ফিদা আল–শামস
আজ ৬ অক্টোবর, বিশ্ব সেরিব্রাল পালসি দিবস। আজ পৃথিবীর ৭৫ টিরও বেশি দেশে সেরিব্রাল পালসিতে আক্রান্ত ব্যক্তি, পরিবার, বিভিন্ন সহায়তাকারী প্রতিষ্ঠান এবং সামাজিক ও পেশাজীবী সংগঠন এই দিবস পালন করবে। বিশ্বব্যাপী ১ কোটি ৭০ লাখেরও বেশি মানুষ সেরিব্রাল পালসিতে আক্রান্ত।
‘সেরিব্রাল’ মানে মস্তিষ্ক এবং ‘পালসি’ মানে আঘাত। সেরিব্রাল পালসি একটি জটিল স্নায়ু বিকাশজনিত সমস্যা। শিশুর জন্মের সময় বা জন্মের ঠিক পর থেকে দুই বছর বয়স পর্যন্ত যেকোনো সময়ে মস্তিষ্কে আঘাতজনিত কারণে, মস্তিষ্কে অক্সিজেনের অভাবে বা খিঁচুনির ফলে শিশু সেরিব্রাল পালসি বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন হতে পারে। শিশু ও প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির এ ধরনের সমস্যা চিহ্নিত করে ও সঠিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে সেরিব্রাল পালসি বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন শিশু/ব্যক্তির অনেক সীমাবদ্ধতা কমিয়ে আনা সম্ভব।
আক্রান্ত ব্যক্তির মধ্যে যে লক্ষণগুলো থাকে—
সেরিব্রাল পালসি বিভিন্ন ধরনের হতে পারে। প্রকারভেদে কথা বা ভাষা ব্যবহারে ও উচ্চারণগত সমস্যাতেও ভিন্নতা দেখা যায়। বিশ্বের মোট সেরিব্রাল পালসিতে আক্রান্ত শিশুর প্রায় অর্ধেকের বেশির মধ্যে কথা বা ভাষা ব্যবহার ও যোগাযোগে সমস্যা এবং খাবার চিবোনো ও গিলতে সমস্যা দেখা যায়। এ ক্ষেত্রে শিশু/ব্যক্তির স্পিচ অ্যান্ড ল্যাঙ্গুয়েজ থেরাপি প্রয়োজন। স্পিচ অ্যান্ড ল্যাঙ্গুয়েজ থেরাপি আধুনিক বিশ্বে চিকিৎসা ও পুনর্বাসন বিজ্ঞানের খুবই গুরুত্বপূর্ণ শাখা, যার মাধ্যমে কথা ও যোগাযোগ সমস্যা এবং খাবার চিবোনো ও গলাধকরণের মতো সমস্যা শনাক্ত, যোগাযোগ পদ্ধতি নির্ণয়ের সঙ্গে সঙ্গে সামগ্রিক ব্যবস্থাপনার মধ্য দিয়ে আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা করা সম্ভব হয়।
কেন স্পিচ অ্যান্ড ল্যাঙ্গুয়েজ থেরাপি নেবেন
স্পিচ অ্যান্ড ল্যাঙ্গুয়েজ থেরাপির মাধ্যমে একজন শিশু/ব্যক্তির কথা-ভাষা ও যোগাযোগের উন্নয়ন ঘটে। ফলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি অপেক্ষাকৃত বেশি দক্ষতায় তাঁর নিত্যদিনের প্রয়োজন বোঝাতে ও বলতে পারে। ফলে পরিবার ও সমাজের মানুষের সঙ্গে ভাবের আদান-প্রদান করা সম্ভব হয়। যোগাযোগের উন্নয়ন হলে তার সামাজিক ও আবেগীয় দক্ষতাও অগ্রসর হয়।
পাশাপাশি এই থেরাপির মাধ্যমে মুখ ও মুখগহ্বরের মাংসপেশির যথার্থ ব্যবহার, খাবার গ্রহণের পর শিশু/ব্যক্তির বসার অবস্থান এবং কী পরিমাণে ও কতটুকু ঘনত্বের খাবার মুখের ভেতর দিতে হবে, তার পদ্ধতিগত প্রয়োগের দ্বারা আক্রান্ত ব্যক্তিকে খাবার চিবোনো ও গিলতে সাহায্য করা হয়। এতে সেরিব্রাল পালসিতে আক্রান্ত শিশু পর্যাপ্ত খেতে পারে। তার ওজন বাড়ে। শিশুটি অপুষ্টির হাত থেকে রক্ষা পায়। সেরিব্রাল পালসিতে আক্রান্ত অনেক শিশু/ব্যক্তির উচ্চারণগত সমস্যার জন্য সঠিক উচ্চারণস্থান সম্পর্কে সচেতনতা, শ্বাস-প্রশ্বাসের হার নিয়ন্ত্রণ ও নিয়মিত অনুশীলনে উচ্চারণগত সমস্যা দূর করা যায়।
ঝুঁকি নিরসনে করণীয়
১। গর্ভধারণের শুরু থেকেই পর্যাপ্ত পরিমাণে খাবার গ্রহণ
২। ডায়াবেটিস থাকলে তা নিয়ন্ত্রণে রাখা
৩। বয়স অনুযায়ী ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা
৪। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন
বাসায় যা করণীয়
১। যেসব শিশু কথা বলতে পারছে না, তাদের সঙ্গে এক শব্দে কথা বলুন। যেমন—খাব, যাব, বসি, দাও, আম, কলা, বাবল ইত্যাদি।
২। অনেকে কথা বলতে পারে; কিন্তু উচ্চারণে সমস্যা হয়। তাদের জন্য ধীরে কথা বলতে হবে, যেন শিশুটি আপনার মুখের উচ্চারণস্থান দেখতে পায়।
৩। বোঝার দক্ষতাতেও সমস্যা থাকতে পারে। তাদের জন্য আপনার বাসার বিভিন্ন জিনিস সম্পর্কে পরিচিত করান। যেমন—গ্লাস, প্লেট, চামচ, ফ্যান, লাইট ইত্যাদি। পাশাপাশি সীমিত ও সহজ ভাষায় কথা বলুন।
৪। অনেক শিশু/ব্যক্তির কথা বলার কোনো দক্ষতাই থাকে না। তবে বোঝার দক্ষতা ভালো থাকে। তাদের জন্য যোগাযোগের বই ব্যবহার করতে পারেন। সেখানে তাদের দৈনিক ব্যবহৃত ও প্রয়োজনীয় সব জিনিসের ছবি থাকবে।
৫। যাদের খাবার গলাধকরণ সমস্যা থাকে, তাদের জন্য অবশ্যই কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে হবে—
যেসব শিশু খাবার চিবোতে পারে না, তাদের সামান্য খাবার মাড়ির দুই দাঁতের মাঝে দিন। এ ছাড়া অন্যসময় শক্ত খাবার; যেমন—শসা, গাজর, আপেল ইত্যাদি দিয়ে একইভাবে চিবোনোর অনুশীলন করুন।
সেরিব্রাল পালসিতে আক্রান্ত প্রতিটি শিশু/ব্যক্তির স্পিচ অ্যান্ড ল্যাঙ্গুয়েজ থেরাপি আলাদা। বাংলাদেশ রিহ্যাবিলিটেশন কাউন্সিল আইন–২০১৮ অনুযায়ী স্বীকৃত বিএসসি ডিগ্রিধারী প্রকৃত, দক্ষ ও যোগ্যতাসম্পন্ন স্পিচ অ্যান্ড ল্যাঙ্গুয়েজ থেরাপিস্টের মাধ্যমে চিকিৎসা না গ্রহণ করলে সেরিব্রাল পালসি আক্রান্ত শিশু/ব্যক্তির জটিলতা বাড়তে পারে। পাশাপাশি এতে মৃত্যুঝুঁকি পর্যন্ত রয়েছে। তাই এই বিষয়ে সাধারণ মানুষের সতর্ক ও সাবধান থাকার প্রয়োজন রয়েছে। দেশে জেলা পর্যায়ে প্রতিটি সরকারি হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ন্যূনতম একজন করে স্পিচ অ্যান্ড ল্যাঙ্গুয়েজ থেরাপিস্ট নিয়োগ দেওয়া প্রয়োজন। এতে সাধারণ মানুষ স্পিচ অ্যান্ড ল্যাঙ্গুয়েজ থেরাপি পেশাজীবীর কাছে দ্রুত ও সহজভাবে চিকিৎসা নিতে পারবেন।
ফিদা আল–শামস: সভাপতি, সোসাইটি অব স্পিচ অ্যান্ড ল্যাঙ্গুয়েজ থেরাপিস্টস (এসএসএলটি)
আজ ৬ অক্টোবর, বিশ্ব সেরিব্রাল পালসি দিবস। আজ পৃথিবীর ৭৫ টিরও বেশি দেশে সেরিব্রাল পালসিতে আক্রান্ত ব্যক্তি, পরিবার, বিভিন্ন সহায়তাকারী প্রতিষ্ঠান এবং সামাজিক ও পেশাজীবী সংগঠন এই দিবস পালন করবে। বিশ্বব্যাপী ১ কোটি ৭০ লাখেরও বেশি মানুষ সেরিব্রাল পালসিতে আক্রান্ত।
‘সেরিব্রাল’ মানে মস্তিষ্ক এবং ‘পালসি’ মানে আঘাত। সেরিব্রাল পালসি একটি জটিল স্নায়ু বিকাশজনিত সমস্যা। শিশুর জন্মের সময় বা জন্মের ঠিক পর থেকে দুই বছর বয়স পর্যন্ত যেকোনো সময়ে মস্তিষ্কে আঘাতজনিত কারণে, মস্তিষ্কে অক্সিজেনের অভাবে বা খিঁচুনির ফলে শিশু সেরিব্রাল পালসি বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন হতে পারে। শিশু ও প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির এ ধরনের সমস্যা চিহ্নিত করে ও সঠিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে সেরিব্রাল পালসি বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন শিশু/ব্যক্তির অনেক সীমাবদ্ধতা কমিয়ে আনা সম্ভব।
আক্রান্ত ব্যক্তির মধ্যে যে লক্ষণগুলো থাকে—
সেরিব্রাল পালসি বিভিন্ন ধরনের হতে পারে। প্রকারভেদে কথা বা ভাষা ব্যবহারে ও উচ্চারণগত সমস্যাতেও ভিন্নতা দেখা যায়। বিশ্বের মোট সেরিব্রাল পালসিতে আক্রান্ত শিশুর প্রায় অর্ধেকের বেশির মধ্যে কথা বা ভাষা ব্যবহার ও যোগাযোগে সমস্যা এবং খাবার চিবোনো ও গিলতে সমস্যা দেখা যায়। এ ক্ষেত্রে শিশু/ব্যক্তির স্পিচ অ্যান্ড ল্যাঙ্গুয়েজ থেরাপি প্রয়োজন। স্পিচ অ্যান্ড ল্যাঙ্গুয়েজ থেরাপি আধুনিক বিশ্বে চিকিৎসা ও পুনর্বাসন বিজ্ঞানের খুবই গুরুত্বপূর্ণ শাখা, যার মাধ্যমে কথা ও যোগাযোগ সমস্যা এবং খাবার চিবোনো ও গলাধকরণের মতো সমস্যা শনাক্ত, যোগাযোগ পদ্ধতি নির্ণয়ের সঙ্গে সঙ্গে সামগ্রিক ব্যবস্থাপনার মধ্য দিয়ে আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা করা সম্ভব হয়।
কেন স্পিচ অ্যান্ড ল্যাঙ্গুয়েজ থেরাপি নেবেন
স্পিচ অ্যান্ড ল্যাঙ্গুয়েজ থেরাপির মাধ্যমে একজন শিশু/ব্যক্তির কথা-ভাষা ও যোগাযোগের উন্নয়ন ঘটে। ফলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি অপেক্ষাকৃত বেশি দক্ষতায় তাঁর নিত্যদিনের প্রয়োজন বোঝাতে ও বলতে পারে। ফলে পরিবার ও সমাজের মানুষের সঙ্গে ভাবের আদান-প্রদান করা সম্ভব হয়। যোগাযোগের উন্নয়ন হলে তার সামাজিক ও আবেগীয় দক্ষতাও অগ্রসর হয়।
পাশাপাশি এই থেরাপির মাধ্যমে মুখ ও মুখগহ্বরের মাংসপেশির যথার্থ ব্যবহার, খাবার গ্রহণের পর শিশু/ব্যক্তির বসার অবস্থান এবং কী পরিমাণে ও কতটুকু ঘনত্বের খাবার মুখের ভেতর দিতে হবে, তার পদ্ধতিগত প্রয়োগের দ্বারা আক্রান্ত ব্যক্তিকে খাবার চিবোনো ও গিলতে সাহায্য করা হয়। এতে সেরিব্রাল পালসিতে আক্রান্ত শিশু পর্যাপ্ত খেতে পারে। তার ওজন বাড়ে। শিশুটি অপুষ্টির হাত থেকে রক্ষা পায়। সেরিব্রাল পালসিতে আক্রান্ত অনেক শিশু/ব্যক্তির উচ্চারণগত সমস্যার জন্য সঠিক উচ্চারণস্থান সম্পর্কে সচেতনতা, শ্বাস-প্রশ্বাসের হার নিয়ন্ত্রণ ও নিয়মিত অনুশীলনে উচ্চারণগত সমস্যা দূর করা যায়।
ঝুঁকি নিরসনে করণীয়
১। গর্ভধারণের শুরু থেকেই পর্যাপ্ত পরিমাণে খাবার গ্রহণ
২। ডায়াবেটিস থাকলে তা নিয়ন্ত্রণে রাখা
৩। বয়স অনুযায়ী ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা
৪। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন
বাসায় যা করণীয়
১। যেসব শিশু কথা বলতে পারছে না, তাদের সঙ্গে এক শব্দে কথা বলুন। যেমন—খাব, যাব, বসি, দাও, আম, কলা, বাবল ইত্যাদি।
২। অনেকে কথা বলতে পারে; কিন্তু উচ্চারণে সমস্যা হয়। তাদের জন্য ধীরে কথা বলতে হবে, যেন শিশুটি আপনার মুখের উচ্চারণস্থান দেখতে পায়।
৩। বোঝার দক্ষতাতেও সমস্যা থাকতে পারে। তাদের জন্য আপনার বাসার বিভিন্ন জিনিস সম্পর্কে পরিচিত করান। যেমন—গ্লাস, প্লেট, চামচ, ফ্যান, লাইট ইত্যাদি। পাশাপাশি সীমিত ও সহজ ভাষায় কথা বলুন।
৪। অনেক শিশু/ব্যক্তির কথা বলার কোনো দক্ষতাই থাকে না। তবে বোঝার দক্ষতা ভালো থাকে। তাদের জন্য যোগাযোগের বই ব্যবহার করতে পারেন। সেখানে তাদের দৈনিক ব্যবহৃত ও প্রয়োজনীয় সব জিনিসের ছবি থাকবে।
৫। যাদের খাবার গলাধকরণ সমস্যা থাকে, তাদের জন্য অবশ্যই কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে হবে—
যেসব শিশু খাবার চিবোতে পারে না, তাদের সামান্য খাবার মাড়ির দুই দাঁতের মাঝে দিন। এ ছাড়া অন্যসময় শক্ত খাবার; যেমন—শসা, গাজর, আপেল ইত্যাদি দিয়ে একইভাবে চিবোনোর অনুশীলন করুন।
সেরিব্রাল পালসিতে আক্রান্ত প্রতিটি শিশু/ব্যক্তির স্পিচ অ্যান্ড ল্যাঙ্গুয়েজ থেরাপি আলাদা। বাংলাদেশ রিহ্যাবিলিটেশন কাউন্সিল আইন–২০১৮ অনুযায়ী স্বীকৃত বিএসসি ডিগ্রিধারী প্রকৃত, দক্ষ ও যোগ্যতাসম্পন্ন স্পিচ অ্যান্ড ল্যাঙ্গুয়েজ থেরাপিস্টের মাধ্যমে চিকিৎসা না গ্রহণ করলে সেরিব্রাল পালসি আক্রান্ত শিশু/ব্যক্তির জটিলতা বাড়তে পারে। পাশাপাশি এতে মৃত্যুঝুঁকি পর্যন্ত রয়েছে। তাই এই বিষয়ে সাধারণ মানুষের সতর্ক ও সাবধান থাকার প্রয়োজন রয়েছে। দেশে জেলা পর্যায়ে প্রতিটি সরকারি হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ন্যূনতম একজন করে স্পিচ অ্যান্ড ল্যাঙ্গুয়েজ থেরাপিস্ট নিয়োগ দেওয়া প্রয়োজন। এতে সাধারণ মানুষ স্পিচ অ্যান্ড ল্যাঙ্গুয়েজ থেরাপি পেশাজীবীর কাছে দ্রুত ও সহজভাবে চিকিৎসা নিতে পারবেন।
ফিদা আল–শামস: সভাপতি, সোসাইটি অব স্পিচ অ্যান্ড ল্যাঙ্গুয়েজ থেরাপিস্টস (এসএসএলটি)
দেশে মস্তিষ্কের ক্ষয়জনিত রোগ ডিমেনশিয়ায় আক্রান্তদের মধ্যে দুই তৃতীয়াংশ নারী। এই রোগটি ধারাবাহিকভাবে বেড়েই চলছে। অথচ তা নিয়ে তেমন উদ্যোগ চোখে পড়ছে না। সামাজিকভাবে সচেতনতা গড়ে তুলতে না পারলে রোগটির বিস্তার আরও ভয়াবহ হতে পারে।
২ ঘণ্টা আগেরোগে-শোকে মানুষকে প্রতিনিয়ত কিছু না কিছু ওষুধ খেতে হয়। নিত্যপণ্যের এই ঊর্ধ্বগতির বাজারে যেখানে সাধারণ মানুষের তিনবেলা আহারের জোগান দেওয়াই কষ্টকর, সেখানে জীবন রক্ষার জন্য দ্বিগুণ-তিনগুণ দামে ওধুষ কিনতে গিয়ে জীবন আরও ওষ্ঠাগত। দেশে এখন নিম্নআয়ের ৪০ শতাংশ মানুষের মোট আয়ের ২০ শতাংশ খরচ হচ্ছে ওষুধ কিনতেই।
২ দিন আগেদেশে মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা না থাকায় ও ডাক্তারের ওপর আস্থা না থাকায় বিদেশে চিকিৎসা নিতে প্রতিবছর দেশের মানুষ ৪ বিলিয়ন ডলার খরচ করছে। স্বাস্থ্যেসেবার উন্নয়ন না হলে এর পরিমাণ দিন দিন আরও বাড়বে।
২ দিন আগেআমাদের দেশে শীত উপভোগ্য মৌসুম। কিন্তু অনেকের ঠান্ডা, কাশি, জ্বর, গলাব্যথা, অ্যালার্জির মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। আবার শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা যাদের আছে, তাদের এই মৌসুমে কষ্ট বেড়ে যায়।
২ দিন আগে