রয়টার্স, সিউল

গভীর রাতে উত্তর কোরিয়ায় পৌঁছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। পিয়ংইয়ং বিমানবন্দরে তাঁকে স্বাগত জানান উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং–উন। গতকাল মঙ্গলবার রাতে উল্লসিত জনতা হর্ষধ্বনির মধ্যে বিমানবন্দরে পুতিনকে রাজকীয় অভ্যর্থনা দেওয়া হয়।
রুশ গণমাধ্যমে সম্প্রচারিত ভিডিওতে দেখা যায়, ঘোড়সওয়ার সেনাদল ও রাজধানীর বুকে তাইডং নদীর ধারে কিম ইল সুং স্কোয়ারে বেসামরিক নাগরিকের বড় জমায়েত তাঁকে অভ্যর্থনা জানায়। বেলুন উড়িয়ে রুশ নেতাকে স্বাগত জানায় শিশুরা। তখন স্কোয়ারের মূল ভবনে জাতীয় পতাকাসহ দুই নেতার বিশাল প্রতিকৃতি দেখা যায়।
উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, পুতিন পিয়ংইয়ং বিমানবন্দরে পৌঁছার পর কিম তাঁকে আলিঙ্গন করে স্বাগত জানান। তবে পুতিনের অভ্যর্থনা ২০১৯ সালের চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের চেয়ে কম জাঁকজমকপূর্ণ ছিল। তাঁর মতো পুতিনকে লালগালিচা অভ্যর্থনা দেওয়া হয়নি।
রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের ছবিতে দেখা যায়, পিয়ংইয়ংয়ের রাস্তাজুড়ে সারি সারি পুতিনের প্রতিকৃতি দিয়ে সাজানো। আর নির্মাণাধীন ১০১তলা পিরামিড আকৃতির রিয়োগইয়ং হোটেলের সামনে ‘স্বাগত পুতিন’ লেখা নিয়ন আলোকের বিশাল বার্তা টানানো।
বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে রাশিয়ার উপহার দেওয়া লিমুজিনে করে শহরের দিকে রওনা হন দুই রাষ্ট্রপ্রধান। কুমসুসান প্রাসাদে পরে কিম ও পুতিনের মধ্যে শীর্ষ বৈঠক হয়।
আলোচনা শুরুর আগে পুতিনের মন্তব্যকে উদ্ধৃত করে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আরআইএ বলেছে, ইউক্রেন যুদ্ধসহ রাশিয়ার নীতির প্রতি আপনার ধারাবাহিক ও অটল সমর্থনের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।
পুতিনকে উদ্ধৃত করে রুশ গণমাধ্যম বলছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের আধিপত্যবাদী ও সাম্রাজ্যবাদী নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করছে মস্কো। আর কিম বলেন, উত্তর কোরিয়া-রাশিয়া সম্পর্ক ‘সমৃদ্ধির নতুন উচ্চতায়’ উঠেছে।
কিম আরও বলেন, ‘বিশ্ব পরিস্থিতি জটিলতর হয়ে উঠছে এবং দ্রুত পরিবর্তিত হচ্ছে। এমন সময়ে আমরা রাশিয়া ও রাশিয়ার নেতৃত্বের সঙ্গে কৌশলগত যোগাযোগ আরও জোরদার করতে চাই।’
তিনি বলেন, ‘সার্বভৌমত্ব, নিরাপত্তা ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষার জন্য ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযান পরিচালনার’ বিষয়ে রাশিয়ার সরকার, সেনাবাহিনী ও জনগণের প্রতি উত্তর কোরিয়া পূর্ণ সমর্থন ও সংহতি প্রকাশ করে।
২৪ বছরের মধ্যে উত্তর কোরিয়ার রাজধানীতে পুতিনের প্রথম সফর এটি। এমন একসময়ে এই সফর হচ্ছে, যখন উভয় দেশ বৈশ্বিক নিষেধাজ্ঞার মুখোমুখি। তাই এই সফরে রাশিয়া-উত্তর কোরিয়ার কয়েক দশকের সম্পর্ক জোরদার হতে পারে।
ওয়াশিংটনকে খোঁচাতে প্রায়ই উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে উষ্ণ সম্পর্ককে ব্যবহার করে রাশিয়া। আর নিষেধাজ্ঞার মধ্যে থাকা উত্তর কোরিয়া মস্কো থেকে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সমর্থনের পাশাপাশি বাণিজ্য সুবিধা পায়।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের ভয় পায়, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবে নিষিদ্ধ হলেও উত্তর কোরিয়াকে ক্ষেপণাস্ত্র ও পারমাণু কর্মসূচিতে সহায়তা করতে পারে রাশিয়া। আর পিয়ংইয়ংয়ের দেওয়া ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও আর্টিলারি শেল রাশিয়া ইউক্রেনের যুদ্ধে ব্যবহার করেছে বলেও তারা অভিযোগ করছে। যদিও মস্কো ও পিয়ংইয়ং তা অস্বীকার করেছে।
বিকল্প বাণিজ্য কৌশল
রাশিয়ার বার্তা সংস্থা ইন্টারফ্যাক্স পুতিনের পররাষ্ট্রনীতি উপদেষ্টা ইউরি উশাকভকে উদ্ধৃত করে বলেছে, বুধবারের অনুষ্ঠানসূচিতে আছে গালা কনসার্ট, রাষ্ট্রীয় সংবর্ধনা, অনার গার্ড, চুক্তি সই ও সংবাদ সম্মেলন।
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ভেটো ক্ষমতার অধিকারী রাশিয়া যে উত্তর কোরিয়ার প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি পুনর্মূল্যায়ন করছে তার ইঙ্গিত মিলেছে। সফরের আগে মার্কিন অর্থনৈতিক চাপ, ব্ল্যাকমেল ও হুমকি প্রতিহত করার জন্য পুতিন পিয়ংইয়ংয়ের ব্যাপক প্রশংসা করেন।
উত্তর কোরিয়ার সরকারি সংবাদপত্রে প্রকাশিত এক নিবন্ধে ‘পশ্চিম দ্বারা নিয়ন্ত্রিত নয়, এমন বিকল্প বাণিজ্য এবং পারস্পরিক বন্দোবস্তের ব্যবস্থা গড়ে তোলা’ এবং ‘ইউরেশিয়ায় সমান ও অবিভাজ্য নিরাপত্তা কৌশল গ্রহণের’ প্রতিশ্রুতি দেন পুতিন।
গবেষণা প্রতিষ্ঠান ৩৮ নর্থ প্রোগ্রাম ওয়াশিংটনের বিশ্লেষক রাচেল মিনিয়ং লি বলছেন, রাশিয়ার নেতৃত্বে পশ্চিমবিরোধী অর্থনৈতিক জোটের মধ্যে উত্তর কোরিয়ার যে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সুযোগ আছে, পুতিনের নিবন্ধ সেই ঈঙ্গিত দিচ্ছে। এই বার্তা কিম জং উনের কাছে আকর্ষণীয় হবে বলে ধারণা করা যায়।
তিনি বলেন, ‘কারও কারও কাছে অযৌক্তিক মনে হলেও পিয়ংইয়ং অর্থনীতির উন্নতির জন্য রাশিয়াকে কার্যকর ও দীর্ঘমেয়াদি অংশীদার হিসেবে দেখতে পারে। কারণ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নত করার চেষ্টা করার ক্ষেত্রে দেশটির সামনে রাশিয়ার চেয়ে বেশি কোনো প্রণোদনা নেই।’
এই সফরের প্রাক্কালে ডিক্রি জারি করে পুতিন বলেছেন, উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে ‘সার্বিক কৌশলগত অংশীদারিত্ব চুক্তিতে’ স্বাক্ষর করতে চায় মস্কো। এই চুক্তির মধ্যে নিরাপত্তাসংক্রান্ত সমস্যা অগ্রাধিকার পাবে বলে উশাকভ জানান।
তিনি বলেন, অন্য কোনো দেশকে লক্ষ্য করে চুক্তিটি হবে না। এটি দুই দেশের মধ্যে ‘আরও সহযোগিতার সম্ভাবনার রূপরেখা দেবে’।

গভীর রাতে উত্তর কোরিয়ায় পৌঁছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। পিয়ংইয়ং বিমানবন্দরে তাঁকে স্বাগত জানান উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং–উন। গতকাল মঙ্গলবার রাতে উল্লসিত জনতা হর্ষধ্বনির মধ্যে বিমানবন্দরে পুতিনকে রাজকীয় অভ্যর্থনা দেওয়া হয়।
রুশ গণমাধ্যমে সম্প্রচারিত ভিডিওতে দেখা যায়, ঘোড়সওয়ার সেনাদল ও রাজধানীর বুকে তাইডং নদীর ধারে কিম ইল সুং স্কোয়ারে বেসামরিক নাগরিকের বড় জমায়েত তাঁকে অভ্যর্থনা জানায়। বেলুন উড়িয়ে রুশ নেতাকে স্বাগত জানায় শিশুরা। তখন স্কোয়ারের মূল ভবনে জাতীয় পতাকাসহ দুই নেতার বিশাল প্রতিকৃতি দেখা যায়।
উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, পুতিন পিয়ংইয়ং বিমানবন্দরে পৌঁছার পর কিম তাঁকে আলিঙ্গন করে স্বাগত জানান। তবে পুতিনের অভ্যর্থনা ২০১৯ সালের চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের চেয়ে কম জাঁকজমকপূর্ণ ছিল। তাঁর মতো পুতিনকে লালগালিচা অভ্যর্থনা দেওয়া হয়নি।
রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের ছবিতে দেখা যায়, পিয়ংইয়ংয়ের রাস্তাজুড়ে সারি সারি পুতিনের প্রতিকৃতি দিয়ে সাজানো। আর নির্মাণাধীন ১০১তলা পিরামিড আকৃতির রিয়োগইয়ং হোটেলের সামনে ‘স্বাগত পুতিন’ লেখা নিয়ন আলোকের বিশাল বার্তা টানানো।
বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে রাশিয়ার উপহার দেওয়া লিমুজিনে করে শহরের দিকে রওনা হন দুই রাষ্ট্রপ্রধান। কুমসুসান প্রাসাদে পরে কিম ও পুতিনের মধ্যে শীর্ষ বৈঠক হয়।
আলোচনা শুরুর আগে পুতিনের মন্তব্যকে উদ্ধৃত করে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আরআইএ বলেছে, ইউক্রেন যুদ্ধসহ রাশিয়ার নীতির প্রতি আপনার ধারাবাহিক ও অটল সমর্থনের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।
পুতিনকে উদ্ধৃত করে রুশ গণমাধ্যম বলছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের আধিপত্যবাদী ও সাম্রাজ্যবাদী নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করছে মস্কো। আর কিম বলেন, উত্তর কোরিয়া-রাশিয়া সম্পর্ক ‘সমৃদ্ধির নতুন উচ্চতায়’ উঠেছে।
কিম আরও বলেন, ‘বিশ্ব পরিস্থিতি জটিলতর হয়ে উঠছে এবং দ্রুত পরিবর্তিত হচ্ছে। এমন সময়ে আমরা রাশিয়া ও রাশিয়ার নেতৃত্বের সঙ্গে কৌশলগত যোগাযোগ আরও জোরদার করতে চাই।’
তিনি বলেন, ‘সার্বভৌমত্ব, নিরাপত্তা ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষার জন্য ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযান পরিচালনার’ বিষয়ে রাশিয়ার সরকার, সেনাবাহিনী ও জনগণের প্রতি উত্তর কোরিয়া পূর্ণ সমর্থন ও সংহতি প্রকাশ করে।
২৪ বছরের মধ্যে উত্তর কোরিয়ার রাজধানীতে পুতিনের প্রথম সফর এটি। এমন একসময়ে এই সফর হচ্ছে, যখন উভয় দেশ বৈশ্বিক নিষেধাজ্ঞার মুখোমুখি। তাই এই সফরে রাশিয়া-উত্তর কোরিয়ার কয়েক দশকের সম্পর্ক জোরদার হতে পারে।
ওয়াশিংটনকে খোঁচাতে প্রায়ই উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে উষ্ণ সম্পর্ককে ব্যবহার করে রাশিয়া। আর নিষেধাজ্ঞার মধ্যে থাকা উত্তর কোরিয়া মস্কো থেকে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সমর্থনের পাশাপাশি বাণিজ্য সুবিধা পায়।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের ভয় পায়, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবে নিষিদ্ধ হলেও উত্তর কোরিয়াকে ক্ষেপণাস্ত্র ও পারমাণু কর্মসূচিতে সহায়তা করতে পারে রাশিয়া। আর পিয়ংইয়ংয়ের দেওয়া ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও আর্টিলারি শেল রাশিয়া ইউক্রেনের যুদ্ধে ব্যবহার করেছে বলেও তারা অভিযোগ করছে। যদিও মস্কো ও পিয়ংইয়ং তা অস্বীকার করেছে।
বিকল্প বাণিজ্য কৌশল
রাশিয়ার বার্তা সংস্থা ইন্টারফ্যাক্স পুতিনের পররাষ্ট্রনীতি উপদেষ্টা ইউরি উশাকভকে উদ্ধৃত করে বলেছে, বুধবারের অনুষ্ঠানসূচিতে আছে গালা কনসার্ট, রাষ্ট্রীয় সংবর্ধনা, অনার গার্ড, চুক্তি সই ও সংবাদ সম্মেলন।
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ভেটো ক্ষমতার অধিকারী রাশিয়া যে উত্তর কোরিয়ার প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি পুনর্মূল্যায়ন করছে তার ইঙ্গিত মিলেছে। সফরের আগে মার্কিন অর্থনৈতিক চাপ, ব্ল্যাকমেল ও হুমকি প্রতিহত করার জন্য পুতিন পিয়ংইয়ংয়ের ব্যাপক প্রশংসা করেন।
উত্তর কোরিয়ার সরকারি সংবাদপত্রে প্রকাশিত এক নিবন্ধে ‘পশ্চিম দ্বারা নিয়ন্ত্রিত নয়, এমন বিকল্প বাণিজ্য এবং পারস্পরিক বন্দোবস্তের ব্যবস্থা গড়ে তোলা’ এবং ‘ইউরেশিয়ায় সমান ও অবিভাজ্য নিরাপত্তা কৌশল গ্রহণের’ প্রতিশ্রুতি দেন পুতিন।
গবেষণা প্রতিষ্ঠান ৩৮ নর্থ প্রোগ্রাম ওয়াশিংটনের বিশ্লেষক রাচেল মিনিয়ং লি বলছেন, রাশিয়ার নেতৃত্বে পশ্চিমবিরোধী অর্থনৈতিক জোটের মধ্যে উত্তর কোরিয়ার যে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সুযোগ আছে, পুতিনের নিবন্ধ সেই ঈঙ্গিত দিচ্ছে। এই বার্তা কিম জং উনের কাছে আকর্ষণীয় হবে বলে ধারণা করা যায়।
তিনি বলেন, ‘কারও কারও কাছে অযৌক্তিক মনে হলেও পিয়ংইয়ং অর্থনীতির উন্নতির জন্য রাশিয়াকে কার্যকর ও দীর্ঘমেয়াদি অংশীদার হিসেবে দেখতে পারে। কারণ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নত করার চেষ্টা করার ক্ষেত্রে দেশটির সামনে রাশিয়ার চেয়ে বেশি কোনো প্রণোদনা নেই।’
এই সফরের প্রাক্কালে ডিক্রি জারি করে পুতিন বলেছেন, উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে ‘সার্বিক কৌশলগত অংশীদারিত্ব চুক্তিতে’ স্বাক্ষর করতে চায় মস্কো। এই চুক্তির মধ্যে নিরাপত্তাসংক্রান্ত সমস্যা অগ্রাধিকার পাবে বলে উশাকভ জানান।
তিনি বলেন, অন্য কোনো দেশকে লক্ষ্য করে চুক্তিটি হবে না। এটি দুই দেশের মধ্যে ‘আরও সহযোগিতার সম্ভাবনার রূপরেখা দেবে’।
রয়টার্স, সিউল

গভীর রাতে উত্তর কোরিয়ায় পৌঁছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। পিয়ংইয়ং বিমানবন্দরে তাঁকে স্বাগত জানান উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং–উন। গতকাল মঙ্গলবার রাতে উল্লসিত জনতা হর্ষধ্বনির মধ্যে বিমানবন্দরে পুতিনকে রাজকীয় অভ্যর্থনা দেওয়া হয়।
রুশ গণমাধ্যমে সম্প্রচারিত ভিডিওতে দেখা যায়, ঘোড়সওয়ার সেনাদল ও রাজধানীর বুকে তাইডং নদীর ধারে কিম ইল সুং স্কোয়ারে বেসামরিক নাগরিকের বড় জমায়েত তাঁকে অভ্যর্থনা জানায়। বেলুন উড়িয়ে রুশ নেতাকে স্বাগত জানায় শিশুরা। তখন স্কোয়ারের মূল ভবনে জাতীয় পতাকাসহ দুই নেতার বিশাল প্রতিকৃতি দেখা যায়।
উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, পুতিন পিয়ংইয়ং বিমানবন্দরে পৌঁছার পর কিম তাঁকে আলিঙ্গন করে স্বাগত জানান। তবে পুতিনের অভ্যর্থনা ২০১৯ সালের চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের চেয়ে কম জাঁকজমকপূর্ণ ছিল। তাঁর মতো পুতিনকে লালগালিচা অভ্যর্থনা দেওয়া হয়নি।
রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের ছবিতে দেখা যায়, পিয়ংইয়ংয়ের রাস্তাজুড়ে সারি সারি পুতিনের প্রতিকৃতি দিয়ে সাজানো। আর নির্মাণাধীন ১০১তলা পিরামিড আকৃতির রিয়োগইয়ং হোটেলের সামনে ‘স্বাগত পুতিন’ লেখা নিয়ন আলোকের বিশাল বার্তা টানানো।
বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে রাশিয়ার উপহার দেওয়া লিমুজিনে করে শহরের দিকে রওনা হন দুই রাষ্ট্রপ্রধান। কুমসুসান প্রাসাদে পরে কিম ও পুতিনের মধ্যে শীর্ষ বৈঠক হয়।
আলোচনা শুরুর আগে পুতিনের মন্তব্যকে উদ্ধৃত করে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আরআইএ বলেছে, ইউক্রেন যুদ্ধসহ রাশিয়ার নীতির প্রতি আপনার ধারাবাহিক ও অটল সমর্থনের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।
পুতিনকে উদ্ধৃত করে রুশ গণমাধ্যম বলছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের আধিপত্যবাদী ও সাম্রাজ্যবাদী নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করছে মস্কো। আর কিম বলেন, উত্তর কোরিয়া-রাশিয়া সম্পর্ক ‘সমৃদ্ধির নতুন উচ্চতায়’ উঠেছে।
কিম আরও বলেন, ‘বিশ্ব পরিস্থিতি জটিলতর হয়ে উঠছে এবং দ্রুত পরিবর্তিত হচ্ছে। এমন সময়ে আমরা রাশিয়া ও রাশিয়ার নেতৃত্বের সঙ্গে কৌশলগত যোগাযোগ আরও জোরদার করতে চাই।’
তিনি বলেন, ‘সার্বভৌমত্ব, নিরাপত্তা ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষার জন্য ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযান পরিচালনার’ বিষয়ে রাশিয়ার সরকার, সেনাবাহিনী ও জনগণের প্রতি উত্তর কোরিয়া পূর্ণ সমর্থন ও সংহতি প্রকাশ করে।
২৪ বছরের মধ্যে উত্তর কোরিয়ার রাজধানীতে পুতিনের প্রথম সফর এটি। এমন একসময়ে এই সফর হচ্ছে, যখন উভয় দেশ বৈশ্বিক নিষেধাজ্ঞার মুখোমুখি। তাই এই সফরে রাশিয়া-উত্তর কোরিয়ার কয়েক দশকের সম্পর্ক জোরদার হতে পারে।
ওয়াশিংটনকে খোঁচাতে প্রায়ই উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে উষ্ণ সম্পর্ককে ব্যবহার করে রাশিয়া। আর নিষেধাজ্ঞার মধ্যে থাকা উত্তর কোরিয়া মস্কো থেকে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সমর্থনের পাশাপাশি বাণিজ্য সুবিধা পায়।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের ভয় পায়, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবে নিষিদ্ধ হলেও উত্তর কোরিয়াকে ক্ষেপণাস্ত্র ও পারমাণু কর্মসূচিতে সহায়তা করতে পারে রাশিয়া। আর পিয়ংইয়ংয়ের দেওয়া ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও আর্টিলারি শেল রাশিয়া ইউক্রেনের যুদ্ধে ব্যবহার করেছে বলেও তারা অভিযোগ করছে। যদিও মস্কো ও পিয়ংইয়ং তা অস্বীকার করেছে।
বিকল্প বাণিজ্য কৌশল
রাশিয়ার বার্তা সংস্থা ইন্টারফ্যাক্স পুতিনের পররাষ্ট্রনীতি উপদেষ্টা ইউরি উশাকভকে উদ্ধৃত করে বলেছে, বুধবারের অনুষ্ঠানসূচিতে আছে গালা কনসার্ট, রাষ্ট্রীয় সংবর্ধনা, অনার গার্ড, চুক্তি সই ও সংবাদ সম্মেলন।
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ভেটো ক্ষমতার অধিকারী রাশিয়া যে উত্তর কোরিয়ার প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি পুনর্মূল্যায়ন করছে তার ইঙ্গিত মিলেছে। সফরের আগে মার্কিন অর্থনৈতিক চাপ, ব্ল্যাকমেল ও হুমকি প্রতিহত করার জন্য পুতিন পিয়ংইয়ংয়ের ব্যাপক প্রশংসা করেন।
উত্তর কোরিয়ার সরকারি সংবাদপত্রে প্রকাশিত এক নিবন্ধে ‘পশ্চিম দ্বারা নিয়ন্ত্রিত নয়, এমন বিকল্প বাণিজ্য এবং পারস্পরিক বন্দোবস্তের ব্যবস্থা গড়ে তোলা’ এবং ‘ইউরেশিয়ায় সমান ও অবিভাজ্য নিরাপত্তা কৌশল গ্রহণের’ প্রতিশ্রুতি দেন পুতিন।
গবেষণা প্রতিষ্ঠান ৩৮ নর্থ প্রোগ্রাম ওয়াশিংটনের বিশ্লেষক রাচেল মিনিয়ং লি বলছেন, রাশিয়ার নেতৃত্বে পশ্চিমবিরোধী অর্থনৈতিক জোটের মধ্যে উত্তর কোরিয়ার যে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সুযোগ আছে, পুতিনের নিবন্ধ সেই ঈঙ্গিত দিচ্ছে। এই বার্তা কিম জং উনের কাছে আকর্ষণীয় হবে বলে ধারণা করা যায়।
তিনি বলেন, ‘কারও কারও কাছে অযৌক্তিক মনে হলেও পিয়ংইয়ং অর্থনীতির উন্নতির জন্য রাশিয়াকে কার্যকর ও দীর্ঘমেয়াদি অংশীদার হিসেবে দেখতে পারে। কারণ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নত করার চেষ্টা করার ক্ষেত্রে দেশটির সামনে রাশিয়ার চেয়ে বেশি কোনো প্রণোদনা নেই।’
এই সফরের প্রাক্কালে ডিক্রি জারি করে পুতিন বলেছেন, উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে ‘সার্বিক কৌশলগত অংশীদারিত্ব চুক্তিতে’ স্বাক্ষর করতে চায় মস্কো। এই চুক্তির মধ্যে নিরাপত্তাসংক্রান্ত সমস্যা অগ্রাধিকার পাবে বলে উশাকভ জানান।
তিনি বলেন, অন্য কোনো দেশকে লক্ষ্য করে চুক্তিটি হবে না। এটি দুই দেশের মধ্যে ‘আরও সহযোগিতার সম্ভাবনার রূপরেখা দেবে’।

গভীর রাতে উত্তর কোরিয়ায় পৌঁছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। পিয়ংইয়ং বিমানবন্দরে তাঁকে স্বাগত জানান উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং–উন। গতকাল মঙ্গলবার রাতে উল্লসিত জনতা হর্ষধ্বনির মধ্যে বিমানবন্দরে পুতিনকে রাজকীয় অভ্যর্থনা দেওয়া হয়।
রুশ গণমাধ্যমে সম্প্রচারিত ভিডিওতে দেখা যায়, ঘোড়সওয়ার সেনাদল ও রাজধানীর বুকে তাইডং নদীর ধারে কিম ইল সুং স্কোয়ারে বেসামরিক নাগরিকের বড় জমায়েত তাঁকে অভ্যর্থনা জানায়। বেলুন উড়িয়ে রুশ নেতাকে স্বাগত জানায় শিশুরা। তখন স্কোয়ারের মূল ভবনে জাতীয় পতাকাসহ দুই নেতার বিশাল প্রতিকৃতি দেখা যায়।
উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, পুতিন পিয়ংইয়ং বিমানবন্দরে পৌঁছার পর কিম তাঁকে আলিঙ্গন করে স্বাগত জানান। তবে পুতিনের অভ্যর্থনা ২০১৯ সালের চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের চেয়ে কম জাঁকজমকপূর্ণ ছিল। তাঁর মতো পুতিনকে লালগালিচা অভ্যর্থনা দেওয়া হয়নি।
রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের ছবিতে দেখা যায়, পিয়ংইয়ংয়ের রাস্তাজুড়ে সারি সারি পুতিনের প্রতিকৃতি দিয়ে সাজানো। আর নির্মাণাধীন ১০১তলা পিরামিড আকৃতির রিয়োগইয়ং হোটেলের সামনে ‘স্বাগত পুতিন’ লেখা নিয়ন আলোকের বিশাল বার্তা টানানো।
বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে রাশিয়ার উপহার দেওয়া লিমুজিনে করে শহরের দিকে রওনা হন দুই রাষ্ট্রপ্রধান। কুমসুসান প্রাসাদে পরে কিম ও পুতিনের মধ্যে শীর্ষ বৈঠক হয়।
আলোচনা শুরুর আগে পুতিনের মন্তব্যকে উদ্ধৃত করে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আরআইএ বলেছে, ইউক্রেন যুদ্ধসহ রাশিয়ার নীতির প্রতি আপনার ধারাবাহিক ও অটল সমর্থনের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।
পুতিনকে উদ্ধৃত করে রুশ গণমাধ্যম বলছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের আধিপত্যবাদী ও সাম্রাজ্যবাদী নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করছে মস্কো। আর কিম বলেন, উত্তর কোরিয়া-রাশিয়া সম্পর্ক ‘সমৃদ্ধির নতুন উচ্চতায়’ উঠেছে।
কিম আরও বলেন, ‘বিশ্ব পরিস্থিতি জটিলতর হয়ে উঠছে এবং দ্রুত পরিবর্তিত হচ্ছে। এমন সময়ে আমরা রাশিয়া ও রাশিয়ার নেতৃত্বের সঙ্গে কৌশলগত যোগাযোগ আরও জোরদার করতে চাই।’
তিনি বলেন, ‘সার্বভৌমত্ব, নিরাপত্তা ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষার জন্য ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযান পরিচালনার’ বিষয়ে রাশিয়ার সরকার, সেনাবাহিনী ও জনগণের প্রতি উত্তর কোরিয়া পূর্ণ সমর্থন ও সংহতি প্রকাশ করে।
২৪ বছরের মধ্যে উত্তর কোরিয়ার রাজধানীতে পুতিনের প্রথম সফর এটি। এমন একসময়ে এই সফর হচ্ছে, যখন উভয় দেশ বৈশ্বিক নিষেধাজ্ঞার মুখোমুখি। তাই এই সফরে রাশিয়া-উত্তর কোরিয়ার কয়েক দশকের সম্পর্ক জোরদার হতে পারে।
ওয়াশিংটনকে খোঁচাতে প্রায়ই উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে উষ্ণ সম্পর্ককে ব্যবহার করে রাশিয়া। আর নিষেধাজ্ঞার মধ্যে থাকা উত্তর কোরিয়া মস্কো থেকে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সমর্থনের পাশাপাশি বাণিজ্য সুবিধা পায়।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের ভয় পায়, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবে নিষিদ্ধ হলেও উত্তর কোরিয়াকে ক্ষেপণাস্ত্র ও পারমাণু কর্মসূচিতে সহায়তা করতে পারে রাশিয়া। আর পিয়ংইয়ংয়ের দেওয়া ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও আর্টিলারি শেল রাশিয়া ইউক্রেনের যুদ্ধে ব্যবহার করেছে বলেও তারা অভিযোগ করছে। যদিও মস্কো ও পিয়ংইয়ং তা অস্বীকার করেছে।
বিকল্প বাণিজ্য কৌশল
রাশিয়ার বার্তা সংস্থা ইন্টারফ্যাক্স পুতিনের পররাষ্ট্রনীতি উপদেষ্টা ইউরি উশাকভকে উদ্ধৃত করে বলেছে, বুধবারের অনুষ্ঠানসূচিতে আছে গালা কনসার্ট, রাষ্ট্রীয় সংবর্ধনা, অনার গার্ড, চুক্তি সই ও সংবাদ সম্মেলন।
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ভেটো ক্ষমতার অধিকারী রাশিয়া যে উত্তর কোরিয়ার প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি পুনর্মূল্যায়ন করছে তার ইঙ্গিত মিলেছে। সফরের আগে মার্কিন অর্থনৈতিক চাপ, ব্ল্যাকমেল ও হুমকি প্রতিহত করার জন্য পুতিন পিয়ংইয়ংয়ের ব্যাপক প্রশংসা করেন।
উত্তর কোরিয়ার সরকারি সংবাদপত্রে প্রকাশিত এক নিবন্ধে ‘পশ্চিম দ্বারা নিয়ন্ত্রিত নয়, এমন বিকল্প বাণিজ্য এবং পারস্পরিক বন্দোবস্তের ব্যবস্থা গড়ে তোলা’ এবং ‘ইউরেশিয়ায় সমান ও অবিভাজ্য নিরাপত্তা কৌশল গ্রহণের’ প্রতিশ্রুতি দেন পুতিন।
গবেষণা প্রতিষ্ঠান ৩৮ নর্থ প্রোগ্রাম ওয়াশিংটনের বিশ্লেষক রাচেল মিনিয়ং লি বলছেন, রাশিয়ার নেতৃত্বে পশ্চিমবিরোধী অর্থনৈতিক জোটের মধ্যে উত্তর কোরিয়ার যে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সুযোগ আছে, পুতিনের নিবন্ধ সেই ঈঙ্গিত দিচ্ছে। এই বার্তা কিম জং উনের কাছে আকর্ষণীয় হবে বলে ধারণা করা যায়।
তিনি বলেন, ‘কারও কারও কাছে অযৌক্তিক মনে হলেও পিয়ংইয়ং অর্থনীতির উন্নতির জন্য রাশিয়াকে কার্যকর ও দীর্ঘমেয়াদি অংশীদার হিসেবে দেখতে পারে। কারণ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নত করার চেষ্টা করার ক্ষেত্রে দেশটির সামনে রাশিয়ার চেয়ে বেশি কোনো প্রণোদনা নেই।’
এই সফরের প্রাক্কালে ডিক্রি জারি করে পুতিন বলেছেন, উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে ‘সার্বিক কৌশলগত অংশীদারিত্ব চুক্তিতে’ স্বাক্ষর করতে চায় মস্কো। এই চুক্তির মধ্যে নিরাপত্তাসংক্রান্ত সমস্যা অগ্রাধিকার পাবে বলে উশাকভ জানান।
তিনি বলেন, অন্য কোনো দেশকে লক্ষ্য করে চুক্তিটি হবে না। এটি দুই দেশের মধ্যে ‘আরও সহযোগিতার সম্ভাবনার রূপরেখা দেবে’।

গ্রিসের দক্ষিণাঞ্চলীয় দ্বীপ গাভদোসের কাছে একটি মাছধরা নৌকা থেকে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের প্রায় ৫৪০ জন অভিবাসীকে উদ্ধার করেছে দেশটির কোস্ট গার্ড। গ্রিক কোস্ট গার্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গতকাল শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) গাভদোস দ্বীপ থেকে প্রায় ১৬ নটিক্যাল মাইল (২৯.৬ কিমি) দূরে লিবীয় সাগরে নৌকাটি
২০ মিনিট আগে
ইসরায়েলের হামলায় গাজার ৪৯৪টি স্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয় আংশিক বা সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে গেছে। সর্বশেষ চলতি বছরের জানুয়ারিতে গাজাভিত্তিক আল-মেজান সেন্টারের তথ্য অনুযায়ী, গাজার ১৩৭টি স্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয় সম্পূর্ণ মাটির সঙ্গে মিশে গেছে। যুদ্ধে এখন পর্যন্ত ১২ হাজার ৮০০ শিক্ষার্থী, ৭৬০ জন শিক্ষক...
১ ঘণ্টা আগে
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবিকে তোশাখানা দুর্নীতির নতুন মামলায় ১৭ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন দেশটির একটি বিশেষ আদালত। তোশাখানা বা রাষ্ট্রীয় উপহার ভান্ডারের মূল্যবান উপহার কম দামে কিনে নেওয়ার অভিযোগে আজ শনিবার এই রায় ঘোষণা করা হয়।
২ ঘণ্টা আগে
আশার কথা, ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে এহেন ইসরায়েলি আগ্রাসনে প্রতিরোধের শক্তি হয়ে সম্প্রতি হাজির হয়েছেন একদল স্বেচ্ছাসেবক। তাঁরা পাহাড় থেকে নামতে থাকা ইসরায়েলি সেটলারদের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে তাঁদের সরিয়ে দেন।
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

গ্রিসের দক্ষিণাঞ্চলীয় দ্বীপ গাভদোসের কাছে একটি মাছধরা নৌকা থেকে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের প্রায় ৫৪০ জন অভিবাসীকে উদ্ধার করেছে দেশটির কোস্ট গার্ড। গ্রিক কোস্ট গার্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গতকাল শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) গাভদোস দ্বীপ থেকে প্রায় ১৬ নটিক্যাল মাইল (২৯.৬ কিমি) দূরে লিবীয় সাগরে নৌকাটি শনাক্ত করা হয়।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সীমান্ত সংস্থা ফ্রন্টেক্সের টহল জাহাজ প্রথমে নৌকাটি দেখতে পায়। এরপর কোস্ট গার্ডের তিনটি জাহাজ, ফ্রন্টেক্সের তিনটি জাহাজ ও তিনটি বাণিজ্যিক জাহাজের সমন্বয়ে উদ্ধার অভিযান পরিচালিত হয়।
জানা গেছে, উদ্ধার হওয়া ৫৪০ জন অভিবাসীর সবাই বর্তমানে সুস্থ আছেন। তাঁদের উদ্ধার করে নিকটবর্তী ক্রিট দ্বীপের আগিয়া গালিনি বন্দরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
গ্রিক কোস্ট গার্ডের একজন মুখপাত্র বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছেন, উদ্ধারকৃতদের মধ্যে বাংলাদেশ, মিশর ও পাকিস্তানের নাগরিক রয়েছেন। এ ছাড়া ইরিত্রিয়া, সোমালিয়া, সুদান ও ফিলিস্তিনি নাগরিকেরাও এই দলে ছিলেন।
তাঁদের আপাতত ক্রিট দ্বীপের রেথিমনো শহরের একটি অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে রাখা হয়েছে। সেখানে প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে তাঁদের রাজনৈতিক আশ্রয়ের (Asylum) আবেদন প্রক্রিয়া শুরু করা হবে।
লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় শহর তোব্রুক থেকে পরিচালিত পাচারকারী চক্রগুলো এখন ইউরোপে প্রবেশের জন্য গাভদোস রুটটিকে বেশি ব্যবহার করছে। ২০২৫ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসেই ক্রিট ও গাভদোসে ৭ হাজার ৩০০-এর বেশি অভিবাসী পৌঁছেছেন, যা ২০২৪ সালের পুরো বছরের মোট সংখ্যাকেও ছাড়িয়ে গেছে।
গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী কিরিয়াকোস মিতসোটাকিস জানিয়েছেন, ২০২৬ সালের মাঝামাঝি থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নতুন অভিবাসন চুক্তি কার্যকর হবে। এর আওতায় যাঁদের আশ্রয়ের আবেদন বাতিল হবে, তাঁদের দ্রুত নিজ দেশে ফেরত পাঠানোকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
উদ্ধারকৃতদের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশ, মিসর ও সুদানের নাগরিকেরা এই মরণযাত্রার জন্য পাচারকারী চক্রকে জনপ্রতি দুই থেকে পাঁচ হাজার ইউরো (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২.৫ থেকে ৬ লাখ টাকা) পরিশোধ করেন।

গ্রিসের দক্ষিণাঞ্চলীয় দ্বীপ গাভদোসের কাছে একটি মাছধরা নৌকা থেকে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের প্রায় ৫৪০ জন অভিবাসীকে উদ্ধার করেছে দেশটির কোস্ট গার্ড। গ্রিক কোস্ট গার্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গতকাল শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) গাভদোস দ্বীপ থেকে প্রায় ১৬ নটিক্যাল মাইল (২৯.৬ কিমি) দূরে লিবীয় সাগরে নৌকাটি শনাক্ত করা হয়।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সীমান্ত সংস্থা ফ্রন্টেক্সের টহল জাহাজ প্রথমে নৌকাটি দেখতে পায়। এরপর কোস্ট গার্ডের তিনটি জাহাজ, ফ্রন্টেক্সের তিনটি জাহাজ ও তিনটি বাণিজ্যিক জাহাজের সমন্বয়ে উদ্ধার অভিযান পরিচালিত হয়।
জানা গেছে, উদ্ধার হওয়া ৫৪০ জন অভিবাসীর সবাই বর্তমানে সুস্থ আছেন। তাঁদের উদ্ধার করে নিকটবর্তী ক্রিট দ্বীপের আগিয়া গালিনি বন্দরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
গ্রিক কোস্ট গার্ডের একজন মুখপাত্র বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছেন, উদ্ধারকৃতদের মধ্যে বাংলাদেশ, মিশর ও পাকিস্তানের নাগরিক রয়েছেন। এ ছাড়া ইরিত্রিয়া, সোমালিয়া, সুদান ও ফিলিস্তিনি নাগরিকেরাও এই দলে ছিলেন।
তাঁদের আপাতত ক্রিট দ্বীপের রেথিমনো শহরের একটি অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে রাখা হয়েছে। সেখানে প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে তাঁদের রাজনৈতিক আশ্রয়ের (Asylum) আবেদন প্রক্রিয়া শুরু করা হবে।
লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় শহর তোব্রুক থেকে পরিচালিত পাচারকারী চক্রগুলো এখন ইউরোপে প্রবেশের জন্য গাভদোস রুটটিকে বেশি ব্যবহার করছে। ২০২৫ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসেই ক্রিট ও গাভদোসে ৭ হাজার ৩০০-এর বেশি অভিবাসী পৌঁছেছেন, যা ২০২৪ সালের পুরো বছরের মোট সংখ্যাকেও ছাড়িয়ে গেছে।
গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী কিরিয়াকোস মিতসোটাকিস জানিয়েছেন, ২০২৬ সালের মাঝামাঝি থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নতুন অভিবাসন চুক্তি কার্যকর হবে। এর আওতায় যাঁদের আশ্রয়ের আবেদন বাতিল হবে, তাঁদের দ্রুত নিজ দেশে ফেরত পাঠানোকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
উদ্ধারকৃতদের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশ, মিসর ও সুদানের নাগরিকেরা এই মরণযাত্রার জন্য পাচারকারী চক্রকে জনপ্রতি দুই থেকে পাঁচ হাজার ইউরো (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২.৫ থেকে ৬ লাখ টাকা) পরিশোধ করেন।

গভীর রাতে উত্তর কোরিয়ায় পৌঁছান রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। পিয়ংইয়ং বিমানবন্দরে তাঁকে স্বাগত জানান উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং–উন। গতকাল মঙ্গলবার রাতে উল্লসিত জনতার হর্ষধ্বনির মধ্যে বিমানবন্দরে পুতিনকে রাজকীয় অভ্যর্থনা দেওয়া হয়।
১৯ জুন ২০২৪
ইসরায়েলের হামলায় গাজার ৪৯৪টি স্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয় আংশিক বা সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে গেছে। সর্বশেষ চলতি বছরের জানুয়ারিতে গাজাভিত্তিক আল-মেজান সেন্টারের তথ্য অনুযায়ী, গাজার ১৩৭টি স্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয় সম্পূর্ণ মাটির সঙ্গে মিশে গেছে। যুদ্ধে এখন পর্যন্ত ১২ হাজার ৮০০ শিক্ষার্থী, ৭৬০ জন শিক্ষক...
১ ঘণ্টা আগে
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবিকে তোশাখানা দুর্নীতির নতুন মামলায় ১৭ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন দেশটির একটি বিশেষ আদালত। তোশাখানা বা রাষ্ট্রীয় উপহার ভান্ডারের মূল্যবান উপহার কম দামে কিনে নেওয়ার অভিযোগে আজ শনিবার এই রায় ঘোষণা করা হয়।
২ ঘণ্টা আগে
আশার কথা, ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে এহেন ইসরায়েলি আগ্রাসনে প্রতিরোধের শক্তি হয়ে সম্প্রতি হাজির হয়েছেন একদল স্বেচ্ছাসেবক। তাঁরা পাহাড় থেকে নামতে থাকা ইসরায়েলি সেটলারদের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে তাঁদের সরিয়ে দেন।
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইসরায়েলি হামলায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে গাজা উপত্যকা। দীর্ঘ দুই বছর পর এই ধ্বংসস্তূপের মধ্যেই গাজার বিখ্যাত ইসলামিক ইউনিভার্সিটিতে সশরীরে পাঠদান শুরু হয়েছে। গত অক্টোবরে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডের অন্যতম প্রধান বিদ্যাপীঠটি পুনরায় চালু হলো। তবে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান রূপ আর দশটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মতো নয়। দেখলে মনে হবে যেন একটি বিশাল উদ্বাস্তু শিবির।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের কক্ষগুলো শুধু পড়াশোনার জন্যই নয়, ইসরায়েলি হামলায় ঘরবাড়ি হারানো প্রায় ৫০০ বাস্তুচ্যুত পরিবারের আশ্রয়স্থল হিসেবেও ব্যবহৃত হচ্ছে। একসময়ের বিশাল লেকচার হলের জায়গায় এখন সারি সারি তাঁবু টাঙানো।

সেখানে আশ্রয় নেওয়া একজন বলেন, ‘আমাদের যাওয়ার কোনো জায়গা নেই বলে এখানে এসেছি। কিন্তু এটি শিক্ষার জায়গা, আশ্রয়কেন্দ্র নয়। আমাদের সন্তানদের পড়াশোনার জন্য এই বিদ্যাপীঠের পরিবেশ ফিরিয়ে আনা জরুরি।’
ইউনেসকোর তথ্যমতে, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া যুদ্ধের ফলে গাজার ৯৫ শতাংশেরও বেশি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত বা সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে। মানবাধিকার সংস্থাগুলো ও জাতিসংঘ একে ‘স্কলাস্টিসাইড’ বা পদ্ধতিগতভাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করার একটি প্রক্রিয়া হিসেবে অভিহিত করেছে।
সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ইসরায়েলের হামলায় গাজার ৪৯৪টি স্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয় আংশিক বা সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে গেছে। সর্বশেষ চলতি বছরের জানুয়ারিতে গাজাভিত্তিক আল-মেজান সেন্টারের তথ্য অনুযায়ী, গাজার ১৩৭টি স্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয় সম্পূর্ণ মাটির সঙ্গে মিশে গেছে। যুদ্ধে এখন পর্যন্ত ১২ হাজার ৮০০ শিক্ষার্থী, ৭৬০ জন শিক্ষক এবং ১৫০ জন শিক্ষাবিদ ও গবেষক নিহত হয়েছেন।
গাজার সর্বশেষ সচল বিদ্যাপীঠ ইসরা ইউনিভার্সিটিকেও ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে ধ্বংস করে দেয় ইসরায়েলি বাহিনী।
ইসলামিক ইউনিভার্সিটিতে মাত্র চারটি সচল শ্রেণিকক্ষে বর্তমানে হাজার হাজার শিক্ষার্থীর পাঠদান চলছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আদেল আওয়াদুল্লাহ জানান, ভাঙা দেয়ালগুলো প্লাস্টিকের শিট দিয়ে ঢেকে ক্লাস নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘বিদ্যুৎ নেই, তাই আমরা ধার করা জেনারেটর চালিয়ে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম সচল রাখার চেষ্টা করছি।’
মেডিকেল কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্রী ইউমনা আলবাবা বলেন, ‘আমি যেমন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বপ্ন দেখেছিলাম, এটি তেমন নয়। মনোযোগ দেওয়ার মতো পরিবেশ বা পর্যাপ্ত সরঞ্জাম—কোনোটিই এখানে নেই। তবুও আমি খুশি যে সশরীরে ক্লাস করতে পারছি। আমরা শূন্য থেকে সবকিছু গড়ার স্বপ্ন দেখছি।’
জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন, গাজার শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংস করা মূলত ফিলিস্তিনি সমাজের ভিত্তি উপড়ে ফেলার একটি সুপরিকল্পিত প্রচেষ্টা। বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেটের অভাবে অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রমও মুখ থুবড়ে পড়েছে। তবুও গাজার শিক্ষার্থীরা শ্রেণিকক্ষে ফিরে আসার মাধ্যমে নিজেদের ভবিষ্যৎ পুনরুদ্ধারের যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে।

ইসরায়েলি হামলায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে গাজা উপত্যকা। দীর্ঘ দুই বছর পর এই ধ্বংসস্তূপের মধ্যেই গাজার বিখ্যাত ইসলামিক ইউনিভার্সিটিতে সশরীরে পাঠদান শুরু হয়েছে। গত অক্টোবরে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডের অন্যতম প্রধান বিদ্যাপীঠটি পুনরায় চালু হলো। তবে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান রূপ আর দশটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মতো নয়। দেখলে মনে হবে যেন একটি বিশাল উদ্বাস্তু শিবির।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের কক্ষগুলো শুধু পড়াশোনার জন্যই নয়, ইসরায়েলি হামলায় ঘরবাড়ি হারানো প্রায় ৫০০ বাস্তুচ্যুত পরিবারের আশ্রয়স্থল হিসেবেও ব্যবহৃত হচ্ছে। একসময়ের বিশাল লেকচার হলের জায়গায় এখন সারি সারি তাঁবু টাঙানো।

সেখানে আশ্রয় নেওয়া একজন বলেন, ‘আমাদের যাওয়ার কোনো জায়গা নেই বলে এখানে এসেছি। কিন্তু এটি শিক্ষার জায়গা, আশ্রয়কেন্দ্র নয়। আমাদের সন্তানদের পড়াশোনার জন্য এই বিদ্যাপীঠের পরিবেশ ফিরিয়ে আনা জরুরি।’
ইউনেসকোর তথ্যমতে, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া যুদ্ধের ফলে গাজার ৯৫ শতাংশেরও বেশি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত বা সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে। মানবাধিকার সংস্থাগুলো ও জাতিসংঘ একে ‘স্কলাস্টিসাইড’ বা পদ্ধতিগতভাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করার একটি প্রক্রিয়া হিসেবে অভিহিত করেছে।
সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ইসরায়েলের হামলায় গাজার ৪৯৪টি স্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয় আংশিক বা সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে গেছে। সর্বশেষ চলতি বছরের জানুয়ারিতে গাজাভিত্তিক আল-মেজান সেন্টারের তথ্য অনুযায়ী, গাজার ১৩৭টি স্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয় সম্পূর্ণ মাটির সঙ্গে মিশে গেছে। যুদ্ধে এখন পর্যন্ত ১২ হাজার ৮০০ শিক্ষার্থী, ৭৬০ জন শিক্ষক এবং ১৫০ জন শিক্ষাবিদ ও গবেষক নিহত হয়েছেন।
গাজার সর্বশেষ সচল বিদ্যাপীঠ ইসরা ইউনিভার্সিটিকেও ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে ধ্বংস করে দেয় ইসরায়েলি বাহিনী।
ইসলামিক ইউনিভার্সিটিতে মাত্র চারটি সচল শ্রেণিকক্ষে বর্তমানে হাজার হাজার শিক্ষার্থীর পাঠদান চলছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আদেল আওয়াদুল্লাহ জানান, ভাঙা দেয়ালগুলো প্লাস্টিকের শিট দিয়ে ঢেকে ক্লাস নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘বিদ্যুৎ নেই, তাই আমরা ধার করা জেনারেটর চালিয়ে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম সচল রাখার চেষ্টা করছি।’
মেডিকেল কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্রী ইউমনা আলবাবা বলেন, ‘আমি যেমন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বপ্ন দেখেছিলাম, এটি তেমন নয়। মনোযোগ দেওয়ার মতো পরিবেশ বা পর্যাপ্ত সরঞ্জাম—কোনোটিই এখানে নেই। তবুও আমি খুশি যে সশরীরে ক্লাস করতে পারছি। আমরা শূন্য থেকে সবকিছু গড়ার স্বপ্ন দেখছি।’
জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন, গাজার শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংস করা মূলত ফিলিস্তিনি সমাজের ভিত্তি উপড়ে ফেলার একটি সুপরিকল্পিত প্রচেষ্টা। বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেটের অভাবে অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রমও মুখ থুবড়ে পড়েছে। তবুও গাজার শিক্ষার্থীরা শ্রেণিকক্ষে ফিরে আসার মাধ্যমে নিজেদের ভবিষ্যৎ পুনরুদ্ধারের যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে।

গভীর রাতে উত্তর কোরিয়ায় পৌঁছান রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। পিয়ংইয়ং বিমানবন্দরে তাঁকে স্বাগত জানান উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং–উন। গতকাল মঙ্গলবার রাতে উল্লসিত জনতার হর্ষধ্বনির মধ্যে বিমানবন্দরে পুতিনকে রাজকীয় অভ্যর্থনা দেওয়া হয়।
১৯ জুন ২০২৪
গ্রিসের দক্ষিণাঞ্চলীয় দ্বীপ গাভদোসের কাছে একটি মাছধরা নৌকা থেকে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের প্রায় ৫৪০ জন অভিবাসীকে উদ্ধার করেছে দেশটির কোস্ট গার্ড। গ্রিক কোস্ট গার্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গতকাল শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) গাভদোস দ্বীপ থেকে প্রায় ১৬ নটিক্যাল মাইল (২৯.৬ কিমি) দূরে লিবীয় সাগরে নৌকাটি
২০ মিনিট আগে
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবিকে তোশাখানা দুর্নীতির নতুন মামলায় ১৭ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন দেশটির একটি বিশেষ আদালত। তোশাখানা বা রাষ্ট্রীয় উপহার ভান্ডারের মূল্যবান উপহার কম দামে কিনে নেওয়ার অভিযোগে আজ শনিবার এই রায় ঘোষণা করা হয়।
২ ঘণ্টা আগে
আশার কথা, ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে এহেন ইসরায়েলি আগ্রাসনে প্রতিরোধের শক্তি হয়ে সম্প্রতি হাজির হয়েছেন একদল স্বেচ্ছাসেবক। তাঁরা পাহাড় থেকে নামতে থাকা ইসরায়েলি সেটলারদের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে তাঁদের সরিয়ে দেন।
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবিকে তোশাখানা দুর্নীতির নতুন মামলায় ১৭ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন দেশটির একটি বিশেষ আদালত। তোশাখানা বা রাষ্ট্রীয় উপহার ভান্ডারের মূল্যবান উপহার কম দামে কিনে নেওয়ার অভিযোগে আজ শনিবার এই রায় ঘোষণা করা হয়। তবে ইমরান খানের আইনজীবীরা এই রায়কে ‘একপক্ষীয়’ বলে অভিহিত করেছেন। তাঁরা বলছেন, বিবাদী পক্ষের কোনো বক্তব্য না শুনেই এই সাজা ঘোষণা করা হয়েছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির (এআইএ) বিশেষ আদালত এই রায় দেন। সাজাটি দুই ভাগে বিভক্ত। প্রথমে বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগে ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড। এরপর দুর্নীতিবিরোধী আইনের আওতায় সাত বছর কারাদণ্ড। এ ছাড়া কারাদণ্ডের পাশাপাশি উভয়কে মোটা অঙ্কের আর্থিক জরিমানাও করা হয়েছে।
পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার জানিয়েছেন, ইমরান খান বর্তমানে জমি-সংক্রান্ত একটি দুর্নীতি মামলায় ১৪ বছরের সাজা খাটছেন। সেই মেয়াদ শেষ হওয়ার পর এই ১৭ বছরের কারাদণ্ড কার্যকর শুরু হবে।
এ মামলাটি মূলত সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের দেওয়া অত্যন্ত দামি কিছু উপহার (বিলাসবহুল ঘড়ি) নিয়ে। অভিযোগ রয়েছে—ইমরান খান প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন উপহারগুলো তোশাখানায় জমা দেন। পরে তিনি এবং তাঁর স্ত্রী রাষ্ট্রীয় নিয়ম লঙ্ঘন করে কম মূল্যে সেগুলো তোশাখানা থেকে নিজের নামে কিনে নেন। প্রসিকিউশনের দাবি, এর ফলে রাষ্ট্রীয় কোষাগারের কয়েক মিলিয়ন রুপির ক্ষতি হয়েছে।
এদিকে ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) এই রায়কে প্রত্যাখ্যান করেছে। দলের মুখপাত্র জুলফি বুখারি বলেছেন, এটি ন্যায়বিচারের নীতি লঙ্ঘন করে করা একটি ‘ফরমায়েশি রায়’।
এ রায়ের প্রতিবাদে আগামীকাল রোববার পাঞ্জাব প্রদেশজুড়ে বিক্ষোভ কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে পিটিআই।
ইমরান খানের আইনজীবী সালমান সফদর জানিয়েছেন, রায়ের বিরুদ্ধে ইসলামাবাদ হাইকোর্টে আপিল করার জন্য তাঁদের আইনি দলকে নির্দেশ দিয়েছেন কারাবন্দী সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী।
২০২২ সালে সংসদীয় অনাস্থা ভোটে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে ইমরান খানের বিরুদ্ধে শতাধিক মামলা দায়ের করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে বন্দী আছেন। তাঁর দলের অভিযোগ, আদালতের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও সাম্প্রতিক সময়ে তাঁর পরিবার বা আইনজীবীদের দেখা করতে দেওয়া হচ্ছে না। যদিও কর্তৃপক্ষ এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবিকে তোশাখানা দুর্নীতির নতুন মামলায় ১৭ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন দেশটির একটি বিশেষ আদালত। তোশাখানা বা রাষ্ট্রীয় উপহার ভান্ডারের মূল্যবান উপহার কম দামে কিনে নেওয়ার অভিযোগে আজ শনিবার এই রায় ঘোষণা করা হয়। তবে ইমরান খানের আইনজীবীরা এই রায়কে ‘একপক্ষীয়’ বলে অভিহিত করেছেন। তাঁরা বলছেন, বিবাদী পক্ষের কোনো বক্তব্য না শুনেই এই সাজা ঘোষণা করা হয়েছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির (এআইএ) বিশেষ আদালত এই রায় দেন। সাজাটি দুই ভাগে বিভক্ত। প্রথমে বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগে ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড। এরপর দুর্নীতিবিরোধী আইনের আওতায় সাত বছর কারাদণ্ড। এ ছাড়া কারাদণ্ডের পাশাপাশি উভয়কে মোটা অঙ্কের আর্থিক জরিমানাও করা হয়েছে।
পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার জানিয়েছেন, ইমরান খান বর্তমানে জমি-সংক্রান্ত একটি দুর্নীতি মামলায় ১৪ বছরের সাজা খাটছেন। সেই মেয়াদ শেষ হওয়ার পর এই ১৭ বছরের কারাদণ্ড কার্যকর শুরু হবে।
এ মামলাটি মূলত সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের দেওয়া অত্যন্ত দামি কিছু উপহার (বিলাসবহুল ঘড়ি) নিয়ে। অভিযোগ রয়েছে—ইমরান খান প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন উপহারগুলো তোশাখানায় জমা দেন। পরে তিনি এবং তাঁর স্ত্রী রাষ্ট্রীয় নিয়ম লঙ্ঘন করে কম মূল্যে সেগুলো তোশাখানা থেকে নিজের নামে কিনে নেন। প্রসিকিউশনের দাবি, এর ফলে রাষ্ট্রীয় কোষাগারের কয়েক মিলিয়ন রুপির ক্ষতি হয়েছে।
এদিকে ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) এই রায়কে প্রত্যাখ্যান করেছে। দলের মুখপাত্র জুলফি বুখারি বলেছেন, এটি ন্যায়বিচারের নীতি লঙ্ঘন করে করা একটি ‘ফরমায়েশি রায়’।
এ রায়ের প্রতিবাদে আগামীকাল রোববার পাঞ্জাব প্রদেশজুড়ে বিক্ষোভ কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে পিটিআই।
ইমরান খানের আইনজীবী সালমান সফদর জানিয়েছেন, রায়ের বিরুদ্ধে ইসলামাবাদ হাইকোর্টে আপিল করার জন্য তাঁদের আইনি দলকে নির্দেশ দিয়েছেন কারাবন্দী সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী।
২০২২ সালে সংসদীয় অনাস্থা ভোটে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে ইমরান খানের বিরুদ্ধে শতাধিক মামলা দায়ের করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে বন্দী আছেন। তাঁর দলের অভিযোগ, আদালতের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও সাম্প্রতিক সময়ে তাঁর পরিবার বা আইনজীবীদের দেখা করতে দেওয়া হচ্ছে না। যদিও কর্তৃপক্ষ এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

গভীর রাতে উত্তর কোরিয়ায় পৌঁছান রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। পিয়ংইয়ং বিমানবন্দরে তাঁকে স্বাগত জানান উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং–উন। গতকাল মঙ্গলবার রাতে উল্লসিত জনতার হর্ষধ্বনির মধ্যে বিমানবন্দরে পুতিনকে রাজকীয় অভ্যর্থনা দেওয়া হয়।
১৯ জুন ২০২৪
গ্রিসের দক্ষিণাঞ্চলীয় দ্বীপ গাভদোসের কাছে একটি মাছধরা নৌকা থেকে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের প্রায় ৫৪০ জন অভিবাসীকে উদ্ধার করেছে দেশটির কোস্ট গার্ড। গ্রিক কোস্ট গার্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গতকাল শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) গাভদোস দ্বীপ থেকে প্রায় ১৬ নটিক্যাল মাইল (২৯.৬ কিমি) দূরে লিবীয় সাগরে নৌকাটি
২০ মিনিট আগে
ইসরায়েলের হামলায় গাজার ৪৯৪টি স্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয় আংশিক বা সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে গেছে। সর্বশেষ চলতি বছরের জানুয়ারিতে গাজাভিত্তিক আল-মেজান সেন্টারের তথ্য অনুযায়ী, গাজার ১৩৭টি স্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয় সম্পূর্ণ মাটির সঙ্গে মিশে গেছে। যুদ্ধে এখন পর্যন্ত ১২ হাজার ৮০০ শিক্ষার্থী, ৭৬০ জন শিক্ষক...
১ ঘণ্টা আগে
আশার কথা, ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে এহেন ইসরায়েলি আগ্রাসনে প্রতিরোধের শক্তি হয়ে সম্প্রতি হাজির হয়েছেন একদল স্বেচ্ছাসেবক। তাঁরা পাহাড় থেকে নামতে থাকা ইসরায়েলি সেটলারদের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে তাঁদের সরিয়ে দেন।
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

প্রতিদিন সকালে কিশোর ইসরায়েলি সেটলাররা পাহাড়ের ওপর থেকে একপাল ছাগল তাড়িয়ে নিচের উপত্যকায় ফিলিস্তিনি গ্রাম রাস আইন আল-আউজার দিকে নিয়ে আসে।
এ সময় গ্রামের নারী, পুরুষ ও শিশুরা আশ্রয় নেয় তাদের কুঁড়েঘর ও তাঁবুর ভেতর। কোনো ফিলিস্তিনি যদি সামান্য প্রতিরোধের ইঙ্গিত দেয়, তাহলে প্রায় নিশ্চিতভাবেই সেখানে হাজির হয় ইসরায়েলি সেনা বা সীমান্ত পুলিশ। এরপর শুরু হয় সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত। বিনা বিচারে মাসের পর মাস, এমনকি বছরের পর বছর আটক তো আছেই।
বলা বাহুল্য, ইসরায়েলি সেটলারদের লক্ষ্য—তাদের গবাদিপশু দিয়ে গ্রামটি দখল করে ফিলিস্তিনিদের তাড়িয়ে দেওয়া।
আশার কথা, ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে এহেন ইসরায়েলি আগ্রাসনে প্রতিরোধের শক্তি হয়ে সম্প্রতি হাজির হয়েছেন একদল স্বেচ্ছাসেবক। তাঁরা পাহাড় থেকে নামতে থাকা ইসরায়েলি সেটলারদের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে তাদের সরিয়ে দেন।
দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, আজ শনিবারে রাস আইন আল-আউজা গ্রামের বাসিন্দাদের রক্ষাকারীদের মধ্যে ছিলেন চারজন ইসরায়েলি ইহুদি, একজন হাঙ্গেরিয়ান ও একজন মার্কিন নাগরিক। তাঁরা ফিলিস্তিনি ঘরবাড়ির চারপাশে মানবঢাল তৈরি করে এগিয়ে আসা পশুগুলো তাড়ানোর চেষ্টা করেন।
অবসরপ্রাপ্ত ইসরায়েলি মেজর ও স্বেচ্ছাসেবী আমির পানস্কি বলেন, ‘সেটলাররা এমন সব উসকানি দেয়, যার ফলে ফিলিস্তিনিরা প্রতিরোধ করতে বাধ্য হয়। আর সেটাকেই অজুহাত বানিয়ে তাদের ওপর চলে দমন-পীড়ন। আমরা এখানে সুরক্ষাকবচ হিসেবে আছি। আমরা আমাদের দেহকে ইহুদি সেটলার ও ফিলিস্তিনিদের মাঝে ঢাল হিসেবে দাঁড় করিয়েছি।’
গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়, এই স্বেচ্ছাসেবকেরা যতবার কোনো প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ নেন, ততবারই সেটলার রাখালেরা পাল্টা কৌশলে তাঁদের পাশ কাটানোর চেষ্টা করে। তারা স্বেচ্ছাসেবকদের একেবারে কাছে চলে যায়। স্বেচ্ছাসেবকেরা তখন হাত নেড়ে ও চিৎকার করে নিজেদের অবস্থানে অটল থাকার চেষ্টা করেন।
এ সময় সেটলাররা মোবাইল ফোন উঁচু করে পুরো দৃশ্য ধারণ করে এবং সরাসরি মন্তব্য করতে থাকে। অন্যদিকে প্রত্যেক স্বেচ্ছাসেবকের দেহে লাগানো থাকে বডি ক্যামেরা, যাতে তাঁদের বিরুদ্ধে হামলা করার ভুয়া অভিযোগ না ওঠে।

প্রতিদিন সকালে কিশোর ইসরায়েলি সেটলাররা পাহাড়ের ওপর থেকে একপাল ছাগল তাড়িয়ে নিচের উপত্যকায় ফিলিস্তিনি গ্রাম রাস আইন আল-আউজার দিকে নিয়ে আসে।
এ সময় গ্রামের নারী, পুরুষ ও শিশুরা আশ্রয় নেয় তাদের কুঁড়েঘর ও তাঁবুর ভেতর। কোনো ফিলিস্তিনি যদি সামান্য প্রতিরোধের ইঙ্গিত দেয়, তাহলে প্রায় নিশ্চিতভাবেই সেখানে হাজির হয় ইসরায়েলি সেনা বা সীমান্ত পুলিশ। এরপর শুরু হয় সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত। বিনা বিচারে মাসের পর মাস, এমনকি বছরের পর বছর আটক তো আছেই।
বলা বাহুল্য, ইসরায়েলি সেটলারদের লক্ষ্য—তাদের গবাদিপশু দিয়ে গ্রামটি দখল করে ফিলিস্তিনিদের তাড়িয়ে দেওয়া।
আশার কথা, ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে এহেন ইসরায়েলি আগ্রাসনে প্রতিরোধের শক্তি হয়ে সম্প্রতি হাজির হয়েছেন একদল স্বেচ্ছাসেবক। তাঁরা পাহাড় থেকে নামতে থাকা ইসরায়েলি সেটলারদের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে তাদের সরিয়ে দেন।
দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, আজ শনিবারে রাস আইন আল-আউজা গ্রামের বাসিন্দাদের রক্ষাকারীদের মধ্যে ছিলেন চারজন ইসরায়েলি ইহুদি, একজন হাঙ্গেরিয়ান ও একজন মার্কিন নাগরিক। তাঁরা ফিলিস্তিনি ঘরবাড়ির চারপাশে মানবঢাল তৈরি করে এগিয়ে আসা পশুগুলো তাড়ানোর চেষ্টা করেন।
অবসরপ্রাপ্ত ইসরায়েলি মেজর ও স্বেচ্ছাসেবী আমির পানস্কি বলেন, ‘সেটলাররা এমন সব উসকানি দেয়, যার ফলে ফিলিস্তিনিরা প্রতিরোধ করতে বাধ্য হয়। আর সেটাকেই অজুহাত বানিয়ে তাদের ওপর চলে দমন-পীড়ন। আমরা এখানে সুরক্ষাকবচ হিসেবে আছি। আমরা আমাদের দেহকে ইহুদি সেটলার ও ফিলিস্তিনিদের মাঝে ঢাল হিসেবে দাঁড় করিয়েছি।’
গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়, এই স্বেচ্ছাসেবকেরা যতবার কোনো প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ নেন, ততবারই সেটলার রাখালেরা পাল্টা কৌশলে তাঁদের পাশ কাটানোর চেষ্টা করে। তারা স্বেচ্ছাসেবকদের একেবারে কাছে চলে যায়। স্বেচ্ছাসেবকেরা তখন হাত নেড়ে ও চিৎকার করে নিজেদের অবস্থানে অটল থাকার চেষ্টা করেন।
এ সময় সেটলাররা মোবাইল ফোন উঁচু করে পুরো দৃশ্য ধারণ করে এবং সরাসরি মন্তব্য করতে থাকে। অন্যদিকে প্রত্যেক স্বেচ্ছাসেবকের দেহে লাগানো থাকে বডি ক্যামেরা, যাতে তাঁদের বিরুদ্ধে হামলা করার ভুয়া অভিযোগ না ওঠে।

গভীর রাতে উত্তর কোরিয়ায় পৌঁছান রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। পিয়ংইয়ং বিমানবন্দরে তাঁকে স্বাগত জানান উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং–উন। গতকাল মঙ্গলবার রাতে উল্লসিত জনতার হর্ষধ্বনির মধ্যে বিমানবন্দরে পুতিনকে রাজকীয় অভ্যর্থনা দেওয়া হয়।
১৯ জুন ২০২৪
গ্রিসের দক্ষিণাঞ্চলীয় দ্বীপ গাভদোসের কাছে একটি মাছধরা নৌকা থেকে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের প্রায় ৫৪০ জন অভিবাসীকে উদ্ধার করেছে দেশটির কোস্ট গার্ড। গ্রিক কোস্ট গার্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গতকাল শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) গাভদোস দ্বীপ থেকে প্রায় ১৬ নটিক্যাল মাইল (২৯.৬ কিমি) দূরে লিবীয় সাগরে নৌকাটি
২০ মিনিট আগে
ইসরায়েলের হামলায় গাজার ৪৯৪টি স্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয় আংশিক বা সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে গেছে। সর্বশেষ চলতি বছরের জানুয়ারিতে গাজাভিত্তিক আল-মেজান সেন্টারের তথ্য অনুযায়ী, গাজার ১৩৭টি স্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয় সম্পূর্ণ মাটির সঙ্গে মিশে গেছে। যুদ্ধে এখন পর্যন্ত ১২ হাজার ৮০০ শিক্ষার্থী, ৭৬০ জন শিক্ষক...
১ ঘণ্টা আগে
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবিকে তোশাখানা দুর্নীতির নতুন মামলায় ১৭ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন দেশটির একটি বিশেষ আদালত। তোশাখানা বা রাষ্ট্রীয় উপহার ভান্ডারের মূল্যবান উপহার কম দামে কিনে নেওয়ার অভিযোগে আজ শনিবার এই রায় ঘোষণা করা হয়।
২ ঘণ্টা আগে