
৮০০ কোটির মাইলফলক ছুঁতে যাচ্ছে বিশ্বের জনসংখ্যা। জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী, আগামী ১৫ নভেম্বর ঘটতে যাচ্ছে এই ঘটনা।
নতুন এই মাইলফলক নিয়ে আলাদা আয়োজন করেছে জাতিসংঘ। বিশ্ব থেকে ক্ষুধা দারিদ্র্য নিরসন এবং বৈচিত্র্যকে উদ্যাপনই এবারের প্রতিপাদ্য।
জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, পৃথিবীর জনসংখ্যা বৃদ্ধিতে এখনো মূলত ভূমিকা রাখছে এশিয়া এবং আফ্রিকা। ২০৩৭ সালে ৯০০ কোটির ঘর ছুঁবে জনসংখ্যা। তখনো মূল ভূমিকা রাখবে এই দুই মহাদেশ। তবে ইউরোপের অবদান থাকবে ঋণাত্মক। কারণ এ মহাদেশে জনসংখ্যা ধারাবাহিকভাবে কমবে।
৮০০ কোটির মাইলফলকে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখছে ভারত। ১৫ নভেম্বর এই মাইলফলকে ভারত যোগ করবে ১৭ কোটি ৭০ লাখ (৭০০ কোটির পর)। যেখানে চীনের অবদান ৭ কোটি ৩০ লাখ। ২০২৩ সালেও চীন বিশ্বের বৃহত্তম জনসংখ্যার দেশই থাকছে। তবে ৯০০ কোটির মাইলফলকের সময় এ দেশ জনসংখ্যা বৃদ্ধিতে অবদান থাকবে ঋণাত্মক। সে হিসাবে বিশ্বের জনসংখ্যা বৃদ্ধিতে চীনকে পিছে ফেলেছে ভারত।
এদিকে পৃথিবীর জনসংখ্যার আকারে নতুন মাইলফলকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ এবং ব্যতিক্রম দিক থাকছে। যেমন:
এবার জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার আগের মাইলফলকের তুলনায় কম। যেখানে ১৯৬৩ সালে বার্ষিক জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ছিল ২ দশমিক ৩ শতাংশ, ২০২২ সালে এসে এ হার দাঁড়িয়েছে দশমিক ৮ শতাংশ। বিভিন্ন দেশে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার বিভিন্ন। কিছু দেশে বৈশ্বিক হারের চেয়ে বেশি, আবার কোথাও কম, এমনকি কোথাও জনসংখ্যা ক্রমেই সংকুচিত হচ্ছে।
জনসংখ্যায় শিশুর সংখ্যা তুলনামূলক কম, সেই সঙ্গে মানুষের আয়ু বাড়ছে। মূলত এ কারণেই শিশুর তুলনায় বয়স্ক মানুষের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বেশি থাকছে। পাশাপাশি এখন নারীর তুলনায় পুরুষের সংখ্যা বাড়ছে। বর্তমানে বিশ্বে গড়ে ১০০ কন্যাশিশুর জন্মের বিপরীতে পুরুষ শিশুর জন্ম হয় ১০৬। যদিও প্রত্যাশিত আয়ু আবার নারীর বেশি।
জন্মহার বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন। তবে সব দেশেই এ হার কমছে। কোথাও ঋণাত্মক হয়ে গেছে। ১৯৫০ সালে বিশ্বে প্রতিজন নারীর বিপরীতে জন্ম হতো ৫ শিশুর। সেখানে ২০২২ সালে এটি ২ দশমিক ৩। ২০৫০–এ আরও কমে ২ দশমিক ১–এ নামবে। সেই সঙ্গে একদিকে কম শিশুর জন্ম হচ্ছে, আবার মানুষের আয়ু বাড়ছে। ফলে জনসংখ্যায় বয়স্ক মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। বর্তমানে জনসংখ্যায় শূন্য থেকে ১৪ বছর বয়সী শিশুর হিস্যা ক্রমেই কমছে।
এরই মধ্যে ৬০ শতাংশের বেশি মানুষ সেসব অঞ্চলে বসবাস করে, যেখানে জন্মহার প্রতিস্থাপন স্তরের নিচে। অর্থাৎ এখানে জন্মহারের তুলনায় মৃত্যু হার বেশি।
ভারতের মতো কিছু দেশে জন্মহার কম হওয়া সত্ত্বেও মানুষ বাড়ছে। ২০২৩ সালেই ভারত জনসংখ্যা বৃদ্ধিতে চীনকে ছাড়িয়ে যাবে। ভারতে যদিও জন্মহার এরই মধ্যে নারী প্রতি ২ দশমিক ৩–এ নেমে এসেছে।
আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো–আগের তুলনায় মানুষের স্থানান্তর অনেক বেশি এখন। অর্থাৎ অভিবাসন ব্যাপকভাবে বেড়েছে। গড়ে ৩০ জনের ২৯ জন মানুষই জন্মস্থানে (দেশ) থাকেন। তবে অভিবাসী হওয়ার প্রবণতা ক্রমে বাড়ছে। বর্তমানে ২৮ কোটি ১০ লাখ মানুষ জন্মস্থানের বাইরের দেশে থাকছেন। এর জন্য যুদ্ধ, জলবায়ু, সুযোগ–সুবিধা ইত্যাদি কারণ দায়ী।
আরেকটি বৈশিষ্ট্য সারা বিশ্বের জন্যই বোঝা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। সেটি হলো বয়স্ক মানুষের সংখ্যা বেড়ে যাওয়া। এটি অর্থনীতির জন্যও মোটেও সুখকর বার্তা নয়! ১৯৫০ সালে বৈশ্বিক প্রত্যাশিত গড় আয়ু ছিল ৪৬ দশমিক ৬ বছর। সেখানে ২০১৯ সালে বেড়ে দাঁড়ায় ৭২ দশমিক ৮ বছর। এ ছাড়া ২০২২ সালে ৬৫ বছর বয়সের পর প্রত্যাশিত আয়ু ১৬ দশমিক ৩ বছর, ২০৫০ সালে এই আয়ু বেড়ে হবে ১৯ দশমিক ৮ বছর। যেখানে সব দেশেই জন্মহার দ্রুত কমছে।
৮০০ কোটি জনসংখ্যার হিসাবে দারুণভাবে প্রভাব ফেলেছে দুটি মহামারি। ২০২০ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত কোভিডে মারা গেছেন ১ কোটি ৪৯ জন মানুষ। আর ১৯৮১ সাল থেকে এইডসের মারা গেছেন ৪ কোটি ১ লাখ।
আর ওপরের পরিসংখ্যানেই স্পষ্ট, জনসংখ্যা বৃদ্ধিতে অবদান রাখা মূল কেন্দ্রের স্থানান্তর ঘটছে। ভারত জনসংখ্যা বৃদ্ধির ভূমিকায় চীনকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে।
অবশ্য বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের জনসংখ্যা বৃদ্ধির গতি বিভিন্ন হয়ে যাচ্ছে। ২০২২ সালের অর্ধাংশ পর্যন্ত বিশ্বের অর্ধেক মানুষই বাস করছে এশিয়ায়। বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল এলাকা হলো পূর্ব ও দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়া (২৩০ কোটি)। আর মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়ায় মানুষ আছে ২১০ কোটি।
ভারত এবং চীন মিলেই মোট জনসংখ্যা ১৪০ কোটির বেশি। তবে চীনের জনসংখ্যা কিন্তু আর বাড়ছে না। ২০২৩ সালের শুরুর দিকেই জনসংখ্যা কমতে শুরু করবে। ভারতে এখনো বছরে দশমিক ৭ শতাংশ হারে মানুষ বাড়ছে। শিগগিরই ভারত বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশে পরিণত হবে।
অবশ্য ১৯৬০–এর দশক থেকেই পূর্ব ও দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ায় জন্মহার কমছে। ১৯৯০–এর দশকে জনসংখ্যা স্থির হওয়ার পর্যায়ে যায়। যেখানে ২০২২ সালে বৃদ্ধি হার দশমিক ২ শতাংশ। ২০৩০–এর দশকের মাঝামাঝিতে এ অঞ্চলের জনসংখ্যা হবে সর্বোচ্চ প্রায় ২৪০ কোটি। এরপর কমতে থাকবে।
আর মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়ায় জন্মহার আরও ধীরে কমছে। এ অঞ্চলে বৃদ্ধি হার দশমিক ৯ শতাংশ। ২০৩৭ সালে এ অঞ্চল বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল অঞ্চলে পরিণত হতে পারে। আর জনসংখ্যা বাড়বে ২০৭২ সাল পর্যন্ত, ওই বছর সর্বোচ্চ প্রায় ২৭০ কোটি হবে।
পূর্ব ও দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ায় জন্মহার দশমিক ২ শতাংশ। সবচেয়ে জনবহুল অঞ্চল এটি। আর সবচেয়ে বেশি জন্মহার সাব–সাহারা আফ্রিকা অঞ্চলে। এখানে জন্মহার এখন ২ দশমিক ৫ শতাংশ। ২০৬০–এর মধ্যে এই অঞ্চল বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল এলাকায় পরিণত হতে পারে।
অন্যদিকে টানা কয়েক দশক ধরে নিম্ন জন্মহার, সেই সঙ্গে ব্যাপক অভিবাসনের কারণে জনসংখ্যা কমছে কিছু দেশে। পূর্ব ইউরোপের ১৭টি দেশে এই দুই কারণে ১৯৯০ সাল থেকেই জনসংখ্যা কমছে।
অপরদিকে দক্ষিণ ইউরোপ এবং পূর্ব এশিয়ায় জনসংখ্যা কমতে শুরু করেছে। এর মধ্যে চীনও রয়েছে। আগামী বছর থেকেই চীনে জনসংখ্যা কমতে শুরু করবে।
২০২২ থেকে ২০৫০ সালের মধ্যে ৬১টি দেশে জনসংখ্যা ১ শতাংশের বেশি সংকুচিত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আর বুলগেরিয়া, লাটভিয়া, লিথুয়ানিয়া, সার্বিয়া এবং ইউক্রেনে ২০ শতাংশ বা তারও বেশি সংকুচিত হতে পারে।

৮০০ কোটির মাইলফলক ছুঁতে যাচ্ছে বিশ্বের জনসংখ্যা। জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী, আগামী ১৫ নভেম্বর ঘটতে যাচ্ছে এই ঘটনা।
নতুন এই মাইলফলক নিয়ে আলাদা আয়োজন করেছে জাতিসংঘ। বিশ্ব থেকে ক্ষুধা দারিদ্র্য নিরসন এবং বৈচিত্র্যকে উদ্যাপনই এবারের প্রতিপাদ্য।
জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, পৃথিবীর জনসংখ্যা বৃদ্ধিতে এখনো মূলত ভূমিকা রাখছে এশিয়া এবং আফ্রিকা। ২০৩৭ সালে ৯০০ কোটির ঘর ছুঁবে জনসংখ্যা। তখনো মূল ভূমিকা রাখবে এই দুই মহাদেশ। তবে ইউরোপের অবদান থাকবে ঋণাত্মক। কারণ এ মহাদেশে জনসংখ্যা ধারাবাহিকভাবে কমবে।
৮০০ কোটির মাইলফলকে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখছে ভারত। ১৫ নভেম্বর এই মাইলফলকে ভারত যোগ করবে ১৭ কোটি ৭০ লাখ (৭০০ কোটির পর)। যেখানে চীনের অবদান ৭ কোটি ৩০ লাখ। ২০২৩ সালেও চীন বিশ্বের বৃহত্তম জনসংখ্যার দেশই থাকছে। তবে ৯০০ কোটির মাইলফলকের সময় এ দেশ জনসংখ্যা বৃদ্ধিতে অবদান থাকবে ঋণাত্মক। সে হিসাবে বিশ্বের জনসংখ্যা বৃদ্ধিতে চীনকে পিছে ফেলেছে ভারত।
এদিকে পৃথিবীর জনসংখ্যার আকারে নতুন মাইলফলকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ এবং ব্যতিক্রম দিক থাকছে। যেমন:
এবার জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার আগের মাইলফলকের তুলনায় কম। যেখানে ১৯৬৩ সালে বার্ষিক জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ছিল ২ দশমিক ৩ শতাংশ, ২০২২ সালে এসে এ হার দাঁড়িয়েছে দশমিক ৮ শতাংশ। বিভিন্ন দেশে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার বিভিন্ন। কিছু দেশে বৈশ্বিক হারের চেয়ে বেশি, আবার কোথাও কম, এমনকি কোথাও জনসংখ্যা ক্রমেই সংকুচিত হচ্ছে।
জনসংখ্যায় শিশুর সংখ্যা তুলনামূলক কম, সেই সঙ্গে মানুষের আয়ু বাড়ছে। মূলত এ কারণেই শিশুর তুলনায় বয়স্ক মানুষের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বেশি থাকছে। পাশাপাশি এখন নারীর তুলনায় পুরুষের সংখ্যা বাড়ছে। বর্তমানে বিশ্বে গড়ে ১০০ কন্যাশিশুর জন্মের বিপরীতে পুরুষ শিশুর জন্ম হয় ১০৬। যদিও প্রত্যাশিত আয়ু আবার নারীর বেশি।
জন্মহার বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন। তবে সব দেশেই এ হার কমছে। কোথাও ঋণাত্মক হয়ে গেছে। ১৯৫০ সালে বিশ্বে প্রতিজন নারীর বিপরীতে জন্ম হতো ৫ শিশুর। সেখানে ২০২২ সালে এটি ২ দশমিক ৩। ২০৫০–এ আরও কমে ২ দশমিক ১–এ নামবে। সেই সঙ্গে একদিকে কম শিশুর জন্ম হচ্ছে, আবার মানুষের আয়ু বাড়ছে। ফলে জনসংখ্যায় বয়স্ক মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। বর্তমানে জনসংখ্যায় শূন্য থেকে ১৪ বছর বয়সী শিশুর হিস্যা ক্রমেই কমছে।
এরই মধ্যে ৬০ শতাংশের বেশি মানুষ সেসব অঞ্চলে বসবাস করে, যেখানে জন্মহার প্রতিস্থাপন স্তরের নিচে। অর্থাৎ এখানে জন্মহারের তুলনায় মৃত্যু হার বেশি।
ভারতের মতো কিছু দেশে জন্মহার কম হওয়া সত্ত্বেও মানুষ বাড়ছে। ২০২৩ সালেই ভারত জনসংখ্যা বৃদ্ধিতে চীনকে ছাড়িয়ে যাবে। ভারতে যদিও জন্মহার এরই মধ্যে নারী প্রতি ২ দশমিক ৩–এ নেমে এসেছে।
আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো–আগের তুলনায় মানুষের স্থানান্তর অনেক বেশি এখন। অর্থাৎ অভিবাসন ব্যাপকভাবে বেড়েছে। গড়ে ৩০ জনের ২৯ জন মানুষই জন্মস্থানে (দেশ) থাকেন। তবে অভিবাসী হওয়ার প্রবণতা ক্রমে বাড়ছে। বর্তমানে ২৮ কোটি ১০ লাখ মানুষ জন্মস্থানের বাইরের দেশে থাকছেন। এর জন্য যুদ্ধ, জলবায়ু, সুযোগ–সুবিধা ইত্যাদি কারণ দায়ী।
আরেকটি বৈশিষ্ট্য সারা বিশ্বের জন্যই বোঝা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। সেটি হলো বয়স্ক মানুষের সংখ্যা বেড়ে যাওয়া। এটি অর্থনীতির জন্যও মোটেও সুখকর বার্তা নয়! ১৯৫০ সালে বৈশ্বিক প্রত্যাশিত গড় আয়ু ছিল ৪৬ দশমিক ৬ বছর। সেখানে ২০১৯ সালে বেড়ে দাঁড়ায় ৭২ দশমিক ৮ বছর। এ ছাড়া ২০২২ সালে ৬৫ বছর বয়সের পর প্রত্যাশিত আয়ু ১৬ দশমিক ৩ বছর, ২০৫০ সালে এই আয়ু বেড়ে হবে ১৯ দশমিক ৮ বছর। যেখানে সব দেশেই জন্মহার দ্রুত কমছে।
৮০০ কোটি জনসংখ্যার হিসাবে দারুণভাবে প্রভাব ফেলেছে দুটি মহামারি। ২০২০ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত কোভিডে মারা গেছেন ১ কোটি ৪৯ জন মানুষ। আর ১৯৮১ সাল থেকে এইডসের মারা গেছেন ৪ কোটি ১ লাখ।
আর ওপরের পরিসংখ্যানেই স্পষ্ট, জনসংখ্যা বৃদ্ধিতে অবদান রাখা মূল কেন্দ্রের স্থানান্তর ঘটছে। ভারত জনসংখ্যা বৃদ্ধির ভূমিকায় চীনকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে।
অবশ্য বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের জনসংখ্যা বৃদ্ধির গতি বিভিন্ন হয়ে যাচ্ছে। ২০২২ সালের অর্ধাংশ পর্যন্ত বিশ্বের অর্ধেক মানুষই বাস করছে এশিয়ায়। বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল এলাকা হলো পূর্ব ও দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়া (২৩০ কোটি)। আর মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়ায় মানুষ আছে ২১০ কোটি।
ভারত এবং চীন মিলেই মোট জনসংখ্যা ১৪০ কোটির বেশি। তবে চীনের জনসংখ্যা কিন্তু আর বাড়ছে না। ২০২৩ সালের শুরুর দিকেই জনসংখ্যা কমতে শুরু করবে। ভারতে এখনো বছরে দশমিক ৭ শতাংশ হারে মানুষ বাড়ছে। শিগগিরই ভারত বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশে পরিণত হবে।
অবশ্য ১৯৬০–এর দশক থেকেই পূর্ব ও দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ায় জন্মহার কমছে। ১৯৯০–এর দশকে জনসংখ্যা স্থির হওয়ার পর্যায়ে যায়। যেখানে ২০২২ সালে বৃদ্ধি হার দশমিক ২ শতাংশ। ২০৩০–এর দশকের মাঝামাঝিতে এ অঞ্চলের জনসংখ্যা হবে সর্বোচ্চ প্রায় ২৪০ কোটি। এরপর কমতে থাকবে।
আর মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়ায় জন্মহার আরও ধীরে কমছে। এ অঞ্চলে বৃদ্ধি হার দশমিক ৯ শতাংশ। ২০৩৭ সালে এ অঞ্চল বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল অঞ্চলে পরিণত হতে পারে। আর জনসংখ্যা বাড়বে ২০৭২ সাল পর্যন্ত, ওই বছর সর্বোচ্চ প্রায় ২৭০ কোটি হবে।
পূর্ব ও দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ায় জন্মহার দশমিক ২ শতাংশ। সবচেয়ে জনবহুল অঞ্চল এটি। আর সবচেয়ে বেশি জন্মহার সাব–সাহারা আফ্রিকা অঞ্চলে। এখানে জন্মহার এখন ২ দশমিক ৫ শতাংশ। ২০৬০–এর মধ্যে এই অঞ্চল বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল এলাকায় পরিণত হতে পারে।
অন্যদিকে টানা কয়েক দশক ধরে নিম্ন জন্মহার, সেই সঙ্গে ব্যাপক অভিবাসনের কারণে জনসংখ্যা কমছে কিছু দেশে। পূর্ব ইউরোপের ১৭টি দেশে এই দুই কারণে ১৯৯০ সাল থেকেই জনসংখ্যা কমছে।
অপরদিকে দক্ষিণ ইউরোপ এবং পূর্ব এশিয়ায় জনসংখ্যা কমতে শুরু করেছে। এর মধ্যে চীনও রয়েছে। আগামী বছর থেকেই চীনে জনসংখ্যা কমতে শুরু করবে।
২০২২ থেকে ২০৫০ সালের মধ্যে ৬১টি দেশে জনসংখ্যা ১ শতাংশের বেশি সংকুচিত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আর বুলগেরিয়া, লাটভিয়া, লিথুয়ানিয়া, সার্বিয়া এবং ইউক্রেনে ২০ শতাংশ বা তারও বেশি সংকুচিত হতে পারে।

কম্বোডিয়ার সীমান্তবর্তী শহর পোইপেতের কাছে একটি রসদ কেন্দ্র লক্ষ্য করে বোমা হামলা চালিয়েছে থাইল্যান্ড। পোইপেত শহরটি থাই-কম্বোডিয়া সীমান্তের সবচেয়ে বড় স্থলবন্দর এবং ক্যাসিনোর জন্য বিশেষভাবে পরিচিত। সাম্প্রতিক সীমান্ত সংঘর্ষ থামার কোনো লক্ষণ না দেখানোর মধ্যেই এই হামলার ঘটনা ঘটল।
১০ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি ১৯৭১ সালের স্বাধীনতাযুদ্ধের পর ভারতের জন্য ‘সবচেয়ে বড় কৌশলগত চ্যালেঞ্জ’ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কংগ্রেস নেতা শশী থারুরের নেতৃত্বে ভারতের একটি সংসদীয় কমিটি সরকারকে দেওয়া এক প্রতিবেদনে এই সতর্কবার্তা দিয়েছে। কমিটি জানিয়েছে, বাংলাদেশে পরিস্থিতি হয়তো ‘বিশৃঙ্খলা...
১১ ঘণ্টা আগে
২০২৫ সালে উত্তর কোরিয়ার হ্যাকাররা রেকর্ড পরিমাণ ক্রিপ্টোকারেন্সি চুরি করেছে। ব্লকচেইন তথ্য বিশ্লেষণ প্ল্যাটফর্ম ‘চেইনঅ্যানালিসিস’-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে—চলতি বছরে দেশটি অন্তত ২ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার মূল্যের ডিজিটাল সম্পদ হাতিয়ে নিয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় ৫১ শতাংশ বেশি।
১২ ঘণ্টা আগে
অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই বিচে ইহুদি উৎসবকে লক্ষ্য করে ভয়াবহ বন্দুক হামলার পর দেশটিতে ঘৃণামূলক বক্তব্য ও উগ্রবাদ দমনে কঠোর আইন প্রণয়নের ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজ। গত ১৪ ডিসেম্বর ইহুদি ধর্মাবলম্বীদের হানুক্কাহ উৎসবের প্রথম দিন উপলক্ষে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে দুই বন্দুকধারীর গুলিতে
১৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

কম্বোডিয়ার সীমান্তবর্তী শহর পোইপেতের কাছে একটি রসদ কেন্দ্র লক্ষ্য করে বোমা হামলা চালিয়েছে থাইল্যান্ড। পোইপেত শহরটি থাই-কম্বোডিয়া সীমান্তের সবচেয়ে বড় স্থলবন্দর এবং ক্যাসিনোর জন্য বিশেষভাবে পরিচিত। সাম্প্রতিক সীমান্ত সংঘর্ষ থামার কোনো লক্ষণ না দেখানোর মধ্যেই এই হামলার ঘটনা ঘটল।
কম্বোডিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) স্থানীয় সময় সকাল ১১টার দিকে পোইপেত পৌর এলাকায় থাই বাহিনী দুটি বোমা ফেলেছে। অন্যদিকে থাইল্যান্ডের বিমানবাহিনীর মুখপাত্র এয়ার মার্শাল জ্যাকক্রিট থাম্মাভিচাই জানিয়েছেন, পোইপেতের বাইরে অবস্থিত একটি স্থাপনায় হামলা চালানো হয়েছে, যেখানে বিএম-২১ রকেট মজুত করা হচ্ছিল। তাঁর দাবি, এই অভিযানে কোনো বেসামরিক নাগরিক ক্ষতিগ্রস্ত হননি।
বিবিসি জানিয়েছে, বিএম-২১ রকেট সাধারণত সাঁজোয়া যান থেকে একযোগে একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপে ব্যবহৃত হয়। পোইপেত শহরে এই ধরনের হামলার ঘটনা চলমান সংঘাতে প্রথম বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই শহরটি থাই জুয়াড়িদের কাছে জনপ্রিয় ক্যাসিনো কেন্দ্র হিসেবেও পরিচিত।
চলতি মাসে নতুন করে শুরু হওয়া সংঘর্ষে থাইল্যান্ডে অন্তত ২১ জন এবং কম্বোডিয়ায় ১৭ জন নিহত হয়েছেন বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। পাশাপাশি প্রায় ৮ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। গত মঙ্গলবার থাইল্যান্ড জানিয়েছিল, কম্বোডিয়া সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়ায় পাঁচ থেকে ছয় হাজার থাই নাগরিক পোইপেতে আটকা পড়েছেন। কম্বোডিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সীমান্ত বন্ধকে বেসামরিক নাগরিকদের নিরাপত্তার জন্য ‘প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ’ বলে উল্লেখ করেছে এবং জানিয়েছে, দেশ ছাড়ার জন্য আকাশপথ খোলা রয়েছে।
থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার শত বছরের পুরোনো সীমান্ত বিরোধ গত ২৪ জুলাই ভয়াবহ আকার ধারণ করে, যখন কম্বোডিয়া থাইল্যান্ডে রকেট হামলা চালায় এবং পাল্টা জবাবে থাইল্যান্ড বিমান হামলা শুরু করে। পাঁচ দিনব্যাপী তীব্র লড়াইয়ের পর মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেওয়া হলেও সেটি গত সপ্তাহে আবার ভেস্তে যায়। সর্বশেষ দফায় উভয় পক্ষই একে অপরকে সংঘর্ষ পুনরায় শুরুর জন্য দায়ী করছে।

কম্বোডিয়ার সীমান্তবর্তী শহর পোইপেতের কাছে একটি রসদ কেন্দ্র লক্ষ্য করে বোমা হামলা চালিয়েছে থাইল্যান্ড। পোইপেত শহরটি থাই-কম্বোডিয়া সীমান্তের সবচেয়ে বড় স্থলবন্দর এবং ক্যাসিনোর জন্য বিশেষভাবে পরিচিত। সাম্প্রতিক সীমান্ত সংঘর্ষ থামার কোনো লক্ষণ না দেখানোর মধ্যেই এই হামলার ঘটনা ঘটল।
কম্বোডিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) স্থানীয় সময় সকাল ১১টার দিকে পোইপেত পৌর এলাকায় থাই বাহিনী দুটি বোমা ফেলেছে। অন্যদিকে থাইল্যান্ডের বিমানবাহিনীর মুখপাত্র এয়ার মার্শাল জ্যাকক্রিট থাম্মাভিচাই জানিয়েছেন, পোইপেতের বাইরে অবস্থিত একটি স্থাপনায় হামলা চালানো হয়েছে, যেখানে বিএম-২১ রকেট মজুত করা হচ্ছিল। তাঁর দাবি, এই অভিযানে কোনো বেসামরিক নাগরিক ক্ষতিগ্রস্ত হননি।
বিবিসি জানিয়েছে, বিএম-২১ রকেট সাধারণত সাঁজোয়া যান থেকে একযোগে একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপে ব্যবহৃত হয়। পোইপেত শহরে এই ধরনের হামলার ঘটনা চলমান সংঘাতে প্রথম বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই শহরটি থাই জুয়াড়িদের কাছে জনপ্রিয় ক্যাসিনো কেন্দ্র হিসেবেও পরিচিত।
চলতি মাসে নতুন করে শুরু হওয়া সংঘর্ষে থাইল্যান্ডে অন্তত ২১ জন এবং কম্বোডিয়ায় ১৭ জন নিহত হয়েছেন বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। পাশাপাশি প্রায় ৮ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। গত মঙ্গলবার থাইল্যান্ড জানিয়েছিল, কম্বোডিয়া সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়ায় পাঁচ থেকে ছয় হাজার থাই নাগরিক পোইপেতে আটকা পড়েছেন। কম্বোডিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সীমান্ত বন্ধকে বেসামরিক নাগরিকদের নিরাপত্তার জন্য ‘প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ’ বলে উল্লেখ করেছে এবং জানিয়েছে, দেশ ছাড়ার জন্য আকাশপথ খোলা রয়েছে।
থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার শত বছরের পুরোনো সীমান্ত বিরোধ গত ২৪ জুলাই ভয়াবহ আকার ধারণ করে, যখন কম্বোডিয়া থাইল্যান্ডে রকেট হামলা চালায় এবং পাল্টা জবাবে থাইল্যান্ড বিমান হামলা শুরু করে। পাঁচ দিনব্যাপী তীব্র লড়াইয়ের পর মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেওয়া হলেও সেটি গত সপ্তাহে আবার ভেস্তে যায়। সর্বশেষ দফায় উভয় পক্ষই একে অপরকে সংঘর্ষ পুনরায় শুরুর জন্য দায়ী করছে।

পৃথিবীর জনসংখ্যা বৃদ্ধিতে এখনো মূলত ভূমিকা রাখছে এশিয়া এবং আফ্রিকা। ২০৩৭ সালে ৯০০ কোটির ঘর ছুঁবে জনসংখ্যা। তখনো মূল ভূমিকা রাখবে এই দুই মহাদেশ। তবে ইউরোপের অবদান থাকবে ঋণাত্মক। কারণ এ মহাদেশে জনসংখ্যা ধারাবাহিকভাবে কমবে।
১৩ নভেম্বর ২০২২
বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি ১৯৭১ সালের স্বাধীনতাযুদ্ধের পর ভারতের জন্য ‘সবচেয়ে বড় কৌশলগত চ্যালেঞ্জ’ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কংগ্রেস নেতা শশী থারুরের নেতৃত্বে ভারতের একটি সংসদীয় কমিটি সরকারকে দেওয়া এক প্রতিবেদনে এই সতর্কবার্তা দিয়েছে। কমিটি জানিয়েছে, বাংলাদেশে পরিস্থিতি হয়তো ‘বিশৃঙ্খলা...
১১ ঘণ্টা আগে
২০২৫ সালে উত্তর কোরিয়ার হ্যাকাররা রেকর্ড পরিমাণ ক্রিপ্টোকারেন্সি চুরি করেছে। ব্লকচেইন তথ্য বিশ্লেষণ প্ল্যাটফর্ম ‘চেইনঅ্যানালিসিস’-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে—চলতি বছরে দেশটি অন্তত ২ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার মূল্যের ডিজিটাল সম্পদ হাতিয়ে নিয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় ৫১ শতাংশ বেশি।
১২ ঘণ্টা আগে
অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই বিচে ইহুদি উৎসবকে লক্ষ্য করে ভয়াবহ বন্দুক হামলার পর দেশটিতে ঘৃণামূলক বক্তব্য ও উগ্রবাদ দমনে কঠোর আইন প্রণয়নের ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজ। গত ১৪ ডিসেম্বর ইহুদি ধর্মাবলম্বীদের হানুক্কাহ উৎসবের প্রথম দিন উপলক্ষে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে দুই বন্দুকধারীর গুলিতে
১৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি ১৯৭১ সালের স্বাধীনতাযুদ্ধের পর ভারতের জন্য ‘সবচেয়ে বড় কৌশলগত চ্যালেঞ্জ’ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কংগ্রেস নেতা শশী থারুরের নেতৃত্বে ভারতের একটি সংসদীয় কমিটি আজ বৃহস্পতিবার সরকারকে দেওয়া এক প্রতিবেদনে এই সতর্কবার্তা দিয়েছে। কমিটি জানিয়েছে, বাংলাদেশে পরিস্থিতি হয়তো ‘বিশৃঙ্খলা বা অরাজকতায় পর্যবসিত হবে না’, তবে ভারতকে এটি মোকাবিলায় অত্যন্ত সতর্ক হতে হবে।
সংসদীয় কমিটি তাদের প্রতিবেদনে ১৯৭১ সালের সংকটের সঙ্গে বর্তমান পরিস্থিতির তুলনা করে বলেছে, ১৯৭১ সালে চ্যালেঞ্জ ছিল অস্তিত্ব রক্ষা, মানবিক সংকট ও একটি নতুন জাতির জন্ম নিয়ে। তবে বর্তমান চ্যালেঞ্জটি আরও গুরুতর এবং এটি একটি ‘প্রজন্মগত বিচ্ছিন্নতা’। রাজনৈতিক ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন এবং ভারতের দিক থেকে সরে যাওয়ার সম্ভাব্য কৌশলগত পুনর্বিন্যাস।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের সাম্প্রতিক অস্থিরতার পেছনে কয়েকটি কারণ একসঙ্গে কাজ করছে—ইসলামপন্থী চরমপন্থার উত্থান, চীন ও পাকিস্তানের প্রভাব বৃদ্ধি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক আধিপত্যের পতন।
কমিটি সরকারের কাছে একাধিক সুপারিশ জমা দিয়েছে এবং স্পষ্টভাবে বলেছে, ভারত যদি এই মুহূর্তে নিজেকে নতুন করে মানিয়ে নিতে ব্যর্থ হয়, তবে যুদ্ধের কারণে নয়, বরং ‘অপ্রাসঙ্গিক’ হয়ে পড়ার কারণে ঢাকা থেকে কৌশলগত নিয়ন্ত্রণ হারানোর ঝুঁকিতে পড়বে।
কমিটি বাংলাদেশ-পাকিস্তান সম্পর্ক পুনর্গঠন ও চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। বিশেষ করে, অবকাঠামো উন্নয়ন, বন্দর সম্প্রসারণ ও প্রতিরক্ষা সহযোগিতায় চীনের সক্রিয়তার কথা তুলে ধরা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে মোংলা বন্দরের সম্প্রসারণ, লালমনিরহাট বিমানঘাঁটি ও পেকুয়ায় সাবমেরিন ঘাঁটির উদাহরণ দেওয়া হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, পেকুয়ার ওই ঘাঁটিতে আটটি সাবমেরিন রাখার সক্ষমতা রয়েছে, যদিও বাংলাদেশের কাছে বর্তমানে মাত্র দুটি সাবমেরিন আছে।
কমিটির মতে, চীন বাংলাদেশের সব রাজনৈতিক গোষ্ঠীর সঙ্গেই যোগাযোগ বাড়াচ্ছে, যার মধ্যে জামায়াতে ইসলামীও রয়েছে। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, এই ইসলামপন্থী দলটির প্রতিনিধিরা সম্প্রতি চীন সফরও করেছেন।
এই প্রেক্ষাপটে কমিটি সুপারিশ করেছে, বাংলাদেশে কোনো বিদেশি শক্তি যাতে সামরিক ঘাঁটি স্থাপন করতে না পারে, সে বিষয়ে কঠোর নজরদারি রাখতে হবে। পাশাপাশি উন্নয়ন, যোগাযোগব্যবস্থা ও বন্দর ব্যবহারের ক্ষেত্রে ঢাকাকে প্রতিযোগিতামূলক সুবিধা দেওয়ার উদ্যোগ নিতে হবে, যা অন্য কোনো দেশ (যেমন চীন) দিতে পারবে না।
বাংলাদেশে ইসলামপন্থী দলগুলোর প্রভাব বাড়ার বিষয়েও উদ্বেগ জানিয়েছে কমিটি। আগে নিষিদ্ধ থাকা জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন ফিরে পাওয়া এবং নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগ তৈরি হওয়াকে কমিটি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে।
অন্যদিকে, ঢাকার অন্তর্বর্তী সরকার আওয়ামী লীগের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে, যার ফলে দলটি নির্বাচনে অংশ নিতে পারছে না। কমিটি মনে করে, আওয়ামী লীগকে বাইরে রেখে নির্বাচন হলে এর ‘গ্রহণযোগ্যতা’ নিয়ে প্রশ্ন উঠবে।
তথ্যসূত্র: এনডিটিভি

বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি ১৯৭১ সালের স্বাধীনতাযুদ্ধের পর ভারতের জন্য ‘সবচেয়ে বড় কৌশলগত চ্যালেঞ্জ’ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কংগ্রেস নেতা শশী থারুরের নেতৃত্বে ভারতের একটি সংসদীয় কমিটি আজ বৃহস্পতিবার সরকারকে দেওয়া এক প্রতিবেদনে এই সতর্কবার্তা দিয়েছে। কমিটি জানিয়েছে, বাংলাদেশে পরিস্থিতি হয়তো ‘বিশৃঙ্খলা বা অরাজকতায় পর্যবসিত হবে না’, তবে ভারতকে এটি মোকাবিলায় অত্যন্ত সতর্ক হতে হবে।
সংসদীয় কমিটি তাদের প্রতিবেদনে ১৯৭১ সালের সংকটের সঙ্গে বর্তমান পরিস্থিতির তুলনা করে বলেছে, ১৯৭১ সালে চ্যালেঞ্জ ছিল অস্তিত্ব রক্ষা, মানবিক সংকট ও একটি নতুন জাতির জন্ম নিয়ে। তবে বর্তমান চ্যালেঞ্জটি আরও গুরুতর এবং এটি একটি ‘প্রজন্মগত বিচ্ছিন্নতা’। রাজনৈতিক ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন এবং ভারতের দিক থেকে সরে যাওয়ার সম্ভাব্য কৌশলগত পুনর্বিন্যাস।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের সাম্প্রতিক অস্থিরতার পেছনে কয়েকটি কারণ একসঙ্গে কাজ করছে—ইসলামপন্থী চরমপন্থার উত্থান, চীন ও পাকিস্তানের প্রভাব বৃদ্ধি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক আধিপত্যের পতন।
কমিটি সরকারের কাছে একাধিক সুপারিশ জমা দিয়েছে এবং স্পষ্টভাবে বলেছে, ভারত যদি এই মুহূর্তে নিজেকে নতুন করে মানিয়ে নিতে ব্যর্থ হয়, তবে যুদ্ধের কারণে নয়, বরং ‘অপ্রাসঙ্গিক’ হয়ে পড়ার কারণে ঢাকা থেকে কৌশলগত নিয়ন্ত্রণ হারানোর ঝুঁকিতে পড়বে।
কমিটি বাংলাদেশ-পাকিস্তান সম্পর্ক পুনর্গঠন ও চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। বিশেষ করে, অবকাঠামো উন্নয়ন, বন্দর সম্প্রসারণ ও প্রতিরক্ষা সহযোগিতায় চীনের সক্রিয়তার কথা তুলে ধরা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে মোংলা বন্দরের সম্প্রসারণ, লালমনিরহাট বিমানঘাঁটি ও পেকুয়ায় সাবমেরিন ঘাঁটির উদাহরণ দেওয়া হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, পেকুয়ার ওই ঘাঁটিতে আটটি সাবমেরিন রাখার সক্ষমতা রয়েছে, যদিও বাংলাদেশের কাছে বর্তমানে মাত্র দুটি সাবমেরিন আছে।
কমিটির মতে, চীন বাংলাদেশের সব রাজনৈতিক গোষ্ঠীর সঙ্গেই যোগাযোগ বাড়াচ্ছে, যার মধ্যে জামায়াতে ইসলামীও রয়েছে। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, এই ইসলামপন্থী দলটির প্রতিনিধিরা সম্প্রতি চীন সফরও করেছেন।
এই প্রেক্ষাপটে কমিটি সুপারিশ করেছে, বাংলাদেশে কোনো বিদেশি শক্তি যাতে সামরিক ঘাঁটি স্থাপন করতে না পারে, সে বিষয়ে কঠোর নজরদারি রাখতে হবে। পাশাপাশি উন্নয়ন, যোগাযোগব্যবস্থা ও বন্দর ব্যবহারের ক্ষেত্রে ঢাকাকে প্রতিযোগিতামূলক সুবিধা দেওয়ার উদ্যোগ নিতে হবে, যা অন্য কোনো দেশ (যেমন চীন) দিতে পারবে না।
বাংলাদেশে ইসলামপন্থী দলগুলোর প্রভাব বাড়ার বিষয়েও উদ্বেগ জানিয়েছে কমিটি। আগে নিষিদ্ধ থাকা জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন ফিরে পাওয়া এবং নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগ তৈরি হওয়াকে কমিটি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে।
অন্যদিকে, ঢাকার অন্তর্বর্তী সরকার আওয়ামী লীগের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে, যার ফলে দলটি নির্বাচনে অংশ নিতে পারছে না। কমিটি মনে করে, আওয়ামী লীগকে বাইরে রেখে নির্বাচন হলে এর ‘গ্রহণযোগ্যতা’ নিয়ে প্রশ্ন উঠবে।
তথ্যসূত্র: এনডিটিভি

পৃথিবীর জনসংখ্যা বৃদ্ধিতে এখনো মূলত ভূমিকা রাখছে এশিয়া এবং আফ্রিকা। ২০৩৭ সালে ৯০০ কোটির ঘর ছুঁবে জনসংখ্যা। তখনো মূল ভূমিকা রাখবে এই দুই মহাদেশ। তবে ইউরোপের অবদান থাকবে ঋণাত্মক। কারণ এ মহাদেশে জনসংখ্যা ধারাবাহিকভাবে কমবে।
১৩ নভেম্বর ২০২২
কম্বোডিয়ার সীমান্তবর্তী শহর পোইপেতের কাছে একটি রসদ কেন্দ্র লক্ষ্য করে বোমা হামলা চালিয়েছে থাইল্যান্ড। পোইপেত শহরটি থাই-কম্বোডিয়া সীমান্তের সবচেয়ে বড় স্থলবন্দর এবং ক্যাসিনোর জন্য বিশেষভাবে পরিচিত। সাম্প্রতিক সীমান্ত সংঘর্ষ থামার কোনো লক্ষণ না দেখানোর মধ্যেই এই হামলার ঘটনা ঘটল।
১০ ঘণ্টা আগে
২০২৫ সালে উত্তর কোরিয়ার হ্যাকাররা রেকর্ড পরিমাণ ক্রিপ্টোকারেন্সি চুরি করেছে। ব্লকচেইন তথ্য বিশ্লেষণ প্ল্যাটফর্ম ‘চেইনঅ্যানালিসিস’-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে—চলতি বছরে দেশটি অন্তত ২ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার মূল্যের ডিজিটাল সম্পদ হাতিয়ে নিয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় ৫১ শতাংশ বেশি।
১২ ঘণ্টা আগে
অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই বিচে ইহুদি উৎসবকে লক্ষ্য করে ভয়াবহ বন্দুক হামলার পর দেশটিতে ঘৃণামূলক বক্তব্য ও উগ্রবাদ দমনে কঠোর আইন প্রণয়নের ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজ। গত ১৪ ডিসেম্বর ইহুদি ধর্মাবলম্বীদের হানুক্কাহ উৎসবের প্রথম দিন উপলক্ষে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে দুই বন্দুকধারীর গুলিতে
১৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

২০২৫ সালে উত্তর কোরিয়ার হ্যাকাররা রেকর্ড পরিমাণ ক্রিপ্টোকারেন্সি চুরি করেছে। ব্লকচেইন তথ্য বিশ্লেষণ প্ল্যাটফর্ম ‘চেইনঅ্যানালিসিস’-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে—চলতি বছরে দেশটি অন্তত ২ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার মূল্যের ডিজিটাল সম্পদ হাতিয়ে নিয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় ৫১ শতাংশ বেশি। একই সঙ্গে বৈশ্বিক পর্যায়ে সংঘটিত সব ধরনের ক্রিপটো সেবা-সংক্রান্ত হ্যাকিং ঘটনার ৭৬ শতাংশের জন্য উত্তর কোরিয়া দায়ী—ইতিহাসে যা সর্বোচ্চ।
প্রতিবেদন অনুযায়ী—বিভিন্ন ক্রিপটো এক্সচেঞ্জ, কাস্টডিয়ান এবং ওয়েব ৩ প্রতিষ্ঠানে অনুপ্রবেশ এই রেকর্ড চুরির পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছে উত্তর কোরিয়ার আইটি কর্মীরা। এসব কর্মী প্রাথমিকভাবে ভেতরে প্রবেশাধিকার তৈরি করে এবং পরে বড় পরিসরের চুরির পথ সুগম করে তোলে। চেইনঅ্যানালিসিস বলছে, এই কৌশল হ্যাকারদের দ্রুত ও কার্যকরভাবে বড় অঙ্কের সম্পদ হাতাতে সহায়তা করছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) নিক্কেই এশিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৫ সালে ক্রিপটো চুরির মোট পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩.৪ বিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে গত ফেব্রুয়ারিতে বিখ্যাত ক্রিপটো এক্সচেঞ্জ বাইবিটে সংঘটিত এক হামলাতেই ১.৫ বিলিয়ন ডলার চুরি হয়ে যায়। বিশ্লেষকদের মতে, এই হামলার পেছনে ছিল উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা পাওয়া হ্যাকার গ্রুপ ‘লাজারাস’।
চুরি করা অর্থ পাচারের জন্য উত্তর কোরিয়ার হ্যাকাররা প্রায়ই চীনের কিছু সেবার ওপর নির্ভর করে। চেইনঅ্যানালিসিস-এর জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান অ্যান্ড্রু ফিয়ারম্যান জানান, এসব চীনা মানি লন্ডারিং নেটওয়ার্ক ইচ্ছাকৃতভাবে অবৈধ অর্থ সাদা করতে সহায়তা করে।
আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার কারণে উত্তর কোরিয়া বৈদেশিক আর্থিক ব্যবস্থায় সহজে লেনদেন করতে পারে না। জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার আরোপিত নিষেধাজ্ঞা দেশটিকে সামরিক ও অস্ত্র কর্মসূচির অর্থ জোগাড়ে অবৈধ পথ বেছে নিতে বাধ্য করেছে। গবেষকদের মতে, একসময় আদর্শগত উদ্দেশ্যে সাইবার হামলা চালালেও এখন উত্তর কোরিয়ার হ্যাকিং কার্যক্রমের মূল লক্ষ্য হচ্ছে আর্থিক লাভ নিশ্চিত করা।

২০২৫ সালে উত্তর কোরিয়ার হ্যাকাররা রেকর্ড পরিমাণ ক্রিপ্টোকারেন্সি চুরি করেছে। ব্লকচেইন তথ্য বিশ্লেষণ প্ল্যাটফর্ম ‘চেইনঅ্যানালিসিস’-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে—চলতি বছরে দেশটি অন্তত ২ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার মূল্যের ডিজিটাল সম্পদ হাতিয়ে নিয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় ৫১ শতাংশ বেশি। একই সঙ্গে বৈশ্বিক পর্যায়ে সংঘটিত সব ধরনের ক্রিপটো সেবা-সংক্রান্ত হ্যাকিং ঘটনার ৭৬ শতাংশের জন্য উত্তর কোরিয়া দায়ী—ইতিহাসে যা সর্বোচ্চ।
প্রতিবেদন অনুযায়ী—বিভিন্ন ক্রিপটো এক্সচেঞ্জ, কাস্টডিয়ান এবং ওয়েব ৩ প্রতিষ্ঠানে অনুপ্রবেশ এই রেকর্ড চুরির পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছে উত্তর কোরিয়ার আইটি কর্মীরা। এসব কর্মী প্রাথমিকভাবে ভেতরে প্রবেশাধিকার তৈরি করে এবং পরে বড় পরিসরের চুরির পথ সুগম করে তোলে। চেইনঅ্যানালিসিস বলছে, এই কৌশল হ্যাকারদের দ্রুত ও কার্যকরভাবে বড় অঙ্কের সম্পদ হাতাতে সহায়তা করছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) নিক্কেই এশিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৫ সালে ক্রিপটো চুরির মোট পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩.৪ বিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে গত ফেব্রুয়ারিতে বিখ্যাত ক্রিপটো এক্সচেঞ্জ বাইবিটে সংঘটিত এক হামলাতেই ১.৫ বিলিয়ন ডলার চুরি হয়ে যায়। বিশ্লেষকদের মতে, এই হামলার পেছনে ছিল উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা পাওয়া হ্যাকার গ্রুপ ‘লাজারাস’।
চুরি করা অর্থ পাচারের জন্য উত্তর কোরিয়ার হ্যাকাররা প্রায়ই চীনের কিছু সেবার ওপর নির্ভর করে। চেইনঅ্যানালিসিস-এর জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান অ্যান্ড্রু ফিয়ারম্যান জানান, এসব চীনা মানি লন্ডারিং নেটওয়ার্ক ইচ্ছাকৃতভাবে অবৈধ অর্থ সাদা করতে সহায়তা করে।
আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার কারণে উত্তর কোরিয়া বৈদেশিক আর্থিক ব্যবস্থায় সহজে লেনদেন করতে পারে না। জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার আরোপিত নিষেধাজ্ঞা দেশটিকে সামরিক ও অস্ত্র কর্মসূচির অর্থ জোগাড়ে অবৈধ পথ বেছে নিতে বাধ্য করেছে। গবেষকদের মতে, একসময় আদর্শগত উদ্দেশ্যে সাইবার হামলা চালালেও এখন উত্তর কোরিয়ার হ্যাকিং কার্যক্রমের মূল লক্ষ্য হচ্ছে আর্থিক লাভ নিশ্চিত করা।

পৃথিবীর জনসংখ্যা বৃদ্ধিতে এখনো মূলত ভূমিকা রাখছে এশিয়া এবং আফ্রিকা। ২০৩৭ সালে ৯০০ কোটির ঘর ছুঁবে জনসংখ্যা। তখনো মূল ভূমিকা রাখবে এই দুই মহাদেশ। তবে ইউরোপের অবদান থাকবে ঋণাত্মক। কারণ এ মহাদেশে জনসংখ্যা ধারাবাহিকভাবে কমবে।
১৩ নভেম্বর ২০২২
কম্বোডিয়ার সীমান্তবর্তী শহর পোইপেতের কাছে একটি রসদ কেন্দ্র লক্ষ্য করে বোমা হামলা চালিয়েছে থাইল্যান্ড। পোইপেত শহরটি থাই-কম্বোডিয়া সীমান্তের সবচেয়ে বড় স্থলবন্দর এবং ক্যাসিনোর জন্য বিশেষভাবে পরিচিত। সাম্প্রতিক সীমান্ত সংঘর্ষ থামার কোনো লক্ষণ না দেখানোর মধ্যেই এই হামলার ঘটনা ঘটল।
১০ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি ১৯৭১ সালের স্বাধীনতাযুদ্ধের পর ভারতের জন্য ‘সবচেয়ে বড় কৌশলগত চ্যালেঞ্জ’ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কংগ্রেস নেতা শশী থারুরের নেতৃত্বে ভারতের একটি সংসদীয় কমিটি সরকারকে দেওয়া এক প্রতিবেদনে এই সতর্কবার্তা দিয়েছে। কমিটি জানিয়েছে, বাংলাদেশে পরিস্থিতি হয়তো ‘বিশৃঙ্খলা...
১১ ঘণ্টা আগে
অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই বিচে ইহুদি উৎসবকে লক্ষ্য করে ভয়াবহ বন্দুক হামলার পর দেশটিতে ঘৃণামূলক বক্তব্য ও উগ্রবাদ দমনে কঠোর আইন প্রণয়নের ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজ। গত ১৪ ডিসেম্বর ইহুদি ধর্মাবলম্বীদের হানুক্কাহ উৎসবের প্রথম দিন উপলক্ষে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে দুই বন্দুকধারীর গুলিতে
১৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই বিচে ইহুদি উৎসবকে লক্ষ্য করে ভয়াবহ বন্দুক হামলার পর দেশটিতে ঘৃণামূলক বক্তব্য ও উগ্রবাদ দমনে কঠোর আইন প্রণয়নের ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজ। গত ১৪ ডিসেম্বর ইহুদি ধর্মাবলম্বীদের হানুক্কাহ উৎসবের প্রথম দিন উপলক্ষে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে দুই বন্দুকধারীর গুলিতে অন্তত ১৫ জন নিহত হন। এই হামলাকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে উদ্বেগ ও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
ক্যানবেরায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে প্রধানমন্ত্রী অ্যালবানিজ বলেন, নতুন আইন মূলত যারা ঘৃণা, বিভাজন ও উগ্রবাদ ছড়ায়—তাদের লক্ষ্য করেই আনা হবে। তিনি জানান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীকে এমন ব্যক্তিদের ভিসা বাতিল বা প্রত্যাখ্যানের ক্ষমতা দেওয়া হবে, যারা ঘৃণামূলক বক্তব্য প্রচার করে। পাশাপাশি শিক্ষা ব্যবস্থায় ইহুদিবিদ্বেষ প্রতিরোধ, মোকাবিলা ও যথাযথ প্রতিক্রিয়া নিশ্চিত করতে একটি বিশেষ টাস্কফোর্স গঠন করা হবে।
প্রস্তাবিত আইনের আওতায় সহিংসতা উসকে দেওয়া ধর্মীয় বক্তা ও নেতাদের জন্য শাস্তির বিধান ছাড়াও ‘অ্যাগ্রাভেটেড হেট স্পিচ’ নামে অপরাধের একটি নতুন সংজ্ঞা সংযোজন করা হবে। অনলাইনে হুমকি ও হয়রানির ক্ষেত্রে শাস্তি নির্ধারণে বিদ্বেষ ছড়ানোনে গুরুতর উপাদান হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। অ্যালবানিজ বলেন, ‘প্রত্যেক ইহুদি অস্ট্রেলিয়ানের নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ ও সম্মানিত বোধ করার অধিকার রয়েছে।’
এই হামলার পর দেশটিতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। নিউ সাউথ ওয়েলস পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) দক্ষিণ-পশ্চিম সিডনিতে সাতজনকে আটক করা হয়েছে, যাদের বিরুদ্ধে সম্ভাব্য সহিংস কর্মকাণ্ডের পরিকল্পনার তথ্য পাওয়া গিয়েছিল। তবে পুলিশ বলছে, বন্ডাই হামলার সঙ্গে এই ঘটনার সরাসরি কোনো যোগসূত্র পাওয়া যায়নি।
এদিকে সরকারের ঘোষণাকে স্বাগত জানালেও কিছু সংগঠন উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। ইহুদি কাউন্সিল অব অস্ট্রেলিয়া জানিয়েছে, বন্দুক নিয়ন্ত্রণ ও অনলাইনে বিদ্বেষ ছড়ানোর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ প্রশংসনীয় হলেও, কিছু প্রস্তাব ইসরায়েলপন্থী লবির পুরোনো দাবির সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ, যা সহিংস উগ্রবাদ দমনের চেয়ে মতপ্রকাশ সীমিত করতে পারে। সংগঠনটির নির্বাহী কর্মকর্তা ড. ম্যাক্স কাইজার সতর্ক করে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় বা সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানে মতাদর্শিক নজরদারি চালানো হলে তা ইহুদিদের নিরাপত্তা বাড়ানোর বদলে আরও ঝুঁকিতে ফেলতে পারে।’
এদিকে প্রধানমন্ত্রী স্বীকার করেছেন, গত ৭ অক্টোবর হামাসের ইসরায়েল আক্রমণের পর থেকে অস্ট্রেলিয়ায় ইহুদিবিদ্বেষ রোধে সরকার আরও কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারত। তিনি বলেন, ‘আমার দায়িত্ব শুধু ভুল স্বীকার করা নয়, জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করাও।’

অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই বিচে ইহুদি উৎসবকে লক্ষ্য করে ভয়াবহ বন্দুক হামলার পর দেশটিতে ঘৃণামূলক বক্তব্য ও উগ্রবাদ দমনে কঠোর আইন প্রণয়নের ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজ। গত ১৪ ডিসেম্বর ইহুদি ধর্মাবলম্বীদের হানুক্কাহ উৎসবের প্রথম দিন উপলক্ষে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে দুই বন্দুকধারীর গুলিতে অন্তত ১৫ জন নিহত হন। এই হামলাকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে উদ্বেগ ও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
ক্যানবেরায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে প্রধানমন্ত্রী অ্যালবানিজ বলেন, নতুন আইন মূলত যারা ঘৃণা, বিভাজন ও উগ্রবাদ ছড়ায়—তাদের লক্ষ্য করেই আনা হবে। তিনি জানান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীকে এমন ব্যক্তিদের ভিসা বাতিল বা প্রত্যাখ্যানের ক্ষমতা দেওয়া হবে, যারা ঘৃণামূলক বক্তব্য প্রচার করে। পাশাপাশি শিক্ষা ব্যবস্থায় ইহুদিবিদ্বেষ প্রতিরোধ, মোকাবিলা ও যথাযথ প্রতিক্রিয়া নিশ্চিত করতে একটি বিশেষ টাস্কফোর্স গঠন করা হবে।
প্রস্তাবিত আইনের আওতায় সহিংসতা উসকে দেওয়া ধর্মীয় বক্তা ও নেতাদের জন্য শাস্তির বিধান ছাড়াও ‘অ্যাগ্রাভেটেড হেট স্পিচ’ নামে অপরাধের একটি নতুন সংজ্ঞা সংযোজন করা হবে। অনলাইনে হুমকি ও হয়রানির ক্ষেত্রে শাস্তি নির্ধারণে বিদ্বেষ ছড়ানোনে গুরুতর উপাদান হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। অ্যালবানিজ বলেন, ‘প্রত্যেক ইহুদি অস্ট্রেলিয়ানের নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ ও সম্মানিত বোধ করার অধিকার রয়েছে।’
এই হামলার পর দেশটিতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। নিউ সাউথ ওয়েলস পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) দক্ষিণ-পশ্চিম সিডনিতে সাতজনকে আটক করা হয়েছে, যাদের বিরুদ্ধে সম্ভাব্য সহিংস কর্মকাণ্ডের পরিকল্পনার তথ্য পাওয়া গিয়েছিল। তবে পুলিশ বলছে, বন্ডাই হামলার সঙ্গে এই ঘটনার সরাসরি কোনো যোগসূত্র পাওয়া যায়নি।
এদিকে সরকারের ঘোষণাকে স্বাগত জানালেও কিছু সংগঠন উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। ইহুদি কাউন্সিল অব অস্ট্রেলিয়া জানিয়েছে, বন্দুক নিয়ন্ত্রণ ও অনলাইনে বিদ্বেষ ছড়ানোর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ প্রশংসনীয় হলেও, কিছু প্রস্তাব ইসরায়েলপন্থী লবির পুরোনো দাবির সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ, যা সহিংস উগ্রবাদ দমনের চেয়ে মতপ্রকাশ সীমিত করতে পারে। সংগঠনটির নির্বাহী কর্মকর্তা ড. ম্যাক্স কাইজার সতর্ক করে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় বা সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানে মতাদর্শিক নজরদারি চালানো হলে তা ইহুদিদের নিরাপত্তা বাড়ানোর বদলে আরও ঝুঁকিতে ফেলতে পারে।’
এদিকে প্রধানমন্ত্রী স্বীকার করেছেন, গত ৭ অক্টোবর হামাসের ইসরায়েল আক্রমণের পর থেকে অস্ট্রেলিয়ায় ইহুদিবিদ্বেষ রোধে সরকার আরও কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারত। তিনি বলেন, ‘আমার দায়িত্ব শুধু ভুল স্বীকার করা নয়, জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করাও।’

পৃথিবীর জনসংখ্যা বৃদ্ধিতে এখনো মূলত ভূমিকা রাখছে এশিয়া এবং আফ্রিকা। ২০৩৭ সালে ৯০০ কোটির ঘর ছুঁবে জনসংখ্যা। তখনো মূল ভূমিকা রাখবে এই দুই মহাদেশ। তবে ইউরোপের অবদান থাকবে ঋণাত্মক। কারণ এ মহাদেশে জনসংখ্যা ধারাবাহিকভাবে কমবে।
১৩ নভেম্বর ২০২২
কম্বোডিয়ার সীমান্তবর্তী শহর পোইপেতের কাছে একটি রসদ কেন্দ্র লক্ষ্য করে বোমা হামলা চালিয়েছে থাইল্যান্ড। পোইপেত শহরটি থাই-কম্বোডিয়া সীমান্তের সবচেয়ে বড় স্থলবন্দর এবং ক্যাসিনোর জন্য বিশেষভাবে পরিচিত। সাম্প্রতিক সীমান্ত সংঘর্ষ থামার কোনো লক্ষণ না দেখানোর মধ্যেই এই হামলার ঘটনা ঘটল।
১০ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি ১৯৭১ সালের স্বাধীনতাযুদ্ধের পর ভারতের জন্য ‘সবচেয়ে বড় কৌশলগত চ্যালেঞ্জ’ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কংগ্রেস নেতা শশী থারুরের নেতৃত্বে ভারতের একটি সংসদীয় কমিটি সরকারকে দেওয়া এক প্রতিবেদনে এই সতর্কবার্তা দিয়েছে। কমিটি জানিয়েছে, বাংলাদেশে পরিস্থিতি হয়তো ‘বিশৃঙ্খলা...
১১ ঘণ্টা আগে
২০২৫ সালে উত্তর কোরিয়ার হ্যাকাররা রেকর্ড পরিমাণ ক্রিপ্টোকারেন্সি চুরি করেছে। ব্লকচেইন তথ্য বিশ্লেষণ প্ল্যাটফর্ম ‘চেইনঅ্যানালিসিস’-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে—চলতি বছরে দেশটি অন্তত ২ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার মূল্যের ডিজিটাল সম্পদ হাতিয়ে নিয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় ৫১ শতাংশ বেশি।
১২ ঘণ্টা আগে