অনলাইন ডেস্ক
মূলত অস্ট্রেলিয়ান পর্যটকদের আকৃষ্ট করতেই নিউজিল্যান্ডের সরকার একটি প্রচারণা শুরু করেছে। স্লোগানটি হলো—‘এভরি ওয়ান মাস্ট গো’ বা ‘সবাইকে যেতেই হবে’। পর্যটকদের প্রতি নিউজিল্যান্ড সরকারের এমন উদাত্ত আহ্বান শেষ পর্যন্ত দেশের ভেতরেই ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছে।
স্লোগানটি এখন নিউজিল্যান্ডের সরকারি ব্যয় সংকোচন, চাকরি ছাঁটাই এবং দেশত্যাগের উচ্চহারের প্রেক্ষাপটে বিদ্রূপের শিকার হয়েছে। স্লোগানের সমালোচনা করে নিউজিল্যান্ডের অনেকেই এই প্রচারণাকে বছর শেষের ‘ক্লিয়ারেন্স সেল’ বা ‘শেষ হবার আগেই দ্রুত কিনুন’—এই ধরনের স্লোগানের সঙ্গে তুলনা করেছেন।
সোমবার বিবিসি জানিয়েছে, নিউজিল্যান্ড সরকার ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাস জুড়ে অস্ট্রেলিয়ার রেডিও ও সামাজিক যোগাযোগের প্ল্যাটফর্মগুলোতে পর্যটনের প্রচারণা চালানোর জন্য ৫০ কোটি নিউজিল্যান্ড-ডলারের বাজেট বরাদ্দ করেছে। এই প্রচারণায়ই ব্যবহৃত হচ্ছে আলোচিত সেই স্লোগানটি। দেশটির পর্যটনমন্ত্রী লুইস আপস্টন বলেছেন, ‘এই প্রচারণার মাধ্যমে আমরা অস্ট্রেলীয়দের জানাতে চাই, আমরা পর্যটকদের জন্য প্রস্তুত। দারুণ সব অফার রয়েছে এবং আমরা তাদের স্বাগত জানাতে চাই।’
কিন্তু প্রচারণার মূল স্লোগান নিয়ে নিউজিল্যান্ডের জনগণের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। অনেকে বলেছেন, এটিকে ‘মহাপ্রলয়ের প্রস্তুতির’ মতো শোনাচ্ছে বা ‘টয়লেটের সিরিয়াল ধরার’ মতো কিছু।
নিউজিল্যান্ডের গ্রিন পার্টির পর্যটন মুখপাত্র সেলিয়া ওয়েড-ব্রাউন এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘স্লোগানটি শুনে মনে হচ্ছে, এটি দেশের জনপ্রিয় পর্যটনস্থলগুলোতে শৌচাগার সংকটকে ইঙ্গিত করছে। টয়লেটের লাইনগুলো আসলেই ভয়াবহ!’
তবে পর্যটনমন্ত্রী আপস্টনের দপ্তর থেকে অবশ্য জানানো হয়েছে, এই প্রচারণাটি পর্যটন ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া পেয়েছে। এ অবস্থায় প্রশ্ন হলো—প্রচারণা যদি সফলই হয়, তাহলে স্লোগানটি নিয়ে এত সমালোচনা কেন?
বিবিসি জানিয়েছে, নিউজিল্যান্ডের সরকার সম্প্রতি বড় পরিসরে ব্যয় সংকোচন নীতি গ্রহণ করেছে। এর ফলে সরকারি চাকরির ব্যাপক ছাঁটাই চলছে। সেই সঙ্গে দেশত্যাগের হারও রেকর্ড পর্যায়ে পৌঁছেছে। বিরোধী দল লেবার পার্টির মুখপাত্র কুশলা টাঙ্গায়েরে-ম্যানুয়েল মন্তব্য করেছেন, ‘সরকার যখন হাজার হাজার সরকারি চাকরি বিলুপ্ত করছে, তখন এই স্লোগান শুনে মনে হচ্ছে যেন সরকার নিজেই বলছে, সবাই বের হয়ে যান!’
একজন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারী কটাক্ষ করে লিখেছেন, ‘যদি আমি সরকারে থাকতাম এবং রেকর্ড পরিমাণ অভিবাসন দেখতাম, তাহলে এটি কখনোই আমার স্লোগান হতো না।’
অনেকেই স্লোগানটিকে এখন সরকারবিরোধী আন্দোলনে ব্যবহারের সুযোগ হিসেবে দেখছেন। এক ব্লু-স্কাই ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘এই হাস্যকর স্লোগানটি এখন নির্বাচনী পোস্টার বা প্রতিবাদী প্ল্যাকার্ডে ব্যবহার করাই যথার্থ হবে!’
পর্যটন নিউজিল্যান্ডের সবচেয়ে বড় রপ্তানি খাত। মহামারির আগে ২০১৯ সালে এই খাতে ৪০.৯ বিলিয়ন ডলার রাজস্ব অর্জন করেছিল দেশটি। তবে মহামারির সময় এই আয়ে ভাটা পড়ে। যদিও মহামারি শেষে ২০২৩ সালে পর্যটন থেকে দেশটির আয় ৩৭.৭ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছায়।
নিউজিল্যান্ডে ঘুরে দেখার জন্য সবচেয়ে বেশি সংখ্যক পর্যটক অস্ট্রেলিয়া থেকে যান। দেশটিতে ঘুরতে যাওয়া বিদেশি পর্যটকদের প্রায় ৪৪ শতাংশই অস্ট্রেলিয়ার। পর্যটনমন্ত্রী আপস্টন জানিয়েছেন, গত এক বছরে নিউজিল্যান্ডে আসা অস্ট্রেলীয় পর্যটকের সংখ্যা ৯০ হাজার বেড়েছে। সব মিলে অস্ট্রেলিয়ার পর্যটকের সংখ্যা ছিল ১৩ লাখ ৬০ হাজার। তবে এ ক্ষেত্রে আরও উন্নতির সুযোগ রয়েছে বলেও মনে করেন মন্ত্রী।
নিউজিল্যান্ডের পর্যটন প্রচারণা ইতিহাসে অনেক প্রশংসিত ও সমালোচিত হয়েছে। অতীতে একবার দেশটির পর্যটন স্লোগান ছিল—‘১০০ শতাংশ নির্ভেজাল নিউজিল্যান্ড’। সেই স্লোগানটি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ব্যাপক সফল ও প্রশংসা কুড়ালেও নিউজিল্যান্ডের পরিবেশগত নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল।
মূলত অস্ট্রেলিয়ান পর্যটকদের আকৃষ্ট করতেই নিউজিল্যান্ডের সরকার একটি প্রচারণা শুরু করেছে। স্লোগানটি হলো—‘এভরি ওয়ান মাস্ট গো’ বা ‘সবাইকে যেতেই হবে’। পর্যটকদের প্রতি নিউজিল্যান্ড সরকারের এমন উদাত্ত আহ্বান শেষ পর্যন্ত দেশের ভেতরেই ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছে।
স্লোগানটি এখন নিউজিল্যান্ডের সরকারি ব্যয় সংকোচন, চাকরি ছাঁটাই এবং দেশত্যাগের উচ্চহারের প্রেক্ষাপটে বিদ্রূপের শিকার হয়েছে। স্লোগানের সমালোচনা করে নিউজিল্যান্ডের অনেকেই এই প্রচারণাকে বছর শেষের ‘ক্লিয়ারেন্স সেল’ বা ‘শেষ হবার আগেই দ্রুত কিনুন’—এই ধরনের স্লোগানের সঙ্গে তুলনা করেছেন।
সোমবার বিবিসি জানিয়েছে, নিউজিল্যান্ড সরকার ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাস জুড়ে অস্ট্রেলিয়ার রেডিও ও সামাজিক যোগাযোগের প্ল্যাটফর্মগুলোতে পর্যটনের প্রচারণা চালানোর জন্য ৫০ কোটি নিউজিল্যান্ড-ডলারের বাজেট বরাদ্দ করেছে। এই প্রচারণায়ই ব্যবহৃত হচ্ছে আলোচিত সেই স্লোগানটি। দেশটির পর্যটনমন্ত্রী লুইস আপস্টন বলেছেন, ‘এই প্রচারণার মাধ্যমে আমরা অস্ট্রেলীয়দের জানাতে চাই, আমরা পর্যটকদের জন্য প্রস্তুত। দারুণ সব অফার রয়েছে এবং আমরা তাদের স্বাগত জানাতে চাই।’
কিন্তু প্রচারণার মূল স্লোগান নিয়ে নিউজিল্যান্ডের জনগণের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। অনেকে বলেছেন, এটিকে ‘মহাপ্রলয়ের প্রস্তুতির’ মতো শোনাচ্ছে বা ‘টয়লেটের সিরিয়াল ধরার’ মতো কিছু।
নিউজিল্যান্ডের গ্রিন পার্টির পর্যটন মুখপাত্র সেলিয়া ওয়েড-ব্রাউন এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘স্লোগানটি শুনে মনে হচ্ছে, এটি দেশের জনপ্রিয় পর্যটনস্থলগুলোতে শৌচাগার সংকটকে ইঙ্গিত করছে। টয়লেটের লাইনগুলো আসলেই ভয়াবহ!’
তবে পর্যটনমন্ত্রী আপস্টনের দপ্তর থেকে অবশ্য জানানো হয়েছে, এই প্রচারণাটি পর্যটন ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া পেয়েছে। এ অবস্থায় প্রশ্ন হলো—প্রচারণা যদি সফলই হয়, তাহলে স্লোগানটি নিয়ে এত সমালোচনা কেন?
বিবিসি জানিয়েছে, নিউজিল্যান্ডের সরকার সম্প্রতি বড় পরিসরে ব্যয় সংকোচন নীতি গ্রহণ করেছে। এর ফলে সরকারি চাকরির ব্যাপক ছাঁটাই চলছে। সেই সঙ্গে দেশত্যাগের হারও রেকর্ড পর্যায়ে পৌঁছেছে। বিরোধী দল লেবার পার্টির মুখপাত্র কুশলা টাঙ্গায়েরে-ম্যানুয়েল মন্তব্য করেছেন, ‘সরকার যখন হাজার হাজার সরকারি চাকরি বিলুপ্ত করছে, তখন এই স্লোগান শুনে মনে হচ্ছে যেন সরকার নিজেই বলছে, সবাই বের হয়ে যান!’
একজন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারী কটাক্ষ করে লিখেছেন, ‘যদি আমি সরকারে থাকতাম এবং রেকর্ড পরিমাণ অভিবাসন দেখতাম, তাহলে এটি কখনোই আমার স্লোগান হতো না।’
অনেকেই স্লোগানটিকে এখন সরকারবিরোধী আন্দোলনে ব্যবহারের সুযোগ হিসেবে দেখছেন। এক ব্লু-স্কাই ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘এই হাস্যকর স্লোগানটি এখন নির্বাচনী পোস্টার বা প্রতিবাদী প্ল্যাকার্ডে ব্যবহার করাই যথার্থ হবে!’
পর্যটন নিউজিল্যান্ডের সবচেয়ে বড় রপ্তানি খাত। মহামারির আগে ২০১৯ সালে এই খাতে ৪০.৯ বিলিয়ন ডলার রাজস্ব অর্জন করেছিল দেশটি। তবে মহামারির সময় এই আয়ে ভাটা পড়ে। যদিও মহামারি শেষে ২০২৩ সালে পর্যটন থেকে দেশটির আয় ৩৭.৭ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছায়।
নিউজিল্যান্ডে ঘুরে দেখার জন্য সবচেয়ে বেশি সংখ্যক পর্যটক অস্ট্রেলিয়া থেকে যান। দেশটিতে ঘুরতে যাওয়া বিদেশি পর্যটকদের প্রায় ৪৪ শতাংশই অস্ট্রেলিয়ার। পর্যটনমন্ত্রী আপস্টন জানিয়েছেন, গত এক বছরে নিউজিল্যান্ডে আসা অস্ট্রেলীয় পর্যটকের সংখ্যা ৯০ হাজার বেড়েছে। সব মিলে অস্ট্রেলিয়ার পর্যটকের সংখ্যা ছিল ১৩ লাখ ৬০ হাজার। তবে এ ক্ষেত্রে আরও উন্নতির সুযোগ রয়েছে বলেও মনে করেন মন্ত্রী।
নিউজিল্যান্ডের পর্যটন প্রচারণা ইতিহাসে অনেক প্রশংসিত ও সমালোচিত হয়েছে। অতীতে একবার দেশটির পর্যটন স্লোগান ছিল—‘১০০ শতাংশ নির্ভেজাল নিউজিল্যান্ড’। সেই স্লোগানটি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ব্যাপক সফল ও প্রশংসা কুড়ালেও নিউজিল্যান্ডের পরিবেশগত নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল।
চীনের এক তরুণী আকাশছোঁয়া বাসা ভাড়ার কারণে বাধ্য হয়ে অফিসের টয়লেটে বসবাস করছেন। মাসে মাত্র ৫০ ইউয়ান (প্রায় ৭ মার্কিন ডলার) ভাড়ায় তিনি এই ৬ বর্গমিটারের অস্বাস্থ্যকর স্থানটিতে দিন কাটাচ্ছেন। এমনই মর্মস্পর্শী এক গল্প উঠে এসেছে হংকং ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদন থেকে।
৩৩ মিনিট আগেযুক্তরাষ্ট্র-চীনের বাণিজ্য যুদ্ধের আবহে আঞ্চলিক বাণিজ্য প্রসারের লক্ষ্যে পাঁচ বছর পর প্রথমবারের মতো অর্থনৈতিক আলোচনায় বসেছে দক্ষিণ কোরিয়া, চীন ও জাপান। গতকাল রোববার এই তিন এশীয় রপ্তানিনির্ভর দেশের বাণিজ্যমন্ত্রীরা বৈঠকে বসেন। বৈঠকে তাঁরা আঞ্চলিক ও বিশ্ব বাণিজ্য প্রসারে ঘনিষ্ঠভাবে সহযোগিতা করতে
১ ঘণ্টা আগেবিভিন্ন দেশের সরকারের প্রধানের সঙ্গে ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ। এই কূটনৈতিক ফোনালাপে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়।
২ ঘণ্টা আগেবিশ্বজুড়ে বিভিন্ন দিনে ঈদুল ফিতর উদ্যাপিত হয়। আকাশে উদিত হওয়া নতুন চাঁদ দেখার মাধ্যমে ইসলামি দিনপঞ্জির শাওয়াল মাসের প্রথম দিন নির্ধারিত হয়। পরদিনই উদ্যাপন করা ঈদুল ফিতর।
৪ ঘণ্টা আগে