ডা. মাজহারুল হক তানিম
গত দেড় বছরে চিকিৎসাসেবা নেওয়া ও দেওয়ার ধরন পাল্টেছে। কোভিড-১৯-এর কারণে অনেকে সরাসরি হাসপাতালে বা চিকিৎসকের কাছে যেতে ভয় পাচ্ছেন।
অনলাইনে এখন যেহেতু কেনাকাটা, পড়াশোনাসহ সব কাজ করা যাচ্ছে, তাহলে চিকিৎসাসেবা কেন নয়? এ থেকে আমাদের মাথায় আসে ভার্চুয়াল ক্লিনিক বা অনলাইনে চিকিৎসা দেওয়া বা চিকিৎসার পরামর্শ দেওয়ার চিন্তা।
চিকিৎসক ও পুষ্টিবিদেরা নিজেদের এবং রোগীদের সুরক্ষার কথা চিন্তা করে অনলাইনে ভিডিও কলের মাধ্যমে সেবা দিচ্ছেন এখন। চিকিৎসকের পরামর্শ ও রিপোর্ট দেখার কাজ এখন মোবাইলেই
করা যাচ্ছে।
রোগী দেখার প্রক্রিয়া
প্রথমে ফোন দিয়ে চিকিৎসকের অ্যাপে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নেন রোগী। মোবাইল ব্যাংকিং বা অন্য অনলাইন ব্যাংকিং ব্যবস্থায় টাকা পাঠানোর মাধ্যমে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিশ্চিত করতে হয়। চিকিৎসকের দেওয়া সময় অনুযায়ী, রোগীরা ভিডিও কলে তাঁদের সঙ্গে কথা বলেন। চিকিৎসকেরা তাঁদের সমস্যাগুলো শোনেন এবং সেই অনুসারে পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
টেস্ট বা রিপোর্ট কীভাবে দেখানো যায়
যে টেস্টগুলো করতে হবে তা প্রেসক্রিপশনে লিখে দেন চিকিৎসক। রোগী তাঁর নিকটস্থ ভালো কোনো ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে নির্দিষ্ট টেস্টগুলো করান। রিপোর্টগুলো হোয়াটসঅ্যাপ বা ইমোর মাধ্যমে চিকিৎসকের কাছে পাঠান। চিকিৎসক সেই রিপোর্ট দেখে রোগীকে চূড়ান্ত প্রেসক্রিপশন দেন এবং ফলোআপের তারিখ জানিয়ে দেন।
সুবিধা
অনলাইনে রোগী দেখার সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে:
অসুবিধা
প্রতিটি নতুন নিয়মের কিছু সমস্যা থাকে। আবার সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সমস্যাগুলো দূর হয়ে যায়। ভার্চুয়ালি চিকিৎসায় যেসব জায়গায় রোগীর তাৎক্ষণিক কিছু তথ্য দরকার, সেগুলো পাওয়ার সুবিধা নেই।
যেমন পালস রেট, জ্বরের তাপমাত্রা, রক্তচাপ মাপানোর সুযোগ, যেগুলো চিকিৎসকেরা চিকিৎসার জন্যই করতেন, সেগুলো অনলাইনের মাধ্যমে চিকিৎসায় সম্ভব নয়। এ ছাড়া চিকিৎসক এবং রোগীর নির্ভরশীলতার যে মানসিক সম্পর্ক, সেগুলো অনেকাংশে ভার্চুয়াল চিকিৎসায় সম্ভব না-ও হতে পারে। যেমন রোগীদের রোগ প্রতিরোধে মানসিকভাবে উদ্দীপ্ত করা। ভার্চুয়ালি চিকিৎসার মূল মাধ্যম ইন্টারনেট ও ভালো মানের ডিভাইস। এগুলো সবার যে কেনার ক্ষমতা থাকবে, সে রকম না-ও হতে পারে।
রোগী দেখার ডিভাইস
অনলাইনে রোগী দেখার জন্য উচ্চগতির ইন্টারনেট ও হাই রেজল্যুশন ক্যামেরাসম্পন্ন মোবাইল প্রয়োজন। অনেকে অ্যাপের মাধ্যমে রোগী দেখেন। অনেকে আবার অ্যাপ ছাড়াই ইমো ও ম্যাসেঞ্জারের মাধ্যমে রোগী দেখেন।
যাঁরা এ সেবা পাচ্ছেন
শহর-গ্রাম সব জায়গার মানুষই এ সেবা নিচ্ছেন। যাঁরা শহর থেকে দূরে থাকেন, বড় শহরে আসতে পারছেন না, তাঁরা অনলাইনে সেবা নিচ্ছেন। বয়স্করাও কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি এড়াতে অনলাইনে সেবা নিচ্ছেন। গর্ভবতী যাঁরা হাসপাতালে আসতে পারছেন না, তাঁরাও অনলাইনে ফলোআপ সেরে ফেলছেন। সবকিছুরই ভালো-মন্দ দুটি দিক আছে, সুবিধা-অসুবিধা আছে। অনলাইনে রোগী দেখাও এর ব্যতিক্রম নয়। অনলাইন চিকিৎসাসেবার প্রসারের সঙ্গে সঙ্গে এর অসুবিধাগুলোও ধীরে ধীরে দূর হবে।
লেখক: হরমোন ও থাইরয়েড বিশেষজ্ঞ, ডা. সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ
গত দেড় বছরে চিকিৎসাসেবা নেওয়া ও দেওয়ার ধরন পাল্টেছে। কোভিড-১৯-এর কারণে অনেকে সরাসরি হাসপাতালে বা চিকিৎসকের কাছে যেতে ভয় পাচ্ছেন।
অনলাইনে এখন যেহেতু কেনাকাটা, পড়াশোনাসহ সব কাজ করা যাচ্ছে, তাহলে চিকিৎসাসেবা কেন নয়? এ থেকে আমাদের মাথায় আসে ভার্চুয়াল ক্লিনিক বা অনলাইনে চিকিৎসা দেওয়া বা চিকিৎসার পরামর্শ দেওয়ার চিন্তা।
চিকিৎসক ও পুষ্টিবিদেরা নিজেদের এবং রোগীদের সুরক্ষার কথা চিন্তা করে অনলাইনে ভিডিও কলের মাধ্যমে সেবা দিচ্ছেন এখন। চিকিৎসকের পরামর্শ ও রিপোর্ট দেখার কাজ এখন মোবাইলেই
করা যাচ্ছে।
রোগী দেখার প্রক্রিয়া
প্রথমে ফোন দিয়ে চিকিৎসকের অ্যাপে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নেন রোগী। মোবাইল ব্যাংকিং বা অন্য অনলাইন ব্যাংকিং ব্যবস্থায় টাকা পাঠানোর মাধ্যমে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিশ্চিত করতে হয়। চিকিৎসকের দেওয়া সময় অনুযায়ী, রোগীরা ভিডিও কলে তাঁদের সঙ্গে কথা বলেন। চিকিৎসকেরা তাঁদের সমস্যাগুলো শোনেন এবং সেই অনুসারে পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
টেস্ট বা রিপোর্ট কীভাবে দেখানো যায়
যে টেস্টগুলো করতে হবে তা প্রেসক্রিপশনে লিখে দেন চিকিৎসক। রোগী তাঁর নিকটস্থ ভালো কোনো ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে নির্দিষ্ট টেস্টগুলো করান। রিপোর্টগুলো হোয়াটসঅ্যাপ বা ইমোর মাধ্যমে চিকিৎসকের কাছে পাঠান। চিকিৎসক সেই রিপোর্ট দেখে রোগীকে চূড়ান্ত প্রেসক্রিপশন দেন এবং ফলোআপের তারিখ জানিয়ে দেন।
সুবিধা
অনলাইনে রোগী দেখার সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে:
অসুবিধা
প্রতিটি নতুন নিয়মের কিছু সমস্যা থাকে। আবার সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সমস্যাগুলো দূর হয়ে যায়। ভার্চুয়ালি চিকিৎসায় যেসব জায়গায় রোগীর তাৎক্ষণিক কিছু তথ্য দরকার, সেগুলো পাওয়ার সুবিধা নেই।
যেমন পালস রেট, জ্বরের তাপমাত্রা, রক্তচাপ মাপানোর সুযোগ, যেগুলো চিকিৎসকেরা চিকিৎসার জন্যই করতেন, সেগুলো অনলাইনের মাধ্যমে চিকিৎসায় সম্ভব নয়। এ ছাড়া চিকিৎসক এবং রোগীর নির্ভরশীলতার যে মানসিক সম্পর্ক, সেগুলো অনেকাংশে ভার্চুয়াল চিকিৎসায় সম্ভব না-ও হতে পারে। যেমন রোগীদের রোগ প্রতিরোধে মানসিকভাবে উদ্দীপ্ত করা। ভার্চুয়ালি চিকিৎসার মূল মাধ্যম ইন্টারনেট ও ভালো মানের ডিভাইস। এগুলো সবার যে কেনার ক্ষমতা থাকবে, সে রকম না-ও হতে পারে।
রোগী দেখার ডিভাইস
অনলাইনে রোগী দেখার জন্য উচ্চগতির ইন্টারনেট ও হাই রেজল্যুশন ক্যামেরাসম্পন্ন মোবাইল প্রয়োজন। অনেকে অ্যাপের মাধ্যমে রোগী দেখেন। অনেকে আবার অ্যাপ ছাড়াই ইমো ও ম্যাসেঞ্জারের মাধ্যমে রোগী দেখেন।
যাঁরা এ সেবা পাচ্ছেন
শহর-গ্রাম সব জায়গার মানুষই এ সেবা নিচ্ছেন। যাঁরা শহর থেকে দূরে থাকেন, বড় শহরে আসতে পারছেন না, তাঁরা অনলাইনে সেবা নিচ্ছেন। বয়স্করাও কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি এড়াতে অনলাইনে সেবা নিচ্ছেন। গর্ভবতী যাঁরা হাসপাতালে আসতে পারছেন না, তাঁরাও অনলাইনে ফলোআপ সেরে ফেলছেন। সবকিছুরই ভালো-মন্দ দুটি দিক আছে, সুবিধা-অসুবিধা আছে। অনলাইনে রোগী দেখাও এর ব্যতিক্রম নয়। অনলাইন চিকিৎসাসেবার প্রসারের সঙ্গে সঙ্গে এর অসুবিধাগুলোও ধীরে ধীরে দূর হবে।
লেখক: হরমোন ও থাইরয়েড বিশেষজ্ঞ, ডা. সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ
দেশে মস্তিষ্কের ক্ষয়জনিত রোগ ডিমেনশিয়ায় আক্রান্তদের মধ্যে দুই তৃতীয়াংশ নারী। এই রোগটি ধারাবাহিকভাবে বেড়েই চলছে। অথচ তা নিয়ে তেমন উদ্যোগ চোখে পড়ছে না। সামাজিকভাবে সচেতনতা গড়ে তুলতে না পারলে রোগটির বিস্তার আরও ভয়াবহ হতে পারে।
১১ ঘণ্টা আগেরোগে-শোকে মানুষকে প্রতিনিয়ত কিছু না কিছু ওষুধ খেতে হয়। নিত্যপণ্যের এই ঊর্ধ্বগতির বাজারে যেখানে সাধারণ মানুষের তিনবেলা আহারের জোগান দেওয়াই কষ্টকর, সেখানে জীবন রক্ষার জন্য দ্বিগুণ-তিনগুণ দামে ওধুষ কিনতে গিয়ে জীবন আরও ওষ্ঠাগত। দেশে এখন নিম্নআয়ের ৪০ শতাংশ মানুষের মোট আয়ের ২০ শতাংশ খরচ হচ্ছে ওষুধ কিনতেই।
২ দিন আগেদেশে মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা না থাকায় ও ডাক্তারের ওপর আস্থা না থাকায় বিদেশে চিকিৎসা নিতে প্রতিবছর দেশের মানুষ ৪ বিলিয়ন ডলার খরচ করছে। স্বাস্থ্যেসেবার উন্নয়ন না হলে এর পরিমাণ দিন দিন আরও বাড়বে।
২ দিন আগেআমাদের দেশে শীত উপভোগ্য মৌসুম। কিন্তু অনেকের ঠান্ডা, কাশি, জ্বর, গলাব্যথা, অ্যালার্জির মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। আবার শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা যাদের আছে, তাদের এই মৌসুমে কষ্ট বেড়ে যায়।
৩ দিন আগে