আমন্ত্রণ পেয়েও ব্রিকসে যোগ দিচ্ছে না আর্জেন্টিনা! 

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ : ২১ নভেম্বর ২০২৩, ১৩: ৫৫

চলতি বছরের আগস্টে অনুষ্ঠিত ব্রিকসের জোহানেসবার্গে সম্মেলনে আর্জেন্টিনাসহ ৬টি দেশকে জোটের সদস্য হতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। সে সময় আর্জেন্টিনাও সাদরে গ্রহণ করেছিল আমন্ত্রণ। সব ঠিকঠাক থাকলে আগামী বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ব্রিকসের সদস্য হওয়ার কথা লাতিন আমেরিকার দেশটির। কিন্তু সম্ভবত ব্রিকসে আর্জেন্টিনার যোগদানের বিষয়টি বাঁধ সাধতে চলেছে নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট হাভিয়ের মিলেইয়ের প্রশাসন।

রুশ সংবাদমাধ্যম আরটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মিলেইয়ের অন্যতম জ্যেষ্ঠ অর্থনীতি বিষয়ক উপদেষ্টা ডায়ানা মন্ডিনো গত সোমবার স্পুৎনিক ব্রাজিলকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন—আগামী ১ জানুয়ারিতে আর্জেন্টিনা ব্রিকসে যোগ দেবে এমন কোনো পরিকল্পনা আমাদের নেই। মন্ডিনোকে উদ্ধৃত করে একই কথা জানানো হয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে।

ব্রিকস গত আগস্টে আর্জেন্টিনা, মিসর, ইথিওপিয়া, ইরান, সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতকে জোটের নতুন সদস্য হিসেবে গ্রহণ করে। যা আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যকর হওয়ার কথা আগামী বছরের ১ জানুয়ারি থেকে। উল্লেখ্য, ব্রিকসের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য দেশগুলো হলো—ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকা।

ডায়ানা মন্ডিনো বলেন, ‘আমি বুঝি না, ব্রিকসে যোগ দেওয়া নিয়ে এত আগ্রহ কেন?’ এ সময় তিনি জানান, আর্জেন্টিনা কেন ব্রিকসে যোগ দেবে এবং দিলে কী কী সুবিধা আর্জেন্টিনা পাবে সেই বিষয়গুলো পরিষ্কার নয়। রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ডায়ানা মন্ডিনো হাভিয়ের মিলেইয়ের প্রশাসনে আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পদ অলংকৃত করতে পারেন। তিনি আরও জানান, সংস্থাটিতে আর্জেন্টিনা কেন যোগ দেবে সে বিষয়ক সুযোগ-সুবিধা বিবেচনা করবে আগে, তারপর সিদ্ধান্ত।

গত রোববার হাভিয়ের মিলেই আর্জেন্টিনার নয়া প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হন। তিনি তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সের্হিও মাসাকে ১২ শতাংশ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেন। মিলেই পান ৫৬ শতাংশ ভোট আর মাসা পান ৪৪ শতাংশ। নির্বাচনের আগেই মিলেই একাধিকবার ব্রিকসে যোগ দেওয়ার বিরোধিতা করেছেন। তবে তিনি চীন, ব্রাজিল, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক এগিয়ে নিতে কাজ করার বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেন।

গত আগস্টে নির্বাচনী প্রচারণার সময় মিলেই বলেছিলেন, ‘আমি কমিউনিস্টদের সঙ্গে কোনো ধরনের চুক্তিকে খুব একটা আগ্রহ বোধ করি না। কারণ তারা মুক্তবাজার, স্বাধীনতা, গণতন্ত্র ও ভূরাজনীতির মৌলিক নিয়মকানুনগুলোকেই শ্রদ্ধা করে না।’ পাশাপাশি তিনি সে সময় বলেছিলেন, তবে ব্রিকসভুক্ত দেশগুলোর সঙ্গে আর্জেন্টিনার বাণিজ্যিক সম্পর্কে তিনি কোনো ধরনে বিধিনিষেধ দেবেন না। এমনকি তিনি আর্জেন্টিনার অর্থনীতিতে আবারও ডলারের প্রাধান্য ফিরিয়ে আনার কথাও বলেছিলেন সে সময়।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত