
ভূমধ্যসাগরের তীরে অবস্থিত গাজা উপত্যকা। প্রাচীনকাল থেকেই সমুদ্রপথে বাণিজ্যের জন্য পরিচিত এই অঞ্চল। ১৯১৭ সাল পর্যন্ত অটোমান সাম্রাজ্যের অধীনে থাকার পর ব্রিটিশ শাসন থেকে এই অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নেয় মিসর। এরপর গত শতাব্দীর শেষভাগ থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে গাজার প্রায় ২০ লাখেরও বেশি মানুষ। গত শনিবার থেকে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের বিমান হামলা।
গাজার সাম্প্রতিক ইতিহাসের কিছু প্রধান ঘটনা এখানে তুলে ধরা হলো।
১৯৪৮-ব্রিটিশ শাসনের সমাপ্তি
১৯৪০=এর দশকের শেষ দিকে ফিলিস্তিনে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের অবসান ঘটলে সেখানে ইহুদি ও আরবদের মধ্যে সহিংসতা তীব্র আকার ধারণ করে। নতুন প্রতিষ্ঠিত রাষ্ট্র ইসরায়েলের সঙ্গে এর আরব প্রতিবেশীদের সংঘর্ষ ১৯৪৮ সালের মে মাসে যুদ্ধের রূপ নেয়। হাজার হাজার ফিলিস্তিনি তাদের বাড়িঘর থেকে পালিয়ে গাজায় আশ্রয় নেয়।
উত্তরে সিনাই ঠেকে দক্ষিণে অ্যাশকেলন পর্যন্ত বিস্তৃত প্রায় ২৫ মাইল (৪০ কিলোমিটার) দীর্ঘ উপত্যকার দখল নেয় মিসরীয় সেনাবাহিনী। শরণার্থীদের আগমনে গাজার জনসংখ্যা তিন গুণ বেড়ে হয় প্রায় ২ লাখ।
১৯৫০ ও ৬০-এর দশক—মিসরীয় বাহিনীর শাসন
সামরিক শাসনের অধীনে গাজার নিয়ন্ত্রণ দুই দশক ধরে রাখে মিসর। ফিলিস্তিনিদের মিসরে কাজ এবং পড়াশোনা করার অনুমতিও দেওয়া হয়। বেশির ভাগ শরণার্থী নিয়ে গঠিত ফিলিস্তিনি গেরিলা গ্রুপ ফেদায়েন প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য ইসরায়েলে হামলা চালায়।
ইউএনআরডব্লিউএ নামে গাজায় একটি শরণার্থী সংস্থা খোলে জাতিসংঘ। সংস্থাটি গাজায় প্রায় ১৬ লাখ নিবন্ধিত ফিলিস্তিনি উদ্বাস্তুদের পাশাপাশি জর্ডান, লেবানন, সিরিয়া এবং পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের জন্য নানা সেবা দিয়ে আসছে।
১৯৬৭-যুদ্ধ এবং ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর দখল
১৯৬৭ সালের মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধে গাজা উপত্যকা দখল করে নেয় ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। সে বছরই ইসরায়েলের করা এক আদমশুমারিতে গাজায় জনসংখ্যা ৩ লাখ ৯৪ হাজার বলে উল্লেখ করা যায়; যার ৬০ শতাংশই শরণার্থী।
মিসরীয়দের চলে যাওয়ায় গাজার অনেক শ্রমিক ইসরায়েলের অভ্যন্তরে কৃষি, নির্মাণ এবং পরিষেবা শিল্পে চাকরি নিয়েছিল। অঞ্চলটি পরিচালনার দায়িত্বে ছিল ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। পরবর্তী দশকগুলোতে তৈরি করা ইসরায়েলি বসতিগুলো পাহারা দেওয়ার জন্য রয়ে যায় সৈন্যরা। আর এগুলোই হয়ে ওঠে ফিলিস্তিনিদের ক্রমবর্ধমান ক্ষোভের উৎস।
১৯৮৭-ফিলিস্তিনের প্রথম গণজাগরণ ও হামাস গঠন
১৯৬৭ সালের যুদ্ধের ২০ বছর পর ফিলিস্তিনিদের প্রথম ইন্তিফাদা বা গণজাগরণের সূচনা হয়। ১৯৮৭ সালের ডিসেম্বরে গাজার জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে ফিলিস্তিনি শ্রমিকদের বহনকারী একটি গাড়িকে চাপা দেয় ইসরায়েলের একটি ট্রাক। এতে নিহত হয় চারজন ফিলিস্তিনি শ্রমিক। এরপর পাথর ছুড়ে শুরু হয় প্রতিবাদ। পর্যায়ক্রমে আসে ধর্মঘট ও হরতাল।
ফিলিস্তিনিদের ক্ষুব্ধ মনোভাবকে কাজে লাগিয়ে মিসরভিত্তিক মুসলিম ব্রাদারহুড গঠন করে ফিলিস্তিনিদের সশস্ত্র সংগঠন, হামাস। গাজায় প্রতিষ্ঠিত হয় এর ঘাঁটি। ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের ধ্বংস ও ইসলামি শাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য নিবেদিত সংগঠন হামাস হয়ে ওঠে ইয়াসির আরাফাতের ধর্মনিরপেক্ষ ফাতাহ পার্টির প্রতিদ্বন্দ্বী, যারা ছিল প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশনের নেতৃত্বে।
১৯৯৩-অসলো চুক্তি এবং ফিলিস্তিনের আধা স্বায়ত্তশাসন
১৯৯৩ সালে ঐতিহাসিক অসলো শান্তি চুক্তিতে স্বাক্ষর করে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন। এর মাধ্যমে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ গঠনের ক্ষেত্র প্রস্তুত হয়। এই অন্তর্বর্তীকালীন চুক্তির অধীনে ফিলিস্তিনিদের প্রথমবারের মতো গাজা এবং পশ্চিম তীরের জেরিকোতে সীমিত নিয়ন্ত্রণ দেওয়া হয়েছিল। কয়েক দশক নির্বাসনের পর গাজায় ফিরে যান ইয়াসির আরাফাত।
নবগঠিত ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষকে কিছুটা স্বায়ত্তশাসনের পাশাপাশি পাঁচ বছর পর ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দেয় অসলো চুক্তি। কিন্তু তা কখনোই বাস্তবায়নের মুখ দেখেনি। ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে নিরাপত্তা চুক্তি প্রত্যাহার করার অভিযোগ তোলে ইসরায়েল। অন্যদিকে, ইসরায়েলের বসতি নির্মাণ অব্যাহত থাকায় ক্ষুব্ধ হয় ফিলিস্তিনিরা।
শান্তি প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার লক্ষ্যে বোমা হামলা চালায় হামাস ও ইসলামিক জিহাদ। এর প্রতিক্রিয়ায় গাজায় ফিলিস্তিনিদের চলাচলের ওপর আরও বেশি করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে থাকে ইসরায়েল। অন্যদিকে, হামাসের বিরুদ্ধে ইয়াসির আরাফাতের সংশ্লিষ্টরা তোলেন দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি এবং অর্থনৈতিক অব্যবস্থাপনার অভিযোগ।
২০০০-ফিলিস্তিনের দ্বিতীয় ইন্তিফাদা
২০০০ সালে ফিলিস্তিনের দ্বিতীয় ইন্তিফাদার আগমনে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্কের আরও অবনতি ঘটে। ফিলিস্তিনিদের দ্বারা আত্মঘাতী বোমা হামলা এবং গুলিবর্ষণের বিপরীতে ইসরায়েল চালায় বিমান হামলা। ফিলিস্তিনিদের চলাচলের সুযোগ আরও সংকুচিত হয় এবং অঞ্চলটিতে শুরু হয় কারফিউ।
ফিলিস্তিনের অর্থনৈতিক স্বাধীনতার প্রতীক এবং বহির্বিশ্বের সঙ্গে তাদের সরাসরি সংযোগের একমাত্র সূত্র গাজা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ছিল না মিসর কিংবা ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণ। ১৯৯৮ সালে প্রতিষ্ঠিত এই বিমানবন্দরকে নিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে দেখত ইসরায়েল। ২০০১ সালের ১১ আগস্ট যুক্তরাষ্ট্রে সন্ত্রাসী হামলার কয়েক মাস পর গাজা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রাডার অ্যানটেনা এবং রানওয়ে ধ্বংস করে দেয় ইসরায়েল।
মাছ ধরা ছিল গাজার অধিবাসীদের আয়ের অন্যতম উৎস। নৌযানের মাধ্যমে অস্ত্র নিয়ে আসা হচ্ছে, এমন অভিযোগ তুলে ফিলিস্তিনিদের মাছ ধরার সুযোগ সংকুচিত করে দেওয়া হয়।
২০০৫-গাজা থেকে ইসরায়েলি বসতি সরিয়ে নেওয়া
২০০৫ সালের আগস্টে ইসরায়েল গাজা থেকে তার সমস্ত সৈন্য এবং বসতি স্থাপনকারীদের সরিয়ে নিয়েছিল। তত দিনে বহির্বিশ্ব থেকে গাজাকে সম্পূর্ণভাবে বিচ্ছিন্ন করে ফেলেছিল ইসরায়েল।
ইসরায়েলিদের পরিত্যক্ত ভবন ও অবকাঠামো ভেঙে ফেলে ফিলিস্তিনিরা। এ সময় অঞ্চলটিতে সশস্ত্র গোষ্ঠী, চোরাকারাবারী এবং উদ্যোক্তারা ভিড় জমায়। অবৈধ নানা ব্যবসা গড়ে ওঠে এখানে। ইসরায়েলি বসতি অপসারণের সঙ্গে সঙ্গে গাজায় স্থাপিত অনেক কারখানা, গ্রিনহাউস এবং ওয়ার্কশপগুলোও বন্ধ হয়ে যায়। এসব প্রতিষ্ঠানে গাজার অনেক অধিবাসীর কর্মসংস্থান হয়েছিল।
২০০৬-হামাসের অধীনে বিচ্ছিন্নতা
২০০৬ সালে ফিলিস্তিনের সংসদীয় নির্বাচনে আকস্মিক বিজয় অর্জন করে হামাস। এরপর আরাফাতের উত্তরসূরি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের অনুগত বাহিনীকে উৎখাত করে তারা গাজার সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ দখল করে।
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের বেশির ভাগই তখন হামাস নিয়ন্ত্রিত এলাকায় ফিলিস্তিনিদের সহায়তা বন্ধ করে দেয়। কারণ, তারা হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে বিবেচনা করে।
ইসরায়েল হাজার হাজার ফিলিস্তিনি শ্রমিকদের দেশে প্রবেশ করা বন্ধ করে দেওয়ার মাধ্যমে তাদের আয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস বন্ধ করে দেয়। ইসরায়েলি বিমান হামলায় বিকল হইয়ে যায় গাজার একমাত্র বৈদ্যুতিক কেন্দ্র। যার ফলে ব্যাপক ব্ল্যাকআউট হয়। নিরাপত্তা উদ্বেগের কারণ দেখিয়ে গাজা দিয়ে মানুষ এবং পণ্য চলাচলের ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ইসরায়েল ও মিসর।
২০১৪ সালে ক্ষমতা গ্রহণ করা মিসরের সামরিক-সমর্থিত নেতা আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি হামাসকে হুমকি হিসেবে দেখে গাজার সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করে দেন এবং উড়িয়ে দেন বেশির ভাগ টানেল। এরপর গাজার অর্থনীতি আবার বিপরীত দিকে যাত্রা করে।
দ্বন্দ্ব চক্র
ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনি জঙ্গিগোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ, হামলা ও প্রতিশোধের চক্রে বারবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গাজার অর্থনীতি।
২০২৩ সালের আগে রক্তক্ষয়ী বেশ কিছু সংঘর্ষ হয়েছিল ২০১৪ সালে। তখন হামাস এবং অন্যান্য গোষ্ঠী ইসরায়েলের কেন্দ্রস্থলের শহরগুলোতে রকেট হামলা চালায়। বিমান হামলা এবং সাঁজোয়া যান দিয়ে তখন গাজার আশপাশের এলাকাগুলোকে ধ্বংস করে ইসরায়েল। এই হামলায় নিহত হয় ২ হাজার ১০০-এর বেশি বেসামরিক ফিলিস্তিনি। অন্যদিকে ইসরায়েল জানায়, সংঘর্ষে ৬৭ জন ইসরায়েলি সেনা এবং ছয় বেসামরিক মানুষ মৃত্যুবরণ করেছে।
২০২৩-অতর্কিত হামলা
গাজার কর্মীদের অর্থনৈতিক প্রণোদনা দেওয়ার মাধ্যমে হামাস হয়তো ইসরায়েলকে বিশ্বাস করাতে পেরেছিল যে যুদ্ধ করতে করতে অনেকটাই ক্লান্ত এই সশস্ত্র গোষ্ঠী। তবে গোপনে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছিল হামাসের যোদ্ধাদের।
৭ অক্টোবর হামাসের বন্দুকধারীরা ইসরায়েলের ওপর চালায় আকস্মিক আক্রমণ। শত শত লোককে হত্যা এবং কয়েক ডজন ইসরায়েলিকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যায় হামাস যোদ্ধারা। ইসরায়েলের শহরগুলোতেও তাণ্ডব চালায় তারা। গত ৭৫ বছরের মধ্যে সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী হামলার মাধ্যমে এর ভয়াবহ প্রতিশোধ নেয় ইসরায়েল। একের পর এক বিমান হামলায় গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় গাজা। হতাহতের সংখ্যা কেবল বেড়েই চলেছে।

ভূমধ্যসাগরের তীরে অবস্থিত গাজা উপত্যকা। প্রাচীনকাল থেকেই সমুদ্রপথে বাণিজ্যের জন্য পরিচিত এই অঞ্চল। ১৯১৭ সাল পর্যন্ত অটোমান সাম্রাজ্যের অধীনে থাকার পর ব্রিটিশ শাসন থেকে এই অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নেয় মিসর। এরপর গত শতাব্দীর শেষভাগ থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে গাজার প্রায় ২০ লাখেরও বেশি মানুষ। গত শনিবার থেকে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের বিমান হামলা।
গাজার সাম্প্রতিক ইতিহাসের কিছু প্রধান ঘটনা এখানে তুলে ধরা হলো।
১৯৪৮-ব্রিটিশ শাসনের সমাপ্তি
১৯৪০=এর দশকের শেষ দিকে ফিলিস্তিনে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের অবসান ঘটলে সেখানে ইহুদি ও আরবদের মধ্যে সহিংসতা তীব্র আকার ধারণ করে। নতুন প্রতিষ্ঠিত রাষ্ট্র ইসরায়েলের সঙ্গে এর আরব প্রতিবেশীদের সংঘর্ষ ১৯৪৮ সালের মে মাসে যুদ্ধের রূপ নেয়। হাজার হাজার ফিলিস্তিনি তাদের বাড়িঘর থেকে পালিয়ে গাজায় আশ্রয় নেয়।
উত্তরে সিনাই ঠেকে দক্ষিণে অ্যাশকেলন পর্যন্ত বিস্তৃত প্রায় ২৫ মাইল (৪০ কিলোমিটার) দীর্ঘ উপত্যকার দখল নেয় মিসরীয় সেনাবাহিনী। শরণার্থীদের আগমনে গাজার জনসংখ্যা তিন গুণ বেড়ে হয় প্রায় ২ লাখ।
১৯৫০ ও ৬০-এর দশক—মিসরীয় বাহিনীর শাসন
সামরিক শাসনের অধীনে গাজার নিয়ন্ত্রণ দুই দশক ধরে রাখে মিসর। ফিলিস্তিনিদের মিসরে কাজ এবং পড়াশোনা করার অনুমতিও দেওয়া হয়। বেশির ভাগ শরণার্থী নিয়ে গঠিত ফিলিস্তিনি গেরিলা গ্রুপ ফেদায়েন প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য ইসরায়েলে হামলা চালায়।
ইউএনআরডব্লিউএ নামে গাজায় একটি শরণার্থী সংস্থা খোলে জাতিসংঘ। সংস্থাটি গাজায় প্রায় ১৬ লাখ নিবন্ধিত ফিলিস্তিনি উদ্বাস্তুদের পাশাপাশি জর্ডান, লেবানন, সিরিয়া এবং পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের জন্য নানা সেবা দিয়ে আসছে।
১৯৬৭-যুদ্ধ এবং ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর দখল
১৯৬৭ সালের মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধে গাজা উপত্যকা দখল করে নেয় ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। সে বছরই ইসরায়েলের করা এক আদমশুমারিতে গাজায় জনসংখ্যা ৩ লাখ ৯৪ হাজার বলে উল্লেখ করা যায়; যার ৬০ শতাংশই শরণার্থী।
মিসরীয়দের চলে যাওয়ায় গাজার অনেক শ্রমিক ইসরায়েলের অভ্যন্তরে কৃষি, নির্মাণ এবং পরিষেবা শিল্পে চাকরি নিয়েছিল। অঞ্চলটি পরিচালনার দায়িত্বে ছিল ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। পরবর্তী দশকগুলোতে তৈরি করা ইসরায়েলি বসতিগুলো পাহারা দেওয়ার জন্য রয়ে যায় সৈন্যরা। আর এগুলোই হয়ে ওঠে ফিলিস্তিনিদের ক্রমবর্ধমান ক্ষোভের উৎস।
১৯৮৭-ফিলিস্তিনের প্রথম গণজাগরণ ও হামাস গঠন
১৯৬৭ সালের যুদ্ধের ২০ বছর পর ফিলিস্তিনিদের প্রথম ইন্তিফাদা বা গণজাগরণের সূচনা হয়। ১৯৮৭ সালের ডিসেম্বরে গাজার জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে ফিলিস্তিনি শ্রমিকদের বহনকারী একটি গাড়িকে চাপা দেয় ইসরায়েলের একটি ট্রাক। এতে নিহত হয় চারজন ফিলিস্তিনি শ্রমিক। এরপর পাথর ছুড়ে শুরু হয় প্রতিবাদ। পর্যায়ক্রমে আসে ধর্মঘট ও হরতাল।
ফিলিস্তিনিদের ক্ষুব্ধ মনোভাবকে কাজে লাগিয়ে মিসরভিত্তিক মুসলিম ব্রাদারহুড গঠন করে ফিলিস্তিনিদের সশস্ত্র সংগঠন, হামাস। গাজায় প্রতিষ্ঠিত হয় এর ঘাঁটি। ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের ধ্বংস ও ইসলামি শাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য নিবেদিত সংগঠন হামাস হয়ে ওঠে ইয়াসির আরাফাতের ধর্মনিরপেক্ষ ফাতাহ পার্টির প্রতিদ্বন্দ্বী, যারা ছিল প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশনের নেতৃত্বে।
১৯৯৩-অসলো চুক্তি এবং ফিলিস্তিনের আধা স্বায়ত্তশাসন
১৯৯৩ সালে ঐতিহাসিক অসলো শান্তি চুক্তিতে স্বাক্ষর করে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন। এর মাধ্যমে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ গঠনের ক্ষেত্র প্রস্তুত হয়। এই অন্তর্বর্তীকালীন চুক্তির অধীনে ফিলিস্তিনিদের প্রথমবারের মতো গাজা এবং পশ্চিম তীরের জেরিকোতে সীমিত নিয়ন্ত্রণ দেওয়া হয়েছিল। কয়েক দশক নির্বাসনের পর গাজায় ফিরে যান ইয়াসির আরাফাত।
নবগঠিত ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষকে কিছুটা স্বায়ত্তশাসনের পাশাপাশি পাঁচ বছর পর ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দেয় অসলো চুক্তি। কিন্তু তা কখনোই বাস্তবায়নের মুখ দেখেনি। ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে নিরাপত্তা চুক্তি প্রত্যাহার করার অভিযোগ তোলে ইসরায়েল। অন্যদিকে, ইসরায়েলের বসতি নির্মাণ অব্যাহত থাকায় ক্ষুব্ধ হয় ফিলিস্তিনিরা।
শান্তি প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার লক্ষ্যে বোমা হামলা চালায় হামাস ও ইসলামিক জিহাদ। এর প্রতিক্রিয়ায় গাজায় ফিলিস্তিনিদের চলাচলের ওপর আরও বেশি করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে থাকে ইসরায়েল। অন্যদিকে, হামাসের বিরুদ্ধে ইয়াসির আরাফাতের সংশ্লিষ্টরা তোলেন দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি এবং অর্থনৈতিক অব্যবস্থাপনার অভিযোগ।
২০০০-ফিলিস্তিনের দ্বিতীয় ইন্তিফাদা
২০০০ সালে ফিলিস্তিনের দ্বিতীয় ইন্তিফাদার আগমনে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্কের আরও অবনতি ঘটে। ফিলিস্তিনিদের দ্বারা আত্মঘাতী বোমা হামলা এবং গুলিবর্ষণের বিপরীতে ইসরায়েল চালায় বিমান হামলা। ফিলিস্তিনিদের চলাচলের সুযোগ আরও সংকুচিত হয় এবং অঞ্চলটিতে শুরু হয় কারফিউ।
ফিলিস্তিনের অর্থনৈতিক স্বাধীনতার প্রতীক এবং বহির্বিশ্বের সঙ্গে তাদের সরাসরি সংযোগের একমাত্র সূত্র গাজা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ছিল না মিসর কিংবা ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণ। ১৯৯৮ সালে প্রতিষ্ঠিত এই বিমানবন্দরকে নিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে দেখত ইসরায়েল। ২০০১ সালের ১১ আগস্ট যুক্তরাষ্ট্রে সন্ত্রাসী হামলার কয়েক মাস পর গাজা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রাডার অ্যানটেনা এবং রানওয়ে ধ্বংস করে দেয় ইসরায়েল।
মাছ ধরা ছিল গাজার অধিবাসীদের আয়ের অন্যতম উৎস। নৌযানের মাধ্যমে অস্ত্র নিয়ে আসা হচ্ছে, এমন অভিযোগ তুলে ফিলিস্তিনিদের মাছ ধরার সুযোগ সংকুচিত করে দেওয়া হয়।
২০০৫-গাজা থেকে ইসরায়েলি বসতি সরিয়ে নেওয়া
২০০৫ সালের আগস্টে ইসরায়েল গাজা থেকে তার সমস্ত সৈন্য এবং বসতি স্থাপনকারীদের সরিয়ে নিয়েছিল। তত দিনে বহির্বিশ্ব থেকে গাজাকে সম্পূর্ণভাবে বিচ্ছিন্ন করে ফেলেছিল ইসরায়েল।
ইসরায়েলিদের পরিত্যক্ত ভবন ও অবকাঠামো ভেঙে ফেলে ফিলিস্তিনিরা। এ সময় অঞ্চলটিতে সশস্ত্র গোষ্ঠী, চোরাকারাবারী এবং উদ্যোক্তারা ভিড় জমায়। অবৈধ নানা ব্যবসা গড়ে ওঠে এখানে। ইসরায়েলি বসতি অপসারণের সঙ্গে সঙ্গে গাজায় স্থাপিত অনেক কারখানা, গ্রিনহাউস এবং ওয়ার্কশপগুলোও বন্ধ হয়ে যায়। এসব প্রতিষ্ঠানে গাজার অনেক অধিবাসীর কর্মসংস্থান হয়েছিল।
২০০৬-হামাসের অধীনে বিচ্ছিন্নতা
২০০৬ সালে ফিলিস্তিনের সংসদীয় নির্বাচনে আকস্মিক বিজয় অর্জন করে হামাস। এরপর আরাফাতের উত্তরসূরি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের অনুগত বাহিনীকে উৎখাত করে তারা গাজার সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ দখল করে।
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের বেশির ভাগই তখন হামাস নিয়ন্ত্রিত এলাকায় ফিলিস্তিনিদের সহায়তা বন্ধ করে দেয়। কারণ, তারা হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে বিবেচনা করে।
ইসরায়েল হাজার হাজার ফিলিস্তিনি শ্রমিকদের দেশে প্রবেশ করা বন্ধ করে দেওয়ার মাধ্যমে তাদের আয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস বন্ধ করে দেয়। ইসরায়েলি বিমান হামলায় বিকল হইয়ে যায় গাজার একমাত্র বৈদ্যুতিক কেন্দ্র। যার ফলে ব্যাপক ব্ল্যাকআউট হয়। নিরাপত্তা উদ্বেগের কারণ দেখিয়ে গাজা দিয়ে মানুষ এবং পণ্য চলাচলের ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ইসরায়েল ও মিসর।
২০১৪ সালে ক্ষমতা গ্রহণ করা মিসরের সামরিক-সমর্থিত নেতা আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি হামাসকে হুমকি হিসেবে দেখে গাজার সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করে দেন এবং উড়িয়ে দেন বেশির ভাগ টানেল। এরপর গাজার অর্থনীতি আবার বিপরীত দিকে যাত্রা করে।
দ্বন্দ্ব চক্র
ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনি জঙ্গিগোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ, হামলা ও প্রতিশোধের চক্রে বারবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গাজার অর্থনীতি।
২০২৩ সালের আগে রক্তক্ষয়ী বেশ কিছু সংঘর্ষ হয়েছিল ২০১৪ সালে। তখন হামাস এবং অন্যান্য গোষ্ঠী ইসরায়েলের কেন্দ্রস্থলের শহরগুলোতে রকেট হামলা চালায়। বিমান হামলা এবং সাঁজোয়া যান দিয়ে তখন গাজার আশপাশের এলাকাগুলোকে ধ্বংস করে ইসরায়েল। এই হামলায় নিহত হয় ২ হাজার ১০০-এর বেশি বেসামরিক ফিলিস্তিনি। অন্যদিকে ইসরায়েল জানায়, সংঘর্ষে ৬৭ জন ইসরায়েলি সেনা এবং ছয় বেসামরিক মানুষ মৃত্যুবরণ করেছে।
২০২৩-অতর্কিত হামলা
গাজার কর্মীদের অর্থনৈতিক প্রণোদনা দেওয়ার মাধ্যমে হামাস হয়তো ইসরায়েলকে বিশ্বাস করাতে পেরেছিল যে যুদ্ধ করতে করতে অনেকটাই ক্লান্ত এই সশস্ত্র গোষ্ঠী। তবে গোপনে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছিল হামাসের যোদ্ধাদের।
৭ অক্টোবর হামাসের বন্দুকধারীরা ইসরায়েলের ওপর চালায় আকস্মিক আক্রমণ। শত শত লোককে হত্যা এবং কয়েক ডজন ইসরায়েলিকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যায় হামাস যোদ্ধারা। ইসরায়েলের শহরগুলোতেও তাণ্ডব চালায় তারা। গত ৭৫ বছরের মধ্যে সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী হামলার মাধ্যমে এর ভয়াবহ প্রতিশোধ নেয় ইসরায়েল। একের পর এক বিমান হামলায় গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় গাজা। হতাহতের সংখ্যা কেবল বেড়েই চলেছে।

ভূমধ্যসাগরের তীরে অবস্থিত গাজা উপত্যকা। প্রাচীনকাল থেকেই সমুদ্রপথে বাণিজ্যের জন্য পরিচিত এই অঞ্চল। ১৯১৭ সাল পর্যন্ত অটোমান সাম্রাজ্যের অধীনে থাকার পর ব্রিটিশ শাসন থেকে এই অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নেয় মিসর। এরপর গত শতাব্দীর শেষভাগ থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে গাজার প্রায় ২০ লাখেরও বেশি মানুষ। গত শনিবার থেকে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের বিমান হামলা।
গাজার সাম্প্রতিক ইতিহাসের কিছু প্রধান ঘটনা এখানে তুলে ধরা হলো।
১৯৪৮-ব্রিটিশ শাসনের সমাপ্তি
১৯৪০=এর দশকের শেষ দিকে ফিলিস্তিনে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের অবসান ঘটলে সেখানে ইহুদি ও আরবদের মধ্যে সহিংসতা তীব্র আকার ধারণ করে। নতুন প্রতিষ্ঠিত রাষ্ট্র ইসরায়েলের সঙ্গে এর আরব প্রতিবেশীদের সংঘর্ষ ১৯৪৮ সালের মে মাসে যুদ্ধের রূপ নেয়। হাজার হাজার ফিলিস্তিনি তাদের বাড়িঘর থেকে পালিয়ে গাজায় আশ্রয় নেয়।
উত্তরে সিনাই ঠেকে দক্ষিণে অ্যাশকেলন পর্যন্ত বিস্তৃত প্রায় ২৫ মাইল (৪০ কিলোমিটার) দীর্ঘ উপত্যকার দখল নেয় মিসরীয় সেনাবাহিনী। শরণার্থীদের আগমনে গাজার জনসংখ্যা তিন গুণ বেড়ে হয় প্রায় ২ লাখ।
১৯৫০ ও ৬০-এর দশক—মিসরীয় বাহিনীর শাসন
সামরিক শাসনের অধীনে গাজার নিয়ন্ত্রণ দুই দশক ধরে রাখে মিসর। ফিলিস্তিনিদের মিসরে কাজ এবং পড়াশোনা করার অনুমতিও দেওয়া হয়। বেশির ভাগ শরণার্থী নিয়ে গঠিত ফিলিস্তিনি গেরিলা গ্রুপ ফেদায়েন প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য ইসরায়েলে হামলা চালায়।
ইউএনআরডব্লিউএ নামে গাজায় একটি শরণার্থী সংস্থা খোলে জাতিসংঘ। সংস্থাটি গাজায় প্রায় ১৬ লাখ নিবন্ধিত ফিলিস্তিনি উদ্বাস্তুদের পাশাপাশি জর্ডান, লেবানন, সিরিয়া এবং পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের জন্য নানা সেবা দিয়ে আসছে।
১৯৬৭-যুদ্ধ এবং ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর দখল
১৯৬৭ সালের মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধে গাজা উপত্যকা দখল করে নেয় ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। সে বছরই ইসরায়েলের করা এক আদমশুমারিতে গাজায় জনসংখ্যা ৩ লাখ ৯৪ হাজার বলে উল্লেখ করা যায়; যার ৬০ শতাংশই শরণার্থী।
মিসরীয়দের চলে যাওয়ায় গাজার অনেক শ্রমিক ইসরায়েলের অভ্যন্তরে কৃষি, নির্মাণ এবং পরিষেবা শিল্পে চাকরি নিয়েছিল। অঞ্চলটি পরিচালনার দায়িত্বে ছিল ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। পরবর্তী দশকগুলোতে তৈরি করা ইসরায়েলি বসতিগুলো পাহারা দেওয়ার জন্য রয়ে যায় সৈন্যরা। আর এগুলোই হয়ে ওঠে ফিলিস্তিনিদের ক্রমবর্ধমান ক্ষোভের উৎস।
১৯৮৭-ফিলিস্তিনের প্রথম গণজাগরণ ও হামাস গঠন
১৯৬৭ সালের যুদ্ধের ২০ বছর পর ফিলিস্তিনিদের প্রথম ইন্তিফাদা বা গণজাগরণের সূচনা হয়। ১৯৮৭ সালের ডিসেম্বরে গাজার জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে ফিলিস্তিনি শ্রমিকদের বহনকারী একটি গাড়িকে চাপা দেয় ইসরায়েলের একটি ট্রাক। এতে নিহত হয় চারজন ফিলিস্তিনি শ্রমিক। এরপর পাথর ছুড়ে শুরু হয় প্রতিবাদ। পর্যায়ক্রমে আসে ধর্মঘট ও হরতাল।
ফিলিস্তিনিদের ক্ষুব্ধ মনোভাবকে কাজে লাগিয়ে মিসরভিত্তিক মুসলিম ব্রাদারহুড গঠন করে ফিলিস্তিনিদের সশস্ত্র সংগঠন, হামাস। গাজায় প্রতিষ্ঠিত হয় এর ঘাঁটি। ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের ধ্বংস ও ইসলামি শাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য নিবেদিত সংগঠন হামাস হয়ে ওঠে ইয়াসির আরাফাতের ধর্মনিরপেক্ষ ফাতাহ পার্টির প্রতিদ্বন্দ্বী, যারা ছিল প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশনের নেতৃত্বে।
১৯৯৩-অসলো চুক্তি এবং ফিলিস্তিনের আধা স্বায়ত্তশাসন
১৯৯৩ সালে ঐতিহাসিক অসলো শান্তি চুক্তিতে স্বাক্ষর করে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন। এর মাধ্যমে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ গঠনের ক্ষেত্র প্রস্তুত হয়। এই অন্তর্বর্তীকালীন চুক্তির অধীনে ফিলিস্তিনিদের প্রথমবারের মতো গাজা এবং পশ্চিম তীরের জেরিকোতে সীমিত নিয়ন্ত্রণ দেওয়া হয়েছিল। কয়েক দশক নির্বাসনের পর গাজায় ফিরে যান ইয়াসির আরাফাত।
নবগঠিত ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষকে কিছুটা স্বায়ত্তশাসনের পাশাপাশি পাঁচ বছর পর ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দেয় অসলো চুক্তি। কিন্তু তা কখনোই বাস্তবায়নের মুখ দেখেনি। ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে নিরাপত্তা চুক্তি প্রত্যাহার করার অভিযোগ তোলে ইসরায়েল। অন্যদিকে, ইসরায়েলের বসতি নির্মাণ অব্যাহত থাকায় ক্ষুব্ধ হয় ফিলিস্তিনিরা।
শান্তি প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার লক্ষ্যে বোমা হামলা চালায় হামাস ও ইসলামিক জিহাদ। এর প্রতিক্রিয়ায় গাজায় ফিলিস্তিনিদের চলাচলের ওপর আরও বেশি করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে থাকে ইসরায়েল। অন্যদিকে, হামাসের বিরুদ্ধে ইয়াসির আরাফাতের সংশ্লিষ্টরা তোলেন দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি এবং অর্থনৈতিক অব্যবস্থাপনার অভিযোগ।
২০০০-ফিলিস্তিনের দ্বিতীয় ইন্তিফাদা
২০০০ সালে ফিলিস্তিনের দ্বিতীয় ইন্তিফাদার আগমনে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্কের আরও অবনতি ঘটে। ফিলিস্তিনিদের দ্বারা আত্মঘাতী বোমা হামলা এবং গুলিবর্ষণের বিপরীতে ইসরায়েল চালায় বিমান হামলা। ফিলিস্তিনিদের চলাচলের সুযোগ আরও সংকুচিত হয় এবং অঞ্চলটিতে শুরু হয় কারফিউ।
ফিলিস্তিনের অর্থনৈতিক স্বাধীনতার প্রতীক এবং বহির্বিশ্বের সঙ্গে তাদের সরাসরি সংযোগের একমাত্র সূত্র গাজা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ছিল না মিসর কিংবা ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণ। ১৯৯৮ সালে প্রতিষ্ঠিত এই বিমানবন্দরকে নিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে দেখত ইসরায়েল। ২০০১ সালের ১১ আগস্ট যুক্তরাষ্ট্রে সন্ত্রাসী হামলার কয়েক মাস পর গাজা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রাডার অ্যানটেনা এবং রানওয়ে ধ্বংস করে দেয় ইসরায়েল।
মাছ ধরা ছিল গাজার অধিবাসীদের আয়ের অন্যতম উৎস। নৌযানের মাধ্যমে অস্ত্র নিয়ে আসা হচ্ছে, এমন অভিযোগ তুলে ফিলিস্তিনিদের মাছ ধরার সুযোগ সংকুচিত করে দেওয়া হয়।
২০০৫-গাজা থেকে ইসরায়েলি বসতি সরিয়ে নেওয়া
২০০৫ সালের আগস্টে ইসরায়েল গাজা থেকে তার সমস্ত সৈন্য এবং বসতি স্থাপনকারীদের সরিয়ে নিয়েছিল। তত দিনে বহির্বিশ্ব থেকে গাজাকে সম্পূর্ণভাবে বিচ্ছিন্ন করে ফেলেছিল ইসরায়েল।
ইসরায়েলিদের পরিত্যক্ত ভবন ও অবকাঠামো ভেঙে ফেলে ফিলিস্তিনিরা। এ সময় অঞ্চলটিতে সশস্ত্র গোষ্ঠী, চোরাকারাবারী এবং উদ্যোক্তারা ভিড় জমায়। অবৈধ নানা ব্যবসা গড়ে ওঠে এখানে। ইসরায়েলি বসতি অপসারণের সঙ্গে সঙ্গে গাজায় স্থাপিত অনেক কারখানা, গ্রিনহাউস এবং ওয়ার্কশপগুলোও বন্ধ হয়ে যায়। এসব প্রতিষ্ঠানে গাজার অনেক অধিবাসীর কর্মসংস্থান হয়েছিল।
২০০৬-হামাসের অধীনে বিচ্ছিন্নতা
২০০৬ সালে ফিলিস্তিনের সংসদীয় নির্বাচনে আকস্মিক বিজয় অর্জন করে হামাস। এরপর আরাফাতের উত্তরসূরি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের অনুগত বাহিনীকে উৎখাত করে তারা গাজার সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ দখল করে।
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের বেশির ভাগই তখন হামাস নিয়ন্ত্রিত এলাকায় ফিলিস্তিনিদের সহায়তা বন্ধ করে দেয়। কারণ, তারা হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে বিবেচনা করে।
ইসরায়েল হাজার হাজার ফিলিস্তিনি শ্রমিকদের দেশে প্রবেশ করা বন্ধ করে দেওয়ার মাধ্যমে তাদের আয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস বন্ধ করে দেয়। ইসরায়েলি বিমান হামলায় বিকল হইয়ে যায় গাজার একমাত্র বৈদ্যুতিক কেন্দ্র। যার ফলে ব্যাপক ব্ল্যাকআউট হয়। নিরাপত্তা উদ্বেগের কারণ দেখিয়ে গাজা দিয়ে মানুষ এবং পণ্য চলাচলের ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ইসরায়েল ও মিসর।
২০১৪ সালে ক্ষমতা গ্রহণ করা মিসরের সামরিক-সমর্থিত নেতা আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি হামাসকে হুমকি হিসেবে দেখে গাজার সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করে দেন এবং উড়িয়ে দেন বেশির ভাগ টানেল। এরপর গাজার অর্থনীতি আবার বিপরীত দিকে যাত্রা করে।
দ্বন্দ্ব চক্র
ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনি জঙ্গিগোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ, হামলা ও প্রতিশোধের চক্রে বারবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গাজার অর্থনীতি।
২০২৩ সালের আগে রক্তক্ষয়ী বেশ কিছু সংঘর্ষ হয়েছিল ২০১৪ সালে। তখন হামাস এবং অন্যান্য গোষ্ঠী ইসরায়েলের কেন্দ্রস্থলের শহরগুলোতে রকেট হামলা চালায়। বিমান হামলা এবং সাঁজোয়া যান দিয়ে তখন গাজার আশপাশের এলাকাগুলোকে ধ্বংস করে ইসরায়েল। এই হামলায় নিহত হয় ২ হাজার ১০০-এর বেশি বেসামরিক ফিলিস্তিনি। অন্যদিকে ইসরায়েল জানায়, সংঘর্ষে ৬৭ জন ইসরায়েলি সেনা এবং ছয় বেসামরিক মানুষ মৃত্যুবরণ করেছে।
২০২৩-অতর্কিত হামলা
গাজার কর্মীদের অর্থনৈতিক প্রণোদনা দেওয়ার মাধ্যমে হামাস হয়তো ইসরায়েলকে বিশ্বাস করাতে পেরেছিল যে যুদ্ধ করতে করতে অনেকটাই ক্লান্ত এই সশস্ত্র গোষ্ঠী। তবে গোপনে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছিল হামাসের যোদ্ধাদের।
৭ অক্টোবর হামাসের বন্দুকধারীরা ইসরায়েলের ওপর চালায় আকস্মিক আক্রমণ। শত শত লোককে হত্যা এবং কয়েক ডজন ইসরায়েলিকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যায় হামাস যোদ্ধারা। ইসরায়েলের শহরগুলোতেও তাণ্ডব চালায় তারা। গত ৭৫ বছরের মধ্যে সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী হামলার মাধ্যমে এর ভয়াবহ প্রতিশোধ নেয় ইসরায়েল। একের পর এক বিমান হামলায় গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় গাজা। হতাহতের সংখ্যা কেবল বেড়েই চলেছে।

ভূমধ্যসাগরের তীরে অবস্থিত গাজা উপত্যকা। প্রাচীনকাল থেকেই সমুদ্রপথে বাণিজ্যের জন্য পরিচিত এই অঞ্চল। ১৯১৭ সাল পর্যন্ত অটোমান সাম্রাজ্যের অধীনে থাকার পর ব্রিটিশ শাসন থেকে এই অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নেয় মিসর। এরপর গত শতাব্দীর শেষভাগ থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে গাজার প্রায় ২০ লাখেরও বেশি মানুষ। গত শনিবার থেকে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের বিমান হামলা।
গাজার সাম্প্রতিক ইতিহাসের কিছু প্রধান ঘটনা এখানে তুলে ধরা হলো।
১৯৪৮-ব্রিটিশ শাসনের সমাপ্তি
১৯৪০=এর দশকের শেষ দিকে ফিলিস্তিনে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের অবসান ঘটলে সেখানে ইহুদি ও আরবদের মধ্যে সহিংসতা তীব্র আকার ধারণ করে। নতুন প্রতিষ্ঠিত রাষ্ট্র ইসরায়েলের সঙ্গে এর আরব প্রতিবেশীদের সংঘর্ষ ১৯৪৮ সালের মে মাসে যুদ্ধের রূপ নেয়। হাজার হাজার ফিলিস্তিনি তাদের বাড়িঘর থেকে পালিয়ে গাজায় আশ্রয় নেয়।
উত্তরে সিনাই ঠেকে দক্ষিণে অ্যাশকেলন পর্যন্ত বিস্তৃত প্রায় ২৫ মাইল (৪০ কিলোমিটার) দীর্ঘ উপত্যকার দখল নেয় মিসরীয় সেনাবাহিনী। শরণার্থীদের আগমনে গাজার জনসংখ্যা তিন গুণ বেড়ে হয় প্রায় ২ লাখ।
১৯৫০ ও ৬০-এর দশক—মিসরীয় বাহিনীর শাসন
সামরিক শাসনের অধীনে গাজার নিয়ন্ত্রণ দুই দশক ধরে রাখে মিসর। ফিলিস্তিনিদের মিসরে কাজ এবং পড়াশোনা করার অনুমতিও দেওয়া হয়। বেশির ভাগ শরণার্থী নিয়ে গঠিত ফিলিস্তিনি গেরিলা গ্রুপ ফেদায়েন প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য ইসরায়েলে হামলা চালায়।
ইউএনআরডব্লিউএ নামে গাজায় একটি শরণার্থী সংস্থা খোলে জাতিসংঘ। সংস্থাটি গাজায় প্রায় ১৬ লাখ নিবন্ধিত ফিলিস্তিনি উদ্বাস্তুদের পাশাপাশি জর্ডান, লেবানন, সিরিয়া এবং পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের জন্য নানা সেবা দিয়ে আসছে।
১৯৬৭-যুদ্ধ এবং ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর দখল
১৯৬৭ সালের মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধে গাজা উপত্যকা দখল করে নেয় ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। সে বছরই ইসরায়েলের করা এক আদমশুমারিতে গাজায় জনসংখ্যা ৩ লাখ ৯৪ হাজার বলে উল্লেখ করা যায়; যার ৬০ শতাংশই শরণার্থী।
মিসরীয়দের চলে যাওয়ায় গাজার অনেক শ্রমিক ইসরায়েলের অভ্যন্তরে কৃষি, নির্মাণ এবং পরিষেবা শিল্পে চাকরি নিয়েছিল। অঞ্চলটি পরিচালনার দায়িত্বে ছিল ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। পরবর্তী দশকগুলোতে তৈরি করা ইসরায়েলি বসতিগুলো পাহারা দেওয়ার জন্য রয়ে যায় সৈন্যরা। আর এগুলোই হয়ে ওঠে ফিলিস্তিনিদের ক্রমবর্ধমান ক্ষোভের উৎস।
১৯৮৭-ফিলিস্তিনের প্রথম গণজাগরণ ও হামাস গঠন
১৯৬৭ সালের যুদ্ধের ২০ বছর পর ফিলিস্তিনিদের প্রথম ইন্তিফাদা বা গণজাগরণের সূচনা হয়। ১৯৮৭ সালের ডিসেম্বরে গাজার জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে ফিলিস্তিনি শ্রমিকদের বহনকারী একটি গাড়িকে চাপা দেয় ইসরায়েলের একটি ট্রাক। এতে নিহত হয় চারজন ফিলিস্তিনি শ্রমিক। এরপর পাথর ছুড়ে শুরু হয় প্রতিবাদ। পর্যায়ক্রমে আসে ধর্মঘট ও হরতাল।
ফিলিস্তিনিদের ক্ষুব্ধ মনোভাবকে কাজে লাগিয়ে মিসরভিত্তিক মুসলিম ব্রাদারহুড গঠন করে ফিলিস্তিনিদের সশস্ত্র সংগঠন, হামাস। গাজায় প্রতিষ্ঠিত হয় এর ঘাঁটি। ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের ধ্বংস ও ইসলামি শাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য নিবেদিত সংগঠন হামাস হয়ে ওঠে ইয়াসির আরাফাতের ধর্মনিরপেক্ষ ফাতাহ পার্টির প্রতিদ্বন্দ্বী, যারা ছিল প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশনের নেতৃত্বে।
১৯৯৩-অসলো চুক্তি এবং ফিলিস্তিনের আধা স্বায়ত্তশাসন
১৯৯৩ সালে ঐতিহাসিক অসলো শান্তি চুক্তিতে স্বাক্ষর করে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন। এর মাধ্যমে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ গঠনের ক্ষেত্র প্রস্তুত হয়। এই অন্তর্বর্তীকালীন চুক্তির অধীনে ফিলিস্তিনিদের প্রথমবারের মতো গাজা এবং পশ্চিম তীরের জেরিকোতে সীমিত নিয়ন্ত্রণ দেওয়া হয়েছিল। কয়েক দশক নির্বাসনের পর গাজায় ফিরে যান ইয়াসির আরাফাত।
নবগঠিত ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষকে কিছুটা স্বায়ত্তশাসনের পাশাপাশি পাঁচ বছর পর ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দেয় অসলো চুক্তি। কিন্তু তা কখনোই বাস্তবায়নের মুখ দেখেনি। ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে নিরাপত্তা চুক্তি প্রত্যাহার করার অভিযোগ তোলে ইসরায়েল। অন্যদিকে, ইসরায়েলের বসতি নির্মাণ অব্যাহত থাকায় ক্ষুব্ধ হয় ফিলিস্তিনিরা।
শান্তি প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার লক্ষ্যে বোমা হামলা চালায় হামাস ও ইসলামিক জিহাদ। এর প্রতিক্রিয়ায় গাজায় ফিলিস্তিনিদের চলাচলের ওপর আরও বেশি করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে থাকে ইসরায়েল। অন্যদিকে, হামাসের বিরুদ্ধে ইয়াসির আরাফাতের সংশ্লিষ্টরা তোলেন দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি এবং অর্থনৈতিক অব্যবস্থাপনার অভিযোগ।
২০০০-ফিলিস্তিনের দ্বিতীয় ইন্তিফাদা
২০০০ সালে ফিলিস্তিনের দ্বিতীয় ইন্তিফাদার আগমনে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্কের আরও অবনতি ঘটে। ফিলিস্তিনিদের দ্বারা আত্মঘাতী বোমা হামলা এবং গুলিবর্ষণের বিপরীতে ইসরায়েল চালায় বিমান হামলা। ফিলিস্তিনিদের চলাচলের সুযোগ আরও সংকুচিত হয় এবং অঞ্চলটিতে শুরু হয় কারফিউ।
ফিলিস্তিনের অর্থনৈতিক স্বাধীনতার প্রতীক এবং বহির্বিশ্বের সঙ্গে তাদের সরাসরি সংযোগের একমাত্র সূত্র গাজা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ছিল না মিসর কিংবা ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণ। ১৯৯৮ সালে প্রতিষ্ঠিত এই বিমানবন্দরকে নিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে দেখত ইসরায়েল। ২০০১ সালের ১১ আগস্ট যুক্তরাষ্ট্রে সন্ত্রাসী হামলার কয়েক মাস পর গাজা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রাডার অ্যানটেনা এবং রানওয়ে ধ্বংস করে দেয় ইসরায়েল।
মাছ ধরা ছিল গাজার অধিবাসীদের আয়ের অন্যতম উৎস। নৌযানের মাধ্যমে অস্ত্র নিয়ে আসা হচ্ছে, এমন অভিযোগ তুলে ফিলিস্তিনিদের মাছ ধরার সুযোগ সংকুচিত করে দেওয়া হয়।
২০০৫-গাজা থেকে ইসরায়েলি বসতি সরিয়ে নেওয়া
২০০৫ সালের আগস্টে ইসরায়েল গাজা থেকে তার সমস্ত সৈন্য এবং বসতি স্থাপনকারীদের সরিয়ে নিয়েছিল। তত দিনে বহির্বিশ্ব থেকে গাজাকে সম্পূর্ণভাবে বিচ্ছিন্ন করে ফেলেছিল ইসরায়েল।
ইসরায়েলিদের পরিত্যক্ত ভবন ও অবকাঠামো ভেঙে ফেলে ফিলিস্তিনিরা। এ সময় অঞ্চলটিতে সশস্ত্র গোষ্ঠী, চোরাকারাবারী এবং উদ্যোক্তারা ভিড় জমায়। অবৈধ নানা ব্যবসা গড়ে ওঠে এখানে। ইসরায়েলি বসতি অপসারণের সঙ্গে সঙ্গে গাজায় স্থাপিত অনেক কারখানা, গ্রিনহাউস এবং ওয়ার্কশপগুলোও বন্ধ হয়ে যায়। এসব প্রতিষ্ঠানে গাজার অনেক অধিবাসীর কর্মসংস্থান হয়েছিল।
২০০৬-হামাসের অধীনে বিচ্ছিন্নতা
২০০৬ সালে ফিলিস্তিনের সংসদীয় নির্বাচনে আকস্মিক বিজয় অর্জন করে হামাস। এরপর আরাফাতের উত্তরসূরি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের অনুগত বাহিনীকে উৎখাত করে তারা গাজার সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ দখল করে।
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের বেশির ভাগই তখন হামাস নিয়ন্ত্রিত এলাকায় ফিলিস্তিনিদের সহায়তা বন্ধ করে দেয়। কারণ, তারা হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে বিবেচনা করে।
ইসরায়েল হাজার হাজার ফিলিস্তিনি শ্রমিকদের দেশে প্রবেশ করা বন্ধ করে দেওয়ার মাধ্যমে তাদের আয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস বন্ধ করে দেয়। ইসরায়েলি বিমান হামলায় বিকল হইয়ে যায় গাজার একমাত্র বৈদ্যুতিক কেন্দ্র। যার ফলে ব্যাপক ব্ল্যাকআউট হয়। নিরাপত্তা উদ্বেগের কারণ দেখিয়ে গাজা দিয়ে মানুষ এবং পণ্য চলাচলের ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ইসরায়েল ও মিসর।
২০১৪ সালে ক্ষমতা গ্রহণ করা মিসরের সামরিক-সমর্থিত নেতা আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি হামাসকে হুমকি হিসেবে দেখে গাজার সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করে দেন এবং উড়িয়ে দেন বেশির ভাগ টানেল। এরপর গাজার অর্থনীতি আবার বিপরীত দিকে যাত্রা করে।
দ্বন্দ্ব চক্র
ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনি জঙ্গিগোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ, হামলা ও প্রতিশোধের চক্রে বারবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গাজার অর্থনীতি।
২০২৩ সালের আগে রক্তক্ষয়ী বেশ কিছু সংঘর্ষ হয়েছিল ২০১৪ সালে। তখন হামাস এবং অন্যান্য গোষ্ঠী ইসরায়েলের কেন্দ্রস্থলের শহরগুলোতে রকেট হামলা চালায়। বিমান হামলা এবং সাঁজোয়া যান দিয়ে তখন গাজার আশপাশের এলাকাগুলোকে ধ্বংস করে ইসরায়েল। এই হামলায় নিহত হয় ২ হাজার ১০০-এর বেশি বেসামরিক ফিলিস্তিনি। অন্যদিকে ইসরায়েল জানায়, সংঘর্ষে ৬৭ জন ইসরায়েলি সেনা এবং ছয় বেসামরিক মানুষ মৃত্যুবরণ করেছে।
২০২৩-অতর্কিত হামলা
গাজার কর্মীদের অর্থনৈতিক প্রণোদনা দেওয়ার মাধ্যমে হামাস হয়তো ইসরায়েলকে বিশ্বাস করাতে পেরেছিল যে যুদ্ধ করতে করতে অনেকটাই ক্লান্ত এই সশস্ত্র গোষ্ঠী। তবে গোপনে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছিল হামাসের যোদ্ধাদের।
৭ অক্টোবর হামাসের বন্দুকধারীরা ইসরায়েলের ওপর চালায় আকস্মিক আক্রমণ। শত শত লোককে হত্যা এবং কয়েক ডজন ইসরায়েলিকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যায় হামাস যোদ্ধারা। ইসরায়েলের শহরগুলোতেও তাণ্ডব চালায় তারা। গত ৭৫ বছরের মধ্যে সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী হামলার মাধ্যমে এর ভয়াবহ প্রতিশোধ নেয় ইসরায়েল। একের পর এক বিমান হামলায় গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় গাজা। হতাহতের সংখ্যা কেবল বেড়েই চলেছে।

ভারতের আসাম রাজ্যের হোজাই জেলায় এক মর্মান্তিক ট্রেন দুর্ঘটনায় প্রাণ হারাল সাতটি বন্য হাতি। গতকাল শুক্রবার দিবাগত গভীর রাতে সাইরাং-নয়াদিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেসের সঙ্গে হাতির পালের এই ভয়াবহ সংঘর্ষ ঘটে। দুর্ঘটনায় একটি হাতি গুরুতর জখম হয়েছে, যার অবস্থা বর্তমানে আশঙ্কাজনক।
৩ ঘণ্টা আগে
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধের পর আর কোনো যুদ্ধ হবে না—যদি পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়াকে সম্মান করে এবং দেশটির নিরাপত্তাগত স্বার্থকে গুরুত্ব দেয়। প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টাব্যাপী টেলিভিশন অনুষ্ঠান ‘ডিরেক্ট লাইন’-এ তিনি এই মন্তব্য করেন।
১৬ ঘণ্টা আগে
মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর গণহত্যার অভিযোগে করা মামলার মূল শুনানি আগামী জানুয়ারিতে শুরু হচ্ছে। জাতিসংঘের সর্বোচ্চ বিচারিক সংস্থা আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) জানিয়েছে, এ মামলার শুনানি চলবে আগামী ১২ থেকে ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত।
১৬ ঘণ্টা আগে
ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ির সেই বিখ্যাত উক্তি স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ভূগোল পরিবর্তন করা যায় না। আমরা যেখানে আছি সেখানেই থাকব, তারাও সেখানেই থাকবে। তাদের উচিত আমাদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে শেখা।
১৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারতের আসাম রাজ্যের হোজাই জেলায় এক মর্মান্তিক ট্রেন দুর্ঘটনায় প্রাণ হারাল সাতটি বন্য হাতি। গতকাল শুক্রবার দিবাগত গভীর রাতে সাইরাং-নয়াদিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেসের সঙ্গে হাতির পালের এই ভয়াবহ সংঘর্ষ ঘটে। দুর্ঘটনায় একটি হাতি গুরুতর জখম হয়েছে, যার অবস্থা বর্তমানে আশঙ্কাজনক।
ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, সংঘর্ষের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে রাজধানী এক্সপ্রেসের শক্তিশালী ইঞ্জিনসহ পাঁচটি বগি লাইনচ্যুত হয়ে পড়ে। তবে বড় ধরনের দুর্ঘটনা সত্ত্বেও ট্রেনের যাত্রীরা সবাই সুরক্ষিত রয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে রেল কর্তৃপক্ষ।
উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের লামডিং ডিভিশনের অন্তর্গত যমুনামুখ-কামপুর সেকশনে শুক্রবার রাত ২টো ১৭ মিনিটে এই দুর্ঘটনা ঘটে। স্থানীয় ও রেল সূত্রে জানা গেছে, ওই সময় ১১-১২টি হাতির একটি পাল রেললাইন পার হচ্ছিল। ঘন কুয়াশা ও রাতের অন্ধকারের মধ্যে দ্রুতগতিতে থাকা সাইরাং-নয়াদিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেসটি হাতির পালের ওপর উঠে পড়ে। ট্রেনের ধাক্কায় ছিটকে পড়ে সাতটি হাতি এবং ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়। স্থানীয়দের দাবি, এই এলাকায় হাতির যাতায়াত থাকলেও ট্রেনের গতি নিয়ন্ত্রণ করার মতো পর্যাপ্ত সতর্কতা ছিল না।
উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ কর্মকর্তা কপিঞ্জলকিশোর শর্মা জানিয়েছেন, যে স্থানে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে সেখানে কোনো নির্ধারিত ‘এলিফ্যান্ট করিডর’ ছিল না। তিনি বলেন, ‘চালক লাইনের ওপর হাতির পাল দেখতে পেয়েই দ্রুত আপৎকালীন ব্রেক কষেছিলেন। কিন্তু ট্রেনের গতিবেগ অত্যন্ত বেশি থাকায় এবং দূরত্ব কম হওয়ায় ধাক্কা এড়ানো সম্ভব হয়নি।’
রেল কর্তৃপক্ষ আরও জানিয়েছে, দুর্ঘটনার পর ট্রেনের কোনো যাত্রী আহত হননি এবং লাইনচ্যুত বগিগুলো উদ্ধার করে লাইন সচল করার কাজ চলছে।
দুর্ঘটনাস্থলটি আসামের গুয়াহাটি থেকে ১২৬ কিলোমিটার দূরে হোজাই জেলায় অবস্থিত। খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই রেলের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, প্রকৌশলী এবং বন দপ্তরের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছান। আটকে পড়া যাত্রীদের গন্তব্যে পৌঁছে দিতে রেলের পক্ষ থেকে দ্রুত বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই দুর্ঘটনার জেরে উত্তর-পূর্ব ভারতের সঙ্গে বাকি দেশের রেল যোগাযোগ সাময়িকভাবে ব্যাহত হয়েছে। একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ট্রেনের যাত্রাপথ রিশিডিউল করা হয়েছে এবং অনেক ট্রেনকে বিকল্প পথে চালানো হচ্ছে।
বন দপ্তরের বিশেষ দল ইতিমধ্যে মৃত হাতিগুলোর ময়নাতদন্তের প্রক্রিয়া শুরু করেছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, মৃত হাতিগুলোর মধ্যে প্রাপ্তবয়স্ক হাতির পাশাপাশি শাবকও থাকতে পারে। রেললাইনটি হাতির চলাচলের স্বাভাবিক পথ না হওয়া সত্ত্বেও কেন সেখানে হাতির পাল এল এবং চালকের কোনো গাফিলতি ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখতে একটি উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। বন্য প্রাণীপ্রেমীরা এই ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন এবং রেললাইনের ধারে সেন্সর বা আধুনিক নজরদারি ব্যবস্থা স্থাপনের দাবি জানিয়েছেন।

ভারতের আসাম রাজ্যের হোজাই জেলায় এক মর্মান্তিক ট্রেন দুর্ঘটনায় প্রাণ হারাল সাতটি বন্য হাতি। গতকাল শুক্রবার দিবাগত গভীর রাতে সাইরাং-নয়াদিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেসের সঙ্গে হাতির পালের এই ভয়াবহ সংঘর্ষ ঘটে। দুর্ঘটনায় একটি হাতি গুরুতর জখম হয়েছে, যার অবস্থা বর্তমানে আশঙ্কাজনক।
ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, সংঘর্ষের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে রাজধানী এক্সপ্রেসের শক্তিশালী ইঞ্জিনসহ পাঁচটি বগি লাইনচ্যুত হয়ে পড়ে। তবে বড় ধরনের দুর্ঘটনা সত্ত্বেও ট্রেনের যাত্রীরা সবাই সুরক্ষিত রয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে রেল কর্তৃপক্ষ।
উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের লামডিং ডিভিশনের অন্তর্গত যমুনামুখ-কামপুর সেকশনে শুক্রবার রাত ২টো ১৭ মিনিটে এই দুর্ঘটনা ঘটে। স্থানীয় ও রেল সূত্রে জানা গেছে, ওই সময় ১১-১২টি হাতির একটি পাল রেললাইন পার হচ্ছিল। ঘন কুয়াশা ও রাতের অন্ধকারের মধ্যে দ্রুতগতিতে থাকা সাইরাং-নয়াদিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেসটি হাতির পালের ওপর উঠে পড়ে। ট্রেনের ধাক্কায় ছিটকে পড়ে সাতটি হাতি এবং ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়। স্থানীয়দের দাবি, এই এলাকায় হাতির যাতায়াত থাকলেও ট্রেনের গতি নিয়ন্ত্রণ করার মতো পর্যাপ্ত সতর্কতা ছিল না।
উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ কর্মকর্তা কপিঞ্জলকিশোর শর্মা জানিয়েছেন, যে স্থানে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে সেখানে কোনো নির্ধারিত ‘এলিফ্যান্ট করিডর’ ছিল না। তিনি বলেন, ‘চালক লাইনের ওপর হাতির পাল দেখতে পেয়েই দ্রুত আপৎকালীন ব্রেক কষেছিলেন। কিন্তু ট্রেনের গতিবেগ অত্যন্ত বেশি থাকায় এবং দূরত্ব কম হওয়ায় ধাক্কা এড়ানো সম্ভব হয়নি।’
রেল কর্তৃপক্ষ আরও জানিয়েছে, দুর্ঘটনার পর ট্রেনের কোনো যাত্রী আহত হননি এবং লাইনচ্যুত বগিগুলো উদ্ধার করে লাইন সচল করার কাজ চলছে।
দুর্ঘটনাস্থলটি আসামের গুয়াহাটি থেকে ১২৬ কিলোমিটার দূরে হোজাই জেলায় অবস্থিত। খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই রেলের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, প্রকৌশলী এবং বন দপ্তরের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছান। আটকে পড়া যাত্রীদের গন্তব্যে পৌঁছে দিতে রেলের পক্ষ থেকে দ্রুত বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই দুর্ঘটনার জেরে উত্তর-পূর্ব ভারতের সঙ্গে বাকি দেশের রেল যোগাযোগ সাময়িকভাবে ব্যাহত হয়েছে। একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ট্রেনের যাত্রাপথ রিশিডিউল করা হয়েছে এবং অনেক ট্রেনকে বিকল্প পথে চালানো হচ্ছে।
বন দপ্তরের বিশেষ দল ইতিমধ্যে মৃত হাতিগুলোর ময়নাতদন্তের প্রক্রিয়া শুরু করেছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, মৃত হাতিগুলোর মধ্যে প্রাপ্তবয়স্ক হাতির পাশাপাশি শাবকও থাকতে পারে। রেললাইনটি হাতির চলাচলের স্বাভাবিক পথ না হওয়া সত্ত্বেও কেন সেখানে হাতির পাল এল এবং চালকের কোনো গাফিলতি ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখতে একটি উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। বন্য প্রাণীপ্রেমীরা এই ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন এবং রেললাইনের ধারে সেন্সর বা আধুনিক নজরদারি ব্যবস্থা স্থাপনের দাবি জানিয়েছেন।

ভূমধ্যসাগরের তীরে অবস্থিত গাজা উপত্যকা। প্রাচীনকাল থেকেই সমুদ্রপথে বাণিজ্যের জন্য পরিচিত এই অঞ্চল। ১৯১৭ সাল পর্যন্ত অটোমান সাম্রাজ্যের অধীনে থাকার পর ব্রিটিশ শাসন থেকে এই অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নেয় মিসর। এরপর গত শতাব্দীর শেষভাগ থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে গাজার প্রায় ২০ লাখেরও বেশি মানুষ। গত শ
১১ অক্টোবর ২০২৩
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধের পর আর কোনো যুদ্ধ হবে না—যদি পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়াকে সম্মান করে এবং দেশটির নিরাপত্তাগত স্বার্থকে গুরুত্ব দেয়। প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টাব্যাপী টেলিভিশন অনুষ্ঠান ‘ডিরেক্ট লাইন’-এ তিনি এই মন্তব্য করেন।
১৬ ঘণ্টা আগে
মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর গণহত্যার অভিযোগে করা মামলার মূল শুনানি আগামী জানুয়ারিতে শুরু হচ্ছে। জাতিসংঘের সর্বোচ্চ বিচারিক সংস্থা আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) জানিয়েছে, এ মামলার শুনানি চলবে আগামী ১২ থেকে ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত।
১৬ ঘণ্টা আগে
ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ির সেই বিখ্যাত উক্তি স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ভূগোল পরিবর্তন করা যায় না। আমরা যেখানে আছি সেখানেই থাকব, তারাও সেখানেই থাকবে। তাদের উচিত আমাদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে শেখা।
১৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধের পর আর কোনো যুদ্ধ হবে না—যদি পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়াকে সম্মান করে এবং দেশটির নিরাপত্তাগত স্বার্থকে গুরুত্ব দেয়। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টাব্যাপী অনুষ্ঠান ‘ডিরেক্ট লাইন’-এ তিনি এই মন্তব্য করেন।
বিবিসির সাংবাদিক স্টিভ রোজেনবার্গের প্রশ্নের জবাবে পুতিন বলেন, ইউরোপীয় দেশগুলোকে আক্রমণ করার যে অভিযোগ তোলা হচ্ছে, তা সম্পূর্ণ ‘অর্থহীন’।
পুতিন দাবি করেন, রাশিয়ার প্রতি সম্মান দেখানো হলে এবং পূর্বদিকে ন্যাটোর সম্প্রসারণ নিয়ে পশ্চিমা দেশগুলো ‘প্রতারণা’ বন্ধ করলে নতুন কোনো বিশেষ সামরিক অভিযান হবে না। তিনি তাঁর পুরোনো অভিযোগের পুনরাবৃত্তি করে বলেন, ১৯৯০ সালে সোভিয়েত নেতা মিখাইল গর্বাচেভকে ন্যাটো সম্প্রসারণ না করার যে আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল, পশ্চিম তা মানেনি।
মস্কোর একটি হলে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে পুতিনের পেছনে রাশিয়ার বিশাল মানচিত্র ঝুলছিল। এই মানচিত্রে ইউক্রেনের দখলকৃত অঞ্চল, এমনকি ক্রিমিয়াও অন্তর্ভুক্ত ছিল। রুশ রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের দাবি, ওই অনুষ্ঠানটিতে পুতিনকে উদ্দেশ্য করে ৩০ লাখের বেশি প্রশ্ন জমা পড়েছিল।
ইউক্রেন যুদ্ধের বিষয়ে পুতিন বলেন, তিনি ‘শান্তিপূর্ণভাবে’ যুদ্ধ শেষ করতে প্রস্তুত। তবে কোনো ধরনের আপসের ইঙ্গিত দেননি। তিনি আবারও দাবি করেন, ইউক্রেনকে ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার চেষ্টা বাদ দিতে হবে এবং রাশিয়ার দখল করা চারটি অঞ্চল থেকে ইউক্রেনীয় সেনা সরিয়ে নিতে হবে। আংশিকভাবে দখল করে নেওয়া ইউক্রেনের দনবাস অঞ্চলের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ চায় রাশিয়া।
দেশের অর্থনীতির প্রশ্নে মূল্যস্ফীতি, প্রবৃদ্ধি কমে যাওয়া এবং ভ্যাট বৃদ্ধির বিষয় স্বীকার করেন পুতিন। অনুষ্ঠানের মধ্যেই রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুদের হার কমিয়ে ১৬ শতাংশে নামানোর ঘোষণা দেয়। বিদেশনীতি, অর্থনীতি ও যুদ্ধের পাশাপাশি অনুষ্ঠানজুড়ে উঠে আসে মাতৃভূমি, প্রবীণ সেনাদের সম্মান এবং সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন সমস্যা।
পুতিন পশ্চিমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, তারা ইউক্রেনের মাধ্যমে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালাচ্ছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপের সঙ্গে ‘সমান মর্যাদা ও পারস্পরিক সম্মানের ভিত্তিতে’ কাজ করতে তিনি আগ্রহ প্রকাশ করেন। রাশিয়া ভবিষ্যতে ন্যাটোর ওপর হামলা চালাতে পারে—পশ্চিমা গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর এমন আশঙ্কার কথা আবারও তা নাকচ করে দেন তিনি।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধের পর আর কোনো যুদ্ধ হবে না—যদি পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়াকে সম্মান করে এবং দেশটির নিরাপত্তাগত স্বার্থকে গুরুত্ব দেয়। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টাব্যাপী অনুষ্ঠান ‘ডিরেক্ট লাইন’-এ তিনি এই মন্তব্য করেন।
বিবিসির সাংবাদিক স্টিভ রোজেনবার্গের প্রশ্নের জবাবে পুতিন বলেন, ইউরোপীয় দেশগুলোকে আক্রমণ করার যে অভিযোগ তোলা হচ্ছে, তা সম্পূর্ণ ‘অর্থহীন’।
পুতিন দাবি করেন, রাশিয়ার প্রতি সম্মান দেখানো হলে এবং পূর্বদিকে ন্যাটোর সম্প্রসারণ নিয়ে পশ্চিমা দেশগুলো ‘প্রতারণা’ বন্ধ করলে নতুন কোনো বিশেষ সামরিক অভিযান হবে না। তিনি তাঁর পুরোনো অভিযোগের পুনরাবৃত্তি করে বলেন, ১৯৯০ সালে সোভিয়েত নেতা মিখাইল গর্বাচেভকে ন্যাটো সম্প্রসারণ না করার যে আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল, পশ্চিম তা মানেনি।
মস্কোর একটি হলে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে পুতিনের পেছনে রাশিয়ার বিশাল মানচিত্র ঝুলছিল। এই মানচিত্রে ইউক্রেনের দখলকৃত অঞ্চল, এমনকি ক্রিমিয়াও অন্তর্ভুক্ত ছিল। রুশ রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের দাবি, ওই অনুষ্ঠানটিতে পুতিনকে উদ্দেশ্য করে ৩০ লাখের বেশি প্রশ্ন জমা পড়েছিল।
ইউক্রেন যুদ্ধের বিষয়ে পুতিন বলেন, তিনি ‘শান্তিপূর্ণভাবে’ যুদ্ধ শেষ করতে প্রস্তুত। তবে কোনো ধরনের আপসের ইঙ্গিত দেননি। তিনি আবারও দাবি করেন, ইউক্রেনকে ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার চেষ্টা বাদ দিতে হবে এবং রাশিয়ার দখল করা চারটি অঞ্চল থেকে ইউক্রেনীয় সেনা সরিয়ে নিতে হবে। আংশিকভাবে দখল করে নেওয়া ইউক্রেনের দনবাস অঞ্চলের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ চায় রাশিয়া।
দেশের অর্থনীতির প্রশ্নে মূল্যস্ফীতি, প্রবৃদ্ধি কমে যাওয়া এবং ভ্যাট বৃদ্ধির বিষয় স্বীকার করেন পুতিন। অনুষ্ঠানের মধ্যেই রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুদের হার কমিয়ে ১৬ শতাংশে নামানোর ঘোষণা দেয়। বিদেশনীতি, অর্থনীতি ও যুদ্ধের পাশাপাশি অনুষ্ঠানজুড়ে উঠে আসে মাতৃভূমি, প্রবীণ সেনাদের সম্মান এবং সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন সমস্যা।
পুতিন পশ্চিমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, তারা ইউক্রেনের মাধ্যমে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালাচ্ছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপের সঙ্গে ‘সমান মর্যাদা ও পারস্পরিক সম্মানের ভিত্তিতে’ কাজ করতে তিনি আগ্রহ প্রকাশ করেন। রাশিয়া ভবিষ্যতে ন্যাটোর ওপর হামলা চালাতে পারে—পশ্চিমা গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর এমন আশঙ্কার কথা আবারও তা নাকচ করে দেন তিনি।

ভূমধ্যসাগরের তীরে অবস্থিত গাজা উপত্যকা। প্রাচীনকাল থেকেই সমুদ্রপথে বাণিজ্যের জন্য পরিচিত এই অঞ্চল। ১৯১৭ সাল পর্যন্ত অটোমান সাম্রাজ্যের অধীনে থাকার পর ব্রিটিশ শাসন থেকে এই অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নেয় মিসর। এরপর গত শতাব্দীর শেষভাগ থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে গাজার প্রায় ২০ লাখেরও বেশি মানুষ। গত শ
১১ অক্টোবর ২০২৩
ভারতের আসাম রাজ্যের হোজাই জেলায় এক মর্মান্তিক ট্রেন দুর্ঘটনায় প্রাণ হারাল সাতটি বন্য হাতি। গতকাল শুক্রবার দিবাগত গভীর রাতে সাইরাং-নয়াদিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেসের সঙ্গে হাতির পালের এই ভয়াবহ সংঘর্ষ ঘটে। দুর্ঘটনায় একটি হাতি গুরুতর জখম হয়েছে, যার অবস্থা বর্তমানে আশঙ্কাজনক।
৩ ঘণ্টা আগে
মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর গণহত্যার অভিযোগে করা মামলার মূল শুনানি আগামী জানুয়ারিতে শুরু হচ্ছে। জাতিসংঘের সর্বোচ্চ বিচারিক সংস্থা আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) জানিয়েছে, এ মামলার শুনানি চলবে আগামী ১২ থেকে ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত।
১৬ ঘণ্টা আগে
ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ির সেই বিখ্যাত উক্তি স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ভূগোল পরিবর্তন করা যায় না। আমরা যেখানে আছি সেখানেই থাকব, তারাও সেখানেই থাকবে। তাদের উচিত আমাদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে শেখা।
১৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর গণহত্যার অভিযোগে করা মামলার মূল শুনানি আগামী জানুয়ারিতে শুরু হচ্ছে। জাতিসংঘের সর্বোচ্চ বিচারিক সংস্থা আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) জানিয়েছে, এ মামলার শুনানি চলবে আগামী ১২ থেকে ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত।
এই শুনানি আন্তর্জাতিক আইনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ, এক দশকের বেশি সময় পর এটি হবে আইসিজেতে কোনো গণহত্যা মামলার মূল বিষয়ের ওপর শুনানি। একই সঙ্গে গাজা যুদ্ধ নিয়ে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকার দায়ের করা মামলাতেও এর প্রভাব পড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুনানির প্রথম সপ্তাহে (১২ থেকে ১৫ জানুয়ারি) মামলার বাদী দেশ গাম্বিয়া আদালতে তাদের অভিযোগ উপস্থাপন করবে। পশ্চিম আফ্রিকার মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ গাম্বিয়া ২০১৯ সালে ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) সমর্থনে এ মামলা দায়ের করে। মামলায় মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যা চালানোর অভিযোগ আনা হয়।
এরপর ১৬ থেকে ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত মিয়ানমার তাদের অবস্থান তুলে ধরার সুযোগ পাবে। মিয়ানমার সরকার বরাবরই গণহত্যার অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।
আইসিজে জানিয়েছে, এ মামলায় তিন দিন সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে। তবে এসব শুনানি জনসাধারণ ও গণমাধ্যমের জন্য বন্ধ থাকবে।
জাতিসংঘের একটি তদন্ত মিশন ২০১৭ সালে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর অভিযানে ‘গণহত্যামূলক কর্মকাণ্ড’ সংঘটিত হয়েছিল বলে প্রতিবেদন দেয়। ওই অভিযানে প্রায় সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়।
মিয়ানমার অবশ্য জাতিসংঘের ওই প্রতিবেদনকে ‘পক্ষপাতদুষ্ট ও ত্রুটিপূর্ণ’ বলে দাবি করেছে। দেশটির বক্তব্য, সে সময়কার অভিযান ছিল রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে, যারা নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলা চালিয়েছিল।
মামলাটি ১৯৪৮ সালের জাতিসংঘের গণহত্যা সনদ অনুযায়ী দায়ের করা হয়েছে। নাৎসি জার্মানির হাতে ইহুদিদের গণহত্যার পর এ সনদ প্রণয়ন করা হয়। এতে গণহত্যা বলতে কোনো জাতিগত, ধর্মীয় বা নৃগোষ্ঠীকে পুরোপুরি বা আংশিকভাবে ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে সংঘটিত হত্যাকাণ্ড, গুরুতর শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি, কিংবা পুরোপুরি ধ্বংসের উদ্দেশ্যে সৃষ্ট পরিস্থিতিকে বোঝানো হয়েছে।
গাম্বিয়া ও মিয়ানমার—দুই দেশই এ সনদের স্বাক্ষরকারী হওয়ায় আইসিজের এ মামলার বিচারিক এখতিয়ার রয়েছে।
১৯৪৮ সালের গণহত্যা সনদের পর আইসিজে এখন পর্যন্ত মাত্র একবার গণহত্যার ঘটনা নিশ্চিত করেছে। এটি ছিল ১৯৯৫ সালে বসনিয়ার স্রেব্রেনিৎসায় প্রায় ৮ হাজার মুসলিম পুরুষ ও কিশোর হত্যাকাণ্ড।
গাম্বিয়া ও মামলায় হস্তক্ষেপকারী অন্য দেশগুলো হলো কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি ও যুক্তরাজ্য। এই পাঁচ দেশ আদালতে যুক্তি দিয়েছে, গণহত্যা শুধু ব্যাপক হত্যাকাণ্ডের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। তাদের মতে, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতি, শিশুদের বিরুদ্ধে অপরাধ এবং যৌন ও লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতাও গণহত্যার উদ্দেশ্য হিসেবে বিবেচনায় নেওয়া উচিত।

মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর গণহত্যার অভিযোগে করা মামলার মূল শুনানি আগামী জানুয়ারিতে শুরু হচ্ছে। জাতিসংঘের সর্বোচ্চ বিচারিক সংস্থা আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) জানিয়েছে, এ মামলার শুনানি চলবে আগামী ১২ থেকে ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত।
এই শুনানি আন্তর্জাতিক আইনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ, এক দশকের বেশি সময় পর এটি হবে আইসিজেতে কোনো গণহত্যা মামলার মূল বিষয়ের ওপর শুনানি। একই সঙ্গে গাজা যুদ্ধ নিয়ে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকার দায়ের করা মামলাতেও এর প্রভাব পড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুনানির প্রথম সপ্তাহে (১২ থেকে ১৫ জানুয়ারি) মামলার বাদী দেশ গাম্বিয়া আদালতে তাদের অভিযোগ উপস্থাপন করবে। পশ্চিম আফ্রিকার মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ গাম্বিয়া ২০১৯ সালে ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) সমর্থনে এ মামলা দায়ের করে। মামলায় মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যা চালানোর অভিযোগ আনা হয়।
এরপর ১৬ থেকে ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত মিয়ানমার তাদের অবস্থান তুলে ধরার সুযোগ পাবে। মিয়ানমার সরকার বরাবরই গণহত্যার অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।
আইসিজে জানিয়েছে, এ মামলায় তিন দিন সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে। তবে এসব শুনানি জনসাধারণ ও গণমাধ্যমের জন্য বন্ধ থাকবে।
জাতিসংঘের একটি তদন্ত মিশন ২০১৭ সালে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর অভিযানে ‘গণহত্যামূলক কর্মকাণ্ড’ সংঘটিত হয়েছিল বলে প্রতিবেদন দেয়। ওই অভিযানে প্রায় সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়।
মিয়ানমার অবশ্য জাতিসংঘের ওই প্রতিবেদনকে ‘পক্ষপাতদুষ্ট ও ত্রুটিপূর্ণ’ বলে দাবি করেছে। দেশটির বক্তব্য, সে সময়কার অভিযান ছিল রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে, যারা নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলা চালিয়েছিল।
মামলাটি ১৯৪৮ সালের জাতিসংঘের গণহত্যা সনদ অনুযায়ী দায়ের করা হয়েছে। নাৎসি জার্মানির হাতে ইহুদিদের গণহত্যার পর এ সনদ প্রণয়ন করা হয়। এতে গণহত্যা বলতে কোনো জাতিগত, ধর্মীয় বা নৃগোষ্ঠীকে পুরোপুরি বা আংশিকভাবে ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে সংঘটিত হত্যাকাণ্ড, গুরুতর শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি, কিংবা পুরোপুরি ধ্বংসের উদ্দেশ্যে সৃষ্ট পরিস্থিতিকে বোঝানো হয়েছে।
গাম্বিয়া ও মিয়ানমার—দুই দেশই এ সনদের স্বাক্ষরকারী হওয়ায় আইসিজের এ মামলার বিচারিক এখতিয়ার রয়েছে।
১৯৪৮ সালের গণহত্যা সনদের পর আইসিজে এখন পর্যন্ত মাত্র একবার গণহত্যার ঘটনা নিশ্চিত করেছে। এটি ছিল ১৯৯৫ সালে বসনিয়ার স্রেব্রেনিৎসায় প্রায় ৮ হাজার মুসলিম পুরুষ ও কিশোর হত্যাকাণ্ড।
গাম্বিয়া ও মামলায় হস্তক্ষেপকারী অন্য দেশগুলো হলো কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি ও যুক্তরাজ্য। এই পাঁচ দেশ আদালতে যুক্তি দিয়েছে, গণহত্যা শুধু ব্যাপক হত্যাকাণ্ডের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। তাদের মতে, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতি, শিশুদের বিরুদ্ধে অপরাধ এবং যৌন ও লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতাও গণহত্যার উদ্দেশ্য হিসেবে বিবেচনায় নেওয়া উচিত।

ভূমধ্যসাগরের তীরে অবস্থিত গাজা উপত্যকা। প্রাচীনকাল থেকেই সমুদ্রপথে বাণিজ্যের জন্য পরিচিত এই অঞ্চল। ১৯১৭ সাল পর্যন্ত অটোমান সাম্রাজ্যের অধীনে থাকার পর ব্রিটিশ শাসন থেকে এই অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নেয় মিসর। এরপর গত শতাব্দীর শেষভাগ থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে গাজার প্রায় ২০ লাখেরও বেশি মানুষ। গত শ
১১ অক্টোবর ২০২৩
ভারতের আসাম রাজ্যের হোজাই জেলায় এক মর্মান্তিক ট্রেন দুর্ঘটনায় প্রাণ হারাল সাতটি বন্য হাতি। গতকাল শুক্রবার দিবাগত গভীর রাতে সাইরাং-নয়াদিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেসের সঙ্গে হাতির পালের এই ভয়াবহ সংঘর্ষ ঘটে। দুর্ঘটনায় একটি হাতি গুরুতর জখম হয়েছে, যার অবস্থা বর্তমানে আশঙ্কাজনক।
৩ ঘণ্টা আগে
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধের পর আর কোনো যুদ্ধ হবে না—যদি পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়াকে সম্মান করে এবং দেশটির নিরাপত্তাগত স্বার্থকে গুরুত্ব দেয়। প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টাব্যাপী টেলিভিশন অনুষ্ঠান ‘ডিরেক্ট লাইন’-এ তিনি এই মন্তব্য করেন।
১৬ ঘণ্টা আগে
ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ির সেই বিখ্যাত উক্তি স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ভূগোল পরিবর্তন করা যায় না। আমরা যেখানে আছি সেখানেই থাকব, তারাও সেখানেই থাকবে। তাদের উচিত আমাদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে শেখা।
১৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও জুলাই অভ্যুত্থানের অন্যতম যোদ্ধা শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। গতকাল বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ, সংবাদমাধ্যমের ভবনে অগ্নিসংযোগ এবং ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে স্লোগান দেওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন কংগ্রেস সাংসদ ও ভারতের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির (পররাষ্ট্রবিষয়ক) প্রধান শশী থারুর।
শশী থারুর সতর্ক করে বলেছেন, বাংলাদেশে চলমান এই সহিংসতা সাধারণ বাংলাদেশিদের সহায়তা করার ক্ষেত্রে ভারতের সক্ষমতাকে সংকুচিত করে দিচ্ছে। তিনি ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ির সেই বিখ্যাত উক্তি স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ‘ভূগোল পরিবর্তন করা যায় না। আমরা যেখানে আছি সেখানেই থাকব, তারাও সেখানেই থাকবে। তাদের উচিত আমাদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে শেখা।’
বাংলাদেশে সংবাদমাধ্যমের ওপর হামলা এবং ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে থারুর বলেছেন, ‘সহিংসতার কারণে আমাদের দুটি ভিসা সেন্টার বন্ধ করে দিতে হয়েছে। এটি অত্যন্ত হতাশাজনক। কারণ, যেসব বাংলাদেশি ভারতে আসতে চান, তাঁরাই এখন অভিযোগ করছেন যে আগে যেভাবে সহজে ভিসা পাওয়া যেত, এখন তা পাওয়া যাচ্ছে না।’
থারুর উল্লেখ করেন, বর্তমান পরিস্থিতি ভারত সরকারের পক্ষে সাধারণ বাংলাদেশিদের সাহায্য করা কঠিন করে তুলছে।
বাংলাদেশ সরকারকে ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করে থারুর বলেন, ‘আমি আশা করি পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক হবে। আমি বাংলাদেশের জনগণ ও সরকারকে বলব যেন তারা প্রতিবেশীর সঙ্গে এই ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের গুরুত্ব বোঝে। বাজপেয়ি সাহেব পাকিস্তানের ক্ষেত্রে যেমনটি বলেছিলেন—আমরা আমাদের ভূগোল পরিবর্তন করতে পারি না। আমরা যেখানে আছি সেখানেই থাকব, তারাও সেখানেই থাকবে। তাদের উচিত আমাদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে শেখা।’
শশী থারুর জানান, নয়াদিল্লি পুরো পরিস্থিতি খুব নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় কর্মকর্তারা সরাসরি বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করবেন। তিনি বলেন, ‘ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশন সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করবে এবং পরিস্থিতি শান্ত করার জন্য যা যা করা প্রয়োজন তা করতে অনুরোধ জানাবে।’

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও জুলাই অভ্যুত্থানের অন্যতম যোদ্ধা শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। গতকাল বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ, সংবাদমাধ্যমের ভবনে অগ্নিসংযোগ এবং ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে স্লোগান দেওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন কংগ্রেস সাংসদ ও ভারতের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির (পররাষ্ট্রবিষয়ক) প্রধান শশী থারুর।
শশী থারুর সতর্ক করে বলেছেন, বাংলাদেশে চলমান এই সহিংসতা সাধারণ বাংলাদেশিদের সহায়তা করার ক্ষেত্রে ভারতের সক্ষমতাকে সংকুচিত করে দিচ্ছে। তিনি ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ির সেই বিখ্যাত উক্তি স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ‘ভূগোল পরিবর্তন করা যায় না। আমরা যেখানে আছি সেখানেই থাকব, তারাও সেখানেই থাকবে। তাদের উচিত আমাদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে শেখা।’
বাংলাদেশে সংবাদমাধ্যমের ওপর হামলা এবং ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে থারুর বলেছেন, ‘সহিংসতার কারণে আমাদের দুটি ভিসা সেন্টার বন্ধ করে দিতে হয়েছে। এটি অত্যন্ত হতাশাজনক। কারণ, যেসব বাংলাদেশি ভারতে আসতে চান, তাঁরাই এখন অভিযোগ করছেন যে আগে যেভাবে সহজে ভিসা পাওয়া যেত, এখন তা পাওয়া যাচ্ছে না।’
থারুর উল্লেখ করেন, বর্তমান পরিস্থিতি ভারত সরকারের পক্ষে সাধারণ বাংলাদেশিদের সাহায্য করা কঠিন করে তুলছে।
বাংলাদেশ সরকারকে ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করে থারুর বলেন, ‘আমি আশা করি পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক হবে। আমি বাংলাদেশের জনগণ ও সরকারকে বলব যেন তারা প্রতিবেশীর সঙ্গে এই ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের গুরুত্ব বোঝে। বাজপেয়ি সাহেব পাকিস্তানের ক্ষেত্রে যেমনটি বলেছিলেন—আমরা আমাদের ভূগোল পরিবর্তন করতে পারি না। আমরা যেখানে আছি সেখানেই থাকব, তারাও সেখানেই থাকবে। তাদের উচিত আমাদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে শেখা।’
শশী থারুর জানান, নয়াদিল্লি পুরো পরিস্থিতি খুব নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় কর্মকর্তারা সরাসরি বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করবেন। তিনি বলেন, ‘ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশন সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করবে এবং পরিস্থিতি শান্ত করার জন্য যা যা করা প্রয়োজন তা করতে অনুরোধ জানাবে।’

ভূমধ্যসাগরের তীরে অবস্থিত গাজা উপত্যকা। প্রাচীনকাল থেকেই সমুদ্রপথে বাণিজ্যের জন্য পরিচিত এই অঞ্চল। ১৯১৭ সাল পর্যন্ত অটোমান সাম্রাজ্যের অধীনে থাকার পর ব্রিটিশ শাসন থেকে এই অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নেয় মিসর। এরপর গত শতাব্দীর শেষভাগ থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে গাজার প্রায় ২০ লাখেরও বেশি মানুষ। গত শ
১১ অক্টোবর ২০২৩
ভারতের আসাম রাজ্যের হোজাই জেলায় এক মর্মান্তিক ট্রেন দুর্ঘটনায় প্রাণ হারাল সাতটি বন্য হাতি। গতকাল শুক্রবার দিবাগত গভীর রাতে সাইরাং-নয়াদিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেসের সঙ্গে হাতির পালের এই ভয়াবহ সংঘর্ষ ঘটে। দুর্ঘটনায় একটি হাতি গুরুতর জখম হয়েছে, যার অবস্থা বর্তমানে আশঙ্কাজনক।
৩ ঘণ্টা আগে
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধের পর আর কোনো যুদ্ধ হবে না—যদি পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়াকে সম্মান করে এবং দেশটির নিরাপত্তাগত স্বার্থকে গুরুত্ব দেয়। প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টাব্যাপী টেলিভিশন অনুষ্ঠান ‘ডিরেক্ট লাইন’-এ তিনি এই মন্তব্য করেন।
১৬ ঘণ্টা আগে
মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর গণহত্যার অভিযোগে করা মামলার মূল শুনানি আগামী জানুয়ারিতে শুরু হচ্ছে। জাতিসংঘের সর্বোচ্চ বিচারিক সংস্থা আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) জানিয়েছে, এ মামলার শুনানি চলবে আগামী ১২ থেকে ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত।
১৬ ঘণ্টা আগে