Ajker Patrika

কেনিয়ায় চা-বাগান নিয়ে স্থানীয় ও বিদেশি এস্টেটগুলোর দ্বন্দ্ব, ক্ষতির মুখে শিল্প

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ১৪: ৪৯
২০২৩ সালে বাগানে ঢুকে চা পাতা তুলে নিয়ে যেতে শুরু করে স্থানীয়রা। ছবি: এনএমজি
২০২৩ সালে বাগানে ঢুকে চা পাতা তুলে নিয়ে যেতে শুরু করে স্থানীয়রা। ছবি: এনএমজি

বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম চা উৎপাদক দেশ কেনিয়া। দেশটির পশ্চিমাঞ্চলের নান্দি কাউন্টির সিতোই এস্টেটের পাহাড়ি এলাকায় রয়েছে চা-শিল্প। ১৯৪৮ সালে এই নান্দিতে জমি অধিগ্রহণ করে চা-বাগান গড়ে তোলে ব্রিটিশ মালিকানাধীন চা উৎপাদনকারী কোম্পানি ইস্টার্ন প্রোডিউস কেনিয়া (ইপিকে)। বহু দশক ধরে নান্দিসহ কেনিয়ার অনেক অঞ্চলে চা-বাগান পরিচালনা করছে তারা।

লন্ডনের ক্যামেলিয়া প্রাইভেট লিমিটেডের মালিকানাধীন এই কোম্পানির সঙ্গে সম্প্রতি জমি নিয়ে দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে স্থানীয় একটি সম্প্রদায়ের। দ্বন্দ্বের কারণ উপহারের জমি।

১৯৮৬ সালে উপহার হিসেবে ইস্টার্ন প্রোডিউস কেনিয়া (ইপিকে) কিমাসাস সম্প্রদায়কে কিছু জমি উপহার দিয়েছিল। এখন ইপিকে দাবি করছে, তারা ২০২ একর জমি দিয়েছিল। এদিকে কিমাসাস কৃষক সমবায় সমিতির দাবি, তাদের ৫৫০ একর জমি উপহার দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু তাদের দখলে আছে ৩৫০ একর।

চা-বাগানের মাঝে এই ৩৫০ একর জমিতে কিমাসাসের শ-খানেক স্থানীয় বাসিন্দার বাস। সেখানে কাদামাটি ও জংধরা টিনের ছাউনির কুটিরে বসবাস তাদের। চা-পাতা তুলে আর গবাদি পশু চরিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে তারা।

ইপিকে বলছে, তারা দীর্ঘদিন ধরে কেনিয়ার আইন মেনে চা-বাগান পরিচালনা করে আসছে। কিন্তু সম্প্রতি স্থানীয় সম্প্রদায়ের অসন্তোষ, জমি দখল ও রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের কারণে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা কঠিন হয়ে পড়ছে। তারা এ পরিস্থিতিকে ‘বিপজ্জনক নজির’ হিসেবে আখ্যায়িত করছে। স্থানীয়দের এ ধরনের কর্মকাণ্ড শিল্প খাতে দীর্ঘমেয়াদি ঝুঁকি তৈরি করছে বলে অভিযোগ করে তারা।

ইপিকের এই দাবির পরিপ্রেক্ষিতে কিমাসাসের চেয়ারম্যান ড্যানিয়েল বিউয়ট বলেন, ‘১৯০৫ সালের দিকে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিকেরা এই জায়গা দখলে নেওয়ার আগে তাঁর দাদা এখানে বাস করতেন। বিরোধপূর্ণ ৩৫০ একর জমি ফেরত পাওয়া মানে হবে একটি ঐতিহাসিক অন্যায়কে সংশোধন করা।’

বিওট, তাঁর বাবা ও দাদা—তিন পুরুষই ইপিকের কর্মী ছিলেন। চা-বাগানে দাঁড়িয়ে বিওট বলতে থাকেন, ‘এই এত বছরে কিছুই হয়নি। এখনই সময়, এই সমস্যার সমাধান করতে হবে।’

এই বিরোধের পেছনে রয়েছে কেনিয়ার বিভিন্ন চা-বাগানে ঘটে যাওয়া বেশ কয়েকটি সহিংস ঘটনা। কেনিয়ার চা উৎপাদকদের সমিতি (কেটিজিএ) এক বিবৃতিতে জানায়, গত জানুয়ারিতে শ্রীলঙ্কার মালিকানাধীন ব্রাউন্স প্ল্যান্টেশনের একটি খামারে হামলা চালানো হয় এবং শতাধিক ইউক্যালিপটাস গাছ উপড়ে ফেলা হয়। রাজনৈতিক আশ্রয়ে থাকা অপরাধী দলগুলো সিতোইতে এসব জমি দখল আক্রমণের পেছনে রয়েছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এসব অস্থিরতার কারণে প্রতি মাসে ২ লাখ ডলারেরও বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে ইপিকে। কেনিয়ার রপ্তানি আয়ের প্রায় এক-চতুর্থাংশ অংশ জুড়ে থাকা এই চা-শিল্পকে হুমকির মুখে ফেলছে। ৫ মিলিয়ন মানুষের জীবিকা নির্বাহের উৎস বিপদে পড়ছে।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, ঔপনিবেশিক যুগের জমি দখলের সমস্যা সমাধানে ব্যর্থতার প্রতি একটি বিস্তৃত হতাশার প্রতিফলন এসব হামলা।

আইনজীবী জোয়েল কিমুটাই বোসেক স্থানীয় সম্প্রদায়ের পক্ষে চা কোম্পানি এবং যুক্তরাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। তবে মামলায় সফল হননি। তিনি বলেন, ‘আমি আইনি ব্যবস্থায় এগোতে অনেক চেষ্টা করেছি, কিন্তু সফল হইনি। আমার মনে হয় নতুন বা ভবিষ্যৎ প্রজন্ম আরও আক্রমণাত্মক হবে।’

২০২১ সালের জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে জানা যায়, উপনিবেশিক যুগে ১৮৯৫-১৯৬৩ সাল পর্যন্ত ব্রিটিশরা কেনিয়ায় বিশাল পরিমাণ জমি দখল করে, যার বেশির ভাগই চা-বাগানে পরিণত হয়।

এই ঔপনিবেশিক সমস্যার সমাধানে ২০১০ সালের দিকে সচেতন হয়ে ওঠে কেনিয়া। গড়ে তোলা হয় জাতীয় জমি কমিশন। কমিশনের সাবেক প্রধান স্যামুয়েল টোরোরেই বলছিলেন, “কমিশনের সীমিত ক্ষমতার কারণে এর কার্যকারিতা ব্যাহত হয়েছে। আর চা কোম্পানিগুলো এবং রাজনৈতিক অভিজাতদের মধ্যেকার ‘অনৈতিক সম্পর্ক’ তো ছিলই। ”

কেনিয়ার ২০১০ সালের সংবিধান অনুযায়ী, চা কোম্পানিগুলোর পূর্বের ৯৯৯ বছরের জমির ইজারা মেয়াদ কমিয়ে ৯৯ বছরে নামিয়ে আনা হয়। কিন্তু সরকার জমির মালিকানা ব্যবহার করে স্থানীয় জনগণের জন্য পর্যাপ্ত জমি বা আর্থিক সুবিধা আদায় করতে ব্যর্থ হয়েছে বলে অধিকারকর্মীরা অভিযোগ করেন।

২০২৩ সাল পর্যন্ত কেনিয়ায় ব্রিটেনের জেমস ফিনলে কোম্পানির চা-বাগান ছিল। এই কোম্পানিতে ২০১৫ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন গাই চেম্বার্স। তিনি বলেন, ‘এই উত্তেজনার মূল কারণ হলো বড় বড় চা-বাগানের মালিকানা রয়েছে বিদেশিদের হাতে—যেসব জমি একসময় স্থানীয় সম্প্রদায়ের কাছ থেকে নিয়ে নেওয়া হয়েছিল।’

এই অস্থিরতা প্রসঙ্গে কেনিয়া সরকারের পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে কোম্পানিগুলো দাবি করছে, তারা কেনিয়ার আইন মেনে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। কিছু রাজনীতিবিদ এই ঐতিহাসিক অস্থিরতার সুযোগ নিয়ে তাদের জমির মালিকানা খর্ব করার চেষ্টা করছে। সেই সঙ্গে নিজেদের ব্যক্তিগত ব্যবসায়িক স্বার্থও এগিয়ে নিচ্ছে।

তবে এতকিছুর পরও স্থানীয় সম্প্রদায়ের জমি পুনরুদ্ধারের প্রচেষ্টাগুলো খুব একটা সফল হয়নি। জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে জানা যায়, এসব জমির ব্যাপারে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া কঠিন, কারণ এতে সময়সীমা এবং সরকারি রক্ষা প্রথা (ইমিউনিটি) ইত্যাদি বড় বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে।

চেম্বার্স পরিচালিত প্রাইভেট ইক্যুইটি ফার্ম এবং কেরিচো জেলার চা-চাষি সম্প্রদায় গত বছর সিভিসি ক্যাপিটাল-মালিকানাধীন লিপটনের এস্টেটগুলোর জন্য যৌথভাবে দরপত্র দিয়েছিল এমন একটি পরিকল্পনার অধীনে যা আগামী দুই দশকে সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ স্থানীয় সম্প্রদায়ের কাছে হস্তান্তর করত।

শেষ পর্যন্ত লিপটন কোম্পানি তাদের এস্টেট ব্রাউন্স কোম্পানির কাছে বিক্রি করে দেয়। লিপটনের একজন মুখপাত্র জানান, তারা এমন একজন ক্রেতাকে বেছে নিয়েছে, যিনি এই শিল্পের মানোন্নয়নে সহায়তা করতে পারবেন। তবে ব্রাউন্স কোম্পানি মন্তব্যের অনুরোধে সাড়া দেয়নি।

২০১৯ সালের এক প্রতিবেদনে কেনিয়ার জাতীয় ভূমি কমিশন ব্রিটিশ সরকারকে আহ্বান জানিয়েছিল কেরিচো অঞ্চলের সম্প্রদায়গুলোর কাছে ক্ষমা চাওয়ার এবং ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য। তবে ব্রিটিশ সরকার এই আহ্বানের সরাসরি কোনো জবাব দেয়নি।

মন্তব্য চাওয়া হলে ব্রিটেনের ফরেন, কমনওয়েলথ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অফিস জানায়, ‘আমরা নান্দি অঞ্চলের চা-খামারগুলোতে হামলায় উদ্বিগ্ন এবং আমরা কেনিয়া কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি।’

তবে ইপিকে দাবি করছে, চলমান বিরোধটি কোনো ঐতিহাসিক জমি-অবিচার নিয়ে নয়, বরং এটি ‘স্বেচ্ছায় দান ও গ্রহণের’ ভিত্তিতে দেওয়া একটি উপহার নিয়ে। কিন্তু ২০১৯ সালে কেনিয়ার জাতীয় ভূমি কমিশন জানায়, কিমাসাস সম্প্রদায় পুরো ৫৫০ একর জমির মালিক। ইপিকে এই দাবিকে আদালতে চ্যালেঞ্জ করে বলে, কিমাসাস যেসব প্রমাণ দিয়েছে, সেগুলো জাল।

২০২৩ সালের ৩ আগস্ট আদালত মামলার শুনানি চলাকালে প্রায় ২০০ মানুষ ওই বিরোধপূর্ণ জমিতে ঢুকে পড়ে এবং চা-পাতা তুলে নিয়ে যেতে শুরু করে, যাদের মধ্যে একজন সংসদ সদস্যও ছিলেন। পরদিন আদালত একটি নিষেধাজ্ঞা জারি করে তাদের জমি ছেড়ে যাওয়ার নির্দেশ দেয়। সে সময় অধিকাংশ লোক চলে গেলেও পরে আবার অনেকে ফিরে আসে। এমনকি ইপিকের গাড়ি ও কর্মীদের ওপর হামলা চালায়।

কোম্পানিটি জানায়, পুলিশ ওই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করেনি। আর পাবলিক প্রসিকিউটরের অফিস জানিয়েছে, এ ঘটনায় কাউকে অভিযুক্ত করলে তা চলমান দেওয়ানি মামলায় হস্তক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।

ইপিকের জেনারেল ম্যানেজার পিটার গোইন বলেন, ‘যদি আমরা এ ধরনের পরিস্থিতি মেনে নিই—যেখানে তরুণ প্রজন্ম বলতে শুরু করে যে তাদের যথেষ্ট নেই, তারা আরও চায়—তাহলে এটা একটা বিপজ্জনক নজির হয়ে দাঁড়াবে, যা যেকোনো মূল্যে ঠেকাতে হবে।’

পুলিশ বা প্রসিকিউটরের অফিস মন্তব্যের অনুরোধে সাড়া দেয়নি।

অন্যদিকে কিমাসাস সম্প্রদায়ের নেতা বিউয়ট বলেন, তাদের পক্ষ থেকে জমি দখল করা যুক্তিসংগত, কারণ এ বিষয়ে এখনো আদালতের কোনো চূড়ান্ত রায় আসেনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনএসআইয়ের ১৩ কর্মকর্তার দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান করছে দুদক

আন্দোলনের মুখে রাবিতে আওয়ামীপন্থী ছয় ডিনের পদত্যাগ

হাদি হত্যা: ফয়সালসহ সংশ্লিষ্টদের অ্যাকাউন্টে ১২৭ কোটি টাকার লেনদেন

ভারতের বিবৃতি প্রত্যাখ্যান, সুরক্ষিত এলাকায় বিক্ষোভকারীরা কীভাবে প্রবেশ করল—প্রশ্ন ঢাকার

নির্বাচনের পরিবেশ তৈরিতে অপারেশন শুরু করবে যৌথ বাহিনী: ইসি সানাউল্লাহ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

জাপানের পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনের চেষ্টাকে প্রতিহতের ঘোষণা উত্তর কোরিয়ার

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং উন। ছবি: এএফপি
উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং উন। ছবি: এএফপি

জাপানের পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনের যে কোনো প্রচেষ্টা কঠোরভাবে প্রতিহত করার হুঁশিয়ারি দিয়েছে উত্তর কোরিয়া। দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম কেসিএনএ রোববার (২১ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, জাপানের পারমাণবিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা যে কোনো মূল্যে রোধ করা উচিত, কারণ এটি মানবজাতির জন্য ভয়াবহ বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে।

উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীন ‘ইনস্টিটিউট ফর জাপান স্টাডিজ’-এর পরিচালক এক বিবৃতিতে বলেন, জাপানের পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনের চেষ্টা শুধু এশিয়া নয়, পুরো বিশ্বের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করবে। তাঁর ভাষায়, ‘জাপানের পারমাণবিক হওয়ার প্রচেষ্টা মানবজাতির জন্য এক মহাবিপর্যয় বয়ে আনবে।’

যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক ইনডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, উত্তর কোরিয়ার এই প্রতিক্রিয়ার পেছনে রয়েছে জাপানের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এক কর্মকর্তার সাম্প্রতিক মন্তব্য। জাপানের বার্তা সংস্থা কিয়োদো নিউজের খবরে বলা হয়, ওই কর্মকর্তা প্রকাশ্যে বলেছেন, টোকিওর পারমাণবিক অস্ত্র রাখা উচিত।

এই প্রেক্ষাপটে উত্তর কোরিয়া দাবি করেছে, এটি কোনো বিচ্ছিন্ন বা বেপরোয়া মন্তব্য নয়; বরং জাপানের বহুদিনের পারমাণবিক অস্ত্রায়নের আকাঙ্ক্ষারই প্রতিফলন।

উত্তর কোরিয়ার মতে, জাপান তাদের তথাকথিত ‘অ-পারমাণবিক নীতি’ পুনর্বিবেচনার কথা বলে কার্যত একটি ‘লাল রেখা’ অতিক্রম করেছে। বিবৃতিতে বলা হয়, জাপানের কর্মকর্তাদের মন্তব্যগুলোই বলে দিচ্ছে, টোকিও এখন প্রকাশ্যেই পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনের বাসনা জানাচ্ছে।

উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম আরও দাবি করেছে, যুক্তরাষ্ট্র যখন গত অক্টোবরে দক্ষিণ কোরিয়াকে একটি পারমাণবিক সাবমেরিন নির্মাণের অনুমোদন দেয়, তার পরপরই জাপানে এই ধরনের বক্তব্য জোরালো হতে শুরু করে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট লি জে মিয়ংয়ের সঙ্গে বাণিজ্য ও নিরাপত্তা ইস্যুতে শীর্ষ বৈঠকের পর ওই অনুমোদন দিয়েছিলেন।

উত্তর কোরিয়ার ওই কর্মকর্তা সতর্ক করে বলেন—জাপান যদি পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন করে, তবে এশিয়া ভয়াবহ পারমাণবিক বিপর্যয়ের মুখে পড়বে। তবে তিনি পিয়ংইয়ংয়ের নিজস্ব পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি।

ধারণা করা হয়, উত্তর কোরিয়া নিজেই একটি ক্রমবর্ধমান পারমাণবিক অস্ত্রভান্ডারের অধিকারী। আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা ও নিরস্ত্রীকরণের আহ্বান থাকার পরও দেশটি তার পারমাণবিক সক্ষমতা বজায় রাখা ও সম্প্রসারণের ঘোষণা দিয়ে আসছে। গত সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘে দেওয়া ভাষণে উত্তর কোরিয়ার উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী কিম সন গিয়ং বলেন—পারমাণবিক অস্ত্র তাদের রাষ্ট্রীয় আইন, জাতীয় নীতি এবং সার্বভৌম অধিকারের অংশ, যা তারা কোনো পরিস্থিতিতেই ত্যাগ করবে না।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনএসআইয়ের ১৩ কর্মকর্তার দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান করছে দুদক

আন্দোলনের মুখে রাবিতে আওয়ামীপন্থী ছয় ডিনের পদত্যাগ

হাদি হত্যা: ফয়সালসহ সংশ্লিষ্টদের অ্যাকাউন্টে ১২৭ কোটি টাকার লেনদেন

ভারতের বিবৃতি প্রত্যাখ্যান, সুরক্ষিত এলাকায় বিক্ষোভকারীরা কীভাবে প্রবেশ করল—প্রশ্ন ঢাকার

নির্বাচনের পরিবেশ তৈরিতে অপারেশন শুরু করবে যৌথ বাহিনী: ইসি সানাউল্লাহ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ভেনেজুয়েলার আরও একটি তেলের ট্যাংকার ধাওয়া করছে মার্কিন বাহিনী

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৩: ১৪
ক্যারিবিয়ান সাগরে পানামা পতাকাবাহী সেঞ্চুরি নামের একটি তেলবাহী জাহাজের ওপর মার্কিন সামরিক বাহিনীর টহল। ছবি: রয়টার্সের সৌজন্যে
ক্যারিবিয়ান সাগরে পানামা পতাকাবাহী সেঞ্চুরি নামের একটি তেলবাহী জাহাজের ওপর মার্কিন সামরিক বাহিনীর টহল। ছবি: রয়টার্সের সৌজন্যে

ভেনেজুয়েলা উপকূলে আন্তর্জাতিক জলসীমায় আরও একটি তেলের ট্যাংকার ধাওয়া করছে মার্কিন কোস্ট গার্ড। আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) তিনজন মার্কিন কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এটি সফল হলে এক সপ্তাহের মধ্যে ভেনেজুয়েলাসংশ্লিষ্ট তিনটি তেলবাহী জাহাজ জব্দ করার ঘটনা ঘটবে।

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত সপ্তাহে ভেনেজুয়েলার ওপর ‘সর্বাত্মক নৌ অবরোধ’ ঘোষণার পর থেকে এই চিরুনি অভিযান শুরু হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মার্কিন কোস্ট গার্ড বর্তমানে একটি তেল ট্যাংকারকে ধাওয়া করছে। তবে অভিযানের সুনির্দিষ্ট অবস্থান বা জাহাজটির পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।

এই অভিযান নিয়ে হোয়াইট হাউস বা পেন্টাগন থেকে তাৎক্ষণিক কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

হোয়াইট হাউসের ন্যাশনাল ইকোনমিক কাউন্সিলের ডিরেক্টর কেভিন হ্যাসেট আজ জানিয়েছেন, এর আগে জব্দ করা দুটি ট্যাংকার ‘ব্ল্যাক মার্কেট’ বা কালোবাজারের মাধ্যমে বিভিন্ন নিষিদ্ধ দেশে তেল সরবরাহ করছিল।

কেভিন হ্যাসেট দাবি করেছেন, এই আটকের ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রে তেলের দাম বাড়ার কোনো কারণ নেই। তাঁর মতে, এগুলো বিচ্ছিন্ন ঘটনা এবং কেবল কালোবাজারি জাহাজগুলোকেই লক্ষ্যবস্তু করা হচ্ছে।

তবে বাজার বিশ্লেষক ও তেল ব্যবসায়ীরা ভিন্নমত পোষণ করছেন। একজন তেল ব্যবসায়ী রয়টার্সকে বলেন, এই ধরনের পদক্ষেপ ভূরাজনৈতিক ঝুঁকি বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়। আগামীকাল সোমবার এশিয়ার বাজারে তেলের দাম বাড়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। তবে ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ হওয়ার সম্ভাবনা তেলের দামের এই ঊর্ধ্বগতিকে কিছুটা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে।

গত সেপ্টেম্বর থেকে প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর ওপর চাপ বাড়াতে ট্রাম্প প্রশাসন এই অঞ্চলে সামরিক উপস্থিতি কয়েক গুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। গত কয়েক মাসে প্রশান্ত মহাসাগর ও ক্যারিবিয়ান সাগরে ভেনেজুয়েলাসংশ্লিষ্ট ভেসেলগুলোর ওপর অন্তত দুই ডজন সামরিক হামলা চালানো হয়েছে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের তথ্যমতে, এসব সামরিক অভিযানে এখন পর্যন্ত অন্তত ১০০ জন নিহত হয়েছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনএসআইয়ের ১৩ কর্মকর্তার দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান করছে দুদক

আন্দোলনের মুখে রাবিতে আওয়ামীপন্থী ছয় ডিনের পদত্যাগ

হাদি হত্যা: ফয়সালসহ সংশ্লিষ্টদের অ্যাকাউন্টে ১২৭ কোটি টাকার লেনদেন

ভারতের বিবৃতি প্রত্যাখ্যান, সুরক্ষিত এলাকায় বিক্ষোভকারীরা কীভাবে প্রবেশ করল—প্রশ্ন ঢাকার

নির্বাচনের পরিবেশ তৈরিতে অপারেশন শুরু করবে যৌথ বাহিনী: ইসি সানাউল্লাহ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ভেনেজুয়েলায় মার্কিন হস্তক্ষেপ নিয়ে সতর্ক করলেন লুলা

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা। ছবি: সংগৃহীত
ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা। ছবি: সংগৃহীত

ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রমবর্ধমান চাপ ও সম্ভাব্য সামরিক পদক্ষেপ ‘ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়’ ডেকে আনবে বলে সতর্ক করেছেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা। তিনি মত দিয়েছেন, ভেনেজুয়েলায় কোনো ধরনের সশস্ত্র হস্তক্ষেপ শুধু ওই দেশের জন্য নয়, বরং পুরো পৃথিবীর জন্যই এক বিপজ্জনক দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে।

ব্রাজিলের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর ফোজ দো ইগুয়াসুতে দক্ষিণ আমেরিকার আঞ্চলিক জোট ‘মারকোসুর’-এর শীর্ষ সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে লুলা এই মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ‘ভেনেজুয়েলায় সশস্ত্র হস্তক্ষেপ একটি মানবিক বিপর্যয়ে রূপ নেবে। এটি এমন একটি নজির সৃষ্টি করবে, যা বৈশ্বিক স্থিতিশীলতার জন্য মারাত্মক হুমকি।’

এ বিষয়ে এক প্রতিবেদনে রোববার (২১ ডিসেম্বর) রয়টার্স জানিয়েছে, ভেনেজুয়েলা ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে উত্তেজনা সম্প্রতি আরও বেড়েছে। গত মঙ্গলবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভেনেজুয়েলায় যাতায়াতকারী সব নিষেধাজ্ঞাভুক্ত তেলবাহী জাহাজের ওপর ‘অবরোধ’ আরোপের নির্দেশ দেন। ওয়াশিংটনের এই পদক্ষেপকে নিকোলাস মাদুরো সরকারের ওপর চাপ বাড়ানোর নতুন কৌশল হিসেবে দেখা হচ্ছে। ভেনেজুয়েলার অর্থনীতির প্রধান চালিকাশক্তি তেল খাতকে লক্ষ্য করেই এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

লুলা স্মরণ করিয়ে দেন, ফকল্যান্ডস যুদ্ধের চার দশকেরও বেশি সময় পর দক্ষিণ আমেরিকা আবারও অন্য মহাদেশীয় কোনো শক্তির সামরিক উপস্থিতির আশঙ্কায় ভুগছে। তিনি বলেন, ‘দক্ষিণ আমেরিকা আবার এমন এক ভূতের ছায়ায় পড়ছে, যেখানে এই অঞ্চলের বাইরে থেকে আসা সামরিক শক্তি আমাদের শান্তিকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।’

চলতি সপ্তাহের শুরুতেই লাতিন আমেরিকার দুই বৃহত্তম অর্থনীতির শীর্ষ নেতা ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলা দ্য সিলভা এবং মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট ক্লাউদিয়া শেইনবাউম ভেনেজুয়েলা পরিস্থিতিতে সংযম দেখানোর আহ্বান জানিয়েছিলেন। তবে গত শনিবারের বক্তব্যে লুলা আরও কঠোর দেখিয়েছেন।

‘মারকোসুর’ সম্মেলন শেষে দেওয়া এক যৌথ ঘোষণায় লাতিন আমেরিকার নেতারা ভেনেজুয়েলায় গণতান্ত্রিক নীতি ও মানবাধিকার রক্ষায় শান্তিপূর্ণ পথেই অগ্রসর হওয়ার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন। এই ঘোষণায় আর্জেন্টিনা, প্যারাগুয়ে ও পানামার প্রেসিডেন্টদের পাশাপাশি বলিভিয়া, ইকুয়েডর ও পেরুর শীর্ষ কর্মকর্তারাও সমর্থন জানান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনএসআইয়ের ১৩ কর্মকর্তার দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান করছে দুদক

আন্দোলনের মুখে রাবিতে আওয়ামীপন্থী ছয় ডিনের পদত্যাগ

হাদি হত্যা: ফয়সালসহ সংশ্লিষ্টদের অ্যাকাউন্টে ১২৭ কোটি টাকার লেনদেন

ভারতের বিবৃতি প্রত্যাখ্যান, সুরক্ষিত এলাকায় বিক্ষোভকারীরা কীভাবে প্রবেশ করল—প্রশ্ন ঢাকার

নির্বাচনের পরিবেশ তৈরিতে অপারেশন শুরু করবে যৌথ বাহিনী: ইসি সানাউল্লাহ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ট্রেনের ভাড়া বাড়ছে ভারতেও

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
২৬ ডিসেম্বর থেকে ট্রেনের ভাড়া বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতের রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। ছবি: সংগৃহীত
২৬ ডিসেম্বর থেকে ট্রেনের ভাড়া বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতের রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। ছবি: সংগৃহীত

ভারতেও ট্রেনের ভাড়া বাড়ছে। পকেটে টান পড়তে যাচ্ছে সাধারণ যাত্রীদের। ২৬ ডিসেম্বর থেকে ট্রেনের ভাড়া বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। তবে স্বস্তির খবর হলো, লোকাল ট্রেনের ভাড়া অপরিবর্তিত থাকছে। মূলত দূরপাল্লার যাত্রীদের জন্যই এই বাড়তি ভাড়া কার্যকর হবে।

ভারতের রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের ঘোষণা অনুযায়ী, ভ্রমণের দূরত্ব ও কোচের ধরনভেদে নতুন ভাড়ার হার নির্ধারিত হবে। ২১৫ কিলোমিটার পর্যন্ত সাধারণ শ্রেণিতে ভাড়ায় কোনো পরিবর্তন নেই। তবে ২১৫ কিলোমিটারের বেশি দূরত্বের ক্ষেত্রে প্রতি কিলোমিটারে এক পয়সা করে ভাড়া বাড়বে।

মেল বা এক্সপ্রেস ট্রেনের (নন-এসি) যাত্রীদের জন্য প্রতি কিলোমিটারে ভাড়া বাড়বে দুই পয়সা। এসি কোচ বা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কোচের ক্ষেত্রেও কিলোমিটার প্রতি দুই পয়সা ভাড়া বাড়ানো হয়েছে।

তবে যদি কোনো যাত্রী নন-এসি কোচে ৫০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দেন, নতুন নিয়ম অনুযায়ী তাঁকে আগের চেয়ে ১০ রুপি বেশি ভাড়া দিতে হবে।

কেন এই ভাড়া বৃদ্ধি

রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গত এক দশকে রেলপথ সম্প্রসারণের ফলে জনবল এবং অন্যান্য ব্যয় বহুগুণ বেড়েছে। রেলওয়ের বর্তমান জনবল ব্যয় দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ১৫ হাজার কোটি রুপিতে এবং পেনশনের পেছনে খরচ হচ্ছে ৬০ হাজার কোটি রুপি। সব মিলিয়ে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে মোট পরিচালনা ব্যয় বেড়ে হয়েছে ২ লাখ ৬৩ হাজার কোটি রুপি।

যাত্রীদের ভাড়া ও পণ্য পরিবহনের মাধ্যমে খরচ সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছে রেলওয়ে। এর আগে গত জুলাই মাসেও ভাড়া বাড়ানো হয়েছিল (নন-এসিতে এক পয়সা ও এসিতে দুই পয়সা)। তারও আগে ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি বড় ধরনের ভাড়া বৃদ্ধি কার্যকর করা হয়েছিল, যেখানে এসি কোচে ভাড়া বেড়েছিল কিলোমিটার প্রতি চার পয়সা পর্যন্ত।

রেলওয়ে কর্মকর্তাদের মতে, উন্নত সেবা এবং ক্রমবর্ধমান ব্যয় মেটাতে এই সামান্য ভাড়া বৃদ্ধি অপরিহার্য হয়ে পড়েছিল। কর্তৃপক্ষ আশা করছে, এই ভাড়া বৃদ্ধির ফলে রেলওয়ের বার্ষিক আয় প্রায় ৬০০ কোটি রুপি বাড়বে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনএসআইয়ের ১৩ কর্মকর্তার দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান করছে দুদক

আন্দোলনের মুখে রাবিতে আওয়ামীপন্থী ছয় ডিনের পদত্যাগ

হাদি হত্যা: ফয়সালসহ সংশ্লিষ্টদের অ্যাকাউন্টে ১২৭ কোটি টাকার লেনদেন

ভারতের বিবৃতি প্রত্যাখ্যান, সুরক্ষিত এলাকায় বিক্ষোভকারীরা কীভাবে প্রবেশ করল—প্রশ্ন ঢাকার

নির্বাচনের পরিবেশ তৈরিতে অপারেশন শুরু করবে যৌথ বাহিনী: ইসি সানাউল্লাহ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত