কেনিয়ায় বন্যায় নিহত অন্তত ৪৫, বাঁধ ভাঙায় নিহতের সংখ্যা বাড়ার শঙ্কা

অনলাইন ডেস্ক
Thumbnail image

পূর্ব এশিয়ার দেশ কেনিয়ার মধ্যাঞ্চলে মাই মাহিউ এলাকায় বন্যায় কমপক্ষে ৪৫ জন নিহত হয়েছেন। পুলিশ সতর্ক করেছে যে, রিফ্ট ভ্যালিতে একটি শহরের কাছে একটি বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে। আজ সোমবার স্থানীয় সম্প্রচারমাধ্যম সিটিজেন টেলিভিশনের বরাতে খবরটি দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

কেনিয়া রেড ক্রস জানিয়েছে যে, তারা আকস্মিক বন্যার কারণে অনেক লোককে মাই মাহিউতে একটি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে গেছে।

কেনিয়ার গণমাধ্যম, কেনিয়া রেড ক্রস এবং হাইওয়ে কর্তৃপক্ষ সামাজিক প্ল্যাটফর্ম এক্সে বন্যার পরের ছবি পোস্ট করেছে। ছবিগুলোয় দেখানো হয়েছে যে, রাস্তার মধ্যে গাছ ভেঙে পড়েছে এবং একটি গাড়ি কাঠ ও কাদার মধ্যে আটকে আছে।

গত মাস থেকে কেনিয়ায় ভারী বর্ষণ ও বন্যায় একশোর বেশি মানুষ মারা গেছে। সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে, মৃতের সংখ্যা ৭৬ এবং বাস্তুচ্যুত হয়েছে ১ লাখ ৩১ হাজারের বেশি মানুষ।

কেনিয়া রেড ক্রস তার এক্স অ্যাকাউন্টে বলেছে যে, তার কর্মীরা পূর্ব কেনিয়ার গারিসা কাউন্টির তানা নদীতে গতকাল রোববার গভীর রাতে ডুবে যাওয়া একটি নৌকায় থাকা দুটি মৃতদেহ উদ্ধার করেছে। কেনিয়া রেড ক্রস জানিয়েছে, তাদের কর্মীরা ঘটনাস্থল থেকে ২৩ জনকে উদ্ধার করেছে। তবে ছয়জন এখনো নিখোঁজ।

তানজানিয়া এবং বুরুন্ডিসহ পূর্ব আফ্রিকার অন্যান্য দেশগুলোতে তীব্র বর্ষণে আরও ডজনখানেক মানুষ নিহত এবং কয়েক লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।

কেনিয়ার শিক্ষা মন্ত্রণালয় আজ সোমবার এক সপ্তাহের জন্য স্কুলের কার্যক্রম স্থগিত করেছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘কিছু স্কুলে বৃষ্টির বিধ্বংসী প্রভাব এতটাই গুরুতর যে, সকল ক্ষতিগ্রস্ত স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।’

বন্যায় কেনিয়া জুড়ে বেশকিছু সড়ক ও সেতু ধ্বংস হয়েছে।

কেনিয়ার বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ গতকাল জানিয়েছে যে, কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবির আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের একটি রাস্তার আন্ডারপাস প্লাবিত হয়েছে। তবে ফ্লাইটগুলো যথারীতি চলছে।

একজন সরকারি মুখপাত্র বলেছেন যে, জলবিদ্যুতের বাঁধগুলোর ধারণক্ষমতা পর্যন্ত পৌঁছে গেছে পানির উচ্চতা। এতে বাঁধ ভাঙার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। বাঁধ ভাঙলে আরও ভয়াবহ মাত্রায় প্লাবিত হতে পারে কেনিয়ার মধ্যাঞ্চল।

২০২৩ সালের শেষের দিকে গত বর্ষা মৌসুমে পূর্ব আফ্রিকায় আঘাত হেনেছিল অভূতপূর্ব বন্যা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলেই ঘন ঘন ঘটছে এসব চরম আবহাওয়ার ঘটনা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত