অনলাইন ডেস্ক
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাসভবনে ড্রোন হামলার বিষয়টি সম্ভবত এখন আর কারও অজানা নয়। গত বুধবার (৩ মে) পুতিনকে হত্যার উদ্দেশ্যে ক্রেমলিনে ইউক্রেন দুটি ড্রোন হামলা চালিয়েছে বলে দাবি করেছে মস্কো। তবে মস্কোর এ দাবি অস্বীকার করেছে কিয়েভ।
হামলার বিষয়ে ক্রেমলিন এক বিবৃতিতে দাবি করে, চালকবিহীন দুটি উড়োজাহাজ ক্রেমলিনের দিকে আসছিল। তবে মস্কোর রাডারে বিষয়টি ধরা পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই সেনাবাহিনী ও ড্রোন নিষ্ক্রিয় বিশেষ বাহিনী ড্রোন দুটি নিষ্ক্রিয় করে ফেলে। পুতিনকে হত্যার উদ্দেশ্য এ ধরনের সন্ত্রাসী হামলা পূর্বপরিকল্পিত।
এদিকে রাশিয়ার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও দেশটির সামরিক বাহিনীর সংবাদমাধ্যম জিজদায় ওই ড্রোন হামলার একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। এতে দেখা গেছে, ক্রেমলিনের মূল ফটকের সামনে থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছে।
এর পর থেকে শুরু হয়েছে নানা জল্পনাকল্পনা। হামলাটি ঘটিয়েছে কে? ইউক্রেন নাকি রাশিয়ারই সহযোগী কোনো পক্ষ? নাকি রাশিয়া নিজেই হামলা চালিয়ে দোষ চাপাচ্ছে ইউক্রেনের ওপর? এখনো এসবের কোনো সদুত্তর পাওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি একটি বিশ্লেষণধর্মী প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
বিবিসির বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, কেউ কেউ বলছেন, এ হামলা স্পষ্টতই রুশ প্রেসিডেন্টকে হত্যার উদ্দেশ্যে করা হয়েছে। ক্রেমলিনে পুতিনের একটি ব্যক্তিগত অ্যাপার্টমেন্ট আছে বটে, তবে তাঁর প্রধান বাসভবন ক্রেমলিন থেকে আরও ৩২ কিলোমিটার দূরে। কাজেই পুতিনকে হত্যার উদ্দেশ্যে এমন হামলা করা হয়েছে বলে অনেকেই বিশ্বাস করছেন না।
এমনকি রাশিয়ার সরকারি টেলিভিশনেরও এ ধরনের যুক্তির ব্যাপারে সন্দেহ পোষণ করা হয়েছে। ওই দিন (বুধবার) সন্ধ্যায় দেশটির চ্যানেল ওয়ানে একজন বিশ্লেষক বলেন, এ ধরনের ড্রোন যতটুকু বিস্ফোরক বহন করতে পারে, তা বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি ঘটাতে পারে না। সুতরাং বোঝা যাচ্ছে, এ হামলা নিছক ভয় দেখানোর উদ্দেশ্যেই করা হয়েছে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিও পুতিনকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা পুতিন কিংবা মস্কোয় হামলা করিনি। আমরা আমাদের ভূখণ্ডে যুদ্ধ করছি এবং নিজেদের গ্রাম ও শহর রক্ষা করছি।’
কিন্তু এমনও তো হতে পারে, হামলাটি ইউক্রেনের প্রতি সহানুভূতিশীল কোনো গোষ্ঠী করেছে। যদি তেমনটা সত্য হয়, তাহলে সেটি হবে রাশিয়ার জন্য খুবই বিব্রতকর। কারণ, যে ভবনে ড্রোন হামলা হয়েছে, সেটি রাশিয়ার সবচেয়ে সুরক্ষিত ভবনগুলোর একটি হিসেবে পরিচিত। সেখানে বিস্ফোরক ভর্তি ড্রোন প্রবেশ করা নিঃসন্দেহে রুশ বিমান প্রতিরক্ষার দুর্বলতাকেই স্পষ্ট করবে।
এমন ধরনের ঘটনা ঘটা একেবারেই অসম্ভব নয়। এ ক্ষেত্রে ১৯৮৭ সালের একটি ঘটনা স্মরণ করা যেতে পারে। ওই বছর ম্যাথিয়াস রাস্ট নামের এক জার্মান কিশোর সোভিয়েত ইউনিয়নের বিমান প্রতিরক্ষা এড়িয়ে তার উড়োজাহাজটি রেড স্কয়ারে অবতরণ করেছিল। সুতরাং ইতিহাস বলছে, এমন ঘটনা অসম্ভব কিছুই নয়।
গত বুধবারের হামলার কিছু ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লেও চ্যানেল ওয়ানে ভিডিওগুলো প্রচার করা হয়নি। তার পরিবর্তে রাষ্ট্রীয় এই চ্যানেল ক্রেমলিন ও রেড স্কয়ারের লাইব্রেরির সরবরাহ করা ফুটেজ ব্যবহার করেছিল। তারা বোঝাতে চেয়েছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ফুটেজগুলো ভুয়া।
কোনো কোনো বিশ্লেষক বলছেন, ইউক্রেনে হামলা বাড়ানোর একটি অজুহাত খুঁজছিল রাশিয়া। সেই অজুহাত খুঁজে বের করতে রাশিয়া নিজেই এ হামলার নাটক সাজিয়েছে। অন্যদিকে কোনো কোনো বিশ্লেষক বলছেন, হামলা বাড়ানোর জন্য রাশিয়ার কোনো অজুহাত দরকার হয় না। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে তারা দৃশ্যত কোনো অজুহাত ছাড়াই ইউক্রেনে হামলা শুরু করেছে।
একটা ব্যাপার লক্ষণীয়, রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনগুলোতে হামলার ফুটেজ দেখানো হয়নি। এটি না দেখানোর একটি কারণ হচ্ছে, ভিডিও ফুটেজগুলো দেখালে তা ক্রেমলিনের দুর্বলতা প্রকাশ করত।
এর বাইরে আরও তত্ত্ব আছে। যেমন কোনো কোনো বিশ্লেষকের মতে, ক্রেমলিনের ওপর প্রভাব বিস্তার করতে আগ্রহী বেশ কয়েকটি গোষ্ঠী। তাদের অন্তর্দ্বন্দ্বের কারণেও এ হামলা হতে পারে।
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাসভবনে ড্রোন হামলার বিষয়টি সম্ভবত এখন আর কারও অজানা নয়। গত বুধবার (৩ মে) পুতিনকে হত্যার উদ্দেশ্যে ক্রেমলিনে ইউক্রেন দুটি ড্রোন হামলা চালিয়েছে বলে দাবি করেছে মস্কো। তবে মস্কোর এ দাবি অস্বীকার করেছে কিয়েভ।
হামলার বিষয়ে ক্রেমলিন এক বিবৃতিতে দাবি করে, চালকবিহীন দুটি উড়োজাহাজ ক্রেমলিনের দিকে আসছিল। তবে মস্কোর রাডারে বিষয়টি ধরা পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই সেনাবাহিনী ও ড্রোন নিষ্ক্রিয় বিশেষ বাহিনী ড্রোন দুটি নিষ্ক্রিয় করে ফেলে। পুতিনকে হত্যার উদ্দেশ্য এ ধরনের সন্ত্রাসী হামলা পূর্বপরিকল্পিত।
এদিকে রাশিয়ার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও দেশটির সামরিক বাহিনীর সংবাদমাধ্যম জিজদায় ওই ড্রোন হামলার একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। এতে দেখা গেছে, ক্রেমলিনের মূল ফটকের সামনে থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছে।
এর পর থেকে শুরু হয়েছে নানা জল্পনাকল্পনা। হামলাটি ঘটিয়েছে কে? ইউক্রেন নাকি রাশিয়ারই সহযোগী কোনো পক্ষ? নাকি রাশিয়া নিজেই হামলা চালিয়ে দোষ চাপাচ্ছে ইউক্রেনের ওপর? এখনো এসবের কোনো সদুত্তর পাওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি একটি বিশ্লেষণধর্মী প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
বিবিসির বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, কেউ কেউ বলছেন, এ হামলা স্পষ্টতই রুশ প্রেসিডেন্টকে হত্যার উদ্দেশ্যে করা হয়েছে। ক্রেমলিনে পুতিনের একটি ব্যক্তিগত অ্যাপার্টমেন্ট আছে বটে, তবে তাঁর প্রধান বাসভবন ক্রেমলিন থেকে আরও ৩২ কিলোমিটার দূরে। কাজেই পুতিনকে হত্যার উদ্দেশ্যে এমন হামলা করা হয়েছে বলে অনেকেই বিশ্বাস করছেন না।
এমনকি রাশিয়ার সরকারি টেলিভিশনেরও এ ধরনের যুক্তির ব্যাপারে সন্দেহ পোষণ করা হয়েছে। ওই দিন (বুধবার) সন্ধ্যায় দেশটির চ্যানেল ওয়ানে একজন বিশ্লেষক বলেন, এ ধরনের ড্রোন যতটুকু বিস্ফোরক বহন করতে পারে, তা বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি ঘটাতে পারে না। সুতরাং বোঝা যাচ্ছে, এ হামলা নিছক ভয় দেখানোর উদ্দেশ্যেই করা হয়েছে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিও পুতিনকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা পুতিন কিংবা মস্কোয় হামলা করিনি। আমরা আমাদের ভূখণ্ডে যুদ্ধ করছি এবং নিজেদের গ্রাম ও শহর রক্ষা করছি।’
কিন্তু এমনও তো হতে পারে, হামলাটি ইউক্রেনের প্রতি সহানুভূতিশীল কোনো গোষ্ঠী করেছে। যদি তেমনটা সত্য হয়, তাহলে সেটি হবে রাশিয়ার জন্য খুবই বিব্রতকর। কারণ, যে ভবনে ড্রোন হামলা হয়েছে, সেটি রাশিয়ার সবচেয়ে সুরক্ষিত ভবনগুলোর একটি হিসেবে পরিচিত। সেখানে বিস্ফোরক ভর্তি ড্রোন প্রবেশ করা নিঃসন্দেহে রুশ বিমান প্রতিরক্ষার দুর্বলতাকেই স্পষ্ট করবে।
এমন ধরনের ঘটনা ঘটা একেবারেই অসম্ভব নয়। এ ক্ষেত্রে ১৯৮৭ সালের একটি ঘটনা স্মরণ করা যেতে পারে। ওই বছর ম্যাথিয়াস রাস্ট নামের এক জার্মান কিশোর সোভিয়েত ইউনিয়নের বিমান প্রতিরক্ষা এড়িয়ে তার উড়োজাহাজটি রেড স্কয়ারে অবতরণ করেছিল। সুতরাং ইতিহাস বলছে, এমন ঘটনা অসম্ভব কিছুই নয়।
গত বুধবারের হামলার কিছু ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লেও চ্যানেল ওয়ানে ভিডিওগুলো প্রচার করা হয়নি। তার পরিবর্তে রাষ্ট্রীয় এই চ্যানেল ক্রেমলিন ও রেড স্কয়ারের লাইব্রেরির সরবরাহ করা ফুটেজ ব্যবহার করেছিল। তারা বোঝাতে চেয়েছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ফুটেজগুলো ভুয়া।
কোনো কোনো বিশ্লেষক বলছেন, ইউক্রেনে হামলা বাড়ানোর একটি অজুহাত খুঁজছিল রাশিয়া। সেই অজুহাত খুঁজে বের করতে রাশিয়া নিজেই এ হামলার নাটক সাজিয়েছে। অন্যদিকে কোনো কোনো বিশ্লেষক বলছেন, হামলা বাড়ানোর জন্য রাশিয়ার কোনো অজুহাত দরকার হয় না। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে তারা দৃশ্যত কোনো অজুহাত ছাড়াই ইউক্রেনে হামলা শুরু করেছে।
একটা ব্যাপার লক্ষণীয়, রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনগুলোতে হামলার ফুটেজ দেখানো হয়নি। এটি না দেখানোর একটি কারণ হচ্ছে, ভিডিও ফুটেজগুলো দেখালে তা ক্রেমলিনের দুর্বলতা প্রকাশ করত।
এর বাইরে আরও তত্ত্ব আছে। যেমন কোনো কোনো বিশ্লেষকের মতে, ক্রেমলিনের ওপর প্রভাব বিস্তার করতে আগ্রহী বেশ কয়েকটি গোষ্ঠী। তাদের অন্তর্দ্বন্দ্বের কারণেও এ হামলা হতে পারে।
৬০ দিনের একটি যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব করা হয়েছে। এমন হলে ইরান-সমর্থিত লেবাননের হিজবুল্লাহ গোষ্ঠী এবং মিলিশিয়া এবং ইসরায়েলের মধ্যে সংঘর্ষ বন্ধ হবে। এর ফলে ইসরায়েলি সেনাদের দক্ষিণ লেবানন থেকে প্রত্যাহার করা হবে এবং ওই অঞ্চলে হিজবুল্লাহ যোদ্ধারাও অবস্থান করতে পারবে না।
৫ ঘণ্টা আগেবিশ্বে বর্তমানে ৩ হাজার ৩২৩ জন বিলিয়নিয়ার রয়েছেন। এদের মধ্যে ১৩ শতাংশ বা ৪৩১ জন হলেন নারী বিলিয়নিয়ার। সোমবার ‘আলট্রাটা বিলিয়নিয়ার পরিসংখ্যানের’ তথ্য দিয়ে মার্কিন সংবাদমাধ্যম এনবিসি বলেছে, ধীরে ধীরে নারীরা বৈশ্বিক সম্পদের বড় অংশীদার হয়ে উঠছেন।
৫ ঘণ্টা আগেভারতের জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া (জেএমআই) বিশ্ববিদ্যালয়ে অমুসলিম শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে ধর্মান্তরকরণের অভিযোগ ঘিরে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়েছে। তবে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষকেরা অভিযোগ করেছেন, হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলো পরিকল্পিতভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে চক্রান্ত করছে।
৬ ঘণ্টা আগেতুরস্কের ইস্তাম্বুল শহরে এলোপাতাড়ি গুলি চালিয়ে অন্তত সাতজনকে হত্যা করেছেন এক ব্যক্তি। তাদের হত্যা শেষে নিজেও আত্মহত্যা করেছেন। গতকাল রোববার (২৪ নভেম্বর) ইস্তাম্বুলের কাছের একটি এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
৭ ঘণ্টা আগে