মিয়ানমারে গুলিতে আহত সামরিক সরকারের সমর্থক গায়িকার মৃত্যু

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ০৮ জুন ২০২৩, ১৫: ৪৯
Thumbnail image

মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর সমর্থক গায়িকা লিলি নাইং কিয়াও গুলিতে আহত হওয়ার এক সপ্তাহ পর ইয়াঙ্গুন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। তাঁর এই মৃত্যু শুধু সামরিক সরকারের সমর্থকদেরই নয়, এই সরকারের মিডিয়ায় কর্মরত অন্য সেলিব্রেটিদেরও মর্মাহত করেছে।

৫৮ বছর বয়সী এই গায়িকার মিয়ানমারের সামরিক জান্তা সরকারের উর্ধ্বতন নেতাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক ছিল। তিনি সামরিক সরকারকে বিদ্রোহীদের ব্যাপারে নানা তথ্য দিতেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।

এ ঘটনায় দুজনকে আটক করা হয়েছে। তাঁরা সামরিক সরকারের বিরুদ্ধে গড়ে ওঠা একটি শহুরে গেরিলা বাহানীর সদস্য ছিলেন বলে জানানো হয়েছে। তাঁদের গ্রেপ্তারের কয়েক ঘণ্টার মধ্য একজনের দুই আত্মীয়কে হত্যা করা হয়। সামরিক সরকার এই হত্যাকাণ্ডের জন্য ডি নিয়েন লিন নামের ছাত্রনেতাকেও অভিযুক্ত করেছে।

মিয়ানমারে সম্প্রতি সামরিক সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সমর্থকদের হত্যা করছে গেরিলারা। গায়িকা কিয়াওয়ের হত্যাকাণ্ড এরই একটি।

কিয়াওয়ের ওপর হামলার চার দিন আগে মিয়ানমারের জাতীয়তাবাদী ও সামরিক সরকারের সমর্থক টিন্ট লিউইনকে ইয়াঙ্গুনের একটি চায়ের দোকানে মাথায় গুলি করে হত্যা করা হয়। এর আগে গত গ্রীষ্মে হামলার শিকারের পর থেকে তিনি পালিয়ে বেড়াতেন। 

গায়িকা কিয়াওকে গত ৩০ মে ইয়াঙ্গুনের ইয়ানকিন টাউনশিপে তাঁর বাড়ির পাশে গুলি করে গেরিলারা। গুলির পর তাঁর একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে এবং সবাই ধারণা করেছিল তিনি মারা গেছেন। কিন্তু পরে তাঁকে হাসপাতেলে নেওয়া হলে গত ৬ জুন তিনি কমায় চলে যান। তাঁর পরিবার বিবিসিকে এই মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে। 

কিয়াওয়ের মৃত্যুতে মিয়ানমারের সামরিক সরকার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, একজন নিষ্পাপ নারীকে অমানবিকভাবে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। সামরিক সরকারের সমর্থক অন্য ১৭টি সংগঠনও এ ঘটনায় বিবৃতি দিয়েছে। মা বা থা নামের একটি জাতীয়তাবাদী বোড্ডিস্ট সংগঠন কড়া নিরাপত্তা দাবি করেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত