কিডনিতে পাথর হলে

ডা. মনিরুল ইসলাম ফাহিম
প্রকাশ : ১৯ আগস্ট ২০২১, ১২: ২৪
আপডেট : ১৯ আগস্ট ২০২১, ১৬: ৫১

কিডনিতে পাথর বলতে বিভিন্ন ধরনের স্ফটিক কিডনিতে জমা হওয়া বোঝায়। সাধারণত ক্যালসিয়ামের সঙ্গে অক্সালেট ও ফসফেটের লবণই কিডনিতে পাথর হিসেবে জমা হয়। অন্যান্য ধরনের পাথরের মধ্যে আছে ইউপিক অ্যাসিড ও ম্যাগনেশিয়ামের লবণজাতীয় পাথর।

পাথর হওয়ার কারণ

কিছু জন্মগত কারণে কিডনিতে পাথর হয়। খাদ্যাভ্যাস ও পরিবেশকেও দায়ী করা যায়।

  • কম পানি ও তরল পান করা এবং প্রস্রাবের পরিমাণ কম হওয়া।
  • উচ্চমাত্রায় প্রাণিজ আমিষ ও লাল মাংস খাওয়া
  • অতিরিক্ত মাত্রায় খাওয়ার লবণ ও সোডিয়াম যুক্ত খাবার (জাংক ফুড ও প্যাকেটজাত খাবার) খাওয়া
  • কম মাত্রায় প্রাকৃতিক ক্যালসিয়াম খাওয়া
  • প্রস্রাবে উচ্চমাত্রায় সোডিয়াম, অক্সালেট ও ইউরিয়েট নিঃসরণ
  • প্রস্রাবে কম মাত্রায় সাইট্রেট নিঃসরণ
  • অস্বাভাবিকভাবে রক্তে ক্যালসিয়ামের পরিমাণ বেড়ে যাওয়া

পাথর হওয়ার লক্ষণ

  • কোমরে ও তলপেটে প্রচণ্ড ব্যথা
  • লাল অথবা বাদামি প্রস্রাব (প্রস্রাবে রক্তের লক্ষণ)
  • প্রস্রাবের সময় ব্যথা হওয়া
  • প্রস্রাবের সঙ্গে ফেনা যাওয়া
  • ব্যথার সঙ্গে বমি হওয়া

পাথর হলে করণীয়

কিডনির পাথর শনাক্ত করার সবচেয়ে ভালো উপায় হলো রেডিও-ইমেজিং। এ ছাড়াও আছে—

  • কিডনি এলাকার এক্স-রে
  • আলট্রাসনোগ্রাফি
  • নন–কন্ট্রাস্ট সিটি স্ক্যান

পাথরের আকার ছোট হলে পর্যাপ্ত পানি পান করলে সেটা প্রস্রাবের সঙ্গে বের হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আর পাথরের আকার বড় হলে ইন্টারভেনশন প্রয়োজন হতে পারে। সেটা হতে পারে শক ওয়েভের মাধ্যমে পাথর গুঁড়ো করে দিয়ে অথবা অপারেশনের মাধ্যমে। তাই লক্ষণগুলো দেখা দিলে অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।

লেখক: আবাসিক চিকিৎসক নেফ্রোলজি বিভাগ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত