নাইজারে তিন বছর ক্ষমতায় থাকার ইচ্ছা অভ্যুত্থানকারীদের 

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ : ২০ আগস্ট ২০২৩, ০৮: ৫৪
আপডেট : ২০ আগস্ট ২০২৩, ১০: ২৬

নাইজারে তিন বছর ক্ষমতায় থাকার প্রস্তাব দিয়েছে অভ্যুত্থানকারীরা। তিন বছর পর বেসামরিক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছেন দেশটির অভ্যুত্থানকারীদের নেতা জেনারেল আবদুররহমানে চিয়ানি। এ ছাড়া, তাঁর দেশে কেউ হামলা চালালে তাতে উচ্চমূল্য পরিশোধ করতে হবে বলেও হুমকি দিয়েছেন তিনি। 

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পশ্চিম আফ্রিকার দেশগুলোর জোট দ্য ইকোনমিক কমিউনিটি অব ইস্ট আফ্রিকান স্টেটস বা ইকোওয়াসের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকে এই প্রস্তাব দেন চিয়ানি। এ সময় তিনি সতর্ক করে বলেন, তাঁর দেশে হামলা চালিয়ে সহজে পার পাওয়া যাবে না। 

শনিবার নাইজারের রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক ভাষণে জেনারেল চিয়ানি এই পরিকল্পনার কথা জানান। তবে তিন বছর পর কীভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করা হবে, সে বিষয়ে কোনো বিস্তারিত তথ্য দেননি। তবে তিনি জানিয়েছেন, আগামী ৩০ দিনের মধ্যে সামরিক পরিষদে বিষয়টি আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। 

জেনারেল চিয়ানি বলেন, ‘স্বদেশ রক্ষার্থে গঠিত জাতীয় সুরক্ষা পরিষদ এবং নাইজারের জনগণ কেউই যুদ্ধ চায় না। সংলাপের দরজা সব সময়ই খোলা।’ গতকাল শনিবার নাইজারের রাজধানী নিয়ামতে ইকোওয়াসের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে প্রথমবারের মতো বৈঠক করেন তিনি। 

ভাষণে জেনারেল চিয়ানি আরও বলেন, ‘তবে একটি বিষয় পরিষ্কার করে বলতে চাই, কিছু লোক যেমনটা ভাবছে যে আমাদের ওপর আক্রমণ চালিয়ে সহজে পার পেয়ে যাবে, সেরকমটা কখনোই হবে না।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমি একটি বিষয় নিশ্চিত করতে চাই, আমাদের উদ্দেশ্য ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করা নয়। আমি আরও নিশ্চিত করতে চাই, আমরা সংলাপের জন্য প্রস্তুত।’ 

এদিকে, গত ২৬ জুন নাইজারে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে দেশটির নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বাজুমেকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়। নাইজারের সামরিক বাহিনীর এই অভ্যুত্থানের জবাবে দেশটির ওপর বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে এবং ইকোওয়াসের সদস্য দেশগুলোকে সৈন্য প্রস্তুত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়, যাতে স্বল্পতম সময়ে নাইজারে সামরিক অভিযান চালানো যায়। এমনকি হামলার জন্য সম্ভাব্য একটি তারিখও নির্ধারণ করা হয়ে গেছে। 
 
তবে ১৫ সদস্যের এই জোটের মধ্যে কেপ ভার্দে নাইজারের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযানে অংশ নিচ্ছে না। অপর দুটি দেশ বুরকিনা ফাসো ও মালি নাইজারের পক্ষে দাঁড়িয়েছে এবং নাইজারের আকাশে নিজেদের যুদ্ধবিমান পাঠিয়েছে গত শুক্রবার।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত