অনলাইন ডেস্ক
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় সাত মাস ধরে চলা ইসরায়েলের বর্বর হামলার প্রতিবাদে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্বজুড়ে। গত এক সপ্তাহে মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ব্যাপক ধরপাকড় চলেছে। এর মধ্যে ২ হাজারের বেশি বিক্ষোভকারী আটক হয়েছেন। অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, কানাডা, ভারত ও লেবাননের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও মাঠে নেমেছেন। অবিলম্বে গাজায় ইসরায়েলের হামলা বন্ধ এবং স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাসহ নানা দাবি তুলে ধরা হচ্ছে এসব বিক্ষোভ থেকে।
গত ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় গাজায় সাড়ে ৩৪ হাজারের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। এই হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদে ১৮ এপ্রিল বিক্ষোভ শুরু করেন নিউইয়র্কের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ছড়িয়ে পড়া বিক্ষোভ দমনে কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে মার্কিন সরকার। এর মধ্যে ইউরোপ, এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন শুরু করেছেন শিক্ষার্থীরা।অস্ট্রেলিয়া
সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়, অস্ট্রেলিয়ার সাতটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে তাঁবু খাটিয়ে অবস্থান নিয়েছেন ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভকারীরা। ব্রিসবেনে কুইন্সল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয় (ইউকিউ) বিক্ষোভের গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। এই ক্যাম্পাসে ফিলিস্তিনপন্থীদের ১০০ মিটার দূরত্বে ইসরায়েল-সমর্থক বিক্ষোভকারীরাও অবস্থান নিয়েছেন।
সিডনি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ১০০ জনের মতো বিক্ষোভকারী রাতেও অবস্থান করছেন। গতকাল শুক্রবার সেখানে পাল্টা বিক্ষোভের আয়োজন করে ইহুদি গোষ্ঠীগুলো। এতে ক্যাম্পাসে উত্তেজনার সৃষ্টি হচ্ছে। যুদ্ধবিরোধী বিক্ষোভকে ‘বর্ণবাদী’ ও ‘ইহুদিবিদ্বেষী’ বলে মন্তব্য করেছেন অস্ট্রেলিয়ার বিরোধীদলীয় নেতা পিটার ডুটন।
যুক্তরাজ্য
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবি ও ভিডিওতে দেখা যায়, যুক্তরাজ্যের নিউক্যাসল বিশ্ববিদ্যালয়ে কয়েকটি ভবনের চত্বরে তাঁবু খাটিয়ে অবস্থান নিয়েছেন যুদ্ধবিরোধী বিক্ষোভকারীরা। একই অবস্থা লিডস, ব্রিস্টল ও ওয়ারউইকের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও।
লিডস বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশবিজ্ঞানের শিক্ষার্থী ইলা ওয়ার্ড এনবিসি নিউজকে বলেন, ‘কলাম্বিয়াসহ যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থান নিয়ে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করেছেন, তা দেখে আমরা অনুপ্রাণিত হয়েছি।’
লিডস বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫০ জনের মতো শিক্ষার্থী বুধবার তাঁবু টানিয়ে অবস্থান নেন বলে জানান ‘ইয়ু ডিমান্ড’ নামের শিক্ষার্থীদের একটি গ্রুপের সদস্য ইলা। তাঁরা ইসরায়েলের ওপর অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার দাবি তুলেছেন। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, ফিলিস্তিন আমাদের অনেককে জাগিয়ে তুলেছে।’ফ্রান্স
ফ্রান্সের খ্যাতনামা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর একটি প্যারিসের সায়েন্সেস পো বিশ্ববিদ্যালয়ে গাজায় গণহত্যা বন্ধ এবং ইসরায়েলি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে বর্জনের আহ্বানসংবলিত প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা।
প্যারিসের সরবন বিশ্ববিদ্যালয়েও গত মাসের শেষ দিকে যুদ্ধবিরোধী বিক্ষোভ শুরু হয়। ২৯ এপ্রিল সরবন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেয় পুলিশ। দুজনকে তাঁবু থেকে টেনে-হিঁচড়ে বের করতে দেখা যায়।
গতকাল শুক্রবার সায়েন্সেস পো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেয় দাঙ্গা পুলিশ। লুই নামের এই বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী সিএনএনকে বলেন, কলাম্বিয়া, হার্ভার্ড, ইয়েলসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিক্ষোভে অনুপ্রাণিত হয়ে তাঁরা এই বিক্ষোভ করছেন।
ভারত
কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিক্ষোভকারীদের প্রতি সংহতি জানিয়ে বিক্ষোভ করেছেন ভারতের খ্যাতনামা নয়াদিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের (জেএনইউ) শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের কারণে ভারতে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত এরিক গারসেটির বিশ্ববিদ্যালয়টির পরিদর্শন কর্মসূচি স্থগিত করা হয়।
জেএনইউ ছাত্র সংসদ এক বিবৃতিতে বলেছে, ইসরায়েলের সন্ত্রাস ও গণহত্যার সঙ্গে যুক্ত প্রশাসন ও দেশের প্রতিনিধিত্বকারী ব্যক্তিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।
লেবানন
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়, এপ্রিলের শেষের দিকে লেবাননে শত শত শিক্ষার্থী ফিলিস্তিনের পতাকা নিয়ে বিক্ষোভ করেন। ইসরায়েলে ব্যবসা করে এমন কোম্পানি বয়কট করতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রতি দাবি জানান তাঁরা।
রাজধানী বৈরুতের আমেরিকান বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ফটকের বাইরে গাজা যুদ্ধের প্রতিবাদ করতে দেখা যায়। গত ৩০ এপ্রিল বিশ্বব্যাপী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটের বাইরে শিক্ষার্থী-জনতা সংহতি সমাবেশ করে। মার্কিন ক্যাম্পাসে বিক্ষোভের অনুপ্রাণিত হন বলে বিক্ষোভকারীরা জানান।
১৯ বছর বয়সী আলী আল-মুসলেম রয়টার্সকে বলেন, ‘আমরা পুরো বিশ্বকে দেখাতে চাই যে আমরা ফিলিস্তিনিদের যন্ত্রণা ভুলে যাইনি এবং সচেতন ও সংস্কৃতিবান তরুণ প্রজন্ম এখনও ফিলিস্তিনিদের দাবির সঙ্গে রয়েছে।’
মেক্সিকো
স্থানীয় গণমাধ্যম এল পাইসকে উদ্ধৃত করে টাইমের প্রতিবেদনে বলা হয়, মেক্সিকোর বৃহত্তম বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিভার্সিদাদ ন্যাসিওনাল অটোনোমা ডি মেক্সিকোতে তাঁবু খাটিয়ে বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থীরা। তাঁরা ‘গাজায় সাম্রাজ্যবাদী গণহত্যা’ বন্ধ করার দাবি জানান। গত বৃহস্পতিবার থেকে কমপক্ষে ৪০টি তাঁবু খাটানো হয়েছে। এসব বিক্ষোভে আরবের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ইহুদি শিক্ষার্থীরাও অংশ নিচ্ছে।
ইসরায়েলের সঙ্গে সমস্ত কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও মেক্সিকোর সরকারের প্রতি দাবি জানান তাঁরা। কলম্বিয়াসহ অন্যান্য লাতিন আমেরিকান দেশ এরই মধে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটির সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে।
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় সাত মাস ধরে চলা ইসরায়েলের বর্বর হামলার প্রতিবাদে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্বজুড়ে। গত এক সপ্তাহে মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ব্যাপক ধরপাকড় চলেছে। এর মধ্যে ২ হাজারের বেশি বিক্ষোভকারী আটক হয়েছেন। অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, কানাডা, ভারত ও লেবাননের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও মাঠে নেমেছেন। অবিলম্বে গাজায় ইসরায়েলের হামলা বন্ধ এবং স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাসহ নানা দাবি তুলে ধরা হচ্ছে এসব বিক্ষোভ থেকে।
গত ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় গাজায় সাড়ে ৩৪ হাজারের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। এই হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদে ১৮ এপ্রিল বিক্ষোভ শুরু করেন নিউইয়র্কের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ছড়িয়ে পড়া বিক্ষোভ দমনে কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে মার্কিন সরকার। এর মধ্যে ইউরোপ, এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন শুরু করেছেন শিক্ষার্থীরা।অস্ট্রেলিয়া
সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়, অস্ট্রেলিয়ার সাতটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে তাঁবু খাটিয়ে অবস্থান নিয়েছেন ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভকারীরা। ব্রিসবেনে কুইন্সল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয় (ইউকিউ) বিক্ষোভের গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। এই ক্যাম্পাসে ফিলিস্তিনপন্থীদের ১০০ মিটার দূরত্বে ইসরায়েল-সমর্থক বিক্ষোভকারীরাও অবস্থান নিয়েছেন।
সিডনি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ১০০ জনের মতো বিক্ষোভকারী রাতেও অবস্থান করছেন। গতকাল শুক্রবার সেখানে পাল্টা বিক্ষোভের আয়োজন করে ইহুদি গোষ্ঠীগুলো। এতে ক্যাম্পাসে উত্তেজনার সৃষ্টি হচ্ছে। যুদ্ধবিরোধী বিক্ষোভকে ‘বর্ণবাদী’ ও ‘ইহুদিবিদ্বেষী’ বলে মন্তব্য করেছেন অস্ট্রেলিয়ার বিরোধীদলীয় নেতা পিটার ডুটন।
যুক্তরাজ্য
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবি ও ভিডিওতে দেখা যায়, যুক্তরাজ্যের নিউক্যাসল বিশ্ববিদ্যালয়ে কয়েকটি ভবনের চত্বরে তাঁবু খাটিয়ে অবস্থান নিয়েছেন যুদ্ধবিরোধী বিক্ষোভকারীরা। একই অবস্থা লিডস, ব্রিস্টল ও ওয়ারউইকের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও।
লিডস বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশবিজ্ঞানের শিক্ষার্থী ইলা ওয়ার্ড এনবিসি নিউজকে বলেন, ‘কলাম্বিয়াসহ যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থান নিয়ে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করেছেন, তা দেখে আমরা অনুপ্রাণিত হয়েছি।’
লিডস বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫০ জনের মতো শিক্ষার্থী বুধবার তাঁবু টানিয়ে অবস্থান নেন বলে জানান ‘ইয়ু ডিমান্ড’ নামের শিক্ষার্থীদের একটি গ্রুপের সদস্য ইলা। তাঁরা ইসরায়েলের ওপর অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার দাবি তুলেছেন। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, ফিলিস্তিন আমাদের অনেককে জাগিয়ে তুলেছে।’ফ্রান্স
ফ্রান্সের খ্যাতনামা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর একটি প্যারিসের সায়েন্সেস পো বিশ্ববিদ্যালয়ে গাজায় গণহত্যা বন্ধ এবং ইসরায়েলি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে বর্জনের আহ্বানসংবলিত প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা।
প্যারিসের সরবন বিশ্ববিদ্যালয়েও গত মাসের শেষ দিকে যুদ্ধবিরোধী বিক্ষোভ শুরু হয়। ২৯ এপ্রিল সরবন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেয় পুলিশ। দুজনকে তাঁবু থেকে টেনে-হিঁচড়ে বের করতে দেখা যায়।
গতকাল শুক্রবার সায়েন্সেস পো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেয় দাঙ্গা পুলিশ। লুই নামের এই বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী সিএনএনকে বলেন, কলাম্বিয়া, হার্ভার্ড, ইয়েলসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিক্ষোভে অনুপ্রাণিত হয়ে তাঁরা এই বিক্ষোভ করছেন।
ভারত
কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিক্ষোভকারীদের প্রতি সংহতি জানিয়ে বিক্ষোভ করেছেন ভারতের খ্যাতনামা নয়াদিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের (জেএনইউ) শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের কারণে ভারতে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত এরিক গারসেটির বিশ্ববিদ্যালয়টির পরিদর্শন কর্মসূচি স্থগিত করা হয়।
জেএনইউ ছাত্র সংসদ এক বিবৃতিতে বলেছে, ইসরায়েলের সন্ত্রাস ও গণহত্যার সঙ্গে যুক্ত প্রশাসন ও দেশের প্রতিনিধিত্বকারী ব্যক্তিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।
লেবানন
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়, এপ্রিলের শেষের দিকে লেবাননে শত শত শিক্ষার্থী ফিলিস্তিনের পতাকা নিয়ে বিক্ষোভ করেন। ইসরায়েলে ব্যবসা করে এমন কোম্পানি বয়কট করতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রতি দাবি জানান তাঁরা।
রাজধানী বৈরুতের আমেরিকান বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ফটকের বাইরে গাজা যুদ্ধের প্রতিবাদ করতে দেখা যায়। গত ৩০ এপ্রিল বিশ্বব্যাপী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটের বাইরে শিক্ষার্থী-জনতা সংহতি সমাবেশ করে। মার্কিন ক্যাম্পাসে বিক্ষোভের অনুপ্রাণিত হন বলে বিক্ষোভকারীরা জানান।
১৯ বছর বয়সী আলী আল-মুসলেম রয়টার্সকে বলেন, ‘আমরা পুরো বিশ্বকে দেখাতে চাই যে আমরা ফিলিস্তিনিদের যন্ত্রণা ভুলে যাইনি এবং সচেতন ও সংস্কৃতিবান তরুণ প্রজন্ম এখনও ফিলিস্তিনিদের দাবির সঙ্গে রয়েছে।’
মেক্সিকো
স্থানীয় গণমাধ্যম এল পাইসকে উদ্ধৃত করে টাইমের প্রতিবেদনে বলা হয়, মেক্সিকোর বৃহত্তম বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিভার্সিদাদ ন্যাসিওনাল অটোনোমা ডি মেক্সিকোতে তাঁবু খাটিয়ে বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থীরা। তাঁরা ‘গাজায় সাম্রাজ্যবাদী গণহত্যা’ বন্ধ করার দাবি জানান। গত বৃহস্পতিবার থেকে কমপক্ষে ৪০টি তাঁবু খাটানো হয়েছে। এসব বিক্ষোভে আরবের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ইহুদি শিক্ষার্থীরাও অংশ নিচ্ছে।
ইসরায়েলের সঙ্গে সমস্ত কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও মেক্সিকোর সরকারের প্রতি দাবি জানান তাঁরা। কলম্বিয়াসহ অন্যান্য লাতিন আমেরিকান দেশ এরই মধে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটির সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে।
গাজা যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তি চুক্তির শর্ত অনুযায়ী তিন জিম্মি ফেরত পাওয়ার পর ইসরায়েলের কারাগারগুলোতে বন্দী থাকা ৯০ জন ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। মুক্তি পাওয়া ফিলিস্তিনের মধ্যে ৬৯ জন নারী ও ২১ জন কিশোর বয়সী ছেলে। তাঁরা পশ্চিম তীর ও জেরুসালেমের বাসিন্দা। ইসরায়েলের প্রিজন সার্ভিস...
১৪ মিনিট আগেভারত ব্রিটিশ শাসনের সরাসরি অধীনে আসে ১৭৫৭ সালে। এরপর ১৭৬৫ থেকে ১৯০০ সাল পর্যন্ত ঔপনিবেশিক সময়ে ব্রিটেন ভারত থেকে ৬৪ দশমিক ৮২ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থমূল্য সম্পদ শোষণ করেছে। আর এই সম্পদের মধ্যে ৩৩ দশমিক ৮ ট্রিলিয়ন ডলার ভোগ-দখল করেছেন ব্রিটেনের শীর্ষ ১০ শতাংশ ধনী জনগণ। এই অর্থের পরিমাণ এত বেশি যে ৫০
১৭ মিনিট আগেফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার খান ইউনিস এলাকার একটি ছোট অ্যাপার্টমেন্ট। যত দূর চোখ যায়, চারদিকে শুধু ধ্বংসস্তূপের ছড়াছড়ি। এর মধ্যেই বহুল প্রত্যাশিত যুদ্ধবিরতির জন্য অপেক্ষার প্রহর গুনছেন আবির আল-আওয়াদি নামের এক নারী। কেননা, টানা ১৫
১ ঘণ্টা আগেমার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পতন ও তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ ঠেকানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। গতকাল রোববার অর্থাৎ প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ গ্রহণের মাত্র একদিন আগে তাঁর ‘মেক আমেরিকা গ্রেট অ্যাগেইন’ সমর্থকদের এক মিছিলে তিনি এই প্রতিশ্রুতি দেন। এ সময় তিনি মধ্যপ্রাচ্য সংকট নিরসন, ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ...
২ ঘণ্টা আগে