জাহাঙ্গীর আলম
ক্লাসে, কর্মস্থলে, বন্ধুমহলে কাউকে অনেক ভালো লাগে। কিন্তু বলার সাহস নেই। তাকে নিয়ে দিবাস্বপ্ন দেখতেই বরং বেশি ভালো লাগে। তাকে নিয়ে ভাবতে ভাবতেই কত যে অলস দিন অপচয় হয়েছে, তার কোনো ইয়ত্তা নেই। তার চিন্তায় ডুব দিলেই সে যেন আপনাকে নিয়ে যায় এক স্বপ্নের জগতে। সে যেন আপনাকে পাঠিয়ে দেয় এক অনন্ত সুখের অমরাবতীতে। এই মুগ্ধতা ও ভাবালুতা এমন একপর্যায়ে চলে যায় যে, নাওয়া-খাওয়া সব ছেড়ে দিয়ে তাকে নিয়েই শুধু ভাবেন। পড়াশোনা, চাকরি, সামাজিকতা—সবই নড়বড়ে হওয়ার অবস্থা। স্পষ্টত সেটি এক মানসিক সমস্যায় রূপ নেয়।
মনোবিদেরা এটিকেই বলছেন লাইমারেন্স। এটি রোমান্টিক আকর্ষণের এমন এক ধরন, যাকে মাদকাসক্তির সঙ্গে তুলনা করা চলে। এই ধরনের মানসিক বিকার প্রথম শনাক্ত করেন মার্কিন মনোবিজ্ঞানী ডরোথি টেনভ।
এই ধরনের সমস্যা এক সম্ভাবনাময় ব্যক্তির ক্যারিয়ার ধ্বংস করে দিতে পারে। অথবা সাফল্য থেকে পিছিয়ে দিতে পারে কয়েক বছর। কিন্তু মুশকিল হচ্ছে, লক্ষণ দেখে এই রোগ শনাক্ত করা বেশ কঠিন। কারণ, সবার ক্ষেত্রে একই ধরনের উপসর্গ প্রকাশ পায় না। এরপরও মনোবিদেরা কয়েকটি বিষয়ের ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। মনোবিজ্ঞানী ডরোথি টেনভ ৫০০ জনের সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে গবেষণা চালিয়ে এই রোগের কিছু লক্ষণ তালিকাভুক্ত করেছেন।
প্রথমত, পছন্দের ব্যক্তিটিকে নিয়ে পাগলের মতো নানা ভাবনার মধ্যে ডুবে থাকা। তাকে নিয়ে অবাস্তব সব কল্পনা করা। চোখ বন্ধ করে তার হাত ধরে কল্পনার জগতে ঘুরে বেড়ানো। প্রকৃতির সব সৌন্দর্য, প্রিয় রং, প্রিয় খাবার, প্রিয় পোষা প্রাণীও বারবার তার কথা মনে করিয়ে দিতে পারে। যেকোনো গান শুনলেই তার কথা মনে পড়ে।
বন্ধুবান্ধব, সহকর্মী বা অন্য কারও সঙ্গে যেকোনো বিষয়ে আলোচনার সময় ইনিয়ে-বিনিয়ে তার প্রসঙ্গই টেনে আনা। তাদের একপ্রকার জোর করেই সেই ব্যক্তি সম্পর্কে আলোচনায় যোগ দিতে বাধ্য করা। বারবার প্রসঙ্গ থেকে ছিটকে গিয়ে তার প্রসঙ্গ টেনে আনা। দৈনন্দিন রুটিনটা এমনভাবে গোঁজামিল দিয়ে জটিল করে তোলা, যাতে তার সঙ্গে একবার সাক্ষাৎ হয়ই। প্রতি রাতেই স্বপ্নে আসে সে। তাকে যেন পরিষ্কার দেখতে পান।
সব সময় ব্যাকুল হয়ে তাকে কামনা করা এবং জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে তার ফিরে ফিরে আসা। সে যেন সার্বক্ষণিক মনেই শিকড় গেড়ে বসে আছে। আপনিও যেন তার মধ্যে স্থায়ী আসন করে নিতে চান।
যোগাযোগ বলতে হয়তো তেমন কিছুই হয় না। কিন্তু তাকে একটি খুদেবার্তা দিয়ে অধীর আগ্রহে বসে থাকেন। একবারে জবাব না এলে হয়তো আবার মেসেজ পাঠাচ্ছেন। অথবা কিছুক্ষণ আগে দেখা একটা বিড়ালের মজার কোনো ছবি হয়তো তাকে পাঠাচ্ছেন। এরপর মেসেঞ্জারে চোখ গুঁজে বসে আছেন। অবশেষে যখন সে কোনো জবাব দিচ্ছে, ওই মুহূর্তে যেন এক টুকরো প্রশান্তির ছোঁয়া শিরদাঁড়া বেয়ে নেমে যায়।
একজন দুঁদে গোয়েন্দার মতো তার প্রতিটি বিষয় এবং আপনি কামনা করেন এমন ক্লু খতিয়ে দেখেন। প্রতিটি জবাব খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে পড়েন, বিশ্লেষণ করেন এবং অবশ্যই সেটির জবাব দেন। তার মুখ থেকে বের হওয়া প্রতিটি শব্দ, অঙ্গভঙ্গি এবং চোখের পাতার নড়াচড়া গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করেন। যেন এক বেদিতে দাঁড় করিয়ে টিকি থেকে পায়ের পাতা পর্যন্ত বিলি কেটে কেটে দেখছেন আপনি। কোনো ত্রুটি বা দুর্বলতা চোখে পড়লেও তুলনায় আপনার কাছে কোনো গুরুত্বই পায় না। সোজা কথায়, সে আপনার কাছে দুনিয়ার সবচেয়ে নিখুঁত মানুষ। সে কখনোই কোনো ভুল করতে পারে না। অন্যের মুখে তার কোনো সমালোচনা আপনি সহ্যই করতে পারেন না।
এই যখন পরিস্থিতি হয়, তখন আপনার জীবনযাপন একসময় হয়ে ওঠে ক্লান্তিকর, নিষ্করুণ। একটি ভারসাম্যপূর্ণ জীবন ও কর্মসূচি তো দূরের কথা, কোনো কিছুতেই আর মনোযোগ থাকে না।
মনোবিজ্ঞানী টেনভ এটিকেই লাইমারেন্ট অবজেক্ট বলে বর্ণনা করেছেন। কারণ, আক্রান্ত ব্যক্তির চোখে তার কাঙ্ক্ষিত ব্যক্তিটি আসলে একটি রোমান্টিক অনুভূতির বস্তুতে পর্যবসিত হয়। ব্যক্তির সঙ্গে রোম্যান্টিক অনুভূতির যে এক সজীব সম্পর্ক, সেটি এখানে আর থাকে না।
দেখা যায়, যদি ওই কাঙ্ক্ষিত ব্যক্তি তাকে একটা মিশ্র প্রতিক্রিয়া দিচ্ছে এবং তার দিকে থেকেও একটা আগ্রহের গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে, তাহলে সমস্যা আরও জটিল আকার ধারণ করে। তখন এ ধরনের সমস্যা কয়েক মাস এমনকি কয়েক বছর পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে।
আরেক মার্কিন মনোবিজ্ঞানী আলবার্ট ওয়াকিন হিসাব করে দেখেছেন, অন্তত ৫ শতাংশ মার্কিন এই সমস্যায় ভুগছেন।
মনোবিজ্ঞানীরা এটিকে অবসেসিভ কম্পালসিভ ডিসঅর্ডার (ওসিডি) এবং আসক্তির একটি সমন্বিত রূপ বলে বর্ণনা করেছেন। ওসিডি হলো একপ্রকার অসুস্থতা, যা মানসিক স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করে। এটি শিশু ও প্রাপ্তবয়স্ক উভয়ের মধ্যেই দেখা যেতে পারে। এই সমস্যায় আক্রান্ত মানুষ যুক্তিহীন অবসেশন (অনর্থক চিন্তার পুনরাবৃত্তি) এবং কম্পালশনের (সেই চিন্তা অনুযায়ী কাজ করার অদম্য ইচ্ছা) এক চক্রের মধ্যে আটকে পড়েন।
তাহলে এই সমস্যা থেকে মুক্তির উপায় কী? মনোবিদেরা বলছেন, অন্য আসক্তির মতোই প্রথম কাজ হলো এটি থেকে বিরত থাকা। প্রথমে সমস্যাটাকে স্বীকার করে নেওয়া। এর পর এর বিপরীত অভ্যাস আপনাকে সহায়তা করতে পারে। তার সঙ্গে সব যোগাযোগের মাধ্যম বন্ধ করতে হবে। এর পর সামাজিক মাধ্যমে তার পোস্ট হাইড করে দিন। আর ঘরের বাইরে বা ক্লাসে, কর্মস্থলে তাকে এড়িয়ে চলুন।
অবশ্য কর্মস্থল বা বন্ধুমহলের কেউ হলে এটা করা বেশ কঠিনই। একটা উপায় হতে পারে, অনেকের ব্যাপারে এ ধরনের রোমান্টিক অনুভূতি থাকলে তাদের মধ্যে সবচেয়ে উপযুক্তজনের সঙ্গে রোমান্টিক সম্পর্ক গভীর করে ফেলা। তাহলে অন্যদের মুখ ক্রমেই ঝাপসা হয়ে আসবে!
আরও পড়ুন:
ক্লাসে, কর্মস্থলে, বন্ধুমহলে কাউকে অনেক ভালো লাগে। কিন্তু বলার সাহস নেই। তাকে নিয়ে দিবাস্বপ্ন দেখতেই বরং বেশি ভালো লাগে। তাকে নিয়ে ভাবতে ভাবতেই কত যে অলস দিন অপচয় হয়েছে, তার কোনো ইয়ত্তা নেই। তার চিন্তায় ডুব দিলেই সে যেন আপনাকে নিয়ে যায় এক স্বপ্নের জগতে। সে যেন আপনাকে পাঠিয়ে দেয় এক অনন্ত সুখের অমরাবতীতে। এই মুগ্ধতা ও ভাবালুতা এমন একপর্যায়ে চলে যায় যে, নাওয়া-খাওয়া সব ছেড়ে দিয়ে তাকে নিয়েই শুধু ভাবেন। পড়াশোনা, চাকরি, সামাজিকতা—সবই নড়বড়ে হওয়ার অবস্থা। স্পষ্টত সেটি এক মানসিক সমস্যায় রূপ নেয়।
মনোবিদেরা এটিকেই বলছেন লাইমারেন্স। এটি রোমান্টিক আকর্ষণের এমন এক ধরন, যাকে মাদকাসক্তির সঙ্গে তুলনা করা চলে। এই ধরনের মানসিক বিকার প্রথম শনাক্ত করেন মার্কিন মনোবিজ্ঞানী ডরোথি টেনভ।
এই ধরনের সমস্যা এক সম্ভাবনাময় ব্যক্তির ক্যারিয়ার ধ্বংস করে দিতে পারে। অথবা সাফল্য থেকে পিছিয়ে দিতে পারে কয়েক বছর। কিন্তু মুশকিল হচ্ছে, লক্ষণ দেখে এই রোগ শনাক্ত করা বেশ কঠিন। কারণ, সবার ক্ষেত্রে একই ধরনের উপসর্গ প্রকাশ পায় না। এরপরও মনোবিদেরা কয়েকটি বিষয়ের ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। মনোবিজ্ঞানী ডরোথি টেনভ ৫০০ জনের সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে গবেষণা চালিয়ে এই রোগের কিছু লক্ষণ তালিকাভুক্ত করেছেন।
প্রথমত, পছন্দের ব্যক্তিটিকে নিয়ে পাগলের মতো নানা ভাবনার মধ্যে ডুবে থাকা। তাকে নিয়ে অবাস্তব সব কল্পনা করা। চোখ বন্ধ করে তার হাত ধরে কল্পনার জগতে ঘুরে বেড়ানো। প্রকৃতির সব সৌন্দর্য, প্রিয় রং, প্রিয় খাবার, প্রিয় পোষা প্রাণীও বারবার তার কথা মনে করিয়ে দিতে পারে। যেকোনো গান শুনলেই তার কথা মনে পড়ে।
বন্ধুবান্ধব, সহকর্মী বা অন্য কারও সঙ্গে যেকোনো বিষয়ে আলোচনার সময় ইনিয়ে-বিনিয়ে তার প্রসঙ্গই টেনে আনা। তাদের একপ্রকার জোর করেই সেই ব্যক্তি সম্পর্কে আলোচনায় যোগ দিতে বাধ্য করা। বারবার প্রসঙ্গ থেকে ছিটকে গিয়ে তার প্রসঙ্গ টেনে আনা। দৈনন্দিন রুটিনটা এমনভাবে গোঁজামিল দিয়ে জটিল করে তোলা, যাতে তার সঙ্গে একবার সাক্ষাৎ হয়ই। প্রতি রাতেই স্বপ্নে আসে সে। তাকে যেন পরিষ্কার দেখতে পান।
সব সময় ব্যাকুল হয়ে তাকে কামনা করা এবং জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে তার ফিরে ফিরে আসা। সে যেন সার্বক্ষণিক মনেই শিকড় গেড়ে বসে আছে। আপনিও যেন তার মধ্যে স্থায়ী আসন করে নিতে চান।
যোগাযোগ বলতে হয়তো তেমন কিছুই হয় না। কিন্তু তাকে একটি খুদেবার্তা দিয়ে অধীর আগ্রহে বসে থাকেন। একবারে জবাব না এলে হয়তো আবার মেসেজ পাঠাচ্ছেন। অথবা কিছুক্ষণ আগে দেখা একটা বিড়ালের মজার কোনো ছবি হয়তো তাকে পাঠাচ্ছেন। এরপর মেসেঞ্জারে চোখ গুঁজে বসে আছেন। অবশেষে যখন সে কোনো জবাব দিচ্ছে, ওই মুহূর্তে যেন এক টুকরো প্রশান্তির ছোঁয়া শিরদাঁড়া বেয়ে নেমে যায়।
একজন দুঁদে গোয়েন্দার মতো তার প্রতিটি বিষয় এবং আপনি কামনা করেন এমন ক্লু খতিয়ে দেখেন। প্রতিটি জবাব খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে পড়েন, বিশ্লেষণ করেন এবং অবশ্যই সেটির জবাব দেন। তার মুখ থেকে বের হওয়া প্রতিটি শব্দ, অঙ্গভঙ্গি এবং চোখের পাতার নড়াচড়া গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করেন। যেন এক বেদিতে দাঁড় করিয়ে টিকি থেকে পায়ের পাতা পর্যন্ত বিলি কেটে কেটে দেখছেন আপনি। কোনো ত্রুটি বা দুর্বলতা চোখে পড়লেও তুলনায় আপনার কাছে কোনো গুরুত্বই পায় না। সোজা কথায়, সে আপনার কাছে দুনিয়ার সবচেয়ে নিখুঁত মানুষ। সে কখনোই কোনো ভুল করতে পারে না। অন্যের মুখে তার কোনো সমালোচনা আপনি সহ্যই করতে পারেন না।
এই যখন পরিস্থিতি হয়, তখন আপনার জীবনযাপন একসময় হয়ে ওঠে ক্লান্তিকর, নিষ্করুণ। একটি ভারসাম্যপূর্ণ জীবন ও কর্মসূচি তো দূরের কথা, কোনো কিছুতেই আর মনোযোগ থাকে না।
মনোবিজ্ঞানী টেনভ এটিকেই লাইমারেন্ট অবজেক্ট বলে বর্ণনা করেছেন। কারণ, আক্রান্ত ব্যক্তির চোখে তার কাঙ্ক্ষিত ব্যক্তিটি আসলে একটি রোমান্টিক অনুভূতির বস্তুতে পর্যবসিত হয়। ব্যক্তির সঙ্গে রোম্যান্টিক অনুভূতির যে এক সজীব সম্পর্ক, সেটি এখানে আর থাকে না।
দেখা যায়, যদি ওই কাঙ্ক্ষিত ব্যক্তি তাকে একটা মিশ্র প্রতিক্রিয়া দিচ্ছে এবং তার দিকে থেকেও একটা আগ্রহের গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে, তাহলে সমস্যা আরও জটিল আকার ধারণ করে। তখন এ ধরনের সমস্যা কয়েক মাস এমনকি কয়েক বছর পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে।
আরেক মার্কিন মনোবিজ্ঞানী আলবার্ট ওয়াকিন হিসাব করে দেখেছেন, অন্তত ৫ শতাংশ মার্কিন এই সমস্যায় ভুগছেন।
মনোবিজ্ঞানীরা এটিকে অবসেসিভ কম্পালসিভ ডিসঅর্ডার (ওসিডি) এবং আসক্তির একটি সমন্বিত রূপ বলে বর্ণনা করেছেন। ওসিডি হলো একপ্রকার অসুস্থতা, যা মানসিক স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করে। এটি শিশু ও প্রাপ্তবয়স্ক উভয়ের মধ্যেই দেখা যেতে পারে। এই সমস্যায় আক্রান্ত মানুষ যুক্তিহীন অবসেশন (অনর্থক চিন্তার পুনরাবৃত্তি) এবং কম্পালশনের (সেই চিন্তা অনুযায়ী কাজ করার অদম্য ইচ্ছা) এক চক্রের মধ্যে আটকে পড়েন।
তাহলে এই সমস্যা থেকে মুক্তির উপায় কী? মনোবিদেরা বলছেন, অন্য আসক্তির মতোই প্রথম কাজ হলো এটি থেকে বিরত থাকা। প্রথমে সমস্যাটাকে স্বীকার করে নেওয়া। এর পর এর বিপরীত অভ্যাস আপনাকে সহায়তা করতে পারে। তার সঙ্গে সব যোগাযোগের মাধ্যম বন্ধ করতে হবে। এর পর সামাজিক মাধ্যমে তার পোস্ট হাইড করে দিন। আর ঘরের বাইরে বা ক্লাসে, কর্মস্থলে তাকে এড়িয়ে চলুন।
অবশ্য কর্মস্থল বা বন্ধুমহলের কেউ হলে এটা করা বেশ কঠিনই। একটা উপায় হতে পারে, অনেকের ব্যাপারে এ ধরনের রোমান্টিক অনুভূতি থাকলে তাদের মধ্যে সবচেয়ে উপযুক্তজনের সঙ্গে রোমান্টিক সম্পর্ক গভীর করে ফেলা। তাহলে অন্যদের মুখ ক্রমেই ঝাপসা হয়ে আসবে!
আরও পড়ুন:
সুস্থভাবে জীবনযাপন করার জন্য দেহের পুষ্টির চাহিদা মেটাতে হয়। সাধারণত পুষ্টির কথা ভাবলে মনে করি সবটুকুই আমার খাদ্য থেকেই অর্জন করি। তবে এই ধারণাটি ভুল বললেন বিজ্ঞানীরা। নতুন গবেষণায় বলা যায়, মানুষ কিছু পুষ্টি বায়ু থেকেও শোষণ করতে পারে!
৩ দিন আগেবিশ্বজুড়ে কোটি কোটি মানুষকে প্রভাবিত করে উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেনশন। হৃদরোগ, স্ট্রোক, কিডনির ক্ষতি এবং দৃষ্টি শক্তিসহ বেশ কিছু গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যার প্রধান ঝুঁকির কারণ এটি। এই ধরনের ঝুঁকি কমানোর জন্য স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা ও বিভিন্ন ধরনের ওষুধ সেবনের পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। তবে সম্প্রতি যুক্তরাষ
৪ দিন আগেডেঙ্গু ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ১ হাজার ৩৮৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছরে আজ রোববার পর্যন্ত এ রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলো ৭৯ হাজার ৯৮৪ জন। মারা গেছে আরও আটজন।
৫ দিন আগেএমন সময়ে এই গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশিত হলো, যখন ইংল্যান্ডে একটি লক্ষ্যভিত্তিক ফুসফুস স্বাস্থ্য পরীক্ষা কর্মসূচি চালু করা হয়েছে। এই কর্মসূচির লক্ষ্য ২০২৫ সালের মার্চের মধ্যে সম্ভাব্য ৪০ শতাংশ ব্যক্তিকে স্ক্রিনিং করা এবং ২০৩০ সালের মধ্যে সবাইকে এর আওতায় আনা।
৬ দিন আগে