Ajker Patrika

মাস্টারশেফ অস্ট্রেলিয়া তারকা জোনফ্রিলো মারা গেছেন

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ০২ মে ২০২৩, ১০: ১১
মাস্টারশেফ অস্ট্রেলিয়া তারকা জোনফ্রিলো মারা গেছেন

পুরস্কার বিজয়ী শেফ ও মাস্টারশেফ অস্ট্রেলিয়ার উপস্থাপক জক জোনফ্রিলো মারা গেছেন। মাত্র ৪৬ বছর বয়সে তাঁর আকস্মিক মৃত্যু হলো। 

স্কটল্যান্ডের এই নাগরিক অস্ট্রেলিয়ায় নিজের রেস্তোঁরা খোলার আগে বিশ্বের বিখ্যাত রেস্তোঁরাগুলোতে কাজ করেছেন। 

মাস্টারশেফের ২০২৩ সিজনের প্রিমিয়ার সম্প্রচার করার দিনই অনুষ্ঠান সম্প্রচারমাধ্যম নেটওয়ার্ক ১০ এই বিখ্যাত শেফের মৃত্যুর সংবাদ দেয়। 

জোনফ্রিলো স্ত্রী লরেন ফ্রাইড ও চার সন্তান রেখে গেছেন। 

সোমবার (১ মে) ভোরে জোনফ্রিলোকে মেলবোর্নের একটি বাড়িতে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। ভিক্টোরিয়া পুলিশ জানিয়েছে, তাঁর মৃত্যু সন্দেহজনক হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে না। 

তার মৃত্যু রন্ধনশিল্পের সঙ্গে যুক্ত এবং বিনোদন জগতের মানুষদের শোকাহত করেছে। সেলিব্রিটি শেফ জেমি অলিভার ও গর্ডন রামসের পাশাপাশি সাবেক মাস্টারশেফ প্রতিযোগীরা শোক জানিয়েছেন। 

জেমি অলিভারের এবারের সিজন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত হওয়ার কথা ছিল। সম্প্রতি জোনফ্রিলো অন্য দুই বিচারক মেলিসা লিওং ও অ্যান্ডি অ্যালেনের সঙ্গে একটি গ্রুপ ছবি ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেছিলেন। 

 ১৯৭৬ সালে স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে জোনফ্রিলোর জন্ম। মাত্র ১২ বছর বয়সে তাঁর রান্নাঘরে হাতেখড়ি। ১৫ বছর বয়সে বিলাসবহুল স্কটিশ রিসোর্ট টার্নবেরি হোটেলে কাজ করার জন্য সর্বকনিষ্ঠ শিক্ষানবিশ হিসেবে যুক্ত হন। 

এর দুই বছর পর বিখ্যাত হাইড পার্ক হোটেলে ব্রিটিশ শেফ মার্কো পিয়ের হোয়াইটের সঙ্গে কাজ শুরু করেন। 

কম বয়সে এত সাফল্যের পরও জোনফ্রিলো সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, কিশোর বয়সে ভেঙে পড়েছিলেন। ঘর থেকে বেরিয়ে হেরোইন আসক্তির খপ্পরে পড়েছিলেন। ২০২১ সালে প্রকাশিত স্মৃতিকথা ‘লাস্ট শট’-এ মাদকাসক্তির সঙ্গে তাঁর সংগ্রামের কথা লিখেছেন। 

 ২০০০ সালে অস্ট্রেলিয়ায় যাওয়ার পরই জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু করেন জোনফ্রিলো। বেশ কয়েকটি রেস্তোরাঁ খুলেছিলেন। তবে সবচেয়ে সফলটি অ্যাডিলেডে অবস্থিত, পুরস্কার বিজয়ী রেস্তোরাঁ ওরানা। এটি ২০১৩ সালে শুরু করেন জোনফ্রিলো। 

 ২০১৯ সালে মাস্টারশেফ অস্ট্রেলিয়ার জন্য উপস্থাপক হিসেবে জোনফ্রিলোর নাম ঘোষণা করা হয়। 

অবশ্য জোনফ্রিলোর ক্যারিয়ারে বিতর্কও ছিল। তাঁর রেস্তোরাঁ ওরানা ২০২০ সালে বন্ধ হয়ে যায়। মিলিয়ন ডলারের ঋণ নিয়ে পরিশোধ করতে না পেরে বন্ধ করে দিতে হয়। স্মৃতিকথা ‘লাস্ট শট’–এ বর্ণিত তথ্যগুলো সঠিক নয় বলে সমালোচনা করেছেন মার্কো পিয়ের হোয়াইটসহ তাঁর সাবেক সহকর্মীরা। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত