গাজায় যুদ্ধবিরতি: ৯০ শতাংশ আলোচনা শেষ, কয়েক দিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ : ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১: ৪৯
আপডেট : ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২: ০৫
প্রতি নারী সেনার বিনিময়ে ২০ জন ফিলিস্তিনি বন্দি মুক্তি দেওয়া হবে। ছবি: সংগৃহীত

গাজায় যুদ্ধবিরতি ও জিম্মিমুক্তির লক্ষ্যে দীর্ঘদিন ধরে আলোচনা চলছে। এর মধ্যে মৃত্যুর সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৪৫ হাজার। কিন্তু এখনো যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে সম্মতি মিলছে না। তবে চুক্তির আলোচনা ৯০ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে বলে বিবিসিকে জানিয়েছেন একজন জ্যেষ্ঠ ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা।

আজ রোববার সংবাদমাধ্যমটির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়। ওই কর্মকর্তা বলেন, কিছু মূল বিষয় বাদে সব আলোচনাই শেষ।

প্রতিবেদনে বলা হয়, যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে একটি বড় বাধা হলো মিশরীয় সীমান্তের কাছাকাছি দক্ষিণ গাজার ফিলাডেলফি করিডরে ইসরায়েলি সামরিক উপস্থিতি বজায় রাখা। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল।

দোহায় চলমান যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব আলোচনা তুলে ধরে ওই কর্মকর্তা বলেন, আলোচনায় গাজার সীমান্ত বরাবর কয়েক কিলোমিটার চওড়া একটি বাফার জোন তৈরির প্রস্তাব করা হয়েছে। এই অঞ্চলে ইসরায়েলের সামরিক উপস্থিতি থাকবে।

এসব আলোচনার সমাধান পেলে, তিন ধাপের যুদ্ধবিরতি কয়েক দিনের মধ্যেই চূড়ান্ত করা যেতে পারে বলে জানান তিনি।

এই চুক্তির অধীনে প্রথম পর্যায়ে প্রতি নারী সৈন্যর বিনিময়ে ২০ জন ফিলিস্তিনি বন্দি মুক্তি দেওয়া হবে। বন্দিদের নাম এখনো চূড়ান্ত হয়নি, তবে ২৫ বছরের বেশি সময় ধরে শাস্তি ভোগ করছেন এমন প্রায় ৪০০ জন বন্দির তালিকা থেকে নির্বাচিত হবে।

ইসরায়েলি জিম্মিদের পর্যায়ক্রমে মুক্তি দেওয়া হবে, কারণ হামাস এখনো কিছু নিখোঁজ জিম্মিকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে। গাজায় থাকা ৯৬ জিম্মির মধ্যে এখন ৬২ জন জীবিত আছে বলে ধারণা করছে ইসরায়েল।

ওই ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা জানান, প্রস্তাব অনুযায়ী মিশর বা কাতারের তত্ত্বাবধানে গাজার বেসামরিক জনগণ উত্তরাঞ্চলে ফিরতে পারবে এবং প্রতিদিন প্রায় ৫০০ ট্রাক সাহায্য নিয়ে গাজায় প্রবেশ করবে।

তিন ধাপের ওই পরিকল্পনার শেষ পর্যায়ে, ১৪ মাস ধরে চলা এই যুদ্ধের সমাপ্তি ঘোষণা করে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটিকে গাজা পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হবে। এই কমিটির সদস্যরা আগে কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত থাকবেন না, তবে সব ফিলিস্তিনি দলের সমর্থন পাবেন।

হামাসসহ দুটি ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী জানায়, যদি ইসরায়েল নতুন শর্ত আরোপ করা বন্ধ করে, তাহলে গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে পৌঁছানো আগের চেয়ে সহজ হয়ে যাবে।

গত শনিবার টেলিগ্রামে এক বিবৃতিতে হামাস জানায়, তারা শুক্রবার কায়রোতে ফিলিস্তিনি ইসলামিক জিহাদ (পিআইজে) এবং পপুলার ফ্রন্ট ফর দ্য লিবারেশন অব প্যালেস্টাইনের (পিএফএলপি) প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেছে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত