কঙ্গোতে সশস্ত্র হামলায় প্রায় অর্ধশত নিহত

অনলাইন ডেস্ক
Thumbnail image

গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্রের একটি খনি শিবিরে সশস্ত্র হামলায় ৩০ থেকে ৫০ জন মানুষ নিহত হয়েছেন এবং অনেকে নিখোঁজ রয়েছেন। সুশীল সমাজের তিন নেতার বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। 

কঙ্গো সেনাবাহিনীর মুখপাত্র জুলেস এনগঙ্গো সিকুডি গতকাল রোববার বলেছেন, ‘পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ ইতুরির মংওয়ালু শহরের কাছে একটি খনি শিবিরে মারাত্মক হামলা হয়েছে। হতাহতের সঠিক সংখ্যা এখনো জানা যায়নি। আশা করছি খুব শিগগিরই জানতে পারব। আমাদের সেনাবাহিনী সেখানে কাজ করছে।’ 

ইতুরির সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোকে নির্মূল করতে কঙ্গো সেনাবাহিনী রাতদিন কাজ করছে বলেও জানান তিনি। 

খনিতে হামলায় ৩০ থেকে ৫০ জন নিহত হয়েছেন বলে অনুমান করছেন সুশীল সামজের নেতারা। একজন নেতা বলেছেন, স্থানীয় হাসপাতালে আহতদের সংখ্যা দেখে তিনি হতবাক হয়ে গেছেন। দাইউদোন লোসা নামের একজন নেতা এই হত্যাকাণ্ডের জন্য কোডেকো মিলিশিয়াকে দায়ী করেছেন। 

কঙ্গো কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই সশস্ত্র বাহিনী বেসামরিক ক্যাম্পে হামলা চালানোর জন্য কুখ্যাত হয়ে উঠেছে। গত মাসে কোডোকো বাহিনীর হামলায় একটি গির্জায় ১৮ জন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া গত ফেব্রুয়ারিতে একটি শরণার্থী ক্যাম্পে হামলা চালিয়ে ৬০ জনকে হত্যা করেছে কোডোকো বাহিনী। 

রয়টার্স জানিয়েছে, সশস্ত্র বাহিনীর কারও মন্তব্য নিতে পারেনি রয়টার্স। 

কঙ্গোর পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশগুলোতে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর হামলা প্রায় নিত্যদিনের ঘটনায় পরিণত হয়েছে। এসব অঞ্চলে সশস্ত্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠী কোডোকো, সেনাবাহিনী এবং ইসলামিক স্টেট গোষ্ঠীর মধ্যে প্রায় হামলার ঘটনা ঘটে। 

সহিংসতা দমন করতে ইতুরি এবং এর প্রতিবেশী উত্তর কিভু প্রদেশে গত বছর সামরিক আইন জারি করেছিল কঙ্গো সরকার। এ মাসে সামরিক আইন জারির এক বছর পূর্ণ হতে যাচ্ছে। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত