অনলাইন ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণের পরপরই গতকাল সোমবার এক নির্বাহী আদেশে দেশটির জন্মসূত্রে নাগরিকত্বের প্রক্রিয়া বাতিলের উদ্যোগ নিয়েছেন। হোয়াইট হাউসে ফিরে আসার পর এটি তাঁর প্রথম গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত। এই আদেশের ফলে, যেসব দম্পতির বৈধ অভিবাসীর মর্যাদা নেই যুক্তরাষ্ট্রে জন্ম নেওয়া তাদের শিশুদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে না আর।
নতুন নিয়ম অনুসারে, যদি শিশুর বাবা যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক বা স্থায়ী বাসিন্দা না হন এবং মা অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করেন বা শিক্ষার্থী, পর্যটক বা কর্মসংস্থান ভিসার মতো অস্থায়ী ভিসায় থাকেন, তাহলে সেই শিশু আর স্বয়ংক্রিয়ভাবে মার্কিন নাগরিকত্ব পাবে না।
আগামী ৩০ দিনের মধ্যেই এই নির্দেশ কার্যকর হবে। এর লক্ষ্য হলো, অবৈধভাবে বা অস্থায়ীভাবে বসবাসরত অভিভাবকের সন্তানদের নাগরিকত্বের অধিকার বাতিল করা। এ ঘোষণার পরই অভিবাসন অধিকার রক্ষাকারী সংগঠনগুলো গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় মামলা করেছে। তাদের দাবি, এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের শতাধিক বছরের নীতিমালা ও আইনি ব্যাখ্যাকে নাকচ করা হয়েছে।
ট্রাম্পের এই নির্বাহী আদেশ যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের ১৪ তম সংশোধনীর পরিপন্থী। ১৮৬৮ সালে এই সংশোধনী দাসপ্রথার অবসান-পরবর্তী নাগরিকত্বের বিষয়টি স্পষ্ট করতে গৃহীত হয়েছিল। এই সংশোধনী সাধারণভাবে যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে জন্ম নেওয়া যে কারও নাগরিকত্ব নিশ্চিত করে।
১৪ তম সংশোধনীতে বলা হয়েছে, ‘যে কেউ যুক্তরাষ্ট্রে জন্মগ্রহণ করেছে বা এখানে নাগরিক হয়েছে এবং এখানকার আইনের আওতায় রয়েছে, সে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক।’ তবে সমালোচকেরা মনে করেন, এটি অবৈধ অভিবাসীদের সন্তান বা ‘বার্থ টুরিজম’—এর মাধ্যমে জন্ম নেওয়া শিশুদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হওয়া উচিত নয়।
১৮৯৮ সালে মার্কিন সুপ্রিম কোর্টের এক সিদ্ধান্তে বলা হয়েছিল, যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ীভাবে বসবাসরত চীনা অভিবাসী দম্পতির সন্তানের নাগরিকত্ব অস্বীকার করা যাবে না। কিন্তু ট্রাম্পের আদেশে ‘আইনের আওতায় থাকা’ শব্দগুচ্ছের অর্থ নতুনভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
নতুন নিয়মে, যেসব শিশু যুক্তরাষ্ট্রে জন্ম নিলেও নাগরিকত্ব পাবে না, তাদের মধ্যে—যেসব শিশুর মায়েরা যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে অবস্থান করেছেন এবং বাবারা নাগরিক বা স্থায়ী বাসিন্দা নন এবং যেসব শিশুর মায়েরা বৈধভাবে অস্থায়ী ভিসায় (যেমন শিক্ষার্থী, কর্মসংস্থান বা পর্যটক ভিসা) যুক্তরাষ্ট্রে ছিলেন, কিন্তু বাবারা নাগরিক বা স্থায়ী বাসিন্দা নন এমন শিশুরা অন্তর্ভুক্ত।
ট্রাম্পের এই আদেশ অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে জন্ম নেওয়া কোনো শিশুর নাগরিকত্ব পেতে হলে তার বাবা-মায়ের যেকোনো একজনকে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক হতে হবে, স্থায়ী বাসিন্দা (গ্রিন কার্ডধারী) হতে হবে অথবা যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর সদস্য হতে হবে। উল্লেখ্য, আগামী ৩০ দিন যেসব শিশু যুক্তরাষ্ট্রে জন্ম নেবে তাদের ক্ষেত্রে পূর্বতন আইন কার্যকর হবে অর্থাৎ তারা মার্কিন নাগরিকত্ব পাবে।
এদিকে, ট্রাম্পের এই আদেশের বিরুদ্ধে নিউ হ্যাম্পশায়ারে একটি মামলা করা হয়েছে। মামলাকারীরা বলেছেন, এটি শিশু ও তাদের পরিবারকে সমাজ থেকে বাদ দেওয়ার হুমকি। এটি অসাংবিধানিক, কারণ, নাগরিকত্ব নির্ধারণের ক্ষমতা প্রেসিডেন্টের নয়, বরং সংবিধান ও কংগ্রেসের।
বেশির ভাগ আইন বিশেষজ্ঞের মতে, নির্বাহী আদেশ দিয়ে জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বাতিল করা সম্ভব নয়। ভার্জিনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সাইকৃষ্ণ প্রকাশ বলেন, ‘এই সিদ্ধান্ত অনেকের বিরক্তির কারণ হবে। তবে শেষ পর্যন্ত আদালতেই এর নিষ্পত্তি হবে। প্রেসিডেন্ট এককভাবে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে পারবেন না।’
তা ছাড়া, যদি কাউকে নাগরিকত্ব দিতে অস্বীকৃতি জানানো হয়, তবে আইনি লড়াই শুরু হবে, যা শেষ পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টে গড়াতে পারে। জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বাতিল করতে সংবিধান সংশোধনের প্রয়োজন হবে, যা কংগ্রেসের দুই কক্ষে দুই-তৃতীয়াংশ সমর্থন এবং ৫০টি অঙ্গরাজ্যের তিন-চতুর্থাংশের অনুমোদন ছাড়া সম্ভব নয়।
তথ্যসূত্র: সিএনবিসি ও বিবিসি
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণের পরপরই গতকাল সোমবার এক নির্বাহী আদেশে দেশটির জন্মসূত্রে নাগরিকত্বের প্রক্রিয়া বাতিলের উদ্যোগ নিয়েছেন। হোয়াইট হাউসে ফিরে আসার পর এটি তাঁর প্রথম গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত। এই আদেশের ফলে, যেসব দম্পতির বৈধ অভিবাসীর মর্যাদা নেই যুক্তরাষ্ট্রে জন্ম নেওয়া তাদের শিশুদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে না আর।
নতুন নিয়ম অনুসারে, যদি শিশুর বাবা যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক বা স্থায়ী বাসিন্দা না হন এবং মা অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করেন বা শিক্ষার্থী, পর্যটক বা কর্মসংস্থান ভিসার মতো অস্থায়ী ভিসায় থাকেন, তাহলে সেই শিশু আর স্বয়ংক্রিয়ভাবে মার্কিন নাগরিকত্ব পাবে না।
আগামী ৩০ দিনের মধ্যেই এই নির্দেশ কার্যকর হবে। এর লক্ষ্য হলো, অবৈধভাবে বা অস্থায়ীভাবে বসবাসরত অভিভাবকের সন্তানদের নাগরিকত্বের অধিকার বাতিল করা। এ ঘোষণার পরই অভিবাসন অধিকার রক্ষাকারী সংগঠনগুলো গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় মামলা করেছে। তাদের দাবি, এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের শতাধিক বছরের নীতিমালা ও আইনি ব্যাখ্যাকে নাকচ করা হয়েছে।
ট্রাম্পের এই নির্বাহী আদেশ যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের ১৪ তম সংশোধনীর পরিপন্থী। ১৮৬৮ সালে এই সংশোধনী দাসপ্রথার অবসান-পরবর্তী নাগরিকত্বের বিষয়টি স্পষ্ট করতে গৃহীত হয়েছিল। এই সংশোধনী সাধারণভাবে যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে জন্ম নেওয়া যে কারও নাগরিকত্ব নিশ্চিত করে।
১৪ তম সংশোধনীতে বলা হয়েছে, ‘যে কেউ যুক্তরাষ্ট্রে জন্মগ্রহণ করেছে বা এখানে নাগরিক হয়েছে এবং এখানকার আইনের আওতায় রয়েছে, সে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক।’ তবে সমালোচকেরা মনে করেন, এটি অবৈধ অভিবাসীদের সন্তান বা ‘বার্থ টুরিজম’—এর মাধ্যমে জন্ম নেওয়া শিশুদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হওয়া উচিত নয়।
১৮৯৮ সালে মার্কিন সুপ্রিম কোর্টের এক সিদ্ধান্তে বলা হয়েছিল, যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ীভাবে বসবাসরত চীনা অভিবাসী দম্পতির সন্তানের নাগরিকত্ব অস্বীকার করা যাবে না। কিন্তু ট্রাম্পের আদেশে ‘আইনের আওতায় থাকা’ শব্দগুচ্ছের অর্থ নতুনভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
নতুন নিয়মে, যেসব শিশু যুক্তরাষ্ট্রে জন্ম নিলেও নাগরিকত্ব পাবে না, তাদের মধ্যে—যেসব শিশুর মায়েরা যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে অবস্থান করেছেন এবং বাবারা নাগরিক বা স্থায়ী বাসিন্দা নন এবং যেসব শিশুর মায়েরা বৈধভাবে অস্থায়ী ভিসায় (যেমন শিক্ষার্থী, কর্মসংস্থান বা পর্যটক ভিসা) যুক্তরাষ্ট্রে ছিলেন, কিন্তু বাবারা নাগরিক বা স্থায়ী বাসিন্দা নন এমন শিশুরা অন্তর্ভুক্ত।
ট্রাম্পের এই আদেশ অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে জন্ম নেওয়া কোনো শিশুর নাগরিকত্ব পেতে হলে তার বাবা-মায়ের যেকোনো একজনকে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক হতে হবে, স্থায়ী বাসিন্দা (গ্রিন কার্ডধারী) হতে হবে অথবা যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর সদস্য হতে হবে। উল্লেখ্য, আগামী ৩০ দিন যেসব শিশু যুক্তরাষ্ট্রে জন্ম নেবে তাদের ক্ষেত্রে পূর্বতন আইন কার্যকর হবে অর্থাৎ তারা মার্কিন নাগরিকত্ব পাবে।
এদিকে, ট্রাম্পের এই আদেশের বিরুদ্ধে নিউ হ্যাম্পশায়ারে একটি মামলা করা হয়েছে। মামলাকারীরা বলেছেন, এটি শিশু ও তাদের পরিবারকে সমাজ থেকে বাদ দেওয়ার হুমকি। এটি অসাংবিধানিক, কারণ, নাগরিকত্ব নির্ধারণের ক্ষমতা প্রেসিডেন্টের নয়, বরং সংবিধান ও কংগ্রেসের।
বেশির ভাগ আইন বিশেষজ্ঞের মতে, নির্বাহী আদেশ দিয়ে জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বাতিল করা সম্ভব নয়। ভার্জিনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সাইকৃষ্ণ প্রকাশ বলেন, ‘এই সিদ্ধান্ত অনেকের বিরক্তির কারণ হবে। তবে শেষ পর্যন্ত আদালতেই এর নিষ্পত্তি হবে। প্রেসিডেন্ট এককভাবে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে পারবেন না।’
তা ছাড়া, যদি কাউকে নাগরিকত্ব দিতে অস্বীকৃতি জানানো হয়, তবে আইনি লড়াই শুরু হবে, যা শেষ পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টে গড়াতে পারে। জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বাতিল করতে সংবিধান সংশোধনের প্রয়োজন হবে, যা কংগ্রেসের দুই কক্ষে দুই-তৃতীয়াংশ সমর্থন এবং ৫০টি অঙ্গরাজ্যের তিন-চতুর্থাংশের অনুমোদন ছাড়া সম্ভব নয়।
তথ্যসূত্র: সিএনবিসি ও বিবিসি
ওয়াশিংটনের ক্যাপিটল হিলে সোমবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই অনুষ্ঠানে ট্রাম্পের সমর্থকদের উদ্দেশ্যে এক ভাষণে বিলিয়নিয়ার ইলন মাস্ক বলেন, ‘আপনাদের জন্যই এটা সম্ভব হয়েছে। ধন্যবাদ।’
৩৮ মিনিট আগেক্ষমতা গ্রহণের পরপরই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন মিমকয়েন ক্রিপ্টো জগতে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। গতকাল সোমবার পর্যন্ত কয়েনটির বাজার মূলধন ১০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে। তাঁর ক্রিপ্টোবান্ধব প্রশাসনের কারণে বিটকয়েনের দামও নতুন রেকর্ডে পৌঁছেছে।
২ ঘণ্টা আগেসকাল সাড়ে ৮টা থেকেই যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার কথা ছিল। গাজার আল-কিদরা পরিবারের কাছে এটি ছিল একটি দারুণ সুখবর। কারণ টানা ১৫ মাস ধরে ইসরায়েলি হামলা সহ্য করে টিকে ছিল পরিবারটি। এই সময়ের মধ্যে অবশ্য তারা একাধিক বার বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেডোনাল্ড ট্রাম্প, গাজা, ফিলিস্তিন, ইসরায়েল, নিষেধাজ্ঞা, জো বাইডেন, ইসরায়েল, প্রেসিডেন্ট, গাজা, পশ্চিম তীর, ফিলিস্তিনি, সহিংসতা, সেটলার, বসতি স্থাপনকারী, মার্কিন নিষেধাজ্ঞা
২ ঘণ্টা আগে