
বর্ধিত পরিবারের সদস্যরা পরস্পরের সেবাযত্ন নিতে পারে। দাদা-দাদি, নানা-নানি, ফুপু-খালা, চাচা-মামারা ছোট শিশুর দেখাশোনার ক্ষেত্রে মা-বাবার সহায়ক হতে পারেন। মা-বাবা বৃদ্ধ হয়ে গেলে সন্তানদের পাশাপাশি ভাই-বোনের সন্তানেরাও তাঁদের যত্ন নিতে সহায়তা করতে পারে। স্বজনদের মধ্যে এ ধরনের পারস্পরিক সহায়তার ঐতিহ্য কয়েক শ বর্ষের।
তবে নতুন এক গবেষণা বলছে, মানুষের গড় আয়ু বাড়ার সঙ্গে সন্তান গ্রহণের পরিমাণ কমে আসায় বিশ্বজুড়ে বর্ধিত পরিবারের আকার ক্রমে ছোট হয়ে আসছে।
আন্তর্জাতিক জনমিতির ডেটা ব্যবহার করে গবেষকেরা বিশ্বজুড়ে প্রত্যেক দেশে পরিবারের গঠন বিশ্লেষণ করেছেন। তাঁদের অনুমান, ২০৯৫ সাল নাগাদ ৬৫ বছর বয়সী একজন নারীর মাত্র ২৫ জন জীবিত স্বজন থাকবে। অর্থাৎ ১৯৫০ সালে যেখানে তাঁর ৪১ জন জীবিত স্বজন থাকত, সেই সংখ্যা পাঁচ ভাগের দুই ভাগই কমে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এসব অনুমান থেকে ধারণা করা হচ্ছে, বিভিন্ন প্রজন্মের মধ্যে পারস্পরিক সহায়তা কমে যাওয়ার কারণে আগের তুলনায় এখন আরও বেশিসংখ্যক মানুষের ওপর পরিবারের বৃদ্ধ সদস্য ও শিশুদের দেখাশোনার চাপ বাড়বে। এ গবেষণায় প্রাতিষ্ঠানিক সেবাকেন্দ্রের সংখ্যা বাড়ানোর ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।
গত ডিসেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল একাডেমি অব সায়েন্সেসের প্রোসিডিংস সাময়িকীতে এ গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের জনমিতি বিশারদ শা জিয়াং বলেন, ‘কার্যকর সামাজিক সুরক্ষা বা অন্যান্য প্রাতিষ্ঠানিক সহায়তাব্যবস্থার অভাব রয়েছে এমন অনেক দেশে পারিবারিক কাঠামোর পরিবর্তন বোঝাটা জরুরি। এর পরিবর্তে সমাজ বয়স্কদের মতো সবচেয়ে নাজুক জনগোষ্ঠীর সহায়তার জন্য প্রায়শই পরিবারের ওপর নির্ভর করে।’
জিয়াং বলেন, এই গবেষণা থেকে গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রশ্ন উঠে এসেছে: বয়স্কদের সহায়তার জন্য ভবিষ্যতে পরিবারে যথেষ্ট সদস্য থাকবে কি না বা আমরা কি স্বজনদের দেখাশোনার জন্য পরিবারের ওপর খুব বেশি চাপ দিচ্ছি?
গবেষকেরা এ ধরনের প্রশ্নের উত্তর খুঁজে বের করার জন্য দীর্ঘমেয়াদি ডেটা বিশ্লেষণ করে দেখেছেন। জনমিতিবিদেরা বিশেষ করে, জনমিতি পরিবর্তন সম্পর্কিত তথ্য: উচ্চ জন্মহার ও মৃত্যুহারের পরিবর্তন বিশ্লেষণ করে দেখেছেন।
জার্মানির ম্যাক্স প্ল্যাংক ইনস্টিটিউট ফর ডেমোগ্রাফিক রিসার্চ ইন রোস্টকের সমাজবিজ্ঞানী এবং গবেষণা প্রতিবেদনটির প্রধান লেখক দিয়েগো আলবুরেজ-গুতেরেজ বলেন, অনেক গবেষণায় বিশ্বে বয়স্ক জনসংখ্যা বৃদ্ধির তথ্য উঠে এলেও, এ ধরনের পরিবর্তন কীভাবে বর্ধিত পরিবারকে এবং এগুলোর গঠনকে প্রভাবিত করে তা নিয়ে আলোচনা হয়নি।
গবেষণা প্রতিবেদনটিতে আলবুরেজ-গুতেরেজ এবং সহকর্মীরা পরিবারের গঠন ও স্বজনদের নেটওয়ার্ক নিয়ে তিনটি ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন। প্রথমত, সময়ের সঙ্গে বর্ধিত পরিবারের আকার ক্রমে ছোট হতে থাকবে। দ্বিতীয়ত, পরিবারের কাঠামোও সংকীর্ণ হয়ে আসবে। আলবুরেজ-গুতেরেজ বলেন, ‘একই প্রজন্মের মধ্যে কাছাকাছি বয়সের স্বজনের সংখ্যা কমে আসবে। অর্থাৎ মানুষের ভাই-বোন এবং তুতো ভাই-বোনের চেয়ে দাদা-দাদি, নানা-নানির সম্পর্ক এমন বয়স্ক স্বজনের সংখ্যা বেশি থাকবে। তৃতীয়ত, বেশি বয়সে সন্তান নেওয়ার কারণে বিভিন্ন প্রজন্মের মধ্যে বয়সের ব্যবধান বেড়ে যাবে।
পেনসিলভানিয়া স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞানী এবং জনমিতিবিদ অ্যাশটন ভারডারি বলেন, পাঁচ বছর আগেও বৈশ্বিকভাবে এমন ভবিষ্যদ্বাণী করা সম্ভব ছিল না। আগের জনমিতিবিষয়ক গবেষণায় একক পরিবারের (মা-বাবা ও সন্তান নিয়ে গঠিত পরিবার) ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। কারণ পরিবারের ভিত্তিতে তথ্য পাওয়া সহজ এবং এর পরিবর্তনগুলোও সহজেই নির্ণয় করা যায়।
ভারডারি বলেন, তুতো ভাই-বোন, খালা, ফুফু, চাচা, মামা এবং অন্যান্য স্বজন নিয়ে গঠিত বর্ধিত পরিবারের সদস্যসংখ্যা পরিবর্তনের ধারা নির্ধারণের পদ্ধতিগুলো গত দশকে ব্যাপক উন্নত হয়েছে। গবেষণা প্রতিবেদনটি নতুন উদ্ভাবিত পদ্ধতিগুলোর একটি চমৎকার প্রয়োগ।
গবেষণাটিতে স্বাস্থ্যসেবায় সম্ভাব্য কঠিন সমস্যার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। গবেষণার ফলাফল বলছে, লাতিন আমেরিকা ও সাব-সাহারা আফ্রিকার মতো যেসব অঞ্চলে জন্ম ও মৃত্যুর হার কমতে শুরু করেছে, সেসব দেশে বর্ধিত পরিবার অতি দ্রুত সংকুচিত হতে পারে। এই দেশগুলোর বেশির ভাগেরই বর্তমানে ক্রমবর্ধমান বয়স্ক জনগোষ্ঠীর যত্ন নেওয়ার ব্যবস্থা নেই এবং এই দেশগুলো সম্ভবত দ্রুত পরিবর্তনের সঙ্গে তাল মেলাতে হিমশিম খাবে বলে উল্লেখ করেন আলবুরেজ-গুতেরেজ।
চিকিৎসা, আর্থিক এবং মানসিক বোঝা যা আগে পরিবারের একাধিক সদস্যের ওপর বণ্টিত হতো, এখন তা একক সদস্যের ঘাড়ে চাপবে। এটি নিম্ন আয়ের এবং সাময়িকভাবে আর্থিক অনটনে থাকা ব্যক্তিদের ওপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করবে।
ভারডারি বলেন, জন্ম-মৃত্যুর হার কম এমন কয়েকটি দেশ এরই মধ্যে এই সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। চীনে পরিবারভিত্তিক যত্ন এখনো আদর্শ হিসেবে ধরা হয়। তবে দেশটিতে এখন বয়স্ক জনগোষ্ঠীর সংখ্যা বাড়ছে, কিন্তু ওই তুলনায় সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান নেই। পরিবারের সদস্যরা তাই প্রায়ই একই সঙ্গে নিজের সন্তান এবং মা-বাবার দেখাশোনা করার চাপে পড়ে যান। অনেকের ওপর অর্থনৈতিক চাপও বাড়ছে, কারণ তাঁকে পরিবারের বয়স্কদের দেখাশোনার ব্যয় বহন করতে হয়, সেই সঙ্গে সন্তান লালন-পালনের ব্য়য় সংকুলানও করতে হয়।
পরিবারকে বেশি সময় দেওয়ার জন্য অনেকে বিশেষ করে নারীরা কর্মক্ষেত্র থেকে ছিটকে পড়েন। বর্ধিত পরিবারের আকার ছোট হয়ে আসা মানে পরিবারের কোনো কোনো সদস্য সামাজিকভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়তে পারেন এবং অনেকে একাকিত্বেও ভুগতে পারেন।

বর্ধিত পরিবারের সদস্যরা পরস্পরের সেবাযত্ন নিতে পারে। দাদা-দাদি, নানা-নানি, ফুপু-খালা, চাচা-মামারা ছোট শিশুর দেখাশোনার ক্ষেত্রে মা-বাবার সহায়ক হতে পারেন। মা-বাবা বৃদ্ধ হয়ে গেলে সন্তানদের পাশাপাশি ভাই-বোনের সন্তানেরাও তাঁদের যত্ন নিতে সহায়তা করতে পারে। স্বজনদের মধ্যে এ ধরনের পারস্পরিক সহায়তার ঐতিহ্য কয়েক শ বর্ষের।
তবে নতুন এক গবেষণা বলছে, মানুষের গড় আয়ু বাড়ার সঙ্গে সন্তান গ্রহণের পরিমাণ কমে আসায় বিশ্বজুড়ে বর্ধিত পরিবারের আকার ক্রমে ছোট হয়ে আসছে।
আন্তর্জাতিক জনমিতির ডেটা ব্যবহার করে গবেষকেরা বিশ্বজুড়ে প্রত্যেক দেশে পরিবারের গঠন বিশ্লেষণ করেছেন। তাঁদের অনুমান, ২০৯৫ সাল নাগাদ ৬৫ বছর বয়সী একজন নারীর মাত্র ২৫ জন জীবিত স্বজন থাকবে। অর্থাৎ ১৯৫০ সালে যেখানে তাঁর ৪১ জন জীবিত স্বজন থাকত, সেই সংখ্যা পাঁচ ভাগের দুই ভাগই কমে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এসব অনুমান থেকে ধারণা করা হচ্ছে, বিভিন্ন প্রজন্মের মধ্যে পারস্পরিক সহায়তা কমে যাওয়ার কারণে আগের তুলনায় এখন আরও বেশিসংখ্যক মানুষের ওপর পরিবারের বৃদ্ধ সদস্য ও শিশুদের দেখাশোনার চাপ বাড়বে। এ গবেষণায় প্রাতিষ্ঠানিক সেবাকেন্দ্রের সংখ্যা বাড়ানোর ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।
গত ডিসেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল একাডেমি অব সায়েন্সেসের প্রোসিডিংস সাময়িকীতে এ গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের জনমিতি বিশারদ শা জিয়াং বলেন, ‘কার্যকর সামাজিক সুরক্ষা বা অন্যান্য প্রাতিষ্ঠানিক সহায়তাব্যবস্থার অভাব রয়েছে এমন অনেক দেশে পারিবারিক কাঠামোর পরিবর্তন বোঝাটা জরুরি। এর পরিবর্তে সমাজ বয়স্কদের মতো সবচেয়ে নাজুক জনগোষ্ঠীর সহায়তার জন্য প্রায়শই পরিবারের ওপর নির্ভর করে।’
জিয়াং বলেন, এই গবেষণা থেকে গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রশ্ন উঠে এসেছে: বয়স্কদের সহায়তার জন্য ভবিষ্যতে পরিবারে যথেষ্ট সদস্য থাকবে কি না বা আমরা কি স্বজনদের দেখাশোনার জন্য পরিবারের ওপর খুব বেশি চাপ দিচ্ছি?
গবেষকেরা এ ধরনের প্রশ্নের উত্তর খুঁজে বের করার জন্য দীর্ঘমেয়াদি ডেটা বিশ্লেষণ করে দেখেছেন। জনমিতিবিদেরা বিশেষ করে, জনমিতি পরিবর্তন সম্পর্কিত তথ্য: উচ্চ জন্মহার ও মৃত্যুহারের পরিবর্তন বিশ্লেষণ করে দেখেছেন।
জার্মানির ম্যাক্স প্ল্যাংক ইনস্টিটিউট ফর ডেমোগ্রাফিক রিসার্চ ইন রোস্টকের সমাজবিজ্ঞানী এবং গবেষণা প্রতিবেদনটির প্রধান লেখক দিয়েগো আলবুরেজ-গুতেরেজ বলেন, অনেক গবেষণায় বিশ্বে বয়স্ক জনসংখ্যা বৃদ্ধির তথ্য উঠে এলেও, এ ধরনের পরিবর্তন কীভাবে বর্ধিত পরিবারকে এবং এগুলোর গঠনকে প্রভাবিত করে তা নিয়ে আলোচনা হয়নি।
গবেষণা প্রতিবেদনটিতে আলবুরেজ-গুতেরেজ এবং সহকর্মীরা পরিবারের গঠন ও স্বজনদের নেটওয়ার্ক নিয়ে তিনটি ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন। প্রথমত, সময়ের সঙ্গে বর্ধিত পরিবারের আকার ক্রমে ছোট হতে থাকবে। দ্বিতীয়ত, পরিবারের কাঠামোও সংকীর্ণ হয়ে আসবে। আলবুরেজ-গুতেরেজ বলেন, ‘একই প্রজন্মের মধ্যে কাছাকাছি বয়সের স্বজনের সংখ্যা কমে আসবে। অর্থাৎ মানুষের ভাই-বোন এবং তুতো ভাই-বোনের চেয়ে দাদা-দাদি, নানা-নানির সম্পর্ক এমন বয়স্ক স্বজনের সংখ্যা বেশি থাকবে। তৃতীয়ত, বেশি বয়সে সন্তান নেওয়ার কারণে বিভিন্ন প্রজন্মের মধ্যে বয়সের ব্যবধান বেড়ে যাবে।
পেনসিলভানিয়া স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞানী এবং জনমিতিবিদ অ্যাশটন ভারডারি বলেন, পাঁচ বছর আগেও বৈশ্বিকভাবে এমন ভবিষ্যদ্বাণী করা সম্ভব ছিল না। আগের জনমিতিবিষয়ক গবেষণায় একক পরিবারের (মা-বাবা ও সন্তান নিয়ে গঠিত পরিবার) ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। কারণ পরিবারের ভিত্তিতে তথ্য পাওয়া সহজ এবং এর পরিবর্তনগুলোও সহজেই নির্ণয় করা যায়।
ভারডারি বলেন, তুতো ভাই-বোন, খালা, ফুফু, চাচা, মামা এবং অন্যান্য স্বজন নিয়ে গঠিত বর্ধিত পরিবারের সদস্যসংখ্যা পরিবর্তনের ধারা নির্ধারণের পদ্ধতিগুলো গত দশকে ব্যাপক উন্নত হয়েছে। গবেষণা প্রতিবেদনটি নতুন উদ্ভাবিত পদ্ধতিগুলোর একটি চমৎকার প্রয়োগ।
গবেষণাটিতে স্বাস্থ্যসেবায় সম্ভাব্য কঠিন সমস্যার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। গবেষণার ফলাফল বলছে, লাতিন আমেরিকা ও সাব-সাহারা আফ্রিকার মতো যেসব অঞ্চলে জন্ম ও মৃত্যুর হার কমতে শুরু করেছে, সেসব দেশে বর্ধিত পরিবার অতি দ্রুত সংকুচিত হতে পারে। এই দেশগুলোর বেশির ভাগেরই বর্তমানে ক্রমবর্ধমান বয়স্ক জনগোষ্ঠীর যত্ন নেওয়ার ব্যবস্থা নেই এবং এই দেশগুলো সম্ভবত দ্রুত পরিবর্তনের সঙ্গে তাল মেলাতে হিমশিম খাবে বলে উল্লেখ করেন আলবুরেজ-গুতেরেজ।
চিকিৎসা, আর্থিক এবং মানসিক বোঝা যা আগে পরিবারের একাধিক সদস্যের ওপর বণ্টিত হতো, এখন তা একক সদস্যের ঘাড়ে চাপবে। এটি নিম্ন আয়ের এবং সাময়িকভাবে আর্থিক অনটনে থাকা ব্যক্তিদের ওপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করবে।
ভারডারি বলেন, জন্ম-মৃত্যুর হার কম এমন কয়েকটি দেশ এরই মধ্যে এই সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। চীনে পরিবারভিত্তিক যত্ন এখনো আদর্শ হিসেবে ধরা হয়। তবে দেশটিতে এখন বয়স্ক জনগোষ্ঠীর সংখ্যা বাড়ছে, কিন্তু ওই তুলনায় সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান নেই। পরিবারের সদস্যরা তাই প্রায়ই একই সঙ্গে নিজের সন্তান এবং মা-বাবার দেখাশোনা করার চাপে পড়ে যান। অনেকের ওপর অর্থনৈতিক চাপও বাড়ছে, কারণ তাঁকে পরিবারের বয়স্কদের দেখাশোনার ব্যয় বহন করতে হয়, সেই সঙ্গে সন্তান লালন-পালনের ব্য়য় সংকুলানও করতে হয়।
পরিবারকে বেশি সময় দেওয়ার জন্য অনেকে বিশেষ করে নারীরা কর্মক্ষেত্র থেকে ছিটকে পড়েন। বর্ধিত পরিবারের আকার ছোট হয়ে আসা মানে পরিবারের কোনো কোনো সদস্য সামাজিকভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়তে পারেন এবং অনেকে একাকিত্বেও ভুগতে পারেন।

কম্বোডিয়ার সীমান্তবর্তী শহর পোইপেতের কাছে একটি রসদ কেন্দ্র লক্ষ্য করে বোমা হামলা চালিয়েছে থাইল্যান্ড। পোইপেত শহরটি থাই-কম্বোডিয়া সীমান্তের সবচেয়ে বড় স্থলবন্দর এবং ক্যাসিনোর জন্য বিশেষভাবে পরিচিত। সাম্প্রতিক সীমান্ত সংঘর্ষ থামার কোনো লক্ষণ না দেখানোর মধ্যেই এই হামলার ঘটনা ঘটল।
১০ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি ১৯৭১ সালের স্বাধীনতাযুদ্ধের পর ভারতের জন্য ‘সবচেয়ে বড় কৌশলগত চ্যালেঞ্জ’ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কংগ্রেস নেতা শশী থারুরের নেতৃত্বে ভারতের একটি সংসদীয় কমিটি সরকারকে দেওয়া এক প্রতিবেদনে এই সতর্কবার্তা দিয়েছে। কমিটি জানিয়েছে, বাংলাদেশে পরিস্থিতি হয়তো ‘বিশৃঙ্খলা...
১১ ঘণ্টা আগে
২০২৫ সালে উত্তর কোরিয়ার হ্যাকাররা রেকর্ড পরিমাণ ক্রিপ্টোকারেন্সি চুরি করেছে। ব্লকচেইন তথ্য বিশ্লেষণ প্ল্যাটফর্ম ‘চেইনঅ্যানালিসিস’-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে—চলতি বছরে দেশটি অন্তত ২ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার মূল্যের ডিজিটাল সম্পদ হাতিয়ে নিয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় ৫১ শতাংশ বেশি।
১২ ঘণ্টা আগে
অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই বিচে ইহুদি উৎসবকে লক্ষ্য করে ভয়াবহ বন্দুক হামলার পর দেশটিতে ঘৃণামূলক বক্তব্য ও উগ্রবাদ দমনে কঠোর আইন প্রণয়নের ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজ। গত ১৪ ডিসেম্বর ইহুদি ধর্মাবলম্বীদের হানুক্কাহ উৎসবের প্রথম দিন উপলক্ষে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে দুই বন্দুকধারীর গুলিতে
১৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

কম্বোডিয়ার সীমান্তবর্তী শহর পোইপেতের কাছে একটি রসদ কেন্দ্র লক্ষ্য করে বোমা হামলা চালিয়েছে থাইল্যান্ড। পোইপেত শহরটি থাই-কম্বোডিয়া সীমান্তের সবচেয়ে বড় স্থলবন্দর এবং ক্যাসিনোর জন্য বিশেষভাবে পরিচিত। সাম্প্রতিক সীমান্ত সংঘর্ষ থামার কোনো লক্ষণ না দেখানোর মধ্যেই এই হামলার ঘটনা ঘটল।
কম্বোডিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) স্থানীয় সময় সকাল ১১টার দিকে পোইপেত পৌর এলাকায় থাই বাহিনী দুটি বোমা ফেলেছে। অন্যদিকে থাইল্যান্ডের বিমানবাহিনীর মুখপাত্র এয়ার মার্শাল জ্যাকক্রিট থাম্মাভিচাই জানিয়েছেন, পোইপেতের বাইরে অবস্থিত একটি স্থাপনায় হামলা চালানো হয়েছে, যেখানে বিএম-২১ রকেট মজুত করা হচ্ছিল। তাঁর দাবি, এই অভিযানে কোনো বেসামরিক নাগরিক ক্ষতিগ্রস্ত হননি।
বিবিসি জানিয়েছে, বিএম-২১ রকেট সাধারণত সাঁজোয়া যান থেকে একযোগে একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপে ব্যবহৃত হয়। পোইপেত শহরে এই ধরনের হামলার ঘটনা চলমান সংঘাতে প্রথম বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই শহরটি থাই জুয়াড়িদের কাছে জনপ্রিয় ক্যাসিনো কেন্দ্র হিসেবেও পরিচিত।
চলতি মাসে নতুন করে শুরু হওয়া সংঘর্ষে থাইল্যান্ডে অন্তত ২১ জন এবং কম্বোডিয়ায় ১৭ জন নিহত হয়েছেন বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। পাশাপাশি প্রায় ৮ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। গত মঙ্গলবার থাইল্যান্ড জানিয়েছিল, কম্বোডিয়া সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়ায় পাঁচ থেকে ছয় হাজার থাই নাগরিক পোইপেতে আটকা পড়েছেন। কম্বোডিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সীমান্ত বন্ধকে বেসামরিক নাগরিকদের নিরাপত্তার জন্য ‘প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ’ বলে উল্লেখ করেছে এবং জানিয়েছে, দেশ ছাড়ার জন্য আকাশপথ খোলা রয়েছে।
থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার শত বছরের পুরোনো সীমান্ত বিরোধ গত ২৪ জুলাই ভয়াবহ আকার ধারণ করে, যখন কম্বোডিয়া থাইল্যান্ডে রকেট হামলা চালায় এবং পাল্টা জবাবে থাইল্যান্ড বিমান হামলা শুরু করে। পাঁচ দিনব্যাপী তীব্র লড়াইয়ের পর মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেওয়া হলেও সেটি গত সপ্তাহে আবার ভেস্তে যায়। সর্বশেষ দফায় উভয় পক্ষই একে অপরকে সংঘর্ষ পুনরায় শুরুর জন্য দায়ী করছে।

কম্বোডিয়ার সীমান্তবর্তী শহর পোইপেতের কাছে একটি রসদ কেন্দ্র লক্ষ্য করে বোমা হামলা চালিয়েছে থাইল্যান্ড। পোইপেত শহরটি থাই-কম্বোডিয়া সীমান্তের সবচেয়ে বড় স্থলবন্দর এবং ক্যাসিনোর জন্য বিশেষভাবে পরিচিত। সাম্প্রতিক সীমান্ত সংঘর্ষ থামার কোনো লক্ষণ না দেখানোর মধ্যেই এই হামলার ঘটনা ঘটল।
কম্বোডিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) স্থানীয় সময় সকাল ১১টার দিকে পোইপেত পৌর এলাকায় থাই বাহিনী দুটি বোমা ফেলেছে। অন্যদিকে থাইল্যান্ডের বিমানবাহিনীর মুখপাত্র এয়ার মার্শাল জ্যাকক্রিট থাম্মাভিচাই জানিয়েছেন, পোইপেতের বাইরে অবস্থিত একটি স্থাপনায় হামলা চালানো হয়েছে, যেখানে বিএম-২১ রকেট মজুত করা হচ্ছিল। তাঁর দাবি, এই অভিযানে কোনো বেসামরিক নাগরিক ক্ষতিগ্রস্ত হননি।
বিবিসি জানিয়েছে, বিএম-২১ রকেট সাধারণত সাঁজোয়া যান থেকে একযোগে একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপে ব্যবহৃত হয়। পোইপেত শহরে এই ধরনের হামলার ঘটনা চলমান সংঘাতে প্রথম বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই শহরটি থাই জুয়াড়িদের কাছে জনপ্রিয় ক্যাসিনো কেন্দ্র হিসেবেও পরিচিত।
চলতি মাসে নতুন করে শুরু হওয়া সংঘর্ষে থাইল্যান্ডে অন্তত ২১ জন এবং কম্বোডিয়ায় ১৭ জন নিহত হয়েছেন বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। পাশাপাশি প্রায় ৮ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। গত মঙ্গলবার থাইল্যান্ড জানিয়েছিল, কম্বোডিয়া সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়ায় পাঁচ থেকে ছয় হাজার থাই নাগরিক পোইপেতে আটকা পড়েছেন। কম্বোডিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সীমান্ত বন্ধকে বেসামরিক নাগরিকদের নিরাপত্তার জন্য ‘প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ’ বলে উল্লেখ করেছে এবং জানিয়েছে, দেশ ছাড়ার জন্য আকাশপথ খোলা রয়েছে।
থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার শত বছরের পুরোনো সীমান্ত বিরোধ গত ২৪ জুলাই ভয়াবহ আকার ধারণ করে, যখন কম্বোডিয়া থাইল্যান্ডে রকেট হামলা চালায় এবং পাল্টা জবাবে থাইল্যান্ড বিমান হামলা শুরু করে। পাঁচ দিনব্যাপী তীব্র লড়াইয়ের পর মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেওয়া হলেও সেটি গত সপ্তাহে আবার ভেস্তে যায়। সর্বশেষ দফায় উভয় পক্ষই একে অপরকে সংঘর্ষ পুনরায় শুরুর জন্য দায়ী করছে।

আন্তর্জাতিক জনমিতির ডেটা ব্যবহার করে গবেষকেরা বিশ্বজুড়ে প্রতিটি দেশে পরিবারের গঠন বিশ্লেষণ করেছেন। তাঁদের অনুমান, ২০৯৫ সাল নাগাদ ৬৫ বছর বয়সী একজন নারীর মাত্র ২৫ জন জীবিত স্বজন থাকবে। অর্থাৎ ১৯৫০ সালে যেখানে তাঁর ৪১ জন জীবিত স্বজন থাকত, সে সংখ্যা পাঁচ ভাগের দুই ভাগই কমে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি ১৯৭১ সালের স্বাধীনতাযুদ্ধের পর ভারতের জন্য ‘সবচেয়ে বড় কৌশলগত চ্যালেঞ্জ’ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কংগ্রেস নেতা শশী থারুরের নেতৃত্বে ভারতের একটি সংসদীয় কমিটি সরকারকে দেওয়া এক প্রতিবেদনে এই সতর্কবার্তা দিয়েছে। কমিটি জানিয়েছে, বাংলাদেশে পরিস্থিতি হয়তো ‘বিশৃঙ্খলা...
১১ ঘণ্টা আগে
২০২৫ সালে উত্তর কোরিয়ার হ্যাকাররা রেকর্ড পরিমাণ ক্রিপ্টোকারেন্সি চুরি করেছে। ব্লকচেইন তথ্য বিশ্লেষণ প্ল্যাটফর্ম ‘চেইনঅ্যানালিসিস’-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে—চলতি বছরে দেশটি অন্তত ২ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার মূল্যের ডিজিটাল সম্পদ হাতিয়ে নিয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় ৫১ শতাংশ বেশি।
১২ ঘণ্টা আগে
অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই বিচে ইহুদি উৎসবকে লক্ষ্য করে ভয়াবহ বন্দুক হামলার পর দেশটিতে ঘৃণামূলক বক্তব্য ও উগ্রবাদ দমনে কঠোর আইন প্রণয়নের ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজ। গত ১৪ ডিসেম্বর ইহুদি ধর্মাবলম্বীদের হানুক্কাহ উৎসবের প্রথম দিন উপলক্ষে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে দুই বন্দুকধারীর গুলিতে
১৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি ১৯৭১ সালের স্বাধীনতাযুদ্ধের পর ভারতের জন্য ‘সবচেয়ে বড় কৌশলগত চ্যালেঞ্জ’ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কংগ্রেস নেতা শশী থারুরের নেতৃত্বে ভারতের একটি সংসদীয় কমিটি আজ বৃহস্পতিবার সরকারকে দেওয়া এক প্রতিবেদনে এই সতর্কবার্তা দিয়েছে। কমিটি জানিয়েছে, বাংলাদেশে পরিস্থিতি হয়তো ‘বিশৃঙ্খলা বা অরাজকতায় পর্যবসিত হবে না’, তবে ভারতকে এটি মোকাবিলায় অত্যন্ত সতর্ক হতে হবে।
সংসদীয় কমিটি তাদের প্রতিবেদনে ১৯৭১ সালের সংকটের সঙ্গে বর্তমান পরিস্থিতির তুলনা করে বলেছে, ১৯৭১ সালে চ্যালেঞ্জ ছিল অস্তিত্ব রক্ষা, মানবিক সংকট ও একটি নতুন জাতির জন্ম নিয়ে। তবে বর্তমান চ্যালেঞ্জটি আরও গুরুতর এবং এটি একটি ‘প্রজন্মগত বিচ্ছিন্নতা’। রাজনৈতিক ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন এবং ভারতের দিক থেকে সরে যাওয়ার সম্ভাব্য কৌশলগত পুনর্বিন্যাস।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের সাম্প্রতিক অস্থিরতার পেছনে কয়েকটি কারণ একসঙ্গে কাজ করছে—ইসলামপন্থী চরমপন্থার উত্থান, চীন ও পাকিস্তানের প্রভাব বৃদ্ধি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক আধিপত্যের পতন।
কমিটি সরকারের কাছে একাধিক সুপারিশ জমা দিয়েছে এবং স্পষ্টভাবে বলেছে, ভারত যদি এই মুহূর্তে নিজেকে নতুন করে মানিয়ে নিতে ব্যর্থ হয়, তবে যুদ্ধের কারণে নয়, বরং ‘অপ্রাসঙ্গিক’ হয়ে পড়ার কারণে ঢাকা থেকে কৌশলগত নিয়ন্ত্রণ হারানোর ঝুঁকিতে পড়বে।
কমিটি বাংলাদেশ-পাকিস্তান সম্পর্ক পুনর্গঠন ও চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। বিশেষ করে, অবকাঠামো উন্নয়ন, বন্দর সম্প্রসারণ ও প্রতিরক্ষা সহযোগিতায় চীনের সক্রিয়তার কথা তুলে ধরা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে মোংলা বন্দরের সম্প্রসারণ, লালমনিরহাট বিমানঘাঁটি ও পেকুয়ায় সাবমেরিন ঘাঁটির উদাহরণ দেওয়া হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, পেকুয়ার ওই ঘাঁটিতে আটটি সাবমেরিন রাখার সক্ষমতা রয়েছে, যদিও বাংলাদেশের কাছে বর্তমানে মাত্র দুটি সাবমেরিন আছে।
কমিটির মতে, চীন বাংলাদেশের সব রাজনৈতিক গোষ্ঠীর সঙ্গেই যোগাযোগ বাড়াচ্ছে, যার মধ্যে জামায়াতে ইসলামীও রয়েছে। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, এই ইসলামপন্থী দলটির প্রতিনিধিরা সম্প্রতি চীন সফরও করেছেন।
এই প্রেক্ষাপটে কমিটি সুপারিশ করেছে, বাংলাদেশে কোনো বিদেশি শক্তি যাতে সামরিক ঘাঁটি স্থাপন করতে না পারে, সে বিষয়ে কঠোর নজরদারি রাখতে হবে। পাশাপাশি উন্নয়ন, যোগাযোগব্যবস্থা ও বন্দর ব্যবহারের ক্ষেত্রে ঢাকাকে প্রতিযোগিতামূলক সুবিধা দেওয়ার উদ্যোগ নিতে হবে, যা অন্য কোনো দেশ (যেমন চীন) দিতে পারবে না।
বাংলাদেশে ইসলামপন্থী দলগুলোর প্রভাব বাড়ার বিষয়েও উদ্বেগ জানিয়েছে কমিটি। আগে নিষিদ্ধ থাকা জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন ফিরে পাওয়া এবং নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগ তৈরি হওয়াকে কমিটি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে।
অন্যদিকে, ঢাকার অন্তর্বর্তী সরকার আওয়ামী লীগের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে, যার ফলে দলটি নির্বাচনে অংশ নিতে পারছে না। কমিটি মনে করে, আওয়ামী লীগকে বাইরে রেখে নির্বাচন হলে এর ‘গ্রহণযোগ্যতা’ নিয়ে প্রশ্ন উঠবে।
তথ্যসূত্র: এনডিটিভি

বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি ১৯৭১ সালের স্বাধীনতাযুদ্ধের পর ভারতের জন্য ‘সবচেয়ে বড় কৌশলগত চ্যালেঞ্জ’ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কংগ্রেস নেতা শশী থারুরের নেতৃত্বে ভারতের একটি সংসদীয় কমিটি আজ বৃহস্পতিবার সরকারকে দেওয়া এক প্রতিবেদনে এই সতর্কবার্তা দিয়েছে। কমিটি জানিয়েছে, বাংলাদেশে পরিস্থিতি হয়তো ‘বিশৃঙ্খলা বা অরাজকতায় পর্যবসিত হবে না’, তবে ভারতকে এটি মোকাবিলায় অত্যন্ত সতর্ক হতে হবে।
সংসদীয় কমিটি তাদের প্রতিবেদনে ১৯৭১ সালের সংকটের সঙ্গে বর্তমান পরিস্থিতির তুলনা করে বলেছে, ১৯৭১ সালে চ্যালেঞ্জ ছিল অস্তিত্ব রক্ষা, মানবিক সংকট ও একটি নতুন জাতির জন্ম নিয়ে। তবে বর্তমান চ্যালেঞ্জটি আরও গুরুতর এবং এটি একটি ‘প্রজন্মগত বিচ্ছিন্নতা’। রাজনৈতিক ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন এবং ভারতের দিক থেকে সরে যাওয়ার সম্ভাব্য কৌশলগত পুনর্বিন্যাস।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের সাম্প্রতিক অস্থিরতার পেছনে কয়েকটি কারণ একসঙ্গে কাজ করছে—ইসলামপন্থী চরমপন্থার উত্থান, চীন ও পাকিস্তানের প্রভাব বৃদ্ধি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক আধিপত্যের পতন।
কমিটি সরকারের কাছে একাধিক সুপারিশ জমা দিয়েছে এবং স্পষ্টভাবে বলেছে, ভারত যদি এই মুহূর্তে নিজেকে নতুন করে মানিয়ে নিতে ব্যর্থ হয়, তবে যুদ্ধের কারণে নয়, বরং ‘অপ্রাসঙ্গিক’ হয়ে পড়ার কারণে ঢাকা থেকে কৌশলগত নিয়ন্ত্রণ হারানোর ঝুঁকিতে পড়বে।
কমিটি বাংলাদেশ-পাকিস্তান সম্পর্ক পুনর্গঠন ও চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। বিশেষ করে, অবকাঠামো উন্নয়ন, বন্দর সম্প্রসারণ ও প্রতিরক্ষা সহযোগিতায় চীনের সক্রিয়তার কথা তুলে ধরা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে মোংলা বন্দরের সম্প্রসারণ, লালমনিরহাট বিমানঘাঁটি ও পেকুয়ায় সাবমেরিন ঘাঁটির উদাহরণ দেওয়া হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, পেকুয়ার ওই ঘাঁটিতে আটটি সাবমেরিন রাখার সক্ষমতা রয়েছে, যদিও বাংলাদেশের কাছে বর্তমানে মাত্র দুটি সাবমেরিন আছে।
কমিটির মতে, চীন বাংলাদেশের সব রাজনৈতিক গোষ্ঠীর সঙ্গেই যোগাযোগ বাড়াচ্ছে, যার মধ্যে জামায়াতে ইসলামীও রয়েছে। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, এই ইসলামপন্থী দলটির প্রতিনিধিরা সম্প্রতি চীন সফরও করেছেন।
এই প্রেক্ষাপটে কমিটি সুপারিশ করেছে, বাংলাদেশে কোনো বিদেশি শক্তি যাতে সামরিক ঘাঁটি স্থাপন করতে না পারে, সে বিষয়ে কঠোর নজরদারি রাখতে হবে। পাশাপাশি উন্নয়ন, যোগাযোগব্যবস্থা ও বন্দর ব্যবহারের ক্ষেত্রে ঢাকাকে প্রতিযোগিতামূলক সুবিধা দেওয়ার উদ্যোগ নিতে হবে, যা অন্য কোনো দেশ (যেমন চীন) দিতে পারবে না।
বাংলাদেশে ইসলামপন্থী দলগুলোর প্রভাব বাড়ার বিষয়েও উদ্বেগ জানিয়েছে কমিটি। আগে নিষিদ্ধ থাকা জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন ফিরে পাওয়া এবং নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগ তৈরি হওয়াকে কমিটি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে।
অন্যদিকে, ঢাকার অন্তর্বর্তী সরকার আওয়ামী লীগের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে, যার ফলে দলটি নির্বাচনে অংশ নিতে পারছে না। কমিটি মনে করে, আওয়ামী লীগকে বাইরে রেখে নির্বাচন হলে এর ‘গ্রহণযোগ্যতা’ নিয়ে প্রশ্ন উঠবে।
তথ্যসূত্র: এনডিটিভি

আন্তর্জাতিক জনমিতির ডেটা ব্যবহার করে গবেষকেরা বিশ্বজুড়ে প্রতিটি দেশে পরিবারের গঠন বিশ্লেষণ করেছেন। তাঁদের অনুমান, ২০৯৫ সাল নাগাদ ৬৫ বছর বয়সী একজন নারীর মাত্র ২৫ জন জীবিত স্বজন থাকবে। অর্থাৎ ১৯৫০ সালে যেখানে তাঁর ৪১ জন জীবিত স্বজন থাকত, সে সংখ্যা পাঁচ ভাগের দুই ভাগই কমে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
কম্বোডিয়ার সীমান্তবর্তী শহর পোইপেতের কাছে একটি রসদ কেন্দ্র লক্ষ্য করে বোমা হামলা চালিয়েছে থাইল্যান্ড। পোইপেত শহরটি থাই-কম্বোডিয়া সীমান্তের সবচেয়ে বড় স্থলবন্দর এবং ক্যাসিনোর জন্য বিশেষভাবে পরিচিত। সাম্প্রতিক সীমান্ত সংঘর্ষ থামার কোনো লক্ষণ না দেখানোর মধ্যেই এই হামলার ঘটনা ঘটল।
১০ ঘণ্টা আগে
২০২৫ সালে উত্তর কোরিয়ার হ্যাকাররা রেকর্ড পরিমাণ ক্রিপ্টোকারেন্সি চুরি করেছে। ব্লকচেইন তথ্য বিশ্লেষণ প্ল্যাটফর্ম ‘চেইনঅ্যানালিসিস’-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে—চলতি বছরে দেশটি অন্তত ২ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার মূল্যের ডিজিটাল সম্পদ হাতিয়ে নিয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় ৫১ শতাংশ বেশি।
১২ ঘণ্টা আগে
অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই বিচে ইহুদি উৎসবকে লক্ষ্য করে ভয়াবহ বন্দুক হামলার পর দেশটিতে ঘৃণামূলক বক্তব্য ও উগ্রবাদ দমনে কঠোর আইন প্রণয়নের ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজ। গত ১৪ ডিসেম্বর ইহুদি ধর্মাবলম্বীদের হানুক্কাহ উৎসবের প্রথম দিন উপলক্ষে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে দুই বন্দুকধারীর গুলিতে
১৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

২০২৫ সালে উত্তর কোরিয়ার হ্যাকাররা রেকর্ড পরিমাণ ক্রিপ্টোকারেন্সি চুরি করেছে। ব্লকচেইন তথ্য বিশ্লেষণ প্ল্যাটফর্ম ‘চেইনঅ্যানালিসিস’-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে—চলতি বছরে দেশটি অন্তত ২ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার মূল্যের ডিজিটাল সম্পদ হাতিয়ে নিয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় ৫১ শতাংশ বেশি। একই সঙ্গে বৈশ্বিক পর্যায়ে সংঘটিত সব ধরনের ক্রিপটো সেবা-সংক্রান্ত হ্যাকিং ঘটনার ৭৬ শতাংশের জন্য উত্তর কোরিয়া দায়ী—ইতিহাসে যা সর্বোচ্চ।
প্রতিবেদন অনুযায়ী—বিভিন্ন ক্রিপটো এক্সচেঞ্জ, কাস্টডিয়ান এবং ওয়েব ৩ প্রতিষ্ঠানে অনুপ্রবেশ এই রেকর্ড চুরির পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছে উত্তর কোরিয়ার আইটি কর্মীরা। এসব কর্মী প্রাথমিকভাবে ভেতরে প্রবেশাধিকার তৈরি করে এবং পরে বড় পরিসরের চুরির পথ সুগম করে তোলে। চেইনঅ্যানালিসিস বলছে, এই কৌশল হ্যাকারদের দ্রুত ও কার্যকরভাবে বড় অঙ্কের সম্পদ হাতাতে সহায়তা করছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) নিক্কেই এশিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৫ সালে ক্রিপটো চুরির মোট পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩.৪ বিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে গত ফেব্রুয়ারিতে বিখ্যাত ক্রিপটো এক্সচেঞ্জ বাইবিটে সংঘটিত এক হামলাতেই ১.৫ বিলিয়ন ডলার চুরি হয়ে যায়। বিশ্লেষকদের মতে, এই হামলার পেছনে ছিল উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা পাওয়া হ্যাকার গ্রুপ ‘লাজারাস’।
চুরি করা অর্থ পাচারের জন্য উত্তর কোরিয়ার হ্যাকাররা প্রায়ই চীনের কিছু সেবার ওপর নির্ভর করে। চেইনঅ্যানালিসিস-এর জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান অ্যান্ড্রু ফিয়ারম্যান জানান, এসব চীনা মানি লন্ডারিং নেটওয়ার্ক ইচ্ছাকৃতভাবে অবৈধ অর্থ সাদা করতে সহায়তা করে।
আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার কারণে উত্তর কোরিয়া বৈদেশিক আর্থিক ব্যবস্থায় সহজে লেনদেন করতে পারে না। জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার আরোপিত নিষেধাজ্ঞা দেশটিকে সামরিক ও অস্ত্র কর্মসূচির অর্থ জোগাড়ে অবৈধ পথ বেছে নিতে বাধ্য করেছে। গবেষকদের মতে, একসময় আদর্শগত উদ্দেশ্যে সাইবার হামলা চালালেও এখন উত্তর কোরিয়ার হ্যাকিং কার্যক্রমের মূল লক্ষ্য হচ্ছে আর্থিক লাভ নিশ্চিত করা।

২০২৫ সালে উত্তর কোরিয়ার হ্যাকাররা রেকর্ড পরিমাণ ক্রিপ্টোকারেন্সি চুরি করেছে। ব্লকচেইন তথ্য বিশ্লেষণ প্ল্যাটফর্ম ‘চেইনঅ্যানালিসিস’-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে—চলতি বছরে দেশটি অন্তত ২ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার মূল্যের ডিজিটাল সম্পদ হাতিয়ে নিয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় ৫১ শতাংশ বেশি। একই সঙ্গে বৈশ্বিক পর্যায়ে সংঘটিত সব ধরনের ক্রিপটো সেবা-সংক্রান্ত হ্যাকিং ঘটনার ৭৬ শতাংশের জন্য উত্তর কোরিয়া দায়ী—ইতিহাসে যা সর্বোচ্চ।
প্রতিবেদন অনুযায়ী—বিভিন্ন ক্রিপটো এক্সচেঞ্জ, কাস্টডিয়ান এবং ওয়েব ৩ প্রতিষ্ঠানে অনুপ্রবেশ এই রেকর্ড চুরির পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছে উত্তর কোরিয়ার আইটি কর্মীরা। এসব কর্মী প্রাথমিকভাবে ভেতরে প্রবেশাধিকার তৈরি করে এবং পরে বড় পরিসরের চুরির পথ সুগম করে তোলে। চেইনঅ্যানালিসিস বলছে, এই কৌশল হ্যাকারদের দ্রুত ও কার্যকরভাবে বড় অঙ্কের সম্পদ হাতাতে সহায়তা করছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) নিক্কেই এশিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৫ সালে ক্রিপটো চুরির মোট পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩.৪ বিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে গত ফেব্রুয়ারিতে বিখ্যাত ক্রিপটো এক্সচেঞ্জ বাইবিটে সংঘটিত এক হামলাতেই ১.৫ বিলিয়ন ডলার চুরি হয়ে যায়। বিশ্লেষকদের মতে, এই হামলার পেছনে ছিল উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা পাওয়া হ্যাকার গ্রুপ ‘লাজারাস’।
চুরি করা অর্থ পাচারের জন্য উত্তর কোরিয়ার হ্যাকাররা প্রায়ই চীনের কিছু সেবার ওপর নির্ভর করে। চেইনঅ্যানালিসিস-এর জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান অ্যান্ড্রু ফিয়ারম্যান জানান, এসব চীনা মানি লন্ডারিং নেটওয়ার্ক ইচ্ছাকৃতভাবে অবৈধ অর্থ সাদা করতে সহায়তা করে।
আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার কারণে উত্তর কোরিয়া বৈদেশিক আর্থিক ব্যবস্থায় সহজে লেনদেন করতে পারে না। জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার আরোপিত নিষেধাজ্ঞা দেশটিকে সামরিক ও অস্ত্র কর্মসূচির অর্থ জোগাড়ে অবৈধ পথ বেছে নিতে বাধ্য করেছে। গবেষকদের মতে, একসময় আদর্শগত উদ্দেশ্যে সাইবার হামলা চালালেও এখন উত্তর কোরিয়ার হ্যাকিং কার্যক্রমের মূল লক্ষ্য হচ্ছে আর্থিক লাভ নিশ্চিত করা।

আন্তর্জাতিক জনমিতির ডেটা ব্যবহার করে গবেষকেরা বিশ্বজুড়ে প্রতিটি দেশে পরিবারের গঠন বিশ্লেষণ করেছেন। তাঁদের অনুমান, ২০৯৫ সাল নাগাদ ৬৫ বছর বয়সী একজন নারীর মাত্র ২৫ জন জীবিত স্বজন থাকবে। অর্থাৎ ১৯৫০ সালে যেখানে তাঁর ৪১ জন জীবিত স্বজন থাকত, সে সংখ্যা পাঁচ ভাগের দুই ভাগই কমে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
কম্বোডিয়ার সীমান্তবর্তী শহর পোইপেতের কাছে একটি রসদ কেন্দ্র লক্ষ্য করে বোমা হামলা চালিয়েছে থাইল্যান্ড। পোইপেত শহরটি থাই-কম্বোডিয়া সীমান্তের সবচেয়ে বড় স্থলবন্দর এবং ক্যাসিনোর জন্য বিশেষভাবে পরিচিত। সাম্প্রতিক সীমান্ত সংঘর্ষ থামার কোনো লক্ষণ না দেখানোর মধ্যেই এই হামলার ঘটনা ঘটল।
১০ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি ১৯৭১ সালের স্বাধীনতাযুদ্ধের পর ভারতের জন্য ‘সবচেয়ে বড় কৌশলগত চ্যালেঞ্জ’ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কংগ্রেস নেতা শশী থারুরের নেতৃত্বে ভারতের একটি সংসদীয় কমিটি সরকারকে দেওয়া এক প্রতিবেদনে এই সতর্কবার্তা দিয়েছে। কমিটি জানিয়েছে, বাংলাদেশে পরিস্থিতি হয়তো ‘বিশৃঙ্খলা...
১১ ঘণ্টা আগে
অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই বিচে ইহুদি উৎসবকে লক্ষ্য করে ভয়াবহ বন্দুক হামলার পর দেশটিতে ঘৃণামূলক বক্তব্য ও উগ্রবাদ দমনে কঠোর আইন প্রণয়নের ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজ। গত ১৪ ডিসেম্বর ইহুদি ধর্মাবলম্বীদের হানুক্কাহ উৎসবের প্রথম দিন উপলক্ষে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে দুই বন্দুকধারীর গুলিতে
১৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই বিচে ইহুদি উৎসবকে লক্ষ্য করে ভয়াবহ বন্দুক হামলার পর দেশটিতে ঘৃণামূলক বক্তব্য ও উগ্রবাদ দমনে কঠোর আইন প্রণয়নের ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজ। গত ১৪ ডিসেম্বর ইহুদি ধর্মাবলম্বীদের হানুক্কাহ উৎসবের প্রথম দিন উপলক্ষে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে দুই বন্দুকধারীর গুলিতে অন্তত ১৫ জন নিহত হন। এই হামলাকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে উদ্বেগ ও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
ক্যানবেরায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে প্রধানমন্ত্রী অ্যালবানিজ বলেন, নতুন আইন মূলত যারা ঘৃণা, বিভাজন ও উগ্রবাদ ছড়ায়—তাদের লক্ষ্য করেই আনা হবে। তিনি জানান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীকে এমন ব্যক্তিদের ভিসা বাতিল বা প্রত্যাখ্যানের ক্ষমতা দেওয়া হবে, যারা ঘৃণামূলক বক্তব্য প্রচার করে। পাশাপাশি শিক্ষা ব্যবস্থায় ইহুদিবিদ্বেষ প্রতিরোধ, মোকাবিলা ও যথাযথ প্রতিক্রিয়া নিশ্চিত করতে একটি বিশেষ টাস্কফোর্স গঠন করা হবে।
প্রস্তাবিত আইনের আওতায় সহিংসতা উসকে দেওয়া ধর্মীয় বক্তা ও নেতাদের জন্য শাস্তির বিধান ছাড়াও ‘অ্যাগ্রাভেটেড হেট স্পিচ’ নামে অপরাধের একটি নতুন সংজ্ঞা সংযোজন করা হবে। অনলাইনে হুমকি ও হয়রানির ক্ষেত্রে শাস্তি নির্ধারণে বিদ্বেষ ছড়ানোনে গুরুতর উপাদান হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। অ্যালবানিজ বলেন, ‘প্রত্যেক ইহুদি অস্ট্রেলিয়ানের নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ ও সম্মানিত বোধ করার অধিকার রয়েছে।’
এই হামলার পর দেশটিতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। নিউ সাউথ ওয়েলস পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) দক্ষিণ-পশ্চিম সিডনিতে সাতজনকে আটক করা হয়েছে, যাদের বিরুদ্ধে সম্ভাব্য সহিংস কর্মকাণ্ডের পরিকল্পনার তথ্য পাওয়া গিয়েছিল। তবে পুলিশ বলছে, বন্ডাই হামলার সঙ্গে এই ঘটনার সরাসরি কোনো যোগসূত্র পাওয়া যায়নি।
এদিকে সরকারের ঘোষণাকে স্বাগত জানালেও কিছু সংগঠন উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। ইহুদি কাউন্সিল অব অস্ট্রেলিয়া জানিয়েছে, বন্দুক নিয়ন্ত্রণ ও অনলাইনে বিদ্বেষ ছড়ানোর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ প্রশংসনীয় হলেও, কিছু প্রস্তাব ইসরায়েলপন্থী লবির পুরোনো দাবির সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ, যা সহিংস উগ্রবাদ দমনের চেয়ে মতপ্রকাশ সীমিত করতে পারে। সংগঠনটির নির্বাহী কর্মকর্তা ড. ম্যাক্স কাইজার সতর্ক করে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় বা সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানে মতাদর্শিক নজরদারি চালানো হলে তা ইহুদিদের নিরাপত্তা বাড়ানোর বদলে আরও ঝুঁকিতে ফেলতে পারে।’
এদিকে প্রধানমন্ত্রী স্বীকার করেছেন, গত ৭ অক্টোবর হামাসের ইসরায়েল আক্রমণের পর থেকে অস্ট্রেলিয়ায় ইহুদিবিদ্বেষ রোধে সরকার আরও কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারত। তিনি বলেন, ‘আমার দায়িত্ব শুধু ভুল স্বীকার করা নয়, জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করাও।’

অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই বিচে ইহুদি উৎসবকে লক্ষ্য করে ভয়াবহ বন্দুক হামলার পর দেশটিতে ঘৃণামূলক বক্তব্য ও উগ্রবাদ দমনে কঠোর আইন প্রণয়নের ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজ। গত ১৪ ডিসেম্বর ইহুদি ধর্মাবলম্বীদের হানুক্কাহ উৎসবের প্রথম দিন উপলক্ষে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে দুই বন্দুকধারীর গুলিতে অন্তত ১৫ জন নিহত হন। এই হামলাকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে উদ্বেগ ও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
ক্যানবেরায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে প্রধানমন্ত্রী অ্যালবানিজ বলেন, নতুন আইন মূলত যারা ঘৃণা, বিভাজন ও উগ্রবাদ ছড়ায়—তাদের লক্ষ্য করেই আনা হবে। তিনি জানান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীকে এমন ব্যক্তিদের ভিসা বাতিল বা প্রত্যাখ্যানের ক্ষমতা দেওয়া হবে, যারা ঘৃণামূলক বক্তব্য প্রচার করে। পাশাপাশি শিক্ষা ব্যবস্থায় ইহুদিবিদ্বেষ প্রতিরোধ, মোকাবিলা ও যথাযথ প্রতিক্রিয়া নিশ্চিত করতে একটি বিশেষ টাস্কফোর্স গঠন করা হবে।
প্রস্তাবিত আইনের আওতায় সহিংসতা উসকে দেওয়া ধর্মীয় বক্তা ও নেতাদের জন্য শাস্তির বিধান ছাড়াও ‘অ্যাগ্রাভেটেড হেট স্পিচ’ নামে অপরাধের একটি নতুন সংজ্ঞা সংযোজন করা হবে। অনলাইনে হুমকি ও হয়রানির ক্ষেত্রে শাস্তি নির্ধারণে বিদ্বেষ ছড়ানোনে গুরুতর উপাদান হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। অ্যালবানিজ বলেন, ‘প্রত্যেক ইহুদি অস্ট্রেলিয়ানের নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ ও সম্মানিত বোধ করার অধিকার রয়েছে।’
এই হামলার পর দেশটিতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। নিউ সাউথ ওয়েলস পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) দক্ষিণ-পশ্চিম সিডনিতে সাতজনকে আটক করা হয়েছে, যাদের বিরুদ্ধে সম্ভাব্য সহিংস কর্মকাণ্ডের পরিকল্পনার তথ্য পাওয়া গিয়েছিল। তবে পুলিশ বলছে, বন্ডাই হামলার সঙ্গে এই ঘটনার সরাসরি কোনো যোগসূত্র পাওয়া যায়নি।
এদিকে সরকারের ঘোষণাকে স্বাগত জানালেও কিছু সংগঠন উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। ইহুদি কাউন্সিল অব অস্ট্রেলিয়া জানিয়েছে, বন্দুক নিয়ন্ত্রণ ও অনলাইনে বিদ্বেষ ছড়ানোর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ প্রশংসনীয় হলেও, কিছু প্রস্তাব ইসরায়েলপন্থী লবির পুরোনো দাবির সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ, যা সহিংস উগ্রবাদ দমনের চেয়ে মতপ্রকাশ সীমিত করতে পারে। সংগঠনটির নির্বাহী কর্মকর্তা ড. ম্যাক্স কাইজার সতর্ক করে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় বা সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানে মতাদর্শিক নজরদারি চালানো হলে তা ইহুদিদের নিরাপত্তা বাড়ানোর বদলে আরও ঝুঁকিতে ফেলতে পারে।’
এদিকে প্রধানমন্ত্রী স্বীকার করেছেন, গত ৭ অক্টোবর হামাসের ইসরায়েল আক্রমণের পর থেকে অস্ট্রেলিয়ায় ইহুদিবিদ্বেষ রোধে সরকার আরও কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারত। তিনি বলেন, ‘আমার দায়িত্ব শুধু ভুল স্বীকার করা নয়, জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করাও।’

আন্তর্জাতিক জনমিতির ডেটা ব্যবহার করে গবেষকেরা বিশ্বজুড়ে প্রতিটি দেশে পরিবারের গঠন বিশ্লেষণ করেছেন। তাঁদের অনুমান, ২০৯৫ সাল নাগাদ ৬৫ বছর বয়সী একজন নারীর মাত্র ২৫ জন জীবিত স্বজন থাকবে। অর্থাৎ ১৯৫০ সালে যেখানে তাঁর ৪১ জন জীবিত স্বজন থাকত, সে সংখ্যা পাঁচ ভাগের দুই ভাগই কমে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
কম্বোডিয়ার সীমান্তবর্তী শহর পোইপেতের কাছে একটি রসদ কেন্দ্র লক্ষ্য করে বোমা হামলা চালিয়েছে থাইল্যান্ড। পোইপেত শহরটি থাই-কম্বোডিয়া সীমান্তের সবচেয়ে বড় স্থলবন্দর এবং ক্যাসিনোর জন্য বিশেষভাবে পরিচিত। সাম্প্রতিক সীমান্ত সংঘর্ষ থামার কোনো লক্ষণ না দেখানোর মধ্যেই এই হামলার ঘটনা ঘটল।
১০ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি ১৯৭১ সালের স্বাধীনতাযুদ্ধের পর ভারতের জন্য ‘সবচেয়ে বড় কৌশলগত চ্যালেঞ্জ’ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কংগ্রেস নেতা শশী থারুরের নেতৃত্বে ভারতের একটি সংসদীয় কমিটি সরকারকে দেওয়া এক প্রতিবেদনে এই সতর্কবার্তা দিয়েছে। কমিটি জানিয়েছে, বাংলাদেশে পরিস্থিতি হয়তো ‘বিশৃঙ্খলা...
১১ ঘণ্টা আগে
২০২৫ সালে উত্তর কোরিয়ার হ্যাকাররা রেকর্ড পরিমাণ ক্রিপ্টোকারেন্সি চুরি করেছে। ব্লকচেইন তথ্য বিশ্লেষণ প্ল্যাটফর্ম ‘চেইনঅ্যানালিসিস’-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে—চলতি বছরে দেশটি অন্তত ২ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার মূল্যের ডিজিটাল সম্পদ হাতিয়ে নিয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় ৫১ শতাংশ বেশি।
১২ ঘণ্টা আগে