ডা. সমীর কুমার সাহা
পাচক অগ্নি দুর্বল হলে হয় বদহজম। আর অতিরিক্ত বা অতিসক্রিয় পাচক অগ্নির কারণে হয় হাইপার অ্যাসিডিটি, অর্থাৎ গ্যাস বা পেট ফাঁপার সমস্যা। কথায় কথায় গ্যাস অম্বলের সমস্যায় মুঠো মুঠো অ্যান্টাসিড মোটেও ভালো অভ্যাস নয়।
আয়ুর্বেদিক চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায়, ‘তাড়াহুড়ো, দুশ্চিন্তা আর মসলাদার খাবার হলো এসব রোগের তিনটি প্রধান কারণ।’ তবে রোজকার জীবনধারায় সামান্য পরিবর্তন এবং খাদ্যতালিকায় কিছু খাবার সংযোজন বদহজম-পেট ফাঁপার সমস্যায় সমাধান মিলতে পারে।
আদা
বদহজম, পেট ফাঁপা কিংবা পেটে বায়ু সমস্যায় সহজ সমাধান আদা। প্রতিবেলা খাওয়ার পর এক টুকরো আদা মুখে নিয়ে চিবিয়ে রস খান অথবা আদা কুচি করে বিটলবণ দিয়ে খান। এতে গ্যাস, অম্বল, পেট ফাঁপা, বদহজমজনিত সমস্যায় অত্যন্ত ভালো ফল মিলবে।
জিরাপানি
পেটের বদহজমজনিত পেট ফাঁপা কমাতে জিরাপানি বেশ কার্যকর। ১ চা-চামচ ভাজা জিরার গুঁড়ো নিয়ে এক গ্লাস পানিতে মিশিয়ে প্রতিবার খাওয়ার সময় পান করে দেখুন কেমন ম্যাজিকের মতো কাজ করে।
দারুচিনি
প্রাকৃতিক অ্যান্টাসিড দারুচিনি হজমশক্তি বৃদ্ধিকারক অনেক ভালো একটি মসলা। আধা চা-চামচ দারুচিনির গুঁড়ো এক কাপ পানিতে মিশিয়ে ফুটিয়ে নিন। তারপর ঠান্ডা করে দিনে দুই-তিনবার পান করুন, বেশ আরাম পাবেন।
মৌরি
বদহজম ও পেট ফাঁপার সমস্যায় বেশ কার্যকর মৌরি। এক গ্লাস পানিতে কয়েকটি মৌরি সারা রাত ভিজিয়ে সকালে খালি পেটে পান করলে শরীর ঠান্ডা থাকবে। বদহজম, পেট ফাঁপা ও গ্যাস-অম্বলের সম্ভাবনাও কমবে। খাওয়ার পর মৌরি চিবিয়ে খান। উপকার পাবেন।
লবঙ্গ
লবঙ্গ পাকস্থলীর গ্যাস উৎপাদন প্রতিরোধ করে। প্রতিদিন দুটি লবঙ্গ চিবিয়ে খেলে উপকার পাবেন।
টক দই
টক দইয়ের ল্যাকটিক অ্যাসিড হজম-প্রক্রিয়াকে শক্তিশালী করে। টক দইয়ের ব্যাকটেরিয়া অত্যন্ত উপকারী। এটা শরীরের ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া মেরে ফেলে এবং উপকারী ব্যাকটেরিয়া বাড়িয়ে হজমশক্তি বৃদ্ধি করে। ভারী খাবারের পর টক দইয়ের সঙ্গে গোলমরিচ যোগ করে খেলে ভালো ফল পাবেন।
আরও যা করতে পারেন
লেখক: সাবেক নির্বাহী পরিচালক পাবলিক হেলথ ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ
পাচক অগ্নি দুর্বল হলে হয় বদহজম। আর অতিরিক্ত বা অতিসক্রিয় পাচক অগ্নির কারণে হয় হাইপার অ্যাসিডিটি, অর্থাৎ গ্যাস বা পেট ফাঁপার সমস্যা। কথায় কথায় গ্যাস অম্বলের সমস্যায় মুঠো মুঠো অ্যান্টাসিড মোটেও ভালো অভ্যাস নয়।
আয়ুর্বেদিক চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায়, ‘তাড়াহুড়ো, দুশ্চিন্তা আর মসলাদার খাবার হলো এসব রোগের তিনটি প্রধান কারণ।’ তবে রোজকার জীবনধারায় সামান্য পরিবর্তন এবং খাদ্যতালিকায় কিছু খাবার সংযোজন বদহজম-পেট ফাঁপার সমস্যায় সমাধান মিলতে পারে।
আদা
বদহজম, পেট ফাঁপা কিংবা পেটে বায়ু সমস্যায় সহজ সমাধান আদা। প্রতিবেলা খাওয়ার পর এক টুকরো আদা মুখে নিয়ে চিবিয়ে রস খান অথবা আদা কুচি করে বিটলবণ দিয়ে খান। এতে গ্যাস, অম্বল, পেট ফাঁপা, বদহজমজনিত সমস্যায় অত্যন্ত ভালো ফল মিলবে।
জিরাপানি
পেটের বদহজমজনিত পেট ফাঁপা কমাতে জিরাপানি বেশ কার্যকর। ১ চা-চামচ ভাজা জিরার গুঁড়ো নিয়ে এক গ্লাস পানিতে মিশিয়ে প্রতিবার খাওয়ার সময় পান করে দেখুন কেমন ম্যাজিকের মতো কাজ করে।
দারুচিনি
প্রাকৃতিক অ্যান্টাসিড দারুচিনি হজমশক্তি বৃদ্ধিকারক অনেক ভালো একটি মসলা। আধা চা-চামচ দারুচিনির গুঁড়ো এক কাপ পানিতে মিশিয়ে ফুটিয়ে নিন। তারপর ঠান্ডা করে দিনে দুই-তিনবার পান করুন, বেশ আরাম পাবেন।
মৌরি
বদহজম ও পেট ফাঁপার সমস্যায় বেশ কার্যকর মৌরি। এক গ্লাস পানিতে কয়েকটি মৌরি সারা রাত ভিজিয়ে সকালে খালি পেটে পান করলে শরীর ঠান্ডা থাকবে। বদহজম, পেট ফাঁপা ও গ্যাস-অম্বলের সম্ভাবনাও কমবে। খাওয়ার পর মৌরি চিবিয়ে খান। উপকার পাবেন।
লবঙ্গ
লবঙ্গ পাকস্থলীর গ্যাস উৎপাদন প্রতিরোধ করে। প্রতিদিন দুটি লবঙ্গ চিবিয়ে খেলে উপকার পাবেন।
টক দই
টক দইয়ের ল্যাকটিক অ্যাসিড হজম-প্রক্রিয়াকে শক্তিশালী করে। টক দইয়ের ব্যাকটেরিয়া অত্যন্ত উপকারী। এটা শরীরের ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া মেরে ফেলে এবং উপকারী ব্যাকটেরিয়া বাড়িয়ে হজমশক্তি বৃদ্ধি করে। ভারী খাবারের পর টক দইয়ের সঙ্গে গোলমরিচ যোগ করে খেলে ভালো ফল পাবেন।
আরও যা করতে পারেন
লেখক: সাবেক নির্বাহী পরিচালক পাবলিক হেলথ ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ
ব্যথা উপশম এবং প্রদাহ কমানোর জন্য প্রাকৃতিক প্রতিকারের কথা বলতে গেলে অ্যাসপিরিনের মতো ওভার-দ্য-কাউন্টার ওষুধের তুলনায় লবঙ্গ কম নয়। এটি কার্যকর বিকল্প হতে পারে বলে অনেকে মত দিচ্ছেন এখন। লবঙ্গ একটি ছোট্ট, কিন্তু শক্তিশালী মসলা। এটি শত শত বছর ধরে বিশ্বব্যাপী রান্নার কাজে...
১ দিন আগে৩-৪ মাস আগে থেকে আমার মাসিক চলাকালীন স্তনের পাশে প্রচণ্ড ব্যথা হয়। আমার বয়স ৩৩ বছর। এর আগে কখনো এমন সমস্যা হয়নি। আমার একটি সন্তান আছে। তার বয়স ৭ বছর। অর্থাৎ আমার ক্ষেত্রে ব্রেস্ট ফিডিংয়ের বিষয় নেই এখন। হঠাৎ করে ব্যথা হওয়ায় কী করব বুঝতে পারছি না...
১ দিন আগেকাঁধে ব্যথার অনেক কারণের মধ্যে অন্যতম রোটেটর কাফ সিনড্রোম। এর একটি অংশ হলো ফ্রোজেন শোল্ডার...
১ দিন আগেঅনেকের ধারণা, শুধু গরমকালে পানিশূন্যতা হয়। কিন্তু বাস্তবতা হলো, শীতকালেও ডিহাইড্রেশন বা শরীরে পানির অভাব হতে পারে। শীতের শুরুতে আমরা নানা শারীরিক সমস্যার মুখোমুখি হই, যেমন ত্বক বা চুলের সমস্যা এবং বিভিন্ন স্বাস্থ্যজনিত জটিলতা। এর মধ্যে অন্যতম পানিশূন্যতা, যা শীতকালে কম গুরুত্ব দেওয়া হয়।
১ দিন আগে