রাহুল শর্মা, ঢাকা
শেরপুর জেলার মাটিকাটা জিএম উচ্চ বিদ্যালয়ের জ্যেষ্ঠ শিক্ষক মোজাম্মেল হক অবসরে গেছেন ২০২১ সালে। অবসরকালীন আর্থিক সুবিধা পাওয়ার আশায় চাকরিরত অবস্থায় নিয়মিত চাঁদা দিয়েছেন তিনি। কিন্তু অবসর নেওয়ার পর প্রায় তিন বছর পার হলেও এখন পর্যন্ত প্রাপ্য আর্থিক সুবিধা পাননি।
একই অবস্থা ফেনীর এনায়েত উল্লাহ মহিলা কলেজের শিক্ষক করিম উদ্দিনের। তিনিও দুই বছর আগে কল্যাণ ও অবসর সুবিধার জন্য আলাদা আবেদন জমা দিয়েছেন। কিন্তু কোনো আবেদনই এখন পর্যন্ত অনুমোদন করেনি কর্তৃপক্ষ।
১৭ ডিসেম্বর রাজধানীর বাংলাদেশ শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর (ব্যানবেইস) কার্যালয়ে এ দুই শিক্ষকের সঙ্গে দেখা হয় এই প্রতিবেদকের। তাঁরা আক্ষেপ করে বলেন, অবসরে যাওয়ার পর আর্থিকভাবে সচ্ছল থাকার আশায় নিয়মিত চাঁদা দিয়েছেন। কিন্তু এখন অবসর সুবিধা পাওয়ার জন্য দিনের পর দিন ঘুরতে হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর কর্মকর্তাদের ভাষ্য, মূলত তহবিল-সংকটের কারণে নিয়মিত শিক্ষক-কর্মচারীদের প্রাপ্য ভাতা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। বর্তমানে ২০২১ সালের ডিসেম্বরের আবেদনগুলোর অর্থ ছাড় করা হচ্ছে।
এমপিওভুক্ত স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের ১৯৯০ সাল থেকে কল্যাণ ট্রাস্টের সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। ২০০৫ সাল থেকে শুরু হয়েছে অবসর সুবিধা দেওয়া। এই দুই সুবিধা বাবদ শিক্ষকেরা চাকরিকাল অনুযায়ী এককালীন অর্থ পান। সারা দেশে এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারী রয়েছেন ৫ লাখের বেশি।
আইন অনুযায়ী, শিক্ষক-কর্মচারীদের এমপিও (বেতনের সরকারি অংশ) থেকে চাঁদা হিসাবে প্রতি মাসে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ কেটে রাখা হয়। এর মধ্যে অবসর সুবিধা বোর্ড ৬ শতাংশ এবং কল্যাণ ট্রাস্ট ৪ শতাংশ পায়। এর বাইরে বিশেষ বা থোক বরাদ্দ এবং বিভিন্ন সময়ে সরকারের দেওয়া সিড মানি বা গচ্ছিত অর্থের লভ্যাংশ পায় সংস্থা দুটি।
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে জানা যায়, চলতি বছরের ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৩৬ হাজার ৭০০টি আবেদন অনিষ্পন্ন রয়েছে। এসব আবেদন নিষ্পত্তি অথবা পরিশোধ করতে প্রয়োজন ৩ হাজার ২০০ কোটি টাকা।
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ড থেকে জানা যায়, ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৩৭ হাজার আবেদন অনিষ্পন্ন রয়েছে। এসব আবেদন নিষ্পত্তি করতে প্রয়োজন প্রায় সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকা।
তহবিল-সংকট এবং ব্যবস্থাপনাগত ত্রুটি দূর করতে কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক এ বি এম রেজাউল করীম। পদাধিকারবলে দপ্তর দুটির বোর্ডে রয়েছেন তিনি।
অধ্যাপক রেজাউল করীম বলেন, ‘অর্থসংকট কাটাতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা চলছে। আর পুরো প্রক্রিয়াটিকে ডিজিটাল করার কাজও চলছে। আশা করছি, আগামী ১ জানুয়ারি থেকে অর্থ স্থানান্তর আইবাস প্লাস প্লাস সফটওয়্যারের ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফারের মাধ্যমে করা হবে। এতে ভোগান্তি কমবে ও দ্রুত অর্থছাড় হবে।’
সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর সূত্র বলছে, দীর্ঘদিন ধরেই অবসর ও কল্যাণ সুবিধার অর্থ পেতে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন শিক্ষকেরা। তবে ৫ আগস্ট ক্ষমতার পটপরিবর্তনের পর এ খাতে ভোগান্তি আরও বেড়েছে। এর মূল কারণ ব্যাংক হিসাব-সংক্রান্ত জটিলতা ও তহবিল-সংকট। এ জন্য নতুন করে আবেদন অনুমোদন বন্ধ রয়েছে। শুধু আগে যেসব আবেদন অনুমোদন করা হয়েছিল, সেগুলোই নিয়ম অনুযায়ী পরিশোধের কাজ চলছে।
সূত্র আরও বলছে, মূলত দুটি কারণে দীর্ঘদিন ধরে অবসর ও কল্যাণ ভাতা সময়মতো পাচ্ছেন না শিক্ষক-কর্মচারীরা। এর একটি তহবিলের সংকট, অন্যটি ব্যবস্থাপনাগত জটিলতা।
জানতে চাইলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেন, বেসরকারি কল্যাণ ট্রাস্টে প্রতি মাসে ঘাটতি থাকে ১৩ কোটি, আর অবসর বোর্ডে ৪২ কোটি টাকা। এ জন্য ভাতা পরিশোধে দীর্ঘ জট সৃষ্টি হয়েছে। সব মিলিয়ে দুই দপ্তরে মাসে ঘাটতি হচ্ছে ৬৬০ কোটি টাকা। আর এখন পর্যন্ত যেসব আবেদন আছে, তা পরিশোধ করতে প্রয়োজন সাড়ে ৭ হাজার কোটি টাকা। তিনি আরও বলেন, পুরো প্রক্রিয়াটি ডিজিটাল না হওয়ায় ব্যবস্থাপনায় অনেক ফাঁকফোকর রয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে ‘বিশেষ’ সুপারিশে ভাতা পরিশোধের ক্রম লঙ্ঘন করা হয়। এ ছাড়া বর্তমানে ব্যাংকে যে প্রক্রিয়ায় ভাতা পাঠানো হয়, সেটিও জটিল। তবে সরকার পুরো প্রক্রিয়াটি ডিজিটাল করার কাজ শুরু করেছে। আশা করা হচ্ছে, আগামী ১ জানুয়ারি থেকে ইএফটির মাধ্যমে অর্থ পরিশোধ করা সম্ভব হবে।
শিক্ষাবিদেরা বলছেন, অবসর নেওয়ার পর প্রাপ্য ভাতা নিয়ে শিক্ষকদের ভোগান্তির শিকার হওয়া খুবই দুঃখজনক। এ বিষয়ে সরকারের উচিত দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া।
এ বিষয়ে শিক্ষাবিদ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, শিক্ষকদের অবসরের পর প্রাপ্য সুবিধা অবশ্যই যথাসময়ে দিতে হবে। তহবিল-সংকটের কথা বলে এ ক্ষেত্রে গড়িমসি অনুচিত, এটা বড় অন্যায়। প্রয়োজনে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করে হলেও শিক্ষকদের প্রাপ্য আর্থিক সুবিধা দ্রুত দিতে হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক তাহমিনা আখতার বলেন, ‘দুঃখজনক হলেও সত্য, এ দেশে শিক্ষককেরা সব সময়ই অবহেলিত। মানবিক দিক বিবেচনা করে সমস্যার সমাধানের জন্য সরকারের কাছে আহ্বান জানাই।’
সার্বিক বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন ও অর্থ) নুজহাত ইয়াসমিন বলেন, ‘মূলত তহবিল-সংকটের কারণে নিয়মিত শিক্ষক-কর্মচারীদের পাওনা পরিশোধ করা যাচ্ছে না। আমরা আন্তরিক এ সমস্যা সমাধানে।’
শেরপুর জেলার মাটিকাটা জিএম উচ্চ বিদ্যালয়ের জ্যেষ্ঠ শিক্ষক মোজাম্মেল হক অবসরে গেছেন ২০২১ সালে। অবসরকালীন আর্থিক সুবিধা পাওয়ার আশায় চাকরিরত অবস্থায় নিয়মিত চাঁদা দিয়েছেন তিনি। কিন্তু অবসর নেওয়ার পর প্রায় তিন বছর পার হলেও এখন পর্যন্ত প্রাপ্য আর্থিক সুবিধা পাননি।
একই অবস্থা ফেনীর এনায়েত উল্লাহ মহিলা কলেজের শিক্ষক করিম উদ্দিনের। তিনিও দুই বছর আগে কল্যাণ ও অবসর সুবিধার জন্য আলাদা আবেদন জমা দিয়েছেন। কিন্তু কোনো আবেদনই এখন পর্যন্ত অনুমোদন করেনি কর্তৃপক্ষ।
১৭ ডিসেম্বর রাজধানীর বাংলাদেশ শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর (ব্যানবেইস) কার্যালয়ে এ দুই শিক্ষকের সঙ্গে দেখা হয় এই প্রতিবেদকের। তাঁরা আক্ষেপ করে বলেন, অবসরে যাওয়ার পর আর্থিকভাবে সচ্ছল থাকার আশায় নিয়মিত চাঁদা দিয়েছেন। কিন্তু এখন অবসর সুবিধা পাওয়ার জন্য দিনের পর দিন ঘুরতে হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর কর্মকর্তাদের ভাষ্য, মূলত তহবিল-সংকটের কারণে নিয়মিত শিক্ষক-কর্মচারীদের প্রাপ্য ভাতা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। বর্তমানে ২০২১ সালের ডিসেম্বরের আবেদনগুলোর অর্থ ছাড় করা হচ্ছে।
এমপিওভুক্ত স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের ১৯৯০ সাল থেকে কল্যাণ ট্রাস্টের সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। ২০০৫ সাল থেকে শুরু হয়েছে অবসর সুবিধা দেওয়া। এই দুই সুবিধা বাবদ শিক্ষকেরা চাকরিকাল অনুযায়ী এককালীন অর্থ পান। সারা দেশে এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারী রয়েছেন ৫ লাখের বেশি।
আইন অনুযায়ী, শিক্ষক-কর্মচারীদের এমপিও (বেতনের সরকারি অংশ) থেকে চাঁদা হিসাবে প্রতি মাসে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ কেটে রাখা হয়। এর মধ্যে অবসর সুবিধা বোর্ড ৬ শতাংশ এবং কল্যাণ ট্রাস্ট ৪ শতাংশ পায়। এর বাইরে বিশেষ বা থোক বরাদ্দ এবং বিভিন্ন সময়ে সরকারের দেওয়া সিড মানি বা গচ্ছিত অর্থের লভ্যাংশ পায় সংস্থা দুটি।
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে জানা যায়, চলতি বছরের ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৩৬ হাজার ৭০০টি আবেদন অনিষ্পন্ন রয়েছে। এসব আবেদন নিষ্পত্তি অথবা পরিশোধ করতে প্রয়োজন ৩ হাজার ২০০ কোটি টাকা।
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ড থেকে জানা যায়, ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৩৭ হাজার আবেদন অনিষ্পন্ন রয়েছে। এসব আবেদন নিষ্পত্তি করতে প্রয়োজন প্রায় সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকা।
তহবিল-সংকট এবং ব্যবস্থাপনাগত ত্রুটি দূর করতে কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক এ বি এম রেজাউল করীম। পদাধিকারবলে দপ্তর দুটির বোর্ডে রয়েছেন তিনি।
অধ্যাপক রেজাউল করীম বলেন, ‘অর্থসংকট কাটাতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা চলছে। আর পুরো প্রক্রিয়াটিকে ডিজিটাল করার কাজও চলছে। আশা করছি, আগামী ১ জানুয়ারি থেকে অর্থ স্থানান্তর আইবাস প্লাস প্লাস সফটওয়্যারের ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফারের মাধ্যমে করা হবে। এতে ভোগান্তি কমবে ও দ্রুত অর্থছাড় হবে।’
সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর সূত্র বলছে, দীর্ঘদিন ধরেই অবসর ও কল্যাণ সুবিধার অর্থ পেতে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন শিক্ষকেরা। তবে ৫ আগস্ট ক্ষমতার পটপরিবর্তনের পর এ খাতে ভোগান্তি আরও বেড়েছে। এর মূল কারণ ব্যাংক হিসাব-সংক্রান্ত জটিলতা ও তহবিল-সংকট। এ জন্য নতুন করে আবেদন অনুমোদন বন্ধ রয়েছে। শুধু আগে যেসব আবেদন অনুমোদন করা হয়েছিল, সেগুলোই নিয়ম অনুযায়ী পরিশোধের কাজ চলছে।
সূত্র আরও বলছে, মূলত দুটি কারণে দীর্ঘদিন ধরে অবসর ও কল্যাণ ভাতা সময়মতো পাচ্ছেন না শিক্ষক-কর্মচারীরা। এর একটি তহবিলের সংকট, অন্যটি ব্যবস্থাপনাগত জটিলতা।
জানতে চাইলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেন, বেসরকারি কল্যাণ ট্রাস্টে প্রতি মাসে ঘাটতি থাকে ১৩ কোটি, আর অবসর বোর্ডে ৪২ কোটি টাকা। এ জন্য ভাতা পরিশোধে দীর্ঘ জট সৃষ্টি হয়েছে। সব মিলিয়ে দুই দপ্তরে মাসে ঘাটতি হচ্ছে ৬৬০ কোটি টাকা। আর এখন পর্যন্ত যেসব আবেদন আছে, তা পরিশোধ করতে প্রয়োজন সাড়ে ৭ হাজার কোটি টাকা। তিনি আরও বলেন, পুরো প্রক্রিয়াটি ডিজিটাল না হওয়ায় ব্যবস্থাপনায় অনেক ফাঁকফোকর রয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে ‘বিশেষ’ সুপারিশে ভাতা পরিশোধের ক্রম লঙ্ঘন করা হয়। এ ছাড়া বর্তমানে ব্যাংকে যে প্রক্রিয়ায় ভাতা পাঠানো হয়, সেটিও জটিল। তবে সরকার পুরো প্রক্রিয়াটি ডিজিটাল করার কাজ শুরু করেছে। আশা করা হচ্ছে, আগামী ১ জানুয়ারি থেকে ইএফটির মাধ্যমে অর্থ পরিশোধ করা সম্ভব হবে।
শিক্ষাবিদেরা বলছেন, অবসর নেওয়ার পর প্রাপ্য ভাতা নিয়ে শিক্ষকদের ভোগান্তির শিকার হওয়া খুবই দুঃখজনক। এ বিষয়ে সরকারের উচিত দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া।
এ বিষয়ে শিক্ষাবিদ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, শিক্ষকদের অবসরের পর প্রাপ্য সুবিধা অবশ্যই যথাসময়ে দিতে হবে। তহবিল-সংকটের কথা বলে এ ক্ষেত্রে গড়িমসি অনুচিত, এটা বড় অন্যায়। প্রয়োজনে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করে হলেও শিক্ষকদের প্রাপ্য আর্থিক সুবিধা দ্রুত দিতে হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক তাহমিনা আখতার বলেন, ‘দুঃখজনক হলেও সত্য, এ দেশে শিক্ষককেরা সব সময়ই অবহেলিত। মানবিক দিক বিবেচনা করে সমস্যার সমাধানের জন্য সরকারের কাছে আহ্বান জানাই।’
সার্বিক বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন ও অর্থ) নুজহাত ইয়াসমিন বলেন, ‘মূলত তহবিল-সংকটের কারণে নিয়মিত শিক্ষক-কর্মচারীদের পাওনা পরিশোধ করা যাচ্ছে না। আমরা আন্তরিক এ সমস্যা সমাধানে।’
আধুনিক কৃষির নামে সার ও কীটনাশক ব্যবহার করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। তিনি বলেন, ‘খাদ্য কেবল খাদ্য নয়, সাধুরা খাদ্যকে শরীর সেবা করা বলে থাকেন। আমরা যদি সুস্থভাবে বেঁচে থাকতে চাই, তাহলে আমাদের পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। কিন্তু খাবারের যে আধুনিক উৎপা
৭ ঘণ্টা আগেতথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ‘চলচ্চিত্র শিল্পের উন্নয়নে সরকার পৃষ্ঠপোষকতা করবে। চলচ্চিত্র জগতের দীর্ঘদিনের স্থবিরতা দূর করতেও সরকার কাজ করছে।’
৮ ঘণ্টা আগেঅন্তর্বর্তী সরকারের ভূমি এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফের প্রথম জানাজা নামাজ ধানমন্ডিতে সম্পন্ন হয়েছে। আজ শুক্রবার বাদ এশা ধানমন্ডি ৭ নম্বর বায়তুল আমান মসজিদে জানাজা নামাজ সম্পন্ন হয়।
৯ ঘণ্টা আগেপ্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস উপদেষ্টা হাসান আরিফের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। আজ শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেলে দুবাই থেকে তাঁকে বহনকারী একটি ফ্লাইট ঢাকায় অবতরণের সঙ্গে সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা বিমান ও পর্যটন উপদেষ্টা হাসান আরিফের মৃত্যুর খবর জানতে পারেন।
১০ ঘণ্টা আগে