
এই যে দিন-রাত হয়, আর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে হয় তাপমাত্রার তারতম্য, কিংবা একেক মৌসুমে একেক তাপমাত্রা বা বিভিন্ন উচ্চতায় বিভিন্ন তাপ-চাপের মুখোমুখি হয়েও টিকে আছে মানুষ, এর মূল সূত্রটি কোথায়? তাপমাত্রা, চাপ বা অন্য কোনো শক্তির উপস্থিতিতে মানুষের স্নায়ুতন্ত্র কীভাবে সাড়া দেয়, যা মানুষকে বিভিন্ন বিচিত্র পরিবেশে টিকে থাকতে সহায়তা করে। এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজে বের করেছেন মার্কিন দুই বিজ্ঞানী ডেভিড জুলিয়াস ও আহডেম পাটাপোশিয়ান। আর এতেই এবার চিকিৎসায় নোবেল পুরস্কার অর্জন করেছেন তাঁরা।
নোবেল কমিটি আজ সোমবার চিকিৎসায় নোবেল পুরস্কার ঘোষণা করে। এ সম্পর্কিত বিজ্ঞপ্তিতে নোবেল কমিটি জানায়, ক্যারোলিনস্কা ইনস্টিটিউটে অনুষ্ঠিত নোবেল কমিটির বৈঠকে আজ মার্কিন বিজ্ঞানী ডেভিড জুলিয়াস ও আহডেম পাটাপোশিয়ানকে নোবেল পুরস্কারে ভূষিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। চিকিৎসাবিজ্ঞানে তাঁদের গবেষণা দারুণভাবে এগিয়ে দিয়েছে আমাদের। মানুষের শরীরে কোন স্নায়ু তাপমাত্রা ও স্পর্শের অনুভূতি গ্রহণে কাজ করে, তা তাঁরা আবিষ্কার করেছেন।
মানুষের বেঁচে থাকার জন্য ঠান্ডা-গরমের অনুভূতি যেমন, তেমনি স্পর্শের অনুভূতি যথাযথ হওয়াটা ভীষণভাবে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এই অনুভূতির ওপরই নির্ভর করে পৃথিবীর সঙ্গে মানুষ কীভাবে আচরণ করবে। প্রতিদিনের জীবনযাপনে এই অনুভূতিগুলোকে আলাদাভাবে চেনার তেমন সুযোগ থাকে না। কারণ, এগুলো এতই স্বাভাবিক বিষয় হয়ে উঠেছে যে, এর উপস্থিতি আলাদাভাবে বোঝার আর উপায় থাকে না। কিন্তু এই অনুভূতি মানুষের স্নায়ু কীভাবে শনাক্ত করে? এই প্রশ্নের উত্তর দিয়েই এবার নোবেল পুরস্কার জিতে নিয়েছেন এই দুই বিজ্ঞানী।
ডেভিড জুলিয়াস মরিচের তীব্র গন্ধযুক্ত ক্যাপাসাইসিন পদার্থের মাধ্যমে সেই স্নায়ুকে খুঁজে বের করেন, যা ঝাল বা জ্বলুনির অনুভূতি জাগায়। এর মাধ্যমে তিনি তাপীয় পরিবর্তনের কারণে শরীরে সৃষ্ট সংবেদনের সঙ্গে জড়িত স্নায়ুকে শনাক্ত করেন। আর আহডেম পাটাপোশিয়ান চাপ সংবেদনশীল কোষের মাধ্যমে ত্বকের সেই সংবেদনশীল স্নায়ুকে খুঁজে বের করেন, যা যেকোনো চাপ বা যান্ত্রিক উদ্দীপনায় সাড়া দেয়। এই স্নায়ু এত দিন অজ্ঞাত ছিল। এই দুই আবিষ্কার যান্ত্রিক উদ্দীপনা, চাপ, তাপ ইত্যাদির পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট সংবেদ শনাক্তের সঙ্গে জড়িত স্নায়বিক ব্যবস্থা শনাক্ত করতে সহায়তা করে। এই দুই বিজ্ঞানী পরিবেশ ও মানুষের অনুভূতির মধ্যে বিদ্যমান সেই নিখোঁজ আন্তসংযোগকে খুঁজে করেছেন, যা শনাক্তের জন্য বিস্তর গবেষণা করেছেন বিজ্ঞানীরা।
মানুষের পৃথিবীর অন্যতম রহস্যজনক বিষয় ছিল পরিবেশকে অনুধাবনের প্রক্রিয়া। মানুষ কীভাবে তার চারপাশের পরিবেশকে অনুধাবন করে, তা এত দিন অজ্ঞাত ছিল। নোবেল কমিটির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই সংবেদ প্রক্রিয়াটি নিয়ে মানুষের আগ্রহ ছিল দীর্ঘদিন। হাজার বছর আগে থেকেই মানুষ এটি বুঝতে চেষ্টা করেছে। চোখ কীভাবে আলোর দেখা পায়, শব্দ কীভাবে মানুষের কর্ণকুহরে প্রবেশ করে, কীভাবে নাক এত এত গন্ধ শনাক্ত করে, আর মুখ এত স্বাদ কোথা থেকে পায়—এই সবই রহস্য হয়ে ছিল। একে একে এই সব রহস্যের সমাধান করেছে মানুষ। কিন্তু গ্রীষ্মের দুপুরে খালি পায়ে পথে হাঁটার সময় তাপ কীভাবে অনুভূত হয়, বা গরম হাওয়া কীভাবে নাড়া দিয়ে যায় আমাদের, কিংবা খসখসে ঘাস কীভাবে পায়ের তলাকে বুঝিয়ে দিয়ে যায় তার খরতা, এর উত্তর এত দিন মিলছিল না। কিন্তু চারপাশের পরিবেশের সঙ্গে মানুষের মানিয়ে নেওয়ার বিষয়টি এই প্রশ্নগুলোর উত্তরের সঙ্গে সরাসরি জড়িত।
সতেরো শতকে দার্শনিক রেনে দেকার্ত ধারণা করেছিলেন, শরীরের বিভিন্ন অংশের ত্বকের সঙ্গে মস্তিষ্কের সংযোগ রয়েছে। যেমন, পা যদি কোনো উত্তপ্ত স্থান স্পর্শ করে, তবে সেখান থেকে মস্তিষ্কে এই উত্তাপ সম্পর্কে বার্তা যাবে। পরে সংবেদনশীল নিউরনের অস্তিত্ব আবিষ্কৃত হয়, যা পরিবেশে হওয়া বিভিন্ন পরিবর্তন শনাক্ত করতে পারে। ১৯৪৪ সালে জোসেফ আরলেঙ্গার ও হার্বার্ট গ্যাসার এমন সংবেদনশীল স্নায়ুর অস্তিত্ব আবিষ্কার করে নোবেল পুরস্কার পান। সেই সময় থেকে এই স্নায়ু কোষগুলোকেই এ ধরনের অনুভূতি শনাক্তের জন্য বিশেষায়িত বলে মনে করা হতো। কিন্তু তারপরও তাপমাত্রাসহ বিভিন্ন বিষয়ে সংবেদ তৈরির প্রক্রিয়াটি অজ্ঞাত থেকে গিয়েছিল। এই বিষয়টিই আবিষ্কার করে এবার নোবেল জয় করলেন ডেভিড জুলিয়াস ও আহডেম পাটাপোশিয়ান।
ডেভিড জুলিয়াস ১৯৯০-এর দশকে মরিচে থাকা রাসায়নিক উপাদান ক্যাপসাইসিনের কারণে স্নায়ুকোষে সৃষ্ট সংবেদন নিয়ে গবেষণা শুরু করেন। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, সান ফ্রান্সেসকোয় তিনি ও তাঁর সহকর্মীরা উত্তাপ, যন্ত্রণা বা স্পর্শের অনুভূতির সঙ্গে যুক্ত জিনগুলো নিয়ে কাজ শুরু করেন। তাঁরা এ সম্পর্কিত একটি ডিএনএ লাইব্রেরি নিয়ে করেন। আর এর মধ্য থেকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করেন সেই প্রোটিন অণু, যা ক্যাপসাইসিনের কারণে সৃষ্ট সংবেদ শনাক্তের সঙ্গে যুক্ত। এভাবে ভয়াবহ পরিশ্রমের মাধ্যমে তাঁরা সেই জিনকে খুঁজে বের করতে সমর্থ হন, যা ক্যাপসাইসিনের সংবেদ গ্রহণের কাজটি করে। আর এরপর তাঁরা খুঁজে বের করেন সেই বিশেষ প্রোটিন, যা এই ক্যাপসাইসিনের কারণে সৃষ্ট সংবেদে সাড়া দেওয়ার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত। তাঁরা এর নাম দেন টিআরপিভি-১। এ তো গেল উত্তাপের সংবেদের বিষয়টি। এবার ডেভিড জুলিয়াস ও আহডেম পাটাপোশিয়ান মিলে আবিষ্কার করেন টিআরপিএম-৮ নামের গ্রাহক অণুটি।
তাপমাত্রার পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট সংবেদের বিষয়টি তো গেল। কিন্তু চাপের মতো যান্ত্রিক নানা শক্তির কারণে সৃষ্ট সংবেদের ক্ষেত্রে কী ঘটে? ক্যালিফোর্নিয়ার লা জোলায় স্ক্রিপস রিসার্চে কাজ করার সময় বিষয়টি নিয়ে গবেষণা শুরু করেন আহডেম পাটাপোশিয়ান। লেবাননে জন্ম নেওয়া এই বিজ্ঞানী ও তাঁর সহকর্মীরা প্রথম ছোট পিপেট দিয়ে খোঁচা দিলে শরীরে কী ধরনের বৈদ্যুতিক সংকেত তৈরি হয়, তা খুঁজে বের করেন। এই সংকেত সৃষ্টি ও তা পাঠানোর সঙ্গে জড়িত সব জিনকে নিষ্ক্রিয় করার মাধ্যমে তাঁরা সেই অণুকে খুঁজে বের করতে চেষ্টা করেন, যা এ ধরনের বাইরের চাপের কারণে সৃষ্ট সংবেদের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত। বহু চেষ্টার পর অবশেষে সেই জিনের দেখা পান তাঁরা। সম্পূর্ণ নতুন ধরনের এক আয়ন চ্যানেল তাঁরা খুঁজে বের করেন, যার নাম তাঁরা দেন পিজো-১। গ্রিক এই শব্দের অর্থ চাপ। একই কাজের সঙ্গে যুক্ত আরেকটি জিন পরে আবিষ্কৃত হয়, যার নাম দেওয়া হয় পিজো-২।
দীর্ঘদিনের রহস্য হয়ে থাকা এই দুই আবিষ্কার দুই বিজ্ঞানীকে নিয়ে আসে পাদপ্রদীপের আলোয়। এবার তাঁরা চিকিৎসাবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হলেন। নরওয়েজীয় নোবেল কমিটি জানিয়েছে, শত বছর পুরোনো এই পুরস্কারের আর্থিক মূল্য ১ কোটি সুইডিশ ক্রোনা (১১ লাখ ৫০ হাজার ডলার)। এই দুই বিজ্ঞানীর মধ্যে এবার এই অর্থ সমভাবে ভাগ করে দেওয়া হবে।

এই যে দিন-রাত হয়, আর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে হয় তাপমাত্রার তারতম্য, কিংবা একেক মৌসুমে একেক তাপমাত্রা বা বিভিন্ন উচ্চতায় বিভিন্ন তাপ-চাপের মুখোমুখি হয়েও টিকে আছে মানুষ, এর মূল সূত্রটি কোথায়? তাপমাত্রা, চাপ বা অন্য কোনো শক্তির উপস্থিতিতে মানুষের স্নায়ুতন্ত্র কীভাবে সাড়া দেয়, যা মানুষকে বিভিন্ন বিচিত্র পরিবেশে টিকে থাকতে সহায়তা করে। এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজে বের করেছেন মার্কিন দুই বিজ্ঞানী ডেভিড জুলিয়াস ও আহডেম পাটাপোশিয়ান। আর এতেই এবার চিকিৎসায় নোবেল পুরস্কার অর্জন করেছেন তাঁরা।
নোবেল কমিটি আজ সোমবার চিকিৎসায় নোবেল পুরস্কার ঘোষণা করে। এ সম্পর্কিত বিজ্ঞপ্তিতে নোবেল কমিটি জানায়, ক্যারোলিনস্কা ইনস্টিটিউটে অনুষ্ঠিত নোবেল কমিটির বৈঠকে আজ মার্কিন বিজ্ঞানী ডেভিড জুলিয়াস ও আহডেম পাটাপোশিয়ানকে নোবেল পুরস্কারে ভূষিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। চিকিৎসাবিজ্ঞানে তাঁদের গবেষণা দারুণভাবে এগিয়ে দিয়েছে আমাদের। মানুষের শরীরে কোন স্নায়ু তাপমাত্রা ও স্পর্শের অনুভূতি গ্রহণে কাজ করে, তা তাঁরা আবিষ্কার করেছেন।
মানুষের বেঁচে থাকার জন্য ঠান্ডা-গরমের অনুভূতি যেমন, তেমনি স্পর্শের অনুভূতি যথাযথ হওয়াটা ভীষণভাবে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এই অনুভূতির ওপরই নির্ভর করে পৃথিবীর সঙ্গে মানুষ কীভাবে আচরণ করবে। প্রতিদিনের জীবনযাপনে এই অনুভূতিগুলোকে আলাদাভাবে চেনার তেমন সুযোগ থাকে না। কারণ, এগুলো এতই স্বাভাবিক বিষয় হয়ে উঠেছে যে, এর উপস্থিতি আলাদাভাবে বোঝার আর উপায় থাকে না। কিন্তু এই অনুভূতি মানুষের স্নায়ু কীভাবে শনাক্ত করে? এই প্রশ্নের উত্তর দিয়েই এবার নোবেল পুরস্কার জিতে নিয়েছেন এই দুই বিজ্ঞানী।
ডেভিড জুলিয়াস মরিচের তীব্র গন্ধযুক্ত ক্যাপাসাইসিন পদার্থের মাধ্যমে সেই স্নায়ুকে খুঁজে বের করেন, যা ঝাল বা জ্বলুনির অনুভূতি জাগায়। এর মাধ্যমে তিনি তাপীয় পরিবর্তনের কারণে শরীরে সৃষ্ট সংবেদনের সঙ্গে জড়িত স্নায়ুকে শনাক্ত করেন। আর আহডেম পাটাপোশিয়ান চাপ সংবেদনশীল কোষের মাধ্যমে ত্বকের সেই সংবেদনশীল স্নায়ুকে খুঁজে বের করেন, যা যেকোনো চাপ বা যান্ত্রিক উদ্দীপনায় সাড়া দেয়। এই স্নায়ু এত দিন অজ্ঞাত ছিল। এই দুই আবিষ্কার যান্ত্রিক উদ্দীপনা, চাপ, তাপ ইত্যাদির পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট সংবেদ শনাক্তের সঙ্গে জড়িত স্নায়বিক ব্যবস্থা শনাক্ত করতে সহায়তা করে। এই দুই বিজ্ঞানী পরিবেশ ও মানুষের অনুভূতির মধ্যে বিদ্যমান সেই নিখোঁজ আন্তসংযোগকে খুঁজে করেছেন, যা শনাক্তের জন্য বিস্তর গবেষণা করেছেন বিজ্ঞানীরা।
মানুষের পৃথিবীর অন্যতম রহস্যজনক বিষয় ছিল পরিবেশকে অনুধাবনের প্রক্রিয়া। মানুষ কীভাবে তার চারপাশের পরিবেশকে অনুধাবন করে, তা এত দিন অজ্ঞাত ছিল। নোবেল কমিটির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই সংবেদ প্রক্রিয়াটি নিয়ে মানুষের আগ্রহ ছিল দীর্ঘদিন। হাজার বছর আগে থেকেই মানুষ এটি বুঝতে চেষ্টা করেছে। চোখ কীভাবে আলোর দেখা পায়, শব্দ কীভাবে মানুষের কর্ণকুহরে প্রবেশ করে, কীভাবে নাক এত এত গন্ধ শনাক্ত করে, আর মুখ এত স্বাদ কোথা থেকে পায়—এই সবই রহস্য হয়ে ছিল। একে একে এই সব রহস্যের সমাধান করেছে মানুষ। কিন্তু গ্রীষ্মের দুপুরে খালি পায়ে পথে হাঁটার সময় তাপ কীভাবে অনুভূত হয়, বা গরম হাওয়া কীভাবে নাড়া দিয়ে যায় আমাদের, কিংবা খসখসে ঘাস কীভাবে পায়ের তলাকে বুঝিয়ে দিয়ে যায় তার খরতা, এর উত্তর এত দিন মিলছিল না। কিন্তু চারপাশের পরিবেশের সঙ্গে মানুষের মানিয়ে নেওয়ার বিষয়টি এই প্রশ্নগুলোর উত্তরের সঙ্গে সরাসরি জড়িত।
সতেরো শতকে দার্শনিক রেনে দেকার্ত ধারণা করেছিলেন, শরীরের বিভিন্ন অংশের ত্বকের সঙ্গে মস্তিষ্কের সংযোগ রয়েছে। যেমন, পা যদি কোনো উত্তপ্ত স্থান স্পর্শ করে, তবে সেখান থেকে মস্তিষ্কে এই উত্তাপ সম্পর্কে বার্তা যাবে। পরে সংবেদনশীল নিউরনের অস্তিত্ব আবিষ্কৃত হয়, যা পরিবেশে হওয়া বিভিন্ন পরিবর্তন শনাক্ত করতে পারে। ১৯৪৪ সালে জোসেফ আরলেঙ্গার ও হার্বার্ট গ্যাসার এমন সংবেদনশীল স্নায়ুর অস্তিত্ব আবিষ্কার করে নোবেল পুরস্কার পান। সেই সময় থেকে এই স্নায়ু কোষগুলোকেই এ ধরনের অনুভূতি শনাক্তের জন্য বিশেষায়িত বলে মনে করা হতো। কিন্তু তারপরও তাপমাত্রাসহ বিভিন্ন বিষয়ে সংবেদ তৈরির প্রক্রিয়াটি অজ্ঞাত থেকে গিয়েছিল। এই বিষয়টিই আবিষ্কার করে এবার নোবেল জয় করলেন ডেভিড জুলিয়াস ও আহডেম পাটাপোশিয়ান।
ডেভিড জুলিয়াস ১৯৯০-এর দশকে মরিচে থাকা রাসায়নিক উপাদান ক্যাপসাইসিনের কারণে স্নায়ুকোষে সৃষ্ট সংবেদন নিয়ে গবেষণা শুরু করেন। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, সান ফ্রান্সেসকোয় তিনি ও তাঁর সহকর্মীরা উত্তাপ, যন্ত্রণা বা স্পর্শের অনুভূতির সঙ্গে যুক্ত জিনগুলো নিয়ে কাজ শুরু করেন। তাঁরা এ সম্পর্কিত একটি ডিএনএ লাইব্রেরি নিয়ে করেন। আর এর মধ্য থেকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করেন সেই প্রোটিন অণু, যা ক্যাপসাইসিনের কারণে সৃষ্ট সংবেদ শনাক্তের সঙ্গে যুক্ত। এভাবে ভয়াবহ পরিশ্রমের মাধ্যমে তাঁরা সেই জিনকে খুঁজে বের করতে সমর্থ হন, যা ক্যাপসাইসিনের সংবেদ গ্রহণের কাজটি করে। আর এরপর তাঁরা খুঁজে বের করেন সেই বিশেষ প্রোটিন, যা এই ক্যাপসাইসিনের কারণে সৃষ্ট সংবেদে সাড়া দেওয়ার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত। তাঁরা এর নাম দেন টিআরপিভি-১। এ তো গেল উত্তাপের সংবেদের বিষয়টি। এবার ডেভিড জুলিয়াস ও আহডেম পাটাপোশিয়ান মিলে আবিষ্কার করেন টিআরপিএম-৮ নামের গ্রাহক অণুটি।
তাপমাত্রার পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট সংবেদের বিষয়টি তো গেল। কিন্তু চাপের মতো যান্ত্রিক নানা শক্তির কারণে সৃষ্ট সংবেদের ক্ষেত্রে কী ঘটে? ক্যালিফোর্নিয়ার লা জোলায় স্ক্রিপস রিসার্চে কাজ করার সময় বিষয়টি নিয়ে গবেষণা শুরু করেন আহডেম পাটাপোশিয়ান। লেবাননে জন্ম নেওয়া এই বিজ্ঞানী ও তাঁর সহকর্মীরা প্রথম ছোট পিপেট দিয়ে খোঁচা দিলে শরীরে কী ধরনের বৈদ্যুতিক সংকেত তৈরি হয়, তা খুঁজে বের করেন। এই সংকেত সৃষ্টি ও তা পাঠানোর সঙ্গে জড়িত সব জিনকে নিষ্ক্রিয় করার মাধ্যমে তাঁরা সেই অণুকে খুঁজে বের করতে চেষ্টা করেন, যা এ ধরনের বাইরের চাপের কারণে সৃষ্ট সংবেদের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত। বহু চেষ্টার পর অবশেষে সেই জিনের দেখা পান তাঁরা। সম্পূর্ণ নতুন ধরনের এক আয়ন চ্যানেল তাঁরা খুঁজে বের করেন, যার নাম তাঁরা দেন পিজো-১। গ্রিক এই শব্দের অর্থ চাপ। একই কাজের সঙ্গে যুক্ত আরেকটি জিন পরে আবিষ্কৃত হয়, যার নাম দেওয়া হয় পিজো-২।
দীর্ঘদিনের রহস্য হয়ে থাকা এই দুই আবিষ্কার দুই বিজ্ঞানীকে নিয়ে আসে পাদপ্রদীপের আলোয়। এবার তাঁরা চিকিৎসাবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হলেন। নরওয়েজীয় নোবেল কমিটি জানিয়েছে, শত বছর পুরোনো এই পুরস্কারের আর্থিক মূল্য ১ কোটি সুইডিশ ক্রোনা (১১ লাখ ৫০ হাজার ডলার)। এই দুই বিজ্ঞানীর মধ্যে এবার এই অর্থ সমভাবে ভাগ করে দেওয়া হবে।

কম্বোডিয়ার সীমান্তবর্তী শহর পোইপেতের কাছে একটি রসদ কেন্দ্র লক্ষ্য করে বোমা হামলা চালিয়েছে থাইল্যান্ড। পোইপেত শহরটি থাই-কম্বোডিয়া সীমান্তের সবচেয়ে বড় স্থলবন্দর এবং ক্যাসিনোর জন্য বিশেষভাবে পরিচিত। সাম্প্রতিক সীমান্ত সংঘর্ষ থামার কোনো লক্ষণ না দেখানোর মধ্যেই এই হামলার ঘটনা ঘটল।
১০ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি ১৯৭১ সালের স্বাধীনতাযুদ্ধের পর ভারতের জন্য ‘সবচেয়ে বড় কৌশলগত চ্যালেঞ্জ’ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কংগ্রেস নেতা শশী থারুরের নেতৃত্বে ভারতের একটি সংসদীয় কমিটি সরকারকে দেওয়া এক প্রতিবেদনে এই সতর্কবার্তা দিয়েছে। কমিটি জানিয়েছে, বাংলাদেশে পরিস্থিতি হয়তো ‘বিশৃঙ্খলা...
১১ ঘণ্টা আগে
২০২৫ সালে উত্তর কোরিয়ার হ্যাকাররা রেকর্ড পরিমাণ ক্রিপ্টোকারেন্সি চুরি করেছে। ব্লকচেইন তথ্য বিশ্লেষণ প্ল্যাটফর্ম ‘চেইনঅ্যানালিসিস’-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে—চলতি বছরে দেশটি অন্তত ২ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার মূল্যের ডিজিটাল সম্পদ হাতিয়ে নিয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় ৫১ শতাংশ বেশি।
১২ ঘণ্টা আগে
অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই বিচে ইহুদি উৎসবকে লক্ষ্য করে ভয়াবহ বন্দুক হামলার পর দেশটিতে ঘৃণামূলক বক্তব্য ও উগ্রবাদ দমনে কঠোর আইন প্রণয়নের ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজ। গত ১৪ ডিসেম্বর ইহুদি ধর্মাবলম্বীদের হানুক্কাহ উৎসবের প্রথম দিন উপলক্ষে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে দুই বন্দুকধারীর গুলিতে
১৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

কম্বোডিয়ার সীমান্তবর্তী শহর পোইপেতের কাছে একটি রসদ কেন্দ্র লক্ষ্য করে বোমা হামলা চালিয়েছে থাইল্যান্ড। পোইপেত শহরটি থাই-কম্বোডিয়া সীমান্তের সবচেয়ে বড় স্থলবন্দর এবং ক্যাসিনোর জন্য বিশেষভাবে পরিচিত। সাম্প্রতিক সীমান্ত সংঘর্ষ থামার কোনো লক্ষণ না দেখানোর মধ্যেই এই হামলার ঘটনা ঘটল।
কম্বোডিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) স্থানীয় সময় সকাল ১১টার দিকে পোইপেত পৌর এলাকায় থাই বাহিনী দুটি বোমা ফেলেছে। অন্যদিকে থাইল্যান্ডের বিমানবাহিনীর মুখপাত্র এয়ার মার্শাল জ্যাকক্রিট থাম্মাভিচাই জানিয়েছেন, পোইপেতের বাইরে অবস্থিত একটি স্থাপনায় হামলা চালানো হয়েছে, যেখানে বিএম-২১ রকেট মজুত করা হচ্ছিল। তাঁর দাবি, এই অভিযানে কোনো বেসামরিক নাগরিক ক্ষতিগ্রস্ত হননি।
বিবিসি জানিয়েছে, বিএম-২১ রকেট সাধারণত সাঁজোয়া যান থেকে একযোগে একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপে ব্যবহৃত হয়। পোইপেত শহরে এই ধরনের হামলার ঘটনা চলমান সংঘাতে প্রথম বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই শহরটি থাই জুয়াড়িদের কাছে জনপ্রিয় ক্যাসিনো কেন্দ্র হিসেবেও পরিচিত।
চলতি মাসে নতুন করে শুরু হওয়া সংঘর্ষে থাইল্যান্ডে অন্তত ২১ জন এবং কম্বোডিয়ায় ১৭ জন নিহত হয়েছেন বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। পাশাপাশি প্রায় ৮ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। গত মঙ্গলবার থাইল্যান্ড জানিয়েছিল, কম্বোডিয়া সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়ায় পাঁচ থেকে ছয় হাজার থাই নাগরিক পোইপেতে আটকা পড়েছেন। কম্বোডিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সীমান্ত বন্ধকে বেসামরিক নাগরিকদের নিরাপত্তার জন্য ‘প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ’ বলে উল্লেখ করেছে এবং জানিয়েছে, দেশ ছাড়ার জন্য আকাশপথ খোলা রয়েছে।
থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার শত বছরের পুরোনো সীমান্ত বিরোধ গত ২৪ জুলাই ভয়াবহ আকার ধারণ করে, যখন কম্বোডিয়া থাইল্যান্ডে রকেট হামলা চালায় এবং পাল্টা জবাবে থাইল্যান্ড বিমান হামলা শুরু করে। পাঁচ দিনব্যাপী তীব্র লড়াইয়ের পর মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেওয়া হলেও সেটি গত সপ্তাহে আবার ভেস্তে যায়। সর্বশেষ দফায় উভয় পক্ষই একে অপরকে সংঘর্ষ পুনরায় শুরুর জন্য দায়ী করছে।

কম্বোডিয়ার সীমান্তবর্তী শহর পোইপেতের কাছে একটি রসদ কেন্দ্র লক্ষ্য করে বোমা হামলা চালিয়েছে থাইল্যান্ড। পোইপেত শহরটি থাই-কম্বোডিয়া সীমান্তের সবচেয়ে বড় স্থলবন্দর এবং ক্যাসিনোর জন্য বিশেষভাবে পরিচিত। সাম্প্রতিক সীমান্ত সংঘর্ষ থামার কোনো লক্ষণ না দেখানোর মধ্যেই এই হামলার ঘটনা ঘটল।
কম্বোডিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) স্থানীয় সময় সকাল ১১টার দিকে পোইপেত পৌর এলাকায় থাই বাহিনী দুটি বোমা ফেলেছে। অন্যদিকে থাইল্যান্ডের বিমানবাহিনীর মুখপাত্র এয়ার মার্শাল জ্যাকক্রিট থাম্মাভিচাই জানিয়েছেন, পোইপেতের বাইরে অবস্থিত একটি স্থাপনায় হামলা চালানো হয়েছে, যেখানে বিএম-২১ রকেট মজুত করা হচ্ছিল। তাঁর দাবি, এই অভিযানে কোনো বেসামরিক নাগরিক ক্ষতিগ্রস্ত হননি।
বিবিসি জানিয়েছে, বিএম-২১ রকেট সাধারণত সাঁজোয়া যান থেকে একযোগে একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপে ব্যবহৃত হয়। পোইপেত শহরে এই ধরনের হামলার ঘটনা চলমান সংঘাতে প্রথম বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই শহরটি থাই জুয়াড়িদের কাছে জনপ্রিয় ক্যাসিনো কেন্দ্র হিসেবেও পরিচিত।
চলতি মাসে নতুন করে শুরু হওয়া সংঘর্ষে থাইল্যান্ডে অন্তত ২১ জন এবং কম্বোডিয়ায় ১৭ জন নিহত হয়েছেন বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। পাশাপাশি প্রায় ৮ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। গত মঙ্গলবার থাইল্যান্ড জানিয়েছিল, কম্বোডিয়া সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়ায় পাঁচ থেকে ছয় হাজার থাই নাগরিক পোইপেতে আটকা পড়েছেন। কম্বোডিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সীমান্ত বন্ধকে বেসামরিক নাগরিকদের নিরাপত্তার জন্য ‘প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ’ বলে উল্লেখ করেছে এবং জানিয়েছে, দেশ ছাড়ার জন্য আকাশপথ খোলা রয়েছে।
থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার শত বছরের পুরোনো সীমান্ত বিরোধ গত ২৪ জুলাই ভয়াবহ আকার ধারণ করে, যখন কম্বোডিয়া থাইল্যান্ডে রকেট হামলা চালায় এবং পাল্টা জবাবে থাইল্যান্ড বিমান হামলা শুরু করে। পাঁচ দিনব্যাপী তীব্র লড়াইয়ের পর মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেওয়া হলেও সেটি গত সপ্তাহে আবার ভেস্তে যায়। সর্বশেষ দফায় উভয় পক্ষই একে অপরকে সংঘর্ষ পুনরায় শুরুর জন্য দায়ী করছে।

এই যে দিন-রাত হয়, আর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে হয় তাপমাত্রার তারতম্য, কিংবা একেক মৌসুমে একেক তাপমাত্রা বা বিভিন্ন উচ্চতায় বিভিন্ন তাপ-চাপের মুখোমুখি হয়েও টিকে আছে মানুষ, এর মূল সূত্রটি কোথায়
০৪ অক্টোবর ২০২১
বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি ১৯৭১ সালের স্বাধীনতাযুদ্ধের পর ভারতের জন্য ‘সবচেয়ে বড় কৌশলগত চ্যালেঞ্জ’ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কংগ্রেস নেতা শশী থারুরের নেতৃত্বে ভারতের একটি সংসদীয় কমিটি সরকারকে দেওয়া এক প্রতিবেদনে এই সতর্কবার্তা দিয়েছে। কমিটি জানিয়েছে, বাংলাদেশে পরিস্থিতি হয়তো ‘বিশৃঙ্খলা...
১১ ঘণ্টা আগে
২০২৫ সালে উত্তর কোরিয়ার হ্যাকাররা রেকর্ড পরিমাণ ক্রিপ্টোকারেন্সি চুরি করেছে। ব্লকচেইন তথ্য বিশ্লেষণ প্ল্যাটফর্ম ‘চেইনঅ্যানালিসিস’-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে—চলতি বছরে দেশটি অন্তত ২ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার মূল্যের ডিজিটাল সম্পদ হাতিয়ে নিয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় ৫১ শতাংশ বেশি।
১২ ঘণ্টা আগে
অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই বিচে ইহুদি উৎসবকে লক্ষ্য করে ভয়াবহ বন্দুক হামলার পর দেশটিতে ঘৃণামূলক বক্তব্য ও উগ্রবাদ দমনে কঠোর আইন প্রণয়নের ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজ। গত ১৪ ডিসেম্বর ইহুদি ধর্মাবলম্বীদের হানুক্কাহ উৎসবের প্রথম দিন উপলক্ষে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে দুই বন্দুকধারীর গুলিতে
১৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি ১৯৭১ সালের স্বাধীনতাযুদ্ধের পর ভারতের জন্য ‘সবচেয়ে বড় কৌশলগত চ্যালেঞ্জ’ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কংগ্রেস নেতা শশী থারুরের নেতৃত্বে ভারতের একটি সংসদীয় কমিটি আজ বৃহস্পতিবার সরকারকে দেওয়া এক প্রতিবেদনে এই সতর্কবার্তা দিয়েছে। কমিটি জানিয়েছে, বাংলাদেশে পরিস্থিতি হয়তো ‘বিশৃঙ্খলা বা অরাজকতায় পর্যবসিত হবে না’, তবে ভারতকে এটি মোকাবিলায় অত্যন্ত সতর্ক হতে হবে।
সংসদীয় কমিটি তাদের প্রতিবেদনে ১৯৭১ সালের সংকটের সঙ্গে বর্তমান পরিস্থিতির তুলনা করে বলেছে, ১৯৭১ সালে চ্যালেঞ্জ ছিল অস্তিত্ব রক্ষা, মানবিক সংকট ও একটি নতুন জাতির জন্ম নিয়ে। তবে বর্তমান চ্যালেঞ্জটি আরও গুরুতর এবং এটি একটি ‘প্রজন্মগত বিচ্ছিন্নতা’। রাজনৈতিক ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন এবং ভারতের দিক থেকে সরে যাওয়ার সম্ভাব্য কৌশলগত পুনর্বিন্যাস।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের সাম্প্রতিক অস্থিরতার পেছনে কয়েকটি কারণ একসঙ্গে কাজ করছে—ইসলামপন্থী চরমপন্থার উত্থান, চীন ও পাকিস্তানের প্রভাব বৃদ্ধি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক আধিপত্যের পতন।
কমিটি সরকারের কাছে একাধিক সুপারিশ জমা দিয়েছে এবং স্পষ্টভাবে বলেছে, ভারত যদি এই মুহূর্তে নিজেকে নতুন করে মানিয়ে নিতে ব্যর্থ হয়, তবে যুদ্ধের কারণে নয়, বরং ‘অপ্রাসঙ্গিক’ হয়ে পড়ার কারণে ঢাকা থেকে কৌশলগত নিয়ন্ত্রণ হারানোর ঝুঁকিতে পড়বে।
কমিটি বাংলাদেশ-পাকিস্তান সম্পর্ক পুনর্গঠন ও চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। বিশেষ করে, অবকাঠামো উন্নয়ন, বন্দর সম্প্রসারণ ও প্রতিরক্ষা সহযোগিতায় চীনের সক্রিয়তার কথা তুলে ধরা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে মোংলা বন্দরের সম্প্রসারণ, লালমনিরহাট বিমানঘাঁটি ও পেকুয়ায় সাবমেরিন ঘাঁটির উদাহরণ দেওয়া হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, পেকুয়ার ওই ঘাঁটিতে আটটি সাবমেরিন রাখার সক্ষমতা রয়েছে, যদিও বাংলাদেশের কাছে বর্তমানে মাত্র দুটি সাবমেরিন আছে।
কমিটির মতে, চীন বাংলাদেশের সব রাজনৈতিক গোষ্ঠীর সঙ্গেই যোগাযোগ বাড়াচ্ছে, যার মধ্যে জামায়াতে ইসলামীও রয়েছে। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, এই ইসলামপন্থী দলটির প্রতিনিধিরা সম্প্রতি চীন সফরও করেছেন।
এই প্রেক্ষাপটে কমিটি সুপারিশ করেছে, বাংলাদেশে কোনো বিদেশি শক্তি যাতে সামরিক ঘাঁটি স্থাপন করতে না পারে, সে বিষয়ে কঠোর নজরদারি রাখতে হবে। পাশাপাশি উন্নয়ন, যোগাযোগব্যবস্থা ও বন্দর ব্যবহারের ক্ষেত্রে ঢাকাকে প্রতিযোগিতামূলক সুবিধা দেওয়ার উদ্যোগ নিতে হবে, যা অন্য কোনো দেশ (যেমন চীন) দিতে পারবে না।
বাংলাদেশে ইসলামপন্থী দলগুলোর প্রভাব বাড়ার বিষয়েও উদ্বেগ জানিয়েছে কমিটি। আগে নিষিদ্ধ থাকা জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন ফিরে পাওয়া এবং নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগ তৈরি হওয়াকে কমিটি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে।
অন্যদিকে, ঢাকার অন্তর্বর্তী সরকার আওয়ামী লীগের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে, যার ফলে দলটি নির্বাচনে অংশ নিতে পারছে না। কমিটি মনে করে, আওয়ামী লীগকে বাইরে রেখে নির্বাচন হলে এর ‘গ্রহণযোগ্যতা’ নিয়ে প্রশ্ন উঠবে।
তথ্যসূত্র: এনডিটিভি

বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি ১৯৭১ সালের স্বাধীনতাযুদ্ধের পর ভারতের জন্য ‘সবচেয়ে বড় কৌশলগত চ্যালেঞ্জ’ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কংগ্রেস নেতা শশী থারুরের নেতৃত্বে ভারতের একটি সংসদীয় কমিটি আজ বৃহস্পতিবার সরকারকে দেওয়া এক প্রতিবেদনে এই সতর্কবার্তা দিয়েছে। কমিটি জানিয়েছে, বাংলাদেশে পরিস্থিতি হয়তো ‘বিশৃঙ্খলা বা অরাজকতায় পর্যবসিত হবে না’, তবে ভারতকে এটি মোকাবিলায় অত্যন্ত সতর্ক হতে হবে।
সংসদীয় কমিটি তাদের প্রতিবেদনে ১৯৭১ সালের সংকটের সঙ্গে বর্তমান পরিস্থিতির তুলনা করে বলেছে, ১৯৭১ সালে চ্যালেঞ্জ ছিল অস্তিত্ব রক্ষা, মানবিক সংকট ও একটি নতুন জাতির জন্ম নিয়ে। তবে বর্তমান চ্যালেঞ্জটি আরও গুরুতর এবং এটি একটি ‘প্রজন্মগত বিচ্ছিন্নতা’। রাজনৈতিক ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন এবং ভারতের দিক থেকে সরে যাওয়ার সম্ভাব্য কৌশলগত পুনর্বিন্যাস।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের সাম্প্রতিক অস্থিরতার পেছনে কয়েকটি কারণ একসঙ্গে কাজ করছে—ইসলামপন্থী চরমপন্থার উত্থান, চীন ও পাকিস্তানের প্রভাব বৃদ্ধি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক আধিপত্যের পতন।
কমিটি সরকারের কাছে একাধিক সুপারিশ জমা দিয়েছে এবং স্পষ্টভাবে বলেছে, ভারত যদি এই মুহূর্তে নিজেকে নতুন করে মানিয়ে নিতে ব্যর্থ হয়, তবে যুদ্ধের কারণে নয়, বরং ‘অপ্রাসঙ্গিক’ হয়ে পড়ার কারণে ঢাকা থেকে কৌশলগত নিয়ন্ত্রণ হারানোর ঝুঁকিতে পড়বে।
কমিটি বাংলাদেশ-পাকিস্তান সম্পর্ক পুনর্গঠন ও চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। বিশেষ করে, অবকাঠামো উন্নয়ন, বন্দর সম্প্রসারণ ও প্রতিরক্ষা সহযোগিতায় চীনের সক্রিয়তার কথা তুলে ধরা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে মোংলা বন্দরের সম্প্রসারণ, লালমনিরহাট বিমানঘাঁটি ও পেকুয়ায় সাবমেরিন ঘাঁটির উদাহরণ দেওয়া হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, পেকুয়ার ওই ঘাঁটিতে আটটি সাবমেরিন রাখার সক্ষমতা রয়েছে, যদিও বাংলাদেশের কাছে বর্তমানে মাত্র দুটি সাবমেরিন আছে।
কমিটির মতে, চীন বাংলাদেশের সব রাজনৈতিক গোষ্ঠীর সঙ্গেই যোগাযোগ বাড়াচ্ছে, যার মধ্যে জামায়াতে ইসলামীও রয়েছে। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, এই ইসলামপন্থী দলটির প্রতিনিধিরা সম্প্রতি চীন সফরও করেছেন।
এই প্রেক্ষাপটে কমিটি সুপারিশ করেছে, বাংলাদেশে কোনো বিদেশি শক্তি যাতে সামরিক ঘাঁটি স্থাপন করতে না পারে, সে বিষয়ে কঠোর নজরদারি রাখতে হবে। পাশাপাশি উন্নয়ন, যোগাযোগব্যবস্থা ও বন্দর ব্যবহারের ক্ষেত্রে ঢাকাকে প্রতিযোগিতামূলক সুবিধা দেওয়ার উদ্যোগ নিতে হবে, যা অন্য কোনো দেশ (যেমন চীন) দিতে পারবে না।
বাংলাদেশে ইসলামপন্থী দলগুলোর প্রভাব বাড়ার বিষয়েও উদ্বেগ জানিয়েছে কমিটি। আগে নিষিদ্ধ থাকা জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন ফিরে পাওয়া এবং নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগ তৈরি হওয়াকে কমিটি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে।
অন্যদিকে, ঢাকার অন্তর্বর্তী সরকার আওয়ামী লীগের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে, যার ফলে দলটি নির্বাচনে অংশ নিতে পারছে না। কমিটি মনে করে, আওয়ামী লীগকে বাইরে রেখে নির্বাচন হলে এর ‘গ্রহণযোগ্যতা’ নিয়ে প্রশ্ন উঠবে।
তথ্যসূত্র: এনডিটিভি

এই যে দিন-রাত হয়, আর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে হয় তাপমাত্রার তারতম্য, কিংবা একেক মৌসুমে একেক তাপমাত্রা বা বিভিন্ন উচ্চতায় বিভিন্ন তাপ-চাপের মুখোমুখি হয়েও টিকে আছে মানুষ, এর মূল সূত্রটি কোথায়
০৪ অক্টোবর ২০২১
কম্বোডিয়ার সীমান্তবর্তী শহর পোইপেতের কাছে একটি রসদ কেন্দ্র লক্ষ্য করে বোমা হামলা চালিয়েছে থাইল্যান্ড। পোইপেত শহরটি থাই-কম্বোডিয়া সীমান্তের সবচেয়ে বড় স্থলবন্দর এবং ক্যাসিনোর জন্য বিশেষভাবে পরিচিত। সাম্প্রতিক সীমান্ত সংঘর্ষ থামার কোনো লক্ষণ না দেখানোর মধ্যেই এই হামলার ঘটনা ঘটল।
১০ ঘণ্টা আগে
২০২৫ সালে উত্তর কোরিয়ার হ্যাকাররা রেকর্ড পরিমাণ ক্রিপ্টোকারেন্সি চুরি করেছে। ব্লকচেইন তথ্য বিশ্লেষণ প্ল্যাটফর্ম ‘চেইনঅ্যানালিসিস’-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে—চলতি বছরে দেশটি অন্তত ২ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার মূল্যের ডিজিটাল সম্পদ হাতিয়ে নিয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় ৫১ শতাংশ বেশি।
১২ ঘণ্টা আগে
অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই বিচে ইহুদি উৎসবকে লক্ষ্য করে ভয়াবহ বন্দুক হামলার পর দেশটিতে ঘৃণামূলক বক্তব্য ও উগ্রবাদ দমনে কঠোর আইন প্রণয়নের ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজ। গত ১৪ ডিসেম্বর ইহুদি ধর্মাবলম্বীদের হানুক্কাহ উৎসবের প্রথম দিন উপলক্ষে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে দুই বন্দুকধারীর গুলিতে
১৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

২০২৫ সালে উত্তর কোরিয়ার হ্যাকাররা রেকর্ড পরিমাণ ক্রিপ্টোকারেন্সি চুরি করেছে। ব্লকচেইন তথ্য বিশ্লেষণ প্ল্যাটফর্ম ‘চেইনঅ্যানালিসিস’-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে—চলতি বছরে দেশটি অন্তত ২ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার মূল্যের ডিজিটাল সম্পদ হাতিয়ে নিয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় ৫১ শতাংশ বেশি। একই সঙ্গে বৈশ্বিক পর্যায়ে সংঘটিত সব ধরনের ক্রিপটো সেবা-সংক্রান্ত হ্যাকিং ঘটনার ৭৬ শতাংশের জন্য উত্তর কোরিয়া দায়ী—ইতিহাসে যা সর্বোচ্চ।
প্রতিবেদন অনুযায়ী—বিভিন্ন ক্রিপটো এক্সচেঞ্জ, কাস্টডিয়ান এবং ওয়েব ৩ প্রতিষ্ঠানে অনুপ্রবেশ এই রেকর্ড চুরির পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছে উত্তর কোরিয়ার আইটি কর্মীরা। এসব কর্মী প্রাথমিকভাবে ভেতরে প্রবেশাধিকার তৈরি করে এবং পরে বড় পরিসরের চুরির পথ সুগম করে তোলে। চেইনঅ্যানালিসিস বলছে, এই কৌশল হ্যাকারদের দ্রুত ও কার্যকরভাবে বড় অঙ্কের সম্পদ হাতাতে সহায়তা করছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) নিক্কেই এশিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৫ সালে ক্রিপটো চুরির মোট পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩.৪ বিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে গত ফেব্রুয়ারিতে বিখ্যাত ক্রিপটো এক্সচেঞ্জ বাইবিটে সংঘটিত এক হামলাতেই ১.৫ বিলিয়ন ডলার চুরি হয়ে যায়। বিশ্লেষকদের মতে, এই হামলার পেছনে ছিল উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা পাওয়া হ্যাকার গ্রুপ ‘লাজারাস’।
চুরি করা অর্থ পাচারের জন্য উত্তর কোরিয়ার হ্যাকাররা প্রায়ই চীনের কিছু সেবার ওপর নির্ভর করে। চেইনঅ্যানালিসিস-এর জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান অ্যান্ড্রু ফিয়ারম্যান জানান, এসব চীনা মানি লন্ডারিং নেটওয়ার্ক ইচ্ছাকৃতভাবে অবৈধ অর্থ সাদা করতে সহায়তা করে।
আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার কারণে উত্তর কোরিয়া বৈদেশিক আর্থিক ব্যবস্থায় সহজে লেনদেন করতে পারে না। জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার আরোপিত নিষেধাজ্ঞা দেশটিকে সামরিক ও অস্ত্র কর্মসূচির অর্থ জোগাড়ে অবৈধ পথ বেছে নিতে বাধ্য করেছে। গবেষকদের মতে, একসময় আদর্শগত উদ্দেশ্যে সাইবার হামলা চালালেও এখন উত্তর কোরিয়ার হ্যাকিং কার্যক্রমের মূল লক্ষ্য হচ্ছে আর্থিক লাভ নিশ্চিত করা।

২০২৫ সালে উত্তর কোরিয়ার হ্যাকাররা রেকর্ড পরিমাণ ক্রিপ্টোকারেন্সি চুরি করেছে। ব্লকচেইন তথ্য বিশ্লেষণ প্ল্যাটফর্ম ‘চেইনঅ্যানালিসিস’-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে—চলতি বছরে দেশটি অন্তত ২ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার মূল্যের ডিজিটাল সম্পদ হাতিয়ে নিয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় ৫১ শতাংশ বেশি। একই সঙ্গে বৈশ্বিক পর্যায়ে সংঘটিত সব ধরনের ক্রিপটো সেবা-সংক্রান্ত হ্যাকিং ঘটনার ৭৬ শতাংশের জন্য উত্তর কোরিয়া দায়ী—ইতিহাসে যা সর্বোচ্চ।
প্রতিবেদন অনুযায়ী—বিভিন্ন ক্রিপটো এক্সচেঞ্জ, কাস্টডিয়ান এবং ওয়েব ৩ প্রতিষ্ঠানে অনুপ্রবেশ এই রেকর্ড চুরির পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছে উত্তর কোরিয়ার আইটি কর্মীরা। এসব কর্মী প্রাথমিকভাবে ভেতরে প্রবেশাধিকার তৈরি করে এবং পরে বড় পরিসরের চুরির পথ সুগম করে তোলে। চেইনঅ্যানালিসিস বলছে, এই কৌশল হ্যাকারদের দ্রুত ও কার্যকরভাবে বড় অঙ্কের সম্পদ হাতাতে সহায়তা করছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) নিক্কেই এশিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৫ সালে ক্রিপটো চুরির মোট পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩.৪ বিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে গত ফেব্রুয়ারিতে বিখ্যাত ক্রিপটো এক্সচেঞ্জ বাইবিটে সংঘটিত এক হামলাতেই ১.৫ বিলিয়ন ডলার চুরি হয়ে যায়। বিশ্লেষকদের মতে, এই হামলার পেছনে ছিল উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা পাওয়া হ্যাকার গ্রুপ ‘লাজারাস’।
চুরি করা অর্থ পাচারের জন্য উত্তর কোরিয়ার হ্যাকাররা প্রায়ই চীনের কিছু সেবার ওপর নির্ভর করে। চেইনঅ্যানালিসিস-এর জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান অ্যান্ড্রু ফিয়ারম্যান জানান, এসব চীনা মানি লন্ডারিং নেটওয়ার্ক ইচ্ছাকৃতভাবে অবৈধ অর্থ সাদা করতে সহায়তা করে।
আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার কারণে উত্তর কোরিয়া বৈদেশিক আর্থিক ব্যবস্থায় সহজে লেনদেন করতে পারে না। জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার আরোপিত নিষেধাজ্ঞা দেশটিকে সামরিক ও অস্ত্র কর্মসূচির অর্থ জোগাড়ে অবৈধ পথ বেছে নিতে বাধ্য করেছে। গবেষকদের মতে, একসময় আদর্শগত উদ্দেশ্যে সাইবার হামলা চালালেও এখন উত্তর কোরিয়ার হ্যাকিং কার্যক্রমের মূল লক্ষ্য হচ্ছে আর্থিক লাভ নিশ্চিত করা।

এই যে দিন-রাত হয়, আর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে হয় তাপমাত্রার তারতম্য, কিংবা একেক মৌসুমে একেক তাপমাত্রা বা বিভিন্ন উচ্চতায় বিভিন্ন তাপ-চাপের মুখোমুখি হয়েও টিকে আছে মানুষ, এর মূল সূত্রটি কোথায়
০৪ অক্টোবর ২০২১
কম্বোডিয়ার সীমান্তবর্তী শহর পোইপেতের কাছে একটি রসদ কেন্দ্র লক্ষ্য করে বোমা হামলা চালিয়েছে থাইল্যান্ড। পোইপেত শহরটি থাই-কম্বোডিয়া সীমান্তের সবচেয়ে বড় স্থলবন্দর এবং ক্যাসিনোর জন্য বিশেষভাবে পরিচিত। সাম্প্রতিক সীমান্ত সংঘর্ষ থামার কোনো লক্ষণ না দেখানোর মধ্যেই এই হামলার ঘটনা ঘটল।
১০ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি ১৯৭১ সালের স্বাধীনতাযুদ্ধের পর ভারতের জন্য ‘সবচেয়ে বড় কৌশলগত চ্যালেঞ্জ’ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কংগ্রেস নেতা শশী থারুরের নেতৃত্বে ভারতের একটি সংসদীয় কমিটি সরকারকে দেওয়া এক প্রতিবেদনে এই সতর্কবার্তা দিয়েছে। কমিটি জানিয়েছে, বাংলাদেশে পরিস্থিতি হয়তো ‘বিশৃঙ্খলা...
১১ ঘণ্টা আগে
অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই বিচে ইহুদি উৎসবকে লক্ষ্য করে ভয়াবহ বন্দুক হামলার পর দেশটিতে ঘৃণামূলক বক্তব্য ও উগ্রবাদ দমনে কঠোর আইন প্রণয়নের ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজ। গত ১৪ ডিসেম্বর ইহুদি ধর্মাবলম্বীদের হানুক্কাহ উৎসবের প্রথম দিন উপলক্ষে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে দুই বন্দুকধারীর গুলিতে
১৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই বিচে ইহুদি উৎসবকে লক্ষ্য করে ভয়াবহ বন্দুক হামলার পর দেশটিতে ঘৃণামূলক বক্তব্য ও উগ্রবাদ দমনে কঠোর আইন প্রণয়নের ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজ। গত ১৪ ডিসেম্বর ইহুদি ধর্মাবলম্বীদের হানুক্কাহ উৎসবের প্রথম দিন উপলক্ষে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে দুই বন্দুকধারীর গুলিতে অন্তত ১৫ জন নিহত হন। এই হামলাকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে উদ্বেগ ও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
ক্যানবেরায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে প্রধানমন্ত্রী অ্যালবানিজ বলেন, নতুন আইন মূলত যারা ঘৃণা, বিভাজন ও উগ্রবাদ ছড়ায়—তাদের লক্ষ্য করেই আনা হবে। তিনি জানান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীকে এমন ব্যক্তিদের ভিসা বাতিল বা প্রত্যাখ্যানের ক্ষমতা দেওয়া হবে, যারা ঘৃণামূলক বক্তব্য প্রচার করে। পাশাপাশি শিক্ষা ব্যবস্থায় ইহুদিবিদ্বেষ প্রতিরোধ, মোকাবিলা ও যথাযথ প্রতিক্রিয়া নিশ্চিত করতে একটি বিশেষ টাস্কফোর্স গঠন করা হবে।
প্রস্তাবিত আইনের আওতায় সহিংসতা উসকে দেওয়া ধর্মীয় বক্তা ও নেতাদের জন্য শাস্তির বিধান ছাড়াও ‘অ্যাগ্রাভেটেড হেট স্পিচ’ নামে অপরাধের একটি নতুন সংজ্ঞা সংযোজন করা হবে। অনলাইনে হুমকি ও হয়রানির ক্ষেত্রে শাস্তি নির্ধারণে বিদ্বেষ ছড়ানোনে গুরুতর উপাদান হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। অ্যালবানিজ বলেন, ‘প্রত্যেক ইহুদি অস্ট্রেলিয়ানের নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ ও সম্মানিত বোধ করার অধিকার রয়েছে।’
এই হামলার পর দেশটিতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। নিউ সাউথ ওয়েলস পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) দক্ষিণ-পশ্চিম সিডনিতে সাতজনকে আটক করা হয়েছে, যাদের বিরুদ্ধে সম্ভাব্য সহিংস কর্মকাণ্ডের পরিকল্পনার তথ্য পাওয়া গিয়েছিল। তবে পুলিশ বলছে, বন্ডাই হামলার সঙ্গে এই ঘটনার সরাসরি কোনো যোগসূত্র পাওয়া যায়নি।
এদিকে সরকারের ঘোষণাকে স্বাগত জানালেও কিছু সংগঠন উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। ইহুদি কাউন্সিল অব অস্ট্রেলিয়া জানিয়েছে, বন্দুক নিয়ন্ত্রণ ও অনলাইনে বিদ্বেষ ছড়ানোর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ প্রশংসনীয় হলেও, কিছু প্রস্তাব ইসরায়েলপন্থী লবির পুরোনো দাবির সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ, যা সহিংস উগ্রবাদ দমনের চেয়ে মতপ্রকাশ সীমিত করতে পারে। সংগঠনটির নির্বাহী কর্মকর্তা ড. ম্যাক্স কাইজার সতর্ক করে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় বা সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানে মতাদর্শিক নজরদারি চালানো হলে তা ইহুদিদের নিরাপত্তা বাড়ানোর বদলে আরও ঝুঁকিতে ফেলতে পারে।’
এদিকে প্রধানমন্ত্রী স্বীকার করেছেন, গত ৭ অক্টোবর হামাসের ইসরায়েল আক্রমণের পর থেকে অস্ট্রেলিয়ায় ইহুদিবিদ্বেষ রোধে সরকার আরও কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারত। তিনি বলেন, ‘আমার দায়িত্ব শুধু ভুল স্বীকার করা নয়, জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করাও।’

অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই বিচে ইহুদি উৎসবকে লক্ষ্য করে ভয়াবহ বন্দুক হামলার পর দেশটিতে ঘৃণামূলক বক্তব্য ও উগ্রবাদ দমনে কঠোর আইন প্রণয়নের ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজ। গত ১৪ ডিসেম্বর ইহুদি ধর্মাবলম্বীদের হানুক্কাহ উৎসবের প্রথম দিন উপলক্ষে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে দুই বন্দুকধারীর গুলিতে অন্তত ১৫ জন নিহত হন। এই হামলাকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে উদ্বেগ ও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
ক্যানবেরায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে প্রধানমন্ত্রী অ্যালবানিজ বলেন, নতুন আইন মূলত যারা ঘৃণা, বিভাজন ও উগ্রবাদ ছড়ায়—তাদের লক্ষ্য করেই আনা হবে। তিনি জানান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীকে এমন ব্যক্তিদের ভিসা বাতিল বা প্রত্যাখ্যানের ক্ষমতা দেওয়া হবে, যারা ঘৃণামূলক বক্তব্য প্রচার করে। পাশাপাশি শিক্ষা ব্যবস্থায় ইহুদিবিদ্বেষ প্রতিরোধ, মোকাবিলা ও যথাযথ প্রতিক্রিয়া নিশ্চিত করতে একটি বিশেষ টাস্কফোর্স গঠন করা হবে।
প্রস্তাবিত আইনের আওতায় সহিংসতা উসকে দেওয়া ধর্মীয় বক্তা ও নেতাদের জন্য শাস্তির বিধান ছাড়াও ‘অ্যাগ্রাভেটেড হেট স্পিচ’ নামে অপরাধের একটি নতুন সংজ্ঞা সংযোজন করা হবে। অনলাইনে হুমকি ও হয়রানির ক্ষেত্রে শাস্তি নির্ধারণে বিদ্বেষ ছড়ানোনে গুরুতর উপাদান হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। অ্যালবানিজ বলেন, ‘প্রত্যেক ইহুদি অস্ট্রেলিয়ানের নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ ও সম্মানিত বোধ করার অধিকার রয়েছে।’
এই হামলার পর দেশটিতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। নিউ সাউথ ওয়েলস পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) দক্ষিণ-পশ্চিম সিডনিতে সাতজনকে আটক করা হয়েছে, যাদের বিরুদ্ধে সম্ভাব্য সহিংস কর্মকাণ্ডের পরিকল্পনার তথ্য পাওয়া গিয়েছিল। তবে পুলিশ বলছে, বন্ডাই হামলার সঙ্গে এই ঘটনার সরাসরি কোনো যোগসূত্র পাওয়া যায়নি।
এদিকে সরকারের ঘোষণাকে স্বাগত জানালেও কিছু সংগঠন উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। ইহুদি কাউন্সিল অব অস্ট্রেলিয়া জানিয়েছে, বন্দুক নিয়ন্ত্রণ ও অনলাইনে বিদ্বেষ ছড়ানোর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ প্রশংসনীয় হলেও, কিছু প্রস্তাব ইসরায়েলপন্থী লবির পুরোনো দাবির সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ, যা সহিংস উগ্রবাদ দমনের চেয়ে মতপ্রকাশ সীমিত করতে পারে। সংগঠনটির নির্বাহী কর্মকর্তা ড. ম্যাক্স কাইজার সতর্ক করে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় বা সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানে মতাদর্শিক নজরদারি চালানো হলে তা ইহুদিদের নিরাপত্তা বাড়ানোর বদলে আরও ঝুঁকিতে ফেলতে পারে।’
এদিকে প্রধানমন্ত্রী স্বীকার করেছেন, গত ৭ অক্টোবর হামাসের ইসরায়েল আক্রমণের পর থেকে অস্ট্রেলিয়ায় ইহুদিবিদ্বেষ রোধে সরকার আরও কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারত। তিনি বলেন, ‘আমার দায়িত্ব শুধু ভুল স্বীকার করা নয়, জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করাও।’

এই যে দিন-রাত হয়, আর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে হয় তাপমাত্রার তারতম্য, কিংবা একেক মৌসুমে একেক তাপমাত্রা বা বিভিন্ন উচ্চতায় বিভিন্ন তাপ-চাপের মুখোমুখি হয়েও টিকে আছে মানুষ, এর মূল সূত্রটি কোথায়
০৪ অক্টোবর ২০২১
কম্বোডিয়ার সীমান্তবর্তী শহর পোইপেতের কাছে একটি রসদ কেন্দ্র লক্ষ্য করে বোমা হামলা চালিয়েছে থাইল্যান্ড। পোইপেত শহরটি থাই-কম্বোডিয়া সীমান্তের সবচেয়ে বড় স্থলবন্দর এবং ক্যাসিনোর জন্য বিশেষভাবে পরিচিত। সাম্প্রতিক সীমান্ত সংঘর্ষ থামার কোনো লক্ষণ না দেখানোর মধ্যেই এই হামলার ঘটনা ঘটল।
১০ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি ১৯৭১ সালের স্বাধীনতাযুদ্ধের পর ভারতের জন্য ‘সবচেয়ে বড় কৌশলগত চ্যালেঞ্জ’ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কংগ্রেস নেতা শশী থারুরের নেতৃত্বে ভারতের একটি সংসদীয় কমিটি সরকারকে দেওয়া এক প্রতিবেদনে এই সতর্কবার্তা দিয়েছে। কমিটি জানিয়েছে, বাংলাদেশে পরিস্থিতি হয়তো ‘বিশৃঙ্খলা...
১১ ঘণ্টা আগে
২০২৫ সালে উত্তর কোরিয়ার হ্যাকাররা রেকর্ড পরিমাণ ক্রিপ্টোকারেন্সি চুরি করেছে। ব্লকচেইন তথ্য বিশ্লেষণ প্ল্যাটফর্ম ‘চেইনঅ্যানালিসিস’-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে—চলতি বছরে দেশটি অন্তত ২ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার মূল্যের ডিজিটাল সম্পদ হাতিয়ে নিয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় ৫১ শতাংশ বেশি।
১২ ঘণ্টা আগে