এএফপি, জাতিসংঘ
বিশ্বজুড়ে যুদ্ধ, সহিংসতা গত কয়েক দশকে বেড়েছে। এতে করে সংকটে পড়েছে সাধারণ মানুষ। বিশ্বজুড়েই বাড়ছে দরিদ্র মানুষের সংখ্যা। জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচি ইউএনডিপি গতকাল বৃহস্পতিবার একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এতে বলা হয়েছে, চরম দারিদ্র্যের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে বিশ্বের ১১০টি কোটি মানুষ।
ইউএনডিপি ও যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অক্সফোর্ড প্রোভার্টি অ্যান্ড হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট ইনিশিয়েটিভ (ওপিএইচআই) যৌথভাবে এই গবেষণা করেছে। এতে বলা হয়েছে, ২০২৩ সাল ছিল যুদ্ধের বছর। এই বছর যতগুলো দেশ যুদ্ধ-সংঘাতের মধ্য দিয়ে গেছে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরও এমন পরিস্থিতি দেখা যায়নি।
ইউএনডিপি এবং ওপিএইচআই ২০১০ সাল থেকে দারিদ্র্যের সূচক প্রকাশ করে থাকে। এ জন্য ১১২টি দেশ থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হয়। এই দেশগুলোর মোট জনসংখ্যা ৬৩০ কোটি। আর এই গবেষণার জন্য বেশ কিছু সূচক ব্যবহার করা হয়। সেগুলোর মধ্যে রয়েছে বাসস্থানের সংখ্যা, বিদ্যুৎ সুবিধা, স্যানিটেশন, ভোজ্যতেল, পুষ্টি ও বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি।
নতুন এই গবেষণা প্রতিবেদন প্রসঙ্গে ইউএনডিপির মুখ্য পরিসংখ্যানবিদ ইয়ানচুন ঝ্যাং বলেন, ২০২৪ সালের বহুমাত্রিক দারিদ্র্য সূচক (এমপিআই) থেকে এই চিত্র পাওয়া যাচ্ছে, ১১০ কোটি মানুষ এখন চরম দারিদ্র্যের বিভিন্ন স্তরে রয়েছে। এ ছাড়া ৪৫ কোটি ৫০ লাখ মানুষ এখন যুদ্ধ ও সংঘাতের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, যুদ্ধ ও সংঘাতময় দেশগুলোয় দরিদ্র মানুষেরা মৌলিক চাহিদা পূরণে হিমশিম খাচ্ছে। এই পরিস্থিতি দিন দিন আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে। এতে করে তারা আরও বেশি সংঘাতে জড়িয়ে পড়ছে।
এই গবেষণা প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ২০২৩ সালে ১১০টি দেশের প্রায় ৬১০ কোটি জনসংখ্যার মধ্যে ১১০ কোটি মানুষ চরম এবং বহুমাত্রিক দারিদ্র্যের মধ্য দিয়ে দিনাতিপাত করছে। গতকাল প্রকাশিত এই প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, এই ৬১০ কোটি মানুষের মধ্যে এমন ৫৮ কোটি শিশু রয়েছে, যারা চরম দরিদ্র। অর্থাৎ বিশ্বের মোট শিশুর প্রায় ২৮ শতাংশ শিশু এই পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছে গত বছর। আর প্রাপ্তবয়স্কদের এই সংখ্যা ১৩ দশমিক ৫০ শতাংশ।
ইউএনডিপি এবং ওপিএইচআই গতকাল এই প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করে, সবচেয়ে বেশি দরিদ্র মানুষের বসবাস সাব-সাহারান আফ্রিকা ও দক্ষিণ এশিয়ায়। প্রায় ৮৩ শতাংশ অতি দরিদ্র মানুষের বসবাস এসব এলাকায়। এই চিত্র তুলে ধরে ওপিএইচআইয়ের পরিচালক সাবিনা আলকির বলেন, দারিদ্র্য কমানোর ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় বাধা হিসেবে কাজ করে যুদ্ধ, সংঘাত। তিনি আরও বলেন, ‘এই যে চিত্র উঠে এসেছে, তা সহজেই বোধগম্য। তবে আমাদের কাছে সবচেয়ে বেদানাদায়ক যে চিত্রটা উঠে এসেছে, সেটা হলো একটি শালীন বা ভদ্রোচিত জীবনযাপন এবং নিজেদের জীবনের নিরাপত্তা খুঁজছে এমন মানুষের সংখ্যা ৪৫ কোটি।’
ওপিএইচআইয়ের এই পরিচালক আরও বলেন, বিশ্বজুড়ে দারিদ্র্য শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা এবং শান্তি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে একটি অনিবার্য চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিয়েছে এই চিত্র।
কোন দেশে কী পরিমাণ মানুষ চরম দারিদ্র্যের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, তারও একটি চিত্র উঠে এসেছে এই গবেষণায়। এতে বলা হয়েছে, সবচেয়ে বেশি চরম দরিদ্র মানুষের বসবাস ভারতে। দেশটির ১৪০ কোটি মানুষের মধ্যে ২৩ কোটি মানুষই চরম দরিদ্র। এরপরই যেসব দেশের নাম উঠে এসেছে, সেগুলোর মধ্যে রয়েছে পাকিস্তান, ইথিওপিয়া, নাইজেরিয়া, গণপ্রজাতান্ত্রিক কঙ্গো। ভারত ও এই চার দেশ মিলিয়েই চরম দরিদ্র মানুষের সংখ্যা প্রায় ৫০ কোটি।
বিশ্বজুড়ে যুদ্ধ, সহিংসতা গত কয়েক দশকে বেড়েছে। এতে করে সংকটে পড়েছে সাধারণ মানুষ। বিশ্বজুড়েই বাড়ছে দরিদ্র মানুষের সংখ্যা। জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচি ইউএনডিপি গতকাল বৃহস্পতিবার একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এতে বলা হয়েছে, চরম দারিদ্র্যের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে বিশ্বের ১১০টি কোটি মানুষ।
ইউএনডিপি ও যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অক্সফোর্ড প্রোভার্টি অ্যান্ড হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট ইনিশিয়েটিভ (ওপিএইচআই) যৌথভাবে এই গবেষণা করেছে। এতে বলা হয়েছে, ২০২৩ সাল ছিল যুদ্ধের বছর। এই বছর যতগুলো দেশ যুদ্ধ-সংঘাতের মধ্য দিয়ে গেছে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরও এমন পরিস্থিতি দেখা যায়নি।
ইউএনডিপি এবং ওপিএইচআই ২০১০ সাল থেকে দারিদ্র্যের সূচক প্রকাশ করে থাকে। এ জন্য ১১২টি দেশ থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হয়। এই দেশগুলোর মোট জনসংখ্যা ৬৩০ কোটি। আর এই গবেষণার জন্য বেশ কিছু সূচক ব্যবহার করা হয়। সেগুলোর মধ্যে রয়েছে বাসস্থানের সংখ্যা, বিদ্যুৎ সুবিধা, স্যানিটেশন, ভোজ্যতেল, পুষ্টি ও বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি।
নতুন এই গবেষণা প্রতিবেদন প্রসঙ্গে ইউএনডিপির মুখ্য পরিসংখ্যানবিদ ইয়ানচুন ঝ্যাং বলেন, ২০২৪ সালের বহুমাত্রিক দারিদ্র্য সূচক (এমপিআই) থেকে এই চিত্র পাওয়া যাচ্ছে, ১১০ কোটি মানুষ এখন চরম দারিদ্র্যের বিভিন্ন স্তরে রয়েছে। এ ছাড়া ৪৫ কোটি ৫০ লাখ মানুষ এখন যুদ্ধ ও সংঘাতের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, যুদ্ধ ও সংঘাতময় দেশগুলোয় দরিদ্র মানুষেরা মৌলিক চাহিদা পূরণে হিমশিম খাচ্ছে। এই পরিস্থিতি দিন দিন আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে। এতে করে তারা আরও বেশি সংঘাতে জড়িয়ে পড়ছে।
এই গবেষণা প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ২০২৩ সালে ১১০টি দেশের প্রায় ৬১০ কোটি জনসংখ্যার মধ্যে ১১০ কোটি মানুষ চরম এবং বহুমাত্রিক দারিদ্র্যের মধ্য দিয়ে দিনাতিপাত করছে। গতকাল প্রকাশিত এই প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, এই ৬১০ কোটি মানুষের মধ্যে এমন ৫৮ কোটি শিশু রয়েছে, যারা চরম দরিদ্র। অর্থাৎ বিশ্বের মোট শিশুর প্রায় ২৮ শতাংশ শিশু এই পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছে গত বছর। আর প্রাপ্তবয়স্কদের এই সংখ্যা ১৩ দশমিক ৫০ শতাংশ।
ইউএনডিপি এবং ওপিএইচআই গতকাল এই প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করে, সবচেয়ে বেশি দরিদ্র মানুষের বসবাস সাব-সাহারান আফ্রিকা ও দক্ষিণ এশিয়ায়। প্রায় ৮৩ শতাংশ অতি দরিদ্র মানুষের বসবাস এসব এলাকায়। এই চিত্র তুলে ধরে ওপিএইচআইয়ের পরিচালক সাবিনা আলকির বলেন, দারিদ্র্য কমানোর ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় বাধা হিসেবে কাজ করে যুদ্ধ, সংঘাত। তিনি আরও বলেন, ‘এই যে চিত্র উঠে এসেছে, তা সহজেই বোধগম্য। তবে আমাদের কাছে সবচেয়ে বেদানাদায়ক যে চিত্রটা উঠে এসেছে, সেটা হলো একটি শালীন বা ভদ্রোচিত জীবনযাপন এবং নিজেদের জীবনের নিরাপত্তা খুঁজছে এমন মানুষের সংখ্যা ৪৫ কোটি।’
ওপিএইচআইয়ের এই পরিচালক আরও বলেন, বিশ্বজুড়ে দারিদ্র্য শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা এবং শান্তি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে একটি অনিবার্য চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিয়েছে এই চিত্র।
কোন দেশে কী পরিমাণ মানুষ চরম দারিদ্র্যের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, তারও একটি চিত্র উঠে এসেছে এই গবেষণায়। এতে বলা হয়েছে, সবচেয়ে বেশি চরম দরিদ্র মানুষের বসবাস ভারতে। দেশটির ১৪০ কোটি মানুষের মধ্যে ২৩ কোটি মানুষই চরম দরিদ্র। এরপরই যেসব দেশের নাম উঠে এসেছে, সেগুলোর মধ্যে রয়েছে পাকিস্তান, ইথিওপিয়া, নাইজেরিয়া, গণপ্রজাতান্ত্রিক কঙ্গো। ভারত ও এই চার দেশ মিলিয়েই চরম দরিদ্র মানুষের সংখ্যা প্রায় ৫০ কোটি।
তীব্র ঝড়ের মধ্যে অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে লন্ডনে বিমান অবতরণ করে প্রশংসার জোয়ারে ভাসছেন সৌদি পতাকাবাহী সৌদিয়া এয়ারলাইনসের এক পাইলট। সোমবার গালফ নিউজ জানিয়েছে, ব্রিটেনে আঘাত হানা শক্তিশালী স্টর্ম বার্ট ঝড়ে ভারী তুষার ও বৃষ্টিপাত এবং প্রবল বাতাসের সৃষ্টি হয়েছিল। এই ঝড় যোগাযোগ ব্যবস্থায়ও বড় ধরনের বিশৃঙ্খল
২৮ মিনিট আগেমিয়ানমারের সংবাদমাধ্যম ইরাবতীর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ কারণেই মিয়ানমার জান্তা বাহিনীকে একটি যৌথ নিরাপত্তা কোম্পানি (জেভিএসসি) গঠনের প্রস্তাব দিয়েছে চীন। এটি মিয়ানমারের গণমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি করেছে এবং জান্তার শীর্ষ সামরিক নেতাদের মধ্যে অস্বস্তি
১ ঘণ্টা আগেমার্কিন প্রেসিডেন্ট হওয়ার লড়াইয়ে বিলিয়নিয়ার ইলন মাস্ককে শুরু থেকেই পাশে পেয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি ট্রাম্পের নির্বাচনী তহবিলে ২০ কোটি ডলার দিয়েছেন। নির্বাচনী প্রচারেও সরব উপস্থিতি দেখা গেছে তাঁর। ট্রাম্প–মাস্কের এই ঘনিষ্ঠতা সবারই নজর কেড়েছে
১ ঘণ্টা আগেইউক্রেনের সাবেক সেনাপ্রধান ভ্যালেরি জালুঝনি বলেছেন, ‘ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার স্বৈরশাসক মিত্রদের সরাসরি অংশগ্রহণ ইঙ্গিত দিচ্ছে যে, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে।’ আজ রোববার ইউক্রেনীয় সংবাদমাধ্যম ইউক্রেইনস্কা প্রাভদার ইউপি-১০০
১ ঘণ্টা আগে