Ajker Patrika

ঘুমের মধ্যেই মারা গেল মিয়ানমারের ১১ শিশুসহ ২৯ গৃহহীন

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ১০ অক্টোবর ২০২৩, ১৯: ০২
ঘুমের মধ্যেই মারা গেল মিয়ানমারের ১১ শিশুসহ ২৯ গৃহহীন

চীনা সীমান্তের কাছে মিয়ানমারের ছোট্ট শহর ল্যাইজা। এই শহরের উপকণ্ঠেই একটি শরণার্থীশিবিরে অবস্থান করছিল বেশ কিছু বাস্তুচ্যুত মানুষ। সোমবার মাঝরাতে সেখানে হঠাৎ বিস্ফোরণে ১১ শিশু সহ অন্তত ২৯ জন মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন।

মঙ্গলবার বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিধ্বস্ত ওই শরণার্থীশিবিরটি কাচিন ইনডিপেনন্ডেন্স অর্গানাইজেশন (কেআইও) নিয়ন্ত্রিত এলাকার মধ্যে অবস্থিত। কয়েক দশক ধরে এই গোষ্ঠী স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

কেআইও-এর মুখপাত্র বিবিসিকে জানিয়েছেন, শিবিরে নিহত সবাই সাধারণ মানুষ। গত ৬৩ বছরের মধ্যে কাচিন রাজ্যে এটিই সবচেয়ে বড় হামলার ঘটনা।

হামলার জন্য মিয়ানমারের জান্তা সরকারকে দায়ী করেছে সশস্ত্র সংগঠনটি। ২০২১ সালে দেশটির গণতান্ত্রিক সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতা দখলের পর থেকেই বিচ্ছিন্নতাবাদী নিয়ন্ত্রিত শহর ও গ্রামগুলোতে ধারাবাহিকভাবে হামলা চালিয়ে আসছে জান্তা বাহিনী। সর্বশেষ হামলার ঘটনাটিকে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে বিদেশে অবস্থান করা মিয়ানমারের ছায়া সরকার।

তবে এই হামলার সঙ্গে নিজেদের সম্পৃক্ততার কথা অস্বীকার করেছে জান্তা বাহিনী। এই বাহিনীর মুখপাত্র মেজর জেনারেল জো মিন তুন দাবি করেছেন, ল্যাইজা শহরে তারা গত কয়েক দিনের মধ্যে কোনো অপারেশন পরিচালনা করেননি।

তুন মনে করেন, ওই শরণার্থীশিবিরে মজুত করা বিস্ফোরকের বিস্ফোরণ ঘটেই এমন হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।

কাচিন রাজ্যের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নিহত ২৯ জন ছাড়াও বিস্ফোরণে আরও অন্তত ৫৬ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ৪৪ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

হাবিবুল্লাহ বাহার কলেজের উপাধ্যক্ষকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা

এনসিটিবিতে দুর্নীতির অভিযোগে এনসিপি নেতা তানভীরের নাম, সোশ্যাল মিডিয়া তোলপাড়

‘হেলিকপ্টারে শেখ হাসিনা পালিয়েছে, আমি ফিরেছি’

ধর্ষণ ও তিন খুনের আসামি ঘুরে বেড়াচ্ছে, ভয়ে বাদী

আটকের ভয়ে সকাল থেকে উপজেলা পরিষদে ইউপি চেয়ারম্যান, বিকেলে বেরিয়ে আটক

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত