অনলাইন ডেস্ক
এই যে দিন-রাত হয়, আর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে হয় তাপমাত্রার তারতম্য, কিংবা একেক মৌসুমে একেক তাপমাত্রা বা বিভিন্ন উচ্চতায় বিভিন্ন তাপ-চাপের মুখোমুখি হয়েও টিকে আছে মানুষ, এর মূল সূত্রটি কোথায়? তাপমাত্রা, চাপ বা অন্য কোনো শক্তির উপস্থিতিতে মানুষের স্নায়ুতন্ত্র কীভাবে সাড়া দেয়, যা মানুষকে বিভিন্ন বিচিত্র পরিবেশে টিকে থাকতে সহায়তা করে। এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজে বের করেছেন মার্কিন দুই বিজ্ঞানী ডেভিড জুলিয়াস ও আহডেম পাটাপোশিয়ান। আর এতেই এবার চিকিৎসায় নোবেল পুরস্কার অর্জন করেছেন তাঁরা।
নোবেল কমিটি আজ সোমবার চিকিৎসায় নোবেল পুরস্কার ঘোষণা করে। এ সম্পর্কিত বিজ্ঞপ্তিতে নোবেল কমিটি জানায়, ক্যারোলিনস্কা ইনস্টিটিউটে অনুষ্ঠিত নোবেল কমিটির বৈঠকে আজ মার্কিন বিজ্ঞানী ডেভিড জুলিয়াস ও আহডেম পাটাপোশিয়ানকে নোবেল পুরস্কারে ভূষিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। চিকিৎসাবিজ্ঞানে তাঁদের গবেষণা দারুণভাবে এগিয়ে দিয়েছে আমাদের। মানুষের শরীরে কোন স্নায়ু তাপমাত্রা ও স্পর্শের অনুভূতি গ্রহণে কাজ করে, তা তাঁরা আবিষ্কার করেছেন।
মানুষের বেঁচে থাকার জন্য ঠান্ডা-গরমের অনুভূতি যেমন, তেমনি স্পর্শের অনুভূতি যথাযথ হওয়াটা ভীষণভাবে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এই অনুভূতির ওপরই নির্ভর করে পৃথিবীর সঙ্গে মানুষ কীভাবে আচরণ করবে। প্রতিদিনের জীবনযাপনে এই অনুভূতিগুলোকে আলাদাভাবে চেনার তেমন সুযোগ থাকে না। কারণ, এগুলো এতই স্বাভাবিক বিষয় হয়ে উঠেছে যে, এর উপস্থিতি আলাদাভাবে বোঝার আর উপায় থাকে না। কিন্তু এই অনুভূতি মানুষের স্নায়ু কীভাবে শনাক্ত করে? এই প্রশ্নের উত্তর দিয়েই এবার নোবেল পুরস্কার জিতে নিয়েছেন এই দুই বিজ্ঞানী।
ডেভিড জুলিয়াস মরিচের তীব্র গন্ধযুক্ত ক্যাপাসাইসিন পদার্থের মাধ্যমে সেই স্নায়ুকে খুঁজে বের করেন, যা ঝাল বা জ্বলুনির অনুভূতি জাগায়। এর মাধ্যমে তিনি তাপীয় পরিবর্তনের কারণে শরীরে সৃষ্ট সংবেদনের সঙ্গে জড়িত স্নায়ুকে শনাক্ত করেন। আর আহডেম পাটাপোশিয়ান চাপ সংবেদনশীল কোষের মাধ্যমে ত্বকের সেই সংবেদনশীল স্নায়ুকে খুঁজে বের করেন, যা যেকোনো চাপ বা যান্ত্রিক উদ্দীপনায় সাড়া দেয়। এই স্নায়ু এত দিন অজ্ঞাত ছিল। এই দুই আবিষ্কার যান্ত্রিক উদ্দীপনা, চাপ, তাপ ইত্যাদির পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট সংবেদ শনাক্তের সঙ্গে জড়িত স্নায়বিক ব্যবস্থা শনাক্ত করতে সহায়তা করে। এই দুই বিজ্ঞানী পরিবেশ ও মানুষের অনুভূতির মধ্যে বিদ্যমান সেই নিখোঁজ আন্তসংযোগকে খুঁজে করেছেন, যা শনাক্তের জন্য বিস্তর গবেষণা করেছেন বিজ্ঞানীরা।
মানুষের পৃথিবীর অন্যতম রহস্যজনক বিষয় ছিল পরিবেশকে অনুধাবনের প্রক্রিয়া। মানুষ কীভাবে তার চারপাশের পরিবেশকে অনুধাবন করে, তা এত দিন অজ্ঞাত ছিল। নোবেল কমিটির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই সংবেদ প্রক্রিয়াটি নিয়ে মানুষের আগ্রহ ছিল দীর্ঘদিন। হাজার বছর আগে থেকেই মানুষ এটি বুঝতে চেষ্টা করেছে। চোখ কীভাবে আলোর দেখা পায়, শব্দ কীভাবে মানুষের কর্ণকুহরে প্রবেশ করে, কীভাবে নাক এত এত গন্ধ শনাক্ত করে, আর মুখ এত স্বাদ কোথা থেকে পায়—এই সবই রহস্য হয়ে ছিল। একে একে এই সব রহস্যের সমাধান করেছে মানুষ। কিন্তু গ্রীষ্মের দুপুরে খালি পায়ে পথে হাঁটার সময় তাপ কীভাবে অনুভূত হয়, বা গরম হাওয়া কীভাবে নাড়া দিয়ে যায় আমাদের, কিংবা খসখসে ঘাস কীভাবে পায়ের তলাকে বুঝিয়ে দিয়ে যায় তার খরতা, এর উত্তর এত দিন মিলছিল না। কিন্তু চারপাশের পরিবেশের সঙ্গে মানুষের মানিয়ে নেওয়ার বিষয়টি এই প্রশ্নগুলোর উত্তরের সঙ্গে সরাসরি জড়িত।
সতেরো শতকে দার্শনিক রেনে দেকার্ত ধারণা করেছিলেন, শরীরের বিভিন্ন অংশের ত্বকের সঙ্গে মস্তিষ্কের সংযোগ রয়েছে। যেমন, পা যদি কোনো উত্তপ্ত স্থান স্পর্শ করে, তবে সেখান থেকে মস্তিষ্কে এই উত্তাপ সম্পর্কে বার্তা যাবে। পরে সংবেদনশীল নিউরনের অস্তিত্ব আবিষ্কৃত হয়, যা পরিবেশে হওয়া বিভিন্ন পরিবর্তন শনাক্ত করতে পারে। ১৯৪৪ সালে জোসেফ আরলেঙ্গার ও হার্বার্ট গ্যাসার এমন সংবেদনশীল স্নায়ুর অস্তিত্ব আবিষ্কার করে নোবেল পুরস্কার পান। সেই সময় থেকে এই স্নায়ু কোষগুলোকেই এ ধরনের অনুভূতি শনাক্তের জন্য বিশেষায়িত বলে মনে করা হতো। কিন্তু তারপরও তাপমাত্রাসহ বিভিন্ন বিষয়ে সংবেদ তৈরির প্রক্রিয়াটি অজ্ঞাত থেকে গিয়েছিল। এই বিষয়টিই আবিষ্কার করে এবার নোবেল জয় করলেন ডেভিড জুলিয়াস ও আহডেম পাটাপোশিয়ান।
ডেভিড জুলিয়াস ১৯৯০-এর দশকে মরিচে থাকা রাসায়নিক উপাদান ক্যাপসাইসিনের কারণে স্নায়ুকোষে সৃষ্ট সংবেদন নিয়ে গবেষণা শুরু করেন। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, সান ফ্রান্সেসকোয় তিনি ও তাঁর সহকর্মীরা উত্তাপ, যন্ত্রণা বা স্পর্শের অনুভূতির সঙ্গে যুক্ত জিনগুলো নিয়ে কাজ শুরু করেন। তাঁরা এ সম্পর্কিত একটি ডিএনএ লাইব্রেরি নিয়ে করেন। আর এর মধ্য থেকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করেন সেই প্রোটিন অণু, যা ক্যাপসাইসিনের কারণে সৃষ্ট সংবেদ শনাক্তের সঙ্গে যুক্ত। এভাবে ভয়াবহ পরিশ্রমের মাধ্যমে তাঁরা সেই জিনকে খুঁজে বের করতে সমর্থ হন, যা ক্যাপসাইসিনের সংবেদ গ্রহণের কাজটি করে। আর এরপর তাঁরা খুঁজে বের করেন সেই বিশেষ প্রোটিন, যা এই ক্যাপসাইসিনের কারণে সৃষ্ট সংবেদে সাড়া দেওয়ার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত। তাঁরা এর নাম দেন টিআরপিভি-১। এ তো গেল উত্তাপের সংবেদের বিষয়টি। এবার ডেভিড জুলিয়াস ও আহডেম পাটাপোশিয়ান মিলে আবিষ্কার করেন টিআরপিএম-৮ নামের গ্রাহক অণুটি।
তাপমাত্রার পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট সংবেদের বিষয়টি তো গেল। কিন্তু চাপের মতো যান্ত্রিক নানা শক্তির কারণে সৃষ্ট সংবেদের ক্ষেত্রে কী ঘটে? ক্যালিফোর্নিয়ার লা জোলায় স্ক্রিপস রিসার্চে কাজ করার সময় বিষয়টি নিয়ে গবেষণা শুরু করেন আহডেম পাটাপোশিয়ান। লেবাননে জন্ম নেওয়া এই বিজ্ঞানী ও তাঁর সহকর্মীরা প্রথম ছোট পিপেট দিয়ে খোঁচা দিলে শরীরে কী ধরনের বৈদ্যুতিক সংকেত তৈরি হয়, তা খুঁজে বের করেন। এই সংকেত সৃষ্টি ও তা পাঠানোর সঙ্গে জড়িত সব জিনকে নিষ্ক্রিয় করার মাধ্যমে তাঁরা সেই অণুকে খুঁজে বের করতে চেষ্টা করেন, যা এ ধরনের বাইরের চাপের কারণে সৃষ্ট সংবেদের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত। বহু চেষ্টার পর অবশেষে সেই জিনের দেখা পান তাঁরা। সম্পূর্ণ নতুন ধরনের এক আয়ন চ্যানেল তাঁরা খুঁজে বের করেন, যার নাম তাঁরা দেন পিজো-১। গ্রিক এই শব্দের অর্থ চাপ। একই কাজের সঙ্গে যুক্ত আরেকটি জিন পরে আবিষ্কৃত হয়, যার নাম দেওয়া হয় পিজো-২।
দীর্ঘদিনের রহস্য হয়ে থাকা এই দুই আবিষ্কার দুই বিজ্ঞানীকে নিয়ে আসে পাদপ্রদীপের আলোয়। এবার তাঁরা চিকিৎসাবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হলেন। নরওয়েজীয় নোবেল কমিটি জানিয়েছে, শত বছর পুরোনো এই পুরস্কারের আর্থিক মূল্য ১ কোটি সুইডিশ ক্রোনা (১১ লাখ ৫০ হাজার ডলার)। এই দুই বিজ্ঞানীর মধ্যে এবার এই অর্থ সমভাবে ভাগ করে দেওয়া হবে।
এই যে দিন-রাত হয়, আর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে হয় তাপমাত্রার তারতম্য, কিংবা একেক মৌসুমে একেক তাপমাত্রা বা বিভিন্ন উচ্চতায় বিভিন্ন তাপ-চাপের মুখোমুখি হয়েও টিকে আছে মানুষ, এর মূল সূত্রটি কোথায়? তাপমাত্রা, চাপ বা অন্য কোনো শক্তির উপস্থিতিতে মানুষের স্নায়ুতন্ত্র কীভাবে সাড়া দেয়, যা মানুষকে বিভিন্ন বিচিত্র পরিবেশে টিকে থাকতে সহায়তা করে। এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজে বের করেছেন মার্কিন দুই বিজ্ঞানী ডেভিড জুলিয়াস ও আহডেম পাটাপোশিয়ান। আর এতেই এবার চিকিৎসায় নোবেল পুরস্কার অর্জন করেছেন তাঁরা।
নোবেল কমিটি আজ সোমবার চিকিৎসায় নোবেল পুরস্কার ঘোষণা করে। এ সম্পর্কিত বিজ্ঞপ্তিতে নোবেল কমিটি জানায়, ক্যারোলিনস্কা ইনস্টিটিউটে অনুষ্ঠিত নোবেল কমিটির বৈঠকে আজ মার্কিন বিজ্ঞানী ডেভিড জুলিয়াস ও আহডেম পাটাপোশিয়ানকে নোবেল পুরস্কারে ভূষিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। চিকিৎসাবিজ্ঞানে তাঁদের গবেষণা দারুণভাবে এগিয়ে দিয়েছে আমাদের। মানুষের শরীরে কোন স্নায়ু তাপমাত্রা ও স্পর্শের অনুভূতি গ্রহণে কাজ করে, তা তাঁরা আবিষ্কার করেছেন।
মানুষের বেঁচে থাকার জন্য ঠান্ডা-গরমের অনুভূতি যেমন, তেমনি স্পর্শের অনুভূতি যথাযথ হওয়াটা ভীষণভাবে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এই অনুভূতির ওপরই নির্ভর করে পৃথিবীর সঙ্গে মানুষ কীভাবে আচরণ করবে। প্রতিদিনের জীবনযাপনে এই অনুভূতিগুলোকে আলাদাভাবে চেনার তেমন সুযোগ থাকে না। কারণ, এগুলো এতই স্বাভাবিক বিষয় হয়ে উঠেছে যে, এর উপস্থিতি আলাদাভাবে বোঝার আর উপায় থাকে না। কিন্তু এই অনুভূতি মানুষের স্নায়ু কীভাবে শনাক্ত করে? এই প্রশ্নের উত্তর দিয়েই এবার নোবেল পুরস্কার জিতে নিয়েছেন এই দুই বিজ্ঞানী।
ডেভিড জুলিয়াস মরিচের তীব্র গন্ধযুক্ত ক্যাপাসাইসিন পদার্থের মাধ্যমে সেই স্নায়ুকে খুঁজে বের করেন, যা ঝাল বা জ্বলুনির অনুভূতি জাগায়। এর মাধ্যমে তিনি তাপীয় পরিবর্তনের কারণে শরীরে সৃষ্ট সংবেদনের সঙ্গে জড়িত স্নায়ুকে শনাক্ত করেন। আর আহডেম পাটাপোশিয়ান চাপ সংবেদনশীল কোষের মাধ্যমে ত্বকের সেই সংবেদনশীল স্নায়ুকে খুঁজে বের করেন, যা যেকোনো চাপ বা যান্ত্রিক উদ্দীপনায় সাড়া দেয়। এই স্নায়ু এত দিন অজ্ঞাত ছিল। এই দুই আবিষ্কার যান্ত্রিক উদ্দীপনা, চাপ, তাপ ইত্যাদির পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট সংবেদ শনাক্তের সঙ্গে জড়িত স্নায়বিক ব্যবস্থা শনাক্ত করতে সহায়তা করে। এই দুই বিজ্ঞানী পরিবেশ ও মানুষের অনুভূতির মধ্যে বিদ্যমান সেই নিখোঁজ আন্তসংযোগকে খুঁজে করেছেন, যা শনাক্তের জন্য বিস্তর গবেষণা করেছেন বিজ্ঞানীরা।
মানুষের পৃথিবীর অন্যতম রহস্যজনক বিষয় ছিল পরিবেশকে অনুধাবনের প্রক্রিয়া। মানুষ কীভাবে তার চারপাশের পরিবেশকে অনুধাবন করে, তা এত দিন অজ্ঞাত ছিল। নোবেল কমিটির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই সংবেদ প্রক্রিয়াটি নিয়ে মানুষের আগ্রহ ছিল দীর্ঘদিন। হাজার বছর আগে থেকেই মানুষ এটি বুঝতে চেষ্টা করেছে। চোখ কীভাবে আলোর দেখা পায়, শব্দ কীভাবে মানুষের কর্ণকুহরে প্রবেশ করে, কীভাবে নাক এত এত গন্ধ শনাক্ত করে, আর মুখ এত স্বাদ কোথা থেকে পায়—এই সবই রহস্য হয়ে ছিল। একে একে এই সব রহস্যের সমাধান করেছে মানুষ। কিন্তু গ্রীষ্মের দুপুরে খালি পায়ে পথে হাঁটার সময় তাপ কীভাবে অনুভূত হয়, বা গরম হাওয়া কীভাবে নাড়া দিয়ে যায় আমাদের, কিংবা খসখসে ঘাস কীভাবে পায়ের তলাকে বুঝিয়ে দিয়ে যায় তার খরতা, এর উত্তর এত দিন মিলছিল না। কিন্তু চারপাশের পরিবেশের সঙ্গে মানুষের মানিয়ে নেওয়ার বিষয়টি এই প্রশ্নগুলোর উত্তরের সঙ্গে সরাসরি জড়িত।
সতেরো শতকে দার্শনিক রেনে দেকার্ত ধারণা করেছিলেন, শরীরের বিভিন্ন অংশের ত্বকের সঙ্গে মস্তিষ্কের সংযোগ রয়েছে। যেমন, পা যদি কোনো উত্তপ্ত স্থান স্পর্শ করে, তবে সেখান থেকে মস্তিষ্কে এই উত্তাপ সম্পর্কে বার্তা যাবে। পরে সংবেদনশীল নিউরনের অস্তিত্ব আবিষ্কৃত হয়, যা পরিবেশে হওয়া বিভিন্ন পরিবর্তন শনাক্ত করতে পারে। ১৯৪৪ সালে জোসেফ আরলেঙ্গার ও হার্বার্ট গ্যাসার এমন সংবেদনশীল স্নায়ুর অস্তিত্ব আবিষ্কার করে নোবেল পুরস্কার পান। সেই সময় থেকে এই স্নায়ু কোষগুলোকেই এ ধরনের অনুভূতি শনাক্তের জন্য বিশেষায়িত বলে মনে করা হতো। কিন্তু তারপরও তাপমাত্রাসহ বিভিন্ন বিষয়ে সংবেদ তৈরির প্রক্রিয়াটি অজ্ঞাত থেকে গিয়েছিল। এই বিষয়টিই আবিষ্কার করে এবার নোবেল জয় করলেন ডেভিড জুলিয়াস ও আহডেম পাটাপোশিয়ান।
ডেভিড জুলিয়াস ১৯৯০-এর দশকে মরিচে থাকা রাসায়নিক উপাদান ক্যাপসাইসিনের কারণে স্নায়ুকোষে সৃষ্ট সংবেদন নিয়ে গবেষণা শুরু করেন। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, সান ফ্রান্সেসকোয় তিনি ও তাঁর সহকর্মীরা উত্তাপ, যন্ত্রণা বা স্পর্শের অনুভূতির সঙ্গে যুক্ত জিনগুলো নিয়ে কাজ শুরু করেন। তাঁরা এ সম্পর্কিত একটি ডিএনএ লাইব্রেরি নিয়ে করেন। আর এর মধ্য থেকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করেন সেই প্রোটিন অণু, যা ক্যাপসাইসিনের কারণে সৃষ্ট সংবেদ শনাক্তের সঙ্গে যুক্ত। এভাবে ভয়াবহ পরিশ্রমের মাধ্যমে তাঁরা সেই জিনকে খুঁজে বের করতে সমর্থ হন, যা ক্যাপসাইসিনের সংবেদ গ্রহণের কাজটি করে। আর এরপর তাঁরা খুঁজে বের করেন সেই বিশেষ প্রোটিন, যা এই ক্যাপসাইসিনের কারণে সৃষ্ট সংবেদে সাড়া দেওয়ার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত। তাঁরা এর নাম দেন টিআরপিভি-১। এ তো গেল উত্তাপের সংবেদের বিষয়টি। এবার ডেভিড জুলিয়াস ও আহডেম পাটাপোশিয়ান মিলে আবিষ্কার করেন টিআরপিএম-৮ নামের গ্রাহক অণুটি।
তাপমাত্রার পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট সংবেদের বিষয়টি তো গেল। কিন্তু চাপের মতো যান্ত্রিক নানা শক্তির কারণে সৃষ্ট সংবেদের ক্ষেত্রে কী ঘটে? ক্যালিফোর্নিয়ার লা জোলায় স্ক্রিপস রিসার্চে কাজ করার সময় বিষয়টি নিয়ে গবেষণা শুরু করেন আহডেম পাটাপোশিয়ান। লেবাননে জন্ম নেওয়া এই বিজ্ঞানী ও তাঁর সহকর্মীরা প্রথম ছোট পিপেট দিয়ে খোঁচা দিলে শরীরে কী ধরনের বৈদ্যুতিক সংকেত তৈরি হয়, তা খুঁজে বের করেন। এই সংকেত সৃষ্টি ও তা পাঠানোর সঙ্গে জড়িত সব জিনকে নিষ্ক্রিয় করার মাধ্যমে তাঁরা সেই অণুকে খুঁজে বের করতে চেষ্টা করেন, যা এ ধরনের বাইরের চাপের কারণে সৃষ্ট সংবেদের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত। বহু চেষ্টার পর অবশেষে সেই জিনের দেখা পান তাঁরা। সম্পূর্ণ নতুন ধরনের এক আয়ন চ্যানেল তাঁরা খুঁজে বের করেন, যার নাম তাঁরা দেন পিজো-১। গ্রিক এই শব্দের অর্থ চাপ। একই কাজের সঙ্গে যুক্ত আরেকটি জিন পরে আবিষ্কৃত হয়, যার নাম দেওয়া হয় পিজো-২।
দীর্ঘদিনের রহস্য হয়ে থাকা এই দুই আবিষ্কার দুই বিজ্ঞানীকে নিয়ে আসে পাদপ্রদীপের আলোয়। এবার তাঁরা চিকিৎসাবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হলেন। নরওয়েজীয় নোবেল কমিটি জানিয়েছে, শত বছর পুরোনো এই পুরস্কারের আর্থিক মূল্য ১ কোটি সুইডিশ ক্রোনা (১১ লাখ ৫০ হাজার ডলার)। এই দুই বিজ্ঞানীর মধ্যে এবার এই অর্থ সমভাবে ভাগ করে দেওয়া হবে।
কলকাতার মেট্রোরেলে এক নারী যাত্রীকে বাংলা বাদ দিয়ে হিন্দিতে কথা বলতে জোরাজুরি করেছেন আরেক নারী। এই ঘটনার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। ভিডিওতে হিন্দিতে কথা বলতে না পারা নারীকে ‘বাংলাদেশি’ বলেও তাচ্ছিল্য করা হয়েছে।
২৯ মিনিট আগেভারতের বিশেষ করে তেলেঙ্গানা ও অন্ধ্রপ্রদেশের শিক্ষার্থীরা যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত ভারতীয় পরিবারগুলোর সন্তান দেখাশোনার কাজ বেছে নিচ্ছেন। প্রতি ঘণ্টা ১৩ থেকে ১৮ ডলার পান তাঁরা। তবে এই সম্মানী এলাকা ও প্রয়োজনের ওপর নির্ভর করে। অনেক পরিবার বেবি সিটারদের থাকা–খাওয়ার ব্যবস্থাও করে দিচ্ছে।
১ ঘণ্টা আগেইউক্রেন যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে রাশিয়াতে হামলা চালানোর পর যুদ্ধের তীব্রতা বেড়েছে। এর মধ্যে রাশিয়া জানাল, পূর্ব ইউক্রেনের দোনেৎস্ক অঞ্চলের দালনে গ্রাম দখলে নিয়েছে তাদের সেনারা। অবশ্য রাশিয়ার গ্রাম দখলের বিষয়টি স্বীকার করেনি ইউক্রেনের জেনারেল স্টাফ।
১ ঘণ্টা আগেট্রাম্প প্রশাসনের অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে মনোনীত হওয়ার পরপরই যৌন কেলেঙ্কারিসহ নানা অভিযোগে সরে দাঁড়াতে হলো ম্যাট গেটজকে। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই নতুন অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে পুরোনো মিত্র পাম বন্ডিকে বেছে নিলেন ট্রাম্প।
২ ঘণ্টা আগে