অনলাইন ডেস্ক
১৭৩৯ সালের ২০ মার্চ ভারতীয় উপমহাদেশের ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটে। এ দিন পারস্য সম্রাট নাদির শাহ ভারতে আগ্রাসন চালিয়ে মোগল সাম্রাজ্যের রাজধানী দিল্লি দখল করে নেন। নাদির শাহ ১৭৩৬ থেকে ১৭৪৭ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত পারস্য শাসন করেন। তিনি ছিলেন আফশারিদ রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা ও ইরানের শাহ।
পারস্যে কয়েক বছর ধরে চলতে থাকা অভ্যন্তরীণ বিদ্রোহ দমন করে নিজের শাসন দৃঢ় করছিলেন। সময়টা ছিল ১৭৩৭ সাল। তখন তাঁর নজর পড়ে আফগানিস্তানের খিলজি এলাকার দিকে। ওই বছর তিনি খিলজি দখলে আগ্রাসন শুরু করেন। এই অভিযানে কান্দাহারের কাছে একটি শহর দখল করে নাদিরাবাদ নাম দেন তিনি। সেখানে দুর্গ স্থাপন করে খিলজিতে অভিযান চালান তিনি। খুব দ্রুতই আফগান খিলজিদের নেতা শাহ হুসেইন হোতাককে পরাজিত করে কান্দাহার দখল করেন নাদির শাহ।
এরপর ১৭৩৮ সালের ২১ মে নাদিরাবাদ থেকে কাবুলের পথে অগ্রসর হন নাদির শাহ। ১১ জুন তিনি গজনি পৌঁছান এবং পারস্য-মোগল সীমান্ত অতিক্রম করেন। মোগলদের তিনি জানান, ভারতের প্রতি তাঁর কোনো বৈরী মনোভাব নেই, তিনি শুধু আফগান বিদ্রোহীদের খুঁজছেন।
ভারতীয় ঐতিহাসিকদের কেউ কেউ বলেন, মোগলদের অধীনে কিছু শাসক নিজেদের স্বাধীন অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করতে চাইছিলেন। তাঁরা নাদির শাহকে ভারত আক্রমণে প্ররোচিত করেন। পারস্যবিষয়ক বিশেষজ্ঞ লরেন্স লকহার্টের মতে, নাদির শাহ বুঝতে পেরেছিলেন, তিনি ভারতের সম্পদ লুট করে তাঁর সাম্রাজ্য সম্প্রসারণের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে পারবেন। কারণ, বিগত কয়েক বছরের ক্রমাগত যুদ্ধ পারস্যকে অর্থনৈতিক সংকটের দিকে ঠেলে দিয়েছিল।
অষ্টাদশ শতকের শুরুতে মোগল সাম্রাজ্য একাধিক রাজনৈতিক সমস্যার মুখোমুখি হয়। ১৭০৭ সালে সম্রাট আওরঙ্গজেবের মৃত্যুর পর ভারত বিভক্ত হতে থাকে। পরবর্তী সম্রাট মুহাম্মাদ শাহর প্রতি নামমাত্র আনুগত্য প্রকাশ করলেও একাধিক রাজা ভেতরে ভেতরে মোগলদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।
এ ছাড়া প্রথম বাজিরাওয়ের নেতৃত্বে মারাঠা সাম্রাজ্যের উত্থান মোগলদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়। মারাঠারা ভারতের রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে মুসলিম শাসনের অপরিহার্যতার প্রচলিত ধারণার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে মোগল শাসনের কর্তৃত্ব খর্ব করতে থাকে।
অর্থনৈতিকভাবে ভারত তখনও বিশালাকারের সমৃদ্ধ কৃষিভিত্তিক ছিল। কিন্তু ক্রমাগত বিভক্তির কারণে শক্তি হারিয়ে আর্থিক সংকটে থাকা বিজেতার জন্য অত্যন্ত লোভনীয় শিকারে পরিণত হয়।
নাদির শাহ মোগল ভূখণ্ডে প্রবেশ করে গজনির দক্ষিণে কারাবাগে অবস্থান নেন। তাঁর ছেলে নাসরুল্লাহ খানকে তিনি গোরবন্দ ও বামিয়ান এলাকার আফগানদের ওপর আক্রমণের জন্য পাঠান। নাদিরের আগমনের খবর শুনে গজনির গভর্নর পালিয়ে গেলে শহরের ধনী ও ধর্মীয় নেতারা উপঢৌকনসহ আত্মসমর্পণ করেন।
এরপর নাদির শাহ কাবুলের দিকে অগ্রসর হন। শহরের কিছু শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তি শান্তিপূর্ণ আত্মসমর্পণ করতে চাইলেও শারজা খান প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। ১০ জুন কাবুলে পৌঁছে নাদির শাহর বাহিনী শহরের সৈন্যদের আক্রমণের মুখে পড়ে। কিন্তু পরদিন নাদিরের বাহিনী কাবুল অবরুদ্ধ করে। তাঁদের আক্রমণে এক সপ্তাহ পর ১৯ জুন শহরের দুর্গের একটি অংশ ধসে পড়লে কাবুল আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়।
এরপর নাদির শাহ দিল্লির উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেন। ২৪ ফেব্রুয়ারি ১৭৩৯ সালে কারনালের যুদ্ধে মোগল বাহিনীকে সম্পূর্ণভাবে পরাজিত করেন। সম্রাট মুহাম্মদ শাহ আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হন এবং নাদির শাহর সঙ্গে দিল্লিতে প্রবেশ করেন। সেদিন ছিল ২০ মার্চ। নাদির শাহর হাতে শহরের চাবি তুলে দেওয়া হয়। লাল কেল্লায় এক নারী রক্ষী নাদির শাহকে হত্যা করেছে বলে ২১ মার্চ রাতে গুজব ছড়িয়ে পড়ে। এতে উত্তেজিত জনতা আফশারিদ বাহিনীর প্রায় ৩ হাজার সৈন্যকে হত্যা করে।
২২ মার্চ সকালে নাদির শাহ দিল্লির সুনেহরি মসজিদে বসে তরবারি উঁচিয়ে সৈন্যদের দিল্লিতে গণহত্যার (কতল-এ-আম) নির্দেশ দেন। এর পরপরই দিল্লির নিরস্ত্র জনগণের ওপর আফশারিদ সেনারা ব্যাপক হত্যাযজ্ঞ চালায়। চাঁদনি চক, দরিবার, ফতেহপুরি, হাউজ কাজি, লাহোরি গেটসহ বিভিন্ন জনবহুল এলাকায় নির্বিচারে হত্যা করা হয় সাধারণ মানুষকে।
ধর্ষণসহ অন্যান্য অবমাননার ভয়ে মুসলমানেরা আত্মহত্যা করেন বা একে অন্যকে হত্যা করেন। সমকালীন বিভিন্ন ঐতিহাসিক গ্রন্থ যেমন ‘তারিখ-ই-হিন্দি’, ‘বায়ান-ই-ওয়াকাই’ ও ‘তাজকিরা’তে এ ঘটনার বিবরণ রয়েছে। মোগলদের ব্যাপক অনুরোধের পর হত্যাযজ্ঞ বন্ধের নির্দেশ দেন নাদির শাহ।
ইরানে ফিরে যাওয়ার সময় দিল্লি থেকে বিপুল সম্পদ লুট করে নিয়ে যান নাদির শাহ, যার মধ্যে ছিল কোহিনূর হীরা ও ময়ূর সিংহাসন। এ ঘটনার পর মোগল সাম্রাজ্য নামমাত্র টিকে ছিল। শিগগির আঞ্চলিক শক্তিগুলোর মধ্যে বিভক্তি ব্রিটিশদের ভারত দখলের পথ সুগম করে দেয়।
১৭৩৯ সালের ২০ মার্চ ভারতীয় উপমহাদেশের ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটে। এ দিন পারস্য সম্রাট নাদির শাহ ভারতে আগ্রাসন চালিয়ে মোগল সাম্রাজ্যের রাজধানী দিল্লি দখল করে নেন। নাদির শাহ ১৭৩৬ থেকে ১৭৪৭ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত পারস্য শাসন করেন। তিনি ছিলেন আফশারিদ রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা ও ইরানের শাহ।
পারস্যে কয়েক বছর ধরে চলতে থাকা অভ্যন্তরীণ বিদ্রোহ দমন করে নিজের শাসন দৃঢ় করছিলেন। সময়টা ছিল ১৭৩৭ সাল। তখন তাঁর নজর পড়ে আফগানিস্তানের খিলজি এলাকার দিকে। ওই বছর তিনি খিলজি দখলে আগ্রাসন শুরু করেন। এই অভিযানে কান্দাহারের কাছে একটি শহর দখল করে নাদিরাবাদ নাম দেন তিনি। সেখানে দুর্গ স্থাপন করে খিলজিতে অভিযান চালান তিনি। খুব দ্রুতই আফগান খিলজিদের নেতা শাহ হুসেইন হোতাককে পরাজিত করে কান্দাহার দখল করেন নাদির শাহ।
এরপর ১৭৩৮ সালের ২১ মে নাদিরাবাদ থেকে কাবুলের পথে অগ্রসর হন নাদির শাহ। ১১ জুন তিনি গজনি পৌঁছান এবং পারস্য-মোগল সীমান্ত অতিক্রম করেন। মোগলদের তিনি জানান, ভারতের প্রতি তাঁর কোনো বৈরী মনোভাব নেই, তিনি শুধু আফগান বিদ্রোহীদের খুঁজছেন।
ভারতীয় ঐতিহাসিকদের কেউ কেউ বলেন, মোগলদের অধীনে কিছু শাসক নিজেদের স্বাধীন অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করতে চাইছিলেন। তাঁরা নাদির শাহকে ভারত আক্রমণে প্ররোচিত করেন। পারস্যবিষয়ক বিশেষজ্ঞ লরেন্স লকহার্টের মতে, নাদির শাহ বুঝতে পেরেছিলেন, তিনি ভারতের সম্পদ লুট করে তাঁর সাম্রাজ্য সম্প্রসারণের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে পারবেন। কারণ, বিগত কয়েক বছরের ক্রমাগত যুদ্ধ পারস্যকে অর্থনৈতিক সংকটের দিকে ঠেলে দিয়েছিল।
অষ্টাদশ শতকের শুরুতে মোগল সাম্রাজ্য একাধিক রাজনৈতিক সমস্যার মুখোমুখি হয়। ১৭০৭ সালে সম্রাট আওরঙ্গজেবের মৃত্যুর পর ভারত বিভক্ত হতে থাকে। পরবর্তী সম্রাট মুহাম্মাদ শাহর প্রতি নামমাত্র আনুগত্য প্রকাশ করলেও একাধিক রাজা ভেতরে ভেতরে মোগলদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।
এ ছাড়া প্রথম বাজিরাওয়ের নেতৃত্বে মারাঠা সাম্রাজ্যের উত্থান মোগলদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়। মারাঠারা ভারতের রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে মুসলিম শাসনের অপরিহার্যতার প্রচলিত ধারণার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে মোগল শাসনের কর্তৃত্ব খর্ব করতে থাকে।
অর্থনৈতিকভাবে ভারত তখনও বিশালাকারের সমৃদ্ধ কৃষিভিত্তিক ছিল। কিন্তু ক্রমাগত বিভক্তির কারণে শক্তি হারিয়ে আর্থিক সংকটে থাকা বিজেতার জন্য অত্যন্ত লোভনীয় শিকারে পরিণত হয়।
নাদির শাহ মোগল ভূখণ্ডে প্রবেশ করে গজনির দক্ষিণে কারাবাগে অবস্থান নেন। তাঁর ছেলে নাসরুল্লাহ খানকে তিনি গোরবন্দ ও বামিয়ান এলাকার আফগানদের ওপর আক্রমণের জন্য পাঠান। নাদিরের আগমনের খবর শুনে গজনির গভর্নর পালিয়ে গেলে শহরের ধনী ও ধর্মীয় নেতারা উপঢৌকনসহ আত্মসমর্পণ করেন।
এরপর নাদির শাহ কাবুলের দিকে অগ্রসর হন। শহরের কিছু শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তি শান্তিপূর্ণ আত্মসমর্পণ করতে চাইলেও শারজা খান প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। ১০ জুন কাবুলে পৌঁছে নাদির শাহর বাহিনী শহরের সৈন্যদের আক্রমণের মুখে পড়ে। কিন্তু পরদিন নাদিরের বাহিনী কাবুল অবরুদ্ধ করে। তাঁদের আক্রমণে এক সপ্তাহ পর ১৯ জুন শহরের দুর্গের একটি অংশ ধসে পড়লে কাবুল আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়।
এরপর নাদির শাহ দিল্লির উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেন। ২৪ ফেব্রুয়ারি ১৭৩৯ সালে কারনালের যুদ্ধে মোগল বাহিনীকে সম্পূর্ণভাবে পরাজিত করেন। সম্রাট মুহাম্মদ শাহ আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হন এবং নাদির শাহর সঙ্গে দিল্লিতে প্রবেশ করেন। সেদিন ছিল ২০ মার্চ। নাদির শাহর হাতে শহরের চাবি তুলে দেওয়া হয়। লাল কেল্লায় এক নারী রক্ষী নাদির শাহকে হত্যা করেছে বলে ২১ মার্চ রাতে গুজব ছড়িয়ে পড়ে। এতে উত্তেজিত জনতা আফশারিদ বাহিনীর প্রায় ৩ হাজার সৈন্যকে হত্যা করে।
২২ মার্চ সকালে নাদির শাহ দিল্লির সুনেহরি মসজিদে বসে তরবারি উঁচিয়ে সৈন্যদের দিল্লিতে গণহত্যার (কতল-এ-আম) নির্দেশ দেন। এর পরপরই দিল্লির নিরস্ত্র জনগণের ওপর আফশারিদ সেনারা ব্যাপক হত্যাযজ্ঞ চালায়। চাঁদনি চক, দরিবার, ফতেহপুরি, হাউজ কাজি, লাহোরি গেটসহ বিভিন্ন জনবহুল এলাকায় নির্বিচারে হত্যা করা হয় সাধারণ মানুষকে।
ধর্ষণসহ অন্যান্য অবমাননার ভয়ে মুসলমানেরা আত্মহত্যা করেন বা একে অন্যকে হত্যা করেন। সমকালীন বিভিন্ন ঐতিহাসিক গ্রন্থ যেমন ‘তারিখ-ই-হিন্দি’, ‘বায়ান-ই-ওয়াকাই’ ও ‘তাজকিরা’তে এ ঘটনার বিবরণ রয়েছে। মোগলদের ব্যাপক অনুরোধের পর হত্যাযজ্ঞ বন্ধের নির্দেশ দেন নাদির শাহ।
ইরানে ফিরে যাওয়ার সময় দিল্লি থেকে বিপুল সম্পদ লুট করে নিয়ে যান নাদির শাহ, যার মধ্যে ছিল কোহিনূর হীরা ও ময়ূর সিংহাসন। এ ঘটনার পর মোগল সাম্রাজ্য নামমাত্র টিকে ছিল। শিগগির আঞ্চলিক শক্তিগুলোর মধ্যে বিভক্তি ব্রিটিশদের ভারত দখলের পথ সুগম করে দেয়।
১৫ বছর আগে এক সহপাঠীর আমন্ত্রণ বদর খান সুরির জীবন পুরোপুরি বদলে দিয়েছিল। বর্তমানে তিনি যুক্তরাষ্ট্র থেকে বহিষ্কারের মুখোমুখি। কারণ, তাঁর বিরুদ্ধে হামাসের এক সদস্যের সঙ্গে সম্পর্ক থাকার অভিযোগ আনা হয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগেইলন মাস্কের প্রায় যোগাযোগবিচ্ছিন্ন সন্তান জেভিয়ার বর্তমানে ভিভিয়ান জেনা উইলসন নামে পরিচিত। বিনোদনবিষয়ক মার্কিন সংবাদমাধ্যম ই-নিউজের বরাত দিয়ে আজ সোমবার এই খবর জানিয়েছে রুশ সংবাদমাধ্যম আরটি।
৬ ঘণ্টা আগেসুইজারল্যান্ডের নতুন আইন অনুযায়ী—জনসমক্ষে মুখ ঢেকে রাখা নিষিদ্ধ। এতে মুসলিম নারীদের বোরকা ও নিকাবের পাশাপাশি বিক্ষোভকারী বা ক্রীড়াপ্রেমীদের মুখোশ ও বালাক্লাভাও নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তবে স্বাস্থ্যগত কারণ, ঠান্ডা আবহাওয়া, কার্নিভ্যাল ইভেন্ট...
৭ ঘণ্টা আগেমার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দুটি বৃহত্তম খুচরা বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান ওয়ালমার্ট ও টার্গেট তাদের সরবরাহকারীদের সঙ্গে তীব্র দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েছে। কেক প্যান থেকে খেলনা, ব্যাগ থেকে রান্নার পাত্র—কোন পণ্যের কতটা দাম বাড়বে, কোন পণ্য বাদ পড়বে শেলফ থেকে, তা নিয়ে চলছে...
৭ ঘণ্টা আগে