Ajker Patrika

মিসরের নতুন যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে রাজি হামাস-যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েলের সাড়া নেই

অনলাইন ডেস্ক
১৫ মাসের সামরিক অভিযানে গাজা এখন ধ্বংসস্তূপ। ফাইল ছবি
১৫ মাসের সামরিক অভিযানে গাজা এখন ধ্বংসস্তূপ। ফাইল ছবি

গাজায় ইসরায়েলের হামলার পর হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে ভেস্তে যাওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তি পুনরুদ্ধারে মিসর নতুন প্রস্তাব দেওয়ার পর হামাস আলোচনার জন্য প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন সংগঠনটির জ্যেষ্ঠ নেতা ড. খলিল আল-হায়া। টেলিগ্রাম বিবৃতির বরাত দিয়ে আল-জাজিরা এ তথ্য জানিয়েছে।

বার্তা সংস্থা এপি ও রয়টার্সের তথ্য তুলে ধরে প্রতিবেদনে বলা হয়, যুদ্ধবিরতির খসড়া প্রস্তাব অনুযায়ী হামাস প্রতি সপ্তাহে ৫ জন করে জিম্মিকে মুক্তি দেবে। এর বিনিময়ে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় হামলা বন্ধ রাখবে নেতানিয়াহু। পাশাপাশি ইসরায়েলি কারাগার ফিলিস্তিনিদেরও মুক্তি দেওয়া হবে এবং গাজায় ত্রাণের বহর ঢুকতে কোনো বাধা দেবে না ইসরায়েল।

রয়টার্সের তথ্যমতে, যুদ্ধবিরতির সাত দিন পর ইসরায়েল গাজা থেকে সম্পূর্ণ সেনা প্রত্যাহার করবে। মিশরের প্রস্তাবিত খসড়া যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনায় সম্মত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রও। ইসরায়েলের তরফ থেকে এখনো কিছু জানা যায়নি।

তবে ইসরায়েলি গণমাধ্যমগুলো বলছে, মিসরের কাছ থেকে নতুন কোনো প্রস্তাব ইসরায়েল পায়নি। দেশটির প্রথম সারির সংবাদমাধ্যম দ্য টাইমস অব ইসরায়েল বলছে, যুদ্ধ বন্ধের নিশ্চয়তা ছাড়া জিম্মি ও বন্দী বিনিময়ের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবে হামাসকে রাজি করাতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন নেতানিয়াহু।

গত ১ মার্চ যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপ শেষ হওয়ার পর থেকেই সমাধানে পৌঁছানোর চেষ্টা করে আসছিল মধ্যস্থতাকারীরা। প্রাথমিক খসড়া অনুযায়ী দ্বিতীয় ধাপের বাস্তবায়ন চায় হামাস। অন্যদিকে ইসরায়েল চায় প্রথম ধাপের মেয়াদ বাড়াতে।

কায়রোর বৈঠকে ইসরায়েলের চাহিদামতো এপ্রিলের মাঝামাঝি পর্যন্ত যুদ্ধবিরতি বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছিলেন মার্কিন প্রতিনিধিরা। প্রস্তাবে বলা হয়, বর্ধিত সময়ে হামাস জিম্মিদের মুক্তি দেবে। ইসরায়েলও কারাগারে বন্দী ফিলিস্তিনিদের মুক্তি দেবে। কিন্তু এতে ফিলিস্তিনিদের স্বার্থ ক্ষুণ্ন হয়েছে অভিযোগ তুলে মার্কিন প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে হামাস। ফিলিস্তিনি এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ তথ্য জানিয়েছে।

৪২দিন করে তিন ধাপের যে যুদ্ধবিরতির কথা প্রথমে হয়েছিল তা বাস্তবায়ন সম্ভব হলে একপর্যায়ে যুদ্ধ শেষ হয়ে যেত, যা ইসরায়েল চায় না। প্রথম ধাপের ১৬তম দিন থেকে বিরতির দ্বিতীয় ধাপ নিয়ে আলোচনা শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তা নিয়ে টালবাহানা করতে করতে একেবারে শেষ পর্যায়ে আলোচনায় বসতে রাজি হয় ইসরায়েল। তবে, আলোচনার শুরু থেকেই তারা কেবল প্রথম ধাপ বর্ধিত করার প্রস্তাব দিয়ে আসছিল।

মিসরের এই প্রস্তাবের আগে গত ১৮ মার্চ যুদ্ধবিরতি চুক্তি বহাল থাকতেই হামাসের বিরুদ্ধে বিমান হামলার পাশাপাশি স্থল অভিযান চালায় ইসরায়েল। এর ফলে দুই মাস ধরে চলা তুলনামূলক শান্ত পরিস্থিতির অবসান ঘটে নতুন করে সংঘাত সৃষ্টি হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জাতীয় ঈদগাহে যাবেন না রাষ্ট্রপতি, ঈদুল ফিতরের নামাজ পড়বেন বঙ্গভবনে

ঈদুল ফিতরের নামাজের নিয়ত ও নিয়ম

নির্বাচনের আগে জোট নয়, এনসিপির সঙ্গে কাজ করার ইঙ্গিত বিএনপির

অগ্নিবীণা এক্সপ্রেসে অবৈধ যাত্রী ওঠানোর দায়ে ক্যাটারিং সার্ভিসের কার্যক্রম বন্ধ

চট্টগ্রামে দুই খুন: পুলিশের কাছে গিয়ে বাঁচানোর আকুতি জানিয়েছিলেন হতাহতরা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত