অনলাইন ডেস্ক
প্রায় তিন দশক কারাগারে ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের বাসিন্দা মাইকেল সুলিভান। জেলে থাকা অবস্থায় তাঁর মা এবং চার ভাইবোন মারা গেছেন। জীবন থেকে চলে গেছেন প্রেমিকাও। আর কারাগারের ভেতর তিনি একাধিকবার মারাত্মক আক্রমণেরও শিকার হয়েছেন।
বুধবার অ্যাসোসিয়েট প্রেস (এপি) জানিয়েছে, যে অপরাধের জন্য সুলিভান জীবনে এত ত্যাগ স্বীকার করলেন, সেই অপরাধ তিনি কখনোই করেননি!
চলতি মাসের শুরুর দিকেই বর্তমানে ৬৪ বছর বয়সী সুলিভান ন্যায় বিচার পাওয়ার পথে এক ধাপ এগিয়ে গেছেন। ম্যাসাচুসেটসের একটি জুরি তাঁকে ১৯৮৬ সালের উইলফ্রেড ম্যাকগ্রাথের হত্যাকাণ্ড এবং ডাকাতির অভিযোগ থেকে নির্দোষ ঘোষণা করেছে। শুধু তাই নয়, সুলিভানকে ১৩ মিলিয়ন ডলারের ক্ষতিপূরণও দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় এই অর্থের পরিমাণ ১৫৫ কোটি টাকারও বেশি।
ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যের নিয়ম অনুযায়ী—মিথ্যা অভিযোগের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ১ মিলিয়ন ডলারের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বিধান রয়েছে। তবে সুলিভান এত বেশি ত্যাগ স্বীকার করেছেন যে, তাঁর বিষয়টি বিশেষভাবে বিবেচনা করা হয়েছে।
জানা যায়, ১৯৮৭ সালে উইলফ্রেড ম্যাকগ্রাথকে হত্যার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল সুলিভানকে। পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, ডাকাতির সময় ম্যাকগ্রাথকে মারধর করে একটি পরিত্যক্ত সুপারমার্কেটের পেছনে ফেলে রাখা হয়েছিল।
এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সুলিভানকে সন্দেহ করা হয়েছিল। কারণ হত্যার আগের রাতে তাঁর বোন ম্যাকগ্রাথের সঙ্গে বাইরে ঘুরতে যাওয়ার পাশাপাশি তাঁর শেয়ার করা অ্যাপার্টমেন্টেও সময় কাটিয়েছিলেন। মামলাটিতে গ্যারি গ্রেস নামে আরও এক সন্দেহভাজন ছিলেন। তবে গ্রেস সুলিভানকে অভিযুক্ত করে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছিলেন।
মামলাটিতে সবচেয়ে বেশি প্রভাব রেখেছিল সেই সময়ের রাজ্য পুলিশের এক রসায়নবিদের সাক্ষ্য। আদালতে তিনি সাক্ষ্য দিয়েছিলেন, সুলিভানের জ্যাকেটে রক্ত এবং ম্যাকগ্রাথের চুলের মতো একটি চুল পাওয়া গেছে। এই সাক্ষ্যটি সুলিভানকে দোষী সাব্যস্ত করার জন্য অন্যতম ভিত্তি ছিল।
কারাগারের ভেতর সুলিভানের জীবন ছিল দুঃসহ। এক আক্রমণে তাঁর নাক প্রায় ছিঁড়ে গিয়েছিল। আরেক হামলায় তাঁর একটি কান হারানোর উপক্রম হয়েছিল। দীর্ঘমেয়াদি বন্দী হওয়ায় কারাগারের ভেতর কোনো প্রশিক্ষণ বা শিক্ষা গ্রহণেরও সুযোগ দেওয়া হয়নি তাঁকে।
কারাগারের ভেতর নিজের অনুভূতির বর্ণনা দিতে গিয়ে সুলিভান বলেন, ‘যখন আপনি জানেন যে আপনি নির্দোষ, তখন এই জীবন আরও কঠিন হয়ে ওঠে।’
২০১১ সালে সুলিভানের আইনজীবী একটি ডিএনএ পরীক্ষার আবেদন করেছিলেন। এই পরীক্ষায় দেখা যায়, সুলিভানের জ্যাকেটে কোনো রক্ত ছিল না এবং কথিত ওই চুলে ম্যাকগ্রাথের ডিএনএ-এরও কোনো অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। ফলে ২০১২ সালে নতুন করে মামলাটি বিচারের নির্দেশ দেওয়া হয় এবং পরের বছরই সুলিভান মুক্তি পেয়েছিলেন। মুক্তি পাওয়ার দীর্ঘ এক যুগ পর এবার ক্ষতিপূরণও পেলেন তিনি।
এপি জানিয়েছে, মুক্তি পাওয়ার পরও সুলিভান স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যেতে পারেননি। কারণ তত দিনে পৃথিবী অনেক এগিয়ে গেছে। প্রযুক্তির জগতে তিনি একদমই নতুন ছিলেন। আর কাজ খোঁজার মতো দক্ষতাও ছিল না তাঁর। তিনি এখন তাঁর বোন ডোনা ফারিয়ার সঙ্গে থাকেন এবং বোনের পরিবারের ছোটখাটো কাজে সাহায্য করেন।
নিজের পরিস্থিতির কথা জানিয়ে সুলিভান বলেন, ‘আমি এখনো বাইরের দুনিয়ার সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারিনি। আমি খুব বেশি বাইরে যাই না। সব সময় ভীত থাকি।’
এবার ক্ষতিপূরণের অর্থ দিয়ে সুলিভান একটি ট্রাক কিনতে চান এবং বাকি টাকা তাঁর ভাই-বোনদের সন্তানদের ভবিষ্যতের জন্য রেখে দিতে চান। তিনি বলেন, ‘সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, আমার ভাগনে-ভাগনিদের দেখাশোনা করা। ওরা ভালো থাকলে আমি খুশি হব।’
প্রায় তিন দশক কারাগারে ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের বাসিন্দা মাইকেল সুলিভান। জেলে থাকা অবস্থায় তাঁর মা এবং চার ভাইবোন মারা গেছেন। জীবন থেকে চলে গেছেন প্রেমিকাও। আর কারাগারের ভেতর তিনি একাধিকবার মারাত্মক আক্রমণেরও শিকার হয়েছেন।
বুধবার অ্যাসোসিয়েট প্রেস (এপি) জানিয়েছে, যে অপরাধের জন্য সুলিভান জীবনে এত ত্যাগ স্বীকার করলেন, সেই অপরাধ তিনি কখনোই করেননি!
চলতি মাসের শুরুর দিকেই বর্তমানে ৬৪ বছর বয়সী সুলিভান ন্যায় বিচার পাওয়ার পথে এক ধাপ এগিয়ে গেছেন। ম্যাসাচুসেটসের একটি জুরি তাঁকে ১৯৮৬ সালের উইলফ্রেড ম্যাকগ্রাথের হত্যাকাণ্ড এবং ডাকাতির অভিযোগ থেকে নির্দোষ ঘোষণা করেছে। শুধু তাই নয়, সুলিভানকে ১৩ মিলিয়ন ডলারের ক্ষতিপূরণও দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় এই অর্থের পরিমাণ ১৫৫ কোটি টাকারও বেশি।
ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যের নিয়ম অনুযায়ী—মিথ্যা অভিযোগের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ১ মিলিয়ন ডলারের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বিধান রয়েছে। তবে সুলিভান এত বেশি ত্যাগ স্বীকার করেছেন যে, তাঁর বিষয়টি বিশেষভাবে বিবেচনা করা হয়েছে।
জানা যায়, ১৯৮৭ সালে উইলফ্রেড ম্যাকগ্রাথকে হত্যার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল সুলিভানকে। পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, ডাকাতির সময় ম্যাকগ্রাথকে মারধর করে একটি পরিত্যক্ত সুপারমার্কেটের পেছনে ফেলে রাখা হয়েছিল।
এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সুলিভানকে সন্দেহ করা হয়েছিল। কারণ হত্যার আগের রাতে তাঁর বোন ম্যাকগ্রাথের সঙ্গে বাইরে ঘুরতে যাওয়ার পাশাপাশি তাঁর শেয়ার করা অ্যাপার্টমেন্টেও সময় কাটিয়েছিলেন। মামলাটিতে গ্যারি গ্রেস নামে আরও এক সন্দেহভাজন ছিলেন। তবে গ্রেস সুলিভানকে অভিযুক্ত করে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছিলেন।
মামলাটিতে সবচেয়ে বেশি প্রভাব রেখেছিল সেই সময়ের রাজ্য পুলিশের এক রসায়নবিদের সাক্ষ্য। আদালতে তিনি সাক্ষ্য দিয়েছিলেন, সুলিভানের জ্যাকেটে রক্ত এবং ম্যাকগ্রাথের চুলের মতো একটি চুল পাওয়া গেছে। এই সাক্ষ্যটি সুলিভানকে দোষী সাব্যস্ত করার জন্য অন্যতম ভিত্তি ছিল।
কারাগারের ভেতর সুলিভানের জীবন ছিল দুঃসহ। এক আক্রমণে তাঁর নাক প্রায় ছিঁড়ে গিয়েছিল। আরেক হামলায় তাঁর একটি কান হারানোর উপক্রম হয়েছিল। দীর্ঘমেয়াদি বন্দী হওয়ায় কারাগারের ভেতর কোনো প্রশিক্ষণ বা শিক্ষা গ্রহণেরও সুযোগ দেওয়া হয়নি তাঁকে।
কারাগারের ভেতর নিজের অনুভূতির বর্ণনা দিতে গিয়ে সুলিভান বলেন, ‘যখন আপনি জানেন যে আপনি নির্দোষ, তখন এই জীবন আরও কঠিন হয়ে ওঠে।’
২০১১ সালে সুলিভানের আইনজীবী একটি ডিএনএ পরীক্ষার আবেদন করেছিলেন। এই পরীক্ষায় দেখা যায়, সুলিভানের জ্যাকেটে কোনো রক্ত ছিল না এবং কথিত ওই চুলে ম্যাকগ্রাথের ডিএনএ-এরও কোনো অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। ফলে ২০১২ সালে নতুন করে মামলাটি বিচারের নির্দেশ দেওয়া হয় এবং পরের বছরই সুলিভান মুক্তি পেয়েছিলেন। মুক্তি পাওয়ার দীর্ঘ এক যুগ পর এবার ক্ষতিপূরণও পেলেন তিনি।
এপি জানিয়েছে, মুক্তি পাওয়ার পরও সুলিভান স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যেতে পারেননি। কারণ তত দিনে পৃথিবী অনেক এগিয়ে গেছে। প্রযুক্তির জগতে তিনি একদমই নতুন ছিলেন। আর কাজ খোঁজার মতো দক্ষতাও ছিল না তাঁর। তিনি এখন তাঁর বোন ডোনা ফারিয়ার সঙ্গে থাকেন এবং বোনের পরিবারের ছোটখাটো কাজে সাহায্য করেন।
নিজের পরিস্থিতির কথা জানিয়ে সুলিভান বলেন, ‘আমি এখনো বাইরের দুনিয়ার সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারিনি। আমি খুব বেশি বাইরে যাই না। সব সময় ভীত থাকি।’
এবার ক্ষতিপূরণের অর্থ দিয়ে সুলিভান একটি ট্রাক কিনতে চান এবং বাকি টাকা তাঁর ভাই-বোনদের সন্তানদের ভবিষ্যতের জন্য রেখে দিতে চান। তিনি বলেন, ‘সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, আমার ভাগনে-ভাগনিদের দেখাশোনা করা। ওরা ভালো থাকলে আমি খুশি হব।’
জোর করে নিরামিষ খাওয়াতেন প্রেমিক, সইতে না পেরে পাইলটের ‘আত্মহত্যা’—এয়ার ইন্ডিয়ার নারী পাইলট সৃষ্টি তুলি আত্মহত্যা করেছেন। প্রেমিক আদিত্য পণ্ডিতের বিরুদ্ধে মানসিক নির্যাতন ও আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে।"
৩ ঘণ্টা আগেআদানি গ্রুপের বিরুদ্ধে মার্কিন অভিযোগ নিয়ে আলোচনাকে কেন্দ্র করে ভারতের সংসদের নিম্নকক্ষ টানা দ্বিতীয় দিনের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। বুধবার (২৭ নভেম্বর) দেশটির সংসদে আদানির ঘুষ-কাণ্ড নিয়ে বাগ্বিতণ্ডার সৃষ্টি হলে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। গত সপ্তাহে মার্কিন কর্তৃপক্ষ গৌতম আদানি, তাঁর ভাতিজা ও আদানি গ্রিনের
৪ ঘণ্টা আগেসম্মতির ভিত্তিতে যৌন সম্পর্ক গড়ার এক পর্যায়ে তিক্ততা তৈরি হলে পুরুষ সঙ্গীর বিরুদ্ধে নারীদের ‘বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণের’ মামলা করার চলমান প্রবণতায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। এক আপিল নিষ্পত্তি করে রায় দেওয়ার সময় এই পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেন সর্বোচ্চ আদালত। আজ বুধবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম
৫ ঘণ্টা আগেএক বছরের বেশি সময় ধরে চলা সংঘর্ষে বিপর্যস্ত চীনের সীমান্তবর্তী উত্তর মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠী তাআং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি (টিএনএলএ) যুদ্ধ বন্ধ করতে চায়। এজন্য তাঁরা জান্তা সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চায়। তাঁদের বিবৃতির বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে রয়টার্স।
৬ ঘণ্টা আগে