উদ্বেগকে পাত্তা না দিয়ে ফের সাগরে তেজস্ক্রিয় বর্জ্য ফেলেছে জাপান

অনলাইন ডেস্ক
Thumbnail image

বিভিন্ন দেশের উদ্বেগ সত্ত্বেও ফুকুশিমা দাইচি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে সাগরে আবারও তেজস্ক্রিয় বর্জ্য পানি ফেলেছে জাপান। স্থানীয় সময় আজ বুধবার তেজস্ক্রিয় বর্জ্য পানি ফেলা হয়েছে। টোকিও-ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম কিয়োডো নিউজ বলেছে, মার্চে শেষ হতে যাওয়া অর্থবছরের মধ্যে এবারই শেষবারের মতো এই বর্জ্য সাগরে ফেলা হয়েছে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে খবরটি দিয়েছে। বিদ্যুৎকেন্দ্রটির অপারেটর টোকিও ইলেকট্রিক পাওয়ার কোম্পানি হোল্ডিংস ইনকরপোরেটেড (টেপকো) বলেছে যে, সাগরে বর্জ্য ফেলা চলবে ১৭ দিন ধরে। এ ক্ষেত্রে সরকার দ্বারা নির্ধারিত মান পূরণ করা হবে।

গত সপ্তাহে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি থেকে সাগরে দূষিত পানি ফেলার খবর ফাঁস হওয়ার পর জাপান সরকার গতকাল মঙ্গলবার টেপকোর উদ্দেশে কঠোর সতর্কতা জারি করেছে।

জাপান গত আগস্টে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটি থেকে পরিশোধিত তেজস্ক্রিয় বর্জ্য পানি ছাড়া শুরু করে। চীন এবং দক্ষিণ কোরিয়া ও সোলোমন দ্বীপপুঞ্জের কর্তৃপক্ষ এ পদক্ষেপের কঠোর সমালোচনা করে।

তুরস্কের সংবাদমাধ্যম আনাদোলুর প্রতিবেদন অনুসারে, তেজস্ক্রিয় দূষণের আশঙ্কায় টোকিও পানি ছাড়ার পরিকল্পনা নিয়ে কাজ শুরুর পরে ছয় মাসের জন্য জাপান থেকে সব ধরনের সামুদ্রিক খাবার আমদানি স্থগিত করেছিল বেইজিং।

ফুকুশিমা দাইচি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে আগামী ৩০ বছরে ১০ লাখ টনেরও বেশি পরিশোধিত বর্জ্যপানি অবমুক্ত করা হবে।

২০১১ সালে জাপানের পূর্ব উপকূলে দেশটিতে এ পর্যন্ত রেকর্ড করা সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্পে ফুকুশিমা দাইচি পারমাণবিক কেন্দ্র মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তখন কেন্দ্রটির পারমাণবিক চুল্লি গলে গিয়ে বিশাল এলাকাজুড়ে তেজস্ক্রিয়তা ছড়িয়ে পড়েছিল।

১৯৮৬ সালে চেরনোবিলের পর সবচেয়ে বড় পারমাণবিক দুর্ঘটনা হিসেবে দেখা হয় এটিকে। এ দুর্ঘটনার পরই জাপান ফুকুশিমা পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ করতে বাধ্য হয়।
 
বেইজিং বলেছে যে, জাপানের পারমাণবিক দূষিত বর্জ্য পানি পার্শ্ববর্তী সমুদ্রে ফেলা শুধু মানব স্বাস্থ্যের জন্যই নয়, বৈশ্বিক সামুদ্রিক পরিবেশ এবং আন্তর্জাতিক জনস্বার্থের জন্যও ঝুঁকিপূর্ণ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত