প্রতিনিধি, গোলাপগঞ্জ
জীবিকার সংকটে পড়ে ডাকাতিকে পেশা নিতে বাধ্য হয় সোমালিয়ান জেলেরা। ইন্ডিয়ান ওশান কমিশন (আইওসি) সোমালিয়ান জেলেদের দস্যুতার কারণ জানিয়ে এক বিবৃতিতে এ কথা জানায়। বিবৃতিতে তারা জানায়, দেড় দশক আগে প্রথম দফায় জেলেরা যে দস্যুতায় জড়িয়ে পড়েছিল, তার অন্যতম কারণ, বিদেশি ট্রলার এসে তাদের এলাকায় অবৈধভাবে মাছ ধরতো। ফলে, স্থানীয় জেলেরা জীবিকার সংকটে পড়ে ডাকাতিকে পেশা নিতে বাধ্য হয়।
বেশ কয়েকবছর তেমন তৎপরতা ছিল না সোমালিয়ান জলদস্যুদের। সম্প্রতি ব্যাপক তৎপরতা দেখা যাচ্ছে তাদের। গতকাল মঙ্গলবার এই জলদস্যুরা বাংলাদেশি একটি জাহাজ ছিনতাই করে ২৩ জন নাবিককে জিম্মি করেছে।
লোহিত সাগরে হুথিদের নিয়ে আন্তর্জাতিক বাহিনীগুলো বেশি ব্যস্ত থাকার সুযোগে ভারত মহাসাগরের গালফ অফ এডেনে তারা আবার মাথাচাড়া দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।
উত্থানের নেপথ্যে
ইতালিয়ান ঔপনিবেশিক নিয়ন্ত্রণ থেকে বেরিয়ে ১৯৬০ সালে সোমালিয়ার জন্ম। ১৯৯১ সালে সামরিক শাসনের উৎখাতের পরে নৈরাজ্যের মধ্যে পড়ে দেশটি। পরের দুই দশকের বেশি সময় যুদ্ধবিগ্রহে বিধ্বস্ত সোমলিয়াতে কার্যকর কোন সরকার ছিল না।
এই সময়টাতে আফ্রিকার মধ্যে দীর্ঘতম উপকূল সমৃদ্ধ দেশটির জলসীমার নিরাপত্তায় কোনো কোস্টগার্ড বা বাহিনী ছিল না।
এতে এই অঞ্চলে বিদেশি মাছ ধরা নৌযানের উপস্থিতি ক্রমশ বাড়তে থাকে। এতে স্থানীয় জেলেরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছিল। ফলে, তারা দস্যুবৃত্তির দিকে ঝুঁকে পড়ে।
ইন্ডিয়ান ওশান কমিশনের সাম্প্রতিক এক বিবৃতিতেও ওই সময়ের দস্যুতার নেপথ্যে এই কারণ হিসেবে দেখা হয়েছে। তাছাড়া, মৎস শিকারের চেয়ে দস্যুতায় আয়ের পরিমাণও অনেকগুণ বেশি।
তবে, কয়েক বছর তাদের দৌরাত্ম্যে অতিষ্ঠ হয়ে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র, ভারতসহ সংশ্লিষ্ট দেশগুলো ওই রুটে তাদের সামরিক উপস্থিতি বাড়ায়। এর ফলে ২০১২ সাল নাগাদ অনেকটাই স্তিমিত হয়ে আসে দস্যুবৃত্তি।
সম্প্রতি বেশ কয়েকটি জাহাজ হাইজ্যাকের ঘটনা ঘটায় সোমালিয়ান জলদস্যুরা। ইউরোপীয় ইউনিয়নের নৌবাহিনীর তথ্য মতে, গত বছরের নভেম্বরে থেকে এ বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত তিন মাসে সোমালি উপকূলে অন্তত ১৪টি জাহাজ হাইজ্যাক করা হয়েছে।
সর্বশেষ শিকার বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ। কয়লা নিয়ে আফ্রিকার দেশ মোজাম্বিক থেকে দুবাইয়ের দিকে যাওয়ার পথে মঙ্গলবার ২৩ জন ক্রু সহ জাহাজটির নিয়ন্ত্রণ নেয় জলদস্যুরা।
হুথিদের ঠেকাতে গিয়ে অরক্ষিত সোমালিয়া উপকূল
দস্যুরা স্বভাবতই সুযোগসন্ধানী। তারা নিরাপত্তাবাহিনীকে ফাঁকি দেয়ার চেষ্টা করে নানাভাবে।
এবার পূর্ব আফ্রিকা উপকূলে নিরাপত্তা ব্যবস্থার ঘাটতিকে কাজে লাগাচ্ছে তারা। বিবিসিকে এমনটাই বলছিলেন, রয়্যাল ড্যানিশ ডিফেন্স কলেজের সহযোগী অধ্যাপক ট্রোয়েলস বুরচাল হেনিংসেন।
তিনি বলেন, ২০০৫ থেকে ২০১২ সালে ব্যাপকভাবে জলদস্যুতা বেড়ে গিয়েছিল। তখন আন্তর্জাতিক বাহিনী ওই জলসীমায় টহল জোরদার করে।
কিন্তু সম্প্রতি লোহিত সাগরে ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহী গোষ্ঠী বেশ কিছু জাহাজে আক্রমণ করায় পশ্চিমা বাহিনীগুলোকে সেইদিকে বেশি নজর দিতে হয়েছে।
হেনিংসেন বলেন, ‘সামরিক দিক থেকে দেখলে, (হুথিদের) ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোনের আক্রমণ মোকাবেলা করাটা বেশি জরুরি। তাই, ড্রোন-ক্ষেপণাস্ত্র সামাল দিতে গিয়ে জলদস্যুদের দিকে নজর দেওয়ার সুযোগ পাচ্ছে না তারা।’
একই ধারণা পোষণ করে ইন্ডিয়ান ওশান কমিশন (আইওসি)। আইওসি পূর্ব আফ্রিকার জলসীমার সেশেলস এবং কোমোরোসের মতো দেশগুলোর একটি আঞ্চলিক সংস্থা।
গত সপ্তাহে এক বিবৃতিতে, আইওসি হাইজ্যাকিং বেড়ে যাওয়ার পেছনে আরও কিছু কারণও উল্লেখ করেছে।
দেড় দশক আগে প্রথম দফায় জেলেরা যে দস্যুতায় জড়িয়ে পড়েছিল, তার অন্যতম কারণ, বিদেশি ট্রলার এসে তাদের এলাকায় অবৈধভাবে মাছ ধরতো। ফলে, স্থানীয় জেলেরা জীবিকার সংকটে পড়ে ডাকাতিকে পেশা নিতে বাধ্য হয়।
আইওসি বলছে, বর্তমান সোমালি মৎস্য নীতির কারণে আবারও বিদেশি মাছ ধরার জাহাজের উপস্থিতি বাড়ছে। এতে আবার উপকূলীয় সোমালিরা জলদস্যুতার পথে পা বাড়াবে এমন সতর্কতা জানায় সংস্থাটি।।
সোমালিয়া-ভিত্তিক আল-শাবাব জঙ্গি গোষ্ঠী ডাকাতিতে উস্কানি দিচ্ছে এমন প্রসঙ্গও উঠে আসে আইওসি’র বিবৃতিতে।
একটি কথিত সমঝোতা ব্যাপারে শোনা যায়। যার বদৌলতে জঙ্গিরা দস্যুদের সুরক্ষা দেয়। বিনিময়ে আদায়কৃত মুক্তিপণের একটি ভাগ পায় তারা।
দস্যুদের উদ্দেশ্য কী? আয় কেমন?
ত্রিকোণাকৃতির ভৌগোলিক মানচিত্রের কারণে পূর্ব আফ্রিকা অঞ্চলকে হর্ন অফ আফ্রিকা বলা হয়।
২০০৫ থেকে ২০১২ পর্যন্ত সময়কালে হর্ন অফ আফ্রিকার দস্যুরা কী পরিমাণ অর্থ আদায় করেছে তার একটি আনুমানিক হিসাব করেছে বিশ্বব্যাংক। সেই হিসাব অনুযায়ী জলদস্যুরা ক্রুদের জিম্মি করে সাড়ে তিনশো থেকে সোয়া চারশো মিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থ আদায় করেছে।
এই পরিসংখ্যান তুলে ধরে নাইজেরিয়ার ফেডারেল ইউনিভার্সিটির লেকচারার স্যামুয়েল ওয়েওল বলেন, ছিনতাইয়ের পেছনে মূল লক্ষ্য মুক্তিপণ আদায় বলেই ধারণা করা যায়। অন্তত সাম্প্রতিক ঘটনাগুলোর নেপথ্য এটিই মূল কারণ।
২০১১ সালে একটি তেলের ট্যাংকার জব্দ করে দস্যুরা। দুশো মিলিয়ন ডলার সমমূল্যের জ্বালানি ছিলো নৌযানটিতে। আটক দুই ফিলিপিনো ক্রুকে হত্যা করা হয়।
যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক সংস্থা ওশেন বিয়ন্ড পাইরেসির প্রতিবেদন বলছে, সাগরে দস্যুতার কারণে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক ক্ষতির পরিমাণ বছরে সাত থেকে ১২ বিলিয়ন ডলার।
জীবিকার সংকটে পড়ে ডাকাতিকে পেশা নিতে বাধ্য হয় সোমালিয়ান জেলেরা। ইন্ডিয়ান ওশান কমিশন (আইওসি) সোমালিয়ান জেলেদের দস্যুতার কারণ জানিয়ে এক বিবৃতিতে এ কথা জানায়। বিবৃতিতে তারা জানায়, দেড় দশক আগে প্রথম দফায় জেলেরা যে দস্যুতায় জড়িয়ে পড়েছিল, তার অন্যতম কারণ, বিদেশি ট্রলার এসে তাদের এলাকায় অবৈধভাবে মাছ ধরতো। ফলে, স্থানীয় জেলেরা জীবিকার সংকটে পড়ে ডাকাতিকে পেশা নিতে বাধ্য হয়।
বেশ কয়েকবছর তেমন তৎপরতা ছিল না সোমালিয়ান জলদস্যুদের। সম্প্রতি ব্যাপক তৎপরতা দেখা যাচ্ছে তাদের। গতকাল মঙ্গলবার এই জলদস্যুরা বাংলাদেশি একটি জাহাজ ছিনতাই করে ২৩ জন নাবিককে জিম্মি করেছে।
লোহিত সাগরে হুথিদের নিয়ে আন্তর্জাতিক বাহিনীগুলো বেশি ব্যস্ত থাকার সুযোগে ভারত মহাসাগরের গালফ অফ এডেনে তারা আবার মাথাচাড়া দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।
উত্থানের নেপথ্যে
ইতালিয়ান ঔপনিবেশিক নিয়ন্ত্রণ থেকে বেরিয়ে ১৯৬০ সালে সোমালিয়ার জন্ম। ১৯৯১ সালে সামরিক শাসনের উৎখাতের পরে নৈরাজ্যের মধ্যে পড়ে দেশটি। পরের দুই দশকের বেশি সময় যুদ্ধবিগ্রহে বিধ্বস্ত সোমলিয়াতে কার্যকর কোন সরকার ছিল না।
এই সময়টাতে আফ্রিকার মধ্যে দীর্ঘতম উপকূল সমৃদ্ধ দেশটির জলসীমার নিরাপত্তায় কোনো কোস্টগার্ড বা বাহিনী ছিল না।
এতে এই অঞ্চলে বিদেশি মাছ ধরা নৌযানের উপস্থিতি ক্রমশ বাড়তে থাকে। এতে স্থানীয় জেলেরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছিল। ফলে, তারা দস্যুবৃত্তির দিকে ঝুঁকে পড়ে।
ইন্ডিয়ান ওশান কমিশনের সাম্প্রতিক এক বিবৃতিতেও ওই সময়ের দস্যুতার নেপথ্যে এই কারণ হিসেবে দেখা হয়েছে। তাছাড়া, মৎস শিকারের চেয়ে দস্যুতায় আয়ের পরিমাণও অনেকগুণ বেশি।
তবে, কয়েক বছর তাদের দৌরাত্ম্যে অতিষ্ঠ হয়ে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র, ভারতসহ সংশ্লিষ্ট দেশগুলো ওই রুটে তাদের সামরিক উপস্থিতি বাড়ায়। এর ফলে ২০১২ সাল নাগাদ অনেকটাই স্তিমিত হয়ে আসে দস্যুবৃত্তি।
সম্প্রতি বেশ কয়েকটি জাহাজ হাইজ্যাকের ঘটনা ঘটায় সোমালিয়ান জলদস্যুরা। ইউরোপীয় ইউনিয়নের নৌবাহিনীর তথ্য মতে, গত বছরের নভেম্বরে থেকে এ বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত তিন মাসে সোমালি উপকূলে অন্তত ১৪টি জাহাজ হাইজ্যাক করা হয়েছে।
সর্বশেষ শিকার বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ। কয়লা নিয়ে আফ্রিকার দেশ মোজাম্বিক থেকে দুবাইয়ের দিকে যাওয়ার পথে মঙ্গলবার ২৩ জন ক্রু সহ জাহাজটির নিয়ন্ত্রণ নেয় জলদস্যুরা।
হুথিদের ঠেকাতে গিয়ে অরক্ষিত সোমালিয়া উপকূল
দস্যুরা স্বভাবতই সুযোগসন্ধানী। তারা নিরাপত্তাবাহিনীকে ফাঁকি দেয়ার চেষ্টা করে নানাভাবে।
এবার পূর্ব আফ্রিকা উপকূলে নিরাপত্তা ব্যবস্থার ঘাটতিকে কাজে লাগাচ্ছে তারা। বিবিসিকে এমনটাই বলছিলেন, রয়্যাল ড্যানিশ ডিফেন্স কলেজের সহযোগী অধ্যাপক ট্রোয়েলস বুরচাল হেনিংসেন।
তিনি বলেন, ২০০৫ থেকে ২০১২ সালে ব্যাপকভাবে জলদস্যুতা বেড়ে গিয়েছিল। তখন আন্তর্জাতিক বাহিনী ওই জলসীমায় টহল জোরদার করে।
কিন্তু সম্প্রতি লোহিত সাগরে ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহী গোষ্ঠী বেশ কিছু জাহাজে আক্রমণ করায় পশ্চিমা বাহিনীগুলোকে সেইদিকে বেশি নজর দিতে হয়েছে।
হেনিংসেন বলেন, ‘সামরিক দিক থেকে দেখলে, (হুথিদের) ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোনের আক্রমণ মোকাবেলা করাটা বেশি জরুরি। তাই, ড্রোন-ক্ষেপণাস্ত্র সামাল দিতে গিয়ে জলদস্যুদের দিকে নজর দেওয়ার সুযোগ পাচ্ছে না তারা।’
একই ধারণা পোষণ করে ইন্ডিয়ান ওশান কমিশন (আইওসি)। আইওসি পূর্ব আফ্রিকার জলসীমার সেশেলস এবং কোমোরোসের মতো দেশগুলোর একটি আঞ্চলিক সংস্থা।
গত সপ্তাহে এক বিবৃতিতে, আইওসি হাইজ্যাকিং বেড়ে যাওয়ার পেছনে আরও কিছু কারণও উল্লেখ করেছে।
দেড় দশক আগে প্রথম দফায় জেলেরা যে দস্যুতায় জড়িয়ে পড়েছিল, তার অন্যতম কারণ, বিদেশি ট্রলার এসে তাদের এলাকায় অবৈধভাবে মাছ ধরতো। ফলে, স্থানীয় জেলেরা জীবিকার সংকটে পড়ে ডাকাতিকে পেশা নিতে বাধ্য হয়।
আইওসি বলছে, বর্তমান সোমালি মৎস্য নীতির কারণে আবারও বিদেশি মাছ ধরার জাহাজের উপস্থিতি বাড়ছে। এতে আবার উপকূলীয় সোমালিরা জলদস্যুতার পথে পা বাড়াবে এমন সতর্কতা জানায় সংস্থাটি।।
সোমালিয়া-ভিত্তিক আল-শাবাব জঙ্গি গোষ্ঠী ডাকাতিতে উস্কানি দিচ্ছে এমন প্রসঙ্গও উঠে আসে আইওসি’র বিবৃতিতে।
একটি কথিত সমঝোতা ব্যাপারে শোনা যায়। যার বদৌলতে জঙ্গিরা দস্যুদের সুরক্ষা দেয়। বিনিময়ে আদায়কৃত মুক্তিপণের একটি ভাগ পায় তারা।
দস্যুদের উদ্দেশ্য কী? আয় কেমন?
ত্রিকোণাকৃতির ভৌগোলিক মানচিত্রের কারণে পূর্ব আফ্রিকা অঞ্চলকে হর্ন অফ আফ্রিকা বলা হয়।
২০০৫ থেকে ২০১২ পর্যন্ত সময়কালে হর্ন অফ আফ্রিকার দস্যুরা কী পরিমাণ অর্থ আদায় করেছে তার একটি আনুমানিক হিসাব করেছে বিশ্বব্যাংক। সেই হিসাব অনুযায়ী জলদস্যুরা ক্রুদের জিম্মি করে সাড়ে তিনশো থেকে সোয়া চারশো মিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থ আদায় করেছে।
এই পরিসংখ্যান তুলে ধরে নাইজেরিয়ার ফেডারেল ইউনিভার্সিটির লেকচারার স্যামুয়েল ওয়েওল বলেন, ছিনতাইয়ের পেছনে মূল লক্ষ্য মুক্তিপণ আদায় বলেই ধারণা করা যায়। অন্তত সাম্প্রতিক ঘটনাগুলোর নেপথ্য এটিই মূল কারণ।
২০১১ সালে একটি তেলের ট্যাংকার জব্দ করে দস্যুরা। দুশো মিলিয়ন ডলার সমমূল্যের জ্বালানি ছিলো নৌযানটিতে। আটক দুই ফিলিপিনো ক্রুকে হত্যা করা হয়।
যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক সংস্থা ওশেন বিয়ন্ড পাইরেসির প্রতিবেদন বলছে, সাগরে দস্যুতার কারণে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক ক্ষতির পরিমাণ বছরে সাত থেকে ১২ বিলিয়ন ডলার।
ভারতের মণিপুর রাজ্যে নতুন করে শুরু হওয়া সহিংসতার পরিপ্রেক্ষিতে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার সেখানে আরও ১০ হাজার সেনা মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মিয়ানমারের সীমান্তবর্তী ওই রাজ্যটিতে এ নিয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনীর মোট ২৮৮টি কোম্পানি মোতায়েন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।
১ মিনিট আগেমানবতাবিরোধী ও যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত দখলদার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে গ্রেপ্তারের ইঙ্গিত দিয়েছে যুক্তরাজ্য। গতকাল নেতানিয়াহু ও তার সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্তের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)।
৭ মিনিট আগেআয়ারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সাইমন হ্যারিস বলেছেন, গাজায় যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) পরোয়ানা জারি করায় বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু আয়ারল্যান্ডে এলে তাকে গ্রেপ্তার করা হবে। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্তের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি প
২ ঘণ্টা আগেনিজের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতকে (আইসিসি) ‘মানবতার শত্রু’ বলে অবহিত করেছেন নেতানিয়াহু। হেগে অবস্থিত আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত, মানবতাকে রক্ষা করার জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। কিন্তু আজ সেটি মানবতার শত্রুতে পরিণত হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে