নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আসন্ন ২০২২-২৩ অর্থবছরে মোট বাজেটের ৭ থেকে ৮ শতাংশ এবং মধ্য মেয়াদে ১০ থেকে ১২ শতাংশ স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ রাখা জরুরি। পাশাপাশি এই বাজেটে স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দের বড় অংশ প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবায় বরাদ্দ করতে হবে।
আজ বৃহস্পতিবার আসন্ন বাজেটকে সামনে রেখে বাংলাদেশ হেলথ ওয়াচ এবং উন্নয়ন সমন্বয়ের যৌথ আয়োজনে স্বাস্থ্য বাজেট বিষয়ক অনলাইন জাতীয় সংলাপে বক্তারা এসব দাবির কথা বলেন। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন উন্নয়ন সমন্বয়ের সভাপতি বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর অধ্যাপক ড. আতিউর রহমান।
ড. আতিউর রহমান বলেন, ‘স্বাস্থ্য খাতে গতানুগতিকভাবে মোট বাজেটের ৫ থেকে ৬ শতাংশ বরাদ্দ দেওয়ার প্রথা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। সচরাচর প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবায় মোট স্বাস্থ্য বরাদ্দের ২৫ শতাংশের মতো বরাদ্দ দেওয়া হয়। এই অনুপাত আসন্ন অর্থবছরে ৩০ শতাংশ এবং মধ্য মেয়াদে ৩৫ থেকে ৪০ শতাংশ করতে হবে।’
ড. আতিউর রহমান আরও বলেন, ‘বর্তমানে বিনা মূল্যে ওষুধ সরবরাহের জন্য যে বরাদ্দ আছে তা তিন গুন করা গেলে মোট স্বাস্থ্য ব্যয়ে নাগরিকদের নিজস্ব খরচ ৬৮ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫৮ শতাংশের নিচে নেওয়া সম্ভব। জিডিপির মাত্র ২.৩ শতাংশ যাচ্ছে কারেন্ট হেলথ এক্সপেন্ডিচার হিসেবে। এই অনুপাত পুরো দক্ষিণ এশিয়ায় সর্বনিম্ন। বাংলাদেশে মাথাপিছু কারেন্ট হেলথ এক্সপেন্ডিচার ৪৫ ডলার অথচ নেপালে ৫৮ ডলার, ভারতে ৭৩ ডলার, ভুটানে ১০৩ ডলার এবং শ্রীলঙ্কায় ১৫৭ ডলার।’
সম্প্রতি প্রকাশিত বাংলাদেশ ন্যাশনাল হেলথ অ্যাকাউন্টস-এর প্রতিবেদনে দেখা গেছে, মোট স্বাস্থ্য ব্যয়ের ৬৮ শতাংশ আসছে নাগরিকদের পকেট থেকে। আর সরকারের কাছ থেকে আসছে ২৩ শতাংশ। প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা বাবদ ব্যয় বাড়ানো গেলে নাগরিকদের ওপর স্বাস্থ্য ব্যয়ের চাপ উল্লেখযোগ্য মাত্রায় কমানো সম্ভব বলেও জানান তিনি।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান বলেন, ‘নানা প্রতিবন্ধকতা থাকার পরও অল্প সময়ের মধ্যে দেশের ৮০ শতাংশ মানুষের জন্য করোনা টিকা নিশ্চিত করার মাধ্যমে সকল স্তরের মানুষের জন্য মান সম্মত স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে সরকারের সদিচ্ছা প্রতিফলিত হয়েছে।’
সংসদ সদস্য ডা. প্রাণ গোপাল দও তাঁর আলোচনায় দেশের বাজারে যে ওষুধ পাওয়া যায় তার গুণগত মান নিয়ন্ত্রণের জন্য ওষুধ প্রশাসনের সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং জাতীয় বাজেটে সর্বজনীন স্বাস্থ্য বিমার জন্য বরাদ্দ দেওয়ার আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ হেলথ ওয়াচের কনভেনর ড. মুশতাক রাজা চৌধুরী বলেন, ‘মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা বিশেষত প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা সর্বজনের জন্য সহজলভ্য করতে একটি জাতীয় কমিশন গঠন করার কথা ভাবা যায়।’
দেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠী তাঁদের আয়ের ৩৩ শতাংশ পর্যন্ত স্বাস্থ্যসেবা বাবদ ব্যয় করতে বাধ্য হয় উল্লেখ করে বিআইডিএস-এর সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ড. এস. এম. জুলফিকার আলি এই জনগোষ্ঠীর কথা বিবেচনায় রেখে স্বাস্থ্য বিমা কর্মসূচি চালু করার উদ্যোগ নিতে আহ্বান জানান।
সংসদ সদস্য ডা. রুহুল হক এবং ডা. হাবিবে মিল্লাত তাঁদের বক্তব্যে স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার দক্ষতা বাড়াতে এ খাতের বিকেন্দ্রীকরণের ওপর জোর দেন। এ ছাড়া স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ বিষয়ক সংসদীয় কমিটির সদস্য মো. আব্দুল আজিজ এমপি দেশের ৪৯৩টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চাহিদা মতো স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে ধাপে ধাপে এগুলোর আধুনিকায়নের পরামর্শ দেন।
অনলাইন আলোচনায় অংশ নেন ডা. সামিল উদ্দিন আহম্মেদ শিমুল, ডা. হাবিবে মিল্লাত, ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত, ডা. আ. ফ. ম রুহুল হক, মো আব্দুল আজিজ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান প্রমুখ।
আসন্ন ২০২২-২৩ অর্থবছরে মোট বাজেটের ৭ থেকে ৮ শতাংশ এবং মধ্য মেয়াদে ১০ থেকে ১২ শতাংশ স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ রাখা জরুরি। পাশাপাশি এই বাজেটে স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দের বড় অংশ প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবায় বরাদ্দ করতে হবে।
আজ বৃহস্পতিবার আসন্ন বাজেটকে সামনে রেখে বাংলাদেশ হেলথ ওয়াচ এবং উন্নয়ন সমন্বয়ের যৌথ আয়োজনে স্বাস্থ্য বাজেট বিষয়ক অনলাইন জাতীয় সংলাপে বক্তারা এসব দাবির কথা বলেন। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন উন্নয়ন সমন্বয়ের সভাপতি বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর অধ্যাপক ড. আতিউর রহমান।
ড. আতিউর রহমান বলেন, ‘স্বাস্থ্য খাতে গতানুগতিকভাবে মোট বাজেটের ৫ থেকে ৬ শতাংশ বরাদ্দ দেওয়ার প্রথা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। সচরাচর প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবায় মোট স্বাস্থ্য বরাদ্দের ২৫ শতাংশের মতো বরাদ্দ দেওয়া হয়। এই অনুপাত আসন্ন অর্থবছরে ৩০ শতাংশ এবং মধ্য মেয়াদে ৩৫ থেকে ৪০ শতাংশ করতে হবে।’
ড. আতিউর রহমান আরও বলেন, ‘বর্তমানে বিনা মূল্যে ওষুধ সরবরাহের জন্য যে বরাদ্দ আছে তা তিন গুন করা গেলে মোট স্বাস্থ্য ব্যয়ে নাগরিকদের নিজস্ব খরচ ৬৮ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫৮ শতাংশের নিচে নেওয়া সম্ভব। জিডিপির মাত্র ২.৩ শতাংশ যাচ্ছে কারেন্ট হেলথ এক্সপেন্ডিচার হিসেবে। এই অনুপাত পুরো দক্ষিণ এশিয়ায় সর্বনিম্ন। বাংলাদেশে মাথাপিছু কারেন্ট হেলথ এক্সপেন্ডিচার ৪৫ ডলার অথচ নেপালে ৫৮ ডলার, ভারতে ৭৩ ডলার, ভুটানে ১০৩ ডলার এবং শ্রীলঙ্কায় ১৫৭ ডলার।’
সম্প্রতি প্রকাশিত বাংলাদেশ ন্যাশনাল হেলথ অ্যাকাউন্টস-এর প্রতিবেদনে দেখা গেছে, মোট স্বাস্থ্য ব্যয়ের ৬৮ শতাংশ আসছে নাগরিকদের পকেট থেকে। আর সরকারের কাছ থেকে আসছে ২৩ শতাংশ। প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা বাবদ ব্যয় বাড়ানো গেলে নাগরিকদের ওপর স্বাস্থ্য ব্যয়ের চাপ উল্লেখযোগ্য মাত্রায় কমানো সম্ভব বলেও জানান তিনি।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান বলেন, ‘নানা প্রতিবন্ধকতা থাকার পরও অল্প সময়ের মধ্যে দেশের ৮০ শতাংশ মানুষের জন্য করোনা টিকা নিশ্চিত করার মাধ্যমে সকল স্তরের মানুষের জন্য মান সম্মত স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে সরকারের সদিচ্ছা প্রতিফলিত হয়েছে।’
সংসদ সদস্য ডা. প্রাণ গোপাল দও তাঁর আলোচনায় দেশের বাজারে যে ওষুধ পাওয়া যায় তার গুণগত মান নিয়ন্ত্রণের জন্য ওষুধ প্রশাসনের সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং জাতীয় বাজেটে সর্বজনীন স্বাস্থ্য বিমার জন্য বরাদ্দ দেওয়ার আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ হেলথ ওয়াচের কনভেনর ড. মুশতাক রাজা চৌধুরী বলেন, ‘মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা বিশেষত প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা সর্বজনের জন্য সহজলভ্য করতে একটি জাতীয় কমিশন গঠন করার কথা ভাবা যায়।’
দেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠী তাঁদের আয়ের ৩৩ শতাংশ পর্যন্ত স্বাস্থ্যসেবা বাবদ ব্যয় করতে বাধ্য হয় উল্লেখ করে বিআইডিএস-এর সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ড. এস. এম. জুলফিকার আলি এই জনগোষ্ঠীর কথা বিবেচনায় রেখে স্বাস্থ্য বিমা কর্মসূচি চালু করার উদ্যোগ নিতে আহ্বান জানান।
সংসদ সদস্য ডা. রুহুল হক এবং ডা. হাবিবে মিল্লাত তাঁদের বক্তব্যে স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার দক্ষতা বাড়াতে এ খাতের বিকেন্দ্রীকরণের ওপর জোর দেন। এ ছাড়া স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ বিষয়ক সংসদীয় কমিটির সদস্য মো. আব্দুল আজিজ এমপি দেশের ৪৯৩টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চাহিদা মতো স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে ধাপে ধাপে এগুলোর আধুনিকায়নের পরামর্শ দেন।
অনলাইন আলোচনায় অংশ নেন ডা. সামিল উদ্দিন আহম্মেদ শিমুল, ডা. হাবিবে মিল্লাত, ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত, ডা. আ. ফ. ম রুহুল হক, মো আব্দুল আজিজ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান প্রমুখ।
দেশে মস্তিষ্কের ক্ষয়জনিত রোগ ডিমেনশিয়ায় আক্রান্তদের মধ্যে দুই তৃতীয়াংশ নারী। এই রোগটি ধারাবাহিকভাবে বেড়েই চলছে। অথচ তা নিয়ে তেমন উদ্যোগ চোখে পড়ছে না। সামাজিকভাবে সচেতনতা গড়ে তুলতে না পারলে রোগটির বিস্তার আরও ভয়াবহ হতে পারে।
২ দিন আগেরোগে-শোকে মানুষকে প্রতিনিয়ত কিছু না কিছু ওষুধ খেতে হয়। নিত্যপণ্যের এই ঊর্ধ্বগতির বাজারে যেখানে সাধারণ মানুষের তিনবেলা আহারের জোগান দেওয়াই কষ্টকর, সেখানে জীবন রক্ষার জন্য দ্বিগুণ-তিনগুণ দামে ওধুষ কিনতে গিয়ে জীবন আরও ওষ্ঠাগত। দেশে এখন নিম্নআয়ের ৪০ শতাংশ মানুষের মোট আয়ের ২০ শতাংশ খরচ হচ্ছে ওষুধ কিনতেই।
৩ দিন আগেদেশে মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা না থাকায় ও ডাক্তারের ওপর আস্থা না থাকায় বিদেশে চিকিৎসা নিতে প্রতিবছর দেশের মানুষ ৪ বিলিয়ন ডলার খরচ করছে। স্বাস্থ্যেসেবার উন্নয়ন না হলে এর পরিমাণ দিন দিন আরও বাড়বে।
৩ দিন আগেআমাদের দেশে শীত উপভোগ্য মৌসুম। কিন্তু অনেকের ঠান্ডা, কাশি, জ্বর, গলাব্যথা, অ্যালার্জির মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। আবার শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা যাদের আছে, তাদের এই মৌসুমে কষ্ট বেড়ে যায়।
৪ দিন আগে