অনলাইন ডেস্ক
দক্ষিণ কোরিয়ার অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলকে আজ বুধবার গ্রেপ্তার করেছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি সামরিক আইন জারির মাধ্যমে অভ্যুত্থানের চেষ্টা করেছিলেন। গ্রেপ্তারের বিষয়ে অভিযুক্ত এই রাষ্ট্রপ্রধান জানিয়েছেন, ‘রক্তপাত’ এড়াতে তিনি কথিত ‘অবৈধ তদন্তে’ সহযোগিতা করতে রাজি হয়েছেন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। ইউনের এই গ্রেপ্তার দক্ষিণ কোরিয়ার ইতিহাসে প্রথমবার কোনো ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্টকে গ্রেপ্তারের ঘটনা। এটি এশিয়ার অন্যতম গণকতান্ত্রিক দেশের জন্য আরেকটি নাটকীয় অধ্যায় হলেও দেশটিতে অতীতে সাবেক নেতাদের বিচার ও কারাবাসের উদাহরণ রয়েছে।
এর আগে, গত ৩ ডিসেম্বর সামরিক আইন জারির পরপরই দেশটির এমপিরা তাঁকে সাময়িকভাবে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়ার পক্ষে ভোট দেন। এরপর থেকে তিনি পাহাড়ি এলাকায় অবস্থিত বাসভবনে অবস্থান করছিলেন। এর আগেও একবার তাঁকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করা হলে তাঁর ব্যক্তিগত নিরাপত্তা বাহিনী তা ব্যর্থ করে দেয়।
স্থানীয় সময় আজ বুধবার ভোরে প্রায় ৩ হাজার পুলিশ সদস্য তাঁর বাসভবনের দিকে অগ্রসর হলে কোনো ধরনের সহিংসতা এড়াতে তিনি নিজেকে তদন্তের জন্য সমর্পণ করেন বলে জানিয়েছেন ইউন।
এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘আমি করাপশন ইনভেস্টিগেশন অফিস ফর হাই র্যাংকিং অফিশিয়াল বা সিআইওর (উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের দুর্নীতি তদন্ত দপ্তর) তদন্তে সাড়া দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যদিও এটি অবৈধ তদন্ত, তবু অপ্রত্যাশিত রক্তপাত এড়ানোর জন্য আমি স্বেচ্ছায় গ্রেপ্তার হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
পরে ইউনকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে একটি গাড়িবহর সিউলের অভিজাত এলাকা বেভারলি হিলস থেকে তদন্ত কর্মকর্তাদের দপ্তরে পৌঁছায়। তবে নিরাপত্তারক্ষীরা গাড়িটি দ্রুত ভবনের পেছনে নিয়ে গেলে ইউন সাংবাদিকদের এড়িয়ে গোপনে ভেতরে প্রবেশ করেন।
কর্তৃপক্ষের হাতে এখন ইউনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৪৮ ঘণ্টা সময় রয়েছে। এরপর তাঁকে ২০ দিন পর্যন্ত আটক রাখার অনুমতি চাইতে হবে বা মুক্তি দিতে হবে। ইউনের আইনজীবীরা বলছেন, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা অবৈধ, কারণ এটি ভুল বিচারিক অঞ্চলের আদালত থেকে ইস্যু করা হয়েছে এবং তদন্ত কমিটির আইনগত বৈধতা নেই। ইউনের বাসভবনে তল্লাশি চালানোর পরোয়ানায় তাঁকে ‘অভ্যুত্থানের নেতা’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়।
ইউনের সামরিক আইন ঘোষণায় দক্ষিণ কোরিয়ার জনগণ হতবাক হয়। এতে এশিয়ার চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতি হুমকির মুখে পড়ে এবং এই অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম প্রধান মিত্র হিসেবে পরিচিত দেশটিতে রাজনৈতিক অস্থিরতা শুরু হয়। পরে দেশটির পার্লামেন্টের এমপিরা ১৪ ডিসেম্বর তাঁর অভিশংসনের পক্ষে ভোট দেয়।
এদিকে, সাংবিধানিক আদালত এখন সিদ্ধান্ত নেবে, পার্লামেন্টের অভিশংসন বহাল থাকবে, নাকি তাঁকে ক্ষমতা ফিরিয়ে দেওয়া হবে। যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, তারা সিউল সরকারের সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাবে এবং সংবিধান অনুযায়ী দেশটির সরকার ও জনগণের কার্যক্রমের প্রতি সম্মান জানায়।
অন্যদিকে, ইউনকে গ্রেপ্তারের জন্য বুধবার ভোরে শুরু হওয়া অভিযান সরাসরি সম্প্রচার করা হয় দক্ষিণ কোরিয়ার সম্প্রচারমাধ্যমগুলোতে। ইউনের সমর্থকদের বাধা পেরিয়ে পুলিশ ইউনের বাসভবনের দিকে অগ্রসর হয় মই ও বেড়া ভাঙা ও কাটার অন্যান্য যন্ত্রপাতি নিয়ে।
বাসভবনের বাইরে সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটে। এ সময় সমর্থকেরা কম্বল জড়িয়ে বা পতাকা উড়িয়ে বিক্ষোভ করেন। কিছু সমর্থক ‘ভোট চুরি বন্ধ করো’ লেখা প্ল্যাকার্ড নিয়েও হাজির হন। ইউন দাবি করেছিলেন, ভোট জালিয়াতির কারণেই তিনি সামরিক আইন ঘোষণা করেন।
জনমত জরিপে দেখা গেছে, অধিকাংশ দক্ষিণ কোরীয় ইউনের সামরিক আইন ঘোষণার বিরোধিতা করলেও তাঁর দল পিপল পাওয়ার পার্টি (পিপিপি) সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে জনমতের দিক থেকে এগিয়ে যাচ্ছে। গত সোমবার প্রকাশিত রিয়েলমিটার জরিপে দেখা গেছে, দলটির বর্তমান সমর্থন ৪০ দশমিক ৮ শতাংশ।
দক্ষিণ কোরিয়ার অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলকে আজ বুধবার গ্রেপ্তার করেছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি সামরিক আইন জারির মাধ্যমে অভ্যুত্থানের চেষ্টা করেছিলেন। গ্রেপ্তারের বিষয়ে অভিযুক্ত এই রাষ্ট্রপ্রধান জানিয়েছেন, ‘রক্তপাত’ এড়াতে তিনি কথিত ‘অবৈধ তদন্তে’ সহযোগিতা করতে রাজি হয়েছেন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। ইউনের এই গ্রেপ্তার দক্ষিণ কোরিয়ার ইতিহাসে প্রথমবার কোনো ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্টকে গ্রেপ্তারের ঘটনা। এটি এশিয়ার অন্যতম গণকতান্ত্রিক দেশের জন্য আরেকটি নাটকীয় অধ্যায় হলেও দেশটিতে অতীতে সাবেক নেতাদের বিচার ও কারাবাসের উদাহরণ রয়েছে।
এর আগে, গত ৩ ডিসেম্বর সামরিক আইন জারির পরপরই দেশটির এমপিরা তাঁকে সাময়িকভাবে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়ার পক্ষে ভোট দেন। এরপর থেকে তিনি পাহাড়ি এলাকায় অবস্থিত বাসভবনে অবস্থান করছিলেন। এর আগেও একবার তাঁকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করা হলে তাঁর ব্যক্তিগত নিরাপত্তা বাহিনী তা ব্যর্থ করে দেয়।
স্থানীয় সময় আজ বুধবার ভোরে প্রায় ৩ হাজার পুলিশ সদস্য তাঁর বাসভবনের দিকে অগ্রসর হলে কোনো ধরনের সহিংসতা এড়াতে তিনি নিজেকে তদন্তের জন্য সমর্পণ করেন বলে জানিয়েছেন ইউন।
এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘আমি করাপশন ইনভেস্টিগেশন অফিস ফর হাই র্যাংকিং অফিশিয়াল বা সিআইওর (উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের দুর্নীতি তদন্ত দপ্তর) তদন্তে সাড়া দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যদিও এটি অবৈধ তদন্ত, তবু অপ্রত্যাশিত রক্তপাত এড়ানোর জন্য আমি স্বেচ্ছায় গ্রেপ্তার হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
পরে ইউনকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে একটি গাড়িবহর সিউলের অভিজাত এলাকা বেভারলি হিলস থেকে তদন্ত কর্মকর্তাদের দপ্তরে পৌঁছায়। তবে নিরাপত্তারক্ষীরা গাড়িটি দ্রুত ভবনের পেছনে নিয়ে গেলে ইউন সাংবাদিকদের এড়িয়ে গোপনে ভেতরে প্রবেশ করেন।
কর্তৃপক্ষের হাতে এখন ইউনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৪৮ ঘণ্টা সময় রয়েছে। এরপর তাঁকে ২০ দিন পর্যন্ত আটক রাখার অনুমতি চাইতে হবে বা মুক্তি দিতে হবে। ইউনের আইনজীবীরা বলছেন, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা অবৈধ, কারণ এটি ভুল বিচারিক অঞ্চলের আদালত থেকে ইস্যু করা হয়েছে এবং তদন্ত কমিটির আইনগত বৈধতা নেই। ইউনের বাসভবনে তল্লাশি চালানোর পরোয়ানায় তাঁকে ‘অভ্যুত্থানের নেতা’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়।
ইউনের সামরিক আইন ঘোষণায় দক্ষিণ কোরিয়ার জনগণ হতবাক হয়। এতে এশিয়ার চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতি হুমকির মুখে পড়ে এবং এই অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম প্রধান মিত্র হিসেবে পরিচিত দেশটিতে রাজনৈতিক অস্থিরতা শুরু হয়। পরে দেশটির পার্লামেন্টের এমপিরা ১৪ ডিসেম্বর তাঁর অভিশংসনের পক্ষে ভোট দেয়।
এদিকে, সাংবিধানিক আদালত এখন সিদ্ধান্ত নেবে, পার্লামেন্টের অভিশংসন বহাল থাকবে, নাকি তাঁকে ক্ষমতা ফিরিয়ে দেওয়া হবে। যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, তারা সিউল সরকারের সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাবে এবং সংবিধান অনুযায়ী দেশটির সরকার ও জনগণের কার্যক্রমের প্রতি সম্মান জানায়।
অন্যদিকে, ইউনকে গ্রেপ্তারের জন্য বুধবার ভোরে শুরু হওয়া অভিযান সরাসরি সম্প্রচার করা হয় দক্ষিণ কোরিয়ার সম্প্রচারমাধ্যমগুলোতে। ইউনের সমর্থকদের বাধা পেরিয়ে পুলিশ ইউনের বাসভবনের দিকে অগ্রসর হয় মই ও বেড়া ভাঙা ও কাটার অন্যান্য যন্ত্রপাতি নিয়ে।
বাসভবনের বাইরে সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটে। এ সময় সমর্থকেরা কম্বল জড়িয়ে বা পতাকা উড়িয়ে বিক্ষোভ করেন। কিছু সমর্থক ‘ভোট চুরি বন্ধ করো’ লেখা প্ল্যাকার্ড নিয়েও হাজির হন। ইউন দাবি করেছিলেন, ভোট জালিয়াতির কারণেই তিনি সামরিক আইন ঘোষণা করেন।
জনমত জরিপে দেখা গেছে, অধিকাংশ দক্ষিণ কোরীয় ইউনের সামরিক আইন ঘোষণার বিরোধিতা করলেও তাঁর দল পিপল পাওয়ার পার্টি (পিপিপি) সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে জনমতের দিক থেকে এগিয়ে যাচ্ছে। গত সোমবার প্রকাশিত রিয়েলমিটার জরিপে দেখা গেছে, দলটির বর্তমান সমর্থন ৪০ দশমিক ৮ শতাংশ।
মার্কিন আর্থিক নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠান সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি) বিশ্বের শীর্ষ ধনকুবের ইলন মাস্কের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। অভিযোগ করা হয়েছে, মাস্ক টুইটারের শেয়ার কেনার বিষয়ে সময়মতো তথ্য প্রকাশ করেননি এবং পরে ‘কৃত্রিমভাবে কম দামে’ শেয়ার কিনে অন্য শেয়ারহোল্ডারদের ক্ষতিগ্রস্ত
৩ ঘণ্টা আগেগাজায় যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি-বন্দী বিনিময় চুক্তি নিয়ে বেশ আশার আলো দেখা দিয়েছে। এই অবস্থায় ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম কান ও চ্যানেল-১৩ জানিয়েছে, গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহারের প্রস্তুতি শুরু করেছে ইসরায়েল। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দক্ষিণ কমান্ডের পরিস্থিতি মূল্যায়নের পর ইসরায়েলি দখলদার সামরিক
৪ ঘণ্টা আগে১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর ঢাকায় যৌথ বাহিনীর কাছে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর আত্মসমর্পণের নথিতে স্বাক্ষরের একটি ছবি ভারতীয়দের কাছে আলাদাভাবে গুরুত্বপূর্ণ। প্রায় অর্ধশতাব্দী ধরে ভারতীয়রা ‘সবচেয়ে বড় সামরিক বিজয়ের’ প্রতীক হিসেবে দেখিয়েছে এই ছবি। তবে গত বছরের ১৬ ডিসেম্বর ছবিটি সেনাপ্রধানের কার্যালয় থেকে সরিয়ে ন
১৫ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের সাবেক আওয়ামী লীগ সরকারের সঙ্গে টিউলিপ সিদ্দিক তাঁর পরিবারের সঙ্গে সম্পৃক্ততার ‘সম্ভাব্য ঝুঁকি’ সম্পর্কে সচেতন ছিলেন না, এটি ‘দুঃখজনক’। টিউলিপ সিদ্দিকের পদত্যাগ ইস্যুতে এক চিঠিতে এমন মন্তব্য করেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর নীতিবিষয়ক উপদেষ্টা লরি ম্যাগনাস। তিনিই টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে ওঠার
১৬ ঘণ্টা আগে