শান্তিতে নোবেল পেলেন ফিলিপাইন ও রাশিয়ার দুই সাংবাদিক

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ : ০৮ অক্টোবর ২০২১, ১৫: ১১
আপডেট : ০৮ অক্টোবর ২০২১, ১৫: ৩৫

এ বছর যৌথভাবে শান্তিতে নোবেল পেলেন দুই সাংবাদিক মারিয়া রেসা ও দিমিত্রি মুরাতভ। আজ শুক্রবার তাঁদের নাম ঘোষণা করে নরওয়ের নোবেল কমিটি।

দিমিত্রি মুরাতভ রাশিয়ার নাগরিক এবং মারিয়া রেস ফিলিপাইনের নাগরিক। তাঁরা দুজনই সাংবাদিক।  দুজনই মত প্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষায় বিশেষ ভূমিকা রেখেছেন। 

২০২০ সালে পুরস্কারটি পেয়েছিল জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি)।

সুইডিশ বিজ্ঞানী, ব্যবসায়ী ও মানবহিতৈষী আলফ্রেড নোবেল নিজে যে ছয়টি পুরস্কারের প্রবর্তন করেছিলেন শান্তিতে তার একটি।

নোবেল কমিটি জানিয়েছে, মারিয়া রেসা তাঁর দেশে মত প্রকাশের স্বাধীনতার অধিকারকে ব্যবহার করে ক্ষমতার অপব্যবহার, ক্ষমতা সংহত করতে সহিংসতার ব্যবহার এবং  ক্রমবর্ধমান স্বৈরতন্ত্রের মুখোশ উন্মোচন করেছেন।

আর দিমিত্র মুরাতভ কয়েক দশক ধরে রাশিয়ায় মত প্রকাশের স্বাধীনতার সপক্ষে লড়াই করে যাচ্ছেন। কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখেও হার মানেননি তিনি।

দিমিত্রি মুরাতভ রুশ পত্রিকা নোভায়া গেজেতা পত্রিকার প্রধান সম্পাদক ছিলেন। তিনি ১৯৯৫ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত ওই দায়িত্বে ছিলেন। দিমিত্রি মুরাতভের সময়ে নোভায়া গেজেতাকে রাশিয়ায় সত্যিকারের একমাত্র সমালোচনামূলক সংবাদপত্র বলা হতো। পত্রিকাটি সরকারের বিভিন্ন দুর্নীতি এবং মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে প্রতিবেদন ছাপানোর জন্য খ্যাতি পেয়েছে। 

২০০৭ সালে আমেরিকান বেসরকারি সংস্থা কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টসের ইন্টারন্যাশনাল প্রেস ফ্রিডম অ্যাওয়ার্ড জিতেন দিমিত্রি। এই পুরস্কার সেসব সাংবাদিককে দেওয়া হয় যারা হামলা, মামলার হুমকিকে উপেক্ষা সংবাদপত্রের স্বাধীনতা রক্ষায় সাহস দেখান। এ ছাড়া ২০১০ সালের ২৯ মে মত প্রকাশের স্বাধীনতায় অবদানের জন্য নেদারল্যান্ডসের ফোর ফ্রিডম অ্যাওয়ার্ড জেতে দিমিত্রি মুরাতভের সম্পাদিত পত্রিকা নোভায়া গেজেতা। 

ফিলিপাইনের নাগরিক মারিয়া রেসা প্রথম ফিলিপিনো যিনি নোবেল জিতলেন। তিনি প্রায় দুই দশক অনুসন্ধানী প্রতিবেদক হিসেবে মার্কিন সম্প্রচার মাধ্যম সিএনএন-এ কাজ করেছেন। তিনি ছিলেন দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া বিষয়ক প্রতিবেদক।

২০২০ সালে ফিলিপাইনের বিতর্কিত অ্যান্টি-সাইবার ক্রাইম আইনে অভিযুক্ত হন রেসা। এই আইন দিয়ে ফিলিপাইন সরকারের মূলত মত প্রকাশের স্বাধীনতা এবং মানবাধিকার সংগঠনগুলোকে দমাতে চেয়েছিল। ওই মামলার ২০১৯ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি গ্রেপ্তার হন তিনি। একজন ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে মিথ্যা খবর প্রকাশের অভিযোগে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

 ২০১৮ সালে মিথ্যা খবরের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য টাইমস পারসন অব দ্য ইয়ারে নাম ওঠে রেসার। 

প্যারিসভিত্তিক সংগঠন রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারসের শীর্ষ ২৫ ব্যক্তিত্বের মধ্যে অন্যতম মারিয়া রেসা।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত