স্বাস্থ্য ডেস্ক
রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কীভাবে বাড়ানো যায়, এটি এখন বেশ চর্চার বিষয়। রোগ প্রতিরোধক্ষমতা একটি সামগ্রিক বিষয়। কিছু খাবার সেটি বাড়াতে সহায়তা করে।
পেঁপে
ভিটামিন সি সমৃদ্ধ এই ফলে আছে পেপেইনস নামের এনজাইম। এটি প্রদাহ প্রতিরোধী হিসেবে কাজ করে। এতে রয়েছে পটাশিয়াম, ভিটামিন বি ও ফোলেট। এ ছাড়া পেঁপে সাধারণ স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভালো।
ডিম
ডিমে প্রচুর পরিমাণে জিংক থাকে। এ উপাদান শরীরে ক্ষতিকর জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াই করতে সহায়তা করে। এতে আছে ওমেগা-৩। এটি বিশেষ ধরনের পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড। শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় ভালো চর্বির জোগান দেয় ওমেগা-৩। ২টি ডিম একজন মানুষের দৈনিক ভিটামিন ডির চাহিদার ৮২, ফোলেটের ৫০, রিবোফ্লাভিন বা ভিটামিন বি২-এর ২৫ ও সেলেনিয়ামের ৪০ শতাংশ পূরণ করে। ডিমে আছে ভিটামিন এ, ই, বি৫, বি১২, আয়রন, আয়োডিন ও ফসফরাস। স্বাস্থ্যকর ও সুষম উপাদানের দারুণ সমন্বয়ের কারণে ডিম শরীরের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়।
গাজর
গাজর বিটাক্যারোটিনসমৃদ্ধ সবজি, যা প্রাকৃতিকভাবেই রোগ-জীবাণু সংক্রমণের হাত থেকে শরীর রক্ষা করে। এটি রোগের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের উপকারী শ্বেতকণিকা উৎপাদনে সাহায্য করে। এতে প্রচুর ভিটামিন, খনিজ এবং অন্যান্য উপাদান রয়েছে। গাজরের জুসও এ ক্ষেত্রে সহায়তা করে। এতে ভিটামিন ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের খনিজ, পটাশিয়াম, ফসফরাস ইত্যাদি থাকে, যা হাড়ের গঠন, নার্ভ সিস্টেমকে শক্তিশালী করা এবং মস্তিষ্কের ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে।
গ্রিন টি
গ্রিন টির অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট শরীরের রোগ প্রতিরোধক্ষমতাকে উন্নত করতে সহায়তা করে। এর অ্যামাইনো অ্যাসিড এল-থেনাইন শ্বেত রক্তকণিকা উৎপাদনে ভূমিকা রাখে। গ্রিন টির উপাদান মস্তিষ্কের জন্যও উপকারী। এটি স্মৃতিশক্তির উন্নতি ঘটায় এবং এতে থাকা থিয়ানিন নামের অ্যামাইনো অ্যাসিড অবসাদ বা ডিপ্রেশন কমাতে ভূমিকা রাখে।
তরমুজ
এতে রয়েছে পটাশিয়াম, ভিটামিন এ, সি ও বি এবং গ্লুটাথিয়ন। এগুলো শরীরের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে। তরমুজে প্রচুর পরিমাণে পানি, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, পুষ্টি উপাদান ও আঁশ রয়েছে। এগুলো স্বাস্থ্যের জন্য খুব উপকারী। তরমুজ ক্ষুধা নিবারণ করে বলে ওজন কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এই ফলে ক্যালরি কম থাকে। এক কাপ তরমুজের রসে ৪৬ দশমিক ৫ ক্যালরি থাকে। এর মধ্যে রয়েছে ১২ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ১০ গ্রাম চিনি ও বাকি অংশ আঁশ।
আদা
অ্যাসিডিটির সমস্যা দূর করতে আদার জুড়ি নেই। এ ছাড়া গলাব্যথা, বুকে জমা কফ দূর করতে এবং সুস্থ থাকতে আদা নানাভাবে সহায়তা করে। এর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং প্রদাহরোধী বৈশিষ্ট্য রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে দারুণ কার্যকরী। জ্বর, ঠান্ডা লাগা ও ব্যথায় আদা উপকারী। এ ছাড়া এটি অতিরিক্ত ওজন কমাতে সাহায্য করে। বসন্ত রোগ ও হৃৎপিণ্ডের জন্যও আদা উপকারী। এক টুকরো আদা চিবিয়ে অথবা রস করে নিয়মিত খেলে হৃৎপিণ্ড ভালো থাকে।
টক দই
অন্ত্রের সুস্বাস্থ্য এবং রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে টক দই। ১ কাপ টক দইয়ে ২৭৫ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম থাকে। প্রতিদিন সকালে ১ কাপ টক দই খেলে তা হাড় মজবুত রাখতে ভূমিকা রাখে। এটি শুধু হাড় মজবুত করে না, এর ঘনত্ব বজায় রাখতেও সাহায্য করে। শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতেও সহায়তা করে টক দই।
সূত্র: এমএসএন ডট কম ও অস্ট্রেলিয়ান এগস
রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কীভাবে বাড়ানো যায়, এটি এখন বেশ চর্চার বিষয়। রোগ প্রতিরোধক্ষমতা একটি সামগ্রিক বিষয়। কিছু খাবার সেটি বাড়াতে সহায়তা করে।
পেঁপে
ভিটামিন সি সমৃদ্ধ এই ফলে আছে পেপেইনস নামের এনজাইম। এটি প্রদাহ প্রতিরোধী হিসেবে কাজ করে। এতে রয়েছে পটাশিয়াম, ভিটামিন বি ও ফোলেট। এ ছাড়া পেঁপে সাধারণ স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভালো।
ডিম
ডিমে প্রচুর পরিমাণে জিংক থাকে। এ উপাদান শরীরে ক্ষতিকর জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াই করতে সহায়তা করে। এতে আছে ওমেগা-৩। এটি বিশেষ ধরনের পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড। শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় ভালো চর্বির জোগান দেয় ওমেগা-৩। ২টি ডিম একজন মানুষের দৈনিক ভিটামিন ডির চাহিদার ৮২, ফোলেটের ৫০, রিবোফ্লাভিন বা ভিটামিন বি২-এর ২৫ ও সেলেনিয়ামের ৪০ শতাংশ পূরণ করে। ডিমে আছে ভিটামিন এ, ই, বি৫, বি১২, আয়রন, আয়োডিন ও ফসফরাস। স্বাস্থ্যকর ও সুষম উপাদানের দারুণ সমন্বয়ের কারণে ডিম শরীরের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়।
গাজর
গাজর বিটাক্যারোটিনসমৃদ্ধ সবজি, যা প্রাকৃতিকভাবেই রোগ-জীবাণু সংক্রমণের হাত থেকে শরীর রক্ষা করে। এটি রোগের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের উপকারী শ্বেতকণিকা উৎপাদনে সাহায্য করে। এতে প্রচুর ভিটামিন, খনিজ এবং অন্যান্য উপাদান রয়েছে। গাজরের জুসও এ ক্ষেত্রে সহায়তা করে। এতে ভিটামিন ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের খনিজ, পটাশিয়াম, ফসফরাস ইত্যাদি থাকে, যা হাড়ের গঠন, নার্ভ সিস্টেমকে শক্তিশালী করা এবং মস্তিষ্কের ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে।
গ্রিন টি
গ্রিন টির অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট শরীরের রোগ প্রতিরোধক্ষমতাকে উন্নত করতে সহায়তা করে। এর অ্যামাইনো অ্যাসিড এল-থেনাইন শ্বেত রক্তকণিকা উৎপাদনে ভূমিকা রাখে। গ্রিন টির উপাদান মস্তিষ্কের জন্যও উপকারী। এটি স্মৃতিশক্তির উন্নতি ঘটায় এবং এতে থাকা থিয়ানিন নামের অ্যামাইনো অ্যাসিড অবসাদ বা ডিপ্রেশন কমাতে ভূমিকা রাখে।
তরমুজ
এতে রয়েছে পটাশিয়াম, ভিটামিন এ, সি ও বি এবং গ্লুটাথিয়ন। এগুলো শরীরের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে। তরমুজে প্রচুর পরিমাণে পানি, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, পুষ্টি উপাদান ও আঁশ রয়েছে। এগুলো স্বাস্থ্যের জন্য খুব উপকারী। তরমুজ ক্ষুধা নিবারণ করে বলে ওজন কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এই ফলে ক্যালরি কম থাকে। এক কাপ তরমুজের রসে ৪৬ দশমিক ৫ ক্যালরি থাকে। এর মধ্যে রয়েছে ১২ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ১০ গ্রাম চিনি ও বাকি অংশ আঁশ।
আদা
অ্যাসিডিটির সমস্যা দূর করতে আদার জুড়ি নেই। এ ছাড়া গলাব্যথা, বুকে জমা কফ দূর করতে এবং সুস্থ থাকতে আদা নানাভাবে সহায়তা করে। এর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং প্রদাহরোধী বৈশিষ্ট্য রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে দারুণ কার্যকরী। জ্বর, ঠান্ডা লাগা ও ব্যথায় আদা উপকারী। এ ছাড়া এটি অতিরিক্ত ওজন কমাতে সাহায্য করে। বসন্ত রোগ ও হৃৎপিণ্ডের জন্যও আদা উপকারী। এক টুকরো আদা চিবিয়ে অথবা রস করে নিয়মিত খেলে হৃৎপিণ্ড ভালো থাকে।
টক দই
অন্ত্রের সুস্বাস্থ্য এবং রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে টক দই। ১ কাপ টক দইয়ে ২৭৫ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম থাকে। প্রতিদিন সকালে ১ কাপ টক দই খেলে তা হাড় মজবুত রাখতে ভূমিকা রাখে। এটি শুধু হাড় মজবুত করে না, এর ঘনত্ব বজায় রাখতেও সাহায্য করে। শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতেও সহায়তা করে টক দই।
সূত্র: এমএসএন ডট কম ও অস্ট্রেলিয়ান এগস
‘দেখতে দেখতে আমার বাবুটা বড় হয়ে গেল।’ এ বাক্য যেমন শিশুকে কোলে ধরে রাখতে না পারার আক্ষেপ, পাশাপাশি একটা নিশ্চয়তাও যে শিশু স্বাভাবিকভাবে বড় হয়ে উঠছে। শিশুরা দুরন্ত হবে, খেলায় মেতে থাকবে, আবদার করবে আর ‘দেখতে দেখতে’ বেড়ে উঠবে।
১৪ ঘণ্টা আগেএপ্রিল মাস এসে গেছে। তীব্র গরমের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে এবার। গরম একা আসে না, সঙ্গে কিছু অসুখ-বিসুখও নিয়ে আসে। এই গরমে যে যতই লেবুর শরবত আর ফ্যানের বাতাসে নিজেকে বাঁচাতে চান না কেন, রোগবালাই কিন্তু লুকিয়ে বসে আছে ঠিকই! তাই জানতে হবে গরমের বিশেষ পাঁচ রোগ এবং এর সমাধান।
১৪ ঘণ্টা আগেআমাদের চারপাশে ঘাপটি মেরে থাকা নীরব ঘাতক ধীরে ধীরে ক্ষতিগ্রস্ত করছে মানবস্বাস্থ্য। শব্দদূষণ বা অতিরিক্ত কোলাহল সেগুলোর মধ্যে অন্যতম। আর বিষয়টি আমরা খুব একটা পাত্তা দিই না। কিন্তু এটি হৃদ্রোগ, ডায়াবেটিস, এমনকি ডিমেনশিয়ার মতো রোগের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। গবেষণা বলছে, শুধু ইউরোপেই প্রতিবছর ১২ হাজার মানুষ
১৪ ঘণ্টা আগেশেষ হলো আনন্দের উৎসব। প্রচুর খাওয়াদাওয়া হলো। খেয়াল করলে দেখবেন, সেসব খাবারের বেশির ভাগই ছিল গুরুপাক, মিষ্টিজাতীয়, ভাজাপোড়া কিংবা রোস্ট করা খাবার। উৎসবের দিনে সেসব খাবার এক দিনের জন্য খেলে ঠিক আছে। কিন্তু সেই অভ্যাস প্রতিদিনের জন্য করা যাবে না। মসলাদার, ভারী খাবার শরীরের ওজন, কোলেস্টেরল বাড়ানোসহ
১৪ ঘণ্টা আগে