ডা. মো. আব্দুল হাফিজ শাফী
নাকের প্রধান কাজ হলো শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়া। হঠাৎ নাক থেকে রক্ত পড়তে দেখলে স্বাভাবিকভাবেই ভয় পায় মানুষ। নাক দিয়ে রক্ত পড়াকে বলা হয় এপিসট্যাক্সিস। এটি নিজে কোনো রোগ নয়, রোগের লক্ষণমাত্র। যেকোনো বয়সের নারী বা পুরুষ এ সমস্যায় পড়তে পারেন। এটি নাকের এক পাশ অথবা উভয় পাশ দিয়ে হতে পারে।
নাক দিয়ে রক্ত পড়া বা এপিসট্যাক্সিস সমস্যা অধিকাংশ ক্ষেত্রে সাধারণ সমস্যা হলেও অনেক সময় এটি জটিল রোগের উপসর্গ হিসেবে দেখা দেয়। একে মেডিকেল ইমারজেন্সি হিসেবে দেখা হয়। সাধারণত ৬০ শতাংশ মানুষ জীবনে কোনো না কোনো সময় নাক দিয়ে রক্ত পড়ার সমস্যার সম্মুখীন হয়।
রক্ত পড়ার কারণ
নাক, কান, গলা ছাড়াও শরীরের অন্য অনেক রোগের কারণে নাক দিয়ে রক্ত পড়তে পারে। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রে নাক দিয়ে রক্ত পড়ার কোনো কারণ খুঁজে পাওয়া যায় না।
নাকের সমস্যা
আঘাতজনিত: নাকে জোরালো আঘাত পেলে ভেতরের ঝিল্লি ফেটে গিয়ে রক্ত ঝরতে পারে; বিশেষ করে ফুটবল, ক্রিকেট বল বা অন্য যেকোনো কিছু তীব্র গতিতে নাকে এসে পড়লে রক্তপাত শুরু হতে পারে। এ ছাড়া নখ দিয়ে নাক খোঁচালে ঘা হয়ে রক্তপাত হতে পারে।
এ ছাড়া যেসব কারণে নাক দিয়ে রক্ত পড়তে পারে
⊲ নাকের বিভিন্ন অপারেশনের কারণে।
⊲ নাকের সর্দি, সাইনোসাইটিস।
⊲ নাকের বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ, যেমন এট্রফিক রাইনাইটিস, রাইনসপো রিডিওসিস ইত্যাদি।
⊲ নাকের ভেতর টিউমার।
⊲ নাকের মাঝখানের অতিরিক্ত বাঁকা হাড়।
⊲ নাকের মাঝখানের পর্দায় ছিদ্র ইত্যাদি।
অন্যান্য কারণ
⊲ ওষুধ সেবনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া।
⊲ উচ্চ রক্তচাপ।
⊲ রক্তনালির কিছু জন্মগত ত্রুটি।
⊲ মাসিকের সময় এবং গর্ভাবস্থায় জটিলতা।
⊲ জন্ডিস বা লিভার প্রদাহ, লিভার সিরোসিসের মতো লিভারের বিভিন্ন অসুখ।
⊲ রক্তের রোগ, যেমন অ্যাপ্লাস্টিক অ্যানিমিয়া, হিমোফিলিয়া, থ্রম্বোসাইটোপেনিয়া, পারপুরা ইত্যাদি।
রোগনির্ণয় ও চিকিৎসা
হঠাৎ নাক দিয়ে রক্তক্ষরণ হলে আতঙ্কিত হবেন না। এ সময় যা করতে পারেন:
⊲ বসে সামনের দিকে মাথা ঝুঁকে থাকুন।
⊲ বরফের টুকরো কাপড়ে জড়িয়ে নাক ও কপালে ঠান্ডা সেঁক দিন।
⊲ নাকের সামনের নরম অংশ দুই আঙুল দিয়ে শক্ত করে চেপে ধরুন এবং কমপক্ষে ৫ মিনিট ধরে রাখুন।
কোন কারণে নাক দিয়ে রক্ত পড়ছে, সেটি নির্ণয় করে চিকিৎসা নিতে হয়। নাকের সামনের দিক থেকে রক্তপাত হলে দ্রুত তা বন্ধ করা যায়। কিন্তু পেছন বা ভেতরের দিক থেকে রক্তপাত হলে বহু ক্ষেত্রে তা বন্ধ করতে অনেক সময় লাগে। কিছু ক্ষেত্রে রক্তের বিভিন্ন পরীক্ষা, এক্স-রে, সিটি স্ক্যান, নাকের এন্ডোস্কপির দরকার পড়ে।
যা করবেন ও করবেন না
ডা. মো. আব্দুল হাফিজ শাফী, এফসিপিএস (ইএনটি) নাক-কান-গলারোগ বিশেষজ্ঞ এবং হেড-নেক সার্জন রেজিস্ট্রার, নাক-কান-গলা বিভাগ, সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
নাকের প্রধান কাজ হলো শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়া। হঠাৎ নাক থেকে রক্ত পড়তে দেখলে স্বাভাবিকভাবেই ভয় পায় মানুষ। নাক দিয়ে রক্ত পড়াকে বলা হয় এপিসট্যাক্সিস। এটি নিজে কোনো রোগ নয়, রোগের লক্ষণমাত্র। যেকোনো বয়সের নারী বা পুরুষ এ সমস্যায় পড়তে পারেন। এটি নাকের এক পাশ অথবা উভয় পাশ দিয়ে হতে পারে।
নাক দিয়ে রক্ত পড়া বা এপিসট্যাক্সিস সমস্যা অধিকাংশ ক্ষেত্রে সাধারণ সমস্যা হলেও অনেক সময় এটি জটিল রোগের উপসর্গ হিসেবে দেখা দেয়। একে মেডিকেল ইমারজেন্সি হিসেবে দেখা হয়। সাধারণত ৬০ শতাংশ মানুষ জীবনে কোনো না কোনো সময় নাক দিয়ে রক্ত পড়ার সমস্যার সম্মুখীন হয়।
রক্ত পড়ার কারণ
নাক, কান, গলা ছাড়াও শরীরের অন্য অনেক রোগের কারণে নাক দিয়ে রক্ত পড়তে পারে। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রে নাক দিয়ে রক্ত পড়ার কোনো কারণ খুঁজে পাওয়া যায় না।
নাকের সমস্যা
আঘাতজনিত: নাকে জোরালো আঘাত পেলে ভেতরের ঝিল্লি ফেটে গিয়ে রক্ত ঝরতে পারে; বিশেষ করে ফুটবল, ক্রিকেট বল বা অন্য যেকোনো কিছু তীব্র গতিতে নাকে এসে পড়লে রক্তপাত শুরু হতে পারে। এ ছাড়া নখ দিয়ে নাক খোঁচালে ঘা হয়ে রক্তপাত হতে পারে।
এ ছাড়া যেসব কারণে নাক দিয়ে রক্ত পড়তে পারে
⊲ নাকের বিভিন্ন অপারেশনের কারণে।
⊲ নাকের সর্দি, সাইনোসাইটিস।
⊲ নাকের বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ, যেমন এট্রফিক রাইনাইটিস, রাইনসপো রিডিওসিস ইত্যাদি।
⊲ নাকের ভেতর টিউমার।
⊲ নাকের মাঝখানের অতিরিক্ত বাঁকা হাড়।
⊲ নাকের মাঝখানের পর্দায় ছিদ্র ইত্যাদি।
অন্যান্য কারণ
⊲ ওষুধ সেবনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া।
⊲ উচ্চ রক্তচাপ।
⊲ রক্তনালির কিছু জন্মগত ত্রুটি।
⊲ মাসিকের সময় এবং গর্ভাবস্থায় জটিলতা।
⊲ জন্ডিস বা লিভার প্রদাহ, লিভার সিরোসিসের মতো লিভারের বিভিন্ন অসুখ।
⊲ রক্তের রোগ, যেমন অ্যাপ্লাস্টিক অ্যানিমিয়া, হিমোফিলিয়া, থ্রম্বোসাইটোপেনিয়া, পারপুরা ইত্যাদি।
রোগনির্ণয় ও চিকিৎসা
হঠাৎ নাক দিয়ে রক্তক্ষরণ হলে আতঙ্কিত হবেন না। এ সময় যা করতে পারেন:
⊲ বসে সামনের দিকে মাথা ঝুঁকে থাকুন।
⊲ বরফের টুকরো কাপড়ে জড়িয়ে নাক ও কপালে ঠান্ডা সেঁক দিন।
⊲ নাকের সামনের নরম অংশ দুই আঙুল দিয়ে শক্ত করে চেপে ধরুন এবং কমপক্ষে ৫ মিনিট ধরে রাখুন।
কোন কারণে নাক দিয়ে রক্ত পড়ছে, সেটি নির্ণয় করে চিকিৎসা নিতে হয়। নাকের সামনের দিক থেকে রক্তপাত হলে দ্রুত তা বন্ধ করা যায়। কিন্তু পেছন বা ভেতরের দিক থেকে রক্তপাত হলে বহু ক্ষেত্রে তা বন্ধ করতে অনেক সময় লাগে। কিছু ক্ষেত্রে রক্তের বিভিন্ন পরীক্ষা, এক্স-রে, সিটি স্ক্যান, নাকের এন্ডোস্কপির দরকার পড়ে।
যা করবেন ও করবেন না
ডা. মো. আব্দুল হাফিজ শাফী, এফসিপিএস (ইএনটি) নাক-কান-গলারোগ বিশেষজ্ঞ এবং হেড-নেক সার্জন রেজিস্ট্রার, নাক-কান-গলা বিভাগ, সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
আমাদের দেশে শীত উপভোগ্য মৌসুম। কিন্তু অনেকের ঠান্ডা, কাশি, জ্বর, গলাব্যথা, অ্যালার্জির মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। আবার শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা যাদের আছে, তাদের এই মৌসুমে কষ্ট বেড়ে যায়।
৭ ঘণ্টা আগেত্বক অভ্যন্তরীণ অঙ্গের সংক্রমণ এবং যেকোনো ক্ষতি থেকে সুরক্ষা দেয়। তাই এর যত্নে বিশেষ মনোযোগী হওয়া প্রয়োজন। শীতকালে ত্বক শুষ্ক ও টানটান হলে দুশ্চিন্তা করবেন না। চুলকানি হলেও চিন্তার কোনো কারণ নেই। শীতের শুষ্ক আবহাওয়া ত্বকের প্রতিরক্ষামূলক তেল কমিয়ে দেয়।
৭ ঘণ্টা আগেঅবস্থা এমন হয়েছে যে শিশুর যেকোনো জ্বর দেখা দিলেই অভিভাবকেরা ডেঙ্গু জ্বর কি না, তা নিয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়ছেন। সব শিশুর ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ ও চিকিৎসা এক রকম নয় এবং সবাইকে হাসপাতালে ভর্তি করানোর প্রয়োজন নেই।
৮ ঘণ্টা আগেঘুম থেকে উঠেই যে ক্লান্তি আর অলসতা বোধ হয়, তাকে বলে মর্নিং ফ্যাটিগ। পর্যাপ্ত ঘুম হওয়া সত্ত্বেও এটি ঘটতে পারে। ‘জার্নাল অব পেইন অ্যান্ড সিম্পটম ম্যানেজমেন্ট’-এ প্রকাশিত এক সমীক্ষায় বলা হয়েছে, সকালের ক্লান্তির সঙ্গে সম্পর্কিত পরিবর্তনযোগ্য ঝুঁকির কারণগুলো হলো...
৮ ঘণ্টা আগে