অনলাইন ডেস্ক
দক্ষিণ কোরিয়ার জনপ্রিয় একজন অভিনেতা হঠাৎ করেই সন্তানের পিতা হয়েছেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন। ঘোষণায় এটাও জানিয়েছেন—সেই সন্তানটি কে? তার মা কে?
তবে অভিনেতার বিয়ে ছাড়াই সন্তান জন্মের ঘোষণাটি দক্ষিণ কোরিয়ায় সামাজিক প্রথার বাইরে গিয়ে পরিবার গঠন নিয়ে একটি জাতীয় বিতর্ককে উসকে দিয়েছে। বুধবার বিবিসি জানিয়েছে, সম্প্রতি জন্ম নেওয়া এক শিশুকে নিজের সন্তান দাবি করে ঘোষণাটি দিয়েছেন ৫১ বছর বয়সী দক্ষিণ কোরিয়ার চলচ্চিত্র জগতের প্রথম সারির অভিনেতা জং উ-সাং।
গত রোববার নিজ এজেন্সির মাধ্যমে জং নিশ্চিত করেছেন, ৩৫ বছর বয়সী মডেল মুন গা-বি তাঁর সদ্যোজাত সন্তানের মা।
ঘোষণায় জং তাঁর সন্তানের প্রতি দায়িত্ব পালনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তবে ঘোষণায় সন্তানের মা মুনকে বিয়ে করার বিষয়ে জংয়ের নীরবতা দক্ষিণ কোরিয়ার রক্ষণশীল সমাজে তীব্র সমালোচনা সৃষ্টি করেছে। দেশটিতে বিয়ে ছাড়া সন্তান জন্ম দেওয়াকে এখনো সামাজিক ট্যাবু বা নিষিদ্ধ কোনো বিষয় হিসেবে দেখা হয়।
এদিকে রক্ষণশীল মনোভবের বাইরে দক্ষিণ কোরিয়ার কিছু প্রগতিশীল কণ্ঠ আবার অভিনেতার পক্ষে কথা বলেছেন। তাঁরা মনে করেন, দক্ষিণ কোরিয়ার সমাজ ধীরে ধীরে বৈচিত্র্যময় পারিবারিক কাঠামোকে গ্রহণ করছে।
জংয়ের ঘোষণার দুদিন আগেই মডেল মুন ইনস্টাগ্রামে তাঁর সন্তান জন্মের কথা ঘোষণা করেছিলেন। তবে তিনি শিশুটির বাবার নাম উল্লেখ করেননি। সন্তান জন্ম দেওয়ার ঘটনাটিকে তিনি একটি ‘অপ্রত্যাশিত’ এবং ‘সম্পূর্ণ অপ্রস্তুত’ পরিস্থিতি হিসেবে বর্ণনা করেন।
দুই দিন পরই জং-এর এজেন্সি একটি বিবৃতি প্রকাশ করে বলে, ‘মুন তাঁর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যে শিশুটির কথা উল্লেখ করেছেন, সে জং উ-সাং-এর সন্তান।’
এই বিবৃতি দ্রুতই ক্ষোভ উসকে দেয় এবং দক্ষিণ কোরিয়া জুড়ে বিতর্ক ছড়িয়ে পড়ে। এই ঘটনায় অনলাইনে যে প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়, তার বেশির ভাগই নেতিবাচক ছিল।
অনেকেই অভিনেতা জংয়ের প্রতি হতাশা প্রকাশ করেন। দীর্ঘ দিন ধরেই তিনি তাঁর ‘নির্ভুল’ এবং ‘নৈতিক’ ইমেজ ধরে রেখেছিলেন। কেউ কেউ মন্তব্য করেছেন, তারা জংয়ের সন্তানের বিষয়টিকে মেনে নিতে পারছেন না।
মজার বিষয় হলো—দক্ষিণ কোরিয়ার পরিসংখ্যান সংস্থার সাম্প্রতিক একটি জরিপে দেখা গেছে, দক্ষিণ কোরিয়ার অন্তত ৩৭ শতাংশ মানুষ এখন বিয়ে ছাড়াই সন্তান জন্ম দেওয়াকে গ্রহণযোগ্য মনে করেন। ২০১২ সালের তুলনায় এমন মনোভাব দেখানো মানুষের সংখ্যা ১৫ শতাংশ বেড়েছে।
ডেমোক্রেটিক পার্টি অব কোরিয়ার সদস্য লি সো-ইয়ং জং বিয়ে ছাড়া সন্তানের পক্ষে থাকা একজন মানুষ। তিনি বলেন, ‘একজন মানুষের জীবনসঙ্গী নির্বাচন সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত এবং গভীর সিদ্ধান্ত। সন্তান থাকলেই বিয়ে করা বাধ্যতামূলক মনে করা উচিত নয়।’
কিছু বিশ্লেষক মনে করেন, এই ঘটনাটি দক্ষিণ কোরিয়ার কঠোর পারিবারিক ধারণার পরিবর্তনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। দক্ষিণ কোরিয়ার বিনোদন জগতে সেলিব্রিটিদের ওপর উচ্চ সামাজিক মানদণ্ড এবং কঠোর নজরদারি বহাল থাকলেও, এই ঘটনাটি পারিবারিক গঠনের বৈচিত্র্য নিয়ে নতুন আলোচনার সূত্রপাত করেছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার জনপ্রিয় একজন অভিনেতা হঠাৎ করেই সন্তানের পিতা হয়েছেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন। ঘোষণায় এটাও জানিয়েছেন—সেই সন্তানটি কে? তার মা কে?
তবে অভিনেতার বিয়ে ছাড়াই সন্তান জন্মের ঘোষণাটি দক্ষিণ কোরিয়ায় সামাজিক প্রথার বাইরে গিয়ে পরিবার গঠন নিয়ে একটি জাতীয় বিতর্ককে উসকে দিয়েছে। বুধবার বিবিসি জানিয়েছে, সম্প্রতি জন্ম নেওয়া এক শিশুকে নিজের সন্তান দাবি করে ঘোষণাটি দিয়েছেন ৫১ বছর বয়সী দক্ষিণ কোরিয়ার চলচ্চিত্র জগতের প্রথম সারির অভিনেতা জং উ-সাং।
গত রোববার নিজ এজেন্সির মাধ্যমে জং নিশ্চিত করেছেন, ৩৫ বছর বয়সী মডেল মুন গা-বি তাঁর সদ্যোজাত সন্তানের মা।
ঘোষণায় জং তাঁর সন্তানের প্রতি দায়িত্ব পালনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তবে ঘোষণায় সন্তানের মা মুনকে বিয়ে করার বিষয়ে জংয়ের নীরবতা দক্ষিণ কোরিয়ার রক্ষণশীল সমাজে তীব্র সমালোচনা সৃষ্টি করেছে। দেশটিতে বিয়ে ছাড়া সন্তান জন্ম দেওয়াকে এখনো সামাজিক ট্যাবু বা নিষিদ্ধ কোনো বিষয় হিসেবে দেখা হয়।
এদিকে রক্ষণশীল মনোভবের বাইরে দক্ষিণ কোরিয়ার কিছু প্রগতিশীল কণ্ঠ আবার অভিনেতার পক্ষে কথা বলেছেন। তাঁরা মনে করেন, দক্ষিণ কোরিয়ার সমাজ ধীরে ধীরে বৈচিত্র্যময় পারিবারিক কাঠামোকে গ্রহণ করছে।
জংয়ের ঘোষণার দুদিন আগেই মডেল মুন ইনস্টাগ্রামে তাঁর সন্তান জন্মের কথা ঘোষণা করেছিলেন। তবে তিনি শিশুটির বাবার নাম উল্লেখ করেননি। সন্তান জন্ম দেওয়ার ঘটনাটিকে তিনি একটি ‘অপ্রত্যাশিত’ এবং ‘সম্পূর্ণ অপ্রস্তুত’ পরিস্থিতি হিসেবে বর্ণনা করেন।
দুই দিন পরই জং-এর এজেন্সি একটি বিবৃতি প্রকাশ করে বলে, ‘মুন তাঁর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যে শিশুটির কথা উল্লেখ করেছেন, সে জং উ-সাং-এর সন্তান।’
এই বিবৃতি দ্রুতই ক্ষোভ উসকে দেয় এবং দক্ষিণ কোরিয়া জুড়ে বিতর্ক ছড়িয়ে পড়ে। এই ঘটনায় অনলাইনে যে প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়, তার বেশির ভাগই নেতিবাচক ছিল।
অনেকেই অভিনেতা জংয়ের প্রতি হতাশা প্রকাশ করেন। দীর্ঘ দিন ধরেই তিনি তাঁর ‘নির্ভুল’ এবং ‘নৈতিক’ ইমেজ ধরে রেখেছিলেন। কেউ কেউ মন্তব্য করেছেন, তারা জংয়ের সন্তানের বিষয়টিকে মেনে নিতে পারছেন না।
মজার বিষয় হলো—দক্ষিণ কোরিয়ার পরিসংখ্যান সংস্থার সাম্প্রতিক একটি জরিপে দেখা গেছে, দক্ষিণ কোরিয়ার অন্তত ৩৭ শতাংশ মানুষ এখন বিয়ে ছাড়াই সন্তান জন্ম দেওয়াকে গ্রহণযোগ্য মনে করেন। ২০১২ সালের তুলনায় এমন মনোভাব দেখানো মানুষের সংখ্যা ১৫ শতাংশ বেড়েছে।
ডেমোক্রেটিক পার্টি অব কোরিয়ার সদস্য লি সো-ইয়ং জং বিয়ে ছাড়া সন্তানের পক্ষে থাকা একজন মানুষ। তিনি বলেন, ‘একজন মানুষের জীবনসঙ্গী নির্বাচন সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত এবং গভীর সিদ্ধান্ত। সন্তান থাকলেই বিয়ে করা বাধ্যতামূলক মনে করা উচিত নয়।’
কিছু বিশ্লেষক মনে করেন, এই ঘটনাটি দক্ষিণ কোরিয়ার কঠোর পারিবারিক ধারণার পরিবর্তনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। দক্ষিণ কোরিয়ার বিনোদন জগতে সেলিব্রিটিদের ওপর উচ্চ সামাজিক মানদণ্ড এবং কঠোর নজরদারি বহাল থাকলেও, এই ঘটনাটি পারিবারিক গঠনের বৈচিত্র্য নিয়ে নতুন আলোচনার সূত্রপাত করেছে।
সম্মতির ভিত্তিতে যৌন সম্পর্ক গড়ার এক পর্যায়ে তিক্ততা তৈরি হলে পুরুষ সঙ্গীর বিরুদ্ধে নারীদের ‘বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণের’ মামলা করার চলমান প্রবণতায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। এক আপিল নিষ্পত্তি করে রায় দেওয়ার সময় এই পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেন সর্বোচ্চ আদালত। আজ বুধবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম
১ ঘণ্টা আগেপ্রায় তিন দশক কারাগারে ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের বাসিন্দা মাইকেল সুলিভান। জেলে থাকা অবস্থায় তাঁর মা এবং চার ভাইবোন মারা গেছেন। জীবন থেকে চলে গেছেন প্রেমিকাও। আর কারাগারের ভেতর তিনি একাধিকবার মারাত্মক আক্রমণেরও শিকার হয়েছেন।
১ ঘণ্টা আগেএক বছরের বেশি সময় ধরে চলা সংঘর্ষে বিপর্যস্ত চীনের সীমান্তবর্তী উত্তর মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠী তাআং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি (টিএনএলএ) যুদ্ধ বন্ধ করতে চায়। এজন্য তাঁরা জান্তা সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চায়। তাঁদের বিবৃতির বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে রয়টার্স।
২ ঘণ্টা আগেবিবিসি জানিয়েছে, আজ বুধবার দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউল অন্তত ১৬ সেন্টিমিটার পুরো তুষারের চাদরে ঢাকা পড়েছে। এর আগে ১৯৭২ সালের নভেম্বর মাসে এই শহরটিতে সর্বোচ্চ ১২.৪ সেন্টিমিটার পুরুত্বের তুষারে ঢাকা পড়েছিল।
২ ঘণ্টা আগে