
নভেম্বর প্রায় চলে এল। অথচ জাপানের বিখ্যাত মাউন্ট ফুজিতে এখনো কোনো বরফের দেখা নাই। ১৩০ বছর আগে রেকর্ড শুরু হওয়ার পর থেকে এবারই প্রথম বছরের এই সময়টিতে ফুজির চূড়ায় কোনো বরফ জমতে দেখা যায়নি।
মঙ্গলবার সিএনএন জানিয়েছে, জাপানের সর্বোচ্চ পর্বত মাউন্ট ফুজিতে প্রতিবছরই সাধারণত অক্টোবর মাসের শুরুর দিকে বরফ জমতে শুরু করে। কিন্তু আজ ২৯ অক্টোবরও সেখানে কোনো বরফ জমতে দেখা যায়নি। এ অবস্থায় জাপানিদের সবচেয়ে প্রিয় এই পর্বতটি জলবায়ু সংকটের মুখে পড়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
জাপানের আবহাওয়া সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, মাউন্ট ফুজির চূড়ায় বরফ জমতে (স্নোক্যাপ) শুরু করার স্বাভাবিক সময় ধরা হয় সাধারণত ২ অক্টোবর। গত বছর অবশ্য এই চূড়ায় স্নোক্যাপ দেখা গিয়েছিল ৫ অক্টোবর। তবে দেশটির পাবলিক ব্রডকাস্টার এনএইচকে জানিয়েছিল, উষ্ণ তাপমাত্রার কারণে গত বছরের স্নোক্যাপটি নভেম্বরের শুরুর দিকে বেশির ভাগই আবার গলে গিয়েছিল।
মাউন্ট ফুজির কাছাকাছি স্থানীয় কোফু আবহাওয়া অফিস ১৮৯৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এরপর থেকে প্রতি বছরই এই অফিস ফুজিতে প্রথম তুষারপাতের ঘোষণা দিয়ে আসছে। কিন্তু এবারই প্রথম তারা ব্যতিক্রম একটি ঘোষণা দিয়েছে। অফিস থেকে জানানো হয়েছে, অসময়ে উষ্ণ আবহাওয়ার কারণে এবার ফুজিতে এখন পর্যন্ত কোনো বরফ জমেনি।
কোফু আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা শিনিচি ইয়ানাগি মঙ্গলবার সিএনএনকে বলেছেন, ‘গ্রীষ্মকাল থেকে জাপানে উচ্চ তাপমাত্রা অব্যাহত থাকায় এবং বৃষ্টিপাতের কারণে কোনো তুষারপাত হয়নি।’
শিনিচি জানান, ২৯ অক্টোবরও ফুজিতে বরফ না জমা ১৯৫৫ ও ২০১৬ সালের দেরিতে বরফ জমার রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। ওই দুটি বছরে ফুজিতে স্নোক্যাপ শুরু হয়েছিল ২৬ অক্টোবর।
গত সেপ্টেম্বরে জাপানের আবহাওয়া অফিস ঘোষণা করেছে, ১৮৯৮ সাল থেকে রেকর্ড শুরু হওয়ার পর চলতি বছরই ছিল সবচেয়ে উষ্ণতম গ্রীষ্মকাল। চলতি বছর জুন থেকে আগস্ট পর্যন্ত দেশটির গড় তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে ১.৭৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি রেকর্ড করা হয়েছে। চলমান জলবায়ু প্যাটার্ন এল নিনো এবং জীবাশ্ম জ্বালানি পোড়ানোর মতো মানব-সৃষ্ট কারণে এমনটি ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বিজ্ঞানীরা দীর্ঘদিন ধরেই সতর্ক করে আসছেন—জলবায়ু পরিবর্তনের সবচেয়ে বিপর্যয়কর প্রভাবগুলো এড়াতে বিশ্বকে প্রাক-শিল্প যুগের চেয়ে উষ্ণতা বৃদ্ধির মাত্রা ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে হবে।
গত জানুয়ারিতে একটি নতুন গবেষণায় দেখা গেছে, জলবায়ু সংকট গত ৪০ বছরে উত্তর গোলার্ধের বেশির ভাগ অংশে জমে থাকা তুষার অনেক হ্রাস করেছে। এসবের সঙ্গে এবার এখনো মাউন্ট ফুজিতে বরফ না জমার বিষয়টি বিজ্ঞানীদের দুশ্চিন্তাকে আরেকটু বাড়িয়ে দিয়েছে।
জাপানের ইয়ামানাশি এবং শিজুওকা প্রিফেকচার জুড়ে বিস্তৃত ৩ হাজার ৭৭৬ মিটার উঁচু মাউন্ট ফুজি বিশ্ব ঐতিহ্যের অন্তর্ভুক্ত একটি জাপানি আইকন। জুলাই মাসে বার্ষিক পর্বতারোহণের মৌসুম শুরু না হওয়া পর্যন্ত এটি সাধারণত বছরের বেশির ভাগ সময় তুষারে আবৃত থাকে। পর্বতারোহী ছাড়াও এটি প্রতিবছর লাখ লাখ দর্শনার্থীকে আকৃষ্ট থাকে।

নভেম্বর প্রায় চলে এল। অথচ জাপানের বিখ্যাত মাউন্ট ফুজিতে এখনো কোনো বরফের দেখা নাই। ১৩০ বছর আগে রেকর্ড শুরু হওয়ার পর থেকে এবারই প্রথম বছরের এই সময়টিতে ফুজির চূড়ায় কোনো বরফ জমতে দেখা যায়নি।
মঙ্গলবার সিএনএন জানিয়েছে, জাপানের সর্বোচ্চ পর্বত মাউন্ট ফুজিতে প্রতিবছরই সাধারণত অক্টোবর মাসের শুরুর দিকে বরফ জমতে শুরু করে। কিন্তু আজ ২৯ অক্টোবরও সেখানে কোনো বরফ জমতে দেখা যায়নি। এ অবস্থায় জাপানিদের সবচেয়ে প্রিয় এই পর্বতটি জলবায়ু সংকটের মুখে পড়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
জাপানের আবহাওয়া সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, মাউন্ট ফুজির চূড়ায় বরফ জমতে (স্নোক্যাপ) শুরু করার স্বাভাবিক সময় ধরা হয় সাধারণত ২ অক্টোবর। গত বছর অবশ্য এই চূড়ায় স্নোক্যাপ দেখা গিয়েছিল ৫ অক্টোবর। তবে দেশটির পাবলিক ব্রডকাস্টার এনএইচকে জানিয়েছিল, উষ্ণ তাপমাত্রার কারণে গত বছরের স্নোক্যাপটি নভেম্বরের শুরুর দিকে বেশির ভাগই আবার গলে গিয়েছিল।
মাউন্ট ফুজির কাছাকাছি স্থানীয় কোফু আবহাওয়া অফিস ১৮৯৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এরপর থেকে প্রতি বছরই এই অফিস ফুজিতে প্রথম তুষারপাতের ঘোষণা দিয়ে আসছে। কিন্তু এবারই প্রথম তারা ব্যতিক্রম একটি ঘোষণা দিয়েছে। অফিস থেকে জানানো হয়েছে, অসময়ে উষ্ণ আবহাওয়ার কারণে এবার ফুজিতে এখন পর্যন্ত কোনো বরফ জমেনি।
কোফু আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা শিনিচি ইয়ানাগি মঙ্গলবার সিএনএনকে বলেছেন, ‘গ্রীষ্মকাল থেকে জাপানে উচ্চ তাপমাত্রা অব্যাহত থাকায় এবং বৃষ্টিপাতের কারণে কোনো তুষারপাত হয়নি।’
শিনিচি জানান, ২৯ অক্টোবরও ফুজিতে বরফ না জমা ১৯৫৫ ও ২০১৬ সালের দেরিতে বরফ জমার রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। ওই দুটি বছরে ফুজিতে স্নোক্যাপ শুরু হয়েছিল ২৬ অক্টোবর।
গত সেপ্টেম্বরে জাপানের আবহাওয়া অফিস ঘোষণা করেছে, ১৮৯৮ সাল থেকে রেকর্ড শুরু হওয়ার পর চলতি বছরই ছিল সবচেয়ে উষ্ণতম গ্রীষ্মকাল। চলতি বছর জুন থেকে আগস্ট পর্যন্ত দেশটির গড় তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে ১.৭৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি রেকর্ড করা হয়েছে। চলমান জলবায়ু প্যাটার্ন এল নিনো এবং জীবাশ্ম জ্বালানি পোড়ানোর মতো মানব-সৃষ্ট কারণে এমনটি ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বিজ্ঞানীরা দীর্ঘদিন ধরেই সতর্ক করে আসছেন—জলবায়ু পরিবর্তনের সবচেয়ে বিপর্যয়কর প্রভাবগুলো এড়াতে বিশ্বকে প্রাক-শিল্প যুগের চেয়ে উষ্ণতা বৃদ্ধির মাত্রা ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে হবে।
গত জানুয়ারিতে একটি নতুন গবেষণায় দেখা গেছে, জলবায়ু সংকট গত ৪০ বছরে উত্তর গোলার্ধের বেশির ভাগ অংশে জমে থাকা তুষার অনেক হ্রাস করেছে। এসবের সঙ্গে এবার এখনো মাউন্ট ফুজিতে বরফ না জমার বিষয়টি বিজ্ঞানীদের দুশ্চিন্তাকে আরেকটু বাড়িয়ে দিয়েছে।
জাপানের ইয়ামানাশি এবং শিজুওকা প্রিফেকচার জুড়ে বিস্তৃত ৩ হাজার ৭৭৬ মিটার উঁচু মাউন্ট ফুজি বিশ্ব ঐতিহ্যের অন্তর্ভুক্ত একটি জাপানি আইকন। জুলাই মাসে বার্ষিক পর্বতারোহণের মৌসুম শুরু না হওয়া পর্যন্ত এটি সাধারণত বছরের বেশির ভাগ সময় তুষারে আবৃত থাকে। পর্বতারোহী ছাড়াও এটি প্রতিবছর লাখ লাখ দর্শনার্থীকে আকৃষ্ট থাকে।

নভেম্বর প্রায় চলে এল। অথচ জাপানের বিখ্যাত মাউন্ট ফুজিতে এখনো কোনো বরফের দেখা নাই। ১৩০ বছর আগে রেকর্ড শুরু হওয়ার পর থেকে এবারই প্রথম বছরের এই সময়টিতে ফুজির চূড়ায় কোনো বরফ জমতে দেখা যায়নি।
মঙ্গলবার সিএনএন জানিয়েছে, জাপানের সর্বোচ্চ পর্বত মাউন্ট ফুজিতে প্রতিবছরই সাধারণত অক্টোবর মাসের শুরুর দিকে বরফ জমতে শুরু করে। কিন্তু আজ ২৯ অক্টোবরও সেখানে কোনো বরফ জমতে দেখা যায়নি। এ অবস্থায় জাপানিদের সবচেয়ে প্রিয় এই পর্বতটি জলবায়ু সংকটের মুখে পড়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
জাপানের আবহাওয়া সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, মাউন্ট ফুজির চূড়ায় বরফ জমতে (স্নোক্যাপ) শুরু করার স্বাভাবিক সময় ধরা হয় সাধারণত ২ অক্টোবর। গত বছর অবশ্য এই চূড়ায় স্নোক্যাপ দেখা গিয়েছিল ৫ অক্টোবর। তবে দেশটির পাবলিক ব্রডকাস্টার এনএইচকে জানিয়েছিল, উষ্ণ তাপমাত্রার কারণে গত বছরের স্নোক্যাপটি নভেম্বরের শুরুর দিকে বেশির ভাগই আবার গলে গিয়েছিল।
মাউন্ট ফুজির কাছাকাছি স্থানীয় কোফু আবহাওয়া অফিস ১৮৯৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এরপর থেকে প্রতি বছরই এই অফিস ফুজিতে প্রথম তুষারপাতের ঘোষণা দিয়ে আসছে। কিন্তু এবারই প্রথম তারা ব্যতিক্রম একটি ঘোষণা দিয়েছে। অফিস থেকে জানানো হয়েছে, অসময়ে উষ্ণ আবহাওয়ার কারণে এবার ফুজিতে এখন পর্যন্ত কোনো বরফ জমেনি।
কোফু আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা শিনিচি ইয়ানাগি মঙ্গলবার সিএনএনকে বলেছেন, ‘গ্রীষ্মকাল থেকে জাপানে উচ্চ তাপমাত্রা অব্যাহত থাকায় এবং বৃষ্টিপাতের কারণে কোনো তুষারপাত হয়নি।’
শিনিচি জানান, ২৯ অক্টোবরও ফুজিতে বরফ না জমা ১৯৫৫ ও ২০১৬ সালের দেরিতে বরফ জমার রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। ওই দুটি বছরে ফুজিতে স্নোক্যাপ শুরু হয়েছিল ২৬ অক্টোবর।
গত সেপ্টেম্বরে জাপানের আবহাওয়া অফিস ঘোষণা করেছে, ১৮৯৮ সাল থেকে রেকর্ড শুরু হওয়ার পর চলতি বছরই ছিল সবচেয়ে উষ্ণতম গ্রীষ্মকাল। চলতি বছর জুন থেকে আগস্ট পর্যন্ত দেশটির গড় তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে ১.৭৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি রেকর্ড করা হয়েছে। চলমান জলবায়ু প্যাটার্ন এল নিনো এবং জীবাশ্ম জ্বালানি পোড়ানোর মতো মানব-সৃষ্ট কারণে এমনটি ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বিজ্ঞানীরা দীর্ঘদিন ধরেই সতর্ক করে আসছেন—জলবায়ু পরিবর্তনের সবচেয়ে বিপর্যয়কর প্রভাবগুলো এড়াতে বিশ্বকে প্রাক-শিল্প যুগের চেয়ে উষ্ণতা বৃদ্ধির মাত্রা ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে হবে।
গত জানুয়ারিতে একটি নতুন গবেষণায় দেখা গেছে, জলবায়ু সংকট গত ৪০ বছরে উত্তর গোলার্ধের বেশির ভাগ অংশে জমে থাকা তুষার অনেক হ্রাস করেছে। এসবের সঙ্গে এবার এখনো মাউন্ট ফুজিতে বরফ না জমার বিষয়টি বিজ্ঞানীদের দুশ্চিন্তাকে আরেকটু বাড়িয়ে দিয়েছে।
জাপানের ইয়ামানাশি এবং শিজুওকা প্রিফেকচার জুড়ে বিস্তৃত ৩ হাজার ৭৭৬ মিটার উঁচু মাউন্ট ফুজি বিশ্ব ঐতিহ্যের অন্তর্ভুক্ত একটি জাপানি আইকন। জুলাই মাসে বার্ষিক পর্বতারোহণের মৌসুম শুরু না হওয়া পর্যন্ত এটি সাধারণত বছরের বেশির ভাগ সময় তুষারে আবৃত থাকে। পর্বতারোহী ছাড়াও এটি প্রতিবছর লাখ লাখ দর্শনার্থীকে আকৃষ্ট থাকে।

নভেম্বর প্রায় চলে এল। অথচ জাপানের বিখ্যাত মাউন্ট ফুজিতে এখনো কোনো বরফের দেখা নাই। ১৩০ বছর আগে রেকর্ড শুরু হওয়ার পর থেকে এবারই প্রথম বছরের এই সময়টিতে ফুজির চূড়ায় কোনো বরফ জমতে দেখা যায়নি।
মঙ্গলবার সিএনএন জানিয়েছে, জাপানের সর্বোচ্চ পর্বত মাউন্ট ফুজিতে প্রতিবছরই সাধারণত অক্টোবর মাসের শুরুর দিকে বরফ জমতে শুরু করে। কিন্তু আজ ২৯ অক্টোবরও সেখানে কোনো বরফ জমতে দেখা যায়নি। এ অবস্থায় জাপানিদের সবচেয়ে প্রিয় এই পর্বতটি জলবায়ু সংকটের মুখে পড়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
জাপানের আবহাওয়া সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, মাউন্ট ফুজির চূড়ায় বরফ জমতে (স্নোক্যাপ) শুরু করার স্বাভাবিক সময় ধরা হয় সাধারণত ২ অক্টোবর। গত বছর অবশ্য এই চূড়ায় স্নোক্যাপ দেখা গিয়েছিল ৫ অক্টোবর। তবে দেশটির পাবলিক ব্রডকাস্টার এনএইচকে জানিয়েছিল, উষ্ণ তাপমাত্রার কারণে গত বছরের স্নোক্যাপটি নভেম্বরের শুরুর দিকে বেশির ভাগই আবার গলে গিয়েছিল।
মাউন্ট ফুজির কাছাকাছি স্থানীয় কোফু আবহাওয়া অফিস ১৮৯৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এরপর থেকে প্রতি বছরই এই অফিস ফুজিতে প্রথম তুষারপাতের ঘোষণা দিয়ে আসছে। কিন্তু এবারই প্রথম তারা ব্যতিক্রম একটি ঘোষণা দিয়েছে। অফিস থেকে জানানো হয়েছে, অসময়ে উষ্ণ আবহাওয়ার কারণে এবার ফুজিতে এখন পর্যন্ত কোনো বরফ জমেনি।
কোফু আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা শিনিচি ইয়ানাগি মঙ্গলবার সিএনএনকে বলেছেন, ‘গ্রীষ্মকাল থেকে জাপানে উচ্চ তাপমাত্রা অব্যাহত থাকায় এবং বৃষ্টিপাতের কারণে কোনো তুষারপাত হয়নি।’
শিনিচি জানান, ২৯ অক্টোবরও ফুজিতে বরফ না জমা ১৯৫৫ ও ২০১৬ সালের দেরিতে বরফ জমার রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। ওই দুটি বছরে ফুজিতে স্নোক্যাপ শুরু হয়েছিল ২৬ অক্টোবর।
গত সেপ্টেম্বরে জাপানের আবহাওয়া অফিস ঘোষণা করেছে, ১৮৯৮ সাল থেকে রেকর্ড শুরু হওয়ার পর চলতি বছরই ছিল সবচেয়ে উষ্ণতম গ্রীষ্মকাল। চলতি বছর জুন থেকে আগস্ট পর্যন্ত দেশটির গড় তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে ১.৭৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি রেকর্ড করা হয়েছে। চলমান জলবায়ু প্যাটার্ন এল নিনো এবং জীবাশ্ম জ্বালানি পোড়ানোর মতো মানব-সৃষ্ট কারণে এমনটি ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বিজ্ঞানীরা দীর্ঘদিন ধরেই সতর্ক করে আসছেন—জলবায়ু পরিবর্তনের সবচেয়ে বিপর্যয়কর প্রভাবগুলো এড়াতে বিশ্বকে প্রাক-শিল্প যুগের চেয়ে উষ্ণতা বৃদ্ধির মাত্রা ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে হবে।
গত জানুয়ারিতে একটি নতুন গবেষণায় দেখা গেছে, জলবায়ু সংকট গত ৪০ বছরে উত্তর গোলার্ধের বেশির ভাগ অংশে জমে থাকা তুষার অনেক হ্রাস করেছে। এসবের সঙ্গে এবার এখনো মাউন্ট ফুজিতে বরফ না জমার বিষয়টি বিজ্ঞানীদের দুশ্চিন্তাকে আরেকটু বাড়িয়ে দিয়েছে।
জাপানের ইয়ামানাশি এবং শিজুওকা প্রিফেকচার জুড়ে বিস্তৃত ৩ হাজার ৭৭৬ মিটার উঁচু মাউন্ট ফুজি বিশ্ব ঐতিহ্যের অন্তর্ভুক্ত একটি জাপানি আইকন। জুলাই মাসে বার্ষিক পর্বতারোহণের মৌসুম শুরু না হওয়া পর্যন্ত এটি সাধারণত বছরের বেশির ভাগ সময় তুষারে আবৃত থাকে। পর্বতারোহী ছাড়াও এটি প্রতিবছর লাখ লাখ দর্শনার্থীকে আকৃষ্ট থাকে।

ভারতের আসাম রাজ্যের হোজাই জেলায় এক মর্মান্তিক ট্রেন দুর্ঘটনায় প্রাণ হারাল সাতটি বন্য হাতি। গতকাল শুক্রবার দিবাগত গভীর রাতে সাইরাং-নয়াদিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেসের সঙ্গে হাতির পালের এই ভয়াবহ সংঘর্ষ ঘটে। দুর্ঘটনায় একটি হাতি গুরুতর জখম হয়েছে, যার অবস্থা বর্তমানে আশঙ্কাজনক।
৩ ঘণ্টা আগে
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধের পর আর কোনো যুদ্ধ হবে না—যদি পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়াকে সম্মান করে এবং দেশটির নিরাপত্তাগত স্বার্থকে গুরুত্ব দেয়। প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টাব্যাপী টেলিভিশন অনুষ্ঠান ‘ডিরেক্ট লাইন’-এ তিনি এই মন্তব্য করেন।
১৬ ঘণ্টা আগে
মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর গণহত্যার অভিযোগে করা মামলার মূল শুনানি আগামী জানুয়ারিতে শুরু হচ্ছে। জাতিসংঘের সর্বোচ্চ বিচারিক সংস্থা আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) জানিয়েছে, এ মামলার শুনানি চলবে আগামী ১২ থেকে ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত।
১৬ ঘণ্টা আগে
ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ির সেই বিখ্যাত উক্তি স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ভূগোল পরিবর্তন করা যায় না। আমরা যেখানে আছি সেখানেই থাকব, তারাও সেখানেই থাকবে। তাদের উচিত আমাদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে শেখা।
১৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারতের আসাম রাজ্যের হোজাই জেলায় এক মর্মান্তিক ট্রেন দুর্ঘটনায় প্রাণ হারাল সাতটি বন্য হাতি। গতকাল শুক্রবার দিবাগত গভীর রাতে সাইরাং-নয়াদিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেসের সঙ্গে হাতির পালের এই ভয়াবহ সংঘর্ষ ঘটে। দুর্ঘটনায় একটি হাতি গুরুতর জখম হয়েছে, যার অবস্থা বর্তমানে আশঙ্কাজনক।
ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, সংঘর্ষের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে রাজধানী এক্সপ্রেসের শক্তিশালী ইঞ্জিনসহ পাঁচটি বগি লাইনচ্যুত হয়ে পড়ে। তবে বড় ধরনের দুর্ঘটনা সত্ত্বেও ট্রেনের যাত্রীরা সবাই সুরক্ষিত রয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে রেল কর্তৃপক্ষ।
উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের লামডিং ডিভিশনের অন্তর্গত যমুনামুখ-কামপুর সেকশনে শুক্রবার রাত ২টো ১৭ মিনিটে এই দুর্ঘটনা ঘটে। স্থানীয় ও রেল সূত্রে জানা গেছে, ওই সময় ১১-১২টি হাতির একটি পাল রেললাইন পার হচ্ছিল। ঘন কুয়াশা ও রাতের অন্ধকারের মধ্যে দ্রুতগতিতে থাকা সাইরাং-নয়াদিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেসটি হাতির পালের ওপর উঠে পড়ে। ট্রেনের ধাক্কায় ছিটকে পড়ে সাতটি হাতি এবং ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়। স্থানীয়দের দাবি, এই এলাকায় হাতির যাতায়াত থাকলেও ট্রেনের গতি নিয়ন্ত্রণ করার মতো পর্যাপ্ত সতর্কতা ছিল না।
উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ কর্মকর্তা কপিঞ্জলকিশোর শর্মা জানিয়েছেন, যে স্থানে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে সেখানে কোনো নির্ধারিত ‘এলিফ্যান্ট করিডর’ ছিল না। তিনি বলেন, ‘চালক লাইনের ওপর হাতির পাল দেখতে পেয়েই দ্রুত আপৎকালীন ব্রেক কষেছিলেন। কিন্তু ট্রেনের গতিবেগ অত্যন্ত বেশি থাকায় এবং দূরত্ব কম হওয়ায় ধাক্কা এড়ানো সম্ভব হয়নি।’
রেল কর্তৃপক্ষ আরও জানিয়েছে, দুর্ঘটনার পর ট্রেনের কোনো যাত্রী আহত হননি এবং লাইনচ্যুত বগিগুলো উদ্ধার করে লাইন সচল করার কাজ চলছে।
দুর্ঘটনাস্থলটি আসামের গুয়াহাটি থেকে ১২৬ কিলোমিটার দূরে হোজাই জেলায় অবস্থিত। খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই রেলের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, প্রকৌশলী এবং বন দপ্তরের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছান। আটকে পড়া যাত্রীদের গন্তব্যে পৌঁছে দিতে রেলের পক্ষ থেকে দ্রুত বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই দুর্ঘটনার জেরে উত্তর-পূর্ব ভারতের সঙ্গে বাকি দেশের রেল যোগাযোগ সাময়িকভাবে ব্যাহত হয়েছে। একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ট্রেনের যাত্রাপথ রিশিডিউল করা হয়েছে এবং অনেক ট্রেনকে বিকল্প পথে চালানো হচ্ছে।
বন দপ্তরের বিশেষ দল ইতিমধ্যে মৃত হাতিগুলোর ময়নাতদন্তের প্রক্রিয়া শুরু করেছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, মৃত হাতিগুলোর মধ্যে প্রাপ্তবয়স্ক হাতির পাশাপাশি শাবকও থাকতে পারে। রেললাইনটি হাতির চলাচলের স্বাভাবিক পথ না হওয়া সত্ত্বেও কেন সেখানে হাতির পাল এল এবং চালকের কোনো গাফিলতি ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখতে একটি উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। বন্য প্রাণীপ্রেমীরা এই ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন এবং রেললাইনের ধারে সেন্সর বা আধুনিক নজরদারি ব্যবস্থা স্থাপনের দাবি জানিয়েছেন।

ভারতের আসাম রাজ্যের হোজাই জেলায় এক মর্মান্তিক ট্রেন দুর্ঘটনায় প্রাণ হারাল সাতটি বন্য হাতি। গতকাল শুক্রবার দিবাগত গভীর রাতে সাইরাং-নয়াদিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেসের সঙ্গে হাতির পালের এই ভয়াবহ সংঘর্ষ ঘটে। দুর্ঘটনায় একটি হাতি গুরুতর জখম হয়েছে, যার অবস্থা বর্তমানে আশঙ্কাজনক।
ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, সংঘর্ষের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে রাজধানী এক্সপ্রেসের শক্তিশালী ইঞ্জিনসহ পাঁচটি বগি লাইনচ্যুত হয়ে পড়ে। তবে বড় ধরনের দুর্ঘটনা সত্ত্বেও ট্রেনের যাত্রীরা সবাই সুরক্ষিত রয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে রেল কর্তৃপক্ষ।
উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের লামডিং ডিভিশনের অন্তর্গত যমুনামুখ-কামপুর সেকশনে শুক্রবার রাত ২টো ১৭ মিনিটে এই দুর্ঘটনা ঘটে। স্থানীয় ও রেল সূত্রে জানা গেছে, ওই সময় ১১-১২টি হাতির একটি পাল রেললাইন পার হচ্ছিল। ঘন কুয়াশা ও রাতের অন্ধকারের মধ্যে দ্রুতগতিতে থাকা সাইরাং-নয়াদিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেসটি হাতির পালের ওপর উঠে পড়ে। ট্রেনের ধাক্কায় ছিটকে পড়ে সাতটি হাতি এবং ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়। স্থানীয়দের দাবি, এই এলাকায় হাতির যাতায়াত থাকলেও ট্রেনের গতি নিয়ন্ত্রণ করার মতো পর্যাপ্ত সতর্কতা ছিল না।
উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ কর্মকর্তা কপিঞ্জলকিশোর শর্মা জানিয়েছেন, যে স্থানে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে সেখানে কোনো নির্ধারিত ‘এলিফ্যান্ট করিডর’ ছিল না। তিনি বলেন, ‘চালক লাইনের ওপর হাতির পাল দেখতে পেয়েই দ্রুত আপৎকালীন ব্রেক কষেছিলেন। কিন্তু ট্রেনের গতিবেগ অত্যন্ত বেশি থাকায় এবং দূরত্ব কম হওয়ায় ধাক্কা এড়ানো সম্ভব হয়নি।’
রেল কর্তৃপক্ষ আরও জানিয়েছে, দুর্ঘটনার পর ট্রেনের কোনো যাত্রী আহত হননি এবং লাইনচ্যুত বগিগুলো উদ্ধার করে লাইন সচল করার কাজ চলছে।
দুর্ঘটনাস্থলটি আসামের গুয়াহাটি থেকে ১২৬ কিলোমিটার দূরে হোজাই জেলায় অবস্থিত। খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই রেলের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, প্রকৌশলী এবং বন দপ্তরের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছান। আটকে পড়া যাত্রীদের গন্তব্যে পৌঁছে দিতে রেলের পক্ষ থেকে দ্রুত বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই দুর্ঘটনার জেরে উত্তর-পূর্ব ভারতের সঙ্গে বাকি দেশের রেল যোগাযোগ সাময়িকভাবে ব্যাহত হয়েছে। একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ট্রেনের যাত্রাপথ রিশিডিউল করা হয়েছে এবং অনেক ট্রেনকে বিকল্প পথে চালানো হচ্ছে।
বন দপ্তরের বিশেষ দল ইতিমধ্যে মৃত হাতিগুলোর ময়নাতদন্তের প্রক্রিয়া শুরু করেছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, মৃত হাতিগুলোর মধ্যে প্রাপ্তবয়স্ক হাতির পাশাপাশি শাবকও থাকতে পারে। রেললাইনটি হাতির চলাচলের স্বাভাবিক পথ না হওয়া সত্ত্বেও কেন সেখানে হাতির পাল এল এবং চালকের কোনো গাফিলতি ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখতে একটি উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। বন্য প্রাণীপ্রেমীরা এই ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন এবং রেললাইনের ধারে সেন্সর বা আধুনিক নজরদারি ব্যবস্থা স্থাপনের দাবি জানিয়েছেন।

নভেম্বর প্রায় চলে এল। অথচ জাপানের বিখ্যাত মাউন্ট ফুজিতে এখনো কোনো বরফের দেখা নাই। ১৩০ বছর আগে রেকর্ড শুরু হওয়ার পর থেকে এবারই প্রথম বছরের এই সময়টিতে ফুজির চূড়ায় কোনো বরফ জমতে দেখা যায়নি।
২৯ অক্টোবর ২০২৪
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধের পর আর কোনো যুদ্ধ হবে না—যদি পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়াকে সম্মান করে এবং দেশটির নিরাপত্তাগত স্বার্থকে গুরুত্ব দেয়। প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টাব্যাপী টেলিভিশন অনুষ্ঠান ‘ডিরেক্ট লাইন’-এ তিনি এই মন্তব্য করেন।
১৬ ঘণ্টা আগে
মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর গণহত্যার অভিযোগে করা মামলার মূল শুনানি আগামী জানুয়ারিতে শুরু হচ্ছে। জাতিসংঘের সর্বোচ্চ বিচারিক সংস্থা আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) জানিয়েছে, এ মামলার শুনানি চলবে আগামী ১২ থেকে ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত।
১৬ ঘণ্টা আগে
ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ির সেই বিখ্যাত উক্তি স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ভূগোল পরিবর্তন করা যায় না। আমরা যেখানে আছি সেখানেই থাকব, তারাও সেখানেই থাকবে। তাদের উচিত আমাদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে শেখা।
১৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধের পর আর কোনো যুদ্ধ হবে না—যদি পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়াকে সম্মান করে এবং দেশটির নিরাপত্তাগত স্বার্থকে গুরুত্ব দেয়। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টাব্যাপী অনুষ্ঠান ‘ডিরেক্ট লাইন’-এ তিনি এই মন্তব্য করেন।
বিবিসির সাংবাদিক স্টিভ রোজেনবার্গের প্রশ্নের জবাবে পুতিন বলেন, ইউরোপীয় দেশগুলোকে আক্রমণ করার যে অভিযোগ তোলা হচ্ছে, তা সম্পূর্ণ ‘অর্থহীন’।
পুতিন দাবি করেন, রাশিয়ার প্রতি সম্মান দেখানো হলে এবং পূর্বদিকে ন্যাটোর সম্প্রসারণ নিয়ে পশ্চিমা দেশগুলো ‘প্রতারণা’ বন্ধ করলে নতুন কোনো বিশেষ সামরিক অভিযান হবে না। তিনি তাঁর পুরোনো অভিযোগের পুনরাবৃত্তি করে বলেন, ১৯৯০ সালে সোভিয়েত নেতা মিখাইল গর্বাচেভকে ন্যাটো সম্প্রসারণ না করার যে আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল, পশ্চিম তা মানেনি।
মস্কোর একটি হলে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে পুতিনের পেছনে রাশিয়ার বিশাল মানচিত্র ঝুলছিল। এই মানচিত্রে ইউক্রেনের দখলকৃত অঞ্চল, এমনকি ক্রিমিয়াও অন্তর্ভুক্ত ছিল। রুশ রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের দাবি, ওই অনুষ্ঠানটিতে পুতিনকে উদ্দেশ্য করে ৩০ লাখের বেশি প্রশ্ন জমা পড়েছিল।
ইউক্রেন যুদ্ধের বিষয়ে পুতিন বলেন, তিনি ‘শান্তিপূর্ণভাবে’ যুদ্ধ শেষ করতে প্রস্তুত। তবে কোনো ধরনের আপসের ইঙ্গিত দেননি। তিনি আবারও দাবি করেন, ইউক্রেনকে ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার চেষ্টা বাদ দিতে হবে এবং রাশিয়ার দখল করা চারটি অঞ্চল থেকে ইউক্রেনীয় সেনা সরিয়ে নিতে হবে। আংশিকভাবে দখল করে নেওয়া ইউক্রেনের দনবাস অঞ্চলের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ চায় রাশিয়া।
দেশের অর্থনীতির প্রশ্নে মূল্যস্ফীতি, প্রবৃদ্ধি কমে যাওয়া এবং ভ্যাট বৃদ্ধির বিষয় স্বীকার করেন পুতিন। অনুষ্ঠানের মধ্যেই রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুদের হার কমিয়ে ১৬ শতাংশে নামানোর ঘোষণা দেয়। বিদেশনীতি, অর্থনীতি ও যুদ্ধের পাশাপাশি অনুষ্ঠানজুড়ে উঠে আসে মাতৃভূমি, প্রবীণ সেনাদের সম্মান এবং সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন সমস্যা।
পুতিন পশ্চিমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, তারা ইউক্রেনের মাধ্যমে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালাচ্ছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপের সঙ্গে ‘সমান মর্যাদা ও পারস্পরিক সম্মানের ভিত্তিতে’ কাজ করতে তিনি আগ্রহ প্রকাশ করেন। রাশিয়া ভবিষ্যতে ন্যাটোর ওপর হামলা চালাতে পারে—পশ্চিমা গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর এমন আশঙ্কার কথা আবারও তা নাকচ করে দেন তিনি।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধের পর আর কোনো যুদ্ধ হবে না—যদি পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়াকে সম্মান করে এবং দেশটির নিরাপত্তাগত স্বার্থকে গুরুত্ব দেয়। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টাব্যাপী অনুষ্ঠান ‘ডিরেক্ট লাইন’-এ তিনি এই মন্তব্য করেন।
বিবিসির সাংবাদিক স্টিভ রোজেনবার্গের প্রশ্নের জবাবে পুতিন বলেন, ইউরোপীয় দেশগুলোকে আক্রমণ করার যে অভিযোগ তোলা হচ্ছে, তা সম্পূর্ণ ‘অর্থহীন’।
পুতিন দাবি করেন, রাশিয়ার প্রতি সম্মান দেখানো হলে এবং পূর্বদিকে ন্যাটোর সম্প্রসারণ নিয়ে পশ্চিমা দেশগুলো ‘প্রতারণা’ বন্ধ করলে নতুন কোনো বিশেষ সামরিক অভিযান হবে না। তিনি তাঁর পুরোনো অভিযোগের পুনরাবৃত্তি করে বলেন, ১৯৯০ সালে সোভিয়েত নেতা মিখাইল গর্বাচেভকে ন্যাটো সম্প্রসারণ না করার যে আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল, পশ্চিম তা মানেনি।
মস্কোর একটি হলে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে পুতিনের পেছনে রাশিয়ার বিশাল মানচিত্র ঝুলছিল। এই মানচিত্রে ইউক্রেনের দখলকৃত অঞ্চল, এমনকি ক্রিমিয়াও অন্তর্ভুক্ত ছিল। রুশ রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের দাবি, ওই অনুষ্ঠানটিতে পুতিনকে উদ্দেশ্য করে ৩০ লাখের বেশি প্রশ্ন জমা পড়েছিল।
ইউক্রেন যুদ্ধের বিষয়ে পুতিন বলেন, তিনি ‘শান্তিপূর্ণভাবে’ যুদ্ধ শেষ করতে প্রস্তুত। তবে কোনো ধরনের আপসের ইঙ্গিত দেননি। তিনি আবারও দাবি করেন, ইউক্রেনকে ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার চেষ্টা বাদ দিতে হবে এবং রাশিয়ার দখল করা চারটি অঞ্চল থেকে ইউক্রেনীয় সেনা সরিয়ে নিতে হবে। আংশিকভাবে দখল করে নেওয়া ইউক্রেনের দনবাস অঞ্চলের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ চায় রাশিয়া।
দেশের অর্থনীতির প্রশ্নে মূল্যস্ফীতি, প্রবৃদ্ধি কমে যাওয়া এবং ভ্যাট বৃদ্ধির বিষয় স্বীকার করেন পুতিন। অনুষ্ঠানের মধ্যেই রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুদের হার কমিয়ে ১৬ শতাংশে নামানোর ঘোষণা দেয়। বিদেশনীতি, অর্থনীতি ও যুদ্ধের পাশাপাশি অনুষ্ঠানজুড়ে উঠে আসে মাতৃভূমি, প্রবীণ সেনাদের সম্মান এবং সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন সমস্যা।
পুতিন পশ্চিমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, তারা ইউক্রেনের মাধ্যমে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালাচ্ছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপের সঙ্গে ‘সমান মর্যাদা ও পারস্পরিক সম্মানের ভিত্তিতে’ কাজ করতে তিনি আগ্রহ প্রকাশ করেন। রাশিয়া ভবিষ্যতে ন্যাটোর ওপর হামলা চালাতে পারে—পশ্চিমা গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর এমন আশঙ্কার কথা আবারও তা নাকচ করে দেন তিনি।

নভেম্বর প্রায় চলে এল। অথচ জাপানের বিখ্যাত মাউন্ট ফুজিতে এখনো কোনো বরফের দেখা নাই। ১৩০ বছর আগে রেকর্ড শুরু হওয়ার পর থেকে এবারই প্রথম বছরের এই সময়টিতে ফুজির চূড়ায় কোনো বরফ জমতে দেখা যায়নি।
২৯ অক্টোবর ২০২৪
ভারতের আসাম রাজ্যের হোজাই জেলায় এক মর্মান্তিক ট্রেন দুর্ঘটনায় প্রাণ হারাল সাতটি বন্য হাতি। গতকাল শুক্রবার দিবাগত গভীর রাতে সাইরাং-নয়াদিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেসের সঙ্গে হাতির পালের এই ভয়াবহ সংঘর্ষ ঘটে। দুর্ঘটনায় একটি হাতি গুরুতর জখম হয়েছে, যার অবস্থা বর্তমানে আশঙ্কাজনক।
৩ ঘণ্টা আগে
মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর গণহত্যার অভিযোগে করা মামলার মূল শুনানি আগামী জানুয়ারিতে শুরু হচ্ছে। জাতিসংঘের সর্বোচ্চ বিচারিক সংস্থা আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) জানিয়েছে, এ মামলার শুনানি চলবে আগামী ১২ থেকে ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত।
১৬ ঘণ্টা আগে
ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ির সেই বিখ্যাত উক্তি স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ভূগোল পরিবর্তন করা যায় না। আমরা যেখানে আছি সেখানেই থাকব, তারাও সেখানেই থাকবে। তাদের উচিত আমাদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে শেখা।
১৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর গণহত্যার অভিযোগে করা মামলার মূল শুনানি আগামী জানুয়ারিতে শুরু হচ্ছে। জাতিসংঘের সর্বোচ্চ বিচারিক সংস্থা আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) জানিয়েছে, এ মামলার শুনানি চলবে আগামী ১২ থেকে ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত।
এই শুনানি আন্তর্জাতিক আইনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ, এক দশকের বেশি সময় পর এটি হবে আইসিজেতে কোনো গণহত্যা মামলার মূল বিষয়ের ওপর শুনানি। একই সঙ্গে গাজা যুদ্ধ নিয়ে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকার দায়ের করা মামলাতেও এর প্রভাব পড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুনানির প্রথম সপ্তাহে (১২ থেকে ১৫ জানুয়ারি) মামলার বাদী দেশ গাম্বিয়া আদালতে তাদের অভিযোগ উপস্থাপন করবে। পশ্চিম আফ্রিকার মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ গাম্বিয়া ২০১৯ সালে ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) সমর্থনে এ মামলা দায়ের করে। মামলায় মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যা চালানোর অভিযোগ আনা হয়।
এরপর ১৬ থেকে ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত মিয়ানমার তাদের অবস্থান তুলে ধরার সুযোগ পাবে। মিয়ানমার সরকার বরাবরই গণহত্যার অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।
আইসিজে জানিয়েছে, এ মামলায় তিন দিন সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে। তবে এসব শুনানি জনসাধারণ ও গণমাধ্যমের জন্য বন্ধ থাকবে।
জাতিসংঘের একটি তদন্ত মিশন ২০১৭ সালে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর অভিযানে ‘গণহত্যামূলক কর্মকাণ্ড’ সংঘটিত হয়েছিল বলে প্রতিবেদন দেয়। ওই অভিযানে প্রায় সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়।
মিয়ানমার অবশ্য জাতিসংঘের ওই প্রতিবেদনকে ‘পক্ষপাতদুষ্ট ও ত্রুটিপূর্ণ’ বলে দাবি করেছে। দেশটির বক্তব্য, সে সময়কার অভিযান ছিল রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে, যারা নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলা চালিয়েছিল।
মামলাটি ১৯৪৮ সালের জাতিসংঘের গণহত্যা সনদ অনুযায়ী দায়ের করা হয়েছে। নাৎসি জার্মানির হাতে ইহুদিদের গণহত্যার পর এ সনদ প্রণয়ন করা হয়। এতে গণহত্যা বলতে কোনো জাতিগত, ধর্মীয় বা নৃগোষ্ঠীকে পুরোপুরি বা আংশিকভাবে ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে সংঘটিত হত্যাকাণ্ড, গুরুতর শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি, কিংবা পুরোপুরি ধ্বংসের উদ্দেশ্যে সৃষ্ট পরিস্থিতিকে বোঝানো হয়েছে।
গাম্বিয়া ও মিয়ানমার—দুই দেশই এ সনদের স্বাক্ষরকারী হওয়ায় আইসিজের এ মামলার বিচারিক এখতিয়ার রয়েছে।
১৯৪৮ সালের গণহত্যা সনদের পর আইসিজে এখন পর্যন্ত মাত্র একবার গণহত্যার ঘটনা নিশ্চিত করেছে। এটি ছিল ১৯৯৫ সালে বসনিয়ার স্রেব্রেনিৎসায় প্রায় ৮ হাজার মুসলিম পুরুষ ও কিশোর হত্যাকাণ্ড।
গাম্বিয়া ও মামলায় হস্তক্ষেপকারী অন্য দেশগুলো হলো কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি ও যুক্তরাজ্য। এই পাঁচ দেশ আদালতে যুক্তি দিয়েছে, গণহত্যা শুধু ব্যাপক হত্যাকাণ্ডের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। তাদের মতে, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতি, শিশুদের বিরুদ্ধে অপরাধ এবং যৌন ও লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতাও গণহত্যার উদ্দেশ্য হিসেবে বিবেচনায় নেওয়া উচিত।

মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর গণহত্যার অভিযোগে করা মামলার মূল শুনানি আগামী জানুয়ারিতে শুরু হচ্ছে। জাতিসংঘের সর্বোচ্চ বিচারিক সংস্থা আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) জানিয়েছে, এ মামলার শুনানি চলবে আগামী ১২ থেকে ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত।
এই শুনানি আন্তর্জাতিক আইনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ, এক দশকের বেশি সময় পর এটি হবে আইসিজেতে কোনো গণহত্যা মামলার মূল বিষয়ের ওপর শুনানি। একই সঙ্গে গাজা যুদ্ধ নিয়ে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকার দায়ের করা মামলাতেও এর প্রভাব পড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুনানির প্রথম সপ্তাহে (১২ থেকে ১৫ জানুয়ারি) মামলার বাদী দেশ গাম্বিয়া আদালতে তাদের অভিযোগ উপস্থাপন করবে। পশ্চিম আফ্রিকার মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ গাম্বিয়া ২০১৯ সালে ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) সমর্থনে এ মামলা দায়ের করে। মামলায় মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যা চালানোর অভিযোগ আনা হয়।
এরপর ১৬ থেকে ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত মিয়ানমার তাদের অবস্থান তুলে ধরার সুযোগ পাবে। মিয়ানমার সরকার বরাবরই গণহত্যার অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।
আইসিজে জানিয়েছে, এ মামলায় তিন দিন সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে। তবে এসব শুনানি জনসাধারণ ও গণমাধ্যমের জন্য বন্ধ থাকবে।
জাতিসংঘের একটি তদন্ত মিশন ২০১৭ সালে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর অভিযানে ‘গণহত্যামূলক কর্মকাণ্ড’ সংঘটিত হয়েছিল বলে প্রতিবেদন দেয়। ওই অভিযানে প্রায় সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়।
মিয়ানমার অবশ্য জাতিসংঘের ওই প্রতিবেদনকে ‘পক্ষপাতদুষ্ট ও ত্রুটিপূর্ণ’ বলে দাবি করেছে। দেশটির বক্তব্য, সে সময়কার অভিযান ছিল রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে, যারা নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলা চালিয়েছিল।
মামলাটি ১৯৪৮ সালের জাতিসংঘের গণহত্যা সনদ অনুযায়ী দায়ের করা হয়েছে। নাৎসি জার্মানির হাতে ইহুদিদের গণহত্যার পর এ সনদ প্রণয়ন করা হয়। এতে গণহত্যা বলতে কোনো জাতিগত, ধর্মীয় বা নৃগোষ্ঠীকে পুরোপুরি বা আংশিকভাবে ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে সংঘটিত হত্যাকাণ্ড, গুরুতর শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি, কিংবা পুরোপুরি ধ্বংসের উদ্দেশ্যে সৃষ্ট পরিস্থিতিকে বোঝানো হয়েছে।
গাম্বিয়া ও মিয়ানমার—দুই দেশই এ সনদের স্বাক্ষরকারী হওয়ায় আইসিজের এ মামলার বিচারিক এখতিয়ার রয়েছে।
১৯৪৮ সালের গণহত্যা সনদের পর আইসিজে এখন পর্যন্ত মাত্র একবার গণহত্যার ঘটনা নিশ্চিত করেছে। এটি ছিল ১৯৯৫ সালে বসনিয়ার স্রেব্রেনিৎসায় প্রায় ৮ হাজার মুসলিম পুরুষ ও কিশোর হত্যাকাণ্ড।
গাম্বিয়া ও মামলায় হস্তক্ষেপকারী অন্য দেশগুলো হলো কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি ও যুক্তরাজ্য। এই পাঁচ দেশ আদালতে যুক্তি দিয়েছে, গণহত্যা শুধু ব্যাপক হত্যাকাণ্ডের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। তাদের মতে, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতি, শিশুদের বিরুদ্ধে অপরাধ এবং যৌন ও লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতাও গণহত্যার উদ্দেশ্য হিসেবে বিবেচনায় নেওয়া উচিত।

নভেম্বর প্রায় চলে এল। অথচ জাপানের বিখ্যাত মাউন্ট ফুজিতে এখনো কোনো বরফের দেখা নাই। ১৩০ বছর আগে রেকর্ড শুরু হওয়ার পর থেকে এবারই প্রথম বছরের এই সময়টিতে ফুজির চূড়ায় কোনো বরফ জমতে দেখা যায়নি।
২৯ অক্টোবর ২০২৪
ভারতের আসাম রাজ্যের হোজাই জেলায় এক মর্মান্তিক ট্রেন দুর্ঘটনায় প্রাণ হারাল সাতটি বন্য হাতি। গতকাল শুক্রবার দিবাগত গভীর রাতে সাইরাং-নয়াদিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেসের সঙ্গে হাতির পালের এই ভয়াবহ সংঘর্ষ ঘটে। দুর্ঘটনায় একটি হাতি গুরুতর জখম হয়েছে, যার অবস্থা বর্তমানে আশঙ্কাজনক।
৩ ঘণ্টা আগে
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধের পর আর কোনো যুদ্ধ হবে না—যদি পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়াকে সম্মান করে এবং দেশটির নিরাপত্তাগত স্বার্থকে গুরুত্ব দেয়। প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টাব্যাপী টেলিভিশন অনুষ্ঠান ‘ডিরেক্ট লাইন’-এ তিনি এই মন্তব্য করেন।
১৬ ঘণ্টা আগে
ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ির সেই বিখ্যাত উক্তি স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ভূগোল পরিবর্তন করা যায় না। আমরা যেখানে আছি সেখানেই থাকব, তারাও সেখানেই থাকবে। তাদের উচিত আমাদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে শেখা।
১৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও জুলাই অভ্যুত্থানের অন্যতম যোদ্ধা শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। গতকাল বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ, সংবাদমাধ্যমের ভবনে অগ্নিসংযোগ এবং ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে স্লোগান দেওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন কংগ্রেস সাংসদ ও ভারতের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির (পররাষ্ট্রবিষয়ক) প্রধান শশী থারুর।
শশী থারুর সতর্ক করে বলেছেন, বাংলাদেশে চলমান এই সহিংসতা সাধারণ বাংলাদেশিদের সহায়তা করার ক্ষেত্রে ভারতের সক্ষমতাকে সংকুচিত করে দিচ্ছে। তিনি ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ির সেই বিখ্যাত উক্তি স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ‘ভূগোল পরিবর্তন করা যায় না। আমরা যেখানে আছি সেখানেই থাকব, তারাও সেখানেই থাকবে। তাদের উচিত আমাদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে শেখা।’
বাংলাদেশে সংবাদমাধ্যমের ওপর হামলা এবং ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে থারুর বলেছেন, ‘সহিংসতার কারণে আমাদের দুটি ভিসা সেন্টার বন্ধ করে দিতে হয়েছে। এটি অত্যন্ত হতাশাজনক। কারণ, যেসব বাংলাদেশি ভারতে আসতে চান, তাঁরাই এখন অভিযোগ করছেন যে আগে যেভাবে সহজে ভিসা পাওয়া যেত, এখন তা পাওয়া যাচ্ছে না।’
থারুর উল্লেখ করেন, বর্তমান পরিস্থিতি ভারত সরকারের পক্ষে সাধারণ বাংলাদেশিদের সাহায্য করা কঠিন করে তুলছে।
বাংলাদেশ সরকারকে ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করে থারুর বলেন, ‘আমি আশা করি পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক হবে। আমি বাংলাদেশের জনগণ ও সরকারকে বলব যেন তারা প্রতিবেশীর সঙ্গে এই ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের গুরুত্ব বোঝে। বাজপেয়ি সাহেব পাকিস্তানের ক্ষেত্রে যেমনটি বলেছিলেন—আমরা আমাদের ভূগোল পরিবর্তন করতে পারি না। আমরা যেখানে আছি সেখানেই থাকব, তারাও সেখানেই থাকবে। তাদের উচিত আমাদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে শেখা।’
শশী থারুর জানান, নয়াদিল্লি পুরো পরিস্থিতি খুব নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় কর্মকর্তারা সরাসরি বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করবেন। তিনি বলেন, ‘ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশন সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করবে এবং পরিস্থিতি শান্ত করার জন্য যা যা করা প্রয়োজন তা করতে অনুরোধ জানাবে।’

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও জুলাই অভ্যুত্থানের অন্যতম যোদ্ধা শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। গতকাল বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ, সংবাদমাধ্যমের ভবনে অগ্নিসংযোগ এবং ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে স্লোগান দেওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন কংগ্রেস সাংসদ ও ভারতের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির (পররাষ্ট্রবিষয়ক) প্রধান শশী থারুর।
শশী থারুর সতর্ক করে বলেছেন, বাংলাদেশে চলমান এই সহিংসতা সাধারণ বাংলাদেশিদের সহায়তা করার ক্ষেত্রে ভারতের সক্ষমতাকে সংকুচিত করে দিচ্ছে। তিনি ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ির সেই বিখ্যাত উক্তি স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ‘ভূগোল পরিবর্তন করা যায় না। আমরা যেখানে আছি সেখানেই থাকব, তারাও সেখানেই থাকবে। তাদের উচিত আমাদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে শেখা।’
বাংলাদেশে সংবাদমাধ্যমের ওপর হামলা এবং ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে থারুর বলেছেন, ‘সহিংসতার কারণে আমাদের দুটি ভিসা সেন্টার বন্ধ করে দিতে হয়েছে। এটি অত্যন্ত হতাশাজনক। কারণ, যেসব বাংলাদেশি ভারতে আসতে চান, তাঁরাই এখন অভিযোগ করছেন যে আগে যেভাবে সহজে ভিসা পাওয়া যেত, এখন তা পাওয়া যাচ্ছে না।’
থারুর উল্লেখ করেন, বর্তমান পরিস্থিতি ভারত সরকারের পক্ষে সাধারণ বাংলাদেশিদের সাহায্য করা কঠিন করে তুলছে।
বাংলাদেশ সরকারকে ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করে থারুর বলেন, ‘আমি আশা করি পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক হবে। আমি বাংলাদেশের জনগণ ও সরকারকে বলব যেন তারা প্রতিবেশীর সঙ্গে এই ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের গুরুত্ব বোঝে। বাজপেয়ি সাহেব পাকিস্তানের ক্ষেত্রে যেমনটি বলেছিলেন—আমরা আমাদের ভূগোল পরিবর্তন করতে পারি না। আমরা যেখানে আছি সেখানেই থাকব, তারাও সেখানেই থাকবে। তাদের উচিত আমাদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে শেখা।’
শশী থারুর জানান, নয়াদিল্লি পুরো পরিস্থিতি খুব নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় কর্মকর্তারা সরাসরি বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করবেন। তিনি বলেন, ‘ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশন সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করবে এবং পরিস্থিতি শান্ত করার জন্য যা যা করা প্রয়োজন তা করতে অনুরোধ জানাবে।’

নভেম্বর প্রায় চলে এল। অথচ জাপানের বিখ্যাত মাউন্ট ফুজিতে এখনো কোনো বরফের দেখা নাই। ১৩০ বছর আগে রেকর্ড শুরু হওয়ার পর থেকে এবারই প্রথম বছরের এই সময়টিতে ফুজির চূড়ায় কোনো বরফ জমতে দেখা যায়নি।
২৯ অক্টোবর ২০২৪
ভারতের আসাম রাজ্যের হোজাই জেলায় এক মর্মান্তিক ট্রেন দুর্ঘটনায় প্রাণ হারাল সাতটি বন্য হাতি। গতকাল শুক্রবার দিবাগত গভীর রাতে সাইরাং-নয়াদিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেসের সঙ্গে হাতির পালের এই ভয়াবহ সংঘর্ষ ঘটে। দুর্ঘটনায় একটি হাতি গুরুতর জখম হয়েছে, যার অবস্থা বর্তমানে আশঙ্কাজনক।
৩ ঘণ্টা আগে
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধের পর আর কোনো যুদ্ধ হবে না—যদি পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়াকে সম্মান করে এবং দেশটির নিরাপত্তাগত স্বার্থকে গুরুত্ব দেয়। প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টাব্যাপী টেলিভিশন অনুষ্ঠান ‘ডিরেক্ট লাইন’-এ তিনি এই মন্তব্য করেন।
১৬ ঘণ্টা আগে
মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর গণহত্যার অভিযোগে করা মামলার মূল শুনানি আগামী জানুয়ারিতে শুরু হচ্ছে। জাতিসংঘের সর্বোচ্চ বিচারিক সংস্থা আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) জানিয়েছে, এ মামলার শুনানি চলবে আগামী ১২ থেকে ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত।
১৬ ঘণ্টা আগে