নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দেশে প্রথমবারের মতো আজ মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়েছে করোনার চতুর্থ ডোজের টিকাদান কর্মসূচি। প্রথম দফায় দীর্ঘমেয়াদি রোগে আক্রান্তসহ পাঁচ বৈশিষ্ট্যের ৮০ লাখের বেশি মানুষকে এই টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সরকার। কিন্তু সাড়া মিলেছে একেবারে কম। প্রায় প্রতিটি কেন্দ্র ফাঁকা।
আজ সকাল সাড়ে ৯টায় রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।
তবে রাজধানীর কয়েকটি কেন্দ্র ঘুরে মানুষের উপস্থিতি কম দেখা গেছে। জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে সকাল ৯টায় শুরু হয়েছে টিকাদান কার্যক্রম। বেলা ১১টা পর্যন্ত দুই ঘণ্টায় চতুর্থ ডোজ নিয়েছেন চারজন।
কম উপস্থিতির কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে টিকা বিতরণ কর্মসূচির সদস্যসচিব ডা. শামসুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কেবল তো শুরু হলো। এখন মানুষ জানবে, কেউ ছুটির দিনে নেবে। দু-একদিন পরই বাড়তে থাকবে। আর সবাইকে তো দেওয়াও হবে না। অনেকে নিতেও চাইবে না। আমরা ক্যাটাগরি ভাগ করে দিয়েছি, সে অনুযায়ী ৮০ লাখ মানুষকে দেওয়া হবে। এক্ষেত্রে গণমাধ্যমকে আরও এগিয়ে আসা উচিত।’
টিকাদানে দায়িত্বরত তিনজন নার্স আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রচারণা মাসের শুরু থেকে চললেও আজ যে শুরু হয়েছে, সেটা হয়তো অনেকের জানা নেই। আর কাউকে এসএমএসও দেওয়া হয়নি। তাই কিছুটা কম। ধীরে ধীরে লোক বাড়বে আশা করছি।’
আগের তিন ডোজ কার্যক্রমের শুরুতে উপচে পড়া ভিড় থাকত শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতালে। কিন্তু চতুর্থ ডোজের বেলায় উল্টো চিত্র দেখা যাচ্ছে। কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায় একেবারে ফাঁকা। টিকা গ্রহীতার অপেক্ষায় বসে আছেন দুই নার্স। বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত আড়াই ঘণ্টায় মাত্র দুজন চতুর্থ ডোজের টিকা নিয়েছেন।
কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা নার্স ইনচার্জ মুরশিদা আক্তার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অন্যান্য সময় নতুন ডোজ শুরু হলেই লোকজনের ভিড় থাকে। কিন্তু এবার কেন জানি লোকজন আসছে না। না জানার কারণে, নাকি আগ্রহ নেই, বোঝা যাচ্ছে না। ভেবেছিলাম অন্তত ২০০-৩০০ জন হবে। কিন্তু সকাল থেকে এখন পর্যন্ত মাত্র একজন পুরুষ ব্যক্তি চতুর্থ ডোজ নিয়েছেন। এভাবে হলে তো সারা দিনে ৮০ জনও হবে না।’
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, রাজধানীসহ দেশের সব টিকাদান কেন্দ্রে নিয়মিত টিকাদানের অংশ হিসেবেই চলবে দ্বিতীয় বুস্টার ডোজ বা চতুর্থ ডোজ প্রদানের কার্যক্রম।
প্রথম বুস্টার নেওয়ার চার মাস পূর্ণ হয়েছে এমন ৬০ বছর বা তদূর্ধ্ব বয়সী সব জনগোষ্ঠী, দীর্ঘমেয়াদি রোগে আক্রান্ত ১৮ বছর বা তদূর্ধ্ব বয়সী জনগোষ্ঠী, স্বল্প রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন জনগোষ্ঠী, গর্ভবতী নারী ও দুগ্ধদানকারী মা এবং করোনা অতিমারির সময় সামনে থেকে লড়াই করা চিকিৎসক, নার্স, পুলিশ, গণমাধ্যমকর্মী থেকে শুরু করে সরকারি সব প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা চতুর্থ ডোজ টিকা পাবেন।
এদিকে আজ সকালে চতুর্থ ডোজ টিকাদান কার্যক্রমের উদ্বোধনের সময় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) আহমেদুল কবির বলেন, ‘পরীক্ষামূলকভাবে ৪৬০ জনকে চতুর্থ ডোজ দেওয়া হয়েছে। আর আজ থেকে সারা দেশে এই কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে সম্মুখ সারির যোদ্ধা ও গর্ভবতী মায়েরা অগ্রাধিকার পাবেন।’
আহমেদুল কবির আরও বলেন, ‘টিকার অ্যান্টিবডি বেশি দিন থাকে না। তাই চতুর্থ ডোজ দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই মুহূর্তে এই ডোজ টিকা নেওয়ার মতো টিকা গ্রহীতার সংখ্যা ৪ কোটির মতো। তবে আপাতত আমরা পাঁচ ক্যাটাগরিতে ৮০ লাখ মানুষকে দ্বিতীয় বুস্টার দেব। আজ অনেকেই নিয়েছেন। আমরা ব্যাপক জনগোষ্ঠীকে টিকার আওতায় আনতে চাই।’
এ সময় টিকা বিতরণ কর্মসূচির সদস্যসচিব ডা. শামসুল হক বলেন, ‘ইতিমধ্যে আমরা ১৫ কোটি মানুষকে প্রথম ডোজ, সাড়ে ১২ কোটি মানুষকে দ্বিতীয় ডোজ এবং সাড়ে ৬ কোটি মানুষকে প্রথম বুস্টার বা তৃতীয় ডোজের টিকা দিয়েছি। এখনো আমাদের কাছে ১ কোটি ৩৩ লাখ টিকা আছে। মন্ত্রী মহোদয় টিকার ব্যাপারে কনসার্ন আছেন।’
টিকার সংকট নেই জানিয়ে তিনি বলেন, ‘যেই টিকা আছে, এগুলো শেষ হলে আবারও টিকা আসবে। ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে সাড়ে ১১ কোটি মানুষ আছে। পর্যায়ক্রমে আমরা সবাইকেই সেকেন্ড বুস্টার ডোজ দেব।’
আরও পড়ুন:
দেশে প্রথমবারের মতো আজ মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়েছে করোনার চতুর্থ ডোজের টিকাদান কর্মসূচি। প্রথম দফায় দীর্ঘমেয়াদি রোগে আক্রান্তসহ পাঁচ বৈশিষ্ট্যের ৮০ লাখের বেশি মানুষকে এই টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সরকার। কিন্তু সাড়া মিলেছে একেবারে কম। প্রায় প্রতিটি কেন্দ্র ফাঁকা।
আজ সকাল সাড়ে ৯টায় রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।
তবে রাজধানীর কয়েকটি কেন্দ্র ঘুরে মানুষের উপস্থিতি কম দেখা গেছে। জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে সকাল ৯টায় শুরু হয়েছে টিকাদান কার্যক্রম। বেলা ১১টা পর্যন্ত দুই ঘণ্টায় চতুর্থ ডোজ নিয়েছেন চারজন।
কম উপস্থিতির কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে টিকা বিতরণ কর্মসূচির সদস্যসচিব ডা. শামসুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কেবল তো শুরু হলো। এখন মানুষ জানবে, কেউ ছুটির দিনে নেবে। দু-একদিন পরই বাড়তে থাকবে। আর সবাইকে তো দেওয়াও হবে না। অনেকে নিতেও চাইবে না। আমরা ক্যাটাগরি ভাগ করে দিয়েছি, সে অনুযায়ী ৮০ লাখ মানুষকে দেওয়া হবে। এক্ষেত্রে গণমাধ্যমকে আরও এগিয়ে আসা উচিত।’
টিকাদানে দায়িত্বরত তিনজন নার্স আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রচারণা মাসের শুরু থেকে চললেও আজ যে শুরু হয়েছে, সেটা হয়তো অনেকের জানা নেই। আর কাউকে এসএমএসও দেওয়া হয়নি। তাই কিছুটা কম। ধীরে ধীরে লোক বাড়বে আশা করছি।’
আগের তিন ডোজ কার্যক্রমের শুরুতে উপচে পড়া ভিড় থাকত শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতালে। কিন্তু চতুর্থ ডোজের বেলায় উল্টো চিত্র দেখা যাচ্ছে। কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায় একেবারে ফাঁকা। টিকা গ্রহীতার অপেক্ষায় বসে আছেন দুই নার্স। বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত আড়াই ঘণ্টায় মাত্র দুজন চতুর্থ ডোজের টিকা নিয়েছেন।
কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা নার্স ইনচার্জ মুরশিদা আক্তার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অন্যান্য সময় নতুন ডোজ শুরু হলেই লোকজনের ভিড় থাকে। কিন্তু এবার কেন জানি লোকজন আসছে না। না জানার কারণে, নাকি আগ্রহ নেই, বোঝা যাচ্ছে না। ভেবেছিলাম অন্তত ২০০-৩০০ জন হবে। কিন্তু সকাল থেকে এখন পর্যন্ত মাত্র একজন পুরুষ ব্যক্তি চতুর্থ ডোজ নিয়েছেন। এভাবে হলে তো সারা দিনে ৮০ জনও হবে না।’
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, রাজধানীসহ দেশের সব টিকাদান কেন্দ্রে নিয়মিত টিকাদানের অংশ হিসেবেই চলবে দ্বিতীয় বুস্টার ডোজ বা চতুর্থ ডোজ প্রদানের কার্যক্রম।
প্রথম বুস্টার নেওয়ার চার মাস পূর্ণ হয়েছে এমন ৬০ বছর বা তদূর্ধ্ব বয়সী সব জনগোষ্ঠী, দীর্ঘমেয়াদি রোগে আক্রান্ত ১৮ বছর বা তদূর্ধ্ব বয়সী জনগোষ্ঠী, স্বল্প রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন জনগোষ্ঠী, গর্ভবতী নারী ও দুগ্ধদানকারী মা এবং করোনা অতিমারির সময় সামনে থেকে লড়াই করা চিকিৎসক, নার্স, পুলিশ, গণমাধ্যমকর্মী থেকে শুরু করে সরকারি সব প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা চতুর্থ ডোজ টিকা পাবেন।
এদিকে আজ সকালে চতুর্থ ডোজ টিকাদান কার্যক্রমের উদ্বোধনের সময় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) আহমেদুল কবির বলেন, ‘পরীক্ষামূলকভাবে ৪৬০ জনকে চতুর্থ ডোজ দেওয়া হয়েছে। আর আজ থেকে সারা দেশে এই কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে সম্মুখ সারির যোদ্ধা ও গর্ভবতী মায়েরা অগ্রাধিকার পাবেন।’
আহমেদুল কবির আরও বলেন, ‘টিকার অ্যান্টিবডি বেশি দিন থাকে না। তাই চতুর্থ ডোজ দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই মুহূর্তে এই ডোজ টিকা নেওয়ার মতো টিকা গ্রহীতার সংখ্যা ৪ কোটির মতো। তবে আপাতত আমরা পাঁচ ক্যাটাগরিতে ৮০ লাখ মানুষকে দ্বিতীয় বুস্টার দেব। আজ অনেকেই নিয়েছেন। আমরা ব্যাপক জনগোষ্ঠীকে টিকার আওতায় আনতে চাই।’
এ সময় টিকা বিতরণ কর্মসূচির সদস্যসচিব ডা. শামসুল হক বলেন, ‘ইতিমধ্যে আমরা ১৫ কোটি মানুষকে প্রথম ডোজ, সাড়ে ১২ কোটি মানুষকে দ্বিতীয় ডোজ এবং সাড়ে ৬ কোটি মানুষকে প্রথম বুস্টার বা তৃতীয় ডোজের টিকা দিয়েছি। এখনো আমাদের কাছে ১ কোটি ৩৩ লাখ টিকা আছে। মন্ত্রী মহোদয় টিকার ব্যাপারে কনসার্ন আছেন।’
টিকার সংকট নেই জানিয়ে তিনি বলেন, ‘যেই টিকা আছে, এগুলো শেষ হলে আবারও টিকা আসবে। ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে সাড়ে ১১ কোটি মানুষ আছে। পর্যায়ক্রমে আমরা সবাইকেই সেকেন্ড বুস্টার ডোজ দেব।’
আরও পড়ুন:
ক্যানসারের টিকা নিয়ে সুখবর দিচ্ছে রাশিয়া। দেশটির গামালিয়া রিসার্চ ইনস্টিটিউট জানিয়েছে, তারা চলতি বছরের গ্রীষ্মে ক্যানসারের টিকার অনুমোদন পাবে। আগামী সেপ্টেম্বরে এই টিকা রোগীদের দেওয়া শুরু হতে পারে।
২ দিন আগেস্বাস্থ্যসেবাকে জনমুখী করার জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কারের প্রস্তাব দিতে গঠিত সংস্কার কমিশন ওষুধের প্রাপ্যতা, চিকিৎসা শিক্ষার মান ও স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাপনার ওপর বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। কমিশন ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি তাদের প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টার কাছে জমা দেবে।
৪ দিন আগেশিশুদের কানে ব্যথা হওয়ার বিভিন্ন কারণ রয়েছে। সাধারণত ৬ থেকে ১৮ মাসের মধ্যে কানের সংক্রমণ বেশি হতে দেখা যায়। তিন বছরের কম বয়সী শতকরা ৩০ ভাগ শিশু কোনো না কোনো কারণে কানে ব্যথায় ভুগে থাকে।
৬ দিন আগেদিন দিন ডিমেনশিয়া রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। সেই সঙ্গে বাড়ছে এর চিকিৎসাপদ্ধতি এবং ওষুধ সহজলভ্য করার বিভিন্ন গবেষণা। এবার স্কটল্যান্ডের গবেষকেরা তৈরি করেছেন একটি বিশেষ এআই টুল। এটি চোখ পরীক্ষার মাধ্যমে ডিমেনশিয়ার প্রাথমিক লক্ষণগুলো শনাক্ত করতে সাহায্য করবে।
৬ দিন আগে