খাওয়া যায় না। কিন্তু যাঁরা দীর্ঘমেয়াদি রোগে ভুগছেন, তাঁদের প্রতিদিনই ওষুধ খেতে হয় এবং ওষুধগুলো বাদ দেওয়া সম্ভব হয় না। ফলে ওষুধ খাওয়ার সময় ও ডোজে পরিবর্তন আনতে হয়। যেমন ডায়াবেটিসের রোগীরা যদি ওষুধ বাদ দেন, তাহলে তাঁদের রক্তে শর্করা বেড়ে যেতে পারে। আবার হার্টের রোগীরা রোজার সময় দুপুরের ওষুধ কখন খাবেন, সেটি ঠিক করে নিতে হবে। অথবা হার্টের যেসব ওষুধের কারণে প্রেশার কমে যায়, সেসব ওষুধের ডোজ সমন্বয় করার প্রয়োজন রয়েছে। লিখেছেন ডা. গোলাম মোর্শেদ।
প্রেশারের ওষুধ খাওয়ার নিয়ম
রোজার সময় যেহেতু দিনে পানি ও খাবারদাবার খাওয়া যায় না, তাই প্রেশার এমনিতেই কমে যেতে পারে। সে জন্য প্রেশারের ওষুধ কমিয়ে খেতে হবে। কতটুকু কমাবেন, সেটা চিকিৎসকের সঙ্গে আলাপ করে ঠিক করে নিতে হবে। যাঁরা এক বেলা প্রেশারের ওষুধ খান, তাঁরা যেকোনো বেলায় খেতে পারবেন। যাঁরা দুই বেলা প্রেশারের ওষুধ খান, তাঁরা সাহ্রি ও ইফতারের পরে খাবেন। আর যাঁরা তিন বেলা প্রেশারের ওষুধ খান, তাঁরা দুপুরের ওষুধ চিকিৎসকের পরামর্শে বন্ধ রাখতে পারেন। দুপুরের ডোজ বন্ধ করার কারণে যদি প্রেশার নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়, তাহলে ওষুধ পরিবর্তন করে লং অ্যাক্টিং এক বেলা বা দুই বেলার আরেকটি ওষুধ সিলেক্ট করে দিতে হবে।
যাঁরা কিডনির রোগী, তাঁদেরও পানি কমানোর ওষুধ খেতে হয়। সেই ওষুধগুলো এই সময়ে কিন্তু কম লাগতে পারে। অথবা আগের ডোজে খেলে শরীরে পানিশূন্যতা দেখা দিয়ে প্রেশার অনেক কমে যেতে পারে এবং পানিশূন্যতা বেড়ে গিয়ে কিডনির অবস্থা খারাপ হয়ে যেতে পারে। তাই যাঁরা কিডনির রোগী, তাঁরা যদি রোজা পালন করতে চান, তাহলে চিকিৎসকের সঙ্গে আলাপ করে ওষুধের ডোজ সমন্বয় করে নিন।
হৃদ্রোগের ওষুধ খাওয়ার নিয়ম
যাঁরা হৃৎপিণ্ডের পানি কমানোর ওষুধ খান, তাঁরা সেটি খাবেন সাহ্রিতে। আগের ডোজের চেয়ে অর্ধেক পরিমাণ খাবেন। রক্ত পাতলা করার ওষুধ খাবেন ইফতারের পরে। কোলেস্টেরল কমানোর ওষুধও ইফতারের পরে খাবেন। দুপুরবেলা হার্টের যে ওষুধ খেতেন, সেটি রাতে খাবেন। হার্টের যেসব ওষুধে প্রেশার কমে যায়, সেই ওষুধগুলোর ডোজ সমন্বয় করতে হবে বা ডোজ কমাতে হবে।
যেসব হার্টের রোগীর অবস্থা ভালো নয়, অর্থাৎ স্ট্যাবল নয়, যেমন বুকে ব্যথা আছে কিংবা শ্বাসকষ্ট হয়, তাঁরা রোজা পালনের জন্য উপযুক্ত নন। তাঁরা যদি একান্তই রোজা পালন করতে চান, তাহলে রোজার দুই মাস আগে চিকিৎসককে দেখিয়ে ওষুধ সমন্বয় করে হার্টের অবস্থা ভালো করে নিতে হবে। তারপর আপনি রোজা পালন করতে পারবেন। যাঁদের এক মাসের মধ্যে হার্ট অ্যাটাক হয়েছে বা বুকে ব্যথা হয়েছে, তাঁরাও কিন্তু রোজা পালনের জন্য উপযুক্ত নন।
আবার যাঁদের হার্টের রিং লাগানো আছে বা বাইপাস করা আছে, তাঁরা যদি স্বাচ্ছন্দ্যে চলাফেরা করতে পারেন, বুকে ব্যথা না হয়, শ্বাসকষ্ট না হয়, তাহলে তাঁরা নিশ্চিন্তে রোজা পালন করতে পারবেন।
ডায়াবেটিসের রোগীদের ওষুধ খাওয়ার নিয়ম
ডায়াবেটিসের রোগীরা রোজার আগে সকালে যে ওষুধটি খেতেন, সেটি এখন খাবেন ইফতারের পরে। দুপুরের ওষুধটি খাবেন রাতের খাবারের পরে। আর রাতের ওষুধ খাবেন সাহ্রির সময়।
যাঁরা দুই বেলা ইনসুলিন নেন, তাঁরা সকালের ইনসুলিন ইফতারের পর নেবেন। মাত্রার কোনো পরিবর্তন করবেন না চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া। আর রাতের ইনসুলিন নিন সাহ্রির সময়। তবে পরিমাণ কমিয়ে নিতে হবে এবং সেটা আগের ডোজের অর্ধেক নেবেন। যাঁরা দিনে এক বেলা ইনসুলিন নেন, তাঁরা সেটি ইফতারের পর নিন এবং রোজার আগের ডোজ থেকে ১৫ থেকে ৩০ শতাংশ কম ডোজে নিন।
এরপর সকাল ১০টার সময় সুগার মাপাবেন। সুগার খুব বেশি হলে পরের রাতে সাহ্রিতে ডোজ আর একটু বাড়াবেন। রোজার কারণে সুগার নিল বা হাইপো হতে পারে। তাই বিকেল ৪টার সময় আরেকবার সুগার মাপাবেন। খুব কম হলে, অর্থাৎ ৩-এর কম হলে রোজা ভেঙে ফেলুন।
যেসব ডায়াবেটিসের রোগীর সুগার খুব বেশি ওঠানামা করে, তাঁদের কিন্তু রোজা রাখা বিপজ্জনক হতে পারে। কারণ দিনের শেষভাগে যদি সুগার ৩-এর নিচে চলে যায়, তাহলে হাইপো হয়ে অজ্ঞান হয়ে যেতে পারেন। আবার যদি সুগার ১৬-এর বেশি হয়, সে ক্ষেত্রে কিন্তু নানা রকম সমস্যা তৈরি হতে পারে। তাই রোজার আগেই আপনার উচিত হবে চিকিৎসকের সঙ্গে আলাপ করে ঠিক করে নেওয়া যে রোজা থাকতে পারবেন কি পারবেন না। নিয়ম হলো, রমজানের দুই মাস আগেই ওষুধের ডোজ সমন্বয় করে এবং চিনির মাত্রা স্থির করে নিয়ে রোজা পালন করা।
চলছে রোজা। এখন স্বাভাবিক সময়ের মতো ওষুধ খাওয়া যায় না। কিন্তু যাঁরা দীর্ঘমেয়াদি রোগে ভুগছেন, তাঁদের প্রতিদিনই ওষুধ খেতে হয় এবং ওষুধগুলো বাদ দেওয়া সম্ভব হয় না। ফলে ওষুধ খাওয়ার সময় ও ডোজে পরিবর্তন আনতে হয়। যেমন ডায়াবেটিসের রোগীরা যদি ওষুধ বাদ দেন, তাহলে তাঁদের রক্তে শর্করা বেড়ে যেতে পারে। আবার হার্টের রোগীরা রোজার সময় দুপুরের ওষুধ কখন খাবেন, সেটি ঠিক করে নিতে হবে। অথবা হার্টের যেসব ওষুধের কারণে প্রেশার কমে যায়, সেসব ওষুধের ডোজ সমন্বয় করার প্রয়োজন রয়েছে। লিখেছেন ডা. গোলাম মোর্শেদ।
প্রেশারের ওষুধ খাওয়ার নিয়ম
রোজার সময় যেহেতু দিনে পানি ও খাবারদাবার খাওয়া যায় না, তাই প্রেশার এমনিতেই কমে যেতে পারে। সে জন্য প্রেশারের ওষুধ কমিয়ে খেতে হবে। কতটুকু কমাবেন, সেটা চিকিৎসকের সঙ্গে আলাপ করে ঠিক করে নিতে হবে। যাঁরা এক বেলা প্রেশারের ওষুধ খান, তাঁরা যেকোনো বেলায় খেতে পারবেন। যাঁরা দুই বেলা প্রেশারের ওষুধ খান, তাঁরা সাহ্রি ও ইফতারের পরে খাবেন। আর যাঁরা তিন বেলা প্রেশারের ওষুধ খান, তাঁরা দুপুরের ওষুধ চিকিৎসকের পরামর্শে বন্ধ রাখতে পারেন। দুপুরের ডোজ বন্ধ করার কারণে যদি প্রেশার নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়, তাহলে ওষুধ পরিবর্তন করে লং অ্যাক্টিং এক বেলা বা দুই বেলার আরেকটি ওষুধ সিলেক্ট করে দিতে হবে।
যাঁরা কিডনির রোগী, তাঁদেরও পানি কমানোর ওষুধ খেতে হয়। সেই ওষুধগুলো এই সময়ে কিন্তু কম লাগতে পারে। অথবা আগের ডোজে খেলে শরীরে পানিশূন্যতা দেখা দিয়ে প্রেশার অনেক কমে যেতে পারে এবং পানিশূন্যতা বেড়ে গিয়ে কিডনির অবস্থা খারাপ হয়ে যেতে পারে। তাই যাঁরা কিডনির রোগী, তাঁরা যদি রোজা পালন করতে চান, তাহলে চিকিৎসকের সঙ্গে আলাপ করে ওষুধের ডোজ সমন্বয় করে নিন।
হৃদ্রোগের ওষুধ খাওয়ার নিয়ম
যাঁরা হৃৎপিণ্ডের পানি কমানোর ওষুধ খান, তাঁরা সেটি খাবেন সাহ্রিতে। আগের ডোজের চেয়ে অর্ধেক পরিমাণ খাবেন। রক্ত পাতলা করার ওষুধ খাবেন ইফতারের পরে। কোলেস্টেরল কমানোর ওষুধও ইফতারের পরে খাবেন। দুপুরবেলা হার্টের যে ওষুধ খেতেন, সেটি রাতে খাবেন। হার্টের যেসব ওষুধে প্রেশার কমে যায়, সেই ওষুধগুলোর ডোজ সমন্বয় করতে হবে বা ডোজ কমাতে হবে।
যেসব হার্টের রোগীর অবস্থা ভালো নয়, অর্থাৎ স্ট্যাবল নয়, যেমন বুকে ব্যথা আছে কিংবা শ্বাসকষ্ট হয়, তাঁরা রোজা পালনের জন্য উপযুক্ত নন। তাঁরা যদি একান্তই রোজা পালন করতে চান, তাহলে রোজার দুই মাস আগে চিকিৎসককে দেখিয়ে ওষুধ সমন্বয় করে হার্টের অবস্থা ভালো করে নিতে হবে। তারপর আপনি রোজা পালন করতে পারবেন। যাঁদের এক মাসের মধ্যে হার্ট অ্যাটাক হয়েছে বা বুকে ব্যথা হয়েছে, তাঁরাও কিন্তু রোজা পালনের জন্য উপযুক্ত নন।
আবার যাঁদের হার্টের রিং লাগানো আছে বা বাইপাস করা আছে, তাঁরা যদি স্বাচ্ছন্দ্যে চলাফেরা করতে পারেন, বুকে ব্যথা না হয়, শ্বাসকষ্ট না হয়, তাহলে তাঁরা নিশ্চিন্তে রোজা পালন করতে পারবেন।
ডায়াবেটিসের রোগীদের ওষুধ খাওয়ার নিয়ম
ডায়াবেটিসের রোগীরা রোজার আগে সকালে যে ওষুধটি খেতেন, সেটি এখন খাবেন ইফতারের পরে। দুপুরের ওষুধটি খাবেন রাতের খাবারের পরে। আর রাতের ওষুধ খাবেন সাহ্রির সময়।
যাঁরা দুই বেলা ইনসুলিন নেন, তাঁরা সকালের ইনসুলিন ইফতারের পর নেবেন। মাত্রার কোনো পরিবর্তন করবেন না চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া। আর রাতের ইনসুলিন নিন সাহ্রির সময়। তবে পরিমাণ কমিয়ে নিতে হবে এবং সেটা আগের ডোজের অর্ধেক নেবেন। যাঁরা দিনে এক বেলা ইনসুলিন নেন, তাঁরা সেটি ইফতারের পর নিন এবং রোজার আগের ডোজ থেকে ১৫ থেকে ৩০ শতাংশ কম ডোজে নিন।
এরপর সকাল ১০টার সময় সুগার মাপাবেন। সুগার খুব বেশি হলে পরের রাতে সাহ্রিতে ডোজ আর একটু বাড়াবেন। রোজার কারণে সুগার নিল বা হাইপো হতে পারে। তাই বিকেল ৪টার সময় আরেকবার সুগার মাপাবেন। খুব কম হলে, অর্থাৎ ৩-এর কম হলে রোজা ভেঙে ফেলুন।
যেসব ডায়াবেটিসের রোগীর সুগার খুব বেশি ওঠানামা করে, তাঁদের কিন্তু রোজা রাখা বিপজ্জনক হতে পারে। কারণ দিনের শেষভাগে যদি সুগার ৩-এর নিচে চলে যায়, তাহলে হাইপো হয়ে অজ্ঞান হয়ে যেতে পারেন। আবার যদি সুগার ১৬-এর বেশি হয়, সে ক্ষেত্রে কিন্তু নানা রকম সমস্যা তৈরি হতে পারে। তাই রোজার আগেই আপনার উচিত হবে চিকিৎসকের সঙ্গে আলাপ করে ঠিক করে নেওয়া যে রোজা থাকতে পারবেন কি পারবেন না। নিয়ম হলো, রমজানের দুই মাস আগেই ওষুধের ডোজ সমন্বয় করে এবং চিনির মাত্রা স্থির করে নিয়ে রোজা পালন করা।
রোগে-শোকে মানুষকে প্রতিনিয়ত কিছু না কিছু ওষুধ খেতে হয়। নিত্যপণ্যের এই ঊর্ধ্বগতির বাজারে যেখানে সাধারণ মানুষের তিনবেলা আহারের জোগান দেওয়াই কষ্টকর, সেখানে জীবন রক্ষার জন্য দ্বিগুণ-তিনগুণ দামে ওধুষ কিনতে গিয়ে জীবন আরও ওষ্ঠাগত। দেশে এখন নিম্নআয়ের ৪০ শতাংশ মানুষের মোট আয়ের ২০ শতাংশ খরচ হচ্ছে ওষুধ কিনতেই।
২ দিন আগেদেশে মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা না থাকায় ও ডাক্তারের ওপর আস্থা না থাকায় বিদেশে চিকিৎসা নিতে প্রতিবছর দেশের মানুষ ৪ বিলিয়ন ডলার খরচ করছে। স্বাস্থ্যেসেবার উন্নয়ন না হলে এর পরিমাণ দিন দিন আরও বাড়বে।
২ দিন আগেআমাদের দেশে শীত উপভোগ্য মৌসুম। কিন্তু অনেকের ঠান্ডা, কাশি, জ্বর, গলাব্যথা, অ্যালার্জির মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। আবার শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা যাদের আছে, তাদের এই মৌসুমে কষ্ট বেড়ে যায়।
২ দিন আগেত্বক অভ্যন্তরীণ অঙ্গের সংক্রমণ এবং যেকোনো ক্ষতি থেকে সুরক্ষা দেয়। তাই এর যত্নে বিশেষ মনোযোগী হওয়া প্রয়োজন। শীতকালে ত্বক শুষ্ক ও টানটান হলে দুশ্চিন্তা করবেন না। চুলকানি হলেও চিন্তার কোনো কারণ নেই। শীতের শুষ্ক আবহাওয়া ত্বকের প্রতিরক্ষামূলক তেল কমিয়ে দেয়।
২ দিন আগে