লিনা আকতার
প্রতিদিন চারপাশের নানা উপাদান থেকে বিষাক্ত পদার্থ আমাদের শরীরে প্রবেশ করে। এই দূষিত পদার্থ বা টক্সিন শরীরে প্রদাহ, চর্মরোগ, অ্যালার্জিসহ বিভিন্ন ধরনের রোগের ঝুঁকির কারণ হয়ে উঠতে পারে। এ জন্য রক্ত পরিশোধনে নিয়মিত কিছু খাবার আমাদের খেতে হবে। সহজলভ্য কিছু খাবার আমাদের রক্ত পরিষ্কারে ভূমিকা রাখে।
আমলকী: আমলকীকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের রাজা বলা হয়। এতে আছে প্রচুর ভিটামিন ‘সি’ ও ক্রোমিয়াম। এই উপাদানগুলো রক্ত পরিশোধনে বেশ ভালো
কাজ করে।
সবুজ তিতা শাকসবজি: শরীরকে ডিটক্স করতে তিতা সবুজ শাকসবজির বিকল্প নেই। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো করলা, পাটশাক, নিমপাতা ইত্যাদি। চীনারা লিভার পরিষ্কারের জন্য সবচেয়ে শক্তিশালী বলে মনে করে তিতা সবুজ শাকসবজি।
পানি: সারা দিন পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে। কারণ, পানি রক্তের আর্দ্রতা বজায় রাখে এবং অনায়াসে টক্সিন পরিষ্কার করে। পর্যাপ্ত পানি কিডনিকে রক্ত থেকে বর্জ্য পরিশোধন করতে সাহায্য করে।
লেবুপানি: লেবুপানিতে ভিটামিন ‘সি’, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও তামা থাকে। এগুলো খাবার থেকে আয়রন ও ক্যালসিয়াম শোষণে সহায়তা করে। এটি মূত্রবর্ধক ও শরীরে টক্সিন বের করে দেয়।
হলুদ: হলুদে কারকিউমিন নামক একটি পলিফেনল আছে, যেটি প্রদাহরোধী উপাদান হিসেবে পরিচিত এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়ার এজেন্ট। হলুদ পিত্তথলিতে পিত্ত উৎপাদন বাড়িয়ে লিভারকে ডিটক্সিফাই করতে সাহায্য করে। এ ছাড়া লিভার থেকে টক্সিন বের করতে সাহায্য করে এটি। এ জন্য খাদ্যতালিকায় হলুদ চা বা হলুদ দুধ রাখতে পারেন।
আনারস: আনারসে হজমকারী এনজাইম ব্রোমেলেন রয়েছে, যা কোলন পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। এ ছাড়া আনারসে প্রদাহ প্রতিরোধী ক্ষমতা রয়েছে। ফলে এটি জয়েন্টের ব্যথা কমিয়ে টক্সিন বের করে রক্ত পরিষ্কারে বেশ কার্যকর ভূমিকা রাখে।
গাজর: গাজরে রয়েছে ভিটামিন এ, সি, কে, বি এবং প্রচুর পটাশিয়াম। এসব উপাদান শরীরকে দূষণমুক্ত এবং রক্ত পরিশুদ্ধ করে। এ জন্য সকালে নাশতার এক ঘণ্টা আগে বা পরে এক গ্লাস গাজরের রস পান করলে তা শরীর থেকে টক্সিন দূর করতে সাহায্য করে।
কাঁচা রসুন: রসুনে আছে অ্যালিসিন সালফারযুক্ত যৌগ। এটি রক্তকে বিশুদ্ধ করতে এবং অন্ত্রকে ব্যাকটেরিয়া পরজীবী ও ভাইরাস থেকে মুক্ত থাকতে সাহায্য করে।
আপেল: আপেলে অনেক পুষ্টি উপাদান রয়েছে। তবে আপেল সিডার ভিনেগার পান করলে শরীর থেকে টক্সিন বেরিয়ে যায়। সকালে খালি পেটে আপেল সিডার ভিনেগারের সঙ্গে আধা চা-চামচ বেকিং সোডা মিশিয়ে পান করলে ভালো ফল পাওয়া যায়। তবে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থাকলে পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিতে হবে।
আদা: আদায় আছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা রক্তের বিষাক্ত উপাদান দূর করতে সহায়তা করে। ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অব প্রিভেনটিভ মেডিসিন অনুসারে আদা বিশ্বের সেরা রক্ত পরিষ্কারকারী খাবার হিসেবে বিবেচিত হয়।
তুলসীপাতা: তুলসীপাতায় অ্যান্টিবায়োটিক গুণ রয়েছে। এই অ্যান্টিবায়োটিক রক্ত পরিশুদ্ধ করতে খুব উপকারী। এ জন্য দুটি তুলসীপাতা চিবিয়ে বা পানিতে সেদ্ধ করে নিয়মিত খেতে পারলে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ে।
লিনা আকতার,পুষ্টিবিদ
প্রতিদিন চারপাশের নানা উপাদান থেকে বিষাক্ত পদার্থ আমাদের শরীরে প্রবেশ করে। এই দূষিত পদার্থ বা টক্সিন শরীরে প্রদাহ, চর্মরোগ, অ্যালার্জিসহ বিভিন্ন ধরনের রোগের ঝুঁকির কারণ হয়ে উঠতে পারে। এ জন্য রক্ত পরিশোধনে নিয়মিত কিছু খাবার আমাদের খেতে হবে। সহজলভ্য কিছু খাবার আমাদের রক্ত পরিষ্কারে ভূমিকা রাখে।
আমলকী: আমলকীকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের রাজা বলা হয়। এতে আছে প্রচুর ভিটামিন ‘সি’ ও ক্রোমিয়াম। এই উপাদানগুলো রক্ত পরিশোধনে বেশ ভালো
কাজ করে।
সবুজ তিতা শাকসবজি: শরীরকে ডিটক্স করতে তিতা সবুজ শাকসবজির বিকল্প নেই। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো করলা, পাটশাক, নিমপাতা ইত্যাদি। চীনারা লিভার পরিষ্কারের জন্য সবচেয়ে শক্তিশালী বলে মনে করে তিতা সবুজ শাকসবজি।
পানি: সারা দিন পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে। কারণ, পানি রক্তের আর্দ্রতা বজায় রাখে এবং অনায়াসে টক্সিন পরিষ্কার করে। পর্যাপ্ত পানি কিডনিকে রক্ত থেকে বর্জ্য পরিশোধন করতে সাহায্য করে।
লেবুপানি: লেবুপানিতে ভিটামিন ‘সি’, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও তামা থাকে। এগুলো খাবার থেকে আয়রন ও ক্যালসিয়াম শোষণে সহায়তা করে। এটি মূত্রবর্ধক ও শরীরে টক্সিন বের করে দেয়।
হলুদ: হলুদে কারকিউমিন নামক একটি পলিফেনল আছে, যেটি প্রদাহরোধী উপাদান হিসেবে পরিচিত এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়ার এজেন্ট। হলুদ পিত্তথলিতে পিত্ত উৎপাদন বাড়িয়ে লিভারকে ডিটক্সিফাই করতে সাহায্য করে। এ ছাড়া লিভার থেকে টক্সিন বের করতে সাহায্য করে এটি। এ জন্য খাদ্যতালিকায় হলুদ চা বা হলুদ দুধ রাখতে পারেন।
আনারস: আনারসে হজমকারী এনজাইম ব্রোমেলেন রয়েছে, যা কোলন পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। এ ছাড়া আনারসে প্রদাহ প্রতিরোধী ক্ষমতা রয়েছে। ফলে এটি জয়েন্টের ব্যথা কমিয়ে টক্সিন বের করে রক্ত পরিষ্কারে বেশ কার্যকর ভূমিকা রাখে।
গাজর: গাজরে রয়েছে ভিটামিন এ, সি, কে, বি এবং প্রচুর পটাশিয়াম। এসব উপাদান শরীরকে দূষণমুক্ত এবং রক্ত পরিশুদ্ধ করে। এ জন্য সকালে নাশতার এক ঘণ্টা আগে বা পরে এক গ্লাস গাজরের রস পান করলে তা শরীর থেকে টক্সিন দূর করতে সাহায্য করে।
কাঁচা রসুন: রসুনে আছে অ্যালিসিন সালফারযুক্ত যৌগ। এটি রক্তকে বিশুদ্ধ করতে এবং অন্ত্রকে ব্যাকটেরিয়া পরজীবী ও ভাইরাস থেকে মুক্ত থাকতে সাহায্য করে।
আপেল: আপেলে অনেক পুষ্টি উপাদান রয়েছে। তবে আপেল সিডার ভিনেগার পান করলে শরীর থেকে টক্সিন বেরিয়ে যায়। সকালে খালি পেটে আপেল সিডার ভিনেগারের সঙ্গে আধা চা-চামচ বেকিং সোডা মিশিয়ে পান করলে ভালো ফল পাওয়া যায়। তবে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থাকলে পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিতে হবে।
আদা: আদায় আছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা রক্তের বিষাক্ত উপাদান দূর করতে সহায়তা করে। ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অব প্রিভেনটিভ মেডিসিন অনুসারে আদা বিশ্বের সেরা রক্ত পরিষ্কারকারী খাবার হিসেবে বিবেচিত হয়।
তুলসীপাতা: তুলসীপাতায় অ্যান্টিবায়োটিক গুণ রয়েছে। এই অ্যান্টিবায়োটিক রক্ত পরিশুদ্ধ করতে খুব উপকারী। এ জন্য দুটি তুলসীপাতা চিবিয়ে বা পানিতে সেদ্ধ করে নিয়মিত খেতে পারলে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ে।
লিনা আকতার,পুষ্টিবিদ
পেস্তাবাদাম। পুরো পৃথিবীতে এই বাদাম বেশ জনপ্রিয়। দুবাইয়ে পেস্তাবাদামের চকলেট বারও বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। মিষ্টান্ন, আইসক্রিম, বিশেষ ডিশ সাজাতে পেস্তাবাদামের ব্যবহার বেড়েছে। খাবারের সৌন্দর্য আর পুষ্টি—দুটিরই পাওয়ারহাউস এই বাদাম। অল্প খেলেই পাওয়া যায় অনেক পুষ্টি।
১৫ ঘণ্টা আগেপুরুষদের জন্য নতুন এক জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল তৈরি করেছেন বিজ্ঞানীরা। এটিতে কোনো হরমোন নেই। আরও সহজ করে বললে, এই ওষুধ খাওয়ার পর পুরুষের হরমোনে সেই অর্থে কোনো পরিবর্তন আসবে না। এর নাম ওয়াইসিটি-৫২৯। ওষুধটির ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু হয়েছে। বিজ্ঞান বিষয়ক সংবাদমাধ্যম সায়েন্স অ্যালার্টের প্রতিবেদন থেকে এ...
১৯ ঘণ্টা আগেএকসময়কার আভিজাত্যের প্রতীক সেই ভুঁড়িই এখন চিন্তার কারণ। ভারতে বাড়ছে স্থূলতা সমস্যা। আর আপাত নিরীহ সেই ভুঁড়িই হয়তো সবচেয়ে বড় বিপদ ডেকে আনছে। ২০২১ সালে ভারতে ১৮ কোটি মানুষ ছিলেন স্থূল বা অতিরিক্ত ওজনের। বিশ্বে স্থূল মানুষের সংখ্যার দিক থেকে ভারতের অবস্থা ছিল দ্বিতীয়।
২০ ঘণ্টা আগেবিশ্বজুড়ে প্রাপ্তবয়স্কদের মৃত্যুর বড় কারণ হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোক। তবে সম্প্রতি ব্রিটিশ একদল গবেষক এমন এক ধরনের রক্ত পরীক্ষার পদ্ধতি আবিষ্কার করেছেন, যাতে আগেভাগেই জানা যাবে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোকসহ হৃৎপিণ্ডসংক্রান্ত বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি। আর এতে খরচ পড়বে মাত্র ৫ পাউন্ড স্টারলিং বা বাংলাদেশি মুদ্রায় প
২ দিন আগে