রাজতন্ত্র সংস্কারের দাবি: থাইল্যান্ডের অধিকারকর্মীকে ৪ বছরের কারাদণ্ড

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ২১: ২৯
Thumbnail image

রাজতন্ত্র সংস্কারের দাবি তোলায় থাইল্যান্ডের রাজনৈতিক কর্মী আরনন নাম্পাকে চার বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন থাইল্যান্ডের আদালত। 

বিবিসির এক প্রতিবেদন অনুসারে, ২০২০ সালে এক বিক্ষোভের সময় রাজতন্ত্রের বিরুদ্ধে মন্তব্য করার জন্য ব্যাংকক আদালত তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করেছেন। 

থাইল্যান্ডের রাজতন্ত্রের মর্যাদা রক্ষায় ‘লেইজ মেজেস্তি’ আইন অনুসারে, রাজতন্ত্রকে হেয় করে মন্তব্য অপরাধ। এর সর্বোচ্চ শাস্তি কঠোর কারাদণ্ড। ২০১৪ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সেনাবাহিনী ক্ষমতা নেওয়ায় এ আইনের প্রয়োগ ব্যাপক বেড়ে যায়। 

মানবাধিকারবিষয়ক আইনজীবী আরননই প্রথম যিনি বর্তমান থাইল্যান্ডে রাজতন্ত্রের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। 

গত মে মাসে সাধারণ নির্বাচন শেষে আইনটি নিয়ে ব্যাপক আলোচনার পর আরননের বিরুদ্ধে মামলার রায় ঘোষণা করা হয়। 

নির্বাচনে অপ্রত্যাশিতভাবে বিপুলসংখ্যক ভোটে রাজনৈতিক প্রগতিশীল দল মুভ ফরোয়ার্ডের জয় হয় এবং তারা পার্লামেন্টে আসন পায়। তারা আইনটির সংস্কারসহ বেশ কয়েকটি সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। 

তৎকালীন পার্লামেন্টে স্পষ্টত সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকার পরেও মুভ ফরোয়ার্ড দলটি সরকার গঠনে ব্যর্থতার পেছনে এ আইন পরিবর্তনের দাবি দায়ী বলে উল্লেখ করে সামরিক বাহিনী কর্তৃক নিযুক্ত সিনেট। 

রাজতন্ত্রের মানহানিবিষয়ক আইনটির পরিবর্তন নিয়ে সিনেটরদের মধ্যে বিতর্ক শুরু হয়। এ আইনে কোনো ধরনের পরিবর্তন থাইল্যান্ডের রাজতন্ত্রের জন্য হুমকি–উল্লেখ করে এ প্রস্তাব নাকচ করে দেওয়া হয়। 

ফলস্বরূপ বিদায়ী প্রশাসনের রক্ষণশীল দলের সদস্যদের নিয়ে বিকল্প এক জোট গঠন করা হয়। তাই রাজতন্ত্র নিয়ে কোনো ধরনের বিতর্ক অবশ্যই শাস্তিযোগ্য অপরাধ হবে। 

২০২০ সালের ৩ আগস্ট সামরিক সরকারের বিরুদ্ধে এক ছাত্র আন্দোলনের সময় আরনন নাম্পার নামটি আলোচনায় আসে। তিনি থাইল্যান্ডের রাজতন্ত্রকে নিয়ে মন্তব্য করার নিষেধাজ্ঞাকে অমান্য করে রাজতন্ত্রে সংস্কার আনার দাবি জানান। 

তাঁর এ কাজটি ছিল অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। থাইল্যান্ডে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্টকে রাজ পরিবারের বিরুদ্ধে অবমাননা ধরে নিয়ে ৩০ থেকে ৪০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়ার নজির আছে। 

‘লেইজ মেজেস্তি’ আইনের মামলার বিরুদ্ধে আত্মপক্ষ সমর্থন করাও বেশ কঠিন। কারণ, এর বিচারকার্য হয় রুদ্ধ দ্বারের পেছনে এবং অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তি এড়ানোর জন্য দোষ স্বীকার করতে চাপ দেওয়া হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত